বিদ্যা সিনহা সাহা মিমের কেনো এরকম ইসলামিক মনোভাব ?
ফটোপোস্টে দেখুনন বিদ্যা সিনহা মিম, তার পরিবারে ঈদ পালন করেছে এবং একটি খাসিও কুরবানী করেছে। মিমের উত্থান বাংলাদেশের একটি সুন্দরী প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়ার মাধ্যমে। মিমের এইরকম মনোভাব সবাইকে বোঝানোর জন্য সুন্দরী প্রতিযোগিতার আড়ালের কিছু কথা আপনাদেরকে আগে বলা দরকার, তাহলে বুঝতে পারবেন মিমের সাইকোলজি, তাই শুরুতেই বাংলাদেশের সুন্দরী প্রতিযোগিতা সম্পর্কে একটা গোপন তথ্য আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করছি-
যেকোনো সুন্দরী প্রতিযোগিতার টপ টেনে যারা থাকে, বাস্তবে তারা এক একজন দামী বেশ্যা, ভদ্র ভাষায় যাদেরকে বলে কলগার্ল। খেয়াল করে দেখবেন, টপ টেনদেরকে নিয়েই ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়, যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকে দেশের যত হাইফাই লোক, যেমন- শিল্পপতি, সরকারী ক্ষমতাবান চাকুরে এবং মিডিয়ার প্রভাবশালী লোকজন। এদের সামনে টপটেনের মেয়েদেরকে প্রদর্শন করা হয়। এখানে যারা ফার্স্ট, সেকেন্ড, থার্ড হয়, তারা মিডিয়ায় একটু নাম ধাম করতে পারে, ফলে বিছানায় গেলে, এরা রেটটা একটু বেশী পায়; আর যারা টপ থ্রিতে যেতে পারে না, তারা পর্দায় কিছু করতে না পারলেও বেড এ ভালোই কামাই করে। কিভাবে এই কামাই হয়, এবার সেই বিষয়টি বলছি-
ফাইনাল অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত থাকে, তাদের মধ্যে থেকে অনেকে তো বটেই, যারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকে না, টেলিভিশনের পর্দায় যারা তাদেরকে দেখে, তাদের মধ্যেও অনেকে, সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজক কোম্পানির মালিকের সাথে যোগাযোগ করে মেয়েগুলোকে বিছানায় পাওয়ার জন্য। দরদাম ঠিক হলে ঐ আয়োজক, মেয়েদের কে বিভিন্ন জনের বিছানায় পাঠায়, বিনিময়ে যা আয় হয়, তার একটা অংশ ঐ মেয়ে পায়, এভাবেই চলে সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া টপটেনদের আয় রোজগার। এরা যতদিন বিয়ে ক'রে সংসার না করে, ততদিন এই ব্যবসা ঠিক ঠাক মতো চলে। কিন্তু যখন বিছানায় এদের চাহিদা কমে যায়, তখন মনোযোগী হয় সংসারের প্রতি এবং কাউকে বিয়ে করে সংসারে স্থিতু হয়। এদের মধ্যে থেকে টিভি বা সিনেমায় যারা নাম ডাক করতে পারে, তারা কারো সাথে বিছানায় শোওয়ার পাশাপাশি ফাঁকে ফাঁকে অভিনয়টাও চালিয়ে যায়, এতে যেমন মানুষকে দেখানো যায় কোনপথে তার আয় রোজগার হচ্ছে, তেমনি বিছানার চাহিদাটাকেও টিকিয়ে রাখা যায়।
যদি কোনো সুন্দরী বিছানার কোনো অফার পায়, আমার মনে হয় না সেটা বাদ দিয়ে সে কোনো টিভি নাটকের শ্যুটিং করবে। কারণ, টিভি নাটকের জন্য একদিনে হয়তো কোনো সুন্দরী প্রতিযোগিতা থেকে উঠে আসা অভিনেত্রী ১০ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা আয় করে, সেখানে সে যদি এক ঘন্টা কাউকে বিছানায় সময় দেয়, তার আয় মিনিমাম ১ লাখ। কোনটা তার জন্য বেটার, সারাদিন রোদে ঘেমে নেচে গেয়ে শুটিং করা, না এক ঘন্টার জন্য বিছানায় গিয়ে কাপড় খুলে শুয়ে থাকা ? তবে এটাও ঠিক পর্দার উপস্থিতি কমলে বিছানার চাহিদাও কমতে থাকে। তাই বুদ্ধিমতী মেয়েরা দুটোকেই ব্যালান্স করে চলে। বাংলাদেশের সুন্দরী প্রতিযোগিতার একজন আয়োজকের, প্রভাবশালী মহলে যে সম্মান এবং ক্ষমতা, তা জানলে অনেকেরই চোখ কপালে উঠে যাবে, এনার মূল সম্পদ উনার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনকারী টপটেনের মেয়েগুলো। যাদের মাধ্যমে সে ধনীদের পকেট কাটে এবং ক্ষমতাবানদের মাথার উপর ছুড়ি ঘোরায়।
বিদ্যা সিনহা সাহা মিম, মিডিয়া পাড়ায় যে ছোট মিম নামে পরিচিত; কারণ, তার আবির্ভাবের সময় একজন বড় মিম মিডিয়ায় কাজ করছিলো। এই ছোট মীমের কর্মকাণ্ড, যেটা ফটোপোস্টে দেখতে পাচ্ছেন, যাকে আমার অপকর্ম বলেই মনে হচ্ছে, সেটা দেখে সুন্দরী প্রতিযোগিতার আড়ালের কাহিনীগুলি মনে পড়ে গেলো, আর এটা আপনাদের সাথে এজন্য শেয়ার করলাম- সুন্দরী প্রতিযোগিতা থেকে আপনাদেরকে সতর্ক করতে, যাতে আপনার পরিবারের কোনো মেয়েকে আপনারা ঐ দিকে যেতে উৎসাহিত না করেন। কারণ, আমি চাই না কোনো হিন্দু পরিবারের মেয়ে এই ধরণের প্রতিযোগিতায় অংশ নিক এবং ভাড়াটে বেশ্যায় পরিণত হোক।
যা হোক, সবাই যে সুন্দরী প্রতিযোগিতার আড়ালের ঘটনা জেনেশুনে এই ধরণের প্রতিযোগিতা অংশ নেয়, তা নয়; প্রায় সবাই না জেনেই এই ফাঁদে পা দেয়, কিন্তু টপটেনে উঠার পর তারা আস্তে আস্তে বুঝতে পারে কোন ফাঁদে তারা পা দিয়েছে। তখন তারা চাইলেই সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না; কারণ, আয়োজক কোম্পানি তখন অলরেডি গ্রুমিং এর নামে তাদেরকে তথাকথিত "মাল" বানানোর পেছনে অনেক টাকা ইনভেস্ট করে ফেলেছে, সেই টাকা না তুলে দেওয়া পর্যন্ত কিছুতেই তাদের নিস্তার নেই। টপটেনে উঠার আগেই আস্তে আস্তে তাদেরকে মূল ব্যাপারটি বুঝিয়ে দেওয়া হয় যে আসলে তাদের কাজ কী হবে এবং কোন পথে তারা বেশি আয় করতে পারবে। এজন্য টপটেনে উঠার আগেই শারীরিক ও মানসিকভাবে তাদেরকে প্রস্তুত করা হয়, এমনকি কারা টপটেন বা টপ থ্রিতে বা নাম্বার ওয়ান হবে, সেটাও আয়োজক কোম্পানির লোকজনই ঠিক করে, বিছানায় কে কত ভালো পারফর্মেন্স করে তার ভিত্তিতে। এ ব্যাপারে কোনো মেয়ে যদি অসহযোগিতা করে অর্থাৎ আয়োজক কোম্পানির লোকজনকে খুশি না করে, তাহলে তাদেরকে সাথে সাথে ঝেড়ে ফেলা হয়। সুন্দরী প্রতিযোগিতায় তারাই টিকে থাকে, যাদের দৈহিক সৌন্দর্য থাকার পাশাপাশি, সেই সৌন্দর্যকে যারা অন্যদেরকে ভোগ করতে দেওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকে।
তাই টেলিভিশনের পর্দায় আমরা যে সুন্দরীদের সৌন্দর্য এবং উপস্থিত বুদ্ধির খেলা দেখি, সেটা শুধুই লোক দেখানো, আসলে আগে থেকেই সব কিছু সেট করা থাকে, কে প্রথম হবে, কে দ্বিতীয়, আর কে তৃতীয়। যা হোক, টপ টেন, টপ থ্রি বা টপ ওয়ান হওয়ার বাইরে কেউ যদি মিডিয়ায় নাম ডাক করতে পারে, সেটা তাদের জন্য প্লাস, কিন্তু আয়োজক কোম্পানির হয়ে তাদেরকে অন্যের বিছানায় গিয়ে কাপড় খুলতেই হবে, তাদের ইনভেস্ট শুধু নয়, বিপুল পরিমাণ লাভ তাদেরকে তুলে দিতে হবে, তার আগে কোনো সুন্দরীর নিস্তার নাই। তাই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া মানে আধুনিক যুগের যৌনদাসীতে পরিণত হওয়া, যার নিজের ইচ্ছায় সেক্স করে না, অন্যের ইচ্ছায় সেক্স করতে বাধ্য হয়।
মুসলমানরা হলো একটি যৌনকাতার এবং যৌনপাগল জাতি, এরা যে পরিমান সেক্স করে, তা অন্যদের পক্ষে ভাবাও সম্ভব নয়। একমাত্র ঔষধের দোকানদাররা বুঝতে পারে তার এলাকার কোন মুসলমান সপ্তাহে কতদিন সেক্স করে; কারণ, তারাই তো তাদের যৌনশক্তি বৃদ্ধির ঔষধের সরবরাহকারী। সুন্দরী প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিদ্যা সিনহার মতো মেয়েরা যখন মুসলমানদের এই যৌনতার ফাঁদে পড়ে এবং যখন সেটা দিনের পর দিন ধরে চলতে থাকে, তখন তাদের মন মানসিকতা আর হিন্দুদের মতো শুদ্ধ ও পবিত্র থাকে না, তারা মুসলমানদের মতোই হয়ে যায়, মুসলমানদের মতোই আচরণ করে এবং প্রায় সব ক্ষেত্রে তারা মুসলমানকে বিয়ে করে কমপ্লিটলি মুসলমান হয়ে যায়। যে কারণে জন্মসূত্রে হিন্দু হয়েও মিডিয়ায় কাজ করার কারণে হিন্দু ছেলেকে বিয়ে করে হিন্দু সমাজে থাকে নি শ্রাবন্তী দত্ত তিন্নি, অপু বিশ্বাস এবং এদের মতো আরো অনেকে।
হিন্দু পুরুষদের যেহেতু খতনা করা থাকে না, তাই হিন্দুরা এক স্ত্রীতেই সন্তুষ্ট থাকে; কারণ, তারা সেক্সের চুড়ান্ত আনন্দটা একজনের কাছে প্রতিবারই পায়। কিন্তু খতনা করার কারণে লিঙ্গের সেনসিভিটি নষ্ট হওয়ায় মুসলমান পুরুষরা কোনো এক নারীর কাছে সেই সুখ পায় না, যে সুখের মাত্রা তার মস্তিষ্কে সেট করে দেওয়া আছে, এই অতৃপ্তির কারণেই সে মনে করে অন্য কারো কাছে গেলে বোধহয় ঐ সুখ পাওয়া যাবে, কিন্তু তার কাছেও পায় না, এভাবে সে একের পর একের কাছে যেতে থাকে, কিন্তু কোথাও সে সেই সুখ পায় না, যেহেতু কাপড়ের ঘর্ষণ ঘর্ষণে তার সুখ প্রদানকারী বস্তু লিঙ্গের সেনসিভিটিই নষ্ট হয়ে গেছে। এভাবে একজন মুসলমান পুরুষ বহুগামীতে পরিণত হয়, কিন্তু হিন্দুদের এই সমস্যা নেই বলে তারা বহুগামীতে পরিণত হয় না। বিয়ের আগে কোনো কোনো হিন্দু ছেলের মধ্যে একটু এদিক ওদিক যাওয়ার স্বভাব থাকলেও বিয়ের পর তারা প্রায় কেউই ওপথে আর পা বাড়ায় না; নিজের ক্যারিয়ার, চাকরি বা ব্যবসার উন্নতির দিকেই সে বেশি মনোযোগ দেয়, তাই যৌনতার পেছনে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হিন্দুরা কখনোই করে না, যেটা করে মুসলমানরা, তাই সিনেমা বা টিভি পর্দার বা বেপর্দার সকল সুন্দরীদের আয় মূলত মুসলমানদের কাছ থেকেই হয়, যেটা ঐ মেয়েকে আস্তে আস্তে মুসলমানে পরিণত করে।
বিদ্যা সিনহা মিম, তার ফেসবুক পোস্টে বলেছে, পরিবারের মধ্যে সে স্বল্প পরিসরে ঈদ পালন করবে, এতে আমি মোটেই অবাক হই নি এই কারণে যে আমি ওর সাইকোলোজি বুঝি, শুধু সে ঈদ ই পালন করবে না, একটা খাসিও কুরবানী করবে, যার ছবি সে নিজের সাথে তুলে দিয়েছে। এই বিদ্যা সিনহা মিম যদি কোনো মুসলমানকে বিয়ে করে মুসলমান হয়ে যায়, তাতে আমি মোটেই অবাক হবো না। আবার এতেও আমি মোটেই অবাক হবো না, যদি শুনি যে অনেক আগেই সে কোনো মুসলমানকে বিয়ে করে গোপন করে রেখেছে। কারণ গোপনে বিয়ে করে মজা লুটা এবং তা গোপন রাখা নায়িকাদের একটি স্বভাব; কারণ, বিয়ের খবর ফাঁস হলে পর্দায় এদের চাহিদা যতটা কমে তার চেয়ে বেশি চাহিদা কমে অন্যের বিছানায়, তাই তারা কিছুতেই বুড়ি না হওয়া পর্যন্ত বা অপুর মতো বাচ্চা না হওয়া পর্যন্ত নিজের বিয়ের খবর প্রকাশ করে না।
আপনি যা ই ভাবুন, বাস্তবে টিভি বা সিনেমার নায়িকাদের চরিত্র বলে কিছু নেই, এরা স্বভাবগতভাবেই পতিতা, যৌনতাকে এরা কোনো বিষয়ই মনে করে না; যার সাথে মন চায়, এরা যেমন তার সাথেই শোয়, তেমনি টাকা পেলেও এরা যার তার সাথেও শোয়। তাই আমার পাঠক বন্ধুদের কাছে আমার অনুরোধ, যদি আপনারা চান যে আপনার বাড়ির মেয়েরা এগুলো না করুক, ভুলেও কখনো কাউকে সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে উৎসাহ দেবেন না বা এ ব্যাপারে কোনো হিন্দু মেয়েকে সাপোর্ট দেবেন না। বাংলাদেশের কোনো হিন্দু মেয়েকে টিভি বা সিনেমায় অভিনয় করতে দেওয়ারও কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ ওখানে পৌঁছে গেলে এরা নিজেরাই শুধু চরিত্র হারাবে না, বিদ্যা সিনহা মিম, শ্রাবন্তী দত্ত তিন্নি বা অপু বিশ্বাসের মতো হিন্দু ধর্মীয় ভাবাবেগকে নিয়ে এরা খেলবে, হিন্দুধর্ম ও সমাজকে এরা এদের কর্মকাণ্ড দ্বারা অপমান করবে এবং এই সবকিছু করার মাধ্যমে এরা হিন্দু সমাজকেও ডোবাবে।
হিন্দু মেয়েরা- সুন্দরী প্রতিযোগিতা এবং মিডিয়ার ফাঁদ থেকে রক্ষা পাক, এই কামনায় বলছি-
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।
জয় হিন্দ।
No comments:
Post a Comment