Thursday 1 October 2020

পরিণত বয়সে বীর্যপাত- সমস্যা, না সামাধান ?

পরিণত বয়সে বীর্যপাত- সমস্যা, না সামাধান ?

সাধু-সন্ন্যাসী-ব্রহ্মচারী-মহারাজদের অকারণ বীর্যধারণের মাতামাতির বিরুদ্ধে আমি একটি প্রবন্ধে এ কথা বলেছি যে- পরিণত বয়সে প্রয়োজনে বীর্যপাত কোনো সমস্যাই নয়, বরং এটা দেহের জন্য নানাভাবে উপকারী বা বিভিন্ন সমস্যার সমাধান। আমার প্রায় সব পাঠকই বিষয়টি মেনে নিয়েছে, কিন্তু আর্য সমাজের অবাস্তব থিয়োরি দ্বারা প্রভাবিত #Anonno_Asim এর মাথায় আমার ঐ প্রবন্ধটি মনে হয় বাজ ফেলেছে, তাই সে আমার বক্তব্যের বিরুদ্ধে একটি প্রবন্ধ লিখে পোস্ট করেছে, যা ফটো আকারে আমার এই প্রবন্ধের সাথে যুক্ত করে দিয়েছি, তার বক্তব্যকে খণ্ডন করবো আমার এই প্রবন্ধে-

দিব্যজ্ঞানী #Anonno_Asim তার পোস্টের শুরুতেই বলেছে,

"পোষ্ট দাতা #Rupok_Ray ব্রহ্মচর্য বলতে কি বুঝে সেটা সে নিজেও বোধগম্য নয়। বোধগম্য হবেই বা কিভাবে যে হস্তমৈথুন নামক ভয়ানক অভ্যাসের সাফাই গাইছে সে কিভাবে সংযম নামক জিনিটা বুঝবে।"

-ব্রহ্মে বিচরণ করাই হলো ব্রহ্মচর্য, কিন্তু বর্তমানে সাধু-সন্ন্যাসী-ব্রহ্মচারী-মহারাজরা ব্রহ্মচর্য বলতে আমাদের পাবলিকের মাথায় ঢুকিয়েছে বীর্যকে ধারণ করা, যেন বীর্যকে ধারণ করে তারা জগতের বিশাল কল্যান করে ফেলবে! তাই যেহেতু তারা বীর্যকে ধারণ করে, সেহেতু তারা নিজেদেরকে ভাবে উর্ধ্ব জগতের মানুষ, তাই যারা বীর্যকে ধারণ করে না, তারা হলো বীর্যধারকদের কাছে কামিনীকাঞ্চণে বশীভূত নিম্নস্তরের খুবই সাধারণ মানুষ। আর একারণে তথাকথিত বীর্যধারক ব্রহ্মচারীদের কাছে, বিয়ে-শাদী করা, সন্তানের জন্ম দেওয়া মানুষেরা হলো ইতরশ্রেণীর মানুষ, আর ইতরশ্রেণীর মানুষের যৌনতায় জন্ম নিয়েও তারা হলো দেবতাশ্রেণীর মানুষ ! এ প্রসঙ্গে আমি শুধু একটি কথা ই বলবো- বীর্যধারণ যদি খুবই গুগরুত্বপূর্ণ হতো, তাহলে মহামুনি বেদব্যাস- ধৃতরাষ্ট্র, পাণ্ডু ও বিদুরের জন্মের জন্য নিজের বীর্য ত্যাগ করতো না, আর বৈদিক ঋষিরা বিয়ে করে সন্তানের জন্ম দিতো না। চৈতন্যদেবের অনুসারী সাধু-সন্ন্যাসী-ব্রহ্মচারী-মহারাজদের ভাব দেখলে মনে হয়, এরা এক একজন বেদব্যাসের চেয়েও বড় মুনি এবং বেদ রচয়িতা ঋষিদের চেয়েও বড় ঋষি।

যা হোক, পরিণত বয়সে প্রয়োজনে হস্তমৈথুনের মাধ্যমে বীর্যপাত যে ভয়ানক কিছু নয়, সেটা বিভিন্ন গবেষণা দ্বারা বার বার প্রমাণিত হয়েছে, এই প্রবন্ধে সেগুলোই আজ আলোচিত হবে, তার আগে হস্তমৈথুনের ইতিহাস সম্পর্কে কিছু জেনে নেওয়া যাক-

অতি প্রাচীনকাল থেকেই হস্তমৈথুন মানব সমাজের একটি অঙ্গ হয়ে আছে । পুরুষের হস্তমৈথুনের পাথরে আঁকা ছবি অনেক পাওয়া গেছে । চতুর্থ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মাল্টার একটি মন্দিরে হস্তমৈথুন রত একজন নারীর একটি পোড়ামাটির মূর্তি পাওয়া গেছে।

প্রাচীন সুমেরীয়রা হস্তমৈথুন কে যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর একটি উপায় হিসাবে চর্চা করত । পুং হস্তমৈথুন প্রাচীন মিশরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তখনকার ফারাওদের নীলনদের তীরে বছরের একটি বিশেষ সময়ে হস্তমৈথুন করা বাধ্যতামূলক ছিল ।

প্রাচীন হিন্দু গ্রন্থ কামসুত্রতেও হস্তমৈথুনের উল্লেখ আছে। প্রাচীন গ্রীকরা হস্তমৈথুনকে যৌন হতাশা থেকে মুক্তির সর্বশ্রেষ্ঠ উপায় বলে মনে করত । প্রাচীন গ্রীসে মেয়েদের হিস্টিরিয়ার চিকিৎসা হস্তমৈথুন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করা হতো । কিন্তু ১৭১৬ সালে এটাকে ভয়াবহ পাপ হিসেবে আখ্যায়িত করে লিফলেট প্রচার করা হয় এবং বলা হয় এটা করলে যৌনশক্তি লোপ, গনোরিয়া এবং মৃগী রোগ দেখা দেয় । ১৭৬০ সালে Samuel-Auguste Tissot. নামের এক ব্যক্তি একে মানবদেহের প্রতি ভয়াবহ ক্ষতিকর এবং অসংখ্য রোগ সৃষ্টিকারী হিসাবে বর্ণনা ক'রে L’Onanisme নামে একটি বই লিখে । কিন্তু এসব ভ্রান্ত ধারনার অবসান ঘটতে শুরু করে যখন ১৮৯৭ সালে H. Havelock Ellis, তার বিখ্যাত বই Studies in the Psychology of Sex নামক বই লেখেন । তারপর থেকেই মানুষ এই ভ্রান্ত ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করে।

এতক্ষণ আমি হস্তমৈথুনের যে ইতিহাস বললাম, সেটা সত্য কি না, তা প্রমাণ পাবেন নিচের এই লিঙ্কে ক্লিক করে-

http://shadhinbangla24.com/bn/news/317578?fbclid=IwAR1_XRbC6s59Z-DnxBrgGvB2fu8DyFUFI-M6mpV9axeWCRva8aMkfQxjhBc

বর্তমান সময়ে যুবসমাজের মাথায় হস্তমৈথুন ভয়াবহ রূপ নিয়ে পরিচিতি পেয়েছে হাটে বাজারে যৌনশক্তি বর্ধক ঔষধ বিক্রেতা হকারদের মাধ্যমে, যেহেতু বিবাহের পূর্ব পর্যন্ত কোনো পু্রুষ হস্তমৈথুন না করে থাকতে পারে না, আবার অনেকে দৈহিক সুখের নেশাতেও দিনের পর দিন হস্তমৈথুন করে থাকে, সেহেতু হকাররা পুরুষের এই স্বভাবকে কাজে লাগিয়ে প্রচার করে যে হস্তমৈথুন করার ফলে তারা এক সময় যৌনশক্তিহীন হয়ে পড়বে, বিয়ের পর সহবাসের মাধ্যমে স্ত্রীকে খুশি করতে পারবে না, স্ত্রী তাকে ডিভোর্স দিয়ে বাপের বাড়ি চলে যাবে, দিনের পর দিন এসব শুনতে শুনতে পুরুষেরা ভয় পেয়ে যায়, বাস্তবেও তারা দেখে হস্তমৈথুন করতে গেলে খুব তাড়াতাড়ি তাদের বীর্যপাত হয়ে যাচ্ছে, এমনকি ঘন ঘন স্বপ্নদোষ হয়েও তাদের শরীর দুর্বল হয়ে যাচ্ছে, তখন তারা ধরে নেয়ে সত্যিই হস্তমৈথুন খুব খারাপ একটি বদঅভ্যাস, তাই এতদিন যা করার করেছে, আর করবে না, এখন ঔষধ খেয়ে যৌনশক্তিকে ঠিক রাখতে হবে, যাতে বিয়ের পর স্ত্রীর কাছে লজ্জা পেতে না হয়, এই সিদ্ধান্ত থেকেই সে দ্বারস্থ হয় ঐসব হকারদের বা কোনো যৌনশক্তি বর্ধক ঔষধ বিক্রেতা কোম্পানির কাছে, আর এতেই তারা তাদের ভুল প্রচারের ফসল ঘরে তুলে নিজেদের পকেট ভরাতে পারে।

কিন্তু বিয়ের পূর্বের এই দ্রুত বীর্যপাত যে কোনো রোগ বা সমস্যা ই নয়, সেটা আপনি বুঝতে পারবেন, এই বিষয়ে কোনো শিক্ষিত ডাক্তারের সাথে কথা বলতে গেলে, তারা একবাক্যে বলবে, এটা কোনো সমস্যা ই নয়, বিয়ের পর এমনি ই সব ঠিক হয়ে যাবে, বাস্তবে ঠিক হয় ও। বিয়ের মূল উদ্দেশ্যে যেহেতু যৌনতা, তাই বিয়ের পর এটা নিয়ে সব পুরুষই এই টেনশনে থাকে যে, সে ঠিক মতো পারবে তো, আর এতেই তার দ্রুত বীর্যপাত হয়ে যায়, কিন্তু কিছুদিন যেতেই যখন যৌনতা সাধারণ বিষয় হয়ে উঠে, এটা নিয়ে আর কোনো টেনশন থাকে না, তখন আস্তে আস্তে সময় বৃদ্ধি হতে থাকে এবং এক সময় মনে হয়, তাড়াতাড়ি হয় না কেনো ? তবে এটা সম্পূর্ণ সুস্থ শরীরের জন্য প্রযোজ্য, যারা শারীরিকভাবে দুর্বল, নিয়মিত ব্যায়াম বা খেলাধুলা করে না, তারা যতই ভালো খাবার খাক, বিয়ের পর যৌনশক্তির সমস্যায় কিছু না কিছু ভুগবেই, সেক্ষেত্রে তাদের চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে। এ প্রসঙ্গে ভারতের অ্যাপেলো গ্লেনিগলস হসপিটালের বিশিষ্ট ইউরোলজিস্ট ডা. ত্রিদিবেশ মণ্ডল বলেছেন, " হস্তমৈথুন দীর্ঘকাল ধরে বিভিন্ন সমাজে একটি ক্ষতিকারক এবং অনৈতিক জিনিস হিসাবে বিবেচিত হয়। তবে এখন এটি গৃহীত হয়েছে যে এটি মোটেই সত্য নয়।"

যা হোক, প্রবন্ধের এক স্থানে #Anonno_Asim বলেছে,

"মিসেস রুপশ্রী রায়/রুপক রায় ব্রহ্মচর্য মানে সারাজিবন বিয়ে না করে থাকা না বা ব্রহ্মচারী হয়ে থাকা নয় বা আপনার কথা নুপুংস হয়ে যাওয়াও নয়। ব্রহ্মচর্য মানে একটা নির্দিষ্ট বয়স অব্দি অর্থ্যাৎ বিয়ে হবার আগ পর্যন্ত বীর্যকে ধারন করা আর সংযমের সহিত জীবন ধারন করা।"

-ওরে বলদা, আমি তো আমার সেই পোস্টের শিরোনামেই সেই কথা বলে দিয়েছি যে, পরিণত বয়সে বীর্যপাত, আমি কি আমার প্রবন্ধে অপরিণত বয়সে বীর্যপাতের পক্ষে সাফাই গেয়েছি ? যারা বুদ্ধিমান এবং জ্ঞানী, তারা কথা বুঝে কথা বলে, আপনার মতো একটু গুতা খেয়েই ছাগলের মতো লাফায় না।

এরপর #Anonno_Asim বলেছে,

"আর আপনি আপানার লিখাতে বলেছেন যুবক বয়সে হস্তমৈথুন কোন ক্ষতিকর নয় ইহা খুব উপকারি,শরিরের জন্য খুব ভাল স্বাস্থের জন্য ভাল,যুবক বয়সে হস্তমৈথুন না করলে স্বাস্থের ক্ষতি হয়,আপনি তো মিয়া দেখি বিজ্ঞনের উপরে ডক্টরেট করা।তা এই থিওরি টা কোন বিজ্ঞানির থেকে ধার করা যে যুবক বয়সে উত্তেজনা হলে হস্তমৈথুন উপাকারি.?"

-দেহে প্রবল যৌনউত্তেজনা শুরু হলে, তা প্রশমনে হস্তমৈথুন যে কোনো খারাপ বিষয় নয়, তা দেহের জন্য উপকারী ই, তা আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে নানাভাবে প্রমাণিত, এর জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানে ডক্টরেট হওয়ার দরকার নেই, আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান এবং নিজের শরীরের বাস্তবতা চিন্তা করলেও বোঝা যায়। আলোচনার সকল স্তরে এই কথাটা মনে রাখবেন যে, আমি কিন্তু বলেছি- পরিণত বয়সে প্রয়োজনে হস্তমৈথুনের কথা; হস্তমৈথুন আপনি যখনই করবেন, তখনই সুখ অনুভব করবেন, যে কারণে যুবক যুবতীরা খেয়ালের বশে হস্তমৈথুন করে থাকে, কিন্তু শারীরিক চাহিদা সৃষ্টি না হলে হস্তমৈথুন করে চুড়ান্ত সুখ যেমন আপনি কখনোই পাবেন না, তেমনি এই ধরণের চাহিদাবিহীন হস্তমৈথুনে আপনার শরীরের ক্ষতিই হবে।

প্রয়োজনে হস্তমৈথুন করলে আপনি কী ধরণের শারীরিক ও মানসিক উপকার পেতে পারেন, সেগুলো দেখে নিন নিচে-

সুস্থ থাকতে সপ্তাহে কতবার বীর্যপাত করা উচিত?

এই প্রশ্নের জবাবে পূর্বোল্লিখিত অ্যাপেলো গ্লেনিগলস হসপিটালের বিশিষ্ট ইউরোলজিস্ট ডা. ত্রিদিবেশ মণ্ডল বলেছেন, "সহবাস বা মৈথুনের মাধ্যমে প্রতিদিনই করতে পারেন। তবে সপ্তাহে একদিন করার তুলনায় যাঁরা রোজ বা সপ্তাহে তিন-চারদিন করেন তাঁদের শরীর বেশি ভাল থাকে।"

এছাড়াও প্রায় সকল বিশেষজ্ঞ বলেন যে- হস্তমৈথুন শরীর এবং স্বাস্থ্যের জন্য একটি মনোরম, উপকারী অভিজ্ঞতা। এর মাধ্যমে যে সকল উপকার পাওয়া যায়, সেগুলো হলো-

১. ক্যান্সার থেকে রক্ষা : এক্সএনইউএমএক্স- এ অস্ট্রেলিয়ায় করা একটি গবেষণা অনুসারে সপ্তাহে একাধিকবার বীর্যপাত করা পুরুষদের প্রেস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে, এই একই ধরণের কথা বলেছে, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে অবস্থিত ক্যান্সার এপিডেমিওলজি কেন্দ্র, তারা জোর দিয়ে বলেছে- ২০ থেকে ৫০ বছর বয়সী পুরুষদের ক্ষেত্রে সপ্তাহে পাঁচ বারের বেশি বীর্যপাত ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

২. শক্তি দেয় : বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের যৌনাঙ্গের পেশীসহ অন্যান্য পেশী দুর্বল হয়ে পড়ে। নিয়মিত যৌনক্রিয়া বা হস্তমৈথুন এই পেশীগুলোকে সবল রাখে। এটি ইরেক্টাইল ডিসফাংশন এবং মূত্রত্যাগের অনিয়মকে প্রতিরোধ করে। ইরেক্টাইল ডিসফাংশন হলো যৌন উত্তেজনা না আসা। অর্থাৎ আপনি যদি দীর্ঘদিন যৌনক্রিয়া না করেন, তখন দেখবেন যখন প্রয়োজনে যৌনক্রিয়া করতে চাইছেন, তখন উত্তেজনা না আসায় যৌনক্রিয়াই করতে পারছেন না। ব্যাপারটি এমন- কাজ না করে ফেলে রাখলে যেমন অস্ত্রপাতি ভোঁতা হয়ে যায়, তার ধার থাকে না বা তা কাজের উপযোগী থাকে না, তেমনি যৌনতাও, আপনি যদি রেগুলার এটার প্রয়োগ না করেন, এক সময় এটাও তার কার্যকারিতা হারাবে।

৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি : হরমোন থেরাপিস্ট জেনিফার লণ্ড বলেছেন, বীর্যপাত কর্টিসোল হরমোনের মাত্রাকে বৃদ্ধি করে, যা মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জনে সহায়তা করে।

৪. মেজাজে ফুরফুরে ভাব আনতে সাহায্য করে : বীর্যপাতে- দেহে ডোপামিন বা অক্সিটোসিনের তো নিউরো রাসায়নিক পদার্থের নিঃসরণ ঘটে, যা মানুষকে সুখী করে বা সন্তুষ্টি প্রদান করে। গ্লোরিয়া ব্র্যাম নামের এক যৌন বিজ্ঞানী বলেছেন, ডোপামিন নিঃসরণের একটা প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া হলো হস্তমৈথুন বা বীর্যপাত।

৫. মানসিক চাপ কমায় : এ প্রসঙ্গে ড. হল নামের একজন যৌনবিজ্ঞানী বলেছেন- আপনি যদি কখনো প্রচণ্ড মানসিক চাপে থাকেন, তখন হস্তমৈথুনের মাধ্যমে বীর্যপাত আপনাকে এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে পারে।

৬. ঋতুস্রাবজনিত ব্যথা কমায় : ঋতুস্রাবজনিত ব্যথায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভোগে অবিবাহিত মেয়েরা, যেহেতু তারা যৌনক্রিয়া করে না। বিবাহিত নারী, যারা রেগুলার যৌনক্রিয়া করে তারা এই সমস্যায় তেমন ভোগেই না। এসব ক্ষেত্রে যৌনক্রিয়ার সুযোগহীন নারী যদি হস্তমৈথুন মাধ্যমে তাদের আর্গাজম ঘটায়, তারা এই সমস্যাকে অনেক খানি ই কমিয়ে আনতে পারে।

৭. ভালো ঘুমে সাহায্য করে : নানা কারণে মানুষ অনিদ্রায় ভুগে থাকে, আর অনিদ্রা দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর একটি ব্যাপার। বিবাহিতরা এই অনিদ্রা থেকে খুব সহজেই মুক্তি পারে যৌনক্রিয়ার মাধ্যমে; কারণ, যৌনক্রিয়ায় পরিশ্রম হয়, শরীরের ক্যালোরি ক্ষয় হয় এবং পেশীগুলোর ব্যায়াম হয়। কিন্তু যারা সিঙ্গেল, তারা হস্তমৈথুন করেও এই একই ধরণের শারীরিক উপকার পেতে পারে।

এতক্ষণ আমি হস্তমৈথুন বা বীর্যপাতের যেসব উপকারিতার কথা বললাম, সেগুলোর সত্যাসত্যের প্রমাণ পাবেন নিচের এই লিঙ্কে-

https://www.1faydalari.com/bn/masturbasyonun-faydasi/

এছাড়াও ঘুমের মধ্যে যদি কেউ প্রচণ্ড উত্তেজনা বোধ করে এবং স্বপ্নদোষের মাধ্যমে বীর্যপাত না ঘটে, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব হস্তমৈথুনের মাধ্যে বীর্যপাত করিয়ে ফেলাই ভালো, না হলে ভালো ঘুম তো হবেই না, এর সাথে জননাঙ্গের এলাকায় ব্যথাসহ নানা ধরণের শারীরিক এবং মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

সুতরাং চিকিৎসা বিজ্ঞান মতে পরিণত বয়সে প্রয়োজনে নির্দিষ্ট পরিমাণে হস্তমৈথুন শরীরের পক্ষে ভালোই। অল্প ক্ষেত্রে শারীরিক বা মানসিক কোন ক্ষতিসাধন করে না। তবে মনে রাখতে হবে Excess is everything bad.

এডাল্ট বয়সে নারী ও পুরুষের জন্য যৌনতা একটি স্বাভাবিক বিষয়, এই বয়সে যদি তারা যৌনক্রিয়া না করে, তাহলেই নানা ধরণের শারীরিক ও মানসিক সমস্যার মুখোমুখী হয়। ২৫ এর পর কোনো নারী যদি বৈধ যৌনক্রিয়ার করার পর্যাপ্ত সুযোগ না পায়, সেই নারীর শুধু চেহারার উজ্জ্বলতা ই নষ্ট হয় না, সে নানা ধরণের শারীরিক ও মানসিক সমস্যার মুখোমুখী হয়। প্রবাসীদের স্ত্রীদের মধ্যে এই ধরণের মানসিক ও শারীরিক সমস্যা বেশি দেখা যায়। যেকোনো ডাক্তারের সাথে কথা বললেই আমার এই কথার সত্যতার প্রমাণ পাবেন। এই সমস্যা থেকে তারা মুক্তি পেতে পারেন হস্তমৈথুনের মাধ্যমে নিজেদের অর্গাজম ঘটিয়ে।

#Anonno_Asim, আপনি আপনার পোস্টে টেস্টোস্টেরন হরমোন প্রসঙ্গে বলেছেন, এটা একজন পুরুষকে পুরুষ বানায়, এই কথা আমিই প্রথম বলেছি আমার এ সম্পর্কিত আগের পোস্টে; যা হোক, এ প্রসঙ্গে আপনি টেস্টোস্টেরণ হরমোন কী, পুরুষের শরীরে এর ভূমিকা কী, এসম্পর্কে নানা কথা বলে শেষে প্রশ্ন করেছেন-এটা এমন একটি হরমোন যা দ্বারা আপনার পুরুষত্ব প্রকাশ পায় আর সেটাই যদি আপনি নষ্ট করেন তো আপনি বিয়ের পর স্ত্রী সঙ্গই করবেন কিভাবে আর সুস্থ,জ্ঞানী সন্তানই বা কিভাবে জন্ম দিবেন.?

আমার পোস্টে আমি বরাবরই কিন্তু বলেছি পরিণত বয়সে শারীরিক উত্তেজনায় বীর্যপাত করার কথা, অপরিণত বয়সে নয়, সেটা কি আপনার মাথায় ঢোকে না ?

এ প্রসঙ্গে আপনি আরো বলেছেন- হস্তমৈথুন এর জন্য তো এমনি ই নপুংসক হয়ে যাবেন।

- প্রাপ্ত বয়স্ক হলে কোনো পুরুষ যদি তার সঙ্গিনীর সঙ্গে যৌনক্রিয়া না করে বা হস্তমৈথুন না ক'রে, এই শক্তিটাকে দমন করে, তাহলে বেশ কয়েক বছর পর সে এমনিতেই যৌনক্ষমতাহীন নপুংসকে পরিণত হবে। আর এটা হবে তার যৌনশক্তিকে ব্যবহার না করার জন্য। পরিণত বয়সে বীর্যপাত, সেটা যেভাবেই হোক, মানুষের যৌনক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখে এবং মানুষকে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখে। একটা কথা মনে রাখবেন, যতদিন কোনো মানুষ যৌনজীবনে ফিট, ততদিনই সে সকল কাজে সক্ষম, কিন্তু যখনই তার যৌনজীবন শেষ হয়ে যাবে, তখনই সে বৃদ্ধ। আর মানুষের এই কর্মক্ষমতাকে ধরে রাখার একমাত্র উপায় হলো রেগুলার যেকোনো উপায়ে বীর্যপাত ঘটানো।

এরপর আপনি স্বরূপানন্দ,প্রনবানন্দ বিবেকানন্দ, রামকৃষ্ণ,চৈতন্য দেব প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেছেন - এনারা বিয়ে না করে সমাজ,দেশ,মানুষের হিতার্তে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন, এটাই তাঁদের ভুল, এজন্য তাঁদের অনুসারি কম ?

-আপনি যাদের কথা উল্লেখ করললেন, বাস্তবে, সমাজে কি এদের কোনো উপকারি ভূমিকা আছে ? চাণক্য নীতি অনুসারে পুত্রহীন পরিবারকে যেমন শূন্য বা ভ্যালুলেস বিবেচনা করা হয়, তেমনি যে ব্যক্তি সন্তানের জন্ম দেয় নি, সেও সামাজিক প্রেক্ষাপটে মূল্যহীন। আমরা হিন্দুরা নির্বোধ বলেই এদেরকে আমরা মহাপুরুষ মনে করি, এদেরকে শ্রদ্ধা বা পূজা করে নিজেদের সর্বনাশ করি। বাংলায় এত এত মহাপুরুষ, তা সত্ত্বেও বাংলার হিন্দুদের এই দুর্দশা কেনো ? কেনো বাংলার হিন্দুদেরকে ভিটে-মাটি থেকে উচ্ছেদ হয়ে দেশান্তরিত ও ধর্মান্তরিত হতে হচ্ছে ? হচ্ছে এই কারণেই যে এরা মহাপুরুষ নয়, অধমপুরুষ বা নপুংসক। সমাজে- এদের উপকারী যে ভাব, সেটা আধ্যাত্মিক, বাস্তবিক নয়। প্রণবানন্দের সংগঠন ভারত সেবাশ্রম সংঘ, হিন্দু যুবকদেরকে নিরামিষ খাইয়ে তাদেরকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হীনদুর্বল বানাচ্ছে; তাই যদি না হয়, তাহলে ভারত সেবাশ্রম সংঘের ছাত্রাবাসে থাকা কোনো যুবক কি আজ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কিছু করে হিন্দু জাতির মুখ উজ্জ্বল করতে পেরেছে ?

রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দের সংগঠন রামকৃষ্ণ মিশন তো সর্বধর্ম সমন্বয়ের নামে মাঝে মাঝে সভা করে হিন্দু যুবক যুবতীদেরকে অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে উৎসাহিত করে, এটা হিন্দুসমাজের জন্য উপকারী, না ক্ষতিকর সংগঠন ?

চৈতন্যদেবের আদর্শে এ পর্যন্ত শত শত যুবক- বিয়ে করে নি, সন্তানের জন্ম দেয় নি, তারা সংসার ত্যাগ করে বৈরাগী হয়ে ভিক্ষা করে জীবন অতিবাহিত করেছে, করছে; এদের দ্বারা সমাজের কী উপকার হয়েছে ?

ধরে নিলাম, এদের সম্পর্কে আমার যে অভিমত বা ধারণা তা ভুল, তাহলে এত সব বীর্যধারণকারী আধ্যাত্মিক শক্তিসম্পন্ন মহাপুরুষ বাংলায় থাকতে- আজকে বাংলার হিন্দুদের পায়ের তলায় মাটি নেই কেনো ? কেনো আমরা এই ভেবে শঙ্কিত হচ্ছি যে- বাংলার হিন্দুদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার ? এইভাবে চলতে থাকলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এখানে সুরক্ষিত থাকবে না, হয় তারা ইসলামে কনভার্ট হতে বাধ্য হবে, নয় তারা নিহত হবে, কেনো এই ভাবনা আমাদেরকে গ্রাস করছে ?

আমি যা বলি, তা দূরদৃষ্টিতে সঠিক কি না, তার একটি উদাহরণ দিচ্ছি, যদি আপনার মাথায় মাল থাকে, তাহলে ঠিক বুঝতে পারবেন-

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পর বাংলায় এমন কোনো হিন্দু ছিলো না যে- সে, রাধা ও কৃষ্ণের প্রেমকে স্বীকার করতো না। যদিও এ নিয়ে অনেকের মনে নানা প্রশ্ন জাগতো, কিন্তু খোলাখুলি এটার বিরোধিতা করার মতো জ্ঞান বা সাহস কারোরই ছিলো না। ২০১৬ সালে প্রথম আমি, এই যুবক শ্রীকৃষ্ণের জীবনে যুবতী রাধা বলে যে কেউ নেই, সেই মত প্রকাশ করি, আর এতে প্রায় সমস্ত হিন্দুর একটি প্রচলিত ধর্মবিশ্বাস, যা প্রায় ৮০০ বছর ধরে চালু ছিলো, তা ধ্বসে পড়ে এবং আজ পর্যন্ত কেউ আমার এই মতের বিরুদ্ধে গিয়ে আমাকে মিথ্যা প্রমাণ করতে পারে নি। 

আপনি আমাকে ফেসবুক ফণ্ডিত বলে টিটকারী মারতেই পারেন, কিন্তু তাতে আমার পাণ্ডিত্যের কোনো ক্ষতি হবে না বা কেউ আমার পাণ্ডিত্যের উপর মাস্তানিও করতে পারবে না। একটা কথা মনে রাখবেন, শ্রীকৃষ্ণের জীবদ্দশায় অখণ্ড ভারতের বেশির ভাগ লোক শ্রীকৃষ্ণকে ঈশ্বর মনে করতো না, তাতে শ্রীকৃষ্ণ যে ঈশ্বর নয়, সেটা প্রমাণ হয় নি। বরং যত সময় গড়িয়েছে শ্রীকৃষ্ণের ঐশ্বরিক মহিমার প্রকাশ ততবেশি বৃদ্ধি এবং প্রচারিত হয়েছে। একইভাব আপনিও আমার পাণ্ডিত্যকে স্বীকার করতে না পারেন, তাতে আমার পাণ্ডিত্যের প্রভাব বা মহিমা কমে যাবে না, বরং তা বাড়ছে এবং বাড়বে; কারণ, প্রকৃত সত্য আমার জ্ঞানের আধার।

এরপর অনুকূল, হরিচাঁদ বিষয়ে আপনি যে বলেছেন- "পঁচা খাবারে মাছির একটু উৎপাত বেশিই হয়।আশা করি বুঝছেন।" এর দ্বারা আপনি বাস্তবতাকে অস্বীকার করতে পারবেন না। আমি আমার ঐ পোস্টে বলেছি- সম্পূর্ণ ভ্রান্ত থিয়োরি হওয়া সত্ত্বেও শুধু একটি সঠিক কাজ, বিয়ে করা এবং সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্যই আজ অনুকূল, হরিচাঁদের রমরমা। আর আমার এই কথার দ্বারা তাদেরকে আমি সমর্থন করি নি, বাস্তবতাকে প্রকাশ করেছি মাত্র।

আর আমি যে অনুকূলকে আমার গুরুদেব মানি না, সেটা আমার পোস্ট রেগুলার পড়লে বুঝতে পারতেন। অনুকূলের সৎসঙ্গকে আমি বলি অসৎসঙ্গ, আর তার সাম্রাজ্যকে ধ্বংস করাও আমার একটি লক্ষ্য, কিন্তু এটা এত সহজে ধ্বংস করা সম্ভব হবে না, শুধু তার উত্তরাধিকারী রেখে যাওয়ার জন্যই। কারো বীর্য যখন সন্তানের জন্ম দেয়, সেটা তার শক্তিতে পরিণত হয়। অনুকূল, হরিচাঁদ সেই শক্তির চারা রোপন করে গেছে; অন্যান্য বলদের মতো নিজের আদর্শকে ধরে রাখার জন্য অন্য মানুষের বীর্যের শক্তির উপর নির্ভর করে নি। অনুকূল যে মুসলমানদের ভয়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়েছে, এটা তার ভুল আদর্শের ফলে, যে ভুল আদর্শের বিরুদ্ধেই আমার লড়াই। আপনি যদি আপনার পিতার আদর্শ সন্তান হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি আপনার পিতার শক্তি, আর আপনার মতো শক্তির জন্ম হয়েছিলো আপনার পিতার বীর্যক্ষয়ের ফলেই, কথাটা মনে রাখবেন। অনুকূল আর হরিচাঁদ বীর্যক্ষয় করেছিলো বলেই আজ তাদের অনুসারীর সংখ্যা লক্ষ লক্ষ বা কোটি কোটি, সেই তুলনায় অন্যদের অনুসারীদের সংখ্যা তো হাতে গোনা যাবে। এই তথ্যগুলো কী প্রমাণ করে, বীর্যক্ষয়ের শক্তি নাই ?

এরপর আপনি বলেছেন- "যা হোক পারলে সবাইকে হস্তমৈথুন, বীর্যক্ষয়ের ক্ষতিকারক দিক তুলে ধরে নিরুৎসাহিত করুন হস্তমৈথুন করার প্রশ্রয় নয়।"

-আমি চাই মানুষের সার্বিক কল্যান, তাই যেটা বাস্তব এবং উপকারী, সেই উপদেশই আমি মানুষকে সব সময় দিই, সেটা যারা গ্রহন করবে, নিশ্চয় তারা উপকৃত হবে; ক্ষুধা লাগলে মানুষকে যেমন খেতেই হবে, তেমনি পায়খানা চাপলে তাকে মল ত্যাগ করতেই হবে, একইভাবে উত্তেজনা প্রবল হলে তাকে তার প্রশমন করতেই হবে, সঙ্গিনী থাকলে হয় সঙ্গিনীর কাছে গিয়ে, নয়তো নিজের হাত ব্যবহার করে, এটাই বাস্তবতা; এই বাস্তবতা যে না মানবে সে হবে নপুংসক বা দিব্যজ্ঞানী, যার দ্বারা সমাজের বিন্দুমাত্র উপকার হবে না; কারণ, সে নিজেই সুস্থ নয়, এই ধরণের দু চার জন ব্যক্তির মনোরঞ্জনের জন্য আপনার মতো নির্বোধের কথা আমি শুনবো, সেটা আপনি ভাবলেন কিভাবে ? বীর্যধারণের পক্ষে তো খুব সাফাই গাইছেন, বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন যে আপনি উত্তেজনার বশে কখনো হস্তমৈথুন করেন নি ? ভণ্ড কোথাকার ?

এরপর বিবাহিত জীবনে বীর্যক্ষয়ের কথা বলতে গিয়ে মনু সংহিতার রেফারেন্স দিয়ে বলেছেন- মাসে একবার স্ত্রী সহবাস করার নিয়ম। আপনি যদিও মনুসংহিতার সব রেফারেন্স মানেন না, যেটা আপনার পছন্দ হয়, সেটা মানেন, আর যেটা পছন্দ হয় না, সেটাকে গঙ্গা জলে চুবিয়ে আনতে বলেন। যা হোক, আমি চাই আপনি বিয়ের পর মনু সংহিতার এই রেফারেন্সটা মেনে চলবেন, যাতে আপনার স্ত্রী পরপুরুষের সাথে সেক্স করার একটি যুক্তিসঙ্গত কারণ খুঁজে পায় যে, তার স্বামী তাকে প্রয়োজন মতো সময় দেয় না বা তার স্বামীর কোনো যৌনশক্তি নেই; কেননা, যার যৌনশক্তি আছে, তার পক্ষে তো স্ত্রী কাছে থাকলে সহবাসের জন্য ৩০ দিন ধৈর্য ধরা সম্ভব নয়, এটা সম্ভব একমাত্র নপুংসকদের জন্যই। তাই আমি চাই মনুর বিধান মতো আপনি ৩০ দিন পর পর যৌনমিলনে যাবেন, আর এর ফাঁকে আপনার স্ত্রী যদি আপনাকে তালাক দিয়ে বাপের বাড়ি চলে না যায়, তাহলে পরপুরুষ দ্বারা তার দেহের চাহিদা মেটাক এবং পরের বাচ্চা, আপনাকে দিয়ে মানুষ করাক; কেননা, আপনাদের মতো দিব্যজ্ঞানী এবং নপুংসকদের তো এটাই একমাত্র শাস্তি।

এ প্রসঙ্গে আরো বলেছেন- স্বামী স্ত্রীর সম্মতিতে এর অধিকবারও সহবাসের নিয়ম আছে ?

-এই অধিকবারটা কত ? বিয়ের পর একজন সক্ষম পুরুষ প্রায় প্রতিদিনই দুই তিনবার যৌনমিলন করে এবং এভাবে চলে প্রায় ২/৩ মাস, বীর্যক্ষয় যদি এতই ক্ষতির কারণ হয়, সেই সময় তো ঐ পুরুষের শেষ হয়ে যাবার কথা; কিন্তু তা হয় না, প্রায় সব ক্ষেত্রেই বিয়ের পর পুরুষেরা স্বাস্থ্যবান হয়, এটা কেনো এবং কিভাবে ? আর স্বামী স্ত্রীরা নিজের সম্মতিতে সহবাস করে, না জোর ক'রে করে ? বলদ, কথা বলাটাও শিখতে হয়।

এরপর বলেছিস- তয় বীর্যক্ষয় টা একমাত্র সন্তান জন্ম দেয়াতেই ব্যবহারের বিধান আছে।

-সন্তান জন্মদান ছাড়া যদি বীর্যক্ষয় না করা যায়, তাহলে তোর মনুসংহিতায় যে মাসে একবার স্ত্রী সহবাসের নিয়ম আছে, সেই সহবাস কিভাবে হবে ? বীর্যপাত ছাড়া তো কোনো পুরুষের সাটিসফেকশন আসবে না এবং এটা প্রমাণিত যে, যৌনক্রিয়ার সময় বীর্যপাতে যত দেরী হয়, পুরুষরা তত হিংস্র হয়ে উঠে; আর বীর্যপাত ছাড়া কোনো সক্ষম পুরুষের পক্ষে তো যৌনক্রিয়া শেষ করাও সম্ভব নয়। তাহলে বীর্যপাতহীন এই সহবাসের ধরণটা কী ? ঠিকঠাক ব্যাখ্যা দিবি, না হলে যদি তোকে কোনো দিন হাতের কাছে পাই, থাপড়িয়ে তোর দাঁত ভেঙ্গে দেবো, কথাটা মনে রাখিস।

এছাড়াও সন্তানের জন্ম ছাড়া যদি বীর্যপাতের কোনো বিধান না থাকে, তাহলে মানুষকে একটি সন্তানের জন্য শুধু মাত্র একবারই বীর্যপাত করতে হবে, সেই একবারেই যে সে তার স্ত্রীর গর্ভসঞ্চার করতে পারবে, তার গ্যারান্টি কী ? বিজ্ঞানের এত উন্নতির পরেও পৃথিবীর কোনো মানুষ তো আজ পর্যন্ত জানে না যে- মাসের মধ্যে কোন দিন নারীর ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বানু, নারীর জড়ায়ুতে এসে উপস্থিত থাকে শুক্রানুর সাথে মিলনের জন্য। তাই কোনো মানুষের পক্ষে এটা নিশ্চিত করা সম্ভব নয় যে সে একবার বীর্যপাত করেই তার স্ত্রীর গর্ভসঞ্চার করতে পারবে। একবার বীর্যপাতের ফলেই অবশ্য যেকোনো নারীর গর্ভসঞ্চার হয়, কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো মানুষ জানে না, সেই দিনটি মাসিক চক্রের কোন দিন, মানুষ একটা ধারণা নিয়ে যোনীগর্ভে বীর্যপাত করতে থাকে, বেশ কয়েকবার বীর্যপাতের ফলে হয়তো কোনো বারে সেটা লেগে যায়, কিন্তু সেটা দৈবের খেলা, মানুষের এখানে কিছু করার নেই।

আর শুধুমাত্র সন্তান জন্মদানের জন্যই যদি বীর্যক্ষয় করার বিধান থাকে, তাহলে প্রতিমাসে একবার করে স্ত্রী সহবাসের কথা বলছিস কেনো ? বীর্যপাতহীন স্ত্রী সহবাস কি সম্ভব ? আর তোর মহাপুরুষেরা কি তোর মনুর ঐ বিধান মতে মাসে একবারও বীর্যপাতহীন স্ত্রী সহবাস করতো ? বা সন্তানের জন্মের জন্যও কি তারা স্ত্রী গ্রহণ করে তার যোনীতে বীর্যপাত করেছে ?

তোর ক্ষমতাই নেই আমার এসব প্রশ্নের জবাব দেওয়ার, তাই তোর কাছে তা আশাও করি না। আর কথা প্রসঙ্গে কথা বাড়াতে আমার কোনো আপত্তি নেই; কারণ, আমি কথা বলতে জানি এবং সেটা যুক্তিযুক্তভাবেই। তুই তো আমাকে অনুরোধ করেছিস, এসব প্রচার থাকতে দূরে থাকতে, কিন্তু আমি তোকে আদেশ দিচ্ছি, আমার প্রচারের পথে এসব ভুল ভাল পোস্ট লিখে কখনো আমার সময় নষ্ট করবি না, আর সেগুলোর দ্বারা মানুষকে বিভ্রান্ত করবি না। আমার পোস্টের প্রচারকে তুই কোনোরকমেই বাধাগ্রস্ত করতে পারবি না; কারণ, সেই ক্ষমতা তোর নেই, তাই এটা নিয়ে কোনো কথা বললাম না।

জয় হিন্দ।

জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।

No comments:

Post a Comment