Monday, 3 August 2020

ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তীর উদ্দেশ্যে একটি খোলা চিঠি :


ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তীর উদ্দেশ্যে একটি খোলা চিঠি :

আমি বাংলাদেশের হিন্দু সমাজের একজন সদস্য। তাই হিন্দুধর্ম ও হিন্দুসমাজ সংশ্লিষ্ট যেকোনো ব্যাপার, যা হিন্দুদের ভাবাবেগকে আঘাত করে বা আহত করে, সেই ব্যাপারে কথা বলার এবং যে ব্যক্তি হিন্দুসমাজের ভাবাবেগকে আঘাত বা আহত করে, তাকে আক্রমন ক'রে কথা বলার অধিকার আমার আছে বলে আমি মনে করি। আপনি যেহেতু হিন্দু পরিচয়ে গরুর মাংস মুসলমানদের মধ্যে প্রকাশ্যে বিলি করেছেন এবং ফেসবুকে তা লাইভ টেলিকাস্ট করে প্রচার করেছেন, সেহেতু আপনি হিন্দুসমাজের ভাবাবেগকে আঘাত করেছেন, তাই আপনার উদ্দেশ্যে এই খোলা চিঠি।

সমাজের যা কিছু উপকারী, তাকেই সনাতন ধর্মে পূজ্য করা হয়েছে, যাতে মানুষ সেই ব্যাপারগুলোর প্রতি শ্রদ্ধাভক্তি পোষণ করে; কারণ, উপকারী প্রাণী বা বস্তুর প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তি বা ভালোবাসা থাকলে, সেটা- পরিবার, সমাজ বা রাষ্ট্রের জন্য উন্নতির সহায়ক। গরু একদিকে যেমন মানুষের পক্ষে অসীম উপকারী প্রাণী, অন্যদিকে তেমনি এর মাংস মানুষের জন্য ভয়াবহ ক্ষতিকর; এই দুই দিক বিবেচনা করে মুনি ঋষিরা গরুকে হত্যা করে তার মাংস খেতে নিষেধ করে গেছেন, যেটা সেই প্রাচীন কাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত সনাতন ধর্মের অনুসারী হিন্দুরা মেনে চলে আসছে এবং সব হিন্দু যেন বিনা প্রশ্নে তা মেনে চলে, সেজন্য বিষয়টিকে ধর্মের অন্তর্ভূক্ত ক'রে বলে দেওয়া হয়েছে, সকল দেব-দেবীর স্থান গরুর মধ্যে, ফলে গরু শুধু দেবতা নয়, দেবতাদের আধার। এসব কারণে হিন্দুরা গরুকে খুবই পূজনীয় মনে করে এবং গরুকে হত্যা করে তার মাংস খায় না।

পৌরাণিক কাহিনীগুলি হলো পৃথিবীর সকল ঘটনার সার সংক্ষেপ, অর্থাৎ পৃথিবীতে এমন কোনো ঘটনা ঘটে নি বা ভবিষ্যতে ঘটবে না, যার ইঙ্গিত পুরাণে নেই; সেই পুরাণে যাদেরকে অসুর বলা হয়েছে, পৃথিবীতে সেই অসুরদের প্রতিনিধি হলো মুসলমানরা; তাই পৃথিবীতে যা কিছু নিন্দনীয়, মুসলমানদের মতবাদ ইসলামে সেগুলো প্রশংসনীয়, এই যেমন- অন্যের সম্পত্তি লুঠ করে খাওয়া, নারী ধর্ষণ করা, কাউকে হত্যা করাকে যেকোনো মানুষ বলবে অন্যায়, কিন্তু ইসলামে এইসবগুলিই বৈধ বা হালাল, বিশ্বাস না হলে নিরপেক্ষ মন নিয়ে কোরান হাদিস পড়ে দেখুন। তাই অসুরজাত মুসলমানদের কাছে গরুকে হত্যা করা পুন্যের কাজ হতে পারে, কিন্তু একজন হিন্দুর কাছে তা মহাপাপ। অথচ আপনি হিন্দু পরিচয়ে এই মহাপাপের কাজটি করেছেন, যার জন্য আপনার কোনো ক্ষমা নেই, আপনাকে ক্ষমা করা যায় না, ক্ষমা করবোও না।

আপনার ফেসবুকের ইনবক্সে আপনার এই কুকীর্তি, গরুর মাংস বিলি করার ব্যাপার নিয়ে কোনো একজন মন্তব্য করলে আপনি জবাব দিয়েছেন, "আমি তো হিন্দু নয়, স্রেফ মানুষ।" এই প্রসঙ্গে আপনাকে বলছি-

আপনি হিন্দু নয় তো নামের সাথে চক্রবর্ত্তী লাগিয়ে রেখেছেন কেনো ? চক্রবর্ত্তী যে একটি হিন্দু পদবী, সেটা কি আপনার গালে থাপ্পড় মেরে আপনাকে বুঝিয়ে দিতে হবে ?

আর আপনি নিজেকে মানুষ বলছেন, তাহলে হিন্দুদেরকে কি আপনার মানুষ মনে হয় না বা হিন্দুরা মানুষ নয় ? ধরে নিলাম, যাদের নামের শেষে হিন্দু পদবী আছে তারা আপনার কাছে মানুষ নয়, তাহলে নামের শেষে চক্রবর্ত্তী লাগিয়ে রেখে কিভাবে নিজেকে মানুষ বলে মনে করেন বা আপনার পিতা মাতাকে কিভাবে মানুষ ভাবেন, তাদের নামের সাথেও তো তারা চক্রবর্তীই ব্যবহার করে ?

নামের শেষে কোনো ধর্মীয় পরিচয় থাকলে তাকে যদি আপনার মানুষ ব'লে মনে না হয়, তাহলে নামের শেষে- খান, ইসলাম, সৈয়দ জাতীয় মুসলিম পদবী থাকলে তাদেরকে আপনার কিভাবে মানুষ বলে মনে হয়, যাদের জন্য প্রকাশ্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে আপনি গরুর মাংস বিলি করছেন ? মানবতার আড়ালে এটা মুসলিম তোষণ, না অন্য কিছু ?

শোনেন, যেসব হিন্দু, নিজেদেরকে হিন্দু হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবে পরিচয় দেয়, তারাই কিন্তু পরে মুসলমান হয়, ইতিহাসে এর বহু উদাহরণ আছে, যারা সবাই আপনার মতো বামপন্থী। আপনিও যে সেই পথে আছেন, তাতে আমার কোনো সন্দেহ নেই, তাই মানুষ হওয়ার এই ভণ্ডামি ত্যাগ করে নাম পরিবর্তন করে আপনি মুসলমান হয়ে যান, তারপর গরুর মাংস বিলি করেন বা গরুর মাংস খান, তাতে হিন্দুদের কিছু যাবে বা আসবে না; আপনার নামের শেষে চক্রবর্তী না থাকলে হিন্দুরা অন্তত আপনার মতো নামধারী হিন্দুর বোঝা থেকে মুক্ত হয়ে স্বস্তি বোধ করবে।

জানতে পাই, আপনি মানবতার বাজার খুলে মানুষের সেবা করেন, তো সেখানে আপনার সেবা শুধু মুসলমানরাই পায় কেনো ? বাংলাদেশের হিন্দুরা মুসলমানদের মতো ভিক্ষুক না হলেও তারা নানাভাবে মুসলমানদের দ্বারাই নির্যাতিত, তো নির্যাতিত কোনো হিন্দুর পাশে কখনো আপনাকে দাঁড়াতে দেখি না কেনো ? শুধু মুসলমানদেরকেই কি আপনার মানুষ মনে হয়, যে মুসলমানরা, তাদের ধর্মমতেই- লুঠেরা, দখলবাজ, ধর্ষক, খুনি ?

রাজনৈতিক বিশ্বাসে আপনি কমিউনিস্ট, মানে বামপন্থী; তো যে মুসলমানদেরকেই শুধু আপনার মানুষ ব'লে মনে হয়, অন্য কাউকে নয়, সেই মুসলমানরা কমিউনিস্টদেরকে কোন চোখে দেখে, সেটা কি জানেন ?

১৯৪৭ এর দেশভাগের পর পূর্ববাংলার কমিউনিস্টদের সাথে এই বাংলার মুসলমানরা কী করেছিলো, সেই ইতিহাস জানেন ? হিন্দুরা তো এমনিতেই মুসলমানদের চোখে কাফের, আর কাফেররা, ইসলাম মতে সর্বদায় ই হত্যাযোগ্য, তাদের নারী শিশু এবং তাদের ধনসম্পদ লুঠযোগ্য, সেই হিন্দু কাফেররা যদি আবার হয় কমিউনিস্ট, তাহলে তো কোনো কথায় নেই, এই বিশ্বাসের দ্বারা বহু হিন্দু কমিউনিস্টকে মুসলমানরা এই পূর্ববাংলা থেকে মেরে কেটে তাড়িয়েছিলো, বহু হিন্দু কমিউনিস্টদের দোকান বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছিলো, সেই মুসলমানদেরকেই শুধু আপনার মানুষ ব'লে মনে হয় ? আপনার নিজের কি কোনো বিবেক বুদ্ধি বা বোধশক্তি আছে ?

কমিউনিস্টরা বরাবরই হারামজাদা বা বারোচোদা টাইপের হয়, এই যেমন পূর্ব বাংলা থেকে মুসলমানদের চোদানি বা পেদানি খেয়ে যে কমিউনিস্টরা পূর্ব বাংলা থেকে কোনোমতে জীবন নিয়ে এক কাপড়ে পশ্চিম বাংলা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলো, সেই কমিউনিস্টরাই আবার জাস্ট শুধু ক্ষমতার লোভে পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানদেরকে তোষণ করা শুরু করেছিলো এবং এভাবে পশ্চিম বাংলাকে হিন্দুদের বসবাসের নিরীখে প্রায় খাদের কিনারায় নিয়ে গিয়েছে, আপনি তো সেই কমিউনিস্টদেরই উত্তরসূরী, আপনার বিবেক বুদ্ধি আর কত উন্নত হবে ?

কমিউনিস্টরা ধর্ম নিরেপেক্ষতার কথা বলে, যে ধর্মনিরেপেক্ষতার আড়ালে তারা শুধুই মুসলমানদের তোষণ করে। তাই যেকোনো দেশের মুসলমান মৌলবাদী দল, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কমিউনিস্টদেরকে ব্যবহার করে এবং তারা যখন ক্ষমতায় যায়, প্রথমেই কমিউনিস্টদেরকে হত্যা করে, ইরানের ইসলামিক বিপ্লবের ইতিহাস পড়ুন, আমার কথার সত্যতার প্রমাণ পাবেন।

আপনি তো নারী, তাই না ? তো নারীত্বের কিছু ধর্ম আছে, সেটা বোঝেন? এই যেমন- প্রাপ্ত বয়স্ক হলে বিয়ে করা, সংসার করা, সন্তানের জন্ম দেওয়া, সন্তানকে সমাজ ও রাষ্ট্রের সেবার জন্য বড় করা; এর বাইরে যদি সময় পায়, তাহলে সে নিজে সমাজ ও রাষ্ট্রের সেবার জন্য কাজ করতে পারে। বিয়ে, সংসার ও সন্তানের জন্ম না দিয়ে কোনো নারীর অধিকার নেই অন্য কিছু নিয়ে ভাবার। আপনি কি বিয়ে করেছেন, সংসার করছেন, সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ? যদি না করে থাকেন, তাহলে আপনাকে কে বলেছে রাস্তায় নেমে গলাবাজী করার ?

বিয়ের মাধ্যমে পরিবার রচিত হয়, যে পরিবার থেকে আসে সমাজ ও রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ, সন্তান; আর এই সব কিছুর পেছনে মূখ্য ভূমিকা পালন করে যৌনতা, যেটা শুধু মানুষ নয়, সকল প্রাণীর বৈশিষ্ট্য। যৌনতার অনুভূতি একটি শক্তি, নারী ও পুরুষের এই যৌনশক্তি তখনই মিনিমাইজ বা অবদমিত হয়, যখন নারী ও পুরুষ একে অপরের সাথে যৌনমিলন করে। অন্য কোনো উপায়ে একে দমন করার কোনো স্বাস্থ্যসম্মত উপায় নেই।

সামাজিক বৈধ পথে নারী ও পুরুষের যৌনতার একমাত্র পথ হলো বিয়ে, আমি যতদূর জানি আপনি এখনও কাউকে বিয়ে করেন নি, তাহলে বিয়ে না করে কিভাবে আপনার যৌনশক্তিকে দমন করেন ? নাকি আপনার যৌনশক্তিই নেই, আপনি হিজড়া ? যদি আপনার যৌনশক্তি থাকে, তাহলে নিশ্চয় সেটাকে দমন করতে হয়, সেই কাজটা কাকে দিয়ে বা কাকে কাকে দিয়ে করান ? যদি সেই কাজ কাউকে দিয়ে করান, সে বা তারা নিশ্চয় আপনার সমাজ স্বীকৃত স্বামী নয়, তাহলে আপনি কি চরিত্রবতী ? আর যদি বলেন, আমার সেসবের প্রয়োজন হয় না. তাহলে ধরে নিতে হবে যে আপনার যৌনশক্তিই নেই, তাহলে আপনি হিজড়া, তাই বোধহয় হিজড়াদের অধিকার নিয়ে আপনি জান প্রাণ ?

আর যদি আপনি বলেন, আমার যৌণশক্তি আছে, আমি পরিপূর্ণ নারী, আবার যদি এই দাবী করেন যে আমি কোনো পুরুষের সাথে মেলামেশা করি না, তাহলে আমাকে ধরে নিতে হবে যে আপনি আপনার যৌনশক্তিকে দমন করার জন্য স্বমৈথুন করেন এবং আমার অনুমান মতে এটা ঘটা স্বাভাবিক, সেই জন্যই বোধ হয় আপনার চেহারার এই অবস্থা; কখনো আয়নায় নিজের চেহারার দিকে তাকিয়ে দেখেছেন ? আপনার চেহারায় নারী সুলভ কোনো লাবণ্যতা বা কমনীয়তা আছে ? যোনীতে আঙ্গুল বা অন্য কিছু ঢুকিয়ে স্বমৈথুন করেন বলেই হয়তো আপনার চেহারার এই ভাঙাচোরা মরুভূমির মতো অবস্থা। আপনাকে দেখে যদি কোনো মেয়ে উদ্বুদ্ধ হয়, আর আপনার মতো জীবন যাপন করে, তাহলে সেই মেয়ের ভবিষ্যৎ কী ? যা হোক, আপনার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আমার এই সব ধারণার মধ্যে কোনটা সত্য, সে বিষয়ে ক্লিয়ার ক'রে আমার সাথে সাথে জাতিকে একটু ভারমুক্ত করবেন। যেহেতু বর্তমানে আপনি নিজেকে "লিডার অব দ্যা ম্যান" বা "মানুষের নেত্রী" হিসেবে মনে করেন ?

আমার এই সব কথার বিপরীতে শুধু আপনি নন, আপনার মতো বিকৃত মস্তিষ্কের প্রাণীরা প্রশ্ন তুলতে পারে যে- কারো ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন তোলা কি উচিত ?

এখানেই আপনিসহ তাদের উদ্দেশ্যে আমার পাল্টা প্রশ্ন হচ্ছে- কারো ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন তোলা উচিত নয় কেনো ? ডা. মণীষার কর্মকাণ্ড দেখে যদি আমার বাড়ির মেয়েরা উদ্বুদ্ধ হয়, আর তারা যদি মণীষার মতো জীবন যাপন করে, যে জীবনের কোনো অর্থ নেই, উদ্দেশ্য নেই, তাহলে আমার পরিবারের হবেটা কী ? আমার পরিবার তো ধ্বংস হয়ে যাবে। তাহলে আমি মণীষার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতে পারবো না কেনো ? মানুষের ব্যক্তিগত জীবনই তো অন্যের কাছে আদর্শ। আমি চাই আমার মতো সব হিন্দু হোক, সবাই আমার মতো হিন্দুধর্ম ও হিন্দুসমাজ নিয়ে ভাবনা চিন্তা করুক, তাহলে কেউ যদি আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন তুলে, তাতে আমার আপত্তি থাকবে কেনো ?

প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর, শারীরিক কোনো সমস্যা না থাকলে বা আর্থিক কোনো সমস্যা না থাকলে, যদি কোনো নারী বা পুরুষ বিয়ে না করে, তাহলে ধরে নিতে হবে যে তার কোনো মানসিক সমস্যা আছে, যার কারণে তার আচরণ স্বাভাবিক নয়, যে কারণে সে পরিপূর্ণ মানুষ নয়, এরকম মানুষ কিভাবে সমাজের কোনো আদর্শ হতে পারে ? আর যেটা সমাজের আদর্শ হতে পারে না, সেই রকম ব্যাপারকে কিভাবে প্রকাশ্যে সমাজে প্রচার করতে দেওয়া যেতে পারে ? মণীষা রাস্তায় নেমে যা করে, তার কোনো প্রয়োজন নেই; যদি থাকতো, তাহলে তাকেই বরিশালের লোকজন গত নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত করতো, তার প্রয়োজন নেই বলেই লোকজন তাকে বয়কট করেছে, এরপরও সে রাস্তায় নেমে ঘেউ ঘেউ করে কেনো ?

আমি মনীষাকে পরামর্শ দেবো, এই সব অর্থহীন কাজ ছেড়ে সে নিজের ডাক্তারি পেশার দিকে মনোযোগ দিক, এখানেই মানুষের সেবা করার যথেষ্ট সুযোগ আছে, আর বিয়ে করে সংসারী হয়ে বাচ্চার জন্ম দিক, বাচ্চাকে সমাজ ও রাষ্ট্রের সেবার জন্য উপযোগী করে বড় করুক, ঈশ্বর যে তাকে নারী হিসেব জন্ম দিয়েছে, সেই নারীত্বের ধর্ম পালন করুক বা নারীত্বের মর্যাদা রাখুক, না হলে এই জন্মে নারীত্বের অপমান করার জন্য ঈশ্বর তাকে পরের জন্ম হিজড়া হিসেবে জন্ম দিয়ে তাকে শাস্তি দেবে। এই জন্মে সে তো হিজড়াদের অধিকারের জন্য আন্দোলন করে, পরের জন্মে সে নিজেই হিজড়া হয়ে হিজড়াদের জীবনকে ভোগ করবে, সামান্য অর্থের বিনিময়ে নেচে গেয়ে বা অন্যভাবে পুরুষদেরকে মনোরঞ্জন করবে।

আমি জানি জন্মসূত্রে অনেক হিন্দু খুব আত্মাভিমানী এবং নিজেকে খুব বড় এবং জ্ঞানী মনে করে, তাই তাদেরকে কিছু বোঝানো যায় না বা ততক্ষণ তারা কিছু বুঝতে চায় না, যতক্ষণ তারা মাইর না খায়; আপনি যদি এই টাইপের হন, আপনাকেও কিছু বোঝাতে পারবো না আমি জানি, কিন্তু কর্মের ফল তো মানুষকে ভোগ করতেই হয়, যেটা আপনাকেও ভোগ করতে হবে। আবার কিছু হিন্দু আছে যারা দেখে শিখে না, ঠেকে অর্থাৎ মাইর খেয়ে শিখে। আপনার কুকর্মে সোশাল মিডিয়ায় যে ঝড় উঠেছে, আমি চাই সেগুলো দেখে আপনি শিখুন এবং নিজেকে শোধরান, অন্যথায় হিন্দু পরিচয়ে ভবিষ্যতে যদি আবার হিন্দুর ভাবাবেগকে আঘাত করেন বা আঘাত করার চেষ্টা করেন, না জানি কে কোথা থেকে এসে কিভাবে আপনাকে মাইর দেয়, তখন এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ কান্নাকাটি করেও কোনো ফল পাবেন না; কারণ, তখন সবাই বলবে- উচিত শাস্তি হয়েছে, হিন্দু হয়ে হিন্দু পরিচয়ে গরুর মাংস বিলানোর মতো পাপ কাজ করেছিলো কেনো ? ভগবানই ওকে শাস্তি দিয়েছে। আর তখন, যাদেরকে আপনার শুধু মানুষ মনে হয়, যাদের জন্য আপনি মানবতার বাজার খুলে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছেন, সেই মুসলমানদেরকেও পাশে পাবেন না। কারণ, মুসলমানরা শুধু মুসলমানদের জন্যই কিছু করে। কাফেরদের জন্য কিছু করা মুসলমানদের নিষেধ। তখন আপনি যাবেন কোথায় ? মুসলমানদের পাশে পেতে তখন আপনাকে মুসলমান হয়ে নিজের নাম বা নামের পদবী পাল্টিয়ে মণীষা আক্তার করতে হবে, তখন কোথায় থাকবে আপনার মানবতা বা মানুষ পরিচয় ? মনে রাখবেন, দিন শেষে মুসলমানদের কাছে আপনার পরিচয় হিন্দু, মানুষ নয়। আর হিন্দুরা, মুসলমানদের কাছে কাফের, আর নারী কাফেররা গনিমতের মাল, তারা ভোগের বস্তু, ধর্ষণ যোগ্য।

নিজের মাথাটা একটু খাটান। আপনি কেনো ভুলে যান যে- এই মুসলমানদের জন্যই এই বাংলার ২৯% হিন্দু আজ ৯%, এই মুসলমানরাই আপনার মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে রাজাকার বানিয়েছিলো। যতই আপনি মুসলমানদের জন্য কাজ করেন, কোনোদিনই আপনি মুসলমানদের মন পাবেন না। গোবিন্দ চন্দ্র দেব, রণদাপ্রসাদ সাহা, ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, যোগেন মণ্ডল কি এদের জন্য কম করেছিলো ? তার কি প্রতিদান দিয়েছে এরা ? এসব আগে জানার চেষ্টা করেন, জানার চেষ্টা করেন ১৯৪৬ থেকে ১৯৬৫ পর্যন্ত পূর্ব বাংলার হিন্দুদের সাথে কী ঘটেছিলো, কারা, কী উদ্দেশ্যে সেসব ঘটিয়েছিলো ? কেনো বরিশালের লক্ষ লক্ষ হিন্দুর বাস আজ আন্দামান দ্বীপে, সেগুলো আগে জানার চেষ্টা করেন, তারপর মুসলমানদের মানুষ ভাবেন, আর তাদের জন্য মানবতার বাজার খুলে কাজ করেন।

আপনি শুধুই নামধারী শিক্ষিত, যেমন আপনি নামধারী হিন্দু। আপনার মধ্যে যেমন হিন্দুত্ববোধের কিছু নেই, তেমনি আপনার মধ্যে প্রকৃত শিক্ষাও কিছু নেই। যদি থাকতো তাহলে আপনি বুঝতেন সনাতন ধর্ম হলো পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম সংস্কৃতি, যে ধর্ম সংস্কৃতিকে পৃথিবীর সকল লোক জেনে বা জেনে পালন করে বা করতে বাধ্য, আর সনাতন ধর্মই হলো মানব ধর্ম। আপনি যদি প্রকৃত শিক্ষিত হতেন, তাহলে জানতেন এই বাংলার হিন্দু মুসলিমের ইতিহাস, তখন আর নিজেকে হিন্দু হিসেবে পরিচয় না দিয়ে মানুষ হিসেবে পরিচয় দিতে পারতেন না।

যা হোক, আপনার কাজকর্ম যে ভুল, সেটা আপনাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য এবং আপনাকে শোধরানোর জন্য আপনার উদ্দেশ্যে এত কিছু বললাম। যদি এই বুঝ না নিয়ে নিজের গোঁয়ার্তুমিতে আপনি অটল থাকেন এবং এইসব হিন্দুবিরোধী কাজকর্ম চালিয়ে যেতে থাকেন, তাহলে প্রস্তুত থাইকেন সেই সময়ের জন্য, যে সময়ে ঈশ্বর আপনাকে প্রকৃত শিক্ষা দেবেন, যার পর রাস্তায় দাঁড়িয়ে আপনার আর গলাবাজী করার ক্ষমতা থাকবে না।

জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।

No comments:

Post a Comment