Thursday 1 October 2020

অথর্ববেদ চতুর্থস্থানীয় বেদ, প্রকৃত বেদ নয় :

অথর্ববেদ চতুর্থস্থানীয় বেদ, প্রকৃত বেদ নয় :

#Anonno_Asim,

আপনার এই কাউন্টার পোস্টটা যথাসময়ে আমার নজরে আসে নি ব'লে, যথা সময়ে তার উত্তর দিতে পারি নি। কারণ, কারো নজরে আনার জন্য কিভাবে পোস্ট করতে হয়, সেটা আপনি জানেন না, তাই আমার নজরে আপনার পোস্ট না আসার যে ব্যর্থতা, সেটা আপনার।

যা হোক, কাউন্টার পোস্টের প্রথম প্যারাতেই আপনি লিখেছেন,

" প্রথমত ভাই আমি কোন আর্যসমাজীর নই।বেদে পক্ষে আছি দেখেই আপনি আমায় আর্য সমাজির লোক বানাচ্ছেন.?. ইহা হাস্যকর।

- আমার এক পরিচিত ব্যক্তি বাংলাদেশের রাজনীতি সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল হলো দুইটা- একটা আওয়ামীলীগ, অন্যটা এন্টি আওয়ামী লীগ। এর সরল মানে হলো একদল আওয়ামী লীগের পক্ষে, অন্যদলগুলো যে নামেরই হোক না কেনো, তারা আওয়ামীলীগের বিপক্ষে। আপনি আর্য সমাজিদের সুরে সুর মিলিয়ে কথা বলবেন, আর যদি কেউ আপনাকে আর্য সমাজি বলে ধরে নেয়, সেটা হাস্যকর হবে কেনো ? 

হিজড়াদের মতো ঢং করে কথা বললে লোকে আপনাকে হিজড়াই বলবে। যদি নিজেকে হিজড়া প্রমাণ করতে না চান প্রথমে ঐ ঢং ছাড়ুন, মানে বলতে চাইছি নিজেকে আর্য সমাজী হিসেবে পরিচিত করতে না চাইলে প্রথমে ওদের সুরে কথা বলা ছাড়ুন। তবে আপনার এই নিজেকে আর্য সমাজী হিসেবে স্বীকার করতে না চাওয়া একটা বিষয় প্রমাণ করে যে- আর্য সমাজীদেরকে আমি ঠিক মতো পঁচাতে পেরেছি, তাই কেউ নিজেকে আর আর্য সমাজী বলে পরিচয় দিতে চাইছে না; আর্য সমাজীরা বর্তমানে বর্জ্য সমাজী।

তারপর আপনি বলেছেন-

"যেকোন সনাতনী আর্য আর সে বেদকে সাপোর্ট করবে যদি সে আপনার মত ফেসবুক পন্ডিত না হয়ে অন্তত শাস্ত্র পড়েন আর বুঝেন।"

-ফেসবুক হোক, আর বাস্তবে মাঠে হোক যেখানেই পণ্ডিতি দেখানো হোক না কেনো শাস্ত্রজ্ঞান অবশ্যই প্রয়োজন। আপনার শাস্ত্রজ্ঞানের পরিচয় যেমন আপনার পোস্ট, তেমনি আমার শাস্ত্রজ্ঞানের পরিচয় হলো আমার পোস্ট, আর আমার এই পোস্টেই প্রমাণ হয়ে যাবে যে- কে কতটা শাস্ত্র জানে বা বোঝে। আর নিজে যে কাজটা করেন, সেটা নিয়ে অন্যকে টিটকারী মারেন কিভাবে ? আপনার পোস্টে কি আপনি নিজের পাণ্ডিত্যকে জাহির করার চেষ্টা করেন নি বা করেন না ? তাহলে ফেসবুক পণ্ডিত বলে আমাকে বা অন্য টিটকারী মারা কেনো ?

এরপর আপনি বলেছেন,

"Satya Sandhyani Biswanath অন্যের (রুপক রায় দার) পোষ্ট কপি করে না দিয়ে নিজে লিখুন, অন্তত কিছু বুঝতে বা জানতে পারবেন।"

-আপনাকে কে বললো যে সত্য সন্ধানী বিশ্বনাথ আর রূপক রায় আলাদা ব্যক্তি ? রূপক রায় বর্তমানে কোনো একজন ব্যক্তি নয়, একটি প্রতিষ্ঠান, একটি ব্র্যান্ড; যে প্রতিষ্ঠানের বহু সদস্য আছে, যারা নিজ দায়িত্বেই রূপক রায় ব্র্যান্ডের পক্ষে প্রচারের কাজ করে, তাই এখানে কপি পেস্টের কোনো ব্যাপার নেই, ব্যাপার আছে শুধু প্রচারের।

তারপর মূল প্রসঙ্গে আপনি বলেছেন,

"আপনি একটা নাস্তিক, কারণ স্মৃতি শাস্ত্র বলে, যে ব্যক্তি বেদের নিন্দা অর্থাৎ অপমান করে,(বেদ) ত্যাগ ও (বেদ) বিরুদ্ধ আচরণ করে তাহাকে "নাস্তিক" বলে।"- মনুসংহিতা-২/১১

-নিন্দা কাকে বলে, জানেন তো ? যে যা নয়, তার সম্পর্কে যদি সেটা বলা বা প্রচার করা হয়, তাহলে সেটা হয় নিন্দা। আমি বেদ ত্যাগ করেছি, সেটা কি আপনি আমার কোনো পোস্টের রেফারেন্স দিয়ে প্রমাণ করতে পারবেন ? আমি বেদকে সনাতন ধর্মের ভিত্তি মনে করি, যদি আমি বেদকে ত্যাগ করতাম, তাহলে কি এই কথা বলতে পারতাম ? আপনারা আর্য সমাজীরা আসলে তাদের বিরুদ্ধেই মনুসংহিতার এই বাণীকে প্রয়োগ করে তাদেরকেই বেদ বিরোধী তকমা দেন, যারা বেদের নয়, আপনাদের কথার বিরোধিতা করে; কারণ, আপনারা নিজেদেরকে মনে করে বেদের একমাত্র পার্থিব এজেন্ট। যা হোক, মনুসংহিতার এই রেফারেন্সকে অবলম্বন করেছেন, তার মানে মনুসংহিতা আপনার কাছে সনাতন ধর্মের প্রামাণ্য গ্রন্থ, আপনার এই স্ট্যান্ডার্ড যেন মনুসংহিতার সকল রেফারেন্সের বেলায় ঠিক থাকে।

এরপর আপনি বলেছেন-

"আমি আগের পোষ্টে যাষ্ট অথর্ব বেদ থেকে প্রমান করে দিয়েছিলাম যে বেদ পরমাত্মা থেকে সৃষ্টি আর বেদ স্বয়ং ঈশ্বরের বাণী।কিন্তু উনি ওটা না মেনে পণ্ডিতি করে অর্থব বেদকেই সরাসরি অস্বিকার করেছে।ইহা অতিব হাস্যকর। উনি মনুর-১/২৩ শ্লোক দেখিয়ে প্রমান রেখেছেন অর্থব বেদ বেদের অংশ নয়। কিন্তু এটা উনার অলীক কল্পনা বই কিছুনা। কারণ মনু বলেছে স্মৃতি আর শ্রুতির বিরোধ হলে শ্রুতিই প্রামান্য বলে গণ্য। তাই তার ওই মনুর-১/২৩ শ্লোক গ্রহণীয় নয়।ওটা গঙ্গা জলে চুবিয়ে আনুন গিয়ে।"

-মনু যদি বলে থাকে যে, শ্রুতি (বেদ) আর স্মৃতি (অন্যান্য+মনুসংহিতা)র মধ্যে বিরোধ হলে শ্রুতিই প্রামান্য বলে গণ্য হবে, এতকিছুর রেফারেন্স দিয়েছেন, তো এর রেফারেন্স দেন নি কেনো ? রেফারেন্স দিলে একটু গবেষণা করে দেখতাম, কোনো লোক কিভাবে নিজের কথাকেই মিথ্যা বলে স্বীকার করে। আপনার কাছে মনুসংহিতার ২/১১ সঠিক, কিন্তু ১/২৩ ঠিক নয়; ব্যাপারটি স্ববিরোধী হয়ে গেলো না ? আর যার ভিত্তিতে স্ববিরোধী অবস্থানে আছেন, সেটারও রেফারেন্স দিতে পারেন নি, আপনার কথাকে সঠিক বলে ধরে নিই কিভাবে ? ফেসবুক পণ্ডিত বলে আমাকে খোঁটা দিচ্ছেন, কিন্তু নিজের পণ্ডিতিও কী প্রমাণ করতে পারছেন বা পেরেছেন ?

এরপর বলেছেন,

"চলুন অথর্ব বেদ যে বেদেরই চার খন্ডের একটি এটা দেখে আসি। উনি গীতা থেকেও একটা প্রমান দিয়েছেন। চলুন আমি গীতার জন্মদাতা উপনিষদ হতে ঘুরে আসি, #ছান্দোগ্য_উপনিষদ-৩/৪/১ অথর্ববেদোক্ত মন্ত্র রাশিই মধুকর।"

-এখানে আপনি বলেছেন, ছান্দোগ্য উপনিষদের ৩/৪/১ এ বলা আছে, "অথর্ববেদোক্ত মন্ত্র রাশিই মধুকর।" তাহলে দেখা যাক এই মন্ত্রে আসলেই কী বলা আছে-

এই মন্ত্রটি হলো- "মধুনাড্যোহথর্বাঙ্গিরস এব মধুকৃত" যার অর্থ হলো- অথর্বাঙ্গিরস মন্ত্রসমূহই মধুকর।

-অথর্ব একজন ঋষি এবং আঙ্গিরসও একজন ঋষি, এদের উভয়ের কার্য একই প্রকারের বলে দুজনের নাম একসাথে যুক্ত হয়ে অথর্বাঙ্গিরস হয়েছে, ঋগ্বেদে উল্লিখিত এদের মন্ত্রই যে শ্রুতিমধুর, এখানে সেই কথা বলা হয়েছে। এখানে কোথায় বলা আছে যে অথর্ববেদোক্ত মন্ত্ররাশিই মধুকর ? বাস্তবে যদি এই কথা বলাও হতো, তাহলে তিন বেদের মধ্যে প্রধান যে বেদ, সেই ঋগ্বেদকেও কি ছোট করা হতো না ? শাস্ত্রের অপব্যাখ্যা করে কিভাবে কোনো বিষয়কে নিজের মতে এনে প্রচার করতে হয়, তাতে যে আপনারা বিশেষজ্ঞ তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

যা হোক, ছান্দোগ্য উপনিষদের একটি মন্ত্রের বিকৃত ব্যাখ্যার পর, অপর মন্ত্রের কী হাল করেছেন, এবার সেটা দেখাচ্ছি-

ছান্দোগ্যোপনিষদ এর ৭/১/২ এর রেফারেন্স দিয়ে আপনি বলেছেন, এখানে নাকি লিখা আছে,

"হে ভগবান আমি ঋগ্বেদ অবগত আছি।হে ভগবান আমি যজুর্বেদ,সামবেদ,চথুর্থ স্থানীয় অথর্ববেদ ...... অবগত আছি।"

কিন্তু এই মন্ত্রের অর্থে লিখা রয়েছে, "নারদ বলিলেন- ভগবান, ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সামবেদ চতুর্থস্থানীয় অথর্ববেদ, ইতিহাস পুরাণ নামক পঞ্চম বেদ… আমি এই সবই জানি।"

এখানে ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সামবেদ এর পর সরাসরি কেনো বলা হলো না যে অথর্ববেদ, কেনো বলা হলো চতুর্থস্থানীয় অথর্ববেদ ? এর কারণ হলো অথর্ববেদ, অন্য তিনিটি বেদের পর্যায়ে পড়ে না, বেদের পরিশিষ্ট হিসেবে একে চতুর্থ বেদ হিসেবে আমরা ধরে নিয়েছি, যেকারণে ইতিহাস পুরাণকে পঞ্চম বেদ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়েছে। এই রেফারেন্সের ভিত্তিতে যদি আমরা অথর্ববেদকে চতুর্থ বেদ হিসেবে ধরে নিই, তাহলে রামায়ণ-মহাভারত এবং পুরাণগুলোকেও পঞ্চম বেদ হিসেবে ধরে নয়, স্বীকার করে নিতে হবে; তাহলে আর প্রচলিতভাবে বেদ চারটি একথা বলা যাবে না, বলতে হবে- বেদ ৫টি। তাহলে আপনারা কি এখন এই কথা বলবেন যে- বেদ ৫টি ?

সত্যিই শাস্ত্রের বিকৃত ব্যাখ্যার প্রচারে আপনাদের যে প্রতিভা, তাতে আমি মুগ্ধ।

যা হোক, এরপর মহাভারত শান্তিপর্বের যে রেফারেন্স দিয়েছেন, তার শ্লোক উল্লেখ করেন নি বলে বুঝতে পারছি না যে এখানে আসলেই কী বলা আছে। তাই এটা নিয়ে আর কিছু বললাম না, শুধু এই কথা বলছি যে, যে একটি মিথ্যা তথ্য দিতে পারে, সে যে ১০০টা তথ্যও মিথ্যা দিতে পারে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সংস্কৃত শ্লোকসহ বাংলা অনুবাদের মহাভারত সবার কাছে নেই, তাই সবার পক্ষে মহাভারতের ঐ রেফারেন্সের ক্রসচেক করা সম্ভব না হলেও গীতা কিন্তু সবার কাছেই আছে, তাই আপনার দেওয়া গীতার শ্লোক দিয়েই প্রমাণ হবে যে, মহাভারতের ঔ শ্লোকের রেফারেন্স আপনি সত্য বলেছেন কি না ?

গীতার ১৫/১৫ রেফারেন্স দিয়ে আপনি বলেছেন, এখানে নাকি বলা আছে-

"চারবেদের একমাত্র জ্ঞাতব্য আমিই।আমি বেদান্তের সৃষ্টিকর্তা এবং আমিই বেদজ্ঞ।"

কিন্তু এই মন্ত্রটি হলো- "বেদৈশ্চ সর্বৈরহমেব বেদ্যো বেদান্তকৃদ বেদবিদেব চাহম" এবং এর অনুবাদ হলো- আমিই বেদসমূহের একমাত্র জ্ঞাতব্য, আমিই বেতান্তের অর্থ প্রকাশক এবং আমিই বেদবেত্তা।

এখানে কি বলা আছে যে চারবেদের একমাত্র জ্ঞাতব্য আমিই ? এখানে বলা হয়েছে বেদসমূহ। আর গীতার ৯/১৭ নং শ্লোকেই তো বলা হয়েছে বেদ তিনটি, যথা- ঋক, সাম ও যজুর্বেদ।

আপনার ধান্ধাবাজি সত্যিই মনোমুগ্ধকর।

সুতরাং উপনিষদ, বেদ, গীতা, কোনোটি দ্বারাই প্রমাণ হয় না যে বেদ চারটি, আর আমি যে প্রশ্ন তুলবো, আমার মতের বিরুদ্ধে গিয়ে সেটা আপনি কেনো, পুরো আর্য সমাজ মিলেও সমাধান করতে পারবে না।

এরপর আপনি ঋগ্বেদের ১০/১৮/২ নং মন্ত্রের রেফারেন্স দিয়ে বলেছেন, পবিত্র বেদে পরমাত্মা বলেছে...

"শুদ্ধ এবং পবিত্র হও তথা পরোপকারময় জীবনযুক্ত হও।" কিন্তু বাস্তবে এই মন্ত্রে বলা আছে- "তোমরা শুদ্ধ পবিত্র ও যজ্ঞানুষ্ঠানকারী হও।" এটা যদি পরমাত্মার বাণী হয়, তাহলে এর আগের মন্ত্রে যে বলা আছে, "আমাদের সন্তানসন্তুতি বা লোকজনকে হিংসা করো না।" এটা পরমাত্মার বাণী কিভাবে হয় ? বেদ যদি সরাসরি পরমাত্মার বাণী হয়, তাহলে বেদের সকল কথা ই তো পরমাত্মার বাণী হবে, তাই না ? তাহলে আমাকে বোঝান, "আমাদের সন্তানসন্তুতি বা লোকজনকে হিংসা করো না।" ব'লে পরমাত্মা এখানে কী বলেছেন বা কী বুঝিয়েছেন ?

এই মন্ত্রটি মৃত্যু দেবতার উদ্দেশ্যে সংকুষুক ঋষি লিখেছেন, সেখানে তিনি মানবের উদ্দেশ্যে বলেছেন, "তোমরা মৃত্যুর পথ ছেড়ে যাও, তাহলে উৎকৃষ্ট ও অতিদীর্ঘ আয়ু প্রাপ্ত হবে, তোমাদের গৃহ- সন্তানসন্ততি ও ধনে পরিপূর্ণ হবে। তোমরা শুদ্ধ পবিত্র ও যজ্ঞানুষ্ঠানকারী হও।"

মূলত সংকুষুক ঋষি এখানে- মানুষ যেন দীর্ঘায়ু হয়, তারা যেন ধন-সম্পত্তিতে এবং সন্তানে সুখী হয়, সেজন্য মানুষদেরকে উপদেশ দিয়েছেন শুদ্ধ পবিত্র ও যজ্ঞানুষ্ঠানকারী হতে। এখানে পরমাত্মার বাণীর কিছু নেই।

তাছাড়াও Devas বা সংস্কৃত 'উত দেবা' শব্দের অর্থ যে- মনস্বী বিদ্বান ব্যক্তি, মহাপুরুষ বা আচার্য, সেটা আপনি আর্য সমাজ কর্তৃক প্রকাশিত কোনো পুস্তক ছাড়া অন্য কোনো গ্রন্থ থেকে রেফারেন্স দিয়ে প্রমাণ করবেন। যদি না পারেন…। আর একটা শব্দের যে অনেকগুলো অর্থ থাকে, সেটা আমি জানি; কারণ, আমি বাংলাসাহিত্যে মাস্টার্স করা লোক। এই যেমন আপনার নাম অসীম, অসীম শব্দের একটা অর্থ কিন্তু শূন্য বা জিরো, এই হিসেবে তো আমরা ধরেই নিতে পারি যে আপনি শূন্য বা একটা খালি কলসী, যার ভেতরে কোনো মাল নেই ?

আর অথর্ববেদ সম্পর্কে আপনার নিজের ধারণাই তো ভূল, আপনি আবার আমার ধারণাকে ভুল বলেন কিভাবে ? আবার দাবী করছেন, আমার ভুল ধারণাকে ভেঙ্গে দিয়েছেন ? খালি কলসী এখন দেখছি সত্যিই বাজে বেশী।

এছাড়াও একেবারে শেষে যে বলেছেন- 

ঘোমটার নিচে খেমটা ড্যান্স না দিয়ে বোরকা খুলে বাইরে বেরোন।

এর মানেটা কী ? একটা উদাহরণ দিতে গেলেও যে প্রাসঙ্গিকভাবে দিতে হয়, সেই কমনসেন্স কি আপনার আছে ? এই যে আপনার পোস্টের জবাব আমি পোস্ট লিখে পাবলিকলি দিয়ে আপনাকে ন্যাংটা করছি, এতেই কি প্রমাণ হয় না যে- আমি ঘোমটার নিচে বা বোরকার মধ্যে নেই ?

ওঁ নমঃ শিবায়, জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ- এসব আমার সমাপ্তিসূচক শ্লোগান, যখন এসব নিজের পোস্টে ব্যবহার করা শুরু করেছেন, তখন আপনার নিয়তি কী, সেটা বুঝতে পারছেন ? থাক আর বললাম না; কারণ, যদি মরদ হন, তাহলে অর্ধেকেই বুঝে যাবেন। কারণ, কথায় বলে- অর্ধেক বললেই মর্দে বোঝে।

জয় হিন্দ।

জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।

No comments:

Post a Comment