Thursday, 16 July 2020

S@ifur`s হতে সাবধান, এই প্রতিষ্ঠান Brain wash এর মাধ্যমে নীরবে ধর্মান্তর করে চলেছে বাংলাদেশের হিন্দুদের :


S@ifur`s হতে সাবধান, এই প্রতিষ্ঠান Brain wash এর মাধ্যমে নীরবে ধর্মান্তর করে চলেছে বাংলাদেশের হিন্দুদের :

 S@ifur`s বাংলাদেশের এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যার শয়নে-স্বপনে-সর্বত্র শুধু ইসলাম আর ইসলাম। কিন্তু মুহম্মদের আমলের জোর জবরদস্তির ইসলাম যেহেতু আর এই আধুনিক যুগে সম্ভব নয়, সেহেতু সাইফুর রহমান খানের ইসলাম এখন ব্রেইন ওয়াশ ও সুযোগ-সুবিধার মনস্তাত্ত্বিক চাপে ফেলে ধর্মান্তকরণের কৌশলী ইসলাম।

এক সময় এই ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানরা, নাসারা-খ্রিষ্টানদের ভাষা ব’লে যে ইংরেজিকে ঘৃণা ও অবজ্ঞা করতো; সাইফুর রহমান খান, বাংলাদেশে সেই ইংরেজির ব্যবসায়ী, দেশ জুড়ে যার কোচিং সেন্টারের নামে শত শত ইংরেজির দোকান, কিন্তু শুরু থেকেই এই সব ইংরেজির দোকানগুলোর মূল যে উদ্দেশ্যে ছিলো এবং এখনও আছে, তা হলো হিন্দু শিকার।

S@ifur`s এর প্রতিটা বইয়ে দেখবেন কোরান-হাদিসের কিছু না কিছু বয়ান আছেই এবং কে, কেনো ইসলাম গ্রহন করেছে, এরকম দু একটি কাহিনীও কোনো কোনো বইয়ে পেতে পারেন; এর মূল উদ্দেশ্য হিন্দু শিক্ষার্থীদেরকে ব্রেইন ওয়াশের মাধ্যমে ধীরে ধীরে ইসলামের দিকে নিয়ে যাওয়া।

S@ifur`s এর প্রত্যেকটা শিক্ষক বেশ-ভূষায় গোঁড়া মৌলবাদী মুসলমান, তাদের মনের অবস্থা কী, সেটা একবার কল্পনা করুন। এছাড়াও S@ifur`s এ শিক্ষক নিয়োগের প্রাথমিক শর্তই থাকে চিল্লা দিতে হবে। এই চিল্লা জিনিসটা যে কী, সেটা যারা জানেন না, তাদের জন্য বলছি, চিল্লা হলো- ৮/১০ জনের একটা গ্রুপ করে এক বা একাধিক মাস ধরে, দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে, বিভিন্ন মসজিদে নামাজ পড়া। মনে প্রানে হান্ড্রেড পার্সেন্ট মুসলমান না হলে কেউ এই ধরণের চিল্লায় যেতে পারে না বা সময় দিতে পারে না, যেমন কেউ হান্ড্রেড পার্সেন্ট মুসলমান না হলে আত্মঘাতি বোমা হামলাকারী হতে পারে না। এরা নিজেকে ইসলামের সেবায় সর্বদা নিয়োজিত করে রাখে। তো S@ifur`s এ নিয়োগ দেওয়া হয় এই ধরণের পরীক্ষিত মুসলমানদের। তাই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে লেখা ই থাকে চিল্লা দেওয়া থাকলে অগ্রাধিকার। এই সূত্রে কোনো অমুসলিম S@ifur`s এ শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পায় না।

অন্যান্য সেক্টরে যে দু একজন অমুসলিম বা হিন্দুকে নিয়োগ দেওয়া হয়, তাদেরকে নিয়োগ করার পেছনে থাকে গভীর, বিশেষ উদ্দেশ্য । S@ifur`s এর কর্মযজ্ঞ সারাদেশ জুড়ে মোটামুটি বিশাল। এতে দু একটি পদে, দেখে-শুনে গরীব, দুঃস্থ, অসহায় হিন্দু যুবকদেরকে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর, সব বেশ্যা মিলে যেমন একটি ভালো মেয়েকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে বেশ্যা বানায়, তেমনি S@ifur`s এর সকল স্টাফ মিলে তখন ঐ হিন্দু ছেলেটির ব্রেইন ওয়াশ করতে থাকে, তার উপর তারা চালাতে থাকে প্রশ্ন জিহাদ এবং যেহেতু হিন্দুদের ধর্মীয় জ্ঞান কম সেহেতু এক সময় ঐ ছেলেটি মানসিকভাবে তাদের কাছে পরাস্ত হয় এবং এভাবে ইসলামের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে একেবারে প্রতিষ্ঠানের সুপ্রিম লেভেল থেকে ঐ ছেলেটির কাছে ওহী আসে, ইসলাম গ্রহন করলে চাকরি থাকবে, না গ্রহন করলে চাকরি থাকবে না; ইসলাম গ্রহন করলে শুধু চাকরি থাকবেই না, স্থায়ীও হবে এবং বেতনও বাড়বে, এক কথায় আমাদের সাথে থাকলে তোমার ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত। হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান না থাকায়- হিন্দুধর্মের বিশালতা, মহানুভবতা এবং খাঁটিত্ব সম্পর্কে উপলাব্ধি করতে না পেরে, মুসলমানদের মিথ্যা প্রচারনায় প্রভাবিত ঐ হিন্দু ছেলেটি তখন নিজের জীবন, ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ বিভিন্ন বিষয়ে চিন্তা ক’রে এবং সিদ্ধান্ত নেয় তার জন্য ইসলাম গ্রহণই সঠিক পদক্ষেপ। এরপর সে ইসলাম গ্রহন করে এবং মুসলমান হয়ে হিন্দুধর্মের মহাসাগর থেকে উঠে গিয়ে ইসলামের পচা নর্দমায় নামে।

সম্প্রতি S@ifur`s কর্তৃক ধর্মান্তরিত বেশ কয়েকটি ঘটনার কথা জানা গেছে, যার মূল প্রসেসটা ছিলো এই রকম ই। হিন্দুদেরকে বলছি, আপনারা কেউ পারতপক্ষে S@ifur`s এ চাকরি নিতে যাবেন না, কোচিং করতেও যাবেন না, ছেলে মেয়েদেরকে তো পাঠাবেন ই না। কারণ চাকরি নিলে আপনার এক পা থাকবে ইসলামে আর এক পা হিন্দু ধর্মে, কিন্তু হিন্দুধর্মের পা যে উঠে গিয়ে কখন ইসলামে চলে গেছে তা আপনি বুঝতেই পারবেন না। আর কোচিং করতে গেলেও হবেন ব্রেইন ওয়াশের শিকার। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, আপনি যে টাকা S@ifur`s এ দেবেন, সেই টাকা ব্যয় হবে হিন্দু সমাজকে ধ্বংস করতে। সুতরাং S@ifur`s এর সেই বিজ্ঞাপন “এক পা S@ifur`s এ দিলেই অন্য পা অস্ট্রেলিয়ায়” এর মতো আগেই ভাববেন, S@ifur`s এ গিয়ে আপনি এক পা ইসলামে দিলেন না তো ?

 জয় হিন্দ।

No comments:

Post a Comment