চৈতন্যদেবের অবতারত্বের শাস্ত্রীয় প্রমাণের ব্যর্থ প্রয়াস :
এই প্রবন্ধের সাথে ফটো হিসেবে যা পোস্ট করেছি, সেখানে খেয়াল করুন, কোনো এক ইসকন ভক্ত- শ্রীমদ্ভাগবত, মহাভারত, পদ্মপুরাণ, বামন পুরাণ, বায়ু পুরাণ থেকে একটি করে রেফারেন্স তুলে দিয়ে এটা প্রমাণ করার চেষ্টা করেছে যে, চৈতন্যদেব যে অবতার তার শাস্ত্রীয় স্বীকৃতি আছে। খুব সাধারণ দৃষ্টিতে দেখলে এগুলোকে আপনার সত্য বলেই মনে হতে পারে, কিন্তু ভেজালের ভীড়ে সনাতন ধর্মের প্রকৃত সত্য সমুদ্রের উপরের জলে নেই, এই সত্যকে পেতে হলে আপনাকে সমুদ্রের গভীরে ডুব দিতে হবে, যেই ডুবটা আমি দিতে পেরেছি বলে মনে করি এবং আজকের এই প্রসঙ্গে সেখান থেকে সত্য তুলে এনে তা আজ আপনাদেরকে দর্শন করাবো।
যিনি একটা মিথ্যা বলতে পারেন, তিনি একশটা মিথ্যা্ও বলতে পারেন, এই ইসকন ভক্ত চৈতন্যদেবের অবতারত্বের পক্ষে যতগুলো রেফারেন্স দিয়েছে, তার থেকে মাত্র দুটোর আলোচনা করে আপনাকে বুঝিয়ে দেবো যে, এ যা বলেছে- তার সব মিথ্যা; তাই বাকিগুলোর আর আলোচনা করার প্রয়োজনই পড়বে না।
চৈতন্যদেবের অবতারত্বের প্রমাণে সে প্রথমেই শ্রীমদ্ভাগবতের ১১/৫/৩২ নং শ্লোকের রেফারেন্স দিয়েছে, যেখানে লিখা আছে-
" কৃষ্ণবর্ণং ত্বিষাকৃষ্ণং সাঙ্গোপাঙ্গাস্ত্রপার্ষদম্।
যজ্ঞৈঃ সংকীর্তনপ্রায়ৈর্যজন্তি হি সুমেধসঃ।।"
এর অর্থ হিসেবে সে লিখেছে,
"এই কলিযুগে সুমেধাসম্পন্ন ব্যক্তিগণ অবিরাম কৃষ্ণকীর্তনকারী ভগবানের অবতারকে আরাধনা করার জন্য সংকীর্তন যজ্ঞের অনুষ্ঠান করেন। যদিও তাঁর গায়ের রং অকৃষ্ণ,তবুও তিনি স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ। তিনি তাঁর সঙ্গী,সেবক,অস্ত্র(নাম),পার্ষদ পরিবৃত।"
এখানে সে- অবিরাম কৃষ্ণকীর্তনকারী ভগবানের অবতারকে- শব্দগুচ্ছের মাধ্যমে চৈতন্যদেবের প্রতি ইঙ্গিত করেছে, যেটা সে ধার করেছে চৈতন্যচরিতামৃত গ্রন্থের আদি লীলার তৃতীয় পরিচ্ছেদ থেকে। কিন্তু এটা যেহেতু ভাগবতের রেফারেন্স, তাই ভাগবতে অবশ্যই এর অনুবাদ পাওয়া যাবে, সেখানে গিয়ে দেখলাম, এর অনুবাদ হিসেবে লিখা রয়েছে-
"কৃষ্ণবর্ণ ও ইন্দ্রনীলজ্যোতিবিশিষ্ট, সাঙ্গ হৃদয়াদি, উপাঙ্গ কৌস্তুভাদি ও পার্ষদ সুনন্দাদিসহ যিনি অবতীর্ণ তাঁকে মনুষ্যগণ সঙ্কীর্তনরূপ যজ্ঞদ্বারা তাঁর অর্চনা করেন।" (সুধাংশুরঞ্জন ঘোষ কর্তৃক অনুবাদিত, কোলকাতার তুলি-কলম থেকে প্রকাশিত মূল সংস্কৃত ভাগবতের পূর্ণাঙ্গ গদ্য অনুবাদ, পৃষ্ঠা নং-৬৫৯)
এখানে যার কথা বলা হয়েছে, তিনি যে চৈতন্য নয়, কৃষ্ণ; সেটা তাঁর রূপের বর্ণনায়-কৃষ্ণবর্ণ ও ইন্দ্রনীলজ্যোতিবিশিষ্ট- শব্দগুচ্ছদ্বারাই বোঝানো হয়েছে, কিন্তু ধান্ধাবাজ বৈষ্ণবরা এই শ্লোকের অনুবাদে "কৃষ্ণবর্ণং" শব্দের অর্থ কালো রং না লিখে, 'যিনি কৃষ্ণের বর্ণনা করেন' অর্থাৎ চৈতন্যদেবকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে এবং তার পরের শব্দ 'ত্বিষাকৃষ্ণং' যে শব্দের অর্থ 'ইন্দ্রনীলজ্যোতিবিশিষ্ট', তা না লিখে শব্দটিকে 'ত্বিষা অকৃষ্ণং' এভাবে ভেঙ্গে এবং এর অর্থ 'অঙ্গকান্তিতে গৌরবর্ণ' লিখে চৈতন্য অর্থাৎ গৌরাঙ্গকেই বোঝানোর চেষ্টা
করেছে। কিন্তু এই শ্লোকে যে শ্রীকৃষ্ণের কথাই বলা হয়েছে, সেটা বোঝা যাবে এর একটু উপরের শ্লোকে গেলেই; কারণ, সেখানে বলা হয়েছে-
"দ্বাপরে ভগবান শ্যামবর্ণ, পীতবসন, চক্রাদি আয়ুধধারী শ্রীবৎসচিহ্নে চিহ্নিত এবং কৌস্তভ ভূষণে ভূষিত হয়ে অবতীর্ণ হন।"
সুতরাং উপরের এই আলোচনা থেকে- শ্রীমদ্ভাগবতে, চৈতন্যের উল্লেখ আছে এটা যে বৈষ্ণব সমাজের একটি ডাহা মিথ্যা প্রচার, আশা করছি আমার বন্ধুদের কাছে তা ক্লিয়ার হয়েছে।
এর পর আসা যাক পরের রেফারেন্সে-
দ্বিতীয় রেফারেন্সে সে মহাভারতের বনপর্বের একটি একটি শ্লোকের কথা উল্লেখ করেছে, কিন্তু খেয়াল করে দেখুন শ্লোকের নং, শ্লোকটি কোন উপাখ্যানের অন্তর্ভূক্ত সে সব কিন্তু উল্লেখ করে নি, যেভাবে উল্লেখ করেছিলো ভাগবতের রেফারেন্সটি। এর মানে কী ? এর মানে হলো- মহাভারতের এই রেফারেন্সটি একটি বানানো রেফারেন্স, তাই তার পিতা মাতা বা পরিচয়ের কোনো ঠিক ঠিকানা নেই। এ প্রসঙ্গে বলে রাখি মহাভারতের বনপর্বে ৫৮ টি উপাখ্যান আছে, আর তাতে আছে হাজার হাজার শ্লোক, আপনি কোথায় গিয়ে এই শ্লোক খুঁজবেন ? শুধু মুখচেনা কাউকে কোলকাতা বা ঢাকা শহরে গিয়ে কি আপনি খুঁজে বের করতে পারবেন, যদি তার ঠিকানা আপনার কাছে না থাকে ? আর যদি আপনার কাছে তার ঠিকনা থাকেই অর্থাৎ এটা কোন উপাখ্যানের কোন শ্লোক, সেটা যদি আপনার জানা থাকেই, তাহলে সেটা আমাকে না দিয়ে, আমাকে মহাসমুদ্রে ফেলে দেওয়ার মানেটা কী ?
এই একই অবস্থা, পরের তিনটি রেফারেন্স- পদ্মপুরাণ, বামন পুরাণ, আর বায়ুপুরাণের ক্ষেত্রেও, কোনো অধ্যায় বা শ্লোক নং এর কোনো উল্লেখ নেই।
এসব থেকেই প্রমাণ হয় যে, ভাগবতের রেফারেন্সটি সঠিক হলেও তা যে বিকৃত সেটার প্রমাণ এবং ব্যাখ্যা তো আগেই দিয়েছি, আর পরের চারটি রেফারেন্সই ডাহা মিথ্যাচার; কারণ, সেগুলোর কোনো জন্ম পরিচয় ই নেই।
যা হোক, উপরে আমি- বৈষ্ণবীয় ইসকন কর্তৃক চৈতন্যদেবকে অবতার প্রমাণ করার যে শাস্ত্রীয় অপচেষ্টা, তাকে তো মিথ্যা প্রমাণ করেই দিলাম। কিন্তু নিচে আমি- চৈতন্যদেব যে কোনো অবতার বা ভগবান নয়- সে সম্পর্কে আমার যুক্তি তুলে ধরলাম, কোনো বৈষ্ণব বা ইসকনীদের যদি ক্ষমতা থাকে তো আমার এই সব যুক্তিকে খণ্ডন করে আমার কথাকে মিথ্যা প্রমাণ করুক-
চৈতন্যদেব সম্পর্কে কিছু মিথ্যা প্রচার, যা হয়তো এতদিন আপনি বিশ্বাস করে এসেছেন-
চৈতন্যদেব কি কলিযুগের অবতার ?
অনেককেই বলতে শুনেছেন, চৈতন্যদেব হলেন কলিযুগের অবতার । কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি একটি ডাহা মিথ্যা প্রচার, যেটা করেছেন চৈতন্যদেবের শিষ্যরা আবেগে আপ্লুত হয়ে চৈতন্যেদেবের উপর জীবনীগ্রন্থ লিখে চৈতন্যদেবকে মহান করতে গিয়ে; কিন্তু হিন্দুধর্মের প্রামাণ্য কোনো শাস্ত্রীয় গ্রন্থে চৈতন্যদেবকে অবতার বলা হয় নি, চৈতন্যদেব নিজেও কখনো নিজেকে কারো অবতার বলে দাবী করেন নি। হিন্দুধর্ম মতে অবতারের সংখ্যা ১০; এঁরা হলেন- মৎস্য, কূর্ম, বরাহ, নৃসিংহ, বামন, পরশুরাম, রাম, বলরাম, শ্রীকৃষ্ণ এবং কল্কি, এদের মধ্যে চৈতন্যদেবের কোনো নাম নেই। তাছাড়াও শাস্ত্রে কোনো নির্দিষ্ট যুগের অবতার বলে কিছু নেই, থাকলে শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব দ্বাপর যুগের শেষে না হয়ে দ্বাপর যুগের শুরুতে হতো, একইভাবে চৈতন্যদেব কলিযুগের অবতার হলে তার জন্ম ২০১৯ সাল থেকে মা্ত্র ৫৩৩ বছর আগে ১৪৮৬ সালে না হয়ে ৫৩০০ বছর আগে কলিযুগের শুরুতে হতো। সকল অবতারগণ তাদের সময়ে, সময়ের প্রয়োজনে আবির্ভূত হয়েছিলেন এবং সকল অবতারের শিক্ষাই তাদের পরবর্তী সময়ের মানুষদের জন্য প্রযোজ্য।
আবার অনেকে বলে থাকেন, চৈতন্যদেব হলেন রাধা-কৃষ্ণের যুগল অবতার। কিন্তু হিন্দুধর্মের প্রামাণ্য কোনো গ্রন্থে রাধা বলে কেউ নেই, এই সূত্রে শ্রীকৃষ্ণের জীবনে রাধা নামের কোনো নারী নেই; আর পৃথিবীতে অবতার আছে শুধু বিষ্ণুর, কৃষ্ণের অবতার বলে কিছু নেই; গীতায় শ্রীকৃষ্ণ যে বলেছেন, যখনই প্রয়োজন হয়, তখনই তিনি পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন, সেটা তিনি বলেছেন তাঁর পূর্ববর্তী অবতারগণকে স্মরণ করে বিষ্ণুর অবতার হিসেবে; তার নিজের অবতার হিসেবে নয়, যেহেতু শ্রীকৃষ্ণ নিজেই বিষ্ণুর পূর্ণ অবতার।
এছাড়াও এক অবতার কখনো অপর অবতারের ভক্ত হয় না, যেহেতু তারা একই শক্তি বিষ্ণু অবতার; একারণেই শ্রীকৃষ্ণ, তাঁর পূর্ববর্তী রাম বা পরশুরামের ভক্ত নয়, কিন্তু চৈতন্যদেব ছিলেন শ্রীকৃষ্ণের অন্ধ উন্মাদ ভক্ত; এই তথ্যও প্রমাণ করে যে চৈতন্যদেব কোনো অবতার নয়, তিনি শুধু শ্রীকৃষ্ণের একজন পরম ভক্ত মাত্র।
চৈতন্যদেব কি ভগবান ?
ইতিহাস বলছে- চৈতন্যদেবকে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ভেতর হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলা হয়েছিলো। যশ, বীর্য, ঐশ্বর্য, শ্রী, জ্ঞান, বৈরাগ্য- এই ছয়টি গুন থাকলে তাকে বলে ভগবান, আর সকল গুন থাকলে তাকে বলে ঈশ্বর; চৈতন্যদেবেরে মধ্যে বীর্য তথা শক্তি থাকলে তাকে কেউ হত্যা করতে পারতো না। এই তথ্য প্রমাণ করে যে চৈতন্যদেব কোনো ভগবান নয়।
চৈতন্যদেব কি মহাপ্রভু ?
কোনো শব্দের পূর্বে 'মহা' বিশেষণটি যুক্ত করলে, সেটাই হয় চুড়ান্ত বা শেষ কথা। অন্যদিকে প্রভু শব্দের অর্থ হলো মালিক এবং সনাতন ধর্মের প্রধান গ্রন্থ গীতার মতে শ্রীকৃষ্ণই হলেন এই জগতের মালিক, এইসূত্রে মহাপ্রভু হলেন স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ, চৈতন্যদেব নয়। অজ্ঞানতাবশত চৈতন্যদেবকে মহাপ্রভু বলে সম্বোধন করে আপনি চৈতন্যদেবকে শ্রীকৃষ্ণের স্থানে বসাচ্ছেন, এটা শুধু পাপ নয়, মহাপাপ; কারণ, চৈতন্যদেবকে আপনি যখন মহাপ্রভু বলে সম্বোধন বা প্রচার করছেন, তখন চৈতন্যদেবই হচ্ছেন শেষ কথা, কিন্তু বাস্তবে শ্রীকৃষ্ণই হলেন সনাতন ধর্মের শেষ বা চুড়ান্ত কথা।
চৈতন্যচরিতামৃত বা চৈতন্যভাগবত কি শাস্ত্রগ্রন্থ ?
কোনো শাস্ত্রগ্রন্থ কখনো একাধিক ব্যক্তি লিখে না, লিখে একজন; যেমন- রামায়ণ একজনই লিখেছে, মহাভারত একজনই লিখেছে, ভাগবত এবং পুরাণগুলোও একজনই লিখেছে; কিন্তু চৈতন্যদেবকে নিয়ে মোট ৫ জনে লিখেছিলো ৫টি গ্রন্থ, যেমন-
১।বৃন্দাবন দাসের # চৈতন্যভাগবত (প্রকাশ-১৫৭৫ খ্রি.);
২।কবিরাজ গোস্বামীর # চৈতন্যচরিতামৃত (১৬১৫);
৩।ত্রিলোচন দাস ঠাকুরের # শ্রীচৈতন্যমঙ্গল (১৫৭৭);
৪।জয়ানন্দেরও # শ্রীচৈতন্যমঙ্গল (১৫৭৬/৭৭);
৫।শ্রীচুড়ামনিদাসের # গৌরাঙ্গবিজয় বা ভুবনমঙ্গল (১৫৩৫)
এগুলোর মধ্যে বাজারে চলে চৈতন্যচরিতামৃত এবং চৈতন্যভাগবত; একই বিষয়ে একাধিক ব্যক্তি লিখায় চৈতন্যদেবকে নিয়ে লিখা জীবনীগ্রন্থগুলো কখানো শাস্ত্র নয়, সাহিত্য। তাই ধর্মের কোনো মীমাংসায় চৈতন্যচরিতামৃত এবং চৈতন্যভাগবতের কোনো বক্তব্যের কোনো গ্রহণযোগ্যতা বা কোনো মূল্য নেই এবং এগুলো থেকে উৎসারিত পরবর্তী বৈষ্ণবগ্রন্থগুলোও কোনো শাস্ত্রগ্রন্থ নয়।
চৈতন্যদেব, তাঁর ভক্ত-শিষ্যদেরকে কী নির্দেশ দিয়েছেন ?
চৈতন্যদেব, তার ভক্ত শিষ্যদেরকে শুধুমাত্র কৃষ্ণনাম করতেই নির্দেশ দিয়েছেন। গুরু হিসেবে তিনি সঠিক নির্দেশই দিয়েছেন, অথচ কিছু লোক কৃষ্ণভজন বাদ দিয়ে চৈতন্যদেবকেই ভজনা করছে, এতে শুধু সেই ব্যক্তিরই পাপ হচ্ছে না, পাপ হচ্ছে স্বয়ং চৈতন্যদেবেরও।
হিন্দু সমাজের আদর্শ কে ?
হিন্দু সমাজের আদর্শ অন্য কেউ নয়, স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ এবং গীতার মতে, পূজা-প্রার্থনা পাবার অধিকারী শুধুমাত্র শ্রীকৃষ্ণ।
সুতরাং আপনার জন্য আমার পরামর্শ- সকল ধরণের ব্যক্তিপূজা এবং ব্যক্তিভজনা বাদ দিয়ে শুধুমাত্র শ্রীকৃষ্ণের ভজনা করুন, আপনার আত্মার মুক্তি হলে হতেও পারে।
আশা করছি- উপরের আলোচনা থেকে চৈতন্যদেব সম্পর্কে বৈষ্ণব সমাজ তথা আধুনিক ইসকনের মিথ্যা প্রচার সম্পর্কে আপনাকে বোঝাতে এবং সাবধান করতে পেরেছি।
শেষে একটা কথা বলছি- চৈতন্যদেবের জীবনের কোনো আদর্শকে অনুসরণ নয়, শুধু তাঁর উপদেশ- তোমরা কৃষ্ণ নাম করো- এটাকে অনুসরণ করুন এবং কাল্পনিক রাধাকে বাদ দিয়ে কৃষ্ণের আদর্শকে ফলো করুন, আপনার জীবনে কোনো সমস্যা আসতেই পারবে না।
জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।
No comments:
Post a Comment