হিন্দুদেরকে বলছি, কখনো কোনো মুসলমানকে বলবেন না ঈদ মোবারক :
কারণ, আপনি যদি মুসলমানদেরকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান, সেটা হবে- আমাদের পূর্বপুরুষের উপর মুসলমানরা যে হাজার বছর ধরে অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছে, হাজার হাজার মন্দির এবং বিগ্রহ ভেঙ্গেছে, কোটি কোটি হিন্দুকে খুন করেছে, কোটি কোটি হিন্দু নারীক গনিমতে মাল হিসেবে বন্দী করে ধর্ষণ করেছে, যৌনদাসী হিসেবে বাজারে বিক্রি করেছে, জোর করে তাদের গর্ভে মুসলমানের বাচ্চার জন্ম দিয়েছে- তাদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা।
যাদের এই সব ইতিহাস জানা নেই, তাদের জন্য খুব সংক্ষিপ্তভাবে মুসলমানদের হাজার বছরের দুঃশাসনের সেই ইতিহাসের কয়েকটি তুলে ধরলাম, এগুলো পড়ুন, জানুন আর বিবেচনা করুন কোনো মুসলমানকে ঈদের শুভেচ্ছা জানানো আপনার উচিত কি না ?
মুহম্মদ বিন কাশেম, ৭১১ সালে, সিন্ধু দখল করার পর, যেসব হিন্দু পুরুষ মুসলমান হতে চায় নি, তাদেরকে হত্যা করে, প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার হিন্দু নারীকে ক্রীতদাসী হিসেবে বন্দী করে বাগদাদে পাঠায় এবং সকল মন্দিরের মূর্তিকে ভেঙ্গে ফেলে সেগুলোকে মসজিদে রূপান্তরিত করে ।
১০০১ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ নভেম্বর, গজনীর সুলতান মাহমুদ, প্রথমবার ভারত আক্রমন করে প্রায় ১৫ হাজার হিন্দুকে হত্যা করে, প্রায় ৫ লক্ষ হিন্দু নর-নারীকে ক্রীতদাস হিসেবে বন্দী ক'রে কাবুলে নিয়ে গিয়ে তাদেরকে বিক্রি করে ।পরে আরো ১৭ বার ভারত আক্রমন করে গুজরাটের সোমনাথ মন্দির লুট করে এবং প্রায় ২০ লক্ষ স্বর্ণ মুদ্রা কাবুলে নিয়ে যায়, সেই সাথে মন্দিরে পাথরের মূর্তিগুলো ভেঙ্গে নিয়ে গিয়ে মসজিদের সিঁড়ি বানায়। এসব ঘটনায় কত হিন্দুর প্রাণ যে গিয়েছে এবং কত হিন্দু নারী বন্দী হয়ে যে ক্রীতদাসীর জীবন কাটাতে বাধ্য হয়েছে তার কোনো হিসেব নেই। তবে অনুমান করা হয়, সুলতান মাহমুদের হাতে প্রায় ১৫ লক্ষ হিন্দু নিহত হয়েছে এবং ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ নারী, বন্দী হয়ে যৌনদাসীত পরিণত হয়েছিলো।
১১৯৪ খ্রিষ্টাব্দে, মহম্মদ ঘোরী ও কুতুবুদ্দিন, রাজা জয়চাঁদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় এত হিন্দুকে হত্যা করে যে তাদের কাটা মাথা এক সাথে জড়ো করায় ছোট খাটো তিনটা পাহাড় হয়ে যায় এবং এতে তারা এত লুটের মাল পায় যে, সেগুলো দেখতে দেখতে তাদের চোখ ক্লান্ত হয়ে যায়। এর পর কাশিতে এই দুইজন প্রায় ১ হাজার মন্দির ধ্বংস করে।
১১৯৬ খ্রিষ্টাব্দে এই কুতুবুদ্দিন, গোয়ালিয়র দুর্গ আক্রমন করে প্রায় ১ লাখ হিন্দুকে হত্যা করে এবং সমস্ত মন্দির ধ্বংস করে সেগুলোকে মসজিদ ও মাদ্রাসায় পরিণত করে।
১১৯৭ সালে গুজরাট আক্রমন করে কুতুব প্রায় ৫০ হাজার হিন্দুকে হত্যা করে এবং ২০ হাজার হিন্দুকে দাস হিসেবে বন্দী করে; এতে তাদের হাতে এত পরিমান লুটের মাল আসে যা তারা কল্পনাও করে নি।
১২০২ সালে কুতুব কালিঞ্জর দুর্গ আক্রমন করে প্রায় ৫০ হাজার হিন্দুকে ক্রীত দাস হিসেবে বন্দী করে, সমস্ত মন্দিরকে মসজিদে পরিণত করে এবং এত হিন্দুকে হত্যা করে যে হিন্দুদের রক্তে মাটি পিচের মতো কালো হয়ে যায়।
বখতিয়ার খিলজি, ১২০৪ সালে সমস্ত বৌদ্ধকে হত্যা করে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করে।
আলাউদ্দিন খিলজি, গুজরাট আক্রমন করে রাতের বেলা ঘুম থেকে ডেকে তুলে এত হিন্দু হত্যা করেছিলো যে, হিন্দুদের রক্ত নদীর স্রোতের মতো বয়ে গিয়েছিলো। এছাড়াও এই খিলজি, সোমনাথ মন্দির আক্রমন করে শুধু টাকা পয়সাই লুটই করে নি, মূর্তি গুলো ভেঙ্গে নিয়ে গিয়ে দিল্লির জামে সমজিদের সামনে ফেলে রেখেছিলো, যাতে মুসলমানরা নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার সময় সেগুলো পায়ে মাড়িয়ে যেতে পারে।
মুহম্মদ বিন তুঘলকের প্রিয় শখ ছিলো, তার দরবারে কোনো মুসলমান, সৌজন্য সাক্ষাত করতে এলেই তাকে কিছু হিন্দু মেয়ে উপহার দেওয়া, যাতে তারা তাদের নিয়ে গিয়ে ভোগ করতে পারে। আর সভাসদরা তো হিন্দু মেয়েদের নিয়মিত উপহার পেতোই। এই হিন্দু মেয়েগুলো যে জোর করেতুলে আনা এবং এরা আমাদের ই পূর্বপুরুষের মা-বোন-মেয়ে।
ফিরোজ শাহ, জোর করে তুলে আনা হিন্দু মেয়েদের শুধু ধর্ষণ করেই মজা পেতো না, তাদের যোনী দ্বারে গরম লোহার রড ঢুকিয়ে দেওয়া, যোনী দ্বার সেলাই করে দেওয়া এবং স্তন কেটে ফেলা ছিলো তারনিত্য দিনের শখ। এই ফিরোজ শাহ ১৩৬০ সালে উড়িষ্যা আক্রমন করে পুরী শহর লুট করে, জগন্নাথ মন্দিরে সমস্ত মূর্তি ভেঙ্গে সমুদ্রে ফেলে দেয় এবং তার ভয়ে একটা দ্বীপে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার হিন্দুকে কেটে সমুদ্রে ভাসিয়ে দেয়।
তৈমুর লং, হনুমানগড় আক্রমন করে প্রায় ১০ হাজার হিন্দুকে হত্যা করে, এরপর সিরসা আক্রমন করে প্রায় ২ হাজার জাঠ হিন্দুকে হত্যা করে এবং তাদের নারী ও শিশুকে ক্রীতদাস হিসেবে বন্দী করে। এরপর দিল্লির নিকটে লোনি শহরে হিন্দু মুসলমানের একত্রে বাস হওয়ায়, মুসলমানদের বাদ দিয়ে বেছে বেছে হিন্দুদের হত্যা করে। শেষে দিল্লি আক্রমন করার পূর্বে বন্দী হওয়া প্রায় ১লক্ষ হিন্দুকে একদিনের মধ্যে হত্যা করে যমুনা নদীতে ফেলে দেয়।
বাবর, রাজপুত রাজা সংগ্রাম সিংহের সাথে যুদ্ধের সময় প্রায় ১ লক্ষ হিন্দু সৈনিক এবং আরো প্রায় ১লক্ষ সাধারণ হিন্দুকে হত্যা করে। এই বাবরই অযোধ্যার রাম মন্দির ধ্বংস করে বাবরি মসজিদ বানানোর সময় বন্দী হিন্দুদের গলা কেটে রক্ত সংগ্রহ করে সেই রক্ত, জলের পরিবর্তে চুন সুড়কির সাথে মিশিয়ে মসজিদের ইট গাঁথে।
সম্রাট আকবর, আকবর দ্য লম্পট, মীনা বাজার বসিয়ে হিন্দু মেয়েদের বেচতো এবং এই আকবরের হেরেমে যে প্রায় ৫ হাজার মেয়ে ছিলো, তারা সবাই ছিলো হিন্দু। এই আকবর চিতোর দুর্গ দখল করার সময় এত হিন্দুকে হত্যা করেছিলো যে, তাদেরকে গণনা করা সম্ভব ছিলো না, শেষে তাদের গলার পৈতা খুলে এনেগণনা করে দেখা গেলো মোট ওজন সাড়ে ৭৪ মন। কত লক্ষ হিন্দুকে হত্যা করলে তাদের পৈতার ওজন সাড়ে ৭৪ মন হতে পারে, একবার কল্পনা করুন।
নাচনেওয়ালি আনার কলির বিশ্বপ্রেমিক জাহাঙ্গীরের আমলে বিভিন্নভাবে কয়েকলক্ষ হিন্দুকে হত্যা করা হয়।
ঔরঙ্গজেব, শাজাহানের মেয়ে কাম উপপত্নী জাহানারার মসজিদের সিঁড়ির নিচে দেবতাদের ভাঙ্গা মূর্তি ফেলে রাখতো, যাতে মুসলমানরা মসজিদে যাওয়ার সময় সেগুলো পায়ে মাড়িয়ে মসজিদে উঠতে পারে। এছাড়াও ঔরঙ্গজেব, তার শাসনকালে, মোট ১৮৫ টি মন্দির ধ্বংস করে এবং পাথরের মূর্তিগুলোকে ভেঙ্গে খোয়া করে দিল্লির জামে মসজিদের ছাদ ঢালাই দেয় । এছাড়াও ঔরঙ্গজেব, শিখদের সপ্তম গুরু তেগ বাহাদুর ও তার তিন শিষ্যকে ইসলাম গ্রহন না করার জন্য নির্মমভাবে হত্যা করে, রাজা শিবাজীর পুত্রকে গ্রেফতার করার পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে এবং তার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কেটে কুকুরকে দিয়ে খাওয়ায়।
আহমেদ শাহ আবদালী, ১৭৫৭ সালে মথুরা, বৃন্দাবন ও গোকূল আক্রমন করে, সমস্ত মন্দির লুট করে, মূর্তি ভেঙ্গে ফেলে এবং এত হিন্দু হত্যা করে যে, মথুরা বৃন্দাবনের রাস্তা রক্তে লাল হয়ে গিয়েছিলো এবং রাস্তাগুলো এত পিচ্ছিল পিচ্ছিল হয়ে গিয়েছিলো যে, রাস্তা দিয়ে ঠিক মতো হাঁটা যাচ্ছিলো না, সেই সাথে লাশের দুর্গন্ধে নিঃশ্বাস নেওয়াও সম্ভব অসম্ভব হয়ে পড়েছিলো; এই বর্ণনা আবদালিরই দলে থাকা তার ইতিহাস রচয়িতার। এরপর আবদালী অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দিরে যায় এবং ১০০ গরু জবাই করে সেই রক্ত দিয়ে মন্দিরকে অপবিত্র করে।
বাংলার নবাব সিরাজদ্দৌলার অত্যাচারে কোনো হিন্দু মেয়ে নদী পুকুরে স্নান করতে যেতে পারতো না।
টিপু সুলতানের প্রধান নেশা ছিলো যেকোনো ভাবে হিন্দুদের নির্যাতন করে মুসলমান বানানো। আর তার প্রিয় খেলা ছিলো, হিন্দুরা মুসলমান হতে অস্বীকার করলে তাদের চার হাত পা চারটি হাতির পায়ে বেঁধে দিয়ে চার দিকে হাতিগুলোকে ছুটিয়ে দিয়ে হিন্দুদের দেহকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করা। এই টিপু দক্ষিণ ভারতে প্রায় ১ হাজার মন্দির ধ্বংস ক'রে মাদ্রাসা মসজিদ বানায়। এছাড়াও কেরালা ও কর্ণাটকের প্রায় সকল মুসলমান এই টিপুর দ্বারা জোর পূর্বক ইসলামে ধর্মান্তরিত।
১৯৪৬ সালে, মুসলিমরা, কলকাতায় প্রায় ২০ হাজার এবং নোয়াখালিতে প্রায় ১ হাজার হিন্দুকে হত্যা, মেয়েদের ধর্ষণ এবং নোয়াখালির প্রায় সব হিন্দুকে জোর করে মুসলমান বানিয়েছিলো।
১১০০ বছর ধরে মুসলমানর ভারতে হিন্দুদের উপর যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তাতে যে পরিমান হিন্দু নিহত ও ক্রীতদাস ও যৌনদাসীতে পরিণত হয়েছে, স্বামী বিবেকানন্দের হিসেব মতে এই সংখ্যা ৪০ কোটি; অর্থাৎ, তারা বেঁচে থাকলে এবং বংশ বৃদ্ধি করতে পারলে তারা সংখ্যায় হতো ৪০ কোটি। স্বামী বিবেকানন্দ যে সময় এই হিসেব করেছিলেন, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, সেই সময় ভারতে মুসলিম শাসনের উপর এত গবেষণা হয় নি, যেটা বর্তমানে হচ্ছে, আর বর্তমান গবেষনা অনুযায়ী আমেরিকান একজন গবেষক দেখিয়েছেন যে, ভারতে মুসলমানদের দ্বারা নিহত হিন্দুর সংখ্যা ৬০ কোটি, নিচের এই লিঙ্কে গেলে এর প্রমান পাবেন।
http://www.danielpipes.org/comments/172982
এখন আপনিই বিবেচনা করুন, যে মুসলমানরা হিন্দুদের উপর এত অত্যাচার নির্যাতন করেছে, তাদেরকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালে আপনার পূর্ব পুরুষদের রক্ত, যে রক্ত ঝরিয়েছে মুসলমানরা, তার সাথে বেঈমানী করা হবে কিনা ?
জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।
No comments:
Post a Comment