#Sarkar_Raj_Rajon,
চীন যে অধার্মিক, এটা আপনি নিশ্চিত কিভাবে বলতে পারেন ? ক্ষমতার কারণে পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় অধার্মিক দেশ আমেরিকা। তাই আমেরিকানদের শায়েস্তা করতে, ঈশ্বর যে চীনের মাধ্যমে করোনাসুর তৈরি করেন নি, তার নিশ্চয়তা কী ? তবে এটাও ঠিক, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে চীন যে নিষ্ঠুর পরিকল্পনা করেছে এবং তার বাস্তবায়ন করছে, এর জন্যও চীনকে একদিন অনেক বড় মূল্য দিতে হবে। এখন যেমন অধার্মিক আমেরিকাকে, ঈশ্বর চীনের মাধ্যমে শিক্ষা দিচ্ছেন, তেমনি অপর কোনো শক্তির মাধ্যমে আবার চীনকেও শিক্ষা দেবেন, এটা নিশ্চিত।
আর গীতার "যদা যদা হি…" শ্লোকের মাধ্যমে শ্রীকৃষ্ণ কি ফিউচার টেন্সে বলেছেন যে, অধর্ম হলে তিনি অবতীর্ণ হবেন ? তিনি বলেছেন, যখন অধর্ম বেড়ে যায়, তখন তিনি আবির্ভূত হন, এটা তিনি বলেছেন, তার পূর্ববর্তী ৮ জন অবতারের কথা বলতে গিয়ে। শাস্ত্রে অবতার মোট ১০ জন। তার মধ্যে শ্রীকৃষ্ণসহ মোট ৯ জন ইতোমধ্যে এসে গেছেন। বাকি আছে কল্কি অবতার, তিনি আসবেন কলিযুগের শেষে, এবং অধর্মীদের বিনাশ করে সত্যযুগের সূচনা করবেন। এই তথ্য থেকে এটা স্পষ্ট যে কলিযুগে আর অন্য কোনো অবতার আসবেন না। তাহলে কলিযুগের ধার্মিকদেরকে অধার্মিকদের হাত থেকে রক্ষা করবে কে ? সে কথাও শ্রীকৃষ্ণ বলে গেছেন, গীতার ১০/৪১ নং শ্লোকে, এভাবে-
"এই পৃথিবীতে যাহা কিছু ঐশ্বর্যযুক্ত, শ্রীসম্পন্ন অথবা শক্তিসম্পন্ন দেখ, তাহাই আমার শক্তি হইতে উদ্ভূত বলিয়া জানিবে।"
আমেরিকার শক্তির পেছনে ঈশ্বরই ছিলো এবং ঈশ্বর আমেরিকান শক্তির দ্বারাই অসুররূপ ইসলামিক জঙ্গী গোষ্ঠীগুলোকে ধ্বংস করেছে, এরপর শক্তির প্রভাবে আমেরিকা যখন দানব হয়ে উঠেছে, তখন সেই শক্তিকে আবার চীনা শক্তি ও বুদ্ধি দ্বারা দমন করছে। এজন্য কখনো শক্তির অহংকার করতে নেই; কারণ তাহলে তখন মানুষ দেবতাভাব থেকে দানবে পরিণত হয়, আর দানবে পরিণত হলেই যে কারো পতন বা বিনাশ নিশ্চিত।
গীতার ১০/৪১ নং শ্লোক অনুযায়ী, বর্তমানে ভারতে মোদী-অমিত-ডোভালের উত্থান ঈশ্বরের শক্তিতেই ঘটেছে এবং তাদের মাধ্যমে ঈশ্বর দানব পাকিস্তানী জঙ্গীদেরকে দমন করে ধার্মিকদের রক্ষা করছে।
তাই গীতার সমালোচনা করার আগে, গীতার বাণীর মর্ম আগে বোঝা উচিত, তাহলেই বোঝা যাবে শ্রীকৃষ্ণের কথা আর কাজে কোথাও অমিল নেই, অমিল আছে শ্রীকৃষ্ণ ও গীতার সমালোচনাকারীদের মাথায়, যাদের বুদ্ধি ঈশ্বর ভক্তির অভাবে পরিপক্ক হয় নি।
জয় হিন্দ।
No comments:
Post a Comment