Monday 25 May 2020

কোরানে বিজ্ঞান প্রমাণ করার অপচেষ্টা


#Emtiaz's_Eye,

আমি নাস্তিক নই, কিন্তু যেহেতু আপনি কোরানে বিজ্ঞান প্রমাণ করার অপচেষ্টা করছেন, সেহেতু আপনার এই মিথ্যার বিরুদ্ধে জবাব আমাকে দিতেই হলো, তাই দিচ্ছি-

আপনি কোরানে ব্ল্যাকহোল খুঁজে পাচ্ছেন, ব্ল্যাকহোল হলো মহাকাশ বিজ্ঞানের উচ্চতর জ্ঞান, এই জ্ঞানকে ধারণ করার জন্য মহাকাশ বিজ্ঞানের সাধারণ বিষয়গুলোকেও ধারণ করা জরুরী, দেখা যাক, আপনার কোরান মহাকাশ বিজ্ঞানের সেই সাধারণ বিষয়গুলোকে ধারণ করে কি না ?

বিজ্ঞানের একটি প্রতিষ্ঠিত সত্য হচ্ছে- পৃথিবী গোল; কিন্তু আপনার কোরান মনে করে পৃথিবী সমতল। দেখুন প্রমাণ-

"এই পৃথিবী, ইহাকে আমি প্রসারিত করিয়াছি ও ইহার মধ্যে পর্বতসকল স্থাপন করিয়াছি"-(কোরান,১৫/১৯)

"পৃথিবীকে আমি প্রসারিত করিয়াছি এবং তার মধ্যে পর্বত সকল স্থাপন করিয়াছি"- (৫০/৭)

"পৃথিবীকে আমি প্রসারিত করিয়াছি"- (৫১/৪৮)

"তিনি ভূতলকে প্রসারিত করিয়াছেন"- (৭৯/৩০)

"আল্লা ভূমণ্ডলকে প্রসারিত করিয়াছে"- (৯১/৬)

"যুলকারনাইন সূর্যের অস্তগমন (অর্থাৎ সর্বপশ্চিম) স্থলে পৌছান যেখানে সুর্য এক পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যায় (Quran 18:86), এরপর তিনি অন্য এক পথ ধরেন এবং সূর্যের উদয় (অর্থাৎ সর্বপূর্ব) স্থলে পৌছান যা এমন এক সম্প্রদায়ের ওপর উদিত হয় যারা সূর্যের কাছাকাছি হওয়ায় তাপ থেকে কোন আড়াল পায়না (Quran 18:89-90) !

-কোরানের এই আয়াতগুলো প্রমাণ করে যে পৃথিবী সমতল, যার দুই সর্বশেষ প্রান্ত রয়েছে। এগুলোর দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে কোরানের পৃথিবী সমতল।

পৃথিবীর পর মহাকাশ বিজ্ঞানে আমাদের জন্য আরো দুটি উল্লেখযোগ্য উপাদান হলো চন্দ্র ও সূর্য, এখন দেখা যাক, চন্দ্র ও সূর্য সম্পর্কে কোরানের ধারণা কতখানি বৈজ্ঞানিক ?

"আল্লা চন্দ্র সূ্র্যকে বশিভূত রাখিয়াছেন, প্রত্যেকে নির্ধারিত সময় সঞ্চরণ করিতেছে।"- (কোরান, ১৩/২)

-চন্দ্র না হয় নির্ধারিত সময়ে সঞ্চরণ করিতেছে, কিন্তু সূর্যও কি চন্দ্রের মতো সঞ্চরণ করিতেছে ?

"সূর্য তার নির্দিষ্ট স্থানের জন্য চলতে থাকে।"- (৩৬/৩৮)

- এই নির্দিষ্ট স্থান মানে সন্ধ্যা পর্যন্ত। মানে সন্ধ্যা হলে সূর্য অস্ত যায়, কিন্তু বাস্তবে কি সূর্য অস্ত যায় ? এই একই বিষয় বলা আছে নিচের এই আয়াতেও-

"তিনি সূর্য ও চন্দ্রমাকে অধিকৃত করিয়াছেন, প্রত্যেকে এক নির্দিষ্ট সময়ে চলিয়া থাকে।"- (৩১/২৯)

এরপর কোরানের ২১/৩৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে-

"রাত্রি, দিবা, চন্দ্র ও সূর্য, সকলেই আকাশে আল্লার প্রশংসা করছে।"

-এই প্রশংসা কিভাবে করে, সেটা বোঝা যাবে নিচে বর্ণিত এই হাদিস থেকে-

"সূর্য আবর্তিত হয় তার জন্যে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত (অর্থাৎ সন্ধ্যা পর্যন্ত), অতঃপর সে থামে বিশ্রামের জন্যে এবং রাতের বেলা আল্লার আরশের নিচে অবস্থান করে পরের দিন উদিত হওয়ার জন্য আল্লার কাছে প্রার্থনা এবং আল্লার প্রশংসা করতে থাকে।" (Sahih Muslim 1:297, Sahih Bukhari 4:54:421)

-এই হাদিস দ্বারাও প্রমাণিত যে পৃথিবী সমতল এবং সূর্য, পৃথিবীর চারেদিকে ঘুরছে। কিন্তু বিজ্ঞান কি এরকম কোনো কথা বলে ?

এরপর কোরানের ১৪/৩৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে-

"তিনি তোমাদের নিমিত্ত নিত্য গতিশীল চন্দ্র সূর্যকে অধিকৃত করিয়াছেন এবং তোমাদের নিমিত্ত দিবা রাত্রিকে অধিকৃত করিয়াছেন।"

-চন্দ্র না হয় নিত্য গতিশীল, কিন্তু সূর্যও কি গতিশীল ?

চন্দ্রের মতো সূর্যও যে ঘুরে, সে কথা বলা হয়েছে নিচের এই তিনটি আয়াতেও-

(১)"আল্লা সূ্র্য ও চন্দ্রকে বাধ্য রাখিয়াছেন, তাহারা প্রত্যেকে নির্দিষ্ট সময়ে সঞ্চালিত হয়।"-(কোরান, ৩৫/১৩)

(২)"তিনি রজনীকে দিবার মধ্যে অনুপ্রবিষ্ট এবং দিবাকে রজনীর ভিতরে অনুপ্রবিষ্ট করেন এবং সূর্য ও চন্দ্রমাকে বাধ্য করিয়াছেন, প্রত্যেকে নির্দিষ্ট সময়ে সঞ্চরণ করে।"- (৩৯/৫)

(৩)"সূর্য ও চন্দ্র নিজ নিয়মে চালিত।"- (৫৫/৫)

এবার একটু অপ্রাসঙ্গিক হলেও দেখুন, নিচের তিনটি আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লা- চন্দ্র ও সূর্যকে অধিকৃত বা দখল করেছেন-

"তিনিই তোমাদের জন্য দিবা ও রজনী এবং চন্দ্র ও সূর্য অধিকৃত করিয়াছেন।"- (১৬/১২)

"আল্লা চন্দ্র সূ্র্যকে বশিভূত রাখিয়াছেন"- (১৩/২)

"তিনি সূর্য ও চন্দ্রমাকে অধিকৃত করিয়াছেন"- (৩১/২৯)

-এখানে আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আল্লাই যদি চন্দ্র ও সূর্যকে সৃষ্টি করে থাকেন, তিনি সেগুলো দখল করার কথা বলবেন কেনো ?

বাস্তবে মুহম্মদ যেহেতু মক্কা ও মক্কার কাবা দখলের মতো সব কিছু দখলে বিশ্বাস করতো, তার সেই চিন্তা ভাবনা ই এই তিনটি আয়াতে ফুটে উঠেছে।

যা হোক, পৃথিবী-চন্দ্র-সূর্যের পর আকাশও, মহাকাশ বিজ্ঞানের একটি উল্লেখযোগ্য উপাদান, এখন দেখা যাক আকাশ সম্পর্কে কোরানের ভাষ্য কী ?

১। আকাশ হলো শক্ত পদার্থের তৈরি ছাদ, (Quran 21:32)।

২। খুঁটি ছাড়াই আকাশ উর্ধ্বে অবস্থিত,(Quran 13:2)।

৩। আকাশে কোন ছিদ্র নেই, (Quran 50:6)।

৪। আকাশ যাতে ভূপৃষ্টে পতিত না হয়, (Quran 22:65)।

৫। আকাশ ও পৃথিবী শুরুতে যুক্ত ছিলো, (কোরান,২১/৩০)।

৬। আকাশকে একসময় গুটিয়ে নেওয়া , (Quran 21:104)।

৭। আকাশকে খণ্ড খণ্ড করে ফেলে দেওয়া, (কোরান, ৩৪/৯)।

৮। কেয়ামতের দিন আকাশকে বিদীর্ণ করা, (কোরান, ৭৭/৯)।

৯। আকাশ উন্মুক্ত হয়ে সৃষ্টি হবে বহু দরজা, (কোরান,৭৮/১৯)

এছাড়াও আপনাদের বহুল প্রচারে আমরা জানি যে ইসলাম অনুসারে আকাশ সাতটি এবং সেগুলো স্তরে স্তরে একটির উপর একটি সজ্জিত, কিন্তু বিজ্ঞান কি এরকম কোনো কথা বলে ?

এবার আসি মূল প্রসঙ্গ, ব্ল্যাকহোল এ।

মহাকাশের সাধারণ কিছু বিষয়- পৃথিবী, চন্দ্র, সূর্য এবং আকাশ- সম্পর্কে কোরানের বক্তব্য যেখানে সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক এবং বাস্তবতার নিরীখে ভুলে ভরা, সেখানে আপনি কিভাবে প্রত্যাশা করলেন যে, কোরানে ব্ল্যাকহোলের মতো একটি উচ্চতর বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের কথা থাকবে ? যে ছাত্র ক্লাস টু এর জ্ঞানকে ধারণ করতে পারে না, সে কি মাস্টার্স লেভেলের জ্ঞানকে ধারণ করতে পারে ? আপনাদের বোধ-বুদ্ধির কারণে আপনাদের সাথে আসলে যুক্তি ও বিজ্ঞানের কথা বলাটাই মূর্খামি, তবু সত্য প্রচারের স্বার্থে এগুলো বলতেই হয় বা লিখতেই হয়, না হলে মিথ্যা প্রচার করতে করতে একসময় আপনারা তো মিথ্যাকেই সত্য বানিয়ে ফেলবেন।

যাক গে, কোরানের যে দুটি আয়াতের জোরে আপনি কোরানে ব্ল্যাকহোল খুঁজে পেয়েছেন, এবার সেগুলোর দিকে নজর দিই-

আপনি বলেছেন, কোরানের সূরা ওয়াকিয়াহর ৭৫ ও ৭৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে,

"শপথ তারকাসমূহের পতন হওয়ার স্থানের, নিশ্চয় এটি একটি মহা শপথ যদি তোমরা জানতে।"

কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই আয়াতে বলা হয়েছে-

"অতএব আমি তারকারাজির অস্তাচলের শপথ করছি, নিশ্চয় এটি একটি মহা শপথ যদি তোমরা জানতে।"

-আপনি তারকাসমূহের "পতন হওয়ার স্থান" বলে এটিকে ব্ল্যাকহোলের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আপনার আল্লা, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে যে আকাশের তারাগুলো অস্ত যায় বা অদৃশ্য হয়ে যায়, সেই ব্যাপারটি বুঝিয়েছেন। দেখুন আপনারই দেওয়া রেফারেন্স ৮১/১৫-১৬ নং এবং তার পরের দুটি আয়াত,
আমি শপথ করি যেসব নক্ষত্রগুলো পশ্চাতে সরে যায়। - (কোরান, ৮১/১৫)

চলমান হয় ও অদৃশ্য হয়- ((কোরান, ৮১/১৬)

"শপথ নিশাবসান ও প্রভাত আগমন কালের।"- (কোরান, ৮১/১৭-১৮)

এখানে কোরানে স্পষ্ট করে বলা হলো যে- নিশাবসান অর্থাৎ রাত শেষ হলে এবং প্রভাতের আগমন ঘটলে নক্ষত্রগুলো পশ্চাতে সরে যায় অর্থাৎ দৃষ্টির আড়ালে চলে যায়, এখানে আপনি অদৃশ্য হয়ে প্রত্যাবর্তনের কথা কোথায় পেলেন ? নিজের মন মতো কোরানের অনুবাদ করে আবার সেগুলোর ব্যাখ্যাও নিজের মনের মতোই দেখি করছেন, তাই বলেছেন, "অদৃশ্য হয়ে প্রত্যাবর্তন করে বলতে ব্ল্যাকহোলের ভেতরে তারাগুলো অদৃশ্য হয়ে সম্পূর্ণ নতুন বস্তুতে প্রত্যাবর্তিত হয়।"

ব্ল্যাক হোলের বর্ণনায় আপনি তো নিজেই বলেছেন, এর ভেতর থেকে কোনো আলোও আসতে পারে না।" আর আমরা জানি যে আলো ছাড়া কোনো কিছু দেখা যায় না। তো ব্ল্যাকহোলের ভেতরে কোনো বস্তুর কী পরিণতি হচ্ছে, সেটা আপনি দেখলেন কিভাবে ? আজে বাজে কথা বলারও একটা সীমা থাকে। কিন্তু আপনার মুহম্মদ এবং আল্লার যেমন আজে বাজে কথা বলার কোনো সীমা ছিলো না, আপনারও দেখি নেই। মুহম্মদ যেমন বিজ্ঞানের নামে যা তা বলে গিয়েছে, বর্তমানে যেগুলো জাস্ট বলদের গু, ব্ল্যাকহোল সম্পর্কে আপনার কথাবার্তাও তেমন। আপনি তো Blackhole এর বাংলা বানানই ঠিকমতো লিখতে জানেন না, আর আপনি এসেছেন ব্ল্যাকহোল সম্পর্কে জ্ঞান দিতে ?

শুনেন, আর এটা ভাববেন না যে কোরান শুধু আপনাদের কাছেই আছে, আর আপনারা কোরানের অনুবাদ যেভাবে করে দেবেন, অন্যেরা সেটাকেই বিশ্বাস করে নেবে। কোরান অনেকের কাছেই আছে, আর সেটাও আপনাদের মনের মতো করে করা বাংলা অনুবাদ নয়, একেবারে বিশুদ্ধ গিরিশসেনী অনুবাদ, এছাড়াও অনলাইনে অনেক কোরান পাওয়া যায়, তাই কোরানের অনুবাদ নিয়ে যা তা বলে নিজেদেরকে মূর্খ প্রমাণ করবেন না। কারণ, আপনি কোরানের রেফারেন্স দিয়ে কী বলছেন, সেটাকে প্রমাণ করার ক্ষমতা কিন্তু এখন আমার শুধু নয় সকলের হাতের মুঠোয়।

সূরা ওয়াকিয়াহর ৭৫, ৭৬ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে আপনি বলেছেন, "এখানে পতন হওয়ার স্থান বলতে ব্লাকহোলকে বোঝানো হয়েছে, আল্লা এখানে ব্লাকহোলকে নিয়ে শপথ করেছেন।"

-আগেই বলেছি, এই সূরায় পতন হওয়ার স্থান বলতে কোনো ব্যাপারই নেই। আর আল্লা কোরানে কী বুঝিয়েছে, সেটা আপনার কাছ থেকে শুনতে হবে ? আল্লা নিজেই বলেছে, তার কোরানে কোনো প্যাঁচঘোঁচ নেই, কোরানকে তিনি সহজ করে দিয়েছেন, যাতে সবাই বুঝতে পারে, দ্যাখ নিচের তিনটি আয়াত-

"আমি আপনার ভাষায় কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি।- ( কোরাণ, ৪৪/৫৮)

আমি একে আরবী ভাষায় কোরআন রূপে অবতীর্ণ করেছি, যাতে তোমরা বুঝতে পার।" - (কোরাণ, ১২/০২)

"আমি একে করেছি কোরআন, আরবী ভাষায়, যাতে তোমরা বুঝ।" -(কোরাণ, ৪৩/৩-৪)

বুঝেছিস, বলদা ?

কোরানে বিজ্ঞান না খুঁজে এটা খুঁজে দ্যাখ যে- নারীদের মধ্যে কাকে কাকে বিয়ে করা যাবে ? কয়টি বিয়ে করা যাবে ? একসাথে কয়টি বউ রাখা যাবে ? কত কম বয়সী বা কত বেশী বয়সী মেয়েকে বিয়ে করা যাবে ? কোন ধরণের ছেলের বউকে বিয়ে করা যাবে ? নিজের মেয়েতুল্য কাউকে বিয়ে করা যাবে কি না ? ধনী-গরীব-সুন্দর-অসুন্দর-কুমারী-বিধবা-বন্ধ্যা কোন ধরণের মেয়েকে বিয়ে করা যাবে ? বাপ মারা গেলে সৎ মাকে বিয়ে করা যাবে কি না ? বিধবা চাচী-মামী-খালা-ফুফুদেরকে বিয়ে করা যাবে কি না ? হিলা বিয়ের বিধান কী ? গনিমতে মাল হিসেবে কোন ধরণের মেয়েদেরকে ধর্ষণ করা যাবে ? দাসীদের সাথে সেক্স করার ব্যাপারে কোরানের হুকুম কী ? কাদেরকে খুন করা যাবে ? খুন করার ছোয়াবি পদ্ধতি কী কী ? অমুসলিমদের ধন-সম্পত্তি লুঠপাট করে কিভাবে খেতে হবে ? কাদেরকে ঘৃণা করতে হবে ? - এসব খুঁজে দ্যাখ, তাহলে খুব দ্রুত নিজেকে সহীহ মুসলিম হিসেবে প্রমাণ করতে পারবি, বুঝতে পারবি দুনিয়ার জীবন মিথ্যা, আসল জীবন হলো পরকালে, যেখানে আল্লার পতিতালয় বেহেশতে গিয়ে মিনিমাম ৭২ হুর নিয়ে অনন্তকাল ধরে ফুর্তি করা যায় এবং সেই বেহেশতে যাওয়ার একমাত্র পথ হলো কাফের অর্থাৎ অমুসলিমদেরকে হত্যা করা, বা হত্যা করতে গিয়ে নিহত হওয়া।

এসব বিষয়ে গবেষণা করে খাঁটি মুসলিম বা জঙ্গী হ, তুই কোরানে বিজ্ঞান খুঁজতে এসেছিস কেনো ? কোরান বিজ্ঞান খুঁজলেই কি তুই বিজ্ঞান পাবি ? মানুষের গু এ কি সুগন্ধ থাকে ?

জয় হিন্দ।

No comments:

Post a Comment