Saturday, 23 May 2020

পৌরাণিক শিবলিঙ্গে আশ্রয় নেওয়া আর্য সমাজী


পৌরাণিক শিবলিঙ্গে আশ্রয় নেওয়া আর্য সমাজী

#ওঁ_সত্যার্থ_প্রকাশকে বলিতেছি-

গীতার ৩/১৫ নং শ্লোকটা পড়িলাম, সেখানে দেখিতে পাইলাম, লিখা রয়েছে,

"বেদ পরমব্রহ্ম হতে প্রকাশিত হয়েছে"।

তাহাতে কী প্রমান হইলো, আর আপনি কী বুঝাইতে চাহিলেন ?

শ্রীকৃষ্ণই যে পরমব্রহ্ম, তাহাতে কী আপনার কোনো সন্দেহ রহিয়াছে ? শ্রীকৃ্ষ্ণই যে পরমব্রহ্ম বা ব্রহ্ম, ইহাতে যদি আপনার কোনো সন্দেহ থাকিয়া থাকে, তাহা হইলে দেখিয়া নিন গীতার ১৪/২৭ নং শ্লোক-

“ব্রহ্মণো হি প্রতিষ্ঠাহমমৃতস্যাব্যয়স্য চ।
শাশ্বতস্য চ ধর্মস্য সুখস্যৈকান্তিকস্যচ।।”

ইহার অর্থ: আমিই নির্বিশেষ ব্রহ্মের প্রতিষ্ঠা বা আশ্রয়। অব্যয় অমৃতের, শাশ্বত ধর্মের এবং ঐকান্তিক সুখের আমিই আশ্রয়।

ইহাতে প্রমানিত হইলো শ্রীকৃষ্ণই পরমব্রহ্ম।

আর গীতার ৮/১৩ নং শ্লোক পড়িয়া দেখিলাম, সেখানে লিখা রয়েছে,

"যোগাভ্যাসে প্রবৃত্ত হয়ে পবিত্র ওঙ্কার উচ্চারণ করতে করতে কেউ যদি পরমেশ্বর ভগবানকে স্মরণ করে দেহ ত্যাগ করেন, তিনি অবশ্যই পরমাগতি লাভ করবেন।"

এই পরমেশ্বর ভগবানই যে শ্রীকৃষ্ণ, তাহাতেও কি আপনার কোনো সন্দেহ আছে ? যদি থাকে তাহা হইলে ১৪/২৭ নং শ্লোক এবং তাহার অর্থ আবার পড়িয়া নিন।

ইহা ছাড়াও ১৮/৬১,৬২ নং শ্লোক পড়িয়া দেখিলাম, সেখানে লিখা রয়েছে,

"হে অর্জুন, পরমেশ্বর ভগবান, সমস্ত জীবের হৃদয়ে অবস্থান করছেন এবং সমস্ত জীবকে দেহ রূপ যন্ত্রে আরোহন করিয়ে মায়ার দ্বারা ভ্রমন করাইতেছেন।"

এবং

"হে ভারত, সর্বতোভাবে তার শরণাগত হও, তার প্রসাদে তিনি পরা শান্তি এবং নিত্যধাম প্রাপ্ত হবে।"

এই শ্লোকগুলো দ্বারা আপনি কী বুঝাইতেছেন, শ্রীকৃষ্ণ ফার্স্ট পার্সনের স্থলে সেকেন্ড পার্সন ব্যবহার করিয়া নিজের পরিবর্তে অন্য কাউকে বুঝাইয়াছেন ? যদি তাহা বুঝিয়া থাকেন, তাহা হইলে আবার পড়ুন গীতার ১৪/২৭ নং শ্লোক এবং তাহার অর্থ, যেখানে শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, আমিই নির্বিশেষ ব্রহ্মের প্রতিষ্ঠা বা আশ্রয়।"

শেষের দিকে লিখিয়াছেন, "আবালের মতন নিজের মূর্খতার পরিচয় দিবেন নাহ।।।"

-আমিও তো তাই বলি, এভাবে কমেন্ট করে নিজের পরিচয় দিলেন কেনো ?

শেষে লিখিয়াছেন, "গীতার গ জানেন নাহ আবার পন্ডিতালি করেন।।।"

ধরিয়া নিলাম, আমি গীতার গ জানি না, তাই আপনার নিকট জানিতে চাই, গীতায় উল্লিখিত সকাম ও নিষ্কাম কর্মের ব্যাখ্যাটা কী ? সাবধান থাকবেন, নেটে- সকাম কর্ম, নিষ্কাম কর্ম- সার্চ দিয়া যেন আমার লেখাই আবার আমাকে কপি পেস্ট করিযা শুনিয়া না দেন; কারণ, এই ব্যাখ্যা প্রথম আমিই ফেসবুক পোস্ট করিয়াছি। একইভাবে পোস্ট করিয়াছি- সর্বধর্মান পরিত্যজ্য মামেকং শরণং এর ব্যাখ্যা; পোস্ট করিয়াছি- গীতায় কেনো চন্দ্রকে নক্ষত্র বলা হইয়াছে তার ব্যাখ্যা; পোস্ট করিয়াছি- গীতা মাহাত্ম্যে রাধা থাকার ব্যাখ্যা; পোস্ট করিয়াছি- কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে উপস্থিত না থেকেও কিভাবে বেদব্যাস গীতা লিখলেন, তার ব্যাখ্যা; পোস্ট করিয়াছি গীতা সম্পর্কিত আরও অনেক কিছু,যা সম্পূর্ণ নতুন এবং যুক্তি সম্মত, তাই গীতা সম্পর্কে আমাকে কোনো জ্ঞান দেওয়ার পূর্বে এগুলো সম্পর্কে সাবধান থাকবেন, না হলে গঙ্গা জল দিয়েই কিন্তু গঙ্গা পূজা করে ফেলবেন।

জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।

বি.দ্র : চুপি চুপি একটা কথা জিজ্ঞেস করছি, "পণ্ডিত" শব্দের সঠিক বানানটা কি আপনি জানেন ? আমার বিশ্বাস জানেন না; কারণ, জানলে শব্দটা 'পন্ডিত", এই ভাবে না লিখে "পণ্ডিত" এই ভাবে লিখতেন; কারণ, যুক্তবর্ণে দেশী বা সংস্কৃত শব্দে ড এর সাথে ন নয়, ণ যুক্ত হয়। আর "না" লিখতে গিয়ে লিখেছেন "নাহ", ঘটনাটা কী? আর প্রত্যেকটা বাক্যের শেষে দিয়েছেন তিনটি করে দাঁড়ি, আপনি কি ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের বাপ না কি যে নতুন স্টাইলে বিরতি চিহ্ন দিয়ে আবার গদ্য লিখবেন ?

No comments:

Post a Comment