Sunday 9 August 2020

রাধা যদি কাল্পনিক হয়, তাহলে- দ্বাপর যুগে শ্রীকৃষ্ণের পাশে লক্ষ্মীর অবতার রূপে কে ছিলেন ?


রাধা যদি কাল্পনিক হয়, তাহলে- দ্বাপর যুগে শ্রীকৃষ্ণের পাশে লক্ষ্মীর অবতার রূপে কে ছিলেন ?

এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আছে শ্রীকৃষ্ণের প্রামাণ্য জীবনী হরিবংশের বিষ্ণু পর্বের অধীন ১০৮তম "কৃষ্ণাভিষেক" নামক অধ্যায়ে। বিষ্ণু পর্বের বর্ণনা এরকম- বিদর্ভ রাজের কন্যা রুক্মিণী এবং পুত্র রুক্মী। যুবরাজ রুক্মীর ইচ্ছা, তার বোন রুক্মিণীর বিয়ে সে লোক দেখানো স্বয়ংবর সভার আয়োজন করে শিশুপালের সঙ্গে দেবে। তাই স্বয়ংবর সভার আগেই রুক্মিণী শ্রীকৃষ্ণকে চিঠি লিখে তার প্রতি তার সমর্পণের কথা জানায়। এজন্য শ্রীকৃষ্ণ বিদর্ভে গিয়ে নানা কথাবার্তার এক পর্যায়ে রুক্মিণীর পিতাকে বলে-

"রাজন, অধিক কথার প্রয়োজন কী ? আপনি আমাকে কন্যাদান করুন, আর না করুন, কে আপনার নিয়ন্তা হইতেছে ? আমাকে দেউন বা দিবেন না, কিছুই বলিতে চাহি না। কিন্তু রূক্মিণীর দিব্যমূর্তিই আমার সম্বন্ধের কারণ। পূর্বে হেমকূট পর্বতে অংশাবতার কল্পনার সময় দেবগণ কহিলেন লক্ষ্মী, তুমিই প্রথমে স্বীয় ভর্তার সহিত মর্ত্যলোকে গমন করো। তথায় গিয়া কুন্ডিননগরে ভীষ্মক রাজমহিষীর গর্ভে জন্মগ্রহণ পূর্বক কেশবের জন্য প্রতীক্ষা করো। সেই নিমিত্ত আমি আপনার নিকট অকপটে সমস্ত প্রকাশ করিলাম। এক্ষণে আপনার যা বিহিত বলিয়া বোধ হয়, তাহাই করিবেন। আপনার যে কন্যা রুক্মিণী, তিনি প্রকৃত মানুষী নহেন। তিনি লক্ষ্মী। ব্রহ্মার বচন অনুসারে কোনো কারণবশত তিনি ভূলোকে জন্মগ্রহণ করিয়াছেন। তিনি নরপতিদিগের স্বয়ংবর সভার যোগ্য নহেন।"

হরিবংশের এই বর্ণনা থেকে স্পষ্ট যে রুক্মিণীই লক্ষ্মী এবং লক্ষ্মীই রুক্মিণীরূপে দ্বাপর যুগে বিষ্ণুর পূর্ণ অবতার শ্রীকৃষ্ণকে সঙ্গ দিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে পুরাণের প্রেমিকদেরকে বলছি, কোনো পুরাণ থেকে রেফারেন্স না দিয়ে, ক্ষমতা থাকলে শ্রীকৃষ্ণের প্রামাণ্য জীবনী গ্রন্থগুলো যেমন- মূল সংস্কৃত ভাগবত, হরিবংশ, মহাভারত থেকে রেফারেন্স দিয়ে দেখান যে শ্রীকৃষ্ণের জীবনে রাধা বলে কেউ ছিলো; আর যদি তা না পারেন, তাহলে দূরে গিয়ে ঘেউ ঘেউ করেন, আমার পোস্টে নয়।

ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণের বর্ণনা অনুসারে রাধা একটি নষ্টা মেয়ের চরিত্র, যে- স্বামী সংসার থাকার পরও কৃষ্ণের সঙ্গে প্রেম ও যৌনলীলা করে বেড়ায়, এরকম একটি বেশ্যা চরিত্রকে পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণের পাশে দাঁড় করিয়ে আপনারা কী প্রমাণ করতে চাচ্ছেন, কৃষ্ণ লম্পট ? সেই মিথ্যাচারের দিন শেষ হয়ে গেছে, এখন যে কৃষ্ণের পাশে রাধাকে দাঁড় করিয়ে কৃষ্ণের চরিত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে বা কৃষ্ণের চরিত্রে কালিমা লাগানোর চেষ্টা করবে, তাকে বা তাদেরকে শুধু দমন নয় কঠোর হস্তে দমন করা হবে। এখন আমি লিখে বা বলে সবাইকে প্রকৃত সত্যটা জানাচ্ছি, তারপরও যে বা যারা এই সত্যকে স্বীকার না করবে বা কৃষ্ণের পাশে রাধাকে দাঁড় করিয়ে ঝুলন যাত্রা, রাস যাত্রা মারাবে, তখন আর মুখে বলবো না, গিয়ে ঘাড়ের নিচে দুটো লাগিয়ে দেবো, সেই জন্য প্রস্তুত হচ্ছি আমি এবং আমার সংগঠন, Just wait for few years and see, রাধা নামক এই নষ্টা মেয়ের হাত থেকে কৃষ্ণকে আমি মুক্ত করবোই, শ্রীকৃষ্ণ যেন আমাকে সেই সুযোগ ও শক্তি দান করেন, সেই প্রত্যাশায় বলছি-

জয় শ্রীকৃষ্ণ।

No comments:

Post a Comment