বেদ সম্পর্কে মুসলমানদের মিথ্যাচারের জবাব- 3:
ইসতিয়াক নামের এই হুরলোভী লম্পট, তার ভাষায় বেদের কিছু ভুল তুলে ধরেছে, দেখা যাক আদৌ সেগুলো ভুল কি না বা বেদের সেই সব মন্ত্রে আসলেই কী বলা হয়েছে ? মুসলমানদের কাজই তো হলো শুধু কপি পেস্ট করে কমেন্ট করা, তাই এই একই ধরণের পোস্ট আপনারা বিভিন্ন মুসলমানের নামে পাবেন, সেই সকল পোস্টের জন্য আমার এই একই জবাব, জেনে নিন এবং প্রয়োজন মতো বাঁশ দিন।
যা হোক, ইসতিয়াক নামের এই হুর লোভী লম্পট বলেছে, বেদে নাকি বলা আছে আকাশের পিলার আছে এবং তা গরুর উপর রয়েছে এবং এই কথা নাকি লিখা আছে যজুর্বেদ ৪/৩০ এ, যার ইংরেজি অনুবাদ হিসেবে সে লিখেছে, "The bull has supported the sky"
দেখা যাক এই মন্ত্রটি এবং তার প্রকৃত অর্থ কী-
"অদিত্যাস্তগস্যদিত্যৈ সদ অসীদ।
অস্তভ্নদ্দ্যাং বৃষভো অন্তরিক্ষমমিমীত বরিমানং পৃথিব্যাঃ।
আহসীদদিশ্বা ভুবিনানি সম্রাড়ু বিশ্বেতানি বরুণস্য ব্রতানি।"
-এর অর্থ হিসেবে কোলকাতার হরফ প্রকাশনী, যার মালিক একজন মুসলমান, তার প্রকাশিত বেদে লিখা আছে,
"হে শুদ্ধসত্ত্ব, তুমি অনন্তরূপ ভগবানের শরীর সদৃশ (ত্বক) ভগবৎ সম্বন্ধযুক্ত স্থানে (নির্মল হৃদয়ে) তুমি উপবেশন করো। অভীষ্টবর্ষক ভগবান দ্যুলোক ও অন্তরিক্ষলোক ব্যেপে আছেন, পৃথিবীতে তার মহিমা অপরিমিত। তিনি সম্রাট (সর্বতোভাবে বিরাজমান সকলের প্রভু) সকল ভুবন ব্যেপে আছেন। এ সকলই সে বরুনরূপ পরব্রহ্মের কর্ম।"
ইসতিয়া্ক নামের এই হারামজাদা এখানে কোথায় পেলো যে, গরু আকাশকে ধারণ করে আছে ?
আকাশ প্রসঙ্গে এই লম্পট আরো বলেছে, যজুর্বেদের ১৪/৫ এ নাকি বলা আছে,
"গরু অদিতির পিঠের উপর আমি আকাশকে বসিয়ে দিয়েছি",
হুরের নেশায় যার ইংরেজি অনুবাদ হিসেবে সে লিখেছে,
"Upon the back of bull (Aditi) lay thee the sky's supporter".
কিন্তু সেই মন্ত্রটি হলো-
"অদিত্যাস্তা পৃষ্ঠে সাদয়াম্যন্তরিক্ষস্য ধত্রীং বিষ্টম্ভনীং দিশামঅধিপত্নীং ভুবনানাম। ঊর্মির্দ্রপ্সো অপামসি বিশ্বকর্মা ত ঋষিরশ্বিনাহধ্বর্যূ সাদয়তামিহ ত্বা।"
হরফ প্রকাশনীর বেদে এর অর্থ লিখা হয়েছে-
"হে ইষ্টকে তুমি অন্তরিক্ষলোকের ধারয়িত্রী, পূর্বাদি দিকের স্তম্ভনকর্ত্রী, প্রাণিসমূহের স্বামিনী; তোমাকে পৃথিবীর উপর স্থাপন করেছি। তুমি জলের রসরূপ কল্লোল। প্রজপতি তোমার দ্রষ্টা। দেবগনের অধ্বর্যু অশ্বিদ্বয়, তোমাকে এখানে স্থাপন করুক।"
এখানে- "গরু অদিতির পিঠের উপর আমি আকাশকে বসিয়ে দিয়েছি"- এই ধরণের কথাবার্তা কোথায় ?
মুসলমানদেরকে বলেছি, মুহম্মদের আদর্শ মেনে তোরা বোনকে বৌ বানাস, সেটা না হয় ইসলামের দৃষ্টিতে চলে, কিন্তু তাই বলে মাকেও বৌ বানাবি ? মানে আমি বলতে চাইছি, যা নয়, তাই বলবি বা যা নেই, তাই ঘটাবি ?
বেদ নিয়ে বকবকানি শেষ করে গীতা নিয়ে সম্পর্কে সে বলেছে, গীতার ৬/১৯ নং শ্লোকে বলা আছে, "বায়ুশূন্য স্থানে প্রদীপের শিখা কাঁপে না", এর সমালোচনা করে সে লিখেছে, বাতাস না থাকলে তো আলোই জ্বলার কথা না, কাঁপা তো দূরের কথা।"
যে মুসলমানদের চোখে কোরানের বড় বড় ভুল চোখে পড়ে না, খুনী-ধর্ষক-লুটেরা মুহম্মদের দোষ চোথে পড়ে না, সেই মুসলমানদের চোখে পড়েছে গীতার এই সামান্য বিষয়টি! যেখানে আপাতদৃষ্টিতে বায়ুশূন্য স্থানের কথা বলে একটা উদাহরণ দেওয়া হয়েছে মাত্র। যেমন গরমের দিনে ভ্যাপসা গরমে আমরা যখন অস্থির হয়ে উঠি, তখন অবচেতন মনেই বলে উঠি- 'বাতাস টাতাস কিচ্ছু নাই' বা 'আজ একদম বাতাস নাই', এর মানে কি বাতাস না থাকা ? বাতাস যদি না থাকে তাহলে সেই সময় মানুষসহ জীবজন্তু বেঁচে থাকে কিভাবে ? বা যে ব্যক্তি এই কথা বলে সে ই বা সেই সময় এই কথা বলছে কিভাবে ? বাতাস নাই বললেও প্রকৃতপক্ষে বাতাস আছে বলেই সে শ্বাস নিচ্ছে, বেঁচে আছে এবং কথা বলছে। তাই এটা হচ্ছে কথার কথা, বাতাস পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল জুড়ে সর্বত্র আছে। গীতায় শ্রীকৃষ্ণ যে বলেছেন, বায়ুশূন্য স্থানে প্রদীপের শিখা কাঁপে না, এর যথার্থ প্রকাশ হবে আসলে এরকম- "বায়ুপ্রবাহশূন্য স্থানে প্রদীপের শিখা কাঁপে না"।
আকাশের কোনো অস্তিত্ব না থাকলেও যে কোরান বলে সাতটি আকাশের কথা (কোরান-৭৮/১২,৭১/১৫,৬৫/১২) এবং কেয়ামতের সময় সেই আকাশ নাকি দীর্ণ বিদীর্ণ হবে এবং তা নাকি কেবল দুয়ার আর দুয়ার হয়ে দাঁড়াবে (কোরান- ৫৫/৩৭, ৭৮/১৯), সেই কোরানের ধারক বাহক মুসলমানেরা আবার গীতার "বায়ুশূন্যস্থানের" সমালোচনা করতে আসে, প্রকৃতপক্ষে যাতে কোনো ভুলই নেই।
এরপর এই হুরলোভী লম্পট, মুহম্মদকে তেল মেরে যে আল্লার পতিতালয় বেহেশতে গিয়ে ৭২ হুরকে দোচার নেশায় মশগুল, সে গীতার আরেকটি সমালোচনা করে বলেছে, "অর্জুন, কৃষনাকে বল্ল, সূর্য এবং চাঁদ তোমার দুই চোখ।' এর সমালোচনা করে সে বলেছে, আমরা জানি সূর্য এবং চাদ কারো চোখ নয়, সূর্য হচ্ছে নক্ষত্র এবং চাদ হচ্ছে উপগ্রহ।"
গীতার একাদশ অধ্যায়ের ১৯ নং শ্লোকের বর্ণনায়, শ্রীকৃষ্ণের বিশ্বরূপ দর্শন করে অর্জুন শ্রীকৃষ্ণ সম্পর্কে বলেছেন, "চন্দ্র সূর্য তোমার নেত্রস্বরূপ" এই বিষয়টিই হলো মুসলমানদের গীতা নিয়ে চুলকানির প্রধান ক্ষেত্রস্থল।
যা হোক, শ্রীকৃষ্ণই যে ঈশ্বর, তা অর্জুনকে বোঝানোর জন্য, শ্রীকৃষ্ণ নিজের শরীরে একটি প্রতীকী বিশ্বকে ধারণ করে দেখান; চন্দ্র সূর্য্ যেহেতু বিশ্বের একটি অংশ এবং চন্দ্র সূর্যের যেহেতু জ্যোতি বা প্রভা আছে এবং মানুষের চোখের দৃষ্টিশক্তিকেও যেহেতু বলে জ্যোতি, সেহেতু অর্জুন- চন্দ্র সূর্য তোমার নেত্রস্বরূপ- এই কথা বলে শ্রীকৃষ্ণের চোখের দৃষ্টিশক্তির প্রভাকে চন্দ্র সূর্যের প্রভার সাথে তুলনা করেছেন; মূলত এটি একটি উপমা, যেমন সুন্দরী মেয়েদের মুখ দেখে অনেকেই বলে থাকে চাঁদের মতো মুখ। চাঁদের মতো মুখ বললেই যেমন কোনো মেয়ের মুখ চাঁদ হয়ে যায় না, তেমনি- চন্দ্র সূর্য তোমার নেত্রস্বরূপ- বললেই শ্রীকৃষ্ণের এক চোখ চন্দ্র অন্য চোখ সূর্য হয়ে যায় না। এটি জাস্ট একটি উদাহরণ, যেই উদাহরণ দিয়ে অর্জুন, শ্রীকৃষ্ণের মধ্যে চন্দ্র সূর্যের যে জ্যোতি, সেই জ্যোতিকে বুঝিয়েছেন মাত্র।
মুসলমানরাও তো বলে, মুহম্মদ নূরের তৈরি। নূর মানে আলো। এখন মুসলমানরা প্রমাণ করে দেখাক দেখি যে আলো দিয়ে কোনো মানুষকে বানানো সম্ভব ? আসলে এটিও একটি কথার কথা বা উদাহরণ। মুহম্মদ নূরের তৈরি মানে আলোর যে ঝলক, তা মুহম্মদের মধ্যে আছে। কিন্তু বাস্তবে মুহম্মদ একটি অন্ধকার, তাই মুহম্মদকে যে ব্যক্তি যত বেশি জানে এবং যে তাকে যত বেশি মানে, সে তত বড় অন্ধকারের জীব, তত বড় বেশি জঙ্গী-সন্ত্রাসী; মুহম্মদের প্রকৃত আদর্শকে মেনে চলা একজন মুসলমান কখনোই মানুষ নয়; কারণ, তার কাছে খুন-ধর্ষণ-লুটপাট-ডাকাতি ডালভাত, এসব ছাড়া মুহম্মদের জীবনে কোনো শিক্ষা নেই।
এরপর ইসতিয়াক গালি দিয়ে বলেছে "এই খানকির পোলা মালাউন, তুই এই সব প্রশ্নের উত্তর দে।"
আজ পর্যন্ত আমাকে যে কেউ কেনো প্রশ্ন করে ঠেকাতে পারে নি, সেটা আমার পোস্ট যারা পড়ে, তারা সবাই জানে; তাই এই সিরিজে তোর সব প্রশ্নের উত্তরই যে শুধু আমি দিচ্ছি, তা ই নয়, তার সাথে তোকে আচাঁছা বাঁশও দিচ্ছি, সেটা তুই ভালো করেই বুঝতে পারছিস, ভবিষ্যতেও আরো বুঝতে পারবি; কারণ, তোর জন্য আরো কয়েকটি বাঁশ is coming.
এই গালির মধ্যে তুই দু্টি শব্দের উল্লেখ করেছিস, একটি খানকি, অপরটি মালাউন। এখন এই দুটো শব্দ বিশ্লেষণ করে দেখাই এগুলো কাদের জন্য এবং কাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
খানকি শব্দের অর্থ হলো বেশ্যা, আর খানকি থেকে 'খান' শব্দটির উৎপত্তি, যে 'খান' মুসলমানরা পদবী হিসেবে ব্যবহার করে, তার মানে যে মুসলমানরা খান পদবী ব্যবহার করে তারা বেশ্যার ছেলে।
অন্যদিকে, আরবী শব্দ 'মালাউন' এর অর্থ হলো 'অভিশপ্ত'। রক্তপাত দারিদ্রতা ও অশিক্ষার দিক থেকে পৃথিবীতে একমাত্র অভিশপ্ত জাতি হলো মুসলমানরা, তাই আর কেউই নয় মুসলমানরাই হলো মালাউন।
এই গালাগালির মধ্যে ধর্ষক ইসতিয়াক যা বলেছে তা তো আর সভ্য দুনিয়ায় উচ্চারণ করা যায় না, তারপরও বাধ্য হয়ে বিষয়টিকে বোঝানোর জন্য আমার আবিষ্কৃত শব্দে আমি বলছি, ইসতিয়াক বলেছে, 'তোর মা কালীরে আমি দুচি।"
যে এই সব অপকর্ম করতে চায়, তাকেই তো বলে ধর্ষক, তাই এই অনুচ্ছেদের শুরুতেই এই মুসলমানকে বলেছি ধর্ষক;
পুরাণ মতে, যে সব অসুর কালীর ব্যাপারে এই ইচ্ছা মনে পোষণ করতো, কালী তাদেরই গলা কেটেছে। মূলত কালীর এই অসুর দমন একটি পৌরাণিক শিক্ষা, যে ব্যক্তি মেয়েদের ব্যাপারে এই সব ইচ্ছা মনে লালন করে এবং তা বাস্তবে করতে চায় বা যায়, তাদেরই গলা, সেই সব মেয়েদেরকেই কাটতে হবে।
তাই আমি চাই ইসতিয়াক তার এই মনোভাব লালন করুক, কালীকে তো সে আর হাতের কাছে পাবে না, পাবে নিজের মা আর বোনকে, তাদের উপর তার ইচ্ছাটাকে বাস্তবায়ন করে মাদারচোদ আর বাইনচোদ নামে খ্যাত হোক বা অন্য কোনো মেয়ের উপর উঠে নিজের খতনা করা বস্তুটাকে হারাক বা ধর্ষণ করতে গিয়ে জেলে পচে মরুক, এগুলোই হবে তার - অত্যাচারিত নারী জাতির প্রতীক - দেবী কালীকে গালি দেওয়া বা অপমান করার শাস্তি।
জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রী কৃষ্ণ।
----------------------------
উপরে কোরানের কয়েকটি আয়াত উল্লেখ করেছি, নিচে দেখে নিন সেগুলো-
যখন নভোমণ্ডল দীর্ণ বিদীর্ণ হয়ে যাবে এবং লাল চামড়ার মতো রক্তবর্ণ ধারণ করবে। -(কোরান, ৫৫/৩৭)
আর আকাশ মণ্ডল উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে, ফলে তা কেবল দুয়ার আর দুয়ার হয়ে দাড়াবে।– (কোরান, ৭৮/১৯)
তোমাদের উপর সাতটি সুদৃঢ় আকাশ মণ্ডল স্থাপন করেছি। (কোরান, ৭৮/১২)
তোমরা কি লক্ষ্য করো না যে আল্লাহ কিভাবে সাত আসমান স্তরে স্তরে নির্মান করেছেন ?- (কোরান, ৭১/১৫)
আল্লাই সৃষ্টি করেছেন সপ্ত আকাশ এবং এদের অনুরূপ পৃথিবীও।– (কোরান, ৬৫/১২)
No comments:
Post a Comment