অবশেষে- সংকটে আর্য সমাজীদের বোধোদয় :
সামান্য একটু ঠেলা খেয়েই আর্য সমাজীরা লাইনে আসা শুরু করেছে, এই যেমন- তারা কখনো নিজেদের হিন্দু বলতো না, বলতো আর্য; 'হিন্দু' শব্দটিকেই তারা প্রচণ্ড ঘৃণা করতো; সনাতনীরা- হিন্দু নয়, আর্য; এটা প্রমাণ করার জন্য তারা বহু প্রবন্ধও লিখেছে, কিন্তু এই প্রবন্ধে, যার জবাব আমি দিচ্ছি এবং যেটা ফটো হিসেবে আমার এই পোস্টের সাথে যুক্ত করে দিয়েছি, সেখানে দেখুন, 'বৈষ্ণবদের ঈদ এসেছে' শিরোনামের লেখার প্রথম প্যারাতেই লিখেছে,
"আপনারা জানেন দুই দিন আগে দুইজন হিন্দু যোদ্ধাকে মুসলিম জঙ্গীরা ফাঁসিয়ে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিয়েছে।"
তীব্র তালুকদার নামের আরেক জন আর্য সমাজীও তার পোস্টে নিজেদেরকে হিন্দু হিসেবে দাবী করেছে।
-আর্য সমাজীরা যে নিজেদেরকে হিন্দু ভাবে, এটা জেনেই তো আমার আকাশ থেকে পড়ার অবস্থা। যারা শ্রীকৃষ্ণকে ঈশ্বর মনে করে না, তারা নাকি আবার হিন্দু ! এরা যদি হিন্দু হয়, তাহলে আর তাদের সাথে আমার বিরোধ কিসের ? আসেন ভাই, গলাগলি করি।
হিন্দু প্রসঙ্গে বলছি- আমরা সবাই জানি যে আমরা সনাতনী, কিন্তু আমাদের পূর্ব পুরুষদের দুর্বলতা বা পাপের কারণে আমাদের উপর হিন্দু শব্দটি চেপে বসেছে, এখন সেটাকে না মেনে আমাদের কোনো উপায় নেই; কারণ, এই নামেই আমরা সারা পৃথিবীতে পরিচিত হয়ে গেছি। কিন্তু সেই বাস্তবতাকে না মেনে আর্য সমাজীরা যেভাবে হিন্দু শব্দ নিয়ে ছিঃ ছিক্কার করেছে, মুসলমানরাও ততটা করে নি।
যা হোক, আর্য সমাজীরা নিজেদেরকে হিন্দু বলে প্রচার করে প্রথমেই তো একটু লাইনে এসেই গেছে, তাই তারা আমাদের কাছাকাছি আসার জন্য যে শ্রীকৃষ্ণকে তারা এতদিন যোগেশ্বর বলে প্রমাণ করার জন্য রাত দিন এক করে ফেলেছ, সেই শ্রীকৃষ্ণকে ভগবানও বলছে, দেখুন একটি প্যারায় লিখেছে,
"মহাভারতে বর্ণিত আছে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে প্রচুর প্রাণহানি হবে সেই কথা ভেবে ভগবান শ্রী কৃষ্ণ শেষ বারের মতো যুদ্ধবন্ধের প্রস্তাব নিয়ে হস্তিনাপুর আসেন।"
-খেয়াল করুন, এই প্যারায় লিখেছে, 'ভগবান শ্রী কৃষ্ণ'।
আর্য সমাজীরা কি এর আগে কোথাও কখনো শ্রীকৃষ্ণকে ভগবান বলেছে ?
যা হোক, আমি আমার একটি পোস্টে বলেছি, শান্তি প্রস্তাব নিয়ে শ্রীকৃষ্ণ হস্তিনাপুর এলে বিদুরের স্ত্রীর এক প্রশ্নের জবাবে শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন- "যাদেরকে রক্ষা করার প্রয়োজন, তাদেরকে রক্ষা করা হবে, আর যাদেরকে রক্ষা করার প্রয়োজন নেই তারা বিনাশ প্রাপ্ত হবে।" এই কথার মাধ্যমে আমি নাকি শ্রীকৃষ্ণকে জঙ্গী প্রমাণ করতে চেয়েছি ! এ যে দেখছি, মায়ের চেয়ে মাসীর নয়, পাড়াপড়শীর দরদ বেশি। সমাজে প্রচলিত শ্রীকৃষ্ণের তথাকথিত লম্পট ভাবমূর্তিকে দূর করতে এ পর্যন্ত আমি শ্রীকৃষ্ণকে নিয়ে যত পোস্ট লিখেছি, আর এই গবেষণায় যত সময় ব্যয় করেছি, সেটা যদি প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে করতাম, যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমি ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করতাম। সারাজীবন শ্রীকৃষ্ণকে নানাভাবে গালিগালাজ করে, তাকে বিভিন্ন ভাবে ছোট করে, আজ এসেছে শ্রীকৃষ্ণের প্রতি দরদ দেখাতে, এসব কপট দরদ, মায়ের সামনে ছেলের প্রতি না দেখিয়ে অন্য কোথাও দেখা, কাজে লাগলেও লাগতে পারে।
এই আর্য সমাজী বলেছে, "আর্য সমাজের বিভিন্ন website, youtube চ্যানেলে শ্রীকৃষ্ণ ও রামচন্দ্রের মহত্ত্ব, আদর্শ ও প্রকৃত ইতিহাসকে তুলে ধরা হয়।"
তাই যদি হয়, তাহলে আমরা যখন শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীরামচন্দ্র সম্পর্কে পোস্ট লিখে তাদের মহত্ত্ব সমাজে প্রচার করি, আমাদেরকে পৌরাণিক বা পৌরাণিক পোপ বলে গালি দেওয়া হয় কেনো ? বিপদে পড়ে এখন শাক দিয়ে মাছ ঢেকে নিরামিষী হওয়ার চেষ্টা ? এসব ভণ্ডামি বাদ দেন, লোকজন সব বুঝে।
এই আর্য সমাজী অভিযোগ করেছে, আমি নাকি নিজেকে ঈশ্বরের সাথে তুলনা করেছি, তার এই অভিযোগের ভিত্তি হলো, আমি যে বলেছি, আমি জন্মসূত্রেই জ্যোতিষী, তাই আগাম অনেক কিছু আমি বুঝতে পারি, সেটা।
বালকের মতো বুদ্ধি নিয়ে কেনো যে এরা আমার সাথে লাগতে আসে, সেটাই তো বুঝি না। এই বালক যদি বুঝতো যে- No knowledge is complete without astrological knowledge, তাহলে সে জ্যোতিষ বিদ্যা চর্চা করতো, আর তখন বুঝতো মানুষ যা হবার তা জন্মসূত্রেই হয়, বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার মধ্যে সেই বিশেষ প্রতিভার বিকাশ হয় মাত্র। যে ব্যক্তি ডাক্তার, সে জন্মসূত্রেই ডাক্তার, যে ব্যক্তি নেতা, সে জন্মসূত্রেই নেতা, একই ভাবে যে ব্যক্তি মূর্খ, সে জন্মসূত্রেই মূর্খ। কারণ, পূর্বজন্মের কর্মফলের ভিত্তিতে আমরা এ জন্মে কী হবো, সেটা নিজেরাই নির্ধারণ করি, ঈশ্বর আমাদেরকে জাস্ট সেভাবে জন্ম দেন মাত্র। তাহলে আমি যে বলেছি- আমি জন্মসূত্রে জ্যোতিষ, সেখানে দোষ কোথায় ? আমি জ্যোতিষ বিদ্যা জানি বলেই, সেটা বলেছি এবং এটাও ঠিক, কারো হরস্কোপ দেখে আমি যদি কোনো ভবিষ্যদ্বাণী করি, সেটা ৯৫% তার জীবনে ফলতে বাধ্য।
এই জ্যোতিষ প্রসঙ্গে আরেকজন আর্য সমাজী তীব্র তালুকদার আমাকে খোঁচা দিয়ে বলেছে, আমি যদি এতই জ্যোতিষ জানি, তাহলে আমি যেন বলে দিই, করোনা ভাইরাস কবে পৃথিবী থেকে দূর হবে, ইত্যাদি ইত্যাদি।
-সব মানুষের জ্ঞানের লিমিটেশন আছে, আমারও আছে। আমি তো বলি নি যে আমি সব বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারি। যে বিষয়টা আমার মাথায় আসে, আমি শুধু সেটাই বলতে পারি এবং আমার এই ইনটুইশন থেকে আগেও বলেছি, আবারও বলছি- ১০০ বছর পর হোক, আর ১ হাজার বছর পর হোক, ইসলাম যেমন পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হবে, তেমনি আর্য সমাজের বিলুপ্তিও আগামী দেড়শ বছরের মধ্যে অবশ্যই হবে, যদি তারা শ্রীকৃষ্ণকে ঈশ্বর হিসেবে না মানে।
এই আর্য সমাজী আমাকে ভুল বানানে হাফ বৈষ্ণব (বৈষ্ঞব) বলেছে এবং পোস্টের নামও ভুল বানানে দিয়েছে- 'বৈষ্ঞবদের ঈদ এসেছে'।
এর আগেই আমি বহুবার বলেছি- আমার সাথে পাঙ্গা দিতে হলে বাংলা বানান আর বাক্যগুলো অন্তত শুদ্ধ করে লিখতে শিখ, সাথে বিরাম চিহ্নের ব্যাপারটাও। কিন্তু কার কথা কে শোনে ? কম্পিউটারে 'ষ্ণ' লিখতে যে ষ+ণ লাগে, সেটা সম্ভবত এ জানেই না, তাই বৈষ্ণব লিখতে গিয়ে বার বার লিখেছে "বৈষ্ঞব"।
যা হোক, কান খুলে শুনে রাখ, বৈষ্ণব ঘরে আমার জন্ম হলেও আমি যে বৈষ্ণব নই, সেটা আমি শুধু অনলাইনে লিখাতেই নয়, প্রকাশ্যেও বলি। কারণ, বৈষ্ণব শাস্ত্র মতে- কোনো বৈষ্ণব বা বৈরাগীর কোনো সংসার থাকবে না, থাকবে না স্ত্রী-সন্তান-পরিবার, তার কোনো কর্ম থাকবে না, তার একমাত্র কর্ম হলো ভিক্ষা করে খাওয়া, এসব আমি করি না এবং মন থেকেও এসব বিশ্বাস করি না, তাই আমি বহু আগেই থেকেই প্রকাশ্যে বলে বেড়ায় যে- আমি বৈরাগী নই, আর তুমি আমাকে বললে হাফ বৈষ্ণব ! আমি যে বৈষ্ণব নামের নপুংসক নই, সেটা কি তোমাকে বিছানায় বুঝিয়ে দিতে হবে ?
এই আর্য সমাজী আরো বলেছে, রনি ও সঞ্জয়, তাদের আইডি থেকে ইসলাম নিয়ে কিছু বলে নি ?
-তাহলে তারা মুসলমানদের টার্গেট হলো কেনো এবং কিভাবে ?
আমরা যারা রেগুলার ফেসবুক চালাই, তারা জানি যে- মুসলমানরা মাঝে মাঝেই ফেক আইডি খুলে হিন্দুদেরকে সমস্যায় ফেলে, এটা জেনে বুঝেও রনি ও সঞ্জয় কেনো রিয়াল আইডি খুলে সেখানে নিজের ছবি দিয়ে রেখেছিলো ? এটা কি তাদের মূর্খামি নয়। আমি যে ওদেরকে মূর্খ বলেছি, সেটা কি খুব বড় ভুল ? অথচ যারা আমার সাথে যুক্ত এবং আমার হয়ে কাজ করে, তাদের প্রায় সবাইকে আমি পার্সোনাল মেসেজ করে জানিয়ে দিই যে, প্রোফাইল পিকচারে নিজের ছবি দেওয়া যাবে না, যারা আমার সেই কথা শুনেছে বা আমার সব কথা শোনে, তারা কোনো দিনও এই ধরণের বিপদে পড়ে নি, ভবিষ্যতেও পড়বে না। বাংলাদেশের হিন্দুদের এই ধরণের বিপদ সম্পর্কে আর্য সমাজীরা কি কখনো কাউকে সাবধান করেছে ? যে জানে না যে গর্তটা আসলে কোথায়, সে ই কিন্তু গর্তে পড়ে, আর্য সমাজের দুইজন সদস্য আসলে এখন সেই গর্তে পড়েছে। তাহলে তারা যাকে গুরু মানে, তাদের রক্ষার্থে তাঁর ভূমিকা কী ? কিন্তু আমাকে যারা মানে, আমি তাদের ভালো মন্দ সকল সময় তাদের পাশে থাকি, তাদেরকে সকল রকম পরামর্শ দিই, যাতে তারা কোনোরকমের সমস্যা না পড়ে এবং জীবনে ভালো থাকে। আর্য সমাজীদের কোনো গুরু কি তার অনুসারীদের জন্য এই ধরণের ভূমিকা পালন করে ?
যা হোক, এই আর্য সমাজী আরো বলেছে- এই পর্যন্ত কয়জন মুসলমানকে আমি আমার লেখার দ্বারা হিন্দু বানাতে পেরেছি ?
-অনেক মুসলমান সব জেনে বুঝেও ইসলাম ত্যাগ করতে পারে না, নিহত হবার ভয়ে। তাই মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় অনেক মুসলমান মন থেকে ইসলাম পালন না করলেও, জাস্ট দেখানোর জন্য শুক্রবারে মসজিদে এবং বছরে দুবার ঈদের নামাজ পড়তে যায়। এই অবস্থায় কোনো মুসলমানকে কি ইসলাম ত্যাগ করানো এবং হিন্দু বানানো সম্ভব ?
এর বিপরীতে আমি যেটা করেছি, সেটা হলো- শত শত নয়, হাজার হাজার জন্মসূত্রে হিন্দু ছেলে মেয়েকে প্রকৃত হিন্দু বানিয়েছি এবং এর মাধ্যমে বহু হিন্দু ছেলে মেয়েকে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করা থেকে আটকাতে পেরেছি এবং গত ৭ বছরে যেভাবে আমার সাথে যুক্ত হিন্দুদের মনোজগতে প্রভাব ফেলে এই কাজ অমি করেছি, সেটা বাংলাদেশে ১৯৮৫ থেকে কাজ শুরু করা আর্য সমাজীরা দূরে থাক, ৫০ বছরের ইসকন বা দেড়শ বছরের রামকৃষ্ণ মিশনও তার ১% করতে পারে নি, হিন্দু সমাজের প্রতি আমার অবদান কি খুব কম ?
আর্য সমাজী তীব্র তালুকদারের একটি বক্তব্য হলো- "রূপক রায়ের বক্তব্য অনুযায়ী যা হয়েছে ঠিকই হয়েছে তারা নাকি তাদের কাজের ফল পেয়েছে।তাহলে বলুন তো এই রকম ঘটনা আগেও ঘটেছে কিন্তু তারা কেউ আর্য না তাহলে তারা কোন কাজের শাস্তি পেয়েছে? বাংলাদেশে মন্দির ভাঙার ঘটনা প্রায়ই শোনা যায় তারা কোন ফলের শাস্তি পেল?"
- আরে বলদা, এই পৃথিবীতে কোনো কিছুই কার্যকারণ ছাড়া ঘটে না। পৃথিবীতে সবাই তাদের কর্মের ফলই ভোগ করে। রনি এবং সঞ্জয়ের মাধ্যমে আর্য সমাজীরা যে ধাক্কা খেলো, সেটা আর্য সমাজীদের শ্রীকৃষ্ণকে গালিগালাজ ও অপমান করারই যে পাপের ফল, তাতে আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। এই ধরণের ঘটনায় ইতোপূর্বে বাংলাদেশের যেসব হিন্দু নির্যাতনের শিকার হয়েছে, তাদের লাইফ হিস্টোরি তো আর সব জানি না, তাই তারা কোন পাপের শাস্তি ভোগ করেছে, সেটা বলতে না পারলেও, এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি যে- তারা কোনো না কোনো পাপের ফলই ভোগ করেছে।
আর বাংলাদেশের মন্দির ভাঙ্গার ঘটনা কোন পাপের ফল ?
-এটা বোঝেন না, আবার এসেছেন আমার সাথে তর্ক করতে বা আমার ভুল ধরতে ? শোনেন, এটা আমাদের পূর্ব পুরুষদের পাপের ফল, পিতার পাপের ফল যেমন পুত্র-কন্যা বা নাতী নাতনীদেরকে ভোগ করতে হয়, তেমনি আমরা বাঙ্গালি হিন্দুরা ভোগ করছি আমাদের পূর্ব পুরুষদের নির্বুদ্ধিতা ও পাপের ফল।
আমাদের পূর্বপুরুষরা ধর্ম সংস্কৃতি রক্ষায় কোনো কাজ করে নি, যার ফলে- যে অখণ্ড বাংলা এক সময় হান্ড্রড পার্সেন্ট হিন্দু অধ্যুষিত ছিলো, সেই বাংলায় ১৯৪৬ সালে এসে হিন্দু জনসংখ্যা দাঁড়ায় মাত্র ৩০% এ, যার ফলে প্রথমবার বাংলার মূখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয় একজন মুসলমান, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, যার ইঙ্গিতে ঘটে গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং, নোয়াখালির হিন্দুহত্যা। এই দুটি ঘটনার ফলে পূর্ববাংলা থেকে হিন্দুরা পালাতে থাকে এবং এর ফলে বর্তমানে বাংলাদেশে হিন্দুসংখ্যা ৯% এর নিচে নেমে এসেছে, যার ফলে হিন্দুদের সামগ্রিক শক্তি কমে গেছে এবং কারণে অকারণে হিন্দুরা জাতিগত কারণে বাংলাদেশে মার খাচ্ছে, আর এই সংখ্যাশক্তির দুর্বলতার কারণেই বাংলাদেশের মুসলমানরা আমাদের মন্দির, মূর্তি ভাঙতে সাহস পাচ্ছে, আর আমরা কিছু করতে পারছি না। এখন বুঝতে পারছেন, মুসলমানরা যে হিন্দুদের মূর্তি ভাঙছে, এটা হিন্দুদের কোন পাপের ফল ? আমি শুধু আর্য সমাজীদের সম্পর্কেই লিখি না, সমগ্র হিন্দু সমাজ ও সনাতন ধর্ম, যেখানে বা যার মাধ্যমেই ক্ষতিগ্রস্থ বা ক্ষতির আশঙ্কা, সেই সমস্ত বিষয়েই আমি লিখেছি বা লিখি, তাই আমাকে বুঝতে হলে, আমার জ্ঞানের পরিসীমাকে জানতে হলে শুধু আমার একটি বা দুটি পোস্ট পড়লে চলবে না, পড়তে হবে আমার সমগ্র লেখা; সেই সময়, ধৈর্য ও সত্যকে উপলব্ধি করার মনোভাব কি আর্য সমাজীদের আছে ?
এ প্রসঙ্গে আমাকে নীচু মনের মানুষ ভাবার আগে, আর্য সমাজীদের ভাবা উচিত তাদের জ্ঞান কত নিচুমানের, যা দ্বারা তারা সকল কার্যকারণকে উপলব্ধি করতে পারে না ?
তীব্র তালুকদার তার পোস্টের শেষের দিকে বলেছে-
"রূপকের অনুসারী যারা এই পোস্টের বিরুদ্ধে কমেন্টবক্সে ঘেউ ঘেউ করতে আসবি তাদের সকলকে লাথি মেরে মেরে তাড়াব। সেই মনে রেখে কথা বলতে আসিস।"
-এইভাবে মানুষের বাক স্বাধীনতা ও চিন্তার প্রকাশকে হস্তক্ষেপ করেন বলেই আপনাদের আর্য সমাজীদের সংখ্যা এখনও হাতে গোনা কয়েকজন।
যা হোক, 'সনাতন ধর্ম' নামের এই আর্য সমাজী বলেছে, ১৮৭৫ সালে সত্যার্থপ্রকাশ গ্রন্থ প্রকাশের পর অসংখ্যবার দয়ানন্দ সরস্বতীকে হত্যার চেষ্টা করা হয় এবং প্রতিবারই ঈশ্বরের কৃপায় তিনি বেঁচে যান।
-তাহলে বিষ ও কাঁচের গুড়া মিশ্রিত দুধ খেয়ে তিনি পেটের পীড়ায় কাতরাচ্ছিলেন কেনো এবং ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগে তাকে এক মুসলিম ডাক্তার হত্যা করতে পারলো কিভাবে ?
এছাড়াও এই আর্য সমাজী, তার পোস্টে বিভিন্ন জনের উদাহরণ দিয়ে একটা কথা বার বার বলেছে, যে এর ফলে কি আর্য সমাজ থেমে গিয়েছে ?
-আর্য সমাজ থেমে না গেলেও, বর্তমানে যেভাবে চলছে, সেটাকে কি চলা বলে ? আর্য সমাজের প্রতিষ্ঠার বয়স (১৮৮৫-২০২০) বর্তমানে ১৩৫ বছর, এই দীর্ঘ সময়ে তারা সনাতন সমাজে কতটুকু প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছে ? দুই বাংলা মিলে আর্য সমাজীদের সংখ্যা কয়জন ? আর হ্যাঁ, এতদিন আর্য সমাজ বাংলায় চলে আসতে পেরেছে; কারণ, তাদের ভণ্ডামি এবং অবাস্তবতার প্রচারে বাধা দেবার কেউ ছিলো না, এবার সেটা হয়েছে। অসংখ্য হিন্দু, আর্য সমাজীদের হিন্দু কালচার বিরোধী মনোভাবের কথা জেনে গিয়েছে, তাই এখন আর্য সমাজ, তাদের ভ্রান্ত মত প্রচারে যেখানেই যাবে, সেখানেই বাধাগ্রস্থ হবে, তাই বলা চলে আর্য সমাজীদের দিন শেষ। আমার এই কথা যে কতটুকু বাস্তব, সেটা আর কয়েক দশকের মধ্যেই আপনারা বুঝতে পারবেন; কারণ, আমি যার বা যাদের বিরুদ্ধে কলম ধরি, তার বা তাদের অস্তিত্ব আর আগের মতো থাকে না, আপনাদেরও যে থাকবে না, সেটা নিশ্চিত।
জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।
No comments:
Post a Comment