Friday 4 September 2020

কেনো, বড়র আগে ছোটকে বিয়ে দেওয়া যাবে না ?


কেনো, বড়র আগে ছোটকে বিয়ে দেওয়া যাবে না ?

Tanvir Ahmed sharif নামের এই উন্মাদ, যে নিজে ইসলাম পালন করতে পারে না, আবার আসে ইসলাম প্রচার করতে। ফটোপোস্টে দেখুন ফেসবুকের প্রোফাইল হিসেবে সে নিজের একটি ছবি দিয়েছে ছাগলা মার্কা দাড়ি সহ টুপি প'রে। ইসলামে কি ছবি তোলা হালাল যে সে এই ভাবে ছবি তুলেছে ! নিচে দেখে নিন ছবি সম্পর্কিত ইসলামের বহুল প্রচারিত কয়েকটি হাদিস, খুব বেশি পরিচিত ব'লে এগুলোর রেফারেন্স আর দিলাম না-

"যে ঘরে কুকুর ও ছবি আছে, সেই ঘরে ফেরেশতা প্রবেশ করে না।"

"নিশ্চয় জানিও আল্লার নিকটে তথা আখেরাতে সর্বাধিক কঠিন আজাব হবে ছবি তৈরি কারকদের।"

"যদি কেহ জীবজন্তুর ছবি অংকন করা হারাম জানা সত্ত্বেও উহা অংকন করে তবে সে কাফের হইয়া যায়।"

এখানে আঁকানো ছবি সম্পর্কে এসব বালছাল বকা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে ছবি মানেই যেহেতু উন্নত প্রযুক্তির ক্যামেরার ব্যাপার, তাই ক্যামেরায় তোলা ছবি সম্পর্কেও সেই একই কথা প্রযোজ্য; কারণ, ইসলামের কোনো পরিবর্তন বা সংশোধন বা সংষ্কার নাই।

ছবির পর এই মুহম্মাদী উন্মাদ, যে ফেসবুক ব্যবহার করে ইসলামের নামে বালছাল বকেছে, ইসলাম মতে সেটাও হারাম। কারণ, তিরমিযির একটি হাদিসে বলা আছে-

"তোমরা নিজেদেরকে নব উদ্ভাবিত বিষয়সমূহ থেকে দূরে রেখো; কেননা, প্রত্যেক নব উদ্ভাবিত বিষয়ই বিদআত, আর প্রত্যেক বিদআত হচ্ছে ভ্রান্তি বা ভুল পথ।"

-ফেসবুক, ইন্টারনেট একটি নব উদ্ভাবিত বিষয়, সেই নব উদ্ভাবিত বিষয় এই মূর্খ ব্যবহার করছে কেনো ? নিজে ইসলামের বাল বোঝে না, আবার আসে সনাতন ধর্মের সমালোচনা করে ইসলাম প্রচার করতে! ইসলাম, এর পাছা দিয়ে ঢুকিয়ে মুখ দিয়ে বের করা দরকার। শালা জঙ্গী কোথাকার, সারাদিন তো ইসলাম পালন করিস বেহেশতের ৭২ বেশ্যার জন্য, তোর চিন্তা-ভাবনা আর শুদ্ধ হবে কিভাবে বা যারা সামাজিক শুদ্ধতার চিন্তা করে, তাদের তোকে ভালো লাগবে কিভাবে ?

যা হোক, আবার বৈজ্ঞানিক গবেষণাও কোরানে সম্পূর্ণ নিষেধ, দেখুন নিচের আয়াত-

"যে বিষয়ে তোমার কোনো জ্ঞান নেই সে বিষয়ে অনুমান দ্বারা পরিচালিত হইও না। নিশ্চয় কর্ণ, চক্ষু এবং হৃদয়, এদের প্রত্যেকের কাছে কৈফিয়ত তলব করা হবে।" - (কোরান, ১৭/৩৬)

-কোনো বিষয়ে অনুমান বা কল্পনা দ্বারাই শুরু হয় বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের গবেষণার সূচনা, ইসলামে সেটাই নিষেধ। তাহলে বিজ্ঞানের আবিষ্কারকে মুসলমানরা ব্যবহার করে কেনো ? এরা নিজেরা কিছু করতে পারবে না, অমুসলিমদের পরিশ্রমে উদ্ভাবিত বিষয়গুলো ব্যবহার করে এবং সেগুলোর দ্বারাই তারা আবার অমুসলিমদেরকেই গালি দেয়, এদের মতো হারামজাদা ও ভণ্ড জাত পৃথিবীতে আর একটাও কি আছে ?

এই উন্মাদ বলেছে- হিন্দু আইনে বড় ছেলের আগে ছোটছেলের বিয়ে দিলে নরকবাসী, ইসলামে এরকম কিছু নেই, আসুন এ প্রথা দূর করি।

-ইসলামে তো অনেক কিছুই নেই, যেটা হিন্দু সমাজে আছে, তাহলে সেগুলো মানিস কেনো বা মানতে বাধ্য হোস কেনো ? ইসলামে, মেয়ের বিয়ের সময় কোনো প্রকার উপহার সামগ্রী বা টাকা পয়সা দেওয়া নিষেধ, বরং বরপক্ষকেই, কনের বাপকে টাকা পয়সা দিতে হয়, এই নিয়ম বর্তমানের মুসলমানরা পালন করতে পারছে না কেনো ? কেনো তারা মেয়ের বিয়ের সময় উপহার সামগ্রী বা টাকা পয়সা দিতে বাধ্য হচ্ছে ? যেহেতু এর সামাজিক উপযোগিতা আছে, সেহেতুই তো দিতে বাধ্য হচ্ছে। আর এটাই প্রমাণ করে যে- হিন্দুধর্ম সামাজিক বাস্তবতা সম্পন্ন ধর্ম; ইসলাম নয়, ইসলাম সম্পূর্ণ অবাস্তব মতবাদ সমাজের জন্য।

ইসলামে, ছোটদের আগে বড়দের বিয়ে দেওয়ার কোনো নির্দেশ নেই। কিন্তু বাপ বেটা মিলে একই দিনে একই সাথে দুই বোনকে বিয়ে করার বিধান আছে। জানিস তো সেটা ? না জানলে শুনে নে-

মুহম্মদের বাপ আব্দুল্লার জন্য মেয়ে দেখতে, মুহম্মদের দাদা মোতালিব গিয়েছিলো কনের বাড়ি, সেখানে গিয়ে সে আব্দুল্লার জন্য আমিনাকে পছন্দ করে, আর নিজের জন্য আমিনার চাচাতো বোন হালাকে পছন্দ করে। তারপর উভয় প্রস্তাবই কনের বাড়িতে গ্রহনযোগ্য হয় এবং একই দিনে একই সাথে দুই বোনের বাপ ও বেটার সাথে বিবাহ হয়। এই তো তোদের কালচার আর এই তো হলো তোদের আদর্শ। এই আদর্শের উত্তরসূরী হওয়ায় তোর চিন্তা-ভাবনা আর কত ভালো হবে ?

এরপর মুহম্মদ, যে ২৫ বছর বয়সে নিজের মায়ের বয়সী ৪০ বছরের খাদিজাকে বিয়ে করে একটা অসুখী দাম্পত্যজীবন যাপন করতে বাধ্য হয়। কারণ, মুহম্মদ ছিলো খাদিজার চাকর, তাই খাদিজা বেঁচে থাকা কালীন মুহম্মদ অন্য কাউকে বিয়ে করার কথা ভাবতেও পারে নি। কিন্তু যেই খাদিজা মরেছে, অমনি মুহম্মদ বিয়ের একেবারে মেইল ট্রেন ছুটিয়ে দিয়েছে, খাদিজা মরার পর প্রতিবছর মুহম্মদ গড়ে ২টি করে বিয়ে করে তার যৌনতার শখ পূরণ করেছে।

বিয়ের ক্ষেত্রে মুহম্মদের তো আবার কোনো নীতিনৈতিকতা নেই, যাকে পছন্দ হয়েছে ক্ষমতার জোরে তাকেই বিয়ে করেছে, সেটা হোক ছয় বছরের আয়েশা বা পুত্রবধূ জয়নাব। মুহম্মদকে তো মুসলমানরা সর্বোচ্চ আদর্শ মানে, মুহম্মদ যেভাবে হেগেছে, সেভাবে হাগারও চেষ্টা করে; তাহলে তারা ২৫ বছর বয়সে ৪০ বছরের কোনো বিধবাকে বিয়ে করে না কেনো ? কেনো বিয়ে করে না নিজের বন্ধুর কোনো বছরের মেয়েকে ৫০ বছর বয়সে ? কেনো বিয়ে করে না নিজের পুত্রবধূকে ? এসব করতে কি লজ্জা লাগে ? মুহম্মদের এসব কুকর্ম করতে যদি লজ্জাই লাগে, তাহলে মুহম্মদকে সর্বোচ্চ আদর্শ মানিস কেনো ? বা মুহম্মদের দ্বারা প্রবর্তিত বস্তাপঁচা ইসলামের পক্ষে সাফাই গাস কেনো ?

সমাজে বড়দের কিছু অধিকার বা অগ্রাধিকার আছে, যেটা তাদের আগে ছোটরা করতে পারে না। এই অনেক বিষয়ের মধ্যে একটি হলো বিয়ে। কারণ, বড়র আগে যদি ছোট বিয়ে করে, তাহলে এই প্রশ্ন সমাজের মানুষের মধ্যে উঠবে যে বড়র মনে হয় কোনো সমস্যা আছে। যেকারণে ছোট ভাইয়ের বিয়ের পর যদি বড় ভাইয়ের জন্য কোথাও প্রস্তাব দেওয়া হয়, তাহলে প্রথমেই তারা প্রশ্ন করবে যে- আগে ছোট ছেলের কেনো বিয়ে হয়েছে ? কেনো বড় ছেলের বিয় হয় নি ? বড় ছেলের কি কোনো সমস্যা আছে ? এতে ছেলে পক্ষ যদিও বলে যে- না, কোনো সমস্যা নেই, তারপরও মেয়েপক্ষ সেটা বিশ্বাস করতে পারবে না বা বিশ্বাস করবে না, এভাবে সেই বড় ছেলের বিয়ের প্রস্তাব বার বার প্রত্যাখ্যাত হবে, যেটা হবে বড় ছেলের জন্য মনোকষ্টের, যার বিরূপ প্রভাব ঐ পরিবার বা সমাজে পড়তে বাধ্য।

সনি ৮ চ্যানেলে ভারতের উত্তর প্রদেশের এক মুসলিম পরিবারে ঘটা কাহিনীতে একদিন দেখলাম- বাড়ির ছোটমেয়ে তার গ্রামেরই একছেলের প্রেমে প'ড়ে তাকে বিয়ে করতে একেবারে পাগল হয়ে উঠেছে, এতে ঐ মেয়ের পরিবারের কোনো সমস্যা নেই। ছোটমেয়েকে তারা এটা বোঝাচ্ছে যে- তোর বড় বোনের বিয়ে হলেই, তোকে ঐ ছেলের সাথে বিয়ে দেবো। কিন্তু ছোটমেয়ে সেটা মানতে নারাজ। বড় বোন দেখতে একটু কম সুন্দরী ছিলো ব'লে সহজে তার বিয়ে হচ্ছিলো না। এতে ছোটো মেয়ে আরো অধৈর্য হয়ে পড়ে। তার কথা বড় বোনের যদি সারাজীবন বিয়ে না হয়, তাহলে কি এভাবে সারাজীবন বিয়ে না করে সে থাকবে ?

একপর্যায়ে ছোটে মেয়ে তার কাপড়চোপড় নিয়ে তার প্রেমিকের বাড়ি গিয়ে উঠে এবং ছেলের মাকে বলে- আপনি, আপনার ছেলের সাথে আমার বিয়ে করিয়ে দিন। ছেলে আর ছেলের মা তো হতভম্ব। কিছু না বলে বা কোনো কিছু না করে তারা কালক্ষেপন করতে থাকে। কিছু সময় পর ঐ বাড়িতে মেয়ের বাপ আসে, সে তাকে এটা সেটা বুঝিয়ে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়, কিন্তু মেয়ে রাজী হয় না। 

তারপর মেয়ের বাপ রাতের বেলা এলাকার চেয়ারম্যানকে নিয়ে যায় ঐ বাড়িতে, চেয়ারম্যানের কথাতেও মেয়ে বাড়িত ফিরে না। এভাবে রাত কেটে যায়, পরেরদিন মেয়ের ভাই, ঐ বাড়িতে গিয়ে ঐ মেয়েকে জোর করে বাড়িতে ধরে আনে, এবং তাদের কথা মতো চলতে বলে, এটাও বলে যে- বড়বোনের আগে যদি তোর বিয়ে দিই, তাহলে সমাজের লোকজন ভাববে, বড় বোনের কোনো সমস্যা আছে, আর এটা একবার প্রচার হয়ে গেলে ওর কোনোদিন আর বিয়েই হবে না, তুই কিভাবে তোর বড় বোনের ক্ষতি এভাবে করতে পারিস ? এসব নানা কথা তাকে বোঝানো হয়, কিন্তু সে কিছুই মানে না। শেষ পর্যন্ত বড় ভাই, হাসুয়া টাইপের কিছু একটা দিয়ে তার ঘাড়ে কোপ দিয়ে তাকে খুন করে ফেলে এবং সেই কাটা মাথা নিয়ে গ্রামের মধ্যে ঘুরে অন্য মেয়েদেরকে এটা শিক্ষা দেয় যে সামাজিক যে নিয়ম, সেটা সবাইকে মানতে হবে, না হলে সবার এই পরিস্থিতি হবে। 

এই ঘটনাটি প্রথমে পত্রিকা্য় পড়েছিলাম, পরে একদিন টিভিতেও দেখলাম। যা হোক, খুনের অপরাধে শেষ পর্যন্ত সেই ভাইকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এই ঘটনায় ঐ পরিবার, তাদের মেয়েকে তো চিরজীবনের হারায় ই, পরিবারের বড় ছেলে, যে ছেলে ঐ পরিবারের একজন সম্পদ, তাকেও তারা হারায়।

বড়র আগে ছোটর বিয়ে হলে সমাজে এই ধরণের সমস্যার সৃষ্টি হয়, যেটা সমাজে নানা ধরণের অস্থিরতার সৃষ্টি করতে পারে।

ধরে নিলাম, এই ধরণের মারাত্মক ঘটনা সব সময় ঘটে না বা সব সময় ঘটবে না। কিন্তু যে ঘটনা ঘটেই, সেটা হলো-

যেকোনো বিয়ের প্রাথমিক উদ্দেশ্যে হলো যৌনতা উপভোগ। আর যেকোনো ভোগের ক্ষেত্রে প্রথম অধিকার হলো বড়দের। না হলে কেনো সৃষ্টিকর্তা তাকে বড় করে সৃষ্টি করেছন ? বিয়ের পর নতুন স্বামী-স্ত্রীকে যখন এক ঘরে তুলে দেওয়া হয়, তখন তারা কী করে, সেটা সবাই জানে ও বোঝে। বড় ভাইয়ের আগে কোনো ছোট ভাই যদি সেটা করে, তাহলে সেটা বড় ভাইয়ের জন্য একটি বিশাল মনোকষ্টের ব্যাপার। এই মনোকষ্ট একদিনের নয়, প্রতিদিনের। বড়র আগে ছোটর বিয়ে হলে, ছোটভাই যখন পাশের রূমে তার স্ত্রীকে নিয়ে এনজয় করে, তখন বড় ভাই ঘুমহীন চোখে হয়তো এপাশ ওপাশ করে। এই মানসিক অশান্তি ও কষ্ট, বড় ভাইয়ের প্রতিদিনের কাজকর্মে প্রভাব ফেলতে বাধ্য, যার কারণে সেই পরিবারের বড় কোনো ক্ষতি না হলেও ছোটখাটো অনেক ক্ষতি হওয়া অসম্ভব কিছু নয়।

এসব বিবেচনা করেই এবং বড় ভাইয়ের সামাজিক মর্যাদার কথা ভেবেই হিন্দুধর্মে বড় ভাই বা বোনের আগে ছোট ভাই বা বোনের বিবাহ দিতে নিষেধ করে একে পাপ বলে বিবেচনা করা হয়েছে এবং এই পাপে যারা জড়িত থাকবে, তারা সবাই নরকভোগী হবে বলে সাবধান করা হয়েছে মনুসংহিতার ৩/১৭১, ১৭২ নং শ্লোকে, এই বিধান সমাজের জন্য ভালো, না খারাপ ?

বড়র আগে ছোটর বিয়ে হলে সমাজে বড়দের সম্মান ও মর্যাদা নষ্ট হয়, তাদের সম্পর্কে নানা রকম প্রশ্ন উঠে, এবং এর ফলে সামাজিক শৃঙ্খলার ক্ষতি হয় ব’লে হিন্দু শাস্ত্রে একে পাপ বলে গণ্য করা হয়েছে, আর সেটার সমালোচনা করেছে এই জংলী জানোয়ার মুহম্মদী উন্মাদ, যাদের বিয়ে কোনো বিয়েই নয়, বেশ্যাবৃত্তির চুক্তি, আবার যাদের বিয়ের এক ঘণ্টারও কোনো গ্যারান্টি নেই। কখন কোন মুসলিম মেয়ের যে ঘর ভাঙবে, কে কখন যে তালাক খাবে এবং কে কখন যে কার বিছানায় গিয়ে কাপড় খুলতে বাধ্য হবে, সেটা কেউ জানে না। এই ধরণের নোংরা, জঘন্য সমাজের সদস্য হয়ে, এই উন্মাদ এসেছে হিন্দু সমাজের প্রথার সমালোচনা করতে, এই ছাগলকে পাঁঠা দিয়ে নয়, শুকর দিয়ে দোচানো দরকার, তাহলে যদি এর বোধ জাগ্রত হয়।

জয় হিন্দ।

No comments:

Post a Comment