মসজিদ সন্ত্রাসের স্থান, মন্দির নয় :
মসজিদে রাজা প্রজা সব সমান, সেটা না হয় ঠিক আছে, কিন্তু মসজিদে গেলে আমি যে গুলি খেয়ে বা আত্মঘাতী বোমা হামলায় মারা যাবো না, তার গ্যারান্টি কী ?
আর আমি যদি নীচু জাতেই জন্ম গ্রহন করে থাকি, সেটা আমার পূর্ব জন্মের কর্মের ফল, যেহেতু আমি জন্মান্তর বিশ্বাস করি, যেটা ধ্রুব সত্য, তাই নীচু জাতে জন্ম নিয়ে আমার কোনো দুঃখ নেই। আমি এই জন্মের মহৎ কর্মের দ্বারা চেষ্টা করছি পরের জন্মে অধিকতর উচ্চবংশে জন্ম নিতে।
আর- মন্দির, দেবতা সকলের; এটা যদি উঁচু জাতে জন্ম নেওয়া মানুষ, যাদের হাতে মন্দিরের ক্ষমতা থাকে, তারা যদি না বোঝে, সেটা তাদের জ্ঞানের দীনতা, যে জ্ঞানের দীনতায় পরের জন্মে তারা নীচু জাতে জন্ম নিয়ে কষ্ট ভোগ করবে, সেই জ্ঞানের দীনতায় তারা যদি আমাকে মন্দিরে ঢুকতে না ই দেয়, আমার নিজের মন্দির আমি নিজে তৈরি করে নেবো, তারপর সেখানে আমার ইষ্ট দেবতাকে স্থাপন করে তার পূজা করবো, সেই মন্দিরে ঢুকতে কেউ তো আর আমাকে বাধা দেবে না। তাহলে আমি আপনার মসজিদে কেনো যাবো, যেখানে গেলে বেঁচে থাকারই কোনো গ্যারান্টি নেই ?
আফগানিস্তান, পাকিস্তানের মসজিদে তো হরহামেশায় বোমা ফাটে, গুলি চলে; বাংলাদেশেও যে এটা হবে না তার গ্যারান্টি কী ? কারণ, এটা আমি বুঝে গেছি যে- যেখানে মুসলমান, সেখানেই সন্ত্রাস। আমি নীচু জাতের ব'লে, উঁচু জাতের হিন্দুরা হয়তো আমাকে ঘৃণা করে, আমার সাথে বসে খায় না, আমাদের সাথে বৈরাহিক সম্পর্ক করে না, কিন্তু তাই বলে তো তারা আমাদেরকে হত্যা করে না, যেটা মুসলমানরা, মুসলমান হলেও ভিন্ন মতের কারণে করে ?
আজ আমাকে মসজিদে যাওয়ার আমন্ত্রন দিচ্ছেন, কিন্তু কাল সেই মসজিদে গুলি বোমা খেয়ে যে আপনে মরবেন না, সেই নিশ্চয়তা কি আছে ? কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই আপনাকেই আমি নিমন্ত্রন দিচ্ছি আমার মন্দিরে এসে মাথা নত করার, যেখানে সন্ত্রাসের ভয় নেই, গুলি বোমা খেয়ে মরার ভয় নেই।
বুঝেছেন ?
আশা করি- বুঝেছেন।
জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।
No comments:
Post a Comment