প্রসঙ্গ : হিন্দুধর্মের তথাকথিত হুর !
নানা জনের নানা প্রশ্নের জবাব দিতে বা নানা জনের প্রশ্নের ক্ষুধা মেটাতে আমি প্রায়ই পোস্ট লিখি ব'লে, অনেকেই আমাকে জানিয়েছে, মুসলমানদেরকে হুরের কথা বললেই, তারা কাউন্টার হিসেবে হিন্দুধর্মের হুরের কথা বলে, আমি যেন এর জবাবে একটি পোস্ট লিখি; আমার পাঠক বন্ধুদের সেই দাবী আজ পূরণ করলাম।
মুসলমানদের একটি স্বভাব হলো- আপনি যদি কোরান হাদিস থেকে কোনো ইসলামিক কেলেঙ্কারী তুলে ধরেন, তারা সেটার কোনো যুক্তিযুক্ত জবাব না দিয়ে, ডাইরেক্ট আপনাকে আপনার ধর্ম থেকে যেকোনো একটি বিষয় তুলে ধরে এ্যাটাক করবে, কাউন্টার জবাবটি অপ্রাসঙ্গিক হলেও, সেই বিষয়ের সত্যতা খুঁজতে গিয়ে আপনি দেখবেন, হয় বাস্তবে যার অস্তিত্বই নেই, অথবা যেভাবে আছে, মুসলমানরা সেটাকে উল্লেখ করেছে অন্যভাবে, এরকম বহু অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি; তাই আমার ফাইনাল সিদ্ধান্ত, মুসলমানরা যা বলবে- সেটা হান্ড্রেড পার্সেন্ট মিথ্যা, আর যদি তাতে কোনো সত্য থাকেও, সেটার পরিমান ১০% এর বেশি নয়; এই ১০% সত্যের সাথে ৯০% মিথ্যা মিশিয়ে তারা সেটাকে উপস্থাপন বা বাজার জাত করে।
বর্তমানে কিছু মুসলমানের মধ্যে আরেকটি প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কোরান হাদিসের কোন একটি বিষয় তুলে ধরলেই, তারা সে বিষয়ে কোনো কথা না ব'লে বলবে, এই বিষয়ে জাকির নায়েকের সাথে অমুক অমুক অমুক অমুকের বিতর্ক হয়েছে, তারা পরাজিত হয়েছে, এর পর কেউ বলবে- "হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল", এরপর কেউ বলবে, " হিন্দু মালু, তুই ইসলামের কী বুঝিস? আইছে কোরানের ভুল ধরতে" ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি। কোরান হাদিসের প্রকৃত সত্য তুলে ধরে আপনি যখন ইসলামের কদর্য দিক তুলে ধরবেন, তখন মুসলমানদের জবাব হবে ঠিক এরকম। কিন্তু আসল কথায় ওরা কখনো হাত দেবে না, এই রকমই একটি প্রসঙ্গ হলো ইসলামের হুর, যার কথা তুললেই তারা সে সম্পর্কে কোনো কথা না বলে, বলবে, হিন্দুধর্মেও হুরের কথা বলা আছে, সুতরাং সেটা নিয়ে এত কান্নাকাটি কেনো ? মানে হচ্ছে- আমি লুচ্চা হলে, আমার মতে আপনিও লুচ্চা, তো আমার লুচ্চামি নিয়ে আপনার এত সমস্যা কেনো ? কিন্তু আপনি বললেই তো আমি আর লুচ্চা হয়ে যাবো না, আর আপনার লুচ্চামি নিয়ে আমি কথা বলবো; কারণ, আপনার লুচ্চামি মার্কা বিশ্বাস, সমাজের জন্য ক্ষতির কারণ, তাই সেটা নিয়ে কথা বলার অধিকার শুধু আমার নয়, সবারই আছে।
আরেকটা বিষয়- ইসলামের কোনো নোংরা ব্যাপার নিয়ে কথা বললেই, তারা সেটাকে ডিফেন্ড করার জন্য, অন্যান্য ধর্মে সেই বিষয়ে কী আছে, সেটার উদাহরণ তুলে ধরবে; যেমন বাংলাদেশে বিএনপির দুঃশাসন (২০০১-২০০৭) নিয়ে কোনো কথা বললেই সেই সময়ের বিএনপির এমপিরা তুলে ধরতো সেই বিষয়ে অতীতে কোন সরকারের আমলে কী ঘটেছে, সেগুলো। আরে বাবা, বুঝলাম অতীতের সরকারের কাজ খারাপ ছিলো, তাই তাদের পতন হয়েছে এবং জনগণ ভোট দিয়ে আপনাদেরকে ক্ষমতায় এনেছে সুশাসন পাবে বলে। আপনারাও সেই একই ঘটনা ঘটাচ্ছেন, আর সেই কথা বললেই, বলছেন, অতীতের সরকারের সময়ও এমন হয়েছে, তাহলে লোকজন আপনাদেরকে ক্ষমতায় এনেছে কেনো ?
মুসলমানদেরকে বলছি- একই ভাবে আপনারা, নিজেদেরকে আধুনিক ধর্মের লোক মনে করেন, আপনাদের বিধি বিধান হবে প্রাচীনধর্মগুলোর চেয়ে সবদিক থেকে ভালো এবং মানবিক। আপনারা নিজেদেরকে প্রাচীন ধর্মের সাথে তুলনা করবেন কেনো ? প্রাচীন ধর্মে কিছু ভুল ত্রুটি থাকতে পারে, (যদিও তা বাস্তবে নেই) কিন্তু আপনারা তো আধুনিক, আপনাদের ধর্মে সেই সব ভুল ত্রুটি থাকবে কেনো ? কোনো মহিলা যদি প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স করে দ্বিতীয় স্বামী গ্রহণ করে, সেটা সে করবে আগের জনের- অত্যাচার, নির্যাতন এবং তার প্রতি অবহেলার ফলে; দ্বিতীয় জনও যদি সেই একই কাজ করে, আর তার স্ত্রী যদি তাকে সেসব অত্যাচার নির্যাতনের কথা বলে, তাহলে দ্বিতীয় স্বামী কি তাকে আগের জনের অত্যাচার নির্যাতনের উদাহরণ দেবে ? তাহলে ঐ মহিলা, প্রথমজনকে ছেড়ে দ্বিতীয় জনের কাছে এসেছিলো কেনো ?
উপরের এই উদহারণটি দিলাম, জাস্ট উদাহরণ দেওয়ার জন্য, মুসলমানদের মনোভাবের প্রতিবাদ করতে গিয়ে। বাস্তবে পাদের দুর্গন্ধ যেমন লুকানো যায় না, তেমনি ইসলামের নোংরা দুর্গন্ধকেও মুসলমানরা কিছুতেই ঢেকে রাখতে পারবে না, যতই তারা অন্য ধর্মের উদাহরণ টেনে নিজেদের নোংরামিকে আড়াল করার চেষ্টা করুক না কেনো ?
যা হোক, মূল প্রসঙ্গে ফিরে আসি, সেটা হলো- হিন্দুধর্মে হুর।
মুসলমানরা হিন্দুধর্মের হুরের কথা বলতে গিয়ে বেদের একটি মন্ত্র, মহাভারতের কয়েকটি শ্লোক এবং ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণের কিছু শ্লোকের রেফারেন্স দিয়েছে।
মহাভারতের যে রেফারেন্স দিয়েছে, সেটা কোনো এক অখ্যাত অনুবাদক কিশোরীমোহন গাঙ্গুলির, যার নাম মহাভারতের অনুবাদক হিসেবে ইতোপূর্বে আমি শুনিনি। কিন্তু বর্তমানে মহাভারতের বাংলা গদ্য অনুবাদক হিসেবে রাজশেখর বসুর নাম মোটামুটি ভাবে পরিচিত, রাজশেখর বসু মহাভারতের শ্লোক টু শ্লোকের অনুবাদ করেন নি, তিনি সারানুবাদ করেছেন, এর মানে হলো মহাভারতের সকল ঘটনার বর্ণনা তিনি গদ্যে সংক্ষেপে বলেছেন, কিন্তু তার অনুবাদের কোথাও মুসলমানরা মহাভারত থেকে যেসব রেফারেন্স দিয়েছে; যেমন- অনুশাসন পর্ব- ১৩/৭৩, ১৩/১০৬; বন পর্ব- ৩/৪২; শান্তি পর্ব- ১২/৯৮ এর কোথাও হুর বা অপসরা সম্পর্কে সেরকম কোনো কথাই বলা নেই; আর মুসলমানরাও তো সংস্কৃত মহাভারত থেকে কোনো শ্লোক তুলে দিয়ে প্রমাণ করতে পারে নি যে ঐ শ্লোকগুলোতে আসলেই হুর বা অপসরা সম্পর্কে কিছু বলা আছে। তারা শ্লোকের রেফারেন্স দিয়েছে, আর ইংরেজি গদ্য অনুবাদের স্ন্যাপশট দিয়েছে, এটা কি রেফারেন্স দেওয়ার কোনো সিস্টেম ?
মুসলমানদের উদ্দেশ্যে বলছি- বাংলায় রাজশেখর বসুর গদ্য অনুবাদের মহাভারত আছে, সেখান থেকে রেফারেন্স দিয়ে প্রমাণ করে দেখা যে মহাভারতে হুর বা অপসরার কথা বলা আছে, যাদেরকে স্বর্গবাসীরা লাভ করবে। এখানে শ্লোকের রেফারেন্স দিতে হবে না, শুধু পর্বের নাম উল্লেখ করে স্ন্যাপ দিবি, তাতেই হবে, আর যদি পারিস তো মূল সংস্কৃত মহাভারত থেকে শ্লোক তুলে দিয়ে রেফারেন্স দিবি, দেখি তোদের সত্যের জোর কত ?
মহাভারতের পর মুসলমানদের রেফারেন্স হলো- ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ, এই পুরাণে শ্রীকৃষ্ণকে লম্পট হিসেবে উপস্থাপন করায় বহু আগে থেকেই এই পুরাণকে আমি হিন্দুধর্মীয় গ্রন্থাবলী থেকে বাদ দিয়েছি, আমি এটাকে বেদব্যাস রচিত গ্রন্থ ব'লে স্বীকারই করি না, তাই এটা থেকে রেফারেন্স দিয়ে কোনো লাভ নেই; কারণ, যে পুরাণ শ্রীকৃষ্ণকে লম্পট বানিয়েছে, সেই পুরাণ যে কৃষ্ণভক্তদেরকে লম্পট হিসেবে উপস্থাপন করবে, তাতে আর সন্দেহ কি, তাই ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণের মতো, এর রেফারেন্সও আমার কাছে বলদের গু।
এরপর আসা যাক বেদের রেফারেন্সে-
হিন্দুধর্মে হুর প্রমাণ করতে মুসলমানরা রেফারেন্স দিয়েছে অথর্ববেদের ৪/৩৪/২ নং মন্ত্রের একটি শ্লোকের। কিন্তু অথর্ববেদ, বেদ হিসেবে প্রচার বা পরিচিতি পেলেও এটা আসলে বেদই নয়। বেদ তিনটি- যথা ঋক, সাম ও যজুঃ, যেটা শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলেছেন। এছাড়াও ত্রয়ী নামে সনাতন ধর্মে একটি টার্ম আছে, এর দ্বারাও তিনটি বেদকেই বোঝায়। বিষয়বস্তুর দিক থেকেও অথর্ববেদ, বেদের পর্যায়ে পড়ে না; কারণ- ঋক, সাম ও যজুর্বেদে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে স্তব-স্তুতি এবং ঈশ্বরের মাহাত্ম্য বিষয়ক বিষয় বর্ণিত হলেও অথর্ববেদের বিষয় হলো সম্পূর্ণ ব্যবহারিক; যেমন- চিকিৎসা বিদ্যা, তন্ত্র বিদ্যা, বাস্তু ও জ্যোতিষ এবং এই ধরণের প্র্যাকটিক্যাল বিষয়গুলো। যেহেতু এটা ঋষিদেরই রচনা এবং ঋষিগণ কর্তৃক রচিত অপর তিন বেদের সাথে সাথে, এটাও বেদব্যাসের হাতেই সংকলিত হয়েছে, সেহেতু এটা বেদ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে গেছে এবং অপর তিন বেদের সাথে এটাও যুক্ত হয়ে চার বেদ, এটা প্রচার হয়ে গেছে। এসব কারণেই অথর্ববেদের কোনো রেফারেন্সকে বেদের কথা বলে চালানোর কোনো সুযোগ নেই। তাই সনাতন ধর্মে যে হুরের ব্যাপার, সেটা মুসলমানদের শুধুই কষ্ট কল্পনা এবং তাদের বৃথা পরিশ্রম। আর যারা নিজেদের দিকে উঠা অভিযোগের যুক্তিযুক্ত জবাব না দিয়ে অযথা বা যথা অন্যের দিকে আঙ্গুল তুলে, তাদের পরিশ্রম তো বৃথাই হয়।
যা হোক, অথর্ববেদ যেহেতু বেদ হিসেবে প্রচারিত এবং এই অভিযোগটা যেহেতু অথর্ববেদের দিকেই, সেহেতু দেখা যাক, এটা অথর্ববেদের মধ্যে কোনো উদ্দেশ্য সাধনের জন্য প্রক্ষিপ্ত হতে পারে কি না ?
অথর্ববেদের ৩৪/৪ সূক্তের প্রথম চারটি মন্ত্র তুলে দিচ্ছি, এখান থেকে আপনারা বিষয়টি বুঝতে পারবেন।
"ব্রহ্মশব্দ- বাচ্য রথন্তর সাম এ ওদনের মস্তক, বৃহতসাম এ ওদনের পৃষ্ঠভাগ, বামদ্যে সাম এর উদর, গায়ত্রাদি ছন্দগুলি এর দুটি পক্ষ, সত্য নামক সাম হচ্ছে এর মুখ, বিস্তৃত অবয়ব বিশিষ্ট এ সবযজ্ঞ যজ্ঞ দানাদি অন্য তপস্যা অপেক্ষা আধিক্যরূপে উতপন্ন হয়েছে।" (১)
"অস্থি প্রভৃতি ষাট কৌশিক শরীর এদের নেই। অর্থাত অমৃতময় শরীর, অতএব অন্তরিক সঞ্চারি বায়ুর দ্বারা পবিত্রীকৃত, নির্মল, দীপ্যমান সবযজ্ঞের কর্তারা দেহবসানে দীপ্যমান জ্যোতির্ময় লোক প্রাপ্ত হয় স্বর্গলোকে অবস্থিত এদের ভোগসাধন শিশ্ন ইন্দ্রিয় জাতবেদা অগ্নি দগ্ধ করে না অর্থাত নিবীর্য করে না। সুকৃতফলোপভোগ স্থানে এ সুকৃতিদের ভোগের জন্য বহু স্ত্রী আছে।" (২)
"বিস্তৃত ওদন পাক করে যে যজমানরা ব্রাহ্মণদের দেয়, এ যজমানদের কখনো দারিদ্র স্পর্শ করে না। সে সব যজ্ঞের অনুষ্ঠাতা দেহবসানে পিতৃগণের অধিপতি যমের কাছে পূজিত হয়ে সুখে বাস করে এবং তার অনুজ্ঞাত হয়ে দেবতাদের কাছে যায়। সেরূপ সোমপাল বিশ্বাবসু প্রভৃতি গন্ধর্বদের সাথে অমৃতময় সোমপানে হৃষ্ট হয়।" (৩)
" যারা ওদন পাক করে ব্রাহ্মণদের দেয়, সে সবযজ্ঞের অনুষ্ঠাতাদের যম কখনো রেতোহীন করে না। সে সব যজ্ঞের অনুষ্ঠাতা ভূলোকে যাবজ্জীবন রথারূঢ হয়ে সঞ্চরণ করে। অন্তরিক্ষলোকে পক্ষযুক্ত হয়ে সে সে ভোগস্থানে ভোগ লাভ করে।" (৪)
এখন এই চারটি মন্ত্রের মধ্যে থেকে ২ নং মন্ত্রটি তুলে দিয়ে বাকি তিনটি মন্ত্রকে এক সাথে পড়ুন, দেখুন কাহিনী ঠিক মিলে যাবে, তিনটি মন্ত্র পড়ুন নিচে-
"ব্রহ্মশব্দ- বাচ্য রথন্তর সাম এ ওদনের মস্তক, বৃহতসাম এ ওদনের পৃষ্ঠভাগ, বামদ্যে সাম এর উদর, গায়ত্রাদি ছন্দগুলি এর দুটি পক্ষ, সত্য নামক সাম হচ্ছে এর মুখ, বিস্তৃত অবয়ব বিশিষ্ট এ সবযজ্ঞ যজ্ঞ দানাদি অন্য তপস্যা অপেক্ষা আধিক্যরূপে উতপন্ন হয়েছে।" (১)
"বিস্তৃত ওদন পাক করে যে যজমানরা ব্রাহ্মণদের দেয়, এ যজমানদের কখনো দারিদ্র স্পর্শ করে না। সে সব যজ্ঞের অনুষ্ঠাতা দেহবসানে পিতৃগণের অধিপতি যমের কাছে পূজিত হয়ে সুখে বাস করে এবং তার অনুজ্ঞাত হয়ে দেবতাদের কাছে যায়। সেরূপ সোমপাল বিশ্বাবসু প্রভৃতি গন্ধর্বদের সাথে অমৃতময় সোমপানে হৃষ্ট হয়।" (৩)
" যারা ওদন পাক করে ব্রাহ্মণদের দেয়, সে সবযজ্ঞের অনুষ্ঠাতাদের যম কখনো রেতোহীন করে না। সে সব যজ্ঞের অনুষ্ঠাতা ভূলোকে যাবজ্জীবন রথারূঢ হয়ে সঞ্চরণ করে। অন্তরিক্ষলোকে পক্ষযুক্ত হয়ে সে সে ভোগস্থানে ভোগ লাভ করে।" (৪)
এখানে খেয়াল করুন, ২ নং মন্ত্র তুলে দেওয়ার পরও কাহিনী বুঝতে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। তার মানে ২ নং মন্ত্রটি পরে কেউ কোনো উদ্দেশ্যসাধনে এখানে বসিয়ে দিয়েছে, যেহেতু ৪ নং মন্ত্রে আছে, "যজ্ঞের অনুষ্ঠাতাদের যম কখনো রেতোহীন করে না।… অন্তরিক্ষলোকে পক্ষযুক্ত হয়ে সে সে ভোগস্থানে ভোগ লাভ করে।" এর উপর ভিত্তি করে তারা মন্ত্র বানিয়েছে-
"অস্থি প্রভৃতি ষাট কৌশিক শরীর এদের নেই। অর্থাত অমৃতময় শরীর, অতএব অন্তরিক সঞ্চারি বায়ুর দ্বারা পবিত্রীকৃত, নির্মল, দীপ্যমান সবযজ্ঞের কর্তারা দেহবসানে দীপ্যমান জ্যোতির্ময় লোক প্রাপ্ত হয়। স্বর্গলোকে অবস্থিত এদের ভোগসাধন শিশ্ন ইন্দ্রিয় জাতবেদা অগ্নি দগ্ধ করে না অর্থাত নিবীর্য করে না। সুকৃতফলোপভোগ স্থানে এ সুকৃতিদের ভোগের জন্য বহু স্ত্রী আছে।"- (৩৪/৪/২)
এবার দেখুন ৩৪/৪/২ নং মন্ত্রে কী কী অসঙ্গতি আছে।
শুরুতেই বলা আছে- "অস্থি প্রভৃতি ষাট কৌশিক শরীর এদের নেই।" অর্থাত এই মন্ত্র মতে- স্বর্গবাসীদের কোনো শরীরই নেই; তাহলে স্বর্গলোকে- অগ্নি, স্বর্গবাসীদের শরীর, তাদের শিশ্ন অর্থাত লিঙ্গ ব্যতিরেকে দগ্ধ করবে কিভাবে ?
যেহেতু ৩৪/৪/৪ নং মন্ত্রে বলা আছে- 'অন্তরিক্ষলোকে পক্ষযুক্ত হয়ে সে সে ভোগস্থানে ভোগ লাভ করে।"
স্বর্গ যেহেতু সুখভোগের স্থান, সেহেতু এই কথা বলা হয়েছে, এটার উপর ভিত্তি করে ঐ প্রক্ষিপ্ত মন্ত্রে বলা হয়েছে, সুকৃতফলোপভোগ স্থানে এ সুকৃতিদের ভোগের জন্য বহু স্ত্রী আছে।"
অর্থাত মূলে যেখানে আছে- সুখ ভোগের ব্যাপার, সেখানে প্রক্ষিপ্ত মন্ত্রে করা হয়েছে বহু স্ত্রী ভোগ এবং এটার উপর ভিত্তি করেই মুসলমানরা বলে বেড়াচ্ছে যে- হিন্দুরাও স্বর্গে গেলে হাজার হাজার স্ত্রী পাবে, সুতরাং মুসলমানদের হুর প্রাপ্তি নিয়ে তাদের এত কান্নাকাটি কেনো ?
অর্থাত মুসলমানদের বক্তব্য হচ্ছে- মুসলমানরা যদি হুর নিয়ে লম্পট হয়, তাহলে হিন্দুরাও বহু স্ত্রী নিয়ে লম্পট, সুতরাং সমানে সমান। কিন্তু আমি উপরেই আলোচনা করেছি যে- আধুনিক দাবীকারী কেউ, প্রাচীনের সাথে নিজেকে তুলনা করতে পারে না।
এবার আলোচনার সারসংক্ষেপে আসা যাক-
মুসলমানরা, হিন্দুধর্মে হুর প্রসঙ্গে যেসব রেফারেন্স দিয়েছে, তার মধ্যে প্রথমত মহাভারতের সকল রেফারেন্স মিথ্যা। দ্বিতীয়ত ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণের রেফারেন্স গ্রহনযোগ্য নয়, যেহেতু এই পুরাণে শ্রীকৃষ্ণকে লম্পট হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে; কারণ, এমন একটি পুরাণ বেদব্যাসের হাতে রচিত হতেই পারে না। তৃতীয়ত- অথর্ববেদ বেদই নয় এবং বেদ হিসেবে পরিচিত হয়ে গেছে ব'লে এই বেদকে বেদ হিসেবে স্বীকার করে নিলেও যে মন্ত্রে বহু স্ত্রীর কথা বলা হয়েছে, সেই মন্ত্রটি প্রক্ষিপ্ত এবং সেই প্রক্ষিপ্ত মন্ত্রের মধ্যেও আছে নানা অসঙ্গতি, যেহেতু মন্ত্রের শুরুতেই বলা হয়েছে- স্বর্গবাসীদের কোনো স্থূল শরীর নেই, সেহেতু সেই স্থূল শরীরকে পোড়ানো এবং সেই পোড়ানোর সময় ভোগ সাধন লিঙ্গকে বাঁচিয়ে রাখা একটি অবাস্তব ব্যাপার। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে- কারো দেহই যদি না থাকে, তাহলে শুধু লিঙ্গ দিয়ে সে কিভাবে দৈহিক সুখ ভোগ করবে ?
এই সব বিচারে একথা স্পষ্ট করে বলা যায় যে- হিন্দুধর্মে হুর আসলে মুসলমানদের একটি কষ্ট কল্পনা মাত্র।
এর বিপরীতে ইসলামে হুরের ব্যাপারটি যে কতটা স্পষ্ট এবং তা কতটা লাম্পট্য চিন্তায় ভরা, দেখুন নিচে-
বেহেশতি পুরুষদের প্রাপ্ত হুরের সংখ্যা সম্পর্কে বলা হয়েছে কমপক্ষে ৭২ জন এবং বেশিপক্ষে ১২,৫৭২ জন। এই হুরেরা সবাই হবে ১৬ বছর বয়স্কা। তাদের স্তন হবে খাড়া, যা কখনোই ঝুলে পড়বে না। তাদের চোখ হবে সুন্দর, তারা সব সময় থাকবে ন্যাংটা। পায়খানা প্রস্রাব, ঋতুস্রাব, সর্দি কাশির মতো কোনো নোংরা বিষয় তাদের থাকবে না। তারা হবে সাদা রং এর। তাদের দেহের ভেতর দিয়ে এপার ওপার সব দেখা যাবে। (কোরান ৫২/১৭-২০, ৭৮/৩১-৩৬, তিরমিজি –অধ্যায় ২ )
এই ধরণের হুর এবং এতগুলো হুরের সাথে সেক্স করার জন্য প্রত্যেক বেহেশতি পুরুষ পাবে ১০০ জন পুরুষের যৌনশক্তি (তিরমিজী, অধ্যায় ২, পৃষ্ঠা-১৩৮)| আর তাদের একজন হুরের সাথে একবারের সেক্সের এর সময়ের দৈর্ঘ হবে ঐ পুরুষ পৃথিবীতে যত দিন বেঁচে ছিলো ততদিন; অর্থাৎ তার পৃথিবীর জীবন ৬০ বছর হলে ৬০; ৭০ বছর হলে ৭০ বছর। এছাড়াও কোনো পুরুষের লিঙ্গ কখনো নিস্তেজ বা দুর্বল হয়ে পড়বে না, সব সময় শক্ত বা খাড়া হয়ে থাকবে | ( হাদিস নং ৪৩৩৭, ইবনে মাজাহ, ভলিউম-৫, পৃষ্ঠা-৫৪৭)
এ থেকে স্পষ্ট যে বেহেশতি পুরুষদের কখনো বীর্যপাত হবে না। তাহলে এখানে প্রশ্ন হচ্ছে, বীর্যপাত ই যদি না হয়, তাহলে সেক্স করার মজাটা কী ?
এছাড়াও বেহেশতে থাকবে চিরকিশোর তরুন, যাদের বলে গেলমান। এরা বেহেশতি পুরুষদের সবরকম খেদমতে নিয়োজিত থাকবে। হুরের সাথে সেক্স করে যদি কোনো পুরুষ একঘেঁয়েমিতে ভুগে, তখন তারা গেলমানদের সাথে সমকাম করে রুচি চেঞ্জ করতে পারবে। (কোরান - ৭৬/১৯)
বেহেশতে যাওয়ার পরপরই মুসলিম পুরুষরা যেসব হুর গেলমান পাবে, তা তাদের জন্য অনন্ত কালের জন্য নির্দিষ্ট। কিন্তু তাতেও যদি মুসলমানদের একঘেঁয়েমি এসে যায়, তখন সেই এক ঘেঁয়েমি কাটাতে বেহেশতে আছে হুরদের বাজার। এই বাজারে গিয়ে যে কোনো হুরকে পছন্দ হওয়া মাত্র মুসলমানরা সেখানেই তার সাথে সেক্স করা শুরু করতে পারবে (সহি হাদিস, অধ্যায় ৪, পৃষ্ঠা-১৭২, নং ৩৪)। এছাড়াও বেহেশতে খাবার দাবারের মধ্যে আছে- মদের নদী, দুধের ঝরণা, শীতল জলের ঝরণা ইত্যাদি ইত্যাদি, সেগুলোর বর্ণনা দিয়ে লেখার পরিধি আর বাড়ালাম না।
মুসলমানদের ইসলাম পালনের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো- আল্লার পতিতালয় বেহেশতে গিয়ে অগুনতি হুর নিয়ে সব সময় অনন্তকাল ধরে দোচাদুচিতে মেতে থাকা। এইরকম লাম্পট্যভরা চিন্তা নিয়ে যারা ধর্মপালন করে, তাদের মন-মানসিকতা আর কত উন্নত হবে ? তারা নিজেরা যেমন লম্পট, তারা তো চাইবেই হিন্দুদেরকেও লম্পট বানাতে; তাই- মহাভারত, পুরাণ ও বেদে হুর খুঁজে বেড়াচ্ছে।
জয় হিন্দ।
-----------------------------
উপরে যেসব রেফারেন্স দিয়েছি, আমার সেই বর্ণনায় কারো যদি সন্দেহ থাকে, নিচে হাদিস কোরানের সেই বাণীগুলো তারা দেখে নিতে পারেন-
কোরান - ৭৬/১৯ :
"তাদের সেবাকার্যে এমন সব বালক ব্যস্ত সমস্ত হয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে থাকবে যারা চিরকালই বালক থাকবে। তোমরা তাদেরকে দেখলে মনে করবে, এরা যেন ছড়ানো মুক্তা।"
কোরান, ৫২/১৭-২০:
"মুমিনগণ থাকবে সুখময় জান্নাতে, যেখানে আনন্দ-উল্লাস করে বেড়াবে আল্লাহ দানে... তাদের বলা হবেঃ তোমাদের কৃতকর্মের জন্য খাও-দাও, ফূর্তি করো, এবং তারা সারি-বাধা সিংহাসনে হেলান দিয়ে বসবে এবং আমরা (আল্লাহ) তাদেরকে যৌন-উন্মাদক চোখওয়ালা পরম সুন্দরী হুরদের তাদের সঙ্গী বানাব।"
তিরমিজী, অধ্যায় ২, পৃষ্ঠা-১৩৮:
"তারা যখন বেহেশতে প্রবেশ করবে তখন তাদের বয়স হবে ৩০ বৎসরের যুবকের ন্যায় এবং তাদের বয়সে আর কোন পরিবর্তন হবে না; আর প্রত্যেক বেহেশ্তবাসীকে ১০০টি শক্তিশালী পুরূষের সমান যৌনশক্তি দান করা হবে।"
সহি বুখারি , অধ্যায় ৪, পৃষ্ঠা-১৭২, নং ৩৪:
হযরত আলী (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, “নবী (সঃ) বলেছেন যে বেহেশতে একটি মস্তবড় খোলা বাজার থাকবে, যেখানে কোন কেনা-বেচা হবে না। সেখানে শুধুই থাকবে অতি-সুন্দরী উন্নত-বক্ষা হুরীগঙ, যারা ফলের দোকানের ন্যায় সেজে-গুজে বসে থাকবে বেহেশতবাসীদেরকে আকর্ষণ করার জন্য। বেহেশতবাসীদের পছন্দ হলেই তৎক্ষণাৎ তারা সে হুরীর সঙ্গে যৌন কাজ শুরু করে দেবে ঠিক সেখানেই”।
তিরমিজি, অধ্যায় ২,
"একজন হুরী অনিন্দ্য সুন্দরী যুবতী, যার শরীর হবে আয়নার মত স্বচ্ছ বা মসৃন। তার পায়ের হাড়ের ভেতরের মজ্জা দেখতে পাওয়া যাবে যেন মনি-মুক্তার ভেতরে রেখার ন্যায়। তাকে মনে হবে একটি সাদা গ্লাসে রাখা লাল মদের ন্যায়। সে হবে সাদা রং-এর দুধে আলতা মিশানো, এবং তার কখনো হায়েজ (মাসিক বা menstruation), প্রস্রাব, পায়খানা, গর্ভবতী হওয়া ইত্যাদি কিছুই হবে না। হুর হবে অল্প-বয়স্কা, যার বক্ষ-যুগল হবে বড় বড় ও গোলাকার, যা কখনোই ঝুলে পড়বে না; সব সময় তীরের ন্যায় চোকা থাকবে। এসব হুরীগণ থাকবেন এক অতি উজ্জ্বল এবং জৌলুসপূর্ণ জায়গায়।"
নবী করিম (সঃ) আরও বলেছেন যে-
‘‘বেহেশতবাসীরা ১০০জন শক্তিশালী পুরুষের সমান যৌন-শক্তি লাভ করবে। বেহেশতের প্রত্যেক বাসিন্দা পাবে ৫০০ শত হুরী, ৪,০০০ অবিবাহিত যুবতী মেয়ে ও ৮,০০০ যুবতী বিধবা মেয়ে। এরা প্রত্যেকে একজন (প্রতিটি) বেহেশতবাসী জিহাদীকে ক্রমান্বয়ে একে একে আলিঙ্গনাবদ্ধ করে রাখবে যার, স্থায়ীত্ব একজন বেহেশতবাসীর পার্থিব সারা জীবনের সময়ের সমান হবে।’’- (হাদিস নং ৪৩৩৭ ইব নে মাজাহ, ভলিউম-৫, পৃষ্ঠা-৫৪৭)
ইসলামের মহা পন্ডিত ইমাম গাজ্জালীর “Ihya Uloom Ed-Din”, পৃষ্ঠা ৪.৪৩১ #
"তারা হবে দাড়ীহীন, এবং শরীরে কোন লোম থাকবে না। তাদের বয়স হবে ৩৩ বৎসর (কখনো বয়স বাড়বে না) এবং তারা হবে ৬০ ফুট লম্বা ও ৭ ফুট চওড়া।"
আবু ওমামা (রাঃ) বলেছেন যে আল্লাহর রসুল (দঃ) বলেছেন,
“আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বেহেশতে স্থান দিবেন এবং প্রতিটি বেহেশতবাসীকে বিবাহ দিবেন ৭২টি অনিন্দ্য সুন্দরী রমণীর সঙ্গে; যাদের মধ্যে দুইজন হবে চিরকুমারি (virgin) আয়োতলোচনা এবং বড়-বড় চোখওয়ালা হুরী, এবং বাকী ৭০জন হবে উত্তরাধিকার, যা সে লাভ করবে দোজখবাসীদের হিস্যা থেকে বা গনীমতের মাল থেকে। প্রত্যেকটি সুন্দরী রমণী বা কন্যার থাকবে খুব সুখদায়ক যৌনাঙ্গ (pleasant vagina) এবং বেহেশতি পুরুষের যৌনাঙ্গ (penis) সর্বদাই শক্ত ও খাড়া হয়ে থাকবে (Permanent erection), কখনো বাঁকা হবে না যৌনতার সময়। অর্থাৎ মূলত পুরুষাঙ্গটি সবসময়ই হুরীদের যোনির ভেতরে প্রবিষ্ট থাকবে পালাক্রমে একের পর এক প্রায় ৭০ বৎসর ধরে।" - (হাদিস নং ৪৩৩৭ ইবনে মাজাহ, ভলিউম-৫, পৃষ্ঠা-৫৪৭)
আবু উমামা কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল বলেছেন,
"আল্লাহ যাদের জান্নাতে প্রেরণ করবেন, তাদের প্রত্যেককে ৭২ খানা স্ত্রীর সহিত বিবাহ দেয়া হইবে; যার দুইখানা হুরি এবং বাকি সত্তরখানা হবে জাহান্নামবাসীদের সম্পত্তির। তাদের সকলের থাকবে কামুক যৌনাঙ্গ এবং তার লিঙ্গ থাকবে অনন্তকাল উত্থিত।" -[সুনান ইবনে মাজা, যুহ্দ (Book of Abstinence) ৩৯]
দারাজ ইবনে আবি হাতিম কর্তৃক উল্লেখিত, আবু সাইদ আল-খুদরির নিকট হইতে প্রাপ্ত, আবু আল-হায়থাম’আবদুল্লাহ ইবনে ওহাব কর্তৃক বর্ণিত, যিনি শুনেছেন, নবী (সঃ) বলেছেন,
"জান্নাতের সবচে ছোট পুরস্কার হবে একটি প্রাকৃতিক ঘর, যেখানে আট হাজার ভৃত্য এবং ৭২ খানা হুরি থাকবে, যার গম্বুজ থাকবে মুক্তো, পান্না ও চুনী দ্বারা সজ্জিত, এবং যা প্রশ্বস্ত হবে আল-জাবিয়াহ থেকে সানার মধ্যকার দুরত্বের সমান।"- [আল-তিরমিজি, ভল্যুম ৪, চ্যাপ্টার ২১, নাম্বার ২৬৮৭]
"একজন হুরির সাথে প্রতিবার শয্যাগ্রহনকালে আমরা তাকে কুমারী হিসেবে পাব। তাছাড়া জান্নাতিদের লিঙ্গ কখনো নমনীয় হবে না। এই লিঙ্গোত্থান হবে অনন্তকালের জন্য; প্রতিবার তোমরা যে আনন্দ উপভোগ করবে, তা হবে পরম তৃপ্তিদায়ক যা এই দুনিয়ার কেউ পায় নি, এবং তোমরা যদি সেই পুলক দুনিয়াতে থেকে লাভ করতে তাহলে অজ্ঞান হয়ে যেতে। নির্বাচিত প্রতিটি মুসলিম বান্দা তাদের পৃথিবীর স্ত্রীদের ছাড়া আরও ৭০ খানা হুরির সহিত বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হইবে, এবং তাদের সকলের থাকবে অত্যন্ত কামুক যোনী।"- [আল-ইতকান ফি উলুম আল-কুরান, পৃঃ ৩৫১]
No comments:
Post a Comment