Friday, 24 July 2020

বৈষ্ণব মতবাদের ফাঁদে সমগ্র বাঙ্গালি হিন্দু সমাজ :


বৈষ্ণব মতবাদের ফাঁদে সমগ্র বাঙ্গালি হিন্দু সমাজ :

যিনি নারীর মুখ দেখেন না এবং নারীকে কোনোভাবেই ডাকেন না, চৈতন্যদেবের মতে তিনিই প্রকৃত বৈষ্ণব বা বৈরাগী। এই বিশ্বাস থেকেই চৈতন্যদেব তার সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী ও মাকে পরিত্যাগ করেছিলো এবং এক বৃদ্ধা নারীর মুখ দেখা ও তাকে ডাকার অপরাধে চৈতন্যদেব, তার শিষ্য ছোট হরিদাসকে বর্জন করেছিলো ; এরপর এক বছর আশে পাশে ঘোরাঘুরি করার পরও চৈতন্যদেব তাকে ক্ষমা না করায় ছোট হরিদাস জলে ডুবে আত্মহত্যা করেছিলো এবং এই সংবাদ যখন চৈতন্যদেবের নিকট আসে, তখন চৈতন্যদেব বলেছিলো- ইহাই প্রকৃতি সম্ভাষণের প্রায়শ্চিত্ত।

এই সেই চৈতন্যদেব, যার জীবনাদর্শ মানলে পরিবার, সমাজ, সংসার, রাষ্ট্রের ধ্বংস অনিবার্য। কারণ, গার্হস্থ্য ধর্ম- যেটা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের ভিত্তি, সেটা চৈতন্যদেবের বৈষ্ণব মতবাদে নেই। বৈষ্ণব মতবাদের মূল কথা হলো সংসার পরিত্যাগ করে মাধুকরী অর্থাৎ ভিক্ষার দ্বারা জীবিকা অর্জন; বৈষ্ণব মতবাদে বিয়ে শাদী, সংসার, সন্তানের জন্মদান বলে কিছু নেই।

চৈতন্যদেবের জন্ম ১৪৮৬ সালে, সমাজ সংসারে তার প্রভাব শুরু হয় মোটামুটি ১৫০০ সালের পর থেকে। হরিনাম প্রচারের নাম করে ২৪ বছর বয়সে চৈতন্যদেব, তার সদ্য বিবাহিতা দ্বিতীয় স্ত্রী বিষ্ণু প্রিয়া এবং মাকে পরিত্যাগ করে সংসার ছেড়ে চলে যান। অথচ হরিনাম প্রচারের জন্য সংসার পরিত্যাগ করতে হবে, এমন কথা সনাতন ধর্মের কোথাও বলা নেই। সনাতন ধর্মের প্রধান পুরুষ শ্রীকৃষ্ণ, তিনিও কখনো এমন কথা কোথাও বলেন নি বা নিজে কখনো সংসার থেকে পালিয়ে বেড়ান নি, তাহলে চৈতন্যদেব কার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্ত্রী ও মায়ের প্রতি উত্তর দা্য়িত্বকে অবহেলা বা অবজ্ঞা করে সংসার ত্যাগ করেছিলেন ?

যা হোক, বাঙ্গালি হিন্দু সমাজের খুব কম হিন্দুই এটা জানে যে- প্রচলিত মতে বৈষ্ণব ধর্ম, যাকে আমি বলি বৈষ্ণব মতবাদ, সেটা সনাতন ধর্ম থেকে আলাদা। মুহম্মদের অনুসারীদের যেমন বলে মুসলমান, তেমনি চৈতন্যদেবের অনুসারীদেরকে বলে বৈষ্ণব বা বৈরাগী। এই বৈষ্ণব বা বৈরাগীদের কালচার, সনাতনী হিন্দুদের থেকে অনেকটা আলাদা; যেমন বৈরাগীরা কেউ মারা গেলে তাকে সনাতনী হিন্দুদের মতো পোড়ায় না, তাকে মাটিতে পুঁতে রাখে, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় শ্রাদ্ধ করে না, দেয় চৈতন্যের নামে মহাপ্রভুর ভোগ। সনাতনী হিন্দুদের সাথে বৈষ্ণব সমাজের কালচারে এই দুটিই মূলত প্রধান পার্থক্য, কিন্তু এছাড়াও আরও কিছু সূক্ষ্ম ব্যাপার আছে যেটা বৈষ্ণব বা সনাতনী কেউ খুব একটা খেয়াল করে না। যেমন- বৈষ্ণব মতবাদে মূর্তিপূজা বলে কিছু নেই, কিন্তু বর্তমানে সব বৈষ্ণব ই সনাতনী সমাজের সাথে মিলে মূর্তিপূজা করে। বৈষ্ণবদের আরাধ্য চৈতন্যদেব এবং তার কয়েকজন পারিষদ যারা পঞ্চতত্ত্ব নামে খ্যাত, বৈষ্ণবরা মূলত এদেরই পূজা প্রা্র্থনা করে। বৈষ্ণব সমাজ, সনাতনী হিন্দু সমাজ থেকে আলাদা হতে পারে নি মূলত শ্রীকৃষ্ণের জন্য; কারণ, চৈতন্যদেবের আরাধ্য যেমন ছিলেন শ্রীকৃষ্ণ, তেমনি সনাতনী সমাজের আরাধ্যও শ্রীকৃষ্ণ।

হিন্দু সমাজে বৈষ্ণবরা আধিপত্য বিস্তার করেছে তাদের গুরুগিরি ব্যবসার মাধ্যমে। এই বৈষ্ণব গুরুদের প্রায় সবাই বিবাহিত, তাদের সংসার আছে, ছেলে মেয়ে আছে, যেটা চৈতন্যদেবের আদর্শের সম্পূর্ণ বিরোধী, তারপরও এরা নিজেদের বৈষ্ণব বলে দাবী করে এবং বৈষ্ণব মতবাদ সমাজে প্রচার করে!

চৈতন্যদেব- স্ত্রী ও সংসার পরিত্যাগ করেছিলেন, তিনি কোনো ছেলে মেয়েরও জন্ম দেন নি। তার কারণ তিনি
কাম অর্থাৎ যৌনতায় বিশ্বাস করতেন না। এজন্য তিনি উত্তেজক খাদ্য পরিহার করে নিরামিষ খাবার খেতেন। এই সূত্র ধরে চৈতন্য অনুসারীরা প্রচার করে যে কৃষ্ণভক্ত হতে হলে নিরামিষ খাবার খেতে হবে, এর জন্য তারা গীতার অপব্যাখ্যা করে বলে যে সাত্ত্বিক মানে নিরামিষ খাবার । কিন্তু গীতায় সাত্ত্বিক বলতে নিরামিষকে বোঝানো হয় নি, বরং গীতার ৯/২৭ নং শ্লোকে খাবার দাবারের ব্যাপারে চুড়ান্ত স্বাধীনতা দিয়ে বলা হয়েছে যে, “তোমরা যা কিছু আহার করো তা আমাকে নিবেদন করে আহার করো।” কিন্তু বৈষ্ণব সমাজ মানুষকে নিরামিষ খাওয়াতে বদ্ধ পরিকর।

আগেই বলেছি- তিনিই বৈষ্ণব, যিনি নারীর মুখ দেখেন না বা নারীকে ডাকেন না। নারী ছাড়া কোনো পরিবার গড়ে উঠে না, আর পরিবার ছাড়া সমাজ রচিত হয় না; এই সূত্রে পৃথিবীতে বৈষ্ণব সমাজ বলে আদৌ কিছু নেই। তাই জন্ম সূত্রে কারো বৈষ্ণব বা বৈরাগী হওয়ার সুযোগ নেই, যেহেতু তার পিতা মাতা বিয়ে করার অপরাধে বৈষ্ণব নয়। কিন্তু চৈতন্যদেবের অনুসারী বা ভক্তরা দেদারসে বিয়ে করছে, সন্তানের জন্ম দিচ্ছে, সংসার করছে, বিভিন্ন রকম মূর্তির পূজা করছে, যা সম্পূর্ণ সনাতনী কালচার- আর নিজেদেরকে ভাবছে বৈষ্ণব, এটা আসলে ভণ্ডামীর চুড়ান্ত রূপ।

অন্যদিকে সনাতনী হিন্দু সমাজের অনেকেই ছেলে মেয়ের মুখের ভাত বা অন্নপ্রাশন উপলক্ষ্যে, পিতা মাতার মৃত্যুতে বা অনেক সময় শখ বা খেয়ালের বশেও চৈতন্যের নামে মহাপ্রভুর ভোগ দিয়ে মানুষকে খাওয়ায়, আবার অনেক সময় অনেকে বছরে দু একবার বাড়িতে কীর্তনও দেয়, আর কীর্তনীয়ারা গিয়ে শুরু করে পঞ্চতত্ত্বের পূজা আর গাইতে শুরু করে- জয় গুরু গৌরাঙ্গ, জয় গুরু গৌরাঙ্গ, জয় গুরু গৌরাঙ্গ, জয় জয়; যেখানে শুধু গৌরাঙ্গ বা চৈতন্যেরই আরাধনা, শ্রীকৃষ্ণের কোনো কথাই নেই।

এই ভাবে সনাতনী হিন্দু সমাজ, বৈষ্ণব মতবাদের ফাঁদে পড়ে নিজেদের অজ্ঞাতেই চর্চা করছে বৈষ্ণব মতবাদের, যেখানে প্রধান চৈতন্যদেব, শ্রীকৃষ্ণ নয়। এছাড়াও বৈষ্ণবদের মিথ্যা প্রচারে কোনো প্রশ্ন ছাড়াই প্রায় সকল হিন্দুই বিশ্বাস করে যে চৈতন্যদেব হলেন মহাপ্রভু। কিন্তু বাস্তবে মহাপ্রভু হলেন শ্রীকৃষ্ণ। এভাবে বৈষ্ণবরা সনাতনী হিন্দু সমাজকে আস্তে আস্তে বৈষ্ণব মতবাদে প্রায় কনভার্ট করে ফেলেছে। বৈষ্ণব মতবাদের এই ফাঁদে পড়ে আবার প্রায় সকল হিন্দু এটা বিশ্বাস করে যে চৈতন্যদেব হলেন কলিযুগের অবতার বা ভগবান এবং এর ফলে দ্বাপর যুগের অবতার শ্রীকৃষ্ণকে তারা ফলো করে না, ফলে বৈষ্ণব সমাজের কারণে সনাতনী হিন্দু সমাজ আস্তে আস্তে শ্রীকৃষ্ণ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, যা হিন্দু সমাজের সর্বনাশকে ডেকে আনছে; কারণ, আগেই বলেছি চৈতন্যদেব বা বৈষ্ণব মতবাদেক ফলো করলে আস্তে আস্তে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র ধ্বংস হতে বাধ্য, অন্যদিকে শ্রীকৃষ্ণের আদর্শের মাধ্যমে যে কোনো ব্যক্তি আত্মরক্ষা করে টিকে থাকতে এবং বাড়তে সক্ষম, যা সমাজ রক্ষার মূল ভিত্তি।

চৈতন্যদেবকে মহান করে তোলার জন্য বৈষ্ণবদের আরেকটি মিথ্যা প্রচার হলো চৈতন্যদেব কলিযুগের অবতার বা ভগবান, কলিহত জীবকে উদ্ধার করার জন্য তিনি এই ধরাধামে এসেছিলেন। আমরা যেহেতু কলিযুগের মানুষ, এবং যখন কোনো হিন্দু, চৈতন্যদেবের এই কলিযুগের অবতার বা ভগবান তত্ত্বে বিশ্বাস করে, তখন সে আর শ্রীকৃষ্ণকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে না, যেহেতু শ্রীকৃষ্ণ জন্ম নিয়েছিলেন দ্বাপর যুগে; এইভাবে তথ্য সন্ত্রাস করে এবং শ্রীকৃষ্ণের পাশে রাধাকে দাঁড় করিয়ে, শ্রীকৃষ্ণের চরিত্র সম্পর্কে নানা প্রশ্ন তোলার সুযোগ দিয়ে, বৈষ্ণবরা, যার মধ্যে আধুনিক ইসকনও অন্তর্ভূক্ত, এরা সনাতন হিন্দু সমাজের ফোকাস শ্রীকৃষ্ণের উপর থেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে চৈতন্যদেবের উপর নিবদ্ধ করছে এবং হিন্দুসমাজের সুদূরপ্রসারী ক্ষতি করছে; কারণ, আগেই বলেছি বৈষ্ণব মতবাদ আসলে হিন্দু সমাজের ধ্বংসের পথ।

যা হোক, বিভিন্ন কারণে বিভিন্নভাবে চৈতন্যদেবের বৈষ্ণব মতবাদ সনাতনী হিন্দু সমাজে ঢুকে পড়ার ফলে সনাতনী হিন্দুরা যেমন বৈষ্ণব কালচারকে পালন করছে, তেমনিভাবে বৈষ্ণব নামধারীরাও চৈতন্যদেবের নামে মহাপ্রভুর ভোগ দেওয়া এবং মৃত্যুর পর লাশ না পোড়ানো ছাড়া আর অন্য সকল ক্ষেত্রে সনাতনী কালচার পালন করছে। এর ফলে হিন্দু সমাজের সবাই যেমন এক দিক থেকে বৈষ্ণব, তেমনি বৈষ্ণব সমাজেরও কেউ বৈষ্ণব নয়, সবাই সনাতনী হিন্দু। মূলত চৈতন্যদেবের বৈষ্ণব মতবাদ, সনাতনী হিন্দু সমাজে ছড়িয়ে পড়ার ফলে, বৈষ্ণব ও সনাতনী মিলে একটা জগাখিচুড়িতে পরিণত হয়েছে, ফলে এখানে আর কারোরই কোনো বিশুদ্ধতা নেই।

বাস্তবতার কারণে- শুধু বৈষ্ণবরা নয়, পৃথিবীর সকল মানুষ সনাতনী কালচার পালন করে বা পালন করতে বাধ্য, কিন্তু হিন্দু সমাজে বৈষ্ণবদের ধর্মীয় আধিপত্যের কারণে প্রায় সকল হিন্দু চৈতন্যদেবকে কলিযুগের অবতার বা ভগবান মনে করে এবং নিজেদের মুক্তি বা উদ্ধারের জন্য চৈতন্যের শরণাপন্ন হয়ে তার নামে কারণে অকারণে ভোগ দেয় এই মনে করে যে তারা ধর্মপালন করছ। কিন্তু বাস্তবে চৈতন্যদেবকে অবতার বা ভগবান মনে ক’রে, যিনি কৃষ্ণ তিনিই চৈতন্য এই মিথ্যা থিয়োরিতে বিশ্বাস ক’রে, শুধু বৈষ্ণবরাই নয়, সমগ্র হিন্দু সমাজ এক ভীষণ পাপ করছে এবং এটা তারা করছে বৈষ্ণব মতবাদের ফাঁদে পড়ে। সমগ্র হিন্দু সমাজকে যতক্ষণ এই বৈষ্ণব মতবাদের ফাঁদ সম্পর্কে সচেতন করা না যাবে বা তাদেরকে এই বৈষ্ণব মতবাদ থেকে রক্ষা করা না যাবে, ততক্ষণ হিন্দু সমাজের অধঃপতন কেউ ঠেকাতে পারবে না।

জন্মসূত্রে যে সব অবৈষ্ণব, বৈষ্ণবদের মিথ্যা প্রচারে বিশ্বাস করে চৈতন্যদেবকে কলিযুগের অবতার বা ভগবান মনে করে এবং নিজের আত্মার মুক্তি বা উদ্ধারের জন্য সারাক্ষণ চৈতন্য ভজনায় রত থাকে, তাদের ক্ষেত্রে একটা মজার ব্যাপার লক্ষ্য করা যায়, আর তা হলো- সারাজীবন এরা বৈষ্ণব সেজে থাকার পরও নামের শেষে দাস বা মহন্ত লাগায় না এবং মৃত্যুর পর তাদেরকে না পুড়িয়ে সমাধিস্থ করে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে যায় না। এই ধরণের ব্যক্তিদেরকে যদি বলা হয় যে- আপনি তো সারাক্ষণ চৈতন্য বা গৌরাঙ্গ ভজনায় মেতে থাকেন, তো আপনি কি বৈষ্ণব ধর্ম গ্রহণ করেছেন বা বৈরাগী হয়েছেন বা মারা যাওয়ার পর কি আপনাকে দাহ না করে সমাধিস্থ করা হবে ?

তখন দেখবেন এদের আসল রূপ, বলবে- বৈরাগী হবো কেনো বা বৈরাগীদরে মতো আমাকে সমাধিস্থ করা হবে কেনো ? এরা আসলে জানেই না যে বৈষ্ণব মতবাদ এবং সনাতন ধর্ম প্রকৃতপক্ষে আলাদা দুটো ব্যাপার। শ্রীকৃষ্ণকে ছেড়ে বা শ্রীকৃষ্ণকে পাশে রেখে যখন কেউ চৈতন্যদেবকে তার উদ্ধারকর্তা হিসেবে ধরে নিয়ে চৈতন্যদেবের ভজনা শুরু করে, তখন সে আর সনাতনী থাকে না, হয়ে যায় বৈষ্ণব; খুব কম হিন্দুই এই তত্ত্ব জানে, আর এটাই আসলে বৈষ্ণব মতবাদের ফাঁদ, যে মতবাদের ফাঁদে পড়ে প্রায় সকল হিন্দু কম বেশি বৈষ্ণব মতবাদের চর্চা করে চলেছে এবং এর ফলে দু চার জন সনাতনী হিন্দু বৈষ্ণব মতবাদকে গ্রহন করে নিজেদের নামের পাশে দাস/মহন্তও লাগাচ্ছে, এই ঘটনা ঘটেছে আমার পাশের গ্রামেই এবং আমার থানার পাশের থানার একটি ঋষি/মাটিয়াল অধ্যুষিত গ্রামের সবাই বৈষ্ণব মতবাদ গ্রহণ করে বৈরাগী হয়ে গেছে, তারা এখন এত উচ্চ মাত্রার বৈরাগী যে সবার হাতে অন্ন এবং জল খান না এবং বৈরাগী ছাড়া অন্য কারো সাথে নিজেদের ছেলে মেয়ের বিয়ে পর্যন্ত দেন না।

কাগজে কলমে এইভাবে বৈষ্ণব হওয়ার হার যদিও খুবই কম, কিন্তু যারা ইসকনে সক্রিয়ভাবে যোগ দিচ্ছে, তাদের নামের পাশে তো দাস লাগানো বাধ্যতামূলক; এই ভাবে বৈষ্ণব মতবাদ, আস্তে আস্তে সমগ্র হিন্দু সমাজকে গিলে খাওয়ার চেষ্টা করছে এবং কারণে অকারণে সব হিন্দুকে নিরামিষ খেতে উদ্বুদ্ধ করে বা বাধ্য করে, তাদের কাম ক্রোধ কমিয়ে, গার্হস্থ্য ধর্মের প্রতি তাদেরকে উদাসীন বা বিরাগী করছে, এর ফলে আস্তে আস্তে সমগ্র হিন্দু সমাজ জনসংখ্যা হারিয়ে বিলুপ্তির পথে এগিয়ে চলেছে এবং শক্তি হারিয়ে অসুর জাতের সাথে লড়াইয়ে টিকতে না পেরে জন্মভূমি ত্যাগেও বাধ্য হচ্ছে। আর এর সবই ঘটছে সনাতনী হিন্দু সমা্জের উপর বৈষ্ণব মতবাদের অশুভ প্রভাবের ফলে। গত ৪/৫শ বছর ধরে বৈষ্ণব মতবাদ এইভাবে সনাতনী সমাজের ক্ষতি করে চলেছে, তাই এখনই যদি এ সম্পর্কে সকল হিন্দু সচেতন না হয় এবং বৈষ্ণব মতবাদকে যদি রুখতে না পারে, বৈষ্ণব মতবাদের ফাঁদে পড়ে সমগ্র সনাতনী হিন্দু সমাজ বিলুপ্ত হতে বাধ্য।

জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।

No comments:

Post a Comment