পিরিয়ড বা ঋতুস্রাব কি অশুচি বা অপবিত্র ?
অশুচি বা অপবিত্র একটি আধ্যাত্মিক শব্দ, বাস্তবে যার কোনো ভিত্তি নেই; কারণ, কোনো কিছু অপরিষ্কার হতে পারে, যাকে পরিষ্কার করা যায়, কিন্তু কোনো কিছু যে অশুচি বা অপবিত্র, তা প্রমাণ করা যায় না, তাই তাকে বাস্তব উপায়ে শুচি বা পবিত্র করা যায় না। এই অশুচি বা অপবিত্র শব্দটিকে আধ্যাত্মিক শব্দ এজন্যই বলেছি যে- এটি সম্পূর্ণ মনের ব্যাপার, কোনো নারী যদি তার পিরিয়ডকে অশুচি মনে করে, তাহলেই সেটা অশুচি, আর কেউ যদি মনে করে এটা শুচি, তাহলেই সেটা শুচি। মানে এটা নির্ভর করছে সম্পূর্ণ মানসিক বিশ্বাসের উপর। পিরিয়ড বা ঋতুস্রাবের সাথে যেহেতু অশুচি বা অপবিত্র শব্দটা যুক্ত হয়ে আছে, সেহেতু এটাই প্রমাণ করে যে- বিষয়টি সম্পূর্ণ মনের ব্যাপার।
এখন দেখা যাক ঋতুস্রাব যে অশুচি, এই ধারণাটার উদ্ভব হলো কিভাবে ?
আমি একটা কথা প্রায় বলি যে- পৌরাণিক কাহিনীগুলি হলো পৃথিবীতে ঘটা সমস্ত ঘটনার সারসংক্ষেপ। পুরাণে দেবী দুর্গার কথা বলা হয়েছে এবং তার দশ হাতের কথা বলা হয়েছে, এটা আর কিছুই নয়, এটা আমাদের মায়েদেরই কার্যক্ষমতার প্রতিরূপ। দেবী দুর্গা যেমন তার ১০ হাত দিয়ে দশদিকের যুদ্ধকে সামলান, তেমনি আমাদের মায়েরাও তাদের দুহাত দিয়ে একটা বাড়ির যত কাজকে সামলান, সেটা ১০ হাতে কাজ করার সমান। এই প্রবন্ধের সাথে একটি ফটো যুক্ত করে দিয়েছি, যেখানে একটি মা কিভাবে তার পুরো পরিবারকে সামলায়, তা ফুটে উঠেছে, একটি ছবি যেহেতু ১০ হাজার শব্দের সমান কথা বলে, তাই এই ছবি সম্পর্কে আর বাড়তি কিছু বললাম না, ছবিটি দেখেই যে কেউ উপলব্ধি করতে পারবেন যে- প্রতিটি বাড়ির প্রতিটি মা বাস্তবে এক একজন দশভূজা দেবী দু্র্গা, যার কোন সাপ্তাহিক বা মাসিক বা বাৎসরিক ছুটি নেই, প্রতিদিন সূর্যোদয়ের পূর্বে তার কাজ শুরু হয়, আর শেষ হয় প্রায় মধ্যরাত্রে, এভাবেই চলে তার- দিন, সপ্তাহ, মাস, বছর বা সমগ্র জীবন।
কিন্তু প্রতিটি মানুষের মানসিক সুস্থতার জন্য তার রেগুলার বা প্রাত্যাহিক কাজ থেকে মাঝে মাঝে ছুটি দরকার, এজন্যই সপ্তাহে একদিন স্কুল কলেজ অফিস আদালত সবকিছু বন্ধ থাকে। এই ছুটি যদি না থাকে তাহলে মানুষ একঘেঁয়েমিতে ভুগবে, কাজে সে কোনো উৎসাহ পাবে না, এভাবে মানসিক সমস্যায় ভুগতে ভুগতে সে এক সময় আত্মহত্যাও করে ফেলতে পারে। প্রতিবছর জাপানে প্রচুর মানুষ আত্মহত্যা করে শুধু এই কারণে, কাজ থেকে ছুটি পেয়ে মানসিক রিল্যাক্স সে করতে পারে না।
মুসলমানরা মুখে যদিও বলে যে ইসলাম হলো পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান, বাস্তবে এটি একটি মহামিথ্যা। মানুষের আচরণের সমস্ত বৈশিষ্ট্য ইসলাম ব্যাখ্যা করতে পারে না, কোনো কোনো বিষয়কে ইসলাম তো সরাসরি অস্বীকার করে। যেমন মানুষের হাতের রেখার মধ্যে যে তার জীবনের সমস্ত ঘটনা লিখিত থাকে, সেটা ইসলাম স্বীকার করে না, তাহলে এখানে প্রশ্ন হচ্ছে প্রতিটি মানুষের হাতে রেখা থাকে কেনো এবং সেটা আবার সবার ক্ষেত্রেই আলাদা আলাদা কেনো ? ইসলাম এর কোনো জবাব দিতে পারে না, তাহলে ইসলাম কিভাবে পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান হয় ?
আবার শুধু মানুষ নয়, পৃথিবীতে সৃষ্ট বহু প্রাণীর মধ্যে সমকামী বৈশিষ্ট্য আছে, যেটা ইসলাম স্বীকার করে না। শুধু তাই নয়, যে সব মানুষ সমকামিতে লিপ্ত, উঁচু থেকে ফেল দিয়ে ইসলাম তাদেরকে হত্যা করতে বলে; মজার ব্যাপার হলো- যারা সমকামিদের এই মৃত্যুদণ্ড বাস্তবায়ন করে, সেই মাদ্রাসা প্রোডাক্ট জঙ্গীরা প্রত্যেকে সমকামের চর্চা করে, যখন তারা মাদ্রাসায় পড়াশোনা বা শিক্ষকতা করে। বাংলায় এমন কোনো মাদ্রাসা নেই, যার আবাসিক শিক্ষক, আবাসিক ছাত্রদেরকে বলাৎকার করে না, এই ধরণের প্রায় ৯০% ঘটনা আড়ালেই থেকে যায়, যখন তা মাত্রা ছাড়িয়ে যায়, তখনই সেটা শুধু প্রকাশ হয়ে পড়ে বা সামনে আসে, আর যখন একটি ঘটনা সামনে আসে, বুঝতে হবে এটা সাগরে ভেসে থাকা বরফ খণ্ড, যার মাত্র ১০% দেখা যাচ্ছে, বাকি ৯০% জলে ডুবে আছে, যেটা দেখা যাচ্ছে না। বেহেশতে গেলে মুসলমানরা অল্প বয়স্ক বালক বা কচি গেলমান পাবে, এই ধারণা থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে মাদ্রাসার শিক্ষকরা, যারা ইসলামকে ভালো বুঝে, তারা অল্প বয়স্ক বালকের প্রতি আকৃষ্ট হয়, কিন্তু যেহেতু তারা ছোটবেলা থেকেই সমকামিতে অভ্যস্ত, সেহেতু তারা বড় হয়েও সমকামিতে লিপ্ত, এরকম প্রচুর নিউজ পাওয়া যায়।
তো যে মুসলমানরা নিজেরাই সমকামে অভ্যস্ত, সেই মুসলমানরা আবার কোরান হাদিসের নির্দেশে অন্য সমকামিদের শাস্তি দেয় কিভাবে ? নিজে চুরি ক'রে, চুরির জন্য অন্য কাউকে কি শাস্তি দেওয়া যায়, না এ বিষয়ে কথা বলা মানায় ? সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে জীবের একটি ব্যতিক্রম বৈশিষ্ট্য হলো সমকামিতা, যা সব প্রাণীর মধ্যে নয়, কিছু কিছু প্রাণীর মধ্যে দেখা যায় এবং আল্লা যদি সবকিছুর স্রষ্টা হয়ে থাকে, তাহলে জীবের মধ্যের এই ব্যতিক্রম বৈশিষ্ট সমকামিতারও স্রষ্টা আল্লা, তাহলে সেই আল্লা, যে ঘটনার জন্য সে নিজে দায়ী, সে সমকামিদেরকে হত্যা করতে বলবে কেনো ? এতে কি প্রমান হয় যে আল্লা সবকিছুর স্রষ্টা ? আর এতেও কি প্রমাণ হয় যে ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান ?
এর বিপরীতে সনাতন ধর্ম হলো শুধু মানুষের জন্য পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান নয়, সমগ্র জগতের জন্য পূর্ণাঙ্গ বিধান; কারণ জগৎ ও জীবনের এমন কোনো প্রশ্ন নেই, এমন কোনো রহস্য নেই, যার জবাব বা সমাধান সনাতন ধর্মে নেই।
সনাতন ধর্মের এই পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধানে বিরতিহীনভাবে প্রতিটা মায়েদের কাজ এবং এ থেকে তাদেরকে কিভাবে ছুটি দেওয়া হবে, সে সম্পর্কেও ভাবা হয়েছে, যেহেতু তারা সুস্থ থাকা অবস্থায় স্বেচ্ছায় বাড়ির কোনো কাজ থেকে হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না বা ছুটি নেবে না। অুসস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে না থাকলে কোনো মা কখনো চুপচাপ বসে থাকে না, কোনো না কোনো কাজ সে করবেই। নারীর এই স্বভাবকে মাথায় রেখেই, আমাদের মুনি ঋষি বা শাস্ত্রকারগণ, মহিলাদের মাসিক বা ঋতুচক্রকে ব্যবহার করে প্রতিমাসে একবার ক'রে, যে কয়দিন তার ঋতুস্রাব চলতে থাকে, সে কয়দিন তাকে বাড়ির সমস্ত কাজ থেকে ছুটি প্রদান করার জন্য এই নির্দেশ দেয় যে- ঋতুস্রাব চলাকালীন বাড়ির সমস্ত কাজ থেকে মহিলাদের ছুটি, তাদেরকে এই কয়দিন কোনো কাজ করতে হবে না, তারা শুধু বিশ্রাম করবে, বাড়ির অন্য সদস্যরা এই কয়দিন তার সেবা যত্ন করবে। আর এটাও বাস্তব যে ঋতুচক্র চলাকালীন মহিলারা নানারকম মানসিক ও শারীরিক সমস্যায় ভোগে, তারা ব্যথা অনুভব করে, ফলে তারা ঋতুচক্রের সময় কোনো না কোনো ডিস্টার্বেন্সে থাকে, তাই এই সময় তারা যদি কোনো কাজ করে, সেটা সঠিকভাবে সম্পন্ন হবে না, তাতে কোনো না কোনো সমস্যা থাকবে, এই সবদিক বিবেচনা করে ঋতুচক্র চলাকালীন তাদেরকে সমস্ত কাজ থেকে ছুটি দিয়ে একেবারে বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং সমস্ত কাজে তাদের অংশগ্রহন নিষিদ্ধ করা হয় এবং এটা করা হয় মূলত মহিলাদের ভালোর জন্যই, যাতে তারা এই সময় তার রেগুলার কাজ থেকে ছুটি পায় এবং মাসে অন্তত একবার কয়েকদিনের জন্য ছুটি পেয়ে নিজেকে নতুনভাবে উজ্জীবিত করে পরে পরের মাসে আবার নতুন সজীবতা নিয়ে কাজ শুরু করতে পারে।
আমাদের মুনি ঋষিরা মহিলাদের জন্য এই বিধান করেছিলেন বেদের যুগে, যেটা বর্তমান থেকে প্রায় কম করে হলেও ৮/১০ হাজার বছর আগে, যখন মহিলারা বাড়ির বাইরে গিয়ে কাজ করতো না, ব্যবসা বাণিজ্য করতো না, যখন স্যানিটারী ন্যাপকিন ছিলো না, স্যানিটেশন ব্যবস্থাও এত উন্নত ছিলো না, আর ঐ সময়ে এই ধরণের শারীরিক ও মানসিক সমস্যার মোকাবেলায় ঔষধও ছিলো না, যখন সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে মহিলাদেরকে ঐ অবস্থার মোকাবেলা করতে হতো শুধু রেগুলার খাবার দাবার এবং বিশ্রামের মাধ্যমে। কিন্তু বর্তমানে সময় বদলেছে, এখন প্রচুর মহিলা বাড়ির বাইরে গিয়ে কাজ করে, ব্যবসা বাণিজ্য করে, ঐ সময়ের জন্য নিরাপদ স্যানিটারি ন্যাপকিন রয়েছে, ব্যথার জন্য ওষুধ রয়েছে, এককথায় বর্তমান সময়ে এটা মোকাবেলা করা কোনো মহিলার জন্য কোনো ব্যাপারই নয়, স্যানিটারী ন্যাপকিন এবং ঔষধের মাধ্যমে একজন মহিলা ঋতুচক্র চলাকালীন সময়ও তার সমস্ত রেগুলার কাজ করতে পারে, তাতে তার কোনো সমস্যাই হয় না, তাই যদি কোনো মহিলা মনে করে যে- ঋতুচক্র চলাকালীন সে কোনো বিশ্রাম নেবে না বা বিশ্রাম নেবার ফুরসৎ তার নেই, তার সমস্ত কাজ সে করবে, সেটা সে করতে পারে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই অবস্থায় সে পূজা পার্বন করতে পারবে কি না বা মন্দিরে যেতে পারবে কি না ?
আগে স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভালো ব্যবস্থা ছিলো না, ফলে যেকোনো সময় ব্লিডিং হয়ে ঋতুচক্র চলাকালীন কোনো মহিলার দ্বারা যেকোনো স্থান নোংরা হওয়া সম্ভাবনা ছিলো, এই বিষয়টি মনে রেখে এবং বিশ্রামের কারণে মহিলারা পূজা পার্বন করতো না বা কোনো মন্দিরে যেতো না, মহিলাদের এই মানসিক অবস্থা ই পরে প্রথা হয়ে ওঠে, এত কিছু বোঝার দরকার নেই, ঋতুচক্র চলাকালীন পূজা পার্বন করা ও মন্দিরে যাওয়া নিষেধ, ব্যস এবং এটাই চলে আসছে হাজার হাজার বছর ধরে। কিন্তু একটু আগেই বললাম, এখন সময় বদলেছে, ঔষধের দ্বারা যেমন কোনো মহিলা ঋতুচক্র চলাকালীন সময়কে খুব সহজে মোকবেলা করতে পারে, তেমনি স্যানিটারি ন্যাপকিনের দ্বারা ঋতুচক্রের ঘটনাটিকেও শুধু ম্যানেজই নয়, সেটাকে সবার চোখে আড়ালও করতে পারে, তাই পুরোনো বিধি নিষেধ এখন আর প্রযোজ্য নয়।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ঋতুচক্র চলাকালীন মন্দিরে গেলে বা পূজা পার্বন করলে কি তাতে ভগবানের কোনো সমস্যা আছে ?
এর এক কথায় উত্তর হচ্ছে- না।
এর ব্যাখ্যায় বলা যায়, পৃথিবীর সকল কিছু সৃষ্টি করেছেন ঈশ্বর, তাই নারীদেহের এই মাসিক বৈশিষ্ট্যও ঈশ্বরেরই সৃষ্টি এবং নারী দেহের এই বৈশিষ্ট্যের কারণেই নারীরা সন্তান জন্ম দিতে পারে, যার উপর টিকে রয়েছে জীব জগতের ভবিষ্যত এবং যার জন্য আমার আপনার জন্ম, তাহলে নারী দেহের এই বৈশিষ্ট্যে ভগবানের কোনো সমস্যা থাকবে কেনো ? এতে কোনো দেব-দেবী, ভগবান বা ঈশ্বরের কোনো সমস্যা নেই, সমস্যা অজ্ঞানী বা মূর্খ মানুষদের, যারা মন্দির পরিচালনা করে এবং সমস্যা সেই সব নারীদের, যারা মূল ব্যাপার না বুঝে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ভুল ধারণাকে মনে লালন করে। কোনো নারী যদি ঔষধ এবং স্যানিটারি ন্যাপকিনের মাধ্যমে ঋতুচক্র চলাকালীন সময়কে স্বাভাবিক অবস্থার মতো ম্যানেজ করতে পারে এবং সে যদি তার প্রাত্যাহিক কাজ থেকে ছুটি না চায়, তাহলে সে সব কিছু করতে পারে, সব জায়গায় যেতে পারে, এমনকি দেব-দেবীদের পূজা করতে পারে বা পাড়ার মন্দিরেও যেতে পারে, যদি সে তার কাজ থেকে ছুটি না চায় বা ঐ সময় বিশ্রাম নিতে না চায়। এটা মহিলাদের সম্পূর্ণ নিজস্ব সিদ্ধান্ত, সে মন্দিরে যাবে কি যাবে না বা পূজা পার্বন করবে কি করবে না, এতে কোনো দেব-দেবী বা ভগবানের কোনো সমস্যা নেই।
ভুল ধারণা বশত অনেক মহিলা মনে করে যে- ঋতুচক্রের সময়টা হলো অশুচি বা অপবিত্রের অবস্থা, তাই তারা মন্দির বা দেব-দেবীর থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখেন, কিন্তু যদি এটা অশুচি হয়, তাহলে তো মানুষের দেহই অশুচি, মানুষের সমগ্র জীবনটাই অশুচি, যেহেতু নারী দেহের ঐ বৈশিষ্ট্যের জন্যই মানুষের জন্ম।
ফটোপোস্ট Moutusi Riya যে মন্তব্য করেছে- পিরিয়ডে মন্দিরে ওঠা বারণ ! এবং এই প্রেক্ষাপটে সে প্রশ্ন করেছে, পিরিয়ডের রক্তে ভগবানের কি ঘেন্না লাগে ?
-আসলে এটা তার অজ্ঞানতার ফল এবং অজ্ঞানতার ফলে সৃষ্ট বিরক্তি।
পিরিয়ডে মন্দিরে ওঠা বারণ নয়, পিরিয়ডের রক্তে মন্দিরকে নোংরা করা বারণ। তার দিদিমার মতোদের সময়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন ছিলো না, তাই ১২ ঘন্টার সুরক্ষা ছিলো না, যখন তখন ব্লিডিং এ তারা তটস্থ থাকতো, তাই তারা মন্দিরে যেতো না বা বাড়ির পূজা পার্বনও করতো না, এই বিষয়টি দেখে বা শুনেই সে ভেবে নিয়েছে এই সময় বুঝি মন্দিরে ওঠা বারণ এবং তার সেই ভুল ধারণা থেকে এই প্রশ্ন তার মনে জেগেছে যে- পিরিয়ডের রক্তে কি ভগবানের ঘেন্না লাগে ?
প্রকৃতপক্ষে এটা সনাতন ধর্মীয় কালচারের সায়েন্টিফিক যুক্তিযুক্ততাকে উপলব্ধি না করার ফল।
আশা করছি- আমার এই প্রবন্ধ, মহিলাদের ঋতুচক্র চলাকালীন সময়ে মন্দিরে উঠা বা পূজা পার্বন করার বিষয়ে সনাতনীদের ভ্রান্তিকে নিরসন করবে।
জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ
No comments:
Post a Comment