কলিযুগের অবতার কে ? ধর্মটাই বা কী ? উপাসক কে ? মূর্তি পূজা কেনো করতে হবে ?
kajol Krisna,
সনাতন ধর্মে কোনো যুগের অবতার বলে কিছু নেই, সকল অবতারের আদর্শ তার পরবর্তী সকল সময়ের জন্য প্রযোজ্য। সনাতন ধর্মে শাস্ত্র স্বীকৃত অবতারের সংখ্যা ১০, এঁরা হলেন- মৎস্য, কূর্ম, বরাহ, নৃসিংহ, বামন, পরশুরাম, রাম, বলরাম, কৃষ্ণ এবং কল্কি। ভাগবতে ২২ জন অবতারের নাম রয়েছে এবং যার মধ্যে বুদ্ধেরও নাম রয়েছে, যেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিষ্ণু, অবতার হিসেবে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন সনাতন ধর্মের রক্ষার জন্য; কিন্তু গৌতম বুদ্ধ, সম্রাট অশোকের মাধ্যমে সনাতন ধর্মকে বিলুপ্ত করার চেষ্টা করেছিলো, বিষ্ণুপুরাণে অবতার হিসেবে গৌতম বুদ্ধের তো কোনো স্বীকৃতি নেই ই, বাস্তবেও কার্যকারিতার দিক থেকে গৌতম বুদ্ধ সনাতন ধর্মের কোনো অবতারের মতোও নয়, এমনকি সে কোনো সনাতনধর্মীয় মহাপুরুষও নয়।
আবার এই যুগ অর্থাৎ কলিযুগের অবতার হিসেবে অনেকে চৈতন্যদেবকে মনে করে এবং এটা যারা মনে করে তারা শ্রীকৃষ্ণকে অবজ্ঞা করে এটা ভেবে যে শ্রীকৃষ্ণ তো দ্বাপরযুগের অবতার, কলিতে তার কোনো ভূমিকা নেই; কলিযুগের অবতার হলো চৈতন্যদেব, সুতরাং চৈতন্যের ভজনা করলেই এই যুগে মুক্তি পাওয়া যাবে। বাস্তবে এসব চুড়ান্ত মিথ্যাচার এবং বিভ্রান্তি, এই বিভ্রান্তির কবলে যে পড়বে, তার মুক্তির কোনো সম্ভাবনা নেই। চৈতন্যদেব কলিযুগের অবতার বা ভগবান কিছুই নয়, সে শ্রীকৃষ্ণের একজন উন্মাদ ভক্তমাত্র, যার বাস্তব কোনো জ্ঞানবুদ্ধিই ছিলো না, মৃগীরোগ চৈতন্যদেব মাঝে মাঝে জ্ঞান হারিয়ে ফেলতো, আর তার শিষ্যরা মনে করতো, সে ভাব সমাধিতে গিয়েছে।
অবতার প্রসঙ্গের পর আপনি প্রশ্ন করেছেন- ধর্মটাই বা কী ?
আপনি এই প্রশ্ন এজন্য করেছেন যে- আপনি ইহুদি, খ্রিষ্টান, ইসলাম, বৌদ্ধ এগুলোকেই ধর্ম বলে মনে করেন ব'লে। কিন্তু বাস্তবে এগুলো কোনো ধর্ম নয়, এগুলো ব্যক্তিগত মতবাদ মাত্র। লোহা বা জলের ধর্ম যেমন মানুষ সৃষ্টি করতে পারে না, এগুলোর ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রকৃতি নামের ঈশ্বর, তেমনি প্রকৃতিরূপ ঈশ্বরের সৃষ্টি মানুষের ধর্মও কোনো মানুষ সৃষ্টি করতে পারে না, মানুষের ধর্ম সৃষ্টি করে দিয়েছেন ঈশ্বর, যার নাম সনাতন ধর্ম বা সনাতন মানব ধর্ম। যার মূল কথা হলো- পরের স্ত্রী কন্যাকে নিজের মায়ের মতো দেখবে এবং পরের সম্পদকে মাটির ঢেলা বিবেচনা করবে- কারণ, সকল অপরাধের মূল হলো এই পরের স্ত্রী কন্যা এবং পরের সম্পদ, তাই এদুটো বিষয়ে মানুষের আগ্রহ সনাতন ধর্মে একেবারে জিরো করে দেওয়া হয়েছে এবং এই বিষয়টি যদি কেউ মেনে চলে, তাহলেই সে সমাজে মানুষ হিসেবে পরিচিত হবে, এজন্যই সনাতন ধর্মকে বলা হয় সনাতন মানব ধর্ম, যে ধর্ম বা বৈশিষ্ট্যের উপর জন্মগ্রহন করে সকল শিশু, যে কারণে মুসলমান পরিবার, যে মুসলিম পরিবারে নাচ-গান-অভিনয়-কবিতা-ছবি আঁকা সহ সকল প্রকার শিল্পের চর্চা নিষেধ, সেই মুসলিম পরিবারেও এসব প্রতিভার কোনো না কোনো একটি নিয়ে শিশুরা জন্মগ্রহন করে থাকে। তাই মানুষের ধর্ম একটাই, সেটা সনাতন ধর্ম বা সনাতন মানব ধর্ম। অনেক মুসলমান এটা বিশ্বাস করে এবং প্রচার করে যে সকল মানব সন্তান ইসলামের উপর জন্মগ্রহন করে, যদি এটা সত্য হতো, তাহলে মুসলিম পরিবারের সকল ছেলে শিশু খতনাসহ জন্মগ্রহন করতো, পরে তাদেরকে খতনা করিয়ে মুসলমান বানাতে হতো না; আবার ইসলাম যদি সত্য হতো এবং সকল মানব সন্তান যদি ইসলামের উপর জন্মগ্রহন করতো, তাহলে নারীদের চুল নিয়ে যে আল্লার এত মাথা ব্যথা, সেই আল্লা কোনো মুসলিম পরিবারে জন্ম নেওয়া মেয়ে শিশুর মাথায় চুল সৃষ্টি করতো না।
যা হোক, এরপর আপনার প্রশ্ন হচ্ছে- উপাসক কে ?
পৃথিবীতে ধর্ম যেহেতু একটাই, সেটা হলো সনাতন, তাই সনাতন ধর্ম নির্দেশিত ঈশ্বরই যে উপাসক হবেন, তাতে তো কোনো প্রশ্ন বা সন্দেহ নেই। নিরাকার হিসেবে এই উপাসক হলেন পরমব্রহ্ম বা ব্রহ্ম, যার সাকার রূপ হলেন বিষ্ণু এবং যার অবতারিত রূপ হলেন শ্রীকৃষ্ণ। সনাতন ধর্মে নির্দেশিত দেব-দেবীরা হলেন ঈশ্বরের বিভিন্ন শক্তির প্রকাশ, তাই তাঁরাও উপাস্য, কিন্তু তারা সবার উপাস্য নাও হতে পারেন। এই বিষয়টি বোঝানোর জন্য নিচের উদাহরণটির আশ্রয় নিচ্ছি-
আমরা জানি দেশের সর্বোচ্চ বা সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হলেন প্রধানমন্ত্রী, বিভিন্ন কারণে এই প্রধান মন্ত্রীর সাক্ষাৎ যে কেউ, যখন তখন পেতে পারে না। কিন্তু এমন কিছু ব্যক্তি আছে, যারা তাদের জ্ঞান ও কার্য অর্থাৎ ক্ষমতায় প্রধানমন্ত্রীর সাথে তারা যখন তখন অর্থাৎ চাইলেও দেখা সাক্ষাৎ করতে পারেন। যারা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে পারে না, তারা যদি দেখা করতে চায়, তাহলে সেই দেখা করার উপুযক্ত কারণ সৃষ্টির পর তাকে প্রথমে নিজ এলাকার পাতি নেতাদেরকে ধরতে হবে, পাতি নেতা গিয়ে ধরবে নেতাকে, নেতা ধরবে এম.পিকে, এমপি যদি মন্ত্রী না হয়, তাহলে এমপি গিয়ে ধরবে মন্ত্রীকে, সেই মন্ত্রী যদি কোনো সিনিয়র মন্ত্রী না হয়, তাহলে সেই মন্ত্রী গিয়ে ধরবে কোনো সিনিয়র মন্ত্রীকে এবং সেই সিনিয়র মন্ত্রী যদি চায়, তাহলে সে তার সাথে প্রধানমন্ত্রীর দেখা করিয়ে দিলেও দিতে পারে।
যার সরাসরি দেখা করার ক্ষমতা নেই, তাকে এই ভাবে ঘুর পথে বিভিন্ন জনকে সন্তুষ্ট করে এবং তাদের দ্বারস্থ হয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার যোগ্যতা অর্জন করতে হয়, কিন্তু যার সেই ক্ষমতা আছে, তাকে কারও কাছে যেতে হয় না, কারো দ্বারস্থও হতে হয় না, সে চাইলেই প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পেতে পারে। এই একইভাবে যে ব্যক্তি তার জ্ঞান দ্বারা পরমব্রহ্মকে জেনে গেছে, তার আর কোনো দেব-দেবীর দ্বারস্থ অর্থাৎ তাদের পূজা করে তাদেরকে সন্তুষ্ট করার প্রয়োজন নেই, কিন্তু যে ব্যক্তি সেই জ্ঞান অর্জন করতে পারে নি, তাকে তার পছন্দ মতো বিভিন্ন দেব-দেবীর দ্বারস্থ বা শরণ নিয়ে, তাদের পূজা করে, তাদেরকে সন্তুষ্ট করে, পরমব্রহ্মের কাছে পৌঁছার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে, দেব-দেবীদের প্রতি ভক্তিহেতু যখন আপনি একনিষ্ঠ মনে তাদের পূজা প্রার্থনা করবেন, তখন ঈশ্বর আপনার মনে সেই জ্ঞানের সঞ্চার করে দেবেন, যে জ্ঞান দ্বারা আপনি ঈশ্বরকে জানতে বা বুঝতে পারবেন।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে ঈশ্বরকে কেনো আপনার জানতে বা বুঝতে হবে ?
ইসলাম, খ্রিষ্টান, ইহুদি মতবাদে পুনর্জন্ম নেই; এরা বিশ্বাস করে যেকোনো জীবের জন্ম একবারই এবং মৃত্যু হলেই তার জীবন শেষ; তাই যদি হয়, তাহলে ঈশ্বর হবে পক্ষপাতদুষ্ট, তিনি ন্যায় বিচারক হবেন না। কারণ, এই সব মতবাদ অনুসারে আল্লা একই সময়ে সকল রূহ বা আত্মাকে সৃষ্টি করে কোথাও রেখেছে এবং পর্যায়ক্রমে সেগুলোকে পৃথিবীকে পাঠাচ্ছে। এখন কোনো একটি আত্মাকে আল্লা হয়তো মানুষ হিসেবে সৃষ্টি করলো, সে কিন্তু তার জ্ঞান-বুদ্ধি দ্বারা জগতের অন্যান্য সকল প্রাণীর উপর প্রভূত্ব করার সুযোগ পেলো, সে ইচ্ছেমতো পশু পাখী জাতীয় প্রাণীদেরকে হত্যা করে তাদের মাংস খেলো এবং তাদের উপর নির্যাতন করলো, নিম্নশ্রেণীর বুদ্ধির প্রাণী হিসেবে জন্ম নেওয়ায়, তারা কিন্তু এর কোনো প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ কিছুই করতে পারলো না। অন্যদিকে বুদ্ধিমান প্রাণী হিসেবে জন্ম নেওয়ায় মানুষ এসব অপরাধ করেও পার পেয়ে গেলো। অথচ ঐ সব মতবাদ অনুসারে আল্লা কিন্তু একই সময়ে সকল আত্মাকে সৃষ্টি করেছিলো, এবং যারা সবাই শুধু নির্দোষই ছিলো না, ছিলো সমজাতীয়ও, তাহলে কিছু আত্মা কেনো সকল প্রকার ইতর শ্রেণীর প্রাণী হয়ে কষ্ট ভোগ করলো, মানুষের নিষ্ঠুরতাকে সহ্য করতে বাধ্য হলো এবং কিছু আত্মা কেনো মানুষ হিসেবে জন্ম নিয়ে সকল প্রকার সুখ ভোগ করলো ? ইতর শ্রেণীর প্রাণীর মানুষের তুলনার কথা বাদ দিলেও, শুধু মানুষ হিসেবে জন্ম নেওয়া আত্মাদের মধ্যে কেউ বিলগেটস (ধনী), কেউ ট্রাম্প, পুতিন, মোদী (ক্ষমতাবান) কেউ ঐশ্বরিয়া ( জনপ্রিয় ও সুন্দরী), কেউ অক্ষয়, অমিতাভ (জনপ্রিয়), আবার কেউ বস্তিতে জন্ম নেওয়া ক্ষুধার জ্বালায় কষ্ট পাওয়া মানুষ, কেউ কালো কুতসিত, কেউ মানসিক বা শারীরিক প্রতিবন্ধী, একই ধরণের আত্মা থেকে জন্ম নেওয়া মানুষদের মধ্যের এই বৈষম্য কি আত্মাদের সাথে আল্লার অবিচার নয় ?
এর বিপরীতে সনাতন ধর্মের ঈশ্বর গীতায় বলেছেন- কেউ তার কাছে প্রিয় নয়, কেউ অপ্রিয় নয়, যে যেমন কর্ম করে, তাকে তিনি তেমনই ফল দেন এবং এই কর্ম ও ফলদানের প্রক্রিয়াটি চলতে থাকে জন্ম জন্মান্তর ধরে। জীবন হলো আত্মার ভ্রমণ এবং এই যেকোনো আত্মার ক্ষেত্রে এই ভ্রমণ শুরু হয় ইতর শ্রেণী জীব দিয়ে, এভাবে ৮০ লক্ষবার বিভিন্ন নিন্মস্তরের জীব হিসেবে জন্ম নিয়ে তাদের সকল প্রকার সুখ দুঃখ ভোগ করার পর কোনো আত্মার মানুষ হিসেবে জন্ম হয়; তাই কোনো আত্মার যেমন হঠাৎ করেই হাতি, বাঘ, সিংহের মতো মর্যাদা সম্পন্ন প্রাণী হিসেবে জন্ম হয় না, বহু বহু জন্মের সে অমন দেহ পায়; তেমনি কোনো আত্মার এক জন্মেই ধনী, জ্ঞানী, ক্ষমতাবান, সুন্দরী মানুষ হিসেবে জন্ম হয় না, তাকেও বহু জন্ম ধরে ভালো কাজ করে সেই ধন, জ্ঞান ও ক্ষমতাকে ভোগ করার উপযোগী হতে হয়, তারপর তার সেই রকম পরিবারে, সেই রকম জ্ঞান ও সেই রকম সৌন্দর্য নিয়ে তার জন্ম হয়।
ইসলামের আল্লা যেমন একটা- স্বেচ্ছাচারী, স্বৈরাচার; যার তার সাথে সে তার খেয়াল খুশি মতো যা তা করতে পারে, সেখানে কোনো নিয়ম নীতি নেই, কিন্তু সনাতন ধর্মের ঈশ্বর এমন স্বেচ্ছাচারী, স্বৈরাচার নয়; তিনি নিয়মের বাইরে কিছুই করেন না, যে যা প্রাপ্য তার বাইরে কাউকে কোনো কর্মফল দেন না এবং ফাইনালি সনাতন ধর্মে বলে দেওয়া হয়েছে, কোনো মানুষ জন্ম মৃত্যুর এই চক্র থেকে মুক্তি পাবে তখনই, যখনই সে ঈশ্বরকে জানতে ও বুঝতে পারবে এবং পরিশেষে তাঁকে লাভ করতে পারবে। ঈশ্বরকে মানুষ জানতে ও বুঝতে পারে তখনই, যখন সে ঈশ্বরের বিভিন্ন শক্তির প্রকাশ দেব-দেবীদের প্রতি শ্রদ্ধাবান হয় এবং তাদের উদ্দেশ্যে পূজা প্রার্থনা করে।
সনাতন ধর্মে বলা হয়েছে- 'শ্রদ্ধাবান লভতে জ্ঞানম', এটা যেমন বাস্তব, তেমনি আধ্যাত্মিক। বাস্তবে গুরুর প্রতি শ্রদ্ধাবান হলে তিনি যেমন শিষ্যকে জ্ঞানদান করেন, তেমনি কেউ যদি দেব-দেবীদের প্রতি শ্রদ্ধাবান হয়, ঈশ্বর তার মধ্যে ঈশ্বরকে বোঝার মতো জ্ঞান দান করেন, সেই জ্ঞানে তিনি ঈশ্বরকে বুঝতে পারেন, ঈশ্বরকে জানতে পারেন এবং এভাবে একপর্যায়ে তিনি ঈশ্বরকে লাভ করে জন্ম মৃত্যুর এই চক্র থেকে মুক্তি পেয়ে নিত্য সুখের স্থান দিব্যলোকে গমন করেন। এই আধ্যাত্মিক তত্ত্বগুলো বোঝার ক্ষমতা যেহেতু মানুষ ছাড়া অন্যান্য প্রাণীর নেই, সেহেতু মানব জন্মকে দুর্লভ মানব জন্ম বলা হয় একারণে যে বহু প্রতীক্ষার পর এই মানব জন্ম পাওয়া যায়, যে জন্মে এই আধ্যাত্মিক জ্ঞানকে বোঝা সম্ভব হয়। আত্মার ভ্রমণ শুরু হয় ইতর শ্রেণীর জীব দিয়ে এবং ভ্রমণ সমাপ্ত হয় মানুষ হিসেবে জন্ম নেওয়ার পর ঈশ্বরকে লাভ করে নিত্য সুখের স্থান দিব্যলোকে গমন করে। অন্যান্য প্রাণীর যেহেতু এগুলো বোঝার ক্ষমতা নেই, তাই মানুষ হিসেবে জন্ম নেওয়ার পর মানুষের কর্তব্য হচ্ছে ঈশ্বরকে জানা, বোঝা এবং তাঁকে লাভ করা, এই প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হলো ঈশ্বরের বিভিন্ন শক্তির প্রকাশ দেব-দেবীদের নিকট আত্মসমর্পণ, তাদের পূজা প্রার্থনা করা।
আশা করছি- উপাসক কে ? এই প্রশ্নের আলোচনায় মূর্তিপূজা করতে হবে কি হবে না, বা কাদের জন্য মূর্তিপূজা প্রযোজ্য বা কাদের জন্য নয়, সেই বিষয়টিও আপনার কাছে ক্লিয়ার করতে পেরেছি।
জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।
No comments:
Post a Comment