Saturday, 18 July 2020

হিন্দু সমাজের সাধু-সন্ন্যাসী-ব্রহ্মচারী-মহারাজদের কাজটা কী ?


হিন্দু সমাজের সাধু-সন্ন্যাসী-ব্রহ্মচারী-মহারাজদের কাজটা কী ?

আমাদের সাধু সন্ন্যাসীদের বলছি, আপনারা হাজার হাজার বছর ধরে হিন্দুদের অন্ন ধ্বংস করে নিজেদের মোক্ষের কথা অনেক ভেবেছেন। এবার হিন্দুদের ইহলৌকিক মুক্তির কথা কিছু ভাবুন। কোথাও হিন্দুরা আক্রান্ত হলে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। আপনার ১০ জন যদি পথে নামেন, আপনাদের সাথে আর ১০০ জন সাধারণ মানুষ পথে নামবে। এই সম্মিলিত শক্তি মুসলমানদের শায়েস্তা করার জন্য যথেষ্ট। আর আপনারা যদি যেকোনো দাবী নিয়ে পথে নামেন আপনাদের কথা সরকারও শুনতে বাধ্য, সেই সরকার যতই মুসলিম তোষণকারী হোক না কেনো। আপনারা হিন্দুদের দাবী দাওয়া নিয়ে পথে নামেন না বলেই যুগ যুগ ধরে কেন্দ্রে কংগ্রেস এবং পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট এবং তৃণমুল, মুসলিম তোষণের নামে একের পর এক হিন্দুস্বার্থ বিরোধী পদক্ষেপ নিয়ে পার পেয়ে গেছে।

যা হোক, বিনা কারণে ভারতে হিন্দুরা একের পর এক বিভিন্ন জায়গায় মার খাচ্ছে, মুসলিমদের অত্যাচারে তারা বাড়ি-ঘর বিক্রি করে দিয়ে অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছে, সরকার যতই হিন্দুদের পাশে না দাঁড়াক, আপনাদের কি এজন্য কিছুই করার নেই। কোথাও কোনো ইস্যু নিয়ে আপনাদের তো পথে নামতে দেখি না। আপনারা পথে না নামলে হিন্দুরা তার নিজ ধর্ম-সংস্কৃতি পালনে সাহস পাবে কোথা থেকে ? আর নিজ ধর্ম ও স্বজাতির মানুষদের বিপদের মধ্যে রেখে যারা শুধু মোক্ষের কথা ভাবে, তাদের মোক্ষ লাভ হবে  কিভাবে ?

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, রামচন্দ্র আপনাদের মতো সংসার থেকে পালিয়ে বেড়ান নি। তারা বিয়ে করেছেন, সংসার করেছেন, দুষ্টের দমনের জন্য যুদ্ধ করেছেন। এরাই তো আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় আদর্শ। এরা কি কখনো সংসার থেকে পালিয়ে বেড়িয়েছেন ? আপনারা পালিয়ে বেড়ান কেনো ?   আপনাদের তো সংসার, ছেলে-মেয়ে- বউ, কেউ নেই। টাকা রোজগারের কোনো চিন্তা নেই। সংসারের কোনো দায়িত্বও নেই। জেল-জুলুমে আপনাদের এত ভয় কিসের ? আর মৃত্যুকেই বা এত পরোয়া করেন কেনো ? মানুষ কি মরে ?

আপনারাই তো বলেন, আত্মা শুধু পুরোনো দেহ ছেড়ে নতুন দেহ ধারণ করে। তাহলে মৃত্যুতে আপনাদের কিসের এত ভয়? মনে রাখবেন, আপনারা মারা গেলেও চোখের জল ফেলার মতো একটি ব্যক্তিও নেই। কিন্তু ভারতের স্বাধীনতা আর হিন্দু সমাজের জন্য আপনারা কে, কোথায়, কবে প্রাণ দিয়েছেন ? কেনো আপনাদের এত প্রাণের মায়া? আর জেল জুলুমের ভয়? আপনারা বোধহয় জানেন না, রাস্তায় নামলে আপনাদের পেটাতে যেমন পুলিশের হাত কাঁপবে, তেমনি জেলে ঢোকাতে সরকারেরও বুক কাঁপবে। নিজেদের এত শক্তি নিয়েও আপনারা এত ভীরু কেনো ? নাকি নিরামিষ ভোজন, আপনাদের কামের সাথে সাথে আপনাদের ক্রোধকেও নিঃশেষ করে দিয়েছে ?

ক্রোধ ছাড়া পৃথিবীর কোনো অবস্থার পরিবর্তন হয় নি।  আপনাদের ক্রোধ জগতের সিস্টেমকে পাল্টে ফেলার ক্ষমতা রাখে। এটা যদি ভুলে যান, তাহলে হিন্দুরাও আপনাদের একদিন ভুলে যাবে। তখন পেটের চিন্তা করতে করতে আর মোক্ষ লাভের চিন্তা করার সময় পাবেন না।  আপনাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, গৃহী হিন্দুরা আপনাদের অন্নের সংস্থান করে বলেই আপনারা নিশ্চিন্তে বসে মোক্ষ লাভের চিন্তা করতে পারেন। যখন হিন্দুরা বুঝতে পারবে যে, আপনারা সাধারণ হিন্দুদের জন্য কোনো ভাবনা ভাবেন না, তখন কিন্তু তারা আপনাদের ছুঁড়ে ফেলে দেবে। এই অবস্থা চলতে থাকলে সেই দিন আর খুব বেশি দূরে নয়।

মুসলিম, যাদের এই ভারতে থাকতে দেওয়ারই কোনো কথা ছিলো না, তাদের যখন ভারতে থাকতে দিলো নেহেরু আর গান্ধী, তখন আপনারা কেনো পথে নামেন নি ? নাকি মোক্ষলাভের চিন্তায় ভারতে মুসলিমদের ৮০০ বছরের দুঃশাসনের ইতিহাস পড়ার সময় পান নি, না পড়ার প্রয়োজন বোধ করেন নি ? নেহেরু ইসলামিক আইনের দোহাই দিয়ে মুসলিমদের চারটি বিয়ে করার অধিকার দিয়ে আইন পাশ করলো। তখনও কেনো আপনারা পথে নামেন নি ? এর ভয়াবহতা বুঝতে পারেন নি ? নাকি নিজেরা বিয়ে করবেন না বলে কে কয়টা বিয়ে করবে তা নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন বোধ করেন নি ? ভারতে হিন্দুদের সংখ্যালঘু করে ফেলার এটা একটা ভয়াবহ ষড়যন্ত্র, নাকি এই ষড়যন্ত্রকে বোঝার মতো কাণ্ডজ্ঞানও আপনাদের ছিলো না।

কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকার হজ করার জন্য প্রতিটি মুসলিমকে ৪০ হাজার টাকা করে ভর্তুকি দিতো। উল্টো হিন্দু তীর্থযাত্রীদের কাছ থেকে কর নিতো। কেনো এর প্রতিবাদ করেন নি ? টাকা আপনাদের পরিশ্রম করে কামাতে হয় না, এজন্য ? ভারতের সকল মসজিদ, যেগুলোর বেশির ভাগই মুসলিম শাসনামলে মন্দির ভেঙে তৈরী করা, সেগুলো থেকে সরকার কোনো কর নেয় না। উল্টো মন্দিরের আয়ের একটা অংশ সরকার কেটে নেয়। কেনো এজন্য প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন না ?  লোকজন আপনাদের সাম্প্রদায়িক বলবে, এজন্য ? নিজেকে যদি হিন্দুই ভাবতে না পারেন, তাহলে সন্ন্যাসী হতে গিয়েছেন কেনো ?

যে নিজেকে হিন্দু বলতে গর্ব বোধ করে, সে নিজেকে সাম্প্রদায়িক ভাবতেও লজ্জা বোধ করে না। কেননা, সাম্প্রদায়িক না হলে কেউ নিজের সম্প্রদায়ের জন্য কোনো ভালো কিছু করতে পারে না।  নেহেরু অসাম্প্রদায়িক ছিলো বলেই, মুসলিম ছেলের  সাথে নিজের মেয়ে ইন্দিরা গান্ধীর বিয়ে দিয়েছিলো। আপ বাপ বেটি মিলে ভারতের হিন্দুদের যত রকম ভাবে বাঁশ দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করে গিয়েছে। ইন্দিরার পেটে মুসলিম বীজে জন্ম নেওয়া রাজীব, আর এক খ্রিস্টান মেয়ে সনিয়াকে বিয়ে করে ভারতে এনেছে। রাজীব মরার পর এই খ্রিস্টান সোনিয়াই এখন কংগ্রেসের প্রধান। ও হিন্দুদের আবেগ অনুভুতির কী বুঝবে ?

এই সোনিয়া, "সাম্প্রদায়িক ও লক্ষিত হিংসা বিল" নামে একটি বিল পাশ করতে চেয়েছিলো, এই বিলের মোট কথা হচ্ছে,  ভারতের যেখানেই  সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগুক, তার দায় খ্রিস্টান, মুসলমান বা আর কোনো জাতির নয়, তার দায় শুধু হিন্দুদের। হিন্দুর বিরুদ্ধে কেউ যদি থানায় গিয়ে কোনো অভিযোগ করে, তাহলে সেই থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ঐ হিন্দুকে গ্রেফতার করতে বাধ্য থাকবে। পুলিশ দায়িত্বে অবহেলা করলে তাকে বরখাস্ত করা যাবে, রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে শৈথিল্য দেখালে কেন্দ্র, রাজ্য সরকারকে ভেঙে দিতে পারবে। এটা পাশ হলে হিন্দুরা ভারতে ৪র্থ শ্রেণির নাগরিকে পরিণত হতো। এর বিরুদ্ধে কখনো রাস্তায় নামার কথা ভেবেছেন ?  ভারতীয় হিন্দুরা কি ভারতের নাগরিক? না মধ্যপ্রাচ্যের কোনো মুসলিম দেশের নাগরিক ?

বাম(মুসলিম)ফ্রন্ট সরকার হজ যাত্রীদের জন্য কৈখালিতে ভিআইপি রোডের উপর আটতলা হজ মঞ্জিল তৈরি করে দিয়ে গেছে, মমতা নাকি রাজারহাটে আরেকটা কুড়ি তলা বানিয়ে দেবে। অথচ গঙ্গাসাগরে যে হাজার হাজার হিন্দু তীর্থ যাত্রী প্রতিবছর আসে, তাদের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই।  এর প্রতিবিধান করার জন্য কখনো রাস্তায় নেমেছেন ? সম্প্রতি মমতাজ বেগম মুসলিম ইমামদের প্রতি মাসে ২৫০০ টাকা করে ঘুষ দেবার কথা ঘোষণা করেছে। একজন হিন্দু মূখ্যমন্ত্রী এই সাহস পায় কোথায় ?  যে হিন্দুদের করের টাকা মুসলিমদের মধ্যে বিলিয়ে দেবে ? তাহলে হিন্দু পুরোহিতরা কী দোষ করলো ? এ নিয়ে কখনো রাস্তায় নামার কথা চিন্তা করেছেন ? নাকি আপনাদের কেউ পূজা করতে ডাকে না বলে আপনাদের তা নিয়ে কোনো মাথা ব্যাথা নেই ? হিন্দু সমাজের ভালো মন্দ নিয়ে ভাবুন, তাহলে হিন্দুসমাজ আপনাদের মাথায় তুলে রাখবে। না হলে আমার মতো লোকের সংখ্যা কিন্তু খুব কম নয়, যারা আপনাদের কাজের মূল্যায়ন করে সমালোচনা করছে।

সুমন চট্টোপাধ্যায়, বাংলাদেশের গায়িকা সাবিনা ইয়াসমিনকে বিয়ে করার জন্য কবীর সুমন নাম নিয়ে মুসলমান হলো। এখন বিসমিল্লা ছাড়া সে কথাই শুরু করে না। সেই সুমনকে মমতা নির্বাচনে দাঁড় করিয়ে দিলো; দিব্যি সে নির্বাচিত হয়েও গেলো। এই সুমনকে কি শুধু মুসলিমরা ভোট দিয়েই নির্বাচিত করেছে ? তাকে কি হিন্দুরা ভোট দেয় নি ? যে হিন্দু, সমাজ ও ধর্মকে অপমান করে মুসলমান হলো, সে কিভাবে আবার হিন্দুদের ভোটে নির্বাচিত হয় ? এখানে আপনাদের কিছুই কি করার ছিলো না ? লোকজনকে কি সচেতন করা আপনাদের উচিত ছিলো না। এই সুমন এখন ভারতের আর (গুণ)গান গায় না, গায় বাংলাদেশের, মুসলমানদের গান। ক্রিকেট খেলায় বাংলাদেশ জিতলে সে খুশি হয়, এগুলো সে আবার ফেসবুকে খোলাখুলি প্রচারও করে। এত সাহস সে পায় কোথা থেকে ? নিশ্চয় আপনারা সব মুখ বুজে সহ্য করেন বলেই হিন্দুবিরোধী শক্তি এত প্রশ্রয় পায়।

আরেক মহিলা কুলাঙ্গার অপরুপা পোদ্দার, এক মুসলমানকে বিয়ে করে সে আফরিন আলি নাম নিয়ে মমতার দল থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে ২০১৪ এর লোক সভা নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলো। এ শুধু ভারতেই সম্ভব। আর সম্ভব আপনাদের নিস্ক্রিয়তার জন্য। যে কোনো মুসলিম দেশে কেউ ইসলাম ত্যাগ করলে, মুসলিমরা তাকে ভোট দেওয়া দূরের কথা, সাথে সাথে গলা কেটে ফেলে। আপনারা কি এসব বিষয়ে হিন্দুদের সচেতন করতে পারেন না ? যে, যারা হিন্দুত্ব ত্যাগ করেছে, তাদের ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনা যাবে না, তাহলে তারা শুধু মুসলিমদের স্বার্থই দেখবে, হিন্দু স্বার্থ দেখবে না। স্বামী বিবেকানন্দের কথা কি ভুলে গেলেন ? - "একজন হিন্দু যখন মুসলমান হয়, তখন হিন্দু সমাজের শুধু একজন সদস্যই কমে না, সাথে সাথে একজনশত্রুও বাড়ে।"- এই অমিয় বাণী ? শুধু তাই নয়, মমতা একের পর এক শুধু মুসলিম ভোটের জন্য হিন্দু স্বার্থ বিরোধী পদক্ষেপ নিয়েছে বা নিচ্ছে। এ সব ব্যাপারে আপনাদের কি কিছুই বলার বা করার নেই ?

বাংলা সিনেমায় অহরহ হিন্দু মেয়েদের সাথে মুসলিম ছেলেদের প্রেম বিয়ে দেখানো হচ্ছে, আপনারা নিশ্চুপ কেনো ? এর সুদূরপ্রসারী পরিণাম কি চিন্তা করে দেখেছেন ? না, নিজেদের ছেলে মেয়ে নেই বলে, এ সব বিষয় নিয়ে ভাবার  কোনো সময় বা প্রয়োজন আপনাদের নেই ? মনে রাখবেন, সকল হিন্দুই আপনাদের সন্তান। এজন্যই লোকনাথ কোনো ছেলে মেয়ের জন্ম না দিয়েও সে লোকনাথ বাবা। সারদার  কোনো ছেলে মেয়ে না থাকলেও সে  'মা সারদা'।

আপনাদের মতো সাধু সন্ন্যাসী আর গুরু বাবাদের জন্যই মাংসাহারী হিন্দু সমাজের বিশাল অংশ আজ নিরামিষ ভোজী।  এতে কী লাভ হয়েছে, হিন্দু সমাজের ? হিন্দুরা আজ শক্তিহীন, দুর্বল। যে পুরুষ তার স্ত্রী-কন্যা-পুত্রদের মুসলিমদের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে না, তার এত সাত্ত্বিক হওয়ার কী দরকার ? রামচন্দ্র মাংস খেতেন না ? বিবেকানন্দ মাছ মাংস খেতেন না ? আপনারা কী তাদের চেয়েও বড় অবতার বা সন্ন্যাসী ? আমিষ না খেয়ে আপনারা নিজেদের কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ সব ত্যাগ করেন, ঠিক আছে। কিন্তু মুসলিমরা যখন মারতে আসবে, তখন নিজেদের রক্ষা করবেন কী দিয়ে ? নিরামিষ খাওয়ার ফলে গায়েও শক্তি নেই, আবার ক্রোধও নেই, অস্ত্র চালাবেন কী দিয়ে ? মুসলিমরা ভারতে সশস্ত্র জিহাদ শুরু করলে প্রাণ বাঁচাতে প্রথমে তো আপনাদেরকেই ইসলাম গ্রহন করে গরুর মাংস খেতে হবে।

ইসকনের লোকজন সারাক্ষণ মালা নিয়ে কৃষ্ণ নাম জপ করে। কিন্তু একজনও কৃষ্ণভক্তের কি একজন মুসলিমকে মোকাবিলা করার মতো দৈহিক শক্তি  আছে ? আপনি কৃষ্ণ নাম জপ করে আধ্যাত্মিক শক্তি অর্জন করে দিব্যজ্ঞান লাভ করতে পারেন, কিন্তু একজন মুসলিমের খোলা তরবারির কাছে আপনার দিব্যজ্ঞান কিছুই না, ঐ দিব্যজ্ঞান আপনাকে বাঁচাতে পারবে না। তরবারির মোকাবেলা তরবারি দিয়েই করতে হয়, সেখানে প্রেমের গান গেয়ে লাভ নেই। আছে  এমন শক্তি আপনাদের ? যেখানে আপনারা নিজেই শক্তিহীন, সেখানে হিন্দু সমাজকে আপনারা বাঁচাবেন কিভাবে ? তাই বোধহয় আপনাদের এত ভয়! হিন্দু স্বার্থ রক্ষা করার জন্য পথে নামেন না, রাস্তায় গলা ফাটান না।

ধর্ম করতে গেলেই বিয়ে করা যাবে না, সাধু-সন্ন্যাসী হয়ে পাহাড়ে জঙ্গলে থাকতে হবে, নিরামিষ খেয়ে কাম-ক্রোধ-লোভ-মোহ ত্যাগ করে নপুংসক হতে হবে, এই থিয়োরি আপনারা কোথায় পেয়েছেন ? ভগবান শ্রীকৃষ্ণ প্রেম করেন নি? বিয়ে করেন নি? তার ছেলে মেয়ে সংসার ছিলো না ? রামচন্দ্র বিয়ে করেন নি ?  দেবাদিদেব মহাদেব শিবের কয় জন স্ত্রী ? সব মুনি ঋষিরাই কি অবিবাহিত ছিলো ? যে গৃহীদের জন্য আপনারাসহ পুরো বিশ্ব সংসার টিকে আছে, সেই গৃহীদের আপনারা এতো ছোট করে দেখেন কেনো ? তারা স্ত্রীর সঙ্গে সেক্স করে বলে ? আপনার পিতা মাতা এই সেক্স না করলে আপনি আসতেন কোথা থেকে ? একজন পুরুষ বিয়ে করবে, সংসার করবে, ছেলে মেয়ের জন্ম দেবে-এটাই প্রকৃতির নিয়ম, এটাই ধর্ম। প্রকৃতির নিয়মের বাইরে যাওয়াই অধর্ম। তাহলে আপনারা ধর্ম করছেন, না অধর্ম করছেন ?

পুরুষ এবং মহিলার মাঝামাঝি ঈশ্বর আরেক প্রজাতির প্রাণী সৃষ্টি করেছেন, যাদের সন্তান জন্ম দেবার ক্ষমতা থাকে না, তাই তারা বিয়ে করে না, সংসার করে না। এটা তাদের প্রাকৃতিক অক্ষমতা। কিন্তু আপনারা কেনো বিয়ে করেন না, সংসার করেন না, সন্তানের জন্ম দেন না ? তাহলে আপনাদের আর হিজরাদের মধ্যে পার্থক্য কী ? আপনারা নিজেদের শ্রেষ্ঠ ভাবেন, এইজন্য যে, আপনারা নিজেদের ভাবেন, দিব্যজ্ঞানী, ব্রহ্মজ্ঞানী। আচ্ছা,  এই দিব্যজ্ঞান এবং ব্রহ্মজ্ঞান সমাজ সংসারের কী কাজে লাগে ? আপনার দিব্যজ্ঞান ব্রহ্মজ্ঞান কি মুসলিমদের আক্রমনের হাত থেকে হিন্দুদের রক্ষা করতে পারে বা পারবে ? আসলে আপনারা হিন্দু সমাজের সাথে প্রতারণা করে বেড়াচ্ছেন। হিন্দুদের কষ্টার্জিত টাকায় খাচ্ছেন আর ঘুমাচ্ছেন। তাদের বাস্তব কল্যানের জন্য কোনো চিন্তা করছেন না।

ভারত সেবাশ্রম সংঘের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী প্রণবান্দজী মহারাজের হিন্দু চিন্তা দারুন বৈপ্লবিক। কিন্তু আশ্রমের সিস্টেম, নপুংসক তৈরীর কারখানা। তাই সেখান থেকে কোনো বীর তৈরী হয় না। আশ্রমের ছাত্রাবাস আছে। ছাত্রদের নিরামিষ খাইয়ে খাইয়ে শুধু দুর্বল নয়, একেবারে ক্লীব বানিয়ে ছাড়ে। এ আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা। কারণ, ১ বছর ভারত সেবাশ্রম সংঘের ছাত্রাবাসে থাকার অভিজ্ঞতা আমার আছে। ছাত্র এবং যুবকরাই সমাজের পরিবর্তন আনে। তাদেরই যদি নিরামিষ খাইয়ে নপুংসক আর ক্লীব বানানো হয় তাহলে ধর্ম রক্ষার জন্য যুদ্ধটা করবে কে ? এটা কি মহাভারতের যুগ, যে অর্জুনের এক তীর থেকে ১০০ তীর বেরিয়ে ১০০ জনকে বধ করবে ?

স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দু চিন্তাও দারুন বৈপ্লবিক। কিন্তু তার বর্তমান শিষ্যরা নপুংসক, আর ক্লীব তো বটেই সেই সাথে ধূর্ত বিজনেসম্যান। রামকৃষ্ণ মিশন সারা ভারতে স্কুল কলেজ  প্রতিষ্ঠা করে সকল ধর্মের স্টুডেন্ট ভর্তি করিয়ে চুটিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে। একটা ক্লাসে ১০টা হিন্দু ছাত্রের মাঝে যদি ২ জন মুসলিম  ছাত্র থাকে, তাহলে ঐ ৮জন হিন্দু ছাত্রকে কি ইসলামের ভয়াবহতা সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া সম্ভব ? তাদেরকে কি মুসলিমদের সম্পর্কে সঠিক তথ্য শিক্ষা দেওয়া সম্ভব, যেটা বিবেকানন্দ উপলব্ধি করেছিলেন।

রামকৃষ্ণ মিশনের এক স্বামী, 'স্বামী অভেদানন্দ' তো আবার একটা বই লিখে ফেলেছেন, "মাহাত্মা মুহম্মদ ও তার উপদেশ" নামে। সেখানে তিনি দেখিয়েছেন, ইসলাম কি মহান ধর্ম! আর তাই এই বই পড়লে এটা মনে হওয়া স্বাভাবিক যে, ইসলামের চেয়ে হিন্দু নীচতর ধর্ম! উনার এতই যদি ইসলাম প্রেম, তাহলে রামকৃষ্ণ মিশনে বসে হিন্দুদের অন্ন ধ্বংস করছেন কেনো ? যান, গিয়ে ইসলাম গ্রহণ করে মুসলমান হোন। তাহলে বেহেশতে গিয়ে নিশ্চিন্তে ৭২জন হুর নিয়ে ফুর্তি করতে পারবেন। রামকৃষ্ণ মিশন আবার মাঝে মাঝে সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের জন্য সভাও করে থাকে। মূলত হিন্দু সমাজ ও ধর্মের কতিপয় ব্যক্তি ও সংগঠনের এ ধরণের উদ্যোগ ও কাজকর্মের ফলে আমাদের হিন্দু ছেলে মেয়েরা বিভ্রান্ত হয়ে মুসলিম ছেলে মেয়েদের লাভ জিহাদের কবলে পড়ে হিন্দু ধর্ম ও সমাজ ছেড়ে হিন্দু সমাজকে কলঙ্কিত করছে। আবার কোনো কোনো হিন্দু ছেলে মেয়ে মুসলমানদের দ্বারা ব্রেইন ওয়াশের স্বীকার এসবের জন্য দায়ী মূলত আমাদের সাধু সন্ন্যাসী নামধারী কিছু নপুংসক ব্যক্তি।

আমাদের সাধু-সন্ন্যাসী এবং গুরুবাবাদের কাছে আমার একটি বিনীত নিবেদন, ভগবানের পরেই আমাদের হিন্দু সমাজ, এখনও আপনাদেরকে ভগবান বলে মান্য করে। তাদের বিশ্বাস এবং ভক্তি নিয়ে প্রতারণা করবেন না। তাদের এমন উপদেশ দিন এবং এমন দিক নির্দেশনা দিন, যাতে তারা নিজেদের শক্তিশালী করে সর্ব অবস্থায় নিজেদের রক্ষা করতে পারে। হিন্দুত্ববাদী একজন রাজনীতিকের কথা যদি ১০ জন লোকে শুনে ও বিশ্বাস করে, আপনাদের একটা কথা ১০০ জন লোকে শুনবে ও বিশ্বাস করবে। আপনাদের মধ্যে কত শক্তি আছে, সেটা কি আপনারা জানেন না। এই শক্তিকে কাজে লাগান। এই শক্তিকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে হিন্দু সমাজের কল্যান ও উন্নতি করুন। প্রয়োজনে সক্রিয় রাজনীতি করুন। ভারতের কোনো রাজ্যে এখন পর্যন্ত বিশুদ্ধ হিন্দু দল একটিও নেই। আপনারা সেই শুন্যস্থান পূরণ করুন। তখন কারো কাছে দাবী দাওয়া নিয়ে আপনাদের যেতে হবে না। হিন্দুর কল্যান ও স্বার্থে নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারবেন।

জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।

No comments:

Post a Comment