Thursday, 4 June 2020

হিন্দুদেরকে বলছি- আপনি কি মুসলিম ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন ?


হিন্দুদেরকে বলছি- আপনি কি মুসলিম ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন ?

এই মূহুর্তে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন নিয়ে তো আপনি হয়তো খুব সচেতন, কিন্তু আপনার পরিবারের মেয়েদের মধ্যে মুসলিম ভাইরাসের সংক্রমন নিয়ে আপনি কি সতর্ক ?

মুসলিম ভাইরাস একটি ভয়ঙ্কর ভাইরাস। এর ব্র্যান্ড নেম মুসলিম হলেও, এর জেনেরিক নেম হলে ইসলাম, আর এর বৈজ্ঞানিক নাম হলো "লা ইলাহা….. মুহম্মদের রাসূলুল্লাহ", যার বাংলা অর্থ হলো- 'মুহম্মদ ও আল্লার সমকামী সঙ্গমে ইসলামের জন্ম'

করোনা ভাইরাসের সংক্রমন ১৪ দিনের মধ্যে প্রকাশ পেলেও, কোনো হিন্দুমেয়ের মধ্যে মুসলিম ভাইরাসের সংক্রমন প্রকাশ পাওয়ার নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই; প্রাথমিকভাবে কিছু উপসর্গ যেমন- কথা প্রসঙ্গে ইসলাম ও মুসলমানদের প্রশংসা করা, হিজাব পড়ে নিজেকে দেখতে কেমন লাগে, সেটা আয়নায় দেখা বা ফেসবুকে হিজাব পরা ছবি পোস্ট করে দেওয়া, মোবাইলে চুপ চুপ করে ধীরস্বরে কথা বলা, রাত জেগে মেসেঞ্জার চালানো, মুসলিম মেয়েদের মতো কানের পিছ দিয়ে ওড়না সেঁটে দিয়ে চুল ঢেকে রাখার প্রবণতা, বাড়িতে কখনো সখনো জলকে পানি বলে ফেলা, সনাতন ধর্মের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলাসহ ইত্যাদি নানা উপসর্গ প্রকাশ পায়। কিন্তু চুড়ান্ত উপসর্গ প্রকাশ পায় এসব বিষয় বুঝে ফেলে তাকে চার্জ করা হলে বা পারিবারিকভাবে তার বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হলে। তখন সেই মেয়ে তার আসল রূপে আবির্ভূত হয় এবং মুসলিম প্রেমিকের হাত ধরে গোপনে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়, এই পরিস্থিতিতে সেই মেয়েকে নানাভাবে আটকানোর চেষ্টা করা হলেও প্রায় প্রতিটা ক্ষেত্রে হিন্দু পরিবারগুলো ব্যর্থ হয়; কারণ, ১৮+ বয়স হলে একটি মেয়ে স্বেচ্ছায় কারো বিছানায় গিয়ে কাপড় খোলার আইনি যোগ্যতা অর্জন করে, তাতে কেউ তাকে বাধা দিতে পারে না, এই সামাজিক কষ্টদায়ক কাজে আইন তার পাশে থাকে।

মুসলিম ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কোনো মানুষের চিন্তার স্তরে কী ধরণের পরিবর্তন হয়, এবার সেটা শুনুন-
এদের স্বাভাবিক চিন্তা-চেতনার ক্ষমতা লোপ পায়, কিসে নিজের ভালো বা মন্দ সেটা তারা বুঝতে পারে না; একাধিক বিয়ে করা, নিজের রক্তের সম্পর্কের মধ্যে বিয়ে করা, মিথ্যা বলা, প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করা, খুন-ধর্ষণ-লুঠপাট-দখলদারিসহ জগতের সকল খারাপ কাজকে এদের তখন ভালো বলে মনে হয়।

এছাড়াও কোনো হিন্দুমেয়ে মুসলিম ভাইরাসে আক্রান্ত হলে- সে কারো সতীন হতে বা বিবাহিত কোনো পুরুষ যার ছেলে মেয়ে আছে, তাকে বিয়ে করতেও পিছপা হয় না, তার বাস্তব বুদ্ধি এই পর্যায় পর্যন্ত লোপ পায়। ফটোপোস্টে দেখুন নরসিংদীর এক কলেজ পড়ুয়া হিন্দু মেয়ে ঠিক এই ঘটনায় ঘটিয়েছে। এছাড়াও মুসলিম ভাইরাসে আক্রান্ত যেকোনো হিন্দু মেয়ে, আনায়াসেই পিতা-মাতার স্নেহ ভালোবাসাকে ভুলে গিয়ে, পিতা-মাতা-ভাই-বোন-আত্মীয়-স্বজন ও সমাজকে কষ্ট দিয়ে হিন্দুধর্ম ও হিন্দুসমাজকে ত্যাগ করে একটি অভিশপ্ত দাম্পত্যজীবন শুরু করতে পারে, যার ফলাফল কখনোই ভালো হয় না।

মুসলিম ভাইরাস আপনার পরিবারের মেয়েদের মাধ্যমে সূচ হয়ে আপনার পরিবারে প্রবেশ করে এবং কুড়াল হয়ে বের হয়, তাই এই ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন না হলে আপনার পারিবারিক ও সামাজিক জীবন সম্পূর্ণ তছনছ হয়ে যেতে পারে।
আপনার- স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া বা চাকুরিজীবী মেয়ে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সবেচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এছাড়াও স্রেফ বাড়িতে থাকা হিন্দু মেয়েও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে, যদি আপনি তাকে ফোন কিনে দেন এবং তা ইচ্ছেমতো ব্যবহার করতে দেন।

এই মুসলিম ভাইরাস থেকে আপনার পরিবারের মেয়েকে সুরক্ষিত রাখতে হলে তাকে এ্যান্টি লাভ জিহাদ ভাইরাস দিতে হবে, কিভাব সেটা দেবেন, তা জানার জন্য পড়ুন নিচের এই প্রবন্ধটি-

লাভ জিহাদের ছোবল থেকে আপনি আপনার পরিবারকে বাঁচাতে পারেন বা পারবেন যেভাবে :

ভাই, বাবা, কাকু বা দাদু, পরিবারে- আপনার পরিচিতি যা ই হোক না কেনো, আপনার পরিবারের কোনো মেয়ের বয়স যখন ১৩/১৪ তে পৌঁছবে, তখন লাভ জিহাদ ভাইরাসের একটি এ্যান্টি ভাইরাস তার মধ্যে আপনাকে ঢুকিয়ে দিতে হবে । কিন্তু কিভাবে ?

পরিবারের যে কোনো মেয়ের ছোটবেলা থেকেই, তার সাথে সহজ সম্পর্ক গড়ে তুলুন, যাতে আপনি তাকে সব কথা জিজ্ঞেস করতে পারেন এবং সেও আপনার সাথে সব কথা শেয়ার করতে পারে। পরিবার বা আত্মীয়-স্বজনদের কোনো মেয়ে যখন ৮ম শ্রেণীতে উঠবে, তখন তার সাথে একটা পার্সোনাল মিটিং এ বসুন। তাকে বলুন,

“ তোর সাথে কিছু কথা বলতে চাই, একদম লজ্জা পাবি না, জীবনে ভালো থাকার জন্য এটা খুব জরুরী।”

এটা শুনেই সে গভীর আগ্রহ ও কৌতূহল নিয়ে আপনার দিকে তাকাবে ও আপনার প্রতি মনোযোগী হবে। এরপর আপনি বলবেন, “মানুষ কেনো প্রেমে পড়ে জানিস ?”

লজ্জা পেলেও বলবে, কেনো ?

বলবেন, প্রেমে পড়া হলো মানুষের নিয়তি। মেয়েরা ১৪ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে এবং ছেলেরা ১৬ থেকে ২১ এর মধ্যে কারো না কারো প্রেমে পড়বেই। অর্থাৎ বিপরীত লিঙ্গের কাউকে না কাউকে তার ভালো লাগবেই। এই বয়সের মধ্যে কোনো ছেলে বা মেয়ের কাউকে যদি ভালো না লাগে, তাহলে ধরে নিতে হবে, তার কোনো মানসিক প্রব্লেম আছে। বাংলাদেশের ছেলে মেয়েরা প্রেম না করলেই বাপ-মা সহ বাড়ির লোকজন খুশি হয়, বলে মেয়েটা আমার কত ভালো ? কিন্তু ইউরোপ আমেরিকার মতো উন্নত দেশে এই বয়সী ছেলে মেয়েদের কোনো বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ড না থাকলে, তাকে বাপ মা সাইক্রিয়াটিস্ট অর্থাৎ মানসিক রোগের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়।কারণ এই বয়সে কারো সাথে সম্পর্ক থাকাটাই স্বাভাবিক, না থাকাটাই অস্বাভাবিক।

এরপর সে জিজ্ঞেস করবে, এটা কেনো হয় ? মানুষ কি প্রেমে পড়তে বাধ্য ? আমি যদি প্রেম না করি ?

উত্তরে বলবেন, হুমম, মানুষ প্রেমে পড়তে বাধ্য। এর সায়েন্টিফিক কারণ হলো, মানুষের মস্তিষ্ক্যের মধ্যে পিটুইটারী নামে একটি গ্রন্থি আছে। একটা নির্দিষ্ট বয়সে, ঐ গ্রন্থি থেকে কিছু হরমোন নিসৃত হয়। এটা যখন ঘটে ঠিক তারপর থেকে যেকোনো ছেলে বা মেয়ে বিপরীত লিঙ্গের কারো প্রতি আকর্ষণ বোধ করে, তার সাথে কথা বলতে চায়, তার সাথে ঘুরতে বা সময় কাটাতে ভালো লাগে, একেই বলে প্রেম, কাউকে ভালো লাগা। এই কারণেই মানুষ প্রেমে পড়ে আর প্রতিটা মানুষ মেন্টালি সুস্থ হলে সে প্রেমে পড়তে বাধ্য।

আপনি যখন এই কথা বলবেন, তখনও সে যদি কারো প্রেমে না পড়ে থাকে, বলবে, কিন্তু আমি প্রেম করবো না, দেখি আমার কী হয় ? এটা বলার কারণ হলো, প্রত্যেকটা মেয়েই প্রমে পড়ার আগে প্রেমকে ঘৃণা করে।

আপনি মাথা ঠাণ্ডা রেখে বলবেন, সে তো ভালোই, প্রেম না করলে অনেক ঝামেলা টেনসন থেকে বাঁচা যায়। কিন্তু যদি তোর প্রেম করতে ইচ্ছে করে, তাহলে আমার কিছু সাজেশন আছে, যদি তা মেনে চলিস জীবনে অনেক যন্ত্রণা থেকে বেঁচে যাবি।

বলবে, কী সাজেশন ?

আপনি বলবেন, যদি প্রেম করতেই হয়, দেখে শুনে এমন ছেলের সাথে প্রেম করবি, যে তোকে বিয়ে করার যোগ্যতা বা ক্ষমতা রাখে। ক্লাসমেটদের সাথে কখনো প্রেম করবি না; কারণ, সেই প্রেম কখনো সাকসেস হবে না। কেননা, তোর যখন বিয়ের সময় হবে, দেখা যাবে সে তখনো পড়াশুনাই শেষ করতে পারে নি, চাকরি বাকরি তো দূরের কথা। এরকম পরিস্থিতিতে পরিবারের চাপে অন্য কাউকে বিয়ে করতে বাধ্য হলে যন্ত্রণায় পড়বি। সেজন্য প্রেম করবি সিনিয়রদের সাথে বা ব্যবসায়ীদের সাথে এবং অবশ্যই তোদের পরিবারের সাথে ছেলের পরিবার যাতে ম্যাচ করে, সেটা দেখে। এরকম ভেবে চিন্তে, দেখে শুনে প্রেম করলে সেই সম্পর্ক সবাই মেনে নেবে, কোনো কষ্টে পড়বি না। এর ব্যতিক্রম হলেই চোখের জলে ভেসে কূল পাবি না, এটা আমার অনেক এক্সপেরিয়েন্স থেকে বলছি। আর একটা কথা, হিন্দু সমাজে, বিয়ের ক্ষেত্রে অনেক জাত পাতের ব্যাপার আছে, সম্পর্ক গড়ার আগে সেটাও মাথায় রাখবি, নিজ কাস্ট না মিললেও কমপক্ষে ছেলেটা যাতে হিন্দু হয় এবং তার ফ্যামিলি মোটামুটি স্ট্যান্ডার্ড হয়, এক কথায় শিক্ষা এবং টাকা পয়সায় যাতে তোদের সাথে মিল খায়, সেটা খেয়াল রাখবি। এরকম হলে তবুও সবাইক বলে কয়ে মানিয়ে নেওয়া যাবে বা আমি মানাতে পারবো। কিন্তু এর যদি ব্যতিক্রম হয়, ছেলে যদি অন্য ধর্মের অর্থাৎ মুসলমান হয়, তাহলেই কিন্তু সর্বনাশ। এটা মানার তো কোনো প্রশ্নই আসে না। শুধু তাই নয়, এর জন্য তোকে যে মূল্য দিতে হবে, সেটা তুই কল্পনাও করতে পারবি না, এমন কি তোর জীবনও চলে যেতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, প্রেম করলে করবি, কিন্তু তার ফলে তোদের পরিবারের যাতে কোনো অসম্মান না হয়, বাপ-মা যাতে কষ্ট না পায়, হিন্দু সমাজ ও ধর্মের যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, সেটা খেয়াল রাখবি। আর যা খুশি কর, আমার তাতে কোনো আপত্তি নেই; শুধু তাই নয়, আমার কথা মেনে চললে প্রয়োজনে আমি তোকে সবরকম হেল্পও করবো।

এরপর মুসলমান সম্পর্কে আরো বলবেন, মুসলমানরা হলো জাত ক্রিমিনাল, আর মিথ্যুক ও প্রতারক। এদের জীবনে বিয়ের কোনো স্থায়িত্ব নেই, আজ বিয়ে করে দেহের স্বাদ মিটে গেলেই দু মাস পর তালাক দিয়ে আরেকটি বিয়ে করতে পারে। তালাক না দিয়েও আরেকটি বিয়ে করে সতীনের সংসার বানাতে পারে, কোন মেয়ে এটা চায় ? এভাবে মুসলমান সম্পর্কে যত বিষ তার মাথায় ঢোকানো সম্ভব, ঢোকাবেন এবং এটা করবেন সুযোগ পেলেই, যাতে মুসলমানদের সম্পর্কে কোনো ভালো ধারণা নিয়ে সে বড় হয়ে উঠতে না পারে, এর সাথে সাথে ইসলামের কুৎসিত ও কদর্য দিকগুলো তার সামনে বেশি করে তুলে ধরবেন, যাতে সে প্রকৃত ইসলাম সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারে।

আমার বাস্তব অভিজ্ঞতায় আমি দেখেছি, যখনই কারো সামনে ইসলামের প্রকৃত রূপ তুলে ধরা হয়েছে, তখনই সে ইসলামকে ঘৃণা করা শুরু করেছে, এটা শুধু অমুসলিমদের ক্ষেত্রেই নয়, মুসলমানদের মধ্যেও। তাই নিজ পরিবারের মেয়েদের মধ্যে যদি ইসলাম সম্পর্কে ঘৃণা ঢুকিয়ে দিতে পারেন, মনে রাখবেন, তাহলেই আপনি এবং আপনার পরিবার লাভ জিহাদের ছোবল থেকে সুরক্ষিত। এরপর সেই মেয়েকে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে বা চাকরি করতে যেখানেই পাঠান না কেনো, সে আপনার পরিবারের কোনো ক্ষতির কারণ হবে না, হিন্দুধর্ম ও সমাজের মুখে চুনকালি মাখাবে না ।

এই ক্ষেত্রে ইসলাম ও মুসলমানদের চরিত্র সম্পর্কে অজ্ঞ, সেকুলার টাইপের কেউ কেউ প্রশ্ন তুলতে পারে, তাহলে কি আমরা ছেলে মেয়েদেরকে মানুষকে ঘৃণা করতে শেখাবো ? আমি মানুষকে ঘৃণা করা শেখাতে বলছি না, চেনাতে বলছি মানুষরূপী জানোয়ার মুসলমানদের আর ঘৃণা করা শেখাতে বলছি সেই সব জানোয়ারদের, যারা গনিমতে মাল মনে করে হিন্দু মেয়ে এবং হিন্দু সম্পত্তির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমি মুসলমানদেরকে কেনো জানোয়ার বলছি, সেটা যদি আপনিও না জেনে থাকেন, তাহলে আগে কোরান হাদিস পড়ুন, গুগলে সার্চ দিয়ে ১৯৪৬ সালের কোলকাতার ডাইরেক্ট এ্যাকশন ডে, নোয়াখালির হিন্দু নিধন যজ্ঞের ইতিহাস এবং ১৯৫০ সালে কিভাবে এই পূর্ববঙ্গ তথা বর্তমান বাংলাদেশ থেকে মাত্র এক মাসে ৫০ লক্ষ হিন্দুকে মুসলমানরা বিতাড়িত করেছিলো সেই ইতিহাস পড়ুন। আর এতসব কিছু করতে না পারলে প্রতিদিন গড়ে ৩০ মিনিট সময় ব্যয় করে ফেসবুকে আমার লেখাগুলো পড়ুন, হিন্দুধর্ম ও হিন্দুসমাজ রক্ষার পাশাপাশি আপনার পরিবারের মান-সম্মান এবং আপনার জীবন ও সম্পদ হয়তো বাঁচাতে পারবেন।

এ প্রসঙ্গে হিন্দু মা-বাবাদের বলছি, ছেলে মেয়েদের সাথে বন্ধুর মতো সম্পর্ক গড়ে তুলুন, তাদের সাথে মন খুলে সব কথা বলুন, পরিবারে ভয়ের আবহ থাকলে তা দূর করুন। এতে ছেলে মেয়ে, তাদের সাথে ঘটা কোনো ঘটনা গোপন করবে না, এভাবে সব ঘটনা থাকবে আপনার নিয়ন্ত্রণে, আপনি দেখে শুনে বুঝে সব ব্যবস্থা নিতে পারবেন। মনে রাখবেন, আপনার পরিবারের যেসব ঘটনা আপনার আড়ালে ঘটে, সেগুলোই আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য ক্ষতির কারণ; তাই কোনো ঘটনা আপনার অগোচরে না থাকলেই আপনি নিরাপদ। আরও মনে রাখবেন, শাসন এবং ভয় দিয়ে আপনি কোনো কিছু আটকে রাখতে পারবেন না বা কিচ্ছু জয় করতে পারবেন না, যা করতে পারবেন তা ভালোবাসা দিয়ে। কারণ, শাসন কেউ পছন্দ করে না, আর ভয়ও এক সময় সবাই কাটিয়ে উঠে; তাই শাসন ও ভয়ের বন্ধন এক সময় সবাই ছিন্ন করতে পারে, কিন্তু ভালোবাসার বন্ধন সহজে কেউ ছিন্ন করতে পারে না। তাই ছেলে মেয়েদেরকে ঘুড়ির মতো উড়তে দিয়ে তাদেরকে ধরে রাখুন ভালোবাসার সুতো দিয়ে, এতে আপনাদেরকে কষ্ট দেওয়ার আগে সে ১০০ বার করে ভাববে। আর এই ভাবনা যখন প্রত্যেকটি ছেলে মেয়েদের মধ্যে আসবে তখনই লাভ জিহাদের ছোবল থেকে রক্ষা পাবেন আপনি, সুরক্ষিত হবে হিন্দুধর্ম ও হিন্দু সমাজ।

হিন্দু পরিবারের বড়দের উদ্দেশ্য বিশেষ করে বলছি, পরিবারের মধ্যে আলাপ আলোচনায় অবিবাহিত মেয়েদের উদ্দেশ্যে এই বার্তা দেন যে, বিয়ের ক্ষেত্রে বর্তমানে জাত পাত খুব বড় একটা বিষয় নয়, বড় বিষয় হলো শিক্ষা, অর্থ ও যোগ্যতা। এই মেসেজ নিয়ে আপনার পরিবারের মেয়েরা যদি কলেজ ইউনিভার্সিটিতে যায়, তার লাভ জিহাদে পড়ার সম্ভাবনা ফিফটি পার্সেন্ট কমে যাবে। কেননা, আমাদের কেস স্টাডিতে আমরা দেখেছি, ভিন্ন কাস্টের ছেলেকে বাপ মা মানবে না বলে কলেজ- ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া হিন্দু মেয়েরা, বন্ধুত্ব করলে যদি প্রেম হয়ে যায়, এই ভয়ে হিন্দু ছেলেদের সাথে মেশে না, তাদেরকে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলে। এই সুযোগটা নেয় মুসলিম ছেলেরা আর তখন হিন্দু মেয়েরাও মনে করে, ও তো মুসলমান ওর সাথে কথা বললে, বন্ধুত্ব করলে বেশি কিছু হবে না। কিন্তু হিন্দু মেয়েরা জানে না, মুসলমানদের প্রকৃত উদ্দেশ্য কী ? প্রতিটা মুসলিম ছেলের আজন্ম লালিত স্বপ্ন হলো কোনো হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করা। তাই যখনই কোনো হিন্দু মেয়ের সাথে তারা কথা বলার সুযোগ পায়, তাদের কাছাকাছি আসতে পারে, তথনই তারা তাকে নানা ছলে বলে কৌশলে সেই মেয়ের দেহ ও মনকে জয় করার চেষ্টা করে। আর হিন্দু মেয়েরা না বুঝে তাদের ফাঁদ পা দিয়ে নিজের ও হিন্দু সমাজের সর্বনাশ ডেকে আনে। এক্ষেত্রে পরিবার থেকেই যদি তাকে এই মেসেজ দেওয়া হয় যে, এখন আর জাত পাত কোনো ফ্যাক্টর নয়, সত্যিই তো কোনো ফ্যাক্টর নয়, তাহলে আপনার মেয়ে যে কোনো হিন্দু ছেলের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে, প্রেমে পড়ার ভয় থাকলেও দ্বিধায় ভুগবে না, এতে ঐ হিন্দু ছেলের সাথে তার প্রেম হোক বা না হোক, এতে অন্তত আপনার মেয়ের কোনো ক্ষতি হবে না। একটা কথা বিশেষ করে মনে রাখবেন, কোনো মুসলিম ছেলের সাথে আপনার মেয়ের বন্ধুত্ব, প্রেম ও বিয়ে হওয়ার চেয়ে, আপনার বিচারে হিন্দু সমাজের সবচেয়ে নিচু কাস্টের ছেলের সাথেও আপনার মেয়ের প্রেম ও বিবাহ, আপনার পরিবার এবং হিন্দুধর্ম ও সমাজের জন্য মঙ্গলজনক।

এই পোস্ট পড়ার শেষে আপনি যদি ভেবে থাকেন যে, আমার পরিবারের মেয়েদেরকে এসব বলার দরকার নেই, তারা কখনো এমন কাজ করবে না, আমরা ওকে খুব বিশ্বাস করি, ওরা এমন কাজ করতেই পারে না, তাহলে আপনাকেই বলছি, যেসব পরিবারের মেয়েরা এমন কাজ করেছে, সেসব পরিবারের লোকেরাও ঘটনা ঘটার ঠিক আগ মূহর্ত পর্যন্ত আপনার মতোই ভাবতো, আর ঘটনা ঘটার পর তারা এক বুক যন্ত্রণা নিয়ে, চোখের জলে ভেসে জীবন কাটাচ্ছে, আমার কথা বিশ্বাস না হলে, সেসব পরিবারের অবস্থা স্বচক্ষে দেখুন বা তাদের সাথে কথা বলে দেখুন, তার পরেও আপনার মেয়ের উপর যদি অন্ধ বিশ্বাস থাকে, আমি বলছি না আপনাকে কাঁদতেই হবে, তবে কাঁদার জন্য প্রস্তুত থাকুন।

জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।

No comments:

Post a Comment