Monday 25 May 2020

পৃথিবীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ জাতি কি মুসলি ?


নির্বোধদের আত্মতৃপ্তির বিশ্বাস :

ফটোপোস্টে দেখুন #Farman_ansari নামের এক হুর লোভী বান্দা বলেছে- পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতি হলো মুসলিম জাতি।

-আমিও তাই মনে করি, তবে সেটা জ্ঞান বিজ্ঞানে নয়, খুন-ধর্ষণ-সন্ত্রাস-লুঠপাট এবং মূর্খামিতে। কারণ, তাদের নবী মুহম্মদ, ওগুলোই তাদেরকে শিখিয়েছে এবং এগুলোতেই তারা এক্সপার্ট, তাই তারা এগুলোতেই শ্রেষ্ঠ।

এরপর #Farman_ansari বলেছে, পৃথিবীর যা কিছু আবিষ্কার তা কোরান গবেষণার ফল।

-এই কথাকে উদ্দেশ্য করেই আমি পোস্টের শিরোনাম দিয়েছি- নির্বোধদের আত্মতৃপ্তির বিশ্বাস।

কিন্তু, বিজ্ঞানীরা সবকিছু কোরান গবেষণা করেই আবিষ্কার করে, এই কথার প্রেক্ষিতে যখন যুক্তিবাদীরা বলে যে, তাহলে মুসলমানরা কোনো কিছু আবিষ্কার করতে পারে না কেনো, এই কথার একটা অসাধারণ জাকির নায়েকীয় যুক্তি এই #Farman_ansari আবিষ্কার করেছে, আর সেটা হলো- মুসলমানদেরকে আল্লা সৃষ্টি করেছে, শুধু তার এবাদতের জন্য, অন্য কোনো কাজ করার জন্য নয়। মুসলমানদের কাজ করে দেবার জন্য আল্লা, অমুসলিমদেরকে সৃষ্টি করেছে। অমুসলিমরা পরিশ্রম করে সবকিছু আবিষ্কার করবে, আর মুসলমানরা শুধু তা বসে বসে ভোগ করবে, আর বিনিময়ে মুসলিমরা যে পয়সা দেবে, সেটাতে অমুসলিমরা খেয়ে প'রে বাঁচবে, যেমন ধনীদের বাড়িতে গরীবেরা কাজ করে খেয়ে প'রে বেঁচে থাকে!

জাকির নায়েকের মূর্খ যুক্তিতে যেমন কিছু লোক হাততালি দেয়, সেরকম এই মূর্খের যুক্তিকেও যে কিছু লোক সাধুবাদ জানাবে, সেটা আমি জানি; কারণ, মূর্খই তো মূর্খকে ভালো চিনতে পারে।

যা হোক, আমার কিছু শর্ট স্ট্যাটাস আছে, যেগুলোতে আমি বলেছি- আপনি যদি নিজেকে মুসলমান ভাবেন, তাহলে অবশ্যই আপনি অপরের ধন সম্পদ লুঠ করে খাওয়ার যুক্তি খুঁজে পাবেন; আপনি যদি নিজেকে মুসলমান ভাবেন, তাহলে অবশ্যই আপনি, মুহম্মদ কর্তৃক তার পালিত পুত্রের বউকে বিয়ে করার যুক্তি খুঁজে পাবেন, ইত্যাদি ইত্যাদি এই রকম কিছু ব্যাপার; অর্থাৎ কেউ যদি নিজেকে মুসলমান ভাবে, তাহলে তখন সে পৃথিবীর যাবতীয় অপরাধ বা কুকর্ম করার যুক্তি খুঁজে পায়, যার মধ্যে ধর্ষণ এবং মানুষ হত্যার যুক্তিও অন্যতম। এই ফারমান আনসারিও তেমন, যেহেতু সে নিজেকে মুসলমান ভাবে, সেহেতু সে- কোরান পড়েও মুসলমানরা কেনো কিছু আবিস্কার করতে পারে না, তার একটা যুক্তি খুঁজে পেয়েছে। কিন্তু তার এই যুক্তিকে মেনে নেওয়া যেতো, যদি মুসলমানরা শুরু থেকেই ধন সম্পদে ধনী হতো। কিন্তু শুরু থেকেই মুসলমানরা তো জন্মসূত্রেই গরীব, হয় ধনে, না হয় জ্ঞানে।

মুসলমানদের নবী মুহম্মদ, মক্কা থেকে মদীনায় পালিয়ে যাওয়ার পর এমন ভয়াবহ দারিদ্রতার মুখোমুখী হয় যে, হাদিসে আছে, কয়েকদিন পর্যন্ত তাকে না খেয়ে থাকতে হয়েছে। তার সাথে সাথে তার সঙ্গে হিজরতকারী অন্যান্য মুসলমানদের অবস্থাও ছিলো একইকরম। এই দারিদ্রতা থেকে মুক্তির জন্যই মুহম্মদ, অমুসলিমদের ধন সম্পত্তিকে লুঠ করে খাওয়ার বিধান দেয় এবং বলে আমি তোমাদের দারিদ্রতা নিয়ে ভীত নই।

এখনও পৃথিবীর মোট মুসলমানের ৮০% এর বেশি লোক দরিদ্র এবং পৃথিবীর মোট দরিদ্রদের প্রায় সবাই মুসলমান। এই দরিদ্রদের জন্য কাজ করে অমুসলিমরা নাকি নিজেদের পেট চালায় ! কেউ নিজেকে মুসলমান ভাবলে যে তার সাধারণ যুক্তিজ্ঞানও লোপ পায় এই ফারমান আনসারী তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ।

কোনো কোনো মুসলমান- মালয়েশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশের উদাহরণ দিয়ে বলতে পারে, মুসলমানার সেখানে ধনী, সুতরাং ফারমান আনসারীর কথায় কিছু যুক্তি আছে।

যেসব মুসলিম দেশ আপাতদৃষ্টিতে ধনী হিসেবে পরিচিত, সেটা তাদের খনিজ সম্পদ তৈল এবং অমুসলিমদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে সেই তৈল উত্তোলণের ফল। মুসলমানরা নিজের মেধা ও বুদ্ধি দিয়ে কোথাও কিছু করতে পারে নি। মাটির নিচের তেল প্রকৃতির দান এবং সেই তেলকে উত্তোলন করেছে অমুসলিমদের জ্ঞান, এখানে মুসলমানদের কৃতিত্ব কোথায় ?

এছাড়াও অমুসলিমরা বিভিন্ন জিনিস আবিষ্কারের মাধ্যমে নিজেদের বুদ্ধি মুসলমানসহ সবার কাছে বিক্রি করছে; পক্ষান্তরে বিভিন্ন অমুসলিমদের কাছে বা তাদের দেশে গিয়ে মুসলমানরাই পতিতাবৃত্তিসহ দাসের মতো শ্রম বিক্রি করছে, তাহলে প্রকৃতপক্ষে কাদের জন্য, কারা কাজ করছে ? গরীবরা বড়লোকদের সাথে নিজেদের তুলনায় এই আত্মতৃপ্তিতে ভোগে যে, তাদের কিছু না থাক মান-সম্মান রয়েছে। গরীবদের আবার নাকি মান সম্মান !

দারিদ্রতাই পৃথিবীর সবচেয় বড় পাপ; কারণ, বহু পাপের ফলে যেমন মানুষ দরিদ্র হয়ে জন্ম নেয় বা দরিদ্র হয়ে জীবন কাটায় বা দরিদ্র হয়ে মারা যায়, তেমনি দারিদ্রতা বহু পাপেরও জন্ম দেয়। গরীবদের মতো মুসলমানদেরও যেহেতু কিছু নেই, তাই গরীবদের কাল্পনিক মান-সম্মানের মতো মুসলমানরাও মনে করে বিজ্ঞানীদের সকল আবিষ্কারের পেছনে রয়েছে কোরান, যেটা তাদের, একমাত্র তাদের গ্রন্থ, নির্বোধ হলে যা হয় আর কি ? শুনে রাখ, কোরান রিসার্চ করে কোনো কিছু আবিষ্কার করা দূরে থাক, বিজ্ঞানীরা কোরানের পাতাকে কোনোদিন টয়লেট পেপার হিসেবেও ইউজ করে নি, আর করবেও না।

মুহম্মদ তো কাউকেই বিয়ে করতে এবং তাকে বিছানায় নিয়ে যেতে ছাড়ে নি, আমার ধারণা মুহম্মদের মা আমিনা যদি মুহম্মদের যুবক বয়স পর্যন্ত জীবিত থাকতো, মুহম্মদ তাকেও বিয়ে করতো, যেহেতু সে তার মায়ের বয়সী খাদিজাকে বিয়ে করতে পিছপা হয় নি, আর তখন এই ফারমান আনসারীর মতো মুসলমান, মুহম্মদের সেই অপকর্ম অর্থাৎ নিজের মাকে বিয়ে করারও যুক্তি খুঁজে পেতো, যেহেতু এরা সবকিছুতেই "কোরান রিসার্চ করেই বিজ্ঞানীরা সবকিছু আবিষ্কার করে" এর মতো অযৌক্তিক যুক্তি খুঁজে পায় এবং কোনো লাজ লজ্জার ধার না ধেরে সেগুলো আবার প্রকাশ বা প্রচারও করে।

মুসলমানরা যে মূর্খ, এটা একটা চিরন্তন সত্য এবং তাদের এই মূর্খতার মূল উৎস হলো কোরান ও হাদিসের কুযুক্তিতে বিশ্বাস। মুহম্মদ বলে গেছে- কোরান ও হাদিসের কোনো কিছুতেই কেউ অবিশ্বাস করতে পারবে না, তাহলে তার আমার ঈমান থাকবে না, আর কেউ যদি ঈমান ছাড়া মরে, সে কোনোদিনও আল্লার পতিতালয় বেহেশতে গিয়ে মিনিমাম ৭২ হুরকে নিয়ে পোকাপুকি করতে পারবে না। মুহম্মদের এই বাণীটিই মুসলমানদের সর্বনাশের মূল, মুসলমানরা কোনো দিনই মানুষ হতে পারলো না, আর ভবিষ্যতেও তাদের মানুষ হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই।

যা হোক, এই কুযুক্তি বিশারদ হর লোভী বান্দা বলেছে- মুসলমানদের আল্লা সৃষ্টি করেছে, তার এবাদত করার জন্য।

-তাহলে কোরানে চারটি বিয়ে করার বিধান কেনো ? দাসীদের সাথে বিছানায় শোওয়ার নির্দেশ কেনো ? জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ না করার নির্দেশ কেনো ? জনসংখ্যার জোরে পৃথিবীতে ইসলাম কায়েম করার নির্দেশ কেনো ? অমুসলিমদের ধন সম্পদ লুঠ করে খাওয়ার নির্দেশ কেনো ? বা ইসলাম কায়েম করার জন্য অমুসলিমদেরকে হত্যা করারই বা নির্দেশ কেনো ? এসব কি এবাদতের পর্যায়ে পড়ে ?

শেষ করার আগে বলছি- কোরান রিসার্চ করেই বিজ্ঞানীরা সবকিছু আবিষ্কার করে, এটা হলো- চুড়ান্তরূপ মূর্খদের আত্মতৃপ্তির একটা হাস্যকর বিশ্বাস; আর এই বিশ্বাসকে ভিত্তি করে ফারমান আনসারী- মুসলমানদের কোনো কিছু আবিষ্কার করতে না পারার যে যুক্তি দিয়েছে, সেটা হলো- চুড়ান্ত অপদার্থ এবং নিষ্কর্মাদের অলস হাস্যকর ভাবনা; যারা নিজেরা বিয়েই করে নি, অথচ অন্যের সন্তানকে নিজের সন্তান বলে ভাবছে! আর কোরান রিসার্চ করেও যদি বিজ্ঞানীরা সবকিছু আবিষ্কার করতো, তাহলে তো সেটা হতো নিজের স্ত্রীর অন্যের সন্তান প্রসব করার মতো ব্যাপার। এটা নিয়ে এত লাফালাফির বা গর্বের কী আছে ? এতে যে মুসলমানরা হিজড়া প্রমাণিত হচ্ছে, সেদিকে কি মুসলমানদের খেয়াল আছে ?

বিজ্ঞানীরা যেখানে- কোরান শরীফ, গবেষণার উদ্দেশ্যে হাত দিয়েও ছোঁয় না, সেখানে "কোরান রিসার্চ করেই বিজ্ঞানীরা সব আবিষ্কার করে" বলা হলো- নিজের সম্মানিত মাকে কাফের বিজ্ঞানীদের দ্বারা বলাৎকার করানো। আর মুসলমানদের কোরান পড়ে কোনো কিছু আবিষ্কার করতে না পারার কারণ হিসেবে, মুসলমানদের কাজ আল্লার এবাদত করা, আর কাফেরদের কাজ কষ্ট করে বিভিন্ন জিনিস আবিষ্কার করে মুসলমানদের খেদমত করা, বলা হলো- নিজেদের উন্মুক্ত গুহ্যদ্বার বা যোনীদ্বার কাফের বিজ্ঞানীদের দিকে এগিয়ে দেওয়া, যাতে তারা সেবা দিয়ে মুসলমানদেরকেও মজা দিতে পারে, আর সেবা পেয়ে (ব্যবসা করে) নিজেরাও ধন্য হতে পারে।

কোনো জাতির লোকের লাজ লজ্জা এবং বোধ বুদ্ধি থাকলে কি নিজেদের ধর্ষিতা বা বলাৎকার হওয়ার কথা কি এভাবে কেউ গর্ব ভরে বলতে পারে ? মুসলমানদের তো কোনো বোধ বুদ্ধিই নেই, এদের কি আত্মসম্মানও নেই ?

আর আত্মসম্মান থাকবেই বা কিভাবে, বোধ-বুদ্ধি ছাড়া কি আত্মসম্মান থাকে ?

জয় হিন্দ।

No comments:

Post a Comment