Friday, 16 October 2020

নকল ভগবানকে আসল মনে করা অনুকূল ভক্তদের কাছে কিছু প্রশ্ন:

নকল ভগবানকে আসল মনে করা অনুকূল ভক্তদের কাছে কিছু প্রশ্ন:

তিনি যদি পূর্ণব্রহ্ম হন, তাহলে ১৯৪৬ সালের অক্টোবর মাসে, নোয়াখালিতে মুসলমান কর্তৃক হিন্দু হত্যার পর, পূর্ববঙ্গের হিন্দুদের রক্ষার্থে কোনো স্টেপ না নিয়ে, নভেম্বর মাসে তিনি তার জন্মস্থান পাবনার আশ্রম এবং হাজার হাজার শিষ্য ও অনুরাগীদের ছেড়ে, স্থায়ী ভাবে ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে পালিয়ে গিয়েছিলেন কেনো ?

তিনি পূর্ণব্রহ্ম হলে তার পাবনার আশ্রম ১৯৭১ সালে মুসলমানরা দখল করে কিভাবে ? 

আশ্রমের সেই জমির উপর ই বর্তমানে পাবনা মেন্টাল হসপিটাল অবস্থিত।

পূর্ণব্রহ্ম কেনো এখন পর্যন্ত সেই আশ্রমের ভূমি উদ্ধার করতে তার অনুসারীদের সাহায্য করতে পারে নি ?

অনুকূল চন্দ্র বলেছে- 

“বুদ্ধ, ঈশায় বিভেদ করিস

চৈতন্য রসুল কৃষ্ণে, 

জীবোদ্ধারে হন আবির্ভাব

একই ওঁরা তাও জানিস নে ?”

-এই কথা বলে শ্রীকৃষ্ণের সাথে অন্যদেরকে সমান করে দেখে, অনুকূল, শ্রীকৃষ্ণকে ছোট করেছে কি না ?

“মেয়ের চাকরি মহাপাপ” বলে অনুকূল নারী সমাজকে ছোট করেছে কি না, যেখানে সনাতন ধর্মে নারী ও পুরুষকে সমমর্যাদা দেওয়া হয়েছে ?

এছাড়াও হিন্দু মহাসভায় যোগদান না করার প্রসঙ্গে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জিকে অনুকুল ঠাকুর বলেছিলেন-

"আমি নির্ঘাত জানি, রসুল এসেছিলেন সর্বমানবের মঙ্গলের জন্যে, সংহতির জন্যে, শান্তির জন্যে।  রসুল ও কোরাণের দোহাই দিয়ে দেশকে খণ্ডিত করার পরিকল্পনা বানচাল করে দিন। আমি তো বুঝি---- খাঁটি  হিন্দু, খাঁটি মুসলমান, খাঁটি  খ্রীষ্টান, খাঁটি বৌদ্ধ এঁদের মধ্যে কোন তফাৎ নেই। সবাই  বাঁচা- বাড়ার  পূজারী”

এটা বলে অনুকূল হিন্দুদের জন্য কোনো উপকার করেছে, না অপকার করেছে ? 

অনৃকূল ভক্তদেরকে বলছি- অনুকূল চন্দ্রকে নিয়ে প্রচার করার আগে, আগে এই সব প্রশ্নের জবাব দেবেন, না হলে ঘেউ ঘেউ করা বন্ধ করবেন; কারণ, সনাতন ধর্ম নিয়ে কাউকে আর ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না।

জয় হিন্দ।

-----------------------------

এছাড়াও কিছু নির্বোধের কাছে অনুকূল হলো পূর্ণব্রহ্ম বা ভগবান, আবার কারো কাছে কল্কি অবতার অনুকূলের শেষ জীবনের কিছু ট্রাজেডির কথা জানতে হলে পড়ুন নিচের এই লেখাটি, লিখেছেন- কুশল চক্রবর্তী, লেখাটি পড়ুন আর ভাবুন অনুকূল কোনো পূর্ণব্রহ্ম হতে পারে কি না, আর যেসব নির্বোধ তাকে পূর্ণব্রহ্ম বা অবতার ভাবে, তাদের গতি কী ? 

“এই সেদিন চট্টগ্রামের দেওয়ানজী পুকুরপাড়ের সৎসঙ্গ আশ্রম থেকে অনুকূল ঠাকুরের জীবনী এবং বাণীর অনেকগুলো বই নিলাম। এর মধ্যে "প্রেমের যমুনা কাঁদিয়া আকুল" নামক বইটি পড়ে আমি বিস্মিত হয়ে গেলাম। অনুকূল ঠাকুরের শেষ জীবনের কথা নিয়েই বইটি প্রধানত রচিত।" সে বইতে "ইতিহাসের একটি অলিখিত মসীলিপ্ত অধ্যায়" নামক অধ্যায়ে যে তথ্যগুলো তা নিচে পর্যায়ক্রমে দিচ্ছি-

১. অনুকূল ঠাকুরের শেষ সময়ে, বিশেষ করে শেষের দুইবছর তার বড় ছেলে তার হাত থেকে সকল ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে তাকে লোকচক্ষুর অন্তরালে পার্লার ভবন সংলগ্ন একটি ক্ষুদ্র প্রকোষ্ঠে (বাথরুমে) একরকম বন্ধী করেই রাখে।

২.সেই বন্ধীদশা থেকে মুক্তির জন্যে অনুকূল ঠাকুর সর্বদাই হা হুতাশ, হায় হায় করে নিজের গালে নিজেই থাপ্পড় মারতেন। বিভিন্ন রকমের আত্মপ্রলাপ বকতেন।যেমন- মা! মা!; হায় আমার একি হইল! ; আমি পাবনা যাবো- আমি পাবনা যাবো; আমি বন্ধী শাহজাহান! ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু চারদিকে ছিলো তার বড় ছেলের সতর্ক পাহারা - যাতে তার বড় ছেলের লোক ছাড়া কেউ যেন তার সাথে দেখা করতে না পারে।

৩.এই সময়ে অনুকূল ঠাকুরের তীব্র মস্তিষ্কবিকৃতি দেখা যায়! কোলকাতা থেকে বিভিন্ন মনোচিকিৎসক এসে তার নিয়মিত চিকিৎসা করতো। এই সময়ে সে প্রচণ্ড অবহেলায় বাথরুমের পাশে ছোট্ট একটা রুমে থাকতেন এবং দিবারাত্রি হা হুতাশ এবং কান্না করতেন। এবং বলতেন - " আমি বন্ধী শাহজাহান - আমাকে ignore করা হয়- insult করা - আমি সবই বুঝতে পারি!"

৪. অনুকূল ঠাকুরের মৃত্যুর সময়ের ঘটনাক্রম:

১৯৬৯ সালের ২৬ জানুয়ারি (ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস)

* সকালে ঠাকুরের ৯৮ ডিগ্রী জ্বর এবং তার সাথে কাসি।

* রাত্রি দশটার পরে পেটে বায়ু জমে এবং বুকে ব্যথা শুরু হয়ে ঘন ঘন জলের তৃষ্ণা পেতে থাকে।

* ঠাকুর ননীগোপাল মণ্ডল নামে এক ডাক্তারকে অনুরোধ করেন যেন তার সাথে থাকে এবং তার ঘরে ঘুমায়, কিন্তু ডা. ননীগোপাল সেইদিন ছিলেন না। তার ১১ টার পরে থেকে ঠাকুরের অসুস্থতা ক্রমশ বাড়তে থাকে। শুয়ে থাকলে অসুস্থতা বাড়ে, তাই উঠে বসেন। এভাবেই ক্ষণিক বসা, ক্ষণিক শোওয়া করতে করতে তিনি প্রচণ্ড অস্থির এবং দুর্বল হয়ে পরেন।

* রাত্রি ৩ টায় ঠাকুর আরো অসুস্থ হয়ে পরেন। তার প্রচণ্ড শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট দেখা দেয়। তখন ঠাকুর তার পাশে কাউকে না দেখে হঠাৎ সুধাপাণিমাকে বলেন -

" আর সবাই কোথায় গেল? তুই ছাড়া আমার কাছে আর কেউ নেই! বড় খোকা, মণি, কাজল কখন আসবে?"

* রাত্রি ৪. ২৫ মিনিটে ঠাকুরের অবস্থা প্রচণ্ডভাবে খারাপ হতে থাকায় তাকে কাজলদা ( ডাক্তার ছোট ছেলে) এসে দুটি ইনজেকশন দেয়, কিন্তু কোন কাজ হয় হচ্ছে না দেখে অক্সিজেন দিতে যান। কিন্তু দুঃখজনকভাবে দেখেন অক্সিজেন সিলিন্ডার নেই! দুইদিন আগেই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কেউ সরিয়ে রেখেছে (ছোটদাপন্থীদের সিলিন্ডার সরানো বিষয়ে বড়দার প্রতি সন্দেহ)। ঠাকুরের অবস্থা ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে দেখে কাজলদা নিজেই অক্সিজেন আনতে ছুটে গেলেন।

 * ৪. ৫০ মিনিটে অক্সিজেন আনতে দেরি করায় আর অক্সিজেন দেয়া যায়নি ; কাজলদা অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ঘরে ঢুকে অবস্থা বেগতিক দেখে, আবার ইঞ্জেকশন দিলেন, নাকের ভিতরে নল ঢুকিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস ক্রিয়া চালু করতে আপ্রাণ চেষ্টা করলেন। কিন্তু অবশেষে সকল সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থকাম করে দিয়ে ঠাকুর মৃত্যুবরণ করেন। ইতিমধ্যে বড়দা (বড় ছেলে)এসে উপস্থিত হন।

* ২৭ জানুয়ারি থেকে তার বড় ছেলের ( অমরেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী) সক্রিয় (ছোড়দাপন্থীদের ভাষায় বিতর্কিত) কার্যক্রমে অনেক দুঃখজনক, হৃদয়বিদারক ঘটনার সূত্রপাত ঘটে, যা ভাষায় প্রকাশ করায় মতো নয়! আগ্রহীরা বইটি থেকে পড়ে নিবেন। অনুকূল ঠাকুরকে যখন শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয় একটি বেঞ্চে শুইয়ে। দুইপাশে তার হাত ঝুলতে থাকে! প্রচণ্ড তাড়াহুড়া করে তার মৃতদেহ শ্মশানঘাটে নেয়া হয়। তার দেহকে যখন অগ্নিসংস্কার করা হয় তখন তার দেহ থেকে টাটকা তাজা রক্ত বের হতে থাকে। দাহকার্য বিলম্ব হচ্ছে দেখে বড়দা অধৈর্য হয়ে বারবার বলছে- " কিরে হলো?আর কত দেড়ী? "( এইসকল বিভিন্ন ঘটনায় ছোটদা পন্থীদের প্রচণ্ড সন্দেহ বড়দার প্রতি)।

*২৮ জানুয়ারির সকালবেলা তার বড় ছেলে ঠাকুরের পার্লার ঘরে বসে অনেকক্ষণ কান্নাকাটি করে," বাবা আমাকে তার খাটে বসতে বলেছেন "বলেই পরবর্তীকালে ঠাকুরের খাটে বসা সহ সকল ক্ষমতা নিজের কব্জায় নিয়ে নেন। পাশাপাশি ৫৭ সালের একটা গুপ্ত দলিলের দোহাই দিয়ে নিজেকে "সৎসঙ্গ " এর Spiritual Head and Guide ঘোষনা করে তার অন্যদুই ভাইকে প্রায় সকল কিছু থেকেই বঞ্চিত করেন। এবং সেখান থেকেই শুরু হয় সৎসঙ্গ এর বড়দাপন্থী -ছোটদাপন্থী পরস্পর বিরোধী সমান্তরাল সংগ্রাম। এর শেষ কবে হবে তা আমরা কেউ জানি না!

( এই লেখাটি আমি "প্রেমের যমুনা কাঁদিয়া আকুল" বইয়ের ৫৯ পৃষ্ঠা থেকে ৬৭ পৃষ্ঠা অনুসরণে সংক্ষেপে লিখেছি। মূলত জানার জন্যেই এই লেখাটি লেখা। আমি অনুকূলপন্থীদের কাছে বিশেষ করে বড়দাপন্থীদের কাছে এর যৌক্তিক, তথ্যপূর্ণ মতামত আশাকরছি। অনুকূল ঠাকুরের শেষজীবনের এই করুন পরিণতির কথা পড়ে মনটা বেদনায় ভারাক্রান্ত হয়ে যায় আমার। তাই এই সম্পর্কে আমি বিস্তারিত জানতে চাই।)

----------------------------

সৎসঙ্গ এবং অনুকূল সম্পর্কে আরেকজনের মন্তব্য পড়ুন  নিচের এই প্রবন্ধে-

সৎসঙ্গ বা অনুকূল ঠাকুরের শিষ্যরা ভ্রান্ত পথে আছে।কারন, ধর্মের পথ হচ্ছে গুরু ও কৃষ্ণের প্রতি অনুগত থাকা।কিন্তু এখানে সবাই অনুকূল ঠাকুরের প্রতি অনুগত, কৃষ্ণের প্রতি নয়।এর কারন হল, সৎসঙ্গের কেউ অনুকূল ঠাকুরের কাছ থেকে দীক্ষা নেইনি।নিয়েছে হাবিজাবি মানুষদের কাছ থেকে, আর নাম দিয়েছে অনুকূল ঠাকুরের। অনুকূল ঠাকুর আজ থেকে ৫০ বছর আগে দেহ ত্যাগ করেছেন।তবু এখনো তার নামে দীক্ষা দেওয়া হয়।অর্থাৎ এখন যারা সৎসঙ্গ থেকে দীক্ষা নিবে, তারা কোন দিন পরলোক গত গুরু অনুকূল ঠাকুরের কোনদিন সাক্ষাৎ পাবে না।বুঝতে পারছেন আমাদের কত বোকা বানানো হচ্ছে। গুরুর কাছে যেতে হয়, তার মুখের কথা শুনতে হয়।কিন্তু সৎসঙ্গীরা হচ্ছে দুর্ভাগা, তারা কোনদিন তাদের গুরু অনুকূল ঠাকুরকে দেখেনি, কোনদিন দেখবেও না। দীক্ষা দেওয়ার নামে এটি একটি মালটিন্যাসনাল কোম্পানি। মার্কেটিং অফিসার নামে হাজার হাজার ঋত্বিক নিয়োগ দেওয়া হয়।তারপর তাদের গ্রামে গ্রামে পাঠানো হয়,যাও যে ভাবে পারো অনুকূল ঠাকুরের নামে দীক্ষা দিয়ে এসো।এখন এই অফিসার ঋত্বিকরা তাদের চাকুরী বাঁচানোর জন্য হন্যে হয়ে গ্রামে গ্রামে, এলাকায় এলাকায় ঘুরে বেড়ায়।মাসে যদি ৫০ থেকে ১০০ টি দীক্ষা দিতে না পারে,তবে ঋতিক চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা হবে।তখন কি লজ্জা? এই ভয়ে তারা মানুষদের দীক্ষা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন।বিভিন্ন লোভ দেখান অথবা বিভিন্ন ভয় দেখান। যারা সৎসঙ্গ থেকে দীক্ষা নিয়েছেন, তারা জানেন, দীক্ষার সময় শপথ করানো হয় যে, আজ থেকে অনুকূল ঠাকুরকে প্রতিষ্ঠা করাই আমার জীবনের মূল লক্ষ্য।আপনের কি মনে হয়, এটা অনুকূল ঠাকুরের কথা? এটা অন্য কোন ব্যক্তির কথা।অনুকূল ঠাকুরের কাছ থেকে যদি দীক্ষা নিতেন, তবে আপনাকে শিখাতো,ভগবানকে প্রতিষ্ঠা করা তোমার জীবনের মূল লক্ষ্য হোক। আপনি সৎসঙ্গ মন্দিরে গিয়ে ভগবানের কোন ছবি বা বিগ্রহ পাবেন? পাবেন না। কারন এরা অনুকূল ঠাকুরকে ভগবান বানিয়ে, তাকেই আসনে বসিয়ে রেখেছে।সৎসঙ্গের ভগবান বা সৃষ্টিকর্তা হচ্ছে অনুকূল ঠাকুর।তাদের অন্য আর কোন ঈশ্বর নেই। হয়তো বা কোন একদিন বলবে আমরা হিন্দু না আমরা সৎসঙ্গী।আমাদের সৃষ্টিকর্তা ভগবান অনুকূল। আর তার মুখের বাণী পুর্ণপুথি। এই কথা গুলোর প্রমাণ চান? আমাকে দুজন ঋত্বিক বলেছিল, তুমি গলায় তুলসীর মালা কেন পড়েছো, ছিড়ে ফেল,কলিযুগে কোন তুলসীর মালা নেই।আবার আরেক জন বলেছিল, তুমি শিব মন্দিরে, কৃষ্ণ মন্দিরে কেন যাবে, আমরা সৎসঙ্গী, আমাদের অনুকূল ঠাকুর আছে। এখন এই যদি হয় তাদের মনোভাব, তাহলে ভবিষ্যতে তো আরো ব্যাপক আকার ধারন করবে। অনুকূল ঠাকুরকে আগে গুরু বলতো, তারপর যুগাবতার বলা শুরু করলো, আর এখনতো সরাসরি ভগবানই বলা হয়।আর ভবিষৎতে হয়তো বা বলবে, পরমেশ্বর ভগবান অনুকূল ঠাকুর আমাদের সকলের সৃষ্টিকর্তা, তাই আমাদের শুধু মাত্র তারই উপসনা করা উচিত, তারই শরণাগত হওয়া উচিত, অন্য আর কেউর নয়। অনুকূল ঠাকুরের বউ, ছেলে মেয়ে, নাতি,পুতি এদের সবাইকে নিয়ে একটা ভগবান পরিবার।মন্দিরে শুধু এরাই থাকবে, আর কেউ নয়।সাধারণ হিন্দু যদি কখনো সৎসঙ্গ মন্দিরে যায়, সে অবশ্যয় তখন প্রশ্ন করিবে, যে এটা কোন পরিবারের মন্দির???

বি: দ্র: উপরের কথা গুলো পড়ে, কোন নাম ধারী অনুকূল ঠাকুরের শিষ্য কষ্ট নিবেন না।আপনেরা কথা গুলো চিন্তা করেন, সব কথা সত্যি কিনা।মন্দির হওয়া উচিত ছিল, মূল আসনে থাকবে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, আর পাশে থাকবে সৎসঙ্গের প্রতিষ্ঠাতা গুরু হিসেবে অনুকূল ঠাকুর। তাহলে কত সুন্দর হতো।কিন্তু অতি পাকনা শিষ্যরা কি বানিয়ে রেখেছে।আর দীক্ষা হবে পরম্পরা ধারায়। অনুকূল ঠাকুর এখন আর সামনে নেই, তাই এখন গুরু হিসেবে অন্য কাউকে তৈরি করতে হবে। সে শিষ্যের সকল দায়িত্ব নিবে।আর ভুল প্রচার না করে, অনুকূল ঠাকুরকে ভগবান না বানিয়ে কৃষ্ণ ভক্তি প্রচার করতে হবে। অনুকূল ঠাকুরও একজন পরম কৃষ্ণ ভক্ত,তিনি সব সময় কৃষ্ণ কথাই বলতেন।

 @@ আসুন আমরা কিছু অনুকূল ঠাকুরের বাণী পড়ি।

 ১। মন ওখান থেকেই ঠিক হবে। ও তোর আধার ঘরে জ্বলবে আলো,হরে কৃষ্ণ বল। ( আলোচনা প্রসঙ্গে/২১/ পৃ.২২৮ ) ২। সমস্ত গীতার মধ্যে ঘুরে ফিরে ঐ ইষ্ট প্রাণ হওয়ার কথা, ঐ কৃষ্ণ প্রাণ হওয়ার কথা, সমস্ত মহাপুরুষদের কথা ঐ, শিক্ষাই ঐ, কাজই ঐ । ঐ টুকুর অভাবেই তো জন্ম জন্মাতরে কত কষ্ট। ভগবানকে যে বুকে বয়ে নিয়ে বেড়ায় তার আবার পরোয়া কি। ( আলোচনা প্রসঙ্গে/৬/ পৃ.২০৭ ) ৩। কৃষ্ণ ভিন্ন উপায় নাই আর সংসারে । ( পুন্যাপুথি- ১০/৮৫ ) ৪। তোদের লক্ষ্য ভগবান। (পুন্যপুথি- ১১/৩২ ) ৫। কৃষ্ণ নামে বিপদ থাকে না। বিপদ আপদ আসতে পারে না। ( পুন্যপুথি- ১২/৫৯ ) ৬। কেবল দিবি, বলবি কৃষ্ণনাম করতে, সব দূর হবে । ( পুন্যপুথি- ১২/৬১ ) ৭। যে যায়গায় নাম কীর্তন হয় না, সে যায়গা শ্মশান বলে জানবি। হরে কৃষ্ণ নামে আধিব্যাধি সব দূর হয়, মুক্তি তার করতলে । ( পুন্যপুথি-১৭/২) ৮। সেই বিবেকের আকুল আহ্বান শুনে হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ বলে ডাকায় তার সকল দুঃখ ঘুচে যায়। ( পুন্যপুথি-১৮/৩) ৯। জীব কৃষ্ণের নিত্য দাস যবে ভুলি গেলা, মায়া পিশাচী তার গলে দরি দিলা মানুষ যদি ভগবানের বাঁধনেবাঁধা না থাকে, তাহলে শয়তানের বাঁধনে বাঁধা পড়বেই যে কোন না কোন রকমে । ( আলোচনা প্রসঙ্গে,২য় খন্ড, ১২/১২/১৯৪১ ) ১০। ভগবান, ঈশ্বর, ঠাকুর বললে কেমন জানি আকাশের কেউ বা শূন্য শূন্য মনে হয়, তার থেকে কৃষ্ণ বললে নিজের বা আমার কৃষ্ণ মনে হয়। তাই ভগবান, ঈশ্বর , ঠাকুর এর চেয়ে কৃষ্ণ বললেই ভাল হয়। ( আলোচনা প্রসঙ্গে- ১৪ পৃষ্টা-৩৩) -------------------------------------------- এখন আমাদের বিবেক দিয়ে চিন্তা করা উচিত, আমরা কোন পথে আছি।আমরা কি এখন বেদ গীতা অনুসারে চলবো, নাকি নিজেদের মত বিভিন্ন মত তৈরি করে, হিন্দু জাতিকে খন্ডে খন্ডে বিভক্ত করবো।এই সমস্যা কিন্তু শুধুমাত্র সৎসঙ্গে না, রামকৃষ্ণ মিশন, মাতুয়া সংঘ এই রকম অনেকেই। এদিক দিয়ে ইসকন, গৌড়ীয় মঠ,নিম্বাক অনেকটাই ভাল, কারন তাদের মূল লক্ষ্য কৃষ্ণ। আমরা যে সংঘেই থাকি, আমাদের মূল লক্ষ্য হোক, এক ঈশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতি।

No comments:

Post a Comment