নমস্কার নয়, বলুন- জয় শ্রীরাম বা জয় শ্রীকৃষ্ণ এবং এই প্রসঙ্গে আরো জানুন ‘সালাম’ শব্দের অন্তর্নিহিত অর্থ কী ?
নমস্কার শব্দটির আধ্যাত্মিক অর্থ কারো ভেতরে বাস করা ঈশ্বরকে সম্মান করা হলেও, এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে, মাথা নত করে কাউকে অভিবাদন জানানো। কারণ, নমস্কার শব্দটিই এসেছে, নম<নামা<নিচে বা নিচু/নীচু শব্দ থেকে। এর মধ্যে নিজে ছোট হওয়ার ও অপরকে বড় করার একটা ব্যাপার আছে; রাজা-বাদশাদের সামনে তার সভাসদরা যেমন কোমড় বাঁকা করে মাথা নিচু করে বাম হাত মাথার কাছে রেখে ডান হাত মাথা পর্যন্ত তোলা ও নামানোর মাধ্যমে যে সম্মান দেখায়, নমস্কারের আভিধানিক অর্থ অনেকটা সেরকম। নমস্কারের মাধ্যমে অন্যকে বড় করা হয় ঠিকই, কিন্তু তার খুব একটা প্র্যাকটিক্যাল উপকারিতা নেই। কিন্তু নিজেকে যে ছোট করা হয়, মনের উপর সেটার ভয়াবহ অপরকারিতা আছে।
নমস্কার করে নিজে ছোট হয়ে অন্যকে আমরা বড় করছি, স্বাভাবিকভাবে মনে হবে, এতে ক্ষতির কী আছে ? অন্যকে সম্মান করছি, এ তো ভালো কথা। কিন্তু যে বৈশিষ্ট্য বা রীতি নিজেকে অন্যের কাছে ছোট করে, সেই বৈশিষ্ট্য বা রীতি সেই জাতিকে কখনো বড় হতে দেয় না বা মাথা তুলে দাঁড়াতে দেয় না। একারণেই অগাধ জ্ঞান, গুন ও একটি সভ্য ধর্মের অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও হিন্দুরা অপর কোনো জাতির সামনে মাথা তুলে কথা বলতে পারে না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারে না, অন্যের অন্যায্য দাবীকেও না বলতে পারে না। দেহে শক্তি থাকলেও- মাথা নত করা স্বভাবের জন্য- মুখে তা প্রকাশ করতে পারে না বা কাজে তার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পারে না।
হিন্দুদের এই জাতিগত দুর্বলতার বিষয়টি জানতে পেরেছিলো জিন্না। জিন্না বুঝেছিলো, যদি একবার শক্ত করে বলতে পারি যে, এটা আমার চাই, তাহলে গান্ধী তা না বলতে পারবে না। খেয়াল করুন ১৯৪৪ সালে গান্ধী, জিন্নাহকে বলছে, "আমি আপনার বা ইসলামের শত্রু নই। আমি আপনাদের দীন সেবক মাত্র। আমাকে দয়া করে ফিরিয়ে দেবেন না।"
গান্ধীর কিসের দুর্বলতা ছিলো, তাই জিন্নাহর কাছে সে ভিক্ষা চাচ্ছে ? সেই সময় গান্ধী ছিলো ভারতের অধীশ্বর, উপমহাদেশের ৭৭% হিন্দু ছিলো গান্ধীর পাশে। তারপরও গান্ধী, মনের দিক থেকে কেনো এত দুর্বল ? সংখ্যার শক্তি তো তার কম ছিলো না ? প্রকৃতপক্ষে এটা হচ্ছে হিন্দুদের হাজার বছরের মাথা নত করে থাকার ফল। মুসলিম দুঃশাসনের আমলে হিন্দুদেরকে তো এমনি ই অত্যাচারীদের সামনে মাথা নত করে থাকতে হয়েছে, তারপরেও আমরা আচার-সংস্কৃতির মাধ্যমে সব সময় মাথা নত করে থাকতে অভ্যস্ত। মাথা উঁচু করে চলার শিক্ষাই তো হিন্দুদের নেই, তাই মাথা উঁচু করে, আমরা, হিন্দুরা কথা বলবো কিভাবে ?
রামায়ণ, মহাভারতের যুগে কেউ কাউকে নমস্কার বলতো না। ছোটরা বড়দেরকে সম্মান জানানোর জন্য দুই হাত বুকের সামনে যুক্ত করে বলতো প্রণিপাত। এটা প্রণামের প্রতিশব্দ। এটা নমস্কার বলার চেয়ে বেটার। কারণ, এর মধ্যে নত হওয়ার কোনো ভাব নেই। এর মাধ্যমে নিজেকে নিজের জায়গায় রেখে অপরকে সম্মান দেখানো হয় বা সম্মান দেখানো যায়। তাছাড়া এই ভাবে কাউকে অভিবাদন জানানোর নাকি বৈজ্ঞানিক ভিত্তিও আছে; যদিও আমি শিউর নয়, শুনেছি এই ভাবে দুই হাত যুক্ত করে কাউকে অভিবাদন জানালে, যাকে অভিবাদন জানানো হচ্ছে, তাকে নাকি অনেক দিন মনে রাখা যায়। এর বৈজ্ঞানিক থিয়োরি হচ্ছে, তালুতে তালু রেখে যখন দুই হাত যুক্ত করে যখন কাউকে অভিবাদন জানানো হয়, তখন নাকি হাত থেকে একটি সিগন্যাল মস্তিষ্কে যায় এবং ঐ দুজন ব্যক্তি পরস্পরকে দীর্ঘদিন মনে রাখতে পারে। যদিও এর কোনো ধর্মীয় বা মানসিক উপকারিতা নেই, এটা শুধুই সম্বোধন।
হিন্দু সমাজে আরেক ধরনের প্রণামের নিয়ম আছে, আর তা হলো, যাকে প্রণাম করা হচ্ছে, তার সামনে বসে, হাত দিয়ে তার পা ছুঁয়ে সেই হাত কপালে ঠেকানো। এভাবে দুইবার বা তিনবার করা হয়। এটা সামনা সামনি দাঁড়িয়ে নমস্কার বা প্রণাম বলার চাইতে খারাপ। এর মাধ্যমে নিজেকে ভীষণভাবে ছোট করা হয় এবং অপরের পা কে নিজের কপালে উঠানো হয়। এই ধরণের প্রণাম একমাত্র নিজের পিতা-মাতাকেই করা যেতে পারে, অন্য কাউকে নয়। কারণ, পিতা-মাতার চরণ নিজের কপালে থাকলে সেটা অমঙ্গল নয়, মঙ্গল।
এই প্রণামের আরেকটা রূপ হচ্ছে ষষ্ঠ অঙ্গ সহকারে বা ষাষ্ঠাঙ্গে প্রণাম। এতে কারো মাথা একেবারে অন্যের পায়ে ঠেকিয়ে প্রণাম করা হয়। এটা শুধু অনুচিত ই নয়, ভয়ংকর ধরণের একটা পাপ। কারণ, আমাদের শরীরে ব্রহ্মতালু বলে একটা কথা আছে;এই ব্রহ্মতালুর স্থান মাথার একেবারে উপরে এবং সেখানে স্বয়ং ব্রহ্ম বাস করেন বলেই তার নাম ব্রহ্মতালু। তো যখন কেউ কারো পায়ে মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম করে, সে তখন, তার মাথায় অবস্থান করা ব্রহ্ম বা ঈশ্বরকে প্রকৃতপক্ষে অপর ব্যক্তির পায়ের নিয়ে গিয়ে ফেলে দেয়। কিন্তু যার পায়ে নিয়ে গিয়ে ব্রহ্মকে সে ফেলে দিলো, সে তো একজন সাধারণ মানুষ।
এসব আধ্যাত্মিক কথা বাদ দিলেও, সাধারণ দৃষ্টিতেও এই ধরণের প্রণামের অর্থ, একজনের পায়ের নিচে অন্য একজনের সমস্ত কিছু অর্পন করে দেওয়া। যখন এইভাবে কাউকে প্রণাম করা হয়, তখন প্রণামকারীর নিজের বলে কিছু থাকে না, তার পাপ-পূন্য, ভালো-মন্দ সকল কিছুর অধিকারী হয়, যে প্রণাম নিচ্ছে, সে। কিন্তু তার কি তাকে ধারণ করার ক্ষমতা আছে ? কোনো একজন মানুষ কি অপর একজন মানুষকে ধারণ করার ক্ষমতা রাখে ? কাউকে ধারণ করার অর্থ হলো, কারো অন্তর বাহিরের সকল কিছু জানা এবং এবং সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া, কিন্তু কোনো মানুষের পক্ষে কি অপর একজন মানুষের সব কিছু জানা সম্ভব, না তার সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব ? আমরা যারা- না জেনে, না বুঝে -এই ধরণের প্রণাম করছি বা প্রণাম নিচ্ছি, তারা উভয়েই ভয়ংকর ধরণের পাপ করে চলেছি।
চৈতন্যদেবকে নিয়ে তৈরি ছবিতে দেখেছি, যখন কেউ চৈতন্যদেবকে ষাষ্ঠাঙ্গে অর্থাৎ পায়ে মাথা রেখে প্রণাম করে, তখন চৈতন্যদেব, তার মাথায় পা রেখে তাকে আশীর্বাদ করে। এটা শুধু দৃষ্টিকটু ই নয়, এটাও একটা চরম পাপ। কারণ, উপরেই উল্লেখ করেছি, আমাদের মাথা হচ্ছে ব্রহ্মের বাসস্থান। সাধারণভাবে, অজান্তে, কারো গায়ে বা পায়ে, পা লেগে গেলেও আমরা তার গায়ে হাত ছুয়ে বা ছোঁয়ার ভঙ্গি করে, সেই হাত মাথায় রেখে তাকে রেসপেক্ট দেখাই; এর মূল কারণ, সবার মধ্যেই যে ঈশ্বর বাস করেন, সেই ধারণাটাকে আমরা মনে লালন করি। সেক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃতভাবে কারো মাথায় পা রাখা, এটা অভিশাপ হতে পারে, আশীর্বাদ কখনোই নয়। তাছাড়া পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ কি এই ভাবে কারো মাথায় পা রেখে কখনো আর্শীবাদ করার ভঙ্গি করেছেন ? চৈতন্যদেব এই সিস্টেম পেলো কোথায় ?
শাস্ত্রে বলা আছে, তিনিই আচার্য বা গুরু, যিনি শাস্ত্রসম্মত আচরণ করেন এবং সেইভাবেই তার শিষ্যদেরকে শিক্ষা দেন। হিন্দুধর্ম যদিও পরিবর্তনকে অস্বীকার করে না, কিন্তু সেই পরিবর্তন আনতে গেলেও তো আগে শাস্ত্রগুলোকে গুলে খেয়ে দেখতে হবে যে- কোন বিধান বর্তমান সমাজের জন্য প্রযোজ্য, আর কোনটা নয়। যে ‘মনুসংহিতা’কে হাজার হাজার বছর ধরে হিন্দু সমাজের গুরু-পুরোহিত-সাধু-সন্ন্যাসীরা হিন্দু শাস্ত্রের একটি প্রামান্য গ্রন্থ বলে মনে করতো বা এখনও করে, তাদের কি সেই যোগ্যতা ছিলো বা আছে, শাস্ত্রবর্ণিত কোনো বিষয়ে পরিবর্তন আনার ? কিন্তু যেভাবেই হোক, আমি ই প্রথম বলেছি এবং এখনও বলছি ‘মনুসংহিতা’ হিন্দুশাস্ত্রের কোনো প্রামান্য গ্রন্থ নয়, এটা আর্যসভ্যতার রাষ্ট্র পরিচালনার একটি সংবিধান মাত্র।
মনু, যার প্রকৃত নাম স্বায়ম্ভূব, যিনি সাধারণ লোককে ধোকা দিয়ে, অমর হওয়ার জন্য, ব্রহ্মার মানসপুত্র হিসেবে নিজেকে দাবী ক’রে, নিজের নামের সাথে মনু যুক্ত ক’রে, রাষ্ট্র পরিচালনার সুবিধার্থে গীতায় বর্ণিত চতুর্বর্ণ সিস্টেমের বিকৃত (কর্মসূত্র থেকে জন্মসূত্রে) ব্যাখ্যা ক’রে, সমাজকে ভাগ ক’রে, নিজেকে শ্রেষ্ঠ বর্ণ ব্রাহ্মণ হিসেবে দাবী করেছিলেন এবং মনুসংহিতা রচনা করেছিলেন। শুধু তাই নয়, চৈতন্যদেবের সময়ের লোকজন- ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ, শ্রীকৃষ্ণকীর্তনকাব্য এবং জয়দেবের গীতগোবিন্দ, যার উপর দাঁড়িয়ে আছে পুরো বৈষ্ণব সমাজ এবং তাদের থিয়োরি; তারা জানতোই না যে, হিন্দু ধর্মীয় বিষয় নিয়ে লেখা হলেও এগুলো হিন্দু ধর্মের কোনো প্রামান্য গ্রন্থ নয় এবং এই গ্রন্থগুলো যে হিন্দুধর্মকে ধ্বংস করার নীলনকশা হিসেবে মুসলিম শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতায় লিখা হয়েছিলো সেই ইতিহাসও, অনেকে কেনো ৯৯.৫% বৈষ্ণব এখনও জানে না, তাহলে এই পাহাড়সম অজ্ঞতা নিয়ে, শাস্ত্র বর্ণিত নিয়ম কানুন পরিবর্তনের অধিকার তাদের কোথায় ?
শুধু মনুসংহিতা নিয়ে আমার একটি পোস্ট আছে, এটা পড়লে আপনারা মনু এবং তার সংবিধান নিয়ে ডিটেইলস জানতে পারবেন।
চৈতন্যদেবের ভক্তরা, তাকে রাধা ও কৃষ্ণের যুগল অবতার বলে মনে করে। কিন্তু চৈতন্যদেব এর ভক্তরা হয়তো জানেই না যে যৌবনবতী যে রাধার সাথে কৃষ্ণের প্রেমের কথা বলা হয়, সেই রাধাই আসলে নেই, তা সত্ত্বেও রাধা যেহেতু নারীর প্রতীক, চৈতন্যদেব সেই কাল্পনিক নারী রূপী রাধার অবতার হতে পারেন, কারণ কৃষ্ণের প্রতি রাধার যে কাল্পনিক বিরহ, তা চৈতন্যদেবের মধ্যে ছিলো, কিন্তু কৃষ্ণের যে গুন বা বৈশিষ্ট্য, তার কিছুই চৈতন্যদেবের মধ্যে ছিলো না। তাই তিনি কিছুতেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অবতার হতে পারেন না, আর পৃথিবীতে শ্রীকৃষ্ণের অবতার বলে কিছু নেই, যারা আছেন তারা বিষ্ণুর অবতার, তাছাড়াও এক অবতার কখনো অন্য এক অবতারের ভক্ত হয় না, এই সূত্রে চৈতন্যদেব শুধুই কৃষ্ণের ভক্ত, তিনি কোনো অবতার নন।
এ ব্যাপারে, এখানে এত বিস্তারিত আলোচনার অবসর নেই, তাই এ নিয়ে কারো মনে কোনো সন্দেহ থাকলে চৈতন্যদেব ও শ্রীকৃষ্ণের জীবনী নিয়ে গবেষণা করে দেখতে পারেন। আমার এইসব মত নিয়ে কোনো কোনো বৈষ্ণব ভক্ত হয়তো বিরূপ হতে পারেন, কিন্তু তার আগে মনে রাখবেন, আমিও চৈতন্যদেবের অনুসারী বৈষ্ণব সমাজের একজন সদস্য, হিন্দু সমাজের ক্ষতগুলোকে মেরামত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি; তাই যে প্রথাগুলো হিন্দু সমাজের জন্য উপকারী ও যুগোপযোগী আমি সেগুলোরই সমর্থক ও প্রচারক, আর যেগুলো ক্ষতিকারী, সেগুলোর আমি বিনাশক।
ষাষ্ঠাঙ্গে প্রণামের সিস্টেম, প্রাচীন হিন্দু সমাজে ছিলো না এবং আমার ধারণা, এই প্রথার উদ্ভব চৈতন্যদেবের সময় থেকেই। এইভাবে কারো পায়ে মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম করার অর্থ হলো, পরিপূর্ণ আত্মসমর্পন। বৈষ্ণব সমাজ থেকে গুরুগিরি প্রথার উদ্ভব এবং এই বৈষ্ণব গুরুরা চেয়েছে, তাদের প্রতি তাদের শিষ্যদের পরিপূর্ণ আত্মসমর্পন থাকুক। তাই তারা এই প্রথা চালু করেছে বলে আমার মনে হয়।
শুরু থেকেই গুরুগিরি একটা ভয়াবহ লাভজনক পেশা। এরা হিন্দুসমাজের উন্নতি ও হিন্দু সমাজকে রক্ষার জন্য তিল পরিমান চিন্তা ভাবনা করে না, অথচ প্রায় সমগ্র হিন্দু সমাজের শ্রদ্ধা-ভক্তিকে বিনা পয়সায় কিনে নিয়ে এই গুরুরা অঢেল ঐশ্বর্যকে ভোগ করে চলেছে। সাত্ত্বিক আহারের নামে নিরামিষ ভোজন এবং কাম-ক্রোধ ত্যাগ করিয়ে হিন্দু সমাজকে দুর্বল ও নপুংসক বানাতে এই গুরুদের যে ভূমিকা, তা অপরিসীম; যদিও হিন্দুশাস্ত্রের কোথাও বলা নেই যে সাত্ত্বিক আহার মানে নিরামিষ এবং এই কথাও কোথাও বলা নেই যে নিরামিষ খেতে হবে।
যা হোক, এই গুরুরা দীক্ষা দিয়ে মানুষকে পরলোকে মুক্তির পথ দেখায়, কিন্তু ইহলোকে হিন্দুদের যে দুর্দশা তা নিয়ে তাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। থাকবে কিভাবে ? নিজেদেরকে রক্ষা করারই তো কোনো ক্ষমতাই এদের নেই। আর যাদের নিজেকে রক্ষা করার ক্ষমতা নেই, তারা সমাজ সম্পর্কে কিছু ভাববে কিভাবে ? আর যারা সমাজ সম্পর্কে কিছু ভাবে না, সমাজের এত সমস্যার মাঝেও, তারা বেশ রিল্যাক্সে থাকতে পারে; আর এরকম রিল্যাক্সে থাকলে নির্জনে বসে জপ-ধ্যান করা সম্ভব এবং ইহকালে সমগ্র হিন্দুজাতিকে বিপদের মুখে রেখে পরকালে নিজের মুক্তি বা মোক্ষলাভের কথাও চিন্তা করা সম্ভব। প্রকৃতপক্ষে হিন্দুসমাজের প্রত্যেকটি সাধু-সন্ন্যাসী-গুরুরা এক একজন চরম স্বার্থপর, ধান্ধাবাজ ও নিষ্কর্মা ব্যক্তি।
এবার দেখা যাক ইসলামি সম্ভাষণের রীতি অনুযায়ী মুসলমানরা কী বলে, কী করে, আর এর অন্তনির্হিত তাৎপর্যই বা কী ?
প্রণিপাত, প্রণাম, নমস্কার, গুড মর্নিং, হ্যালো, সালাম ওয়ালাইকুম - যা ই বলি না কেনো, এগুলোর মূল প্রার্থিব উদ্দেশ্য হলো, অন্যের সাথে কথা বলা শুরু করার একটা ক্লু বা সূত্র মাত্র। এছাড়া এগুলোর আর অন্য কোনো বাস্তব উপযোগিতা নেই। এগুলোর মধ্যে - জঘন্য, নোংরা, দুর্গন্ধযুক্ত একটি আদর্শ- ইসলাম এর অনুসারী, মুসলমানদের, তাদের সম্ভাষণের রীতি নিয়ে গর্বের শেষ নেই। তারা বলে, সকল ধর্মের ব্যক্তিদের সম্ভাষণ রীতি শুধু একটি শব্দ, এর কোনো অর্থ নেই অর্থাৎ তারা বোঝাতে চায়, ওসবের কোনো মূল্য নেই। কিন্তু তারা যে বলে, আস সালামু ওয়ালাইকুম..., এর মানে হচ্ছে "আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক" -এটা নাকি একটা দোয়া, এর নাকি চরম মূল্য আছে। কিন্তু এই সালামের অর্থের অন্তনির্হিত তাৎপর্য কী এবং এর মাধ্যমে আসলে তারা কী প্রকাশ করে, সেটাই আজ আপনাদের বলবো, যা মুসলমানরা কোনো দিন ভাবতেও পারে নি।
এ প্রসঙ্গে, আগে একটা কৌতুক বলে নিই, তাহলে বিষয়টি বুঝতে সহজ হবে। বাংলাদেশ টেলিভিশনের একটি জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি। হানিফ সংকেত নামের এক কমেডিয়ানের এই অনুষ্ঠানটি দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে সমান জনপ্রিয়তা নিয়ে বাংলাদেশে চলছে। এই অনুষ্ঠানের একটি নাট্যাংশে একবার দেখানো হয়েছিলো, রাস্তার জ্যামে আটকে যাওয়া একটি গাড়িতে সস্ত্রীক বসে থাকা এক ধনী ব্যক্তির কাছে এক ভিক্ষুক ভিক্ষা চাইতে যায়। ব্যক্তিটি ভিক্ষুককে ১০ টাকা ভিক্ষা দেয়। তখন ভিক্ষুক বলে, স্যার, আপনি লাখপতি না কোটিপতি ? ভিক্ষুকের কথা শুনে লোকটি তো অবাক। পাশে বসে থাকা স্ত্রী বলে,
"বলো না, বলো না, ইনকাম ট্যাক্সের লোক হতে পারে, ছদ্মবেশে আছে।"
এখানে খেয়াল করুন, ওই ব্যক্তির স্ত্রীর কথায় এটা প্রমানিত যে, মুসলমানরা কখনোই সৎ হতে পারে না, ওই ব্যক্তি হয় ট্যাক্স ফাঁকি দিচ্ছে বা অবৈধ উপায়ে অর্থ আয় করছে।
যা হোক, লোকটি তখন, ভিক্ষুককে জিজ্ঞেস করে,
"ব্যাপার কী ? আমি কোটি পতি না লাখপতি, তা দিয়ে তুমি কী করবে ? তোমার উদ্দেশ্যটা কী ?"
ভিক্ষুকটি বললো, "স্যার, অন্যভাবে নিয়েন না। আসলে ঘটনা হইছে কি, কয় দিন আগে আপনারই মতোন এক স্যার আমারে ১০ ট্যাকা ভিক্ষা দিছে। আমি উনার ল্যাইগ্যা দোয়া করে বললাম, হে আল্লাহ, তুমি এই স্যাররে লাখপতি বানাইয়া দাও।
সঙ্গে সঙ্গে স্যার ক্ষেইপ্যা গিয়া বললো, এই, দাও, ভিক্ষা ফেরত দাও। আমি বললাম, ক্যান স্যার, কী হইছে ? আমি তো আপনার ল্যাইগা দোয়া ই করলাম, অন্য কিছু তো করি নাই। স্যার বললো, লাগবো না তোমার দোয়া। আমি তো এমনিই কোটিপতি। তোমার দোয়া শুইন্যা আল্লা যদি আমারে লাখপতি বানাইয়া দেয়, তাহলে আমার কী অবস্থা হইবো ? দাও, ট্যাকা ফেরত দাও। এই কথা বইল্যা আমার হাত থ্যাইক্যা ভিক্ষার টাকা ক্যাইড়া নিয়া চইল্যা গেলো স্যার। ব্যবসায় ক্ষতি হইলো। সেই থ্যাইকা আমি খুব সাবধান। কে কোটিপতি আর কে লাখপতি, তা না জাইন্যা আমি কারো জন্যি দোয়া করি না।" স্যার, এখন আপনি কন, আপনি লাখপতি না কোটিপতি, তাইলে আপনার ল্যাইগা আমার দোয়া করতে সুবিধা হয়।
উপরের এই গল্পের সারমর্ম হলো, যার যা নেই, তার জন্য বা তা পাওয়ানোর জন্য, তাকে দোয়া করা হলে সে খুশি হয় বা তার খুশি হওয়ার কারণ ঘটে। কিন্তু যার যা আছে, তার জন্য তাকে দোয়া করা হলে, তার খুশি হওয়ার কোনো কারণ নেই। খেয়াল করুন, মুসলমানরা সব সময় একে অপরকে এই বলে দোয়া করছে যে, "আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক।" এর সরল অর্থ এটাই যে, মুসলমানরা শান্তিতে নেই। যদি তারা শান্তিতেই থাকতো, তাহলে, আবার শান্তিতে থাকতে বলে দোয়া করার তো কোনো প্রয়োজন পড়তো না ?
বাস্তবেও তাই, পৃথিবীর কোথাও মুসলমানরা শান্তিতে নেই। পৃথিবী জুড়ে যত যুদ্ধ ও অশান্তি, সবই মুসলিম এলাকায় বা মুসলমানদের নিয়ে বা মুসলমানদের জন্য। পারিবারিক জীবনেও একজন (প্রকৃত) মুসলমান, বহু বিবাহ করে স্ত্রীদের মধ্যে ঝগড়া-অশান্তি লাগিয়ে এবং বহু সন্তানের জন্ম দিয়ে, দারিদ্রতায় ভুগে, তারা সাংসারিক জীবনে কতটুকু শান্তি লাভ করে ? এরপর এই ধরণের পরিবারের সন্তানরা কুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে মামলা-মোকদ্দমায় ফেঁসে পরিবারের সবাইকে যন্ত্রণার মধ্যে ফেলে, এটাও এক প্রকার অশান্তি।
এছাড়াও আছে পাছায় মুহম্মদের কামড়, জিহাদ করে সারা দুনিয়ায় ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য একজন মুসলমানকে তার জীবদ্দশায় কিছু না কিছু করতে হবে, এটা মুসলমানদের এক ঈমানী দায়িত্ব ; আর এটা করতে গেলে তাকে সন্ত্রাস বা কোনো না কোনো অন্যায় কাজ করতেই হবে। আর এই অন্যায় করতে গেলে তার জেল-জরিমানা বা আমেরিকা-রাশিয়া-ইউরোপের বোমা-গুলি খেয়ে মরতে হবে, জিহাদের এই যে তাগাদা, মুসলমানদের জন্য এটাও এক প্রকারের অশান্তি। তো মুসলমানরা শান্তিতে আছে কোথায় ? সেজন্যই পরস্পরকে সালাম দেওয়ার মাধ্যমে ওরা যা বলে, সেটাই ওদের জন্য উপযুক্ত। কারণ, যার পুত্র নেই, তার উদ্দেশ্যেই আশীর্বাদ করে বলা হয় পুত্রবতী বা পুত্রবান হও; যার পুত্র আছে, তার উদ্দেশ্যে কেউ এমন আশীর্বাদ করে না।
মুসলমান ছাড়া পৃথিবীর সবাই যেহেতু সুখে-শান্তিতে আছে, সেহেতু তাদের জন্য এই ধরণের অ্যারাবিক দোয়ার কোনো প্রয়োজন নেই, তাদের জন্য স্ব স্ব মাতৃভাষার যে কোনো সম্ভাষণই উপযুক্ত এবং সেটাই সর্বোত্তম।
এই লিখাটির শিরোনাম দিয়েছি, "নমস্কার নয়, বলুন জয় শ্রীরাম বা জয় শ্রীকৃষ্ণ" এবার এব্যাপারে কিছু বলে লিখাটি শেষ করি।
নমস্কার বলার মধ্যে যে কী ক্ষতিকারক বিষয় লুকিয়ে আছে, তা তো উপরে আলোচনা করলাম, আমার বিশ্বাস, সবাই তা বুঝতে পেরেছেন; তাই আমি নমস্কার করা বা বলার পক্ষপাতি নই। কোনো সাইড এফেক্ট না থাকলেও বলতে চাই না প্রনাম বা প্রণিপাত, এমন কিছু বলতে চাই যাতে আমাদের সম্ভাষণের কাজও হয় আবার আমাদের ধর্মের কাজও হয়। এজন্য আমরা একজন যদি বলি "জয় শ্রীরাম" এবং উত্তরে অপরজন যদি বলি "জয় শ্রীকৃষ্ণ", তাহলেই বেস্ট বা এর উল্টোটাও বলতে পারি, মানে কেউ যদি বলে জয় শ্রীকৃষ্ণ, অপরজন বলবে জয় শ্রীরাম। কারণ, এর মাধ্যমে হিন্দু ধর্মের জয় যেমন বারবার উচ্চারিত হবে, তেমনি সর্বক্ষেত্রে এই দুই জনের জয় যদি আমরা নিশ্চিত করতে পারি, তাহলেই হিন্দুদের সকল সমস্যার সমাধান হবে।
তাছাড়াও ভগবানকে স্মরণ করার মাধ্যমে আমরা একে অপরের সাথে পরিচতি হচ্ছি বা কথা শুরু করছি, এটাও একটা বিরাট বিষয় বা কল্যাণকর ব্যাপার। কেননা, এর মাধ্যমেও তো আমরা দিনে অন্তত কয়েকবার অবচেতন মনে অভ্যাসবশতই ভগবানের নাম নিতে পারবো। আমার ধারণা ও বিশ্বাস, হিন্দু ধর্মের উত্থানে এই সম্ভাষণ রীতি একটি যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে। কারণ, যে হিন্দু দিনে অন্তত একবার মুখে বলবে জয় শ্রীরাম বা জয় শ্রীকৃষ্ণ, সেক্যুলার বা নাস্তিক হলেও আস্তে আস্তে সে প্রকৃত হিন্দু হয়ে যাবে এবং হিন্দু সমাজ ও ধর্মের জন্য তার জীবনে কিছু না কিছু কাজ সে করতে বাধ্য হবেই। এভাবেই এগিয়ে যাবে হিন্দু সমাজ ও হিন্দু ধর্ম এবং বিশ্ব সভায় তা একদিন সুসভ্য ধর্ম হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
আমি ভারতের বহু এলাকায় ঘুরেছি, সেখান খেয়াল করেছি, হিন্দি ভাষী হিন্দুরা পরস্পরকে সম্বোধনে বলে ‘জয় সিয়ারাম’ বা ‘রাম রাম’, এখন আপনি একটা বিষয় খেয়াল করে দেখবেন, বাংলা ভাষী হিন্দুদের চেয়ে হিন্দি ভাষী হিন্দুদের সমস্যা কিন্তু কম; কারণ, তাদের মধ্যে হিন্দুত্ববোধ জাগ্রত, আর একারণেই মহারাষ্ট্রে শিবসেনার মতো দলের জন্ম হয়, যারা পাকিস্তানী শিল্পী গোলাম আলীর কনসার্ট বাতিল করতে পারে, পাকিস্তানের ক্রিকেট ম্যাচ বাতিল করতে পারে, পাকিস্তানী শিল্পীদের বলিউড ছাড়া করার হুমকি দিতে পারে; শাহরুখ, আমীরের মতো ভারত বিরোধীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে পারে এবং বিজেপির মতো হিন্দু শক্তি রাজ্যের ক্ষমতায় আসতে পারে। এর বিপরীতে পশ্চিমবঙ্গের দিকে তাকান, মহারাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত গোলাম আলী পশ্চিমবঙ্গে এসে অনুষ্ঠান করতে পারে, রাস্তায় প্রকাশ্যে হিন্দু নাম ধারী কুলাঙ্গাররা গরুর মাংস খাওয়ার অনুষ্ঠানও করতে পারে, মমতা প্রকাশ্যে নিজের গরুর মাংস খাওয়ার পক্ষে সাফাই গেয়ে আবারও বিপুল ভোটে মূখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হতে পারে; শিবসেনার মতো দল, যারা ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ প্রসঙ্গে প্রকাশ্যে ঘোষণা দেয়, দেশের জন্য তারা মানববোমা হতেও প্রস্তুত, পশ্চিমবঙ্গে সেই দলের অবস্থান এখনও নড়বড়ে। সারা দেশ কাঁপিয়ে বেড়ালেও যে রাজ্যে বিজেপি এখনও ক্ষমতায় আসতে পারে নি, যে রাজ্যে হিন্দু সমাজকে ধ্বংসের চক্রান্ত হিসেবে বছরে ২/৪ টি লাভজিহাদের সিনেমা বানানো হয়, যার বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদও নেই, শুধু তাই নয়, গোগ্রাসে সেগুলো আবার তারা গিলেও, সেই রাজ্য এবং তার সংলগ্ন বাংলাদেশে হিন্দুদের এত সমস্যা থাকবে না তো থাকবে কোথায় ? এর মূল কারণ হলো বাঙ্গালি হিন্দুদের মধ্যে হিন্দুত্ববোধ জাগ্রত নেই, যেটা আছে হিন্দি ভাষী হিন্দুদের মধ্যে এবং এটা কি অস্বীকার করা যাবে যে, তাদের এই জাগ্রত হিন্দুত্ববোধের পেছনে তাদের সম্বোধনে ‘রাম রাম’ বা ‘জয় সিয়ারাম’ বলার কোনো ভূমিকা নেই ? আমি একটা বিষয় গবেষণা করে দেখেছি যে, প্রতিটা হিন্দুর মধ্যে যদি হিন্দুত্ববোধ জাগানো যায়, তাহলে বাঙ্গালি হিন্দুদের সকল সমস্যা এমনি ই সমাধান হয়ে যাবে। এজন্যই আমার মিশন, জন্মসূত্রে হিন্দু প্রতিটা হিন্দুকে প্রকৃত হিন্দু বানানো বা তাদেরকে হিন্দু হিসেবে গড়ে তোলা।
যা হোক, সব হিন্দুদের মাঝে যদি চালু করা যায় তাহলে "জয় শ্রীরাম ও জয় শ্রীকৃষ্ণ" এমন একটা সম্ভাষণ রীতি হবে, যার মাধ্যমে সকল হিন্দু সব সময় এটা উচ্চারণ করার সাথে সাথে হিন্দু ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করবে, এতে হিন্দু ধর্ম নিয়ে তার যদি কোনো হীনন্মন্যতা থাকে, তা আস্তে আস্তে দূর হবে এবং এটা হবে সারাবিশ্বের মধ্যে এমন অনন্য এক সম্ভাষণ রীতি, যেটা সরাসরি কোনো ধর্মকে রিপ্রেজেন্ট করবে, যা আজ অবধি পৃথিবীর কোনো সম্ভাষণ রীতির মধ্যে নেই।
আমার সাথে যারা ইনবক্সে কথা বলেন, তারা হয়তো একটু চেষ্টা করলে মনে করতে পারবেন যে, আপনারা যখন আমাকে সম্বোধন হিসেবে নমস্কার বা প্রণাম লিখেছেন, এর জবাবে আমি রিপ্লাইএ লিখেছি ‘জয় শ্রীকৃষ্ণ’। মনে করতে না পারলে ইনবক্সে একটু পেছনে গিয়ে চেক করলেই আমার কথার সত্যতাকে বুঝতে পারবেন। হয়তো এটাকে আপনারা একটা নরম্যাল রেসপন্স হিসেবে নিয়েছেন, কিন্তু এর পেছনে আমার রয়েছে একটা গভীর ধর্মীয় উদ্দেশ্য।
যারা আমার এই উদ্দেশ্যটি বুঝতে পারলেন, তাদের কাছে আমার অনুরোধ, আমাকে তো অবশ্যই জয় শ্রীরাম বা জয় শ্রীকৃষ্ণ লিখে সম্বোধন করবেন এবং শুধু আমাকেই নয়, যার সাথেই অফলাইন বা অনলাইনে কথা বলতে যাবেন, সে যদি হিন্দু হয়, তাকে বলুন বা লিখুন জয় শ্রীরাম বা জয় শ্রী কৃষ্ণ এবং তাকেও অন্য হিন্দুকে একইভাবে সম্বোধন করতে বলুন। এছাড়া অনেকে হয়তো খেয়াল করে থাকবেন যে, আমি আমার প্রত্যেকটা ধর্মীয় পোস্টের শেষে লিখি- জয় শ্রীরাম, জয় শ্রী কৃষ্ণ। এর উদ্দেশ্য হলো- আমি চাই, যারা আমার পোস্ট পড়বে, তারা যেন এই পোস্ট পড়া উপলক্ষে এই নাম দুটোকে একবার হলেও স্মরণ করে বা করতে বাধ্য হয়। কেননা, সমাজের পরিবর্তন এই ভাবে ধীরে ধীরেই করতে হয়।
তাই জোরে বলুন, জয় শ্রীরাম ও জয় শ্রীকৃষ্ণ এবং হিন্দুধর্মের জয় শুরু হোক- এখন থেকেই, আপনার মাধ্যমেই।
জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।
No comments:
Post a Comment