Monday 25 May 2020

হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে Shudipta Rani' র কটূক্তি বা গাত্রদাহের জবাব:


হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে Shudipta Rani' র কটূক্তি বা গাত্রদাহের জবাব:

July 10 , ২০১৮ তারিখে, তার ফেসবুক স্ট্যটাসে, হিন্দু নামধারী মুসলমান সুদীপ্তা রানী হিন্দুধর্ম সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন তুলেছিলো, এই পোস্টে দিচ্ছি তার চুলকানীর জবাব, স্ট্যাটাসের শুরুতেই সে লিখেছে, •

"প্রিয় বন্ধু
আমাদের সনাতনী/ হিন্দু শাস্ত্র মতে হিন্দুদের শিশু বিবাহের ইতিহাস।
প্রথমে হিন্দু শাস্ত্রগ্রন্থ দেখি মনুসংহিতা কি বলে,
মনুসংহিতা ৯/৯৪
"ত্রিংশদ্বর্ষোদ্বহেত কন্যাং হদ্যাং দ্বাদষবার্ষিকীম
ত্রষ্টোবর্ষোহষ্টবর্ষাং বা ধর্মে সীদতি সত্তরঃ"
অর্থঃ "ত্রিশ বছর বয়স্ক পুরুষ বিবাহ করবে ১২ বছরের কন্যাকে, আর ২৪ বছর বয়স্ক পুরুষ বিবাহ করবে ৮ বছরের কন্যাকে। ইহায়ই বিবাহ বয়স, ইহার অন্যত্র হইলে ধর্ম নষ্ট হয়।"
মনুসংহিতা ৯/৮৮
"উতকৃষ্টায়া ভিরুপায় বরায় সদৃশায় চ,
অপ্রাপ্তামপি তাং তস্মৈ কন্যাং দদ্যাদ যথাবিধি"
অর্থঃ কুলে এবং আচারে উতকৃষ্ট স্বজাতীয় বর পাইলে কন্যা বিবাহযোগ্য না হইলেও উহাকে সম্প্রদান(বিবাহ) করাবে।
অর্থাৎ বিবাহ যোগ্যা না হলেও মানে ৮ বছরের ছোট হলেও উতকৃষ্ট পাত্র পেলে তাহাকে বিবাহ দিবে।

# এই মুমিনা সম্ভবত এটা জানে না যে, এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ হিন্দু মনুসংহিতাকে হিন্দুধর্মীয় গ্রন্থ মনে করলেও, মনুসংহিতা আসলে হিন্দুধর্মের কোনো প্রামান্য গ্রন্থ নয়: মনু ছিলো আর্য সভ্যতার একজন রাজা, যে রাজ্য পরিচালনার সুবিধার্থে- ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যদের বেশি সুবিধা দিয়ে এবং শুদ্র ও নারীদেরকে অপমান করে এবং তার নিজের খেয়াল খুশিমতো বিধি বিধান তৈরি করে রাজ্য পরিচালনার একটি সংবিধান, যা পরে মনু সংহিতা নামে পরিচিত হয় এবং এতে যেহেতু হিন্দু সমাজের অনেক বিধি বিধান আছে, সেহেতু এটাকে হিন্দুরা ভুলক্রমে ধর্মশাস্ত্র বলে মনে করে। এই ভুল করেই এই মুমিনা মনুসংহিতাকে রেফারেন্স হিসেবে ধরে হিন্দুধর্মের সমালোচনা করছে, এর সমালোচনার ভিত্তি কত শক্তিশালী, সেটা একবার কল্পনা করুন।

সুদীপ্তাকে বলছি, আপনাকে আমি মুমিনা হিসেবে একারণেই উল্লেখ করছি যে, যে বা যারা হিন্দুধর্ম ও সমাজের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়, তাদেরকে আমি মুসলমান হিসেবেই মনে করি, সে জন্ম সূত্রে যা ই হোক, এই সূত্রে আপনিও আমার কাছে মুসলমান।

আপনি মনুসংহিতার বাল্য নয়, শিশুবিবাহের রেফারেন্স দিয়েছেন; উপরেই বলেছি, মনুসংহিতা হিন্দু ধর্মের কোনো প্রামান্য গ্রন্থ নয়, যদি হতো তাহলে আজও হিন্দু সমাজে আপনার উল্লিখিত শিশু বিবাহ চালু থাকতো, বাস্তবে হিন্দু সমাজে শিশু বা বাল্য বিবাহ কি চালু আছে ? আইডিতে আপনি তো নিজেকে হিন্দু হিসেবেই তুলে ধরেছেন, মনুসংহিতার বক্তব্য মোতাবেক আপনার কি শিশু বা বাল্যকালে বিয়ে হয়েছিলো ? নিশ্চয় হয় নি। তাহলে মনুসংহিতার ঐ সব অকার্যকর শ্লোক নিয়ে আপনার এত চুলকানি কেনো ?

মানুষ সেটারই সমালোচনা করে, যেটা তার জীবন যাপনে সমস্যার সৃষ্টি করে; মনু সংহিতার এই বানী আপনার জীবনে কোন সমস্যার সৃষ্টি করেছে ? মনু সংহিতার শ্লোক মোতাবেক আপনার তো বাল্য বা শিশুকালে বিয়ে হয় নি, আয়েশার মতো ৯ বছর বয়সে বাসর রাতে ধর্ষিতা হতে হয় নি, আপনার যদি হিন্দু পরিবারে জন্ম হয়ে থাকে তো, হিন্দুসমাজ আপনাকে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় লেভেলের শিক্ষাও সম্ভবত দিয়েছে, বোরকা হিজাবে ঘরে বন্দী করে রাখে নি, এই স্বাধীনতাকে ভোগ করে আজ আপনি এমন একটি বিষয় নিয়ে কথা বলছেন, যা হিন্দুধর্মের অংশ নয় এবং যা দ্বারা আপনি বাস্তবিক জীবনে এফেক্টেডও না। তাহলে এসব নিয়ে আপনার এত চুলকানী কেনো ? না কাউকে দিয়ে চুলকিয়ে নেওয়ার জন্য, আগে থেকেই আপনি নিজে চুলকাচ্ছেন ? #

এরপর আপনি মহাভারতের বাল্য বিবাহ নিয়ে বলতে গিয়ে বলেছেন,

"এবার দেখবো মহাভারত বাল্যবিবাহ সম্পর্কে কি বলে,
মহাভারত, অনুশাসন পর্ব ১৩/৪৪, শ্লোক নং ১৩,"
तरिंशद्वर्षॊ दशवर्षां भार्यां विन्देत नग्निकाम एकविंशतिवर्षॊ वा सप्त वर्षाम अवाप्नुयात
"ত্রিংদাদর্শী দশাবর্ষী ভার্যা বিন্দেত নগ্নিকাম,
একবিংশতিবর্ষী বা সপ্ত বর্ষাম অবাপ্নুয়াত।"
অর্থঃ ত্রিশ বছরের পুরুষের উচিত, দশ বছরের কন্যা বিবাহ করা, যাকে বলে নগ্নিকাম।
এবং একুশ বছরের পুরুষের উচিত, সাত বছরের কন্যা বিবাহ করা।
অনুবাদঃ কিশোরি মোহন গাংগুলি।
অর্থাৎ আমরা দেখতে পাচ্ছি সনাতন শাস্ত্রমতেই কন্যা বিবাহযোগ্য ধরা হয় ৭/৮ বছরেই।

# মহাভারতের ঘটনা ও বাণী হিন্দুসমাজের জন্য কোনো আদেশ, নির্দেশ বা বিধান নয়, উপদেশ; সেই উপদেশ আমি মানতেও পারি, আর নাও পারি, সেটা আমার ইচ্ছার উপর নির্ভর করে। মহাভারতের এই শ্লোক, কোনো চরিত্রের ব্যক্তিগত মতামত হতে পারে; কিন্তু বাস্তবে মহাভারতে এই শ্লোকের কোনো বাস্তবায়ন কি আছে ? নেই। কারণ, মহাভারতে বাল্য বা শিশু বিবাহের কোনো ঘটনাই নেই। তাহলে মহাভারতের এই শ্লোক নিয়ে এত চুলকানি কেনো ?

সুদীপ্তাকে বলছি, সমাজ চলে মানুষের বাস্তব কর্মের ভিত্তিতে, বই পুস্তকে কী লেখা আছে তার নিরিখে নয়। কোরান হাদিসের বক্তব্যকে বিশ্বাস করে ইসলামী জঙ্গীরা যদি সন্ত্রাস না করতো, তাহলে কোরান হাদিসে কী লেখা আছে, এটা নিয়ে তেমন কেউ মাথা ঘামাতো না, আর নেট ফেসবুকে ইসলাম নিয়ে কেউ সমালোচনাও করতো না। কোরান হাদিসের থিয়োরিকে মুসলমানরা বাস্তবে প্রয়োগ করে বলেই মুসলমানদের নিয়ে বিশ্ববাসীর এত মাথা ব্যথা। তো যে হিন্দু সমাজে বর্তমানে বাল্য বিয়েই নেই, সেখানে শিশু বিবাহের প্রসঙ্গ তুলে আপনার এত চুলকানি কি মুহম্মদের শিশু বিবাহ ও ধর্ষণকে চাপা দেবার জন্য ? অযথা চুলকানীরও কিন্তু একটা ওষুধ আছে, সেটা হলো বিছুতি পাতা বা মরিচ বাটা, যেটা প্রয়োগ করতে হয় একেবারে যোনীর ভেতরে।

এরপর সুদীপ্তা, হিন্দু সমাজের কিছু বিখ্যাত ব্যক্তির বিয়ের কথা উল্লেখ করেছে, যারা তার মতে শিশুদেরকে বিয়ে করেছে, কিন্তু এই বিয়েগুলো যদি ৫০ বছর বয়সী মুহম্মদের সাথে ৬ বছর বয়সী আয়েশার বিয়ের মতো হতো, তাতে যে সুদীপ্তা খুব খুশী হতো, তাহাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো- এই বিয়েগুলো তেমন ঘটে নি, এখানে বিয়ের কনেরা যদি হয় ৭/৮ বা ১০ বছরের তাহলে বরেদের বয়স ছিলো ১১/১২ বা ১৩ বছরের; অর্থাৎ সেই সময়ের রীতিই ছিলো এমন এবং আমার এই কথার প্রমান পাওয়া যাবে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ইতিহাস ভিত্তিক "সেই সময়" উপন্যাসে। এই বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যই মাইকেল মধুসূদন দত্ত খ্রিষ্টান হয়েছিলো। সুতরাং ইসলামি আদর্শ অনুসারে, কনে- বালিকা বা শিশু হলেও, বর যে ছিলো বুড়ো মরদ, এমন ভাবার কোনো কারণ নেই।

রামায়ণ মহাভারতের যুগে হিন্দু সমাজে বাল্যবিবাহের কোনো ইতিহাস না থাকলেও হিন্দু সমাজে এই রীতি কিভাবে এবং কোন সময় থেকে প্রবেশ করলো, এই প্রশ্নটা অনেকের মাথাতেই আসতে পারে, তাদের অবগতির জন্য বলছি-

ভারতে মুসলমানদের আগমনের পূর্বে, হিন্দুদের বিয়ের অনুষ্ঠান দিনের বেলা হতো; ভারতে মুসলিম শাসন শুরু হলে, মুসলমান শাসকরা, যখন তখন হিন্দু মেয়েদের উঠিয়ে নিয়ে যেতো; এতে হিন্দুরা মেয়েদেরকে মুসলমানদের হাত থেকে রক্ষার জন্য বছরের পর বছর ঘরের ভেতর লুকিয়ে রেখে বিয়ের বয়স হলে, দিনের পরিবর্তে রাতের বেলা বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মেয়েদের বিয়ে দিতে থাকে, এই কৌশল মুসলমান শাসকদের কাছে ফাঁস হলে, গোয়েন্দাদের মাধ্যমে কোন হিন্দু বাড়িতে যুবতী মেয়ে আছে, তার খোঁজ নিয়ে মুসলমান শাসকরা হিন্দু মেয়েদেরকে উঠিয়ে নিয়ে যেতে লাগলে, হিন্দুরা বিবাহযোগ্য হওয়ার আগেই মেয়েদেরকে বিয়ে দিতে শুরু করে, এভাবেই হিন্দু সমাজে চালু হয় বাল্য বিবাহ বা শিশুবিবাহ এবং এই রেশ চালু ছিলো, ভারতে মুসলমানদের দুঃশাসন শেষ হওয়ার পর ইংরেজ আমল পর্যন্ত, যে প্রসঙ্গ উঠে এসেছে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের "সেই সময়" নামক ঐতিহাসিক উপন্যাসে।

সুতরাং বাল্য বা শিশুবিবাহের জন্য যে হিন্দুধর্ম ও হিন্দু সমাজ কোনোভাবেই দায়ী নয়, আশা করছি, সেটা আমার পাঠক বন্ধুদেরকে বোঝাতে পেরেছি, আর সুদীপ্তা যদি এটা না বোঝে, তাহলে তার জন্য বিছুতির পাতা বা মরিচের গুড়াই যে বেস্ট ঔষধ, সেটা যেন সুদীপ্তা নামের এই ছদ্মবেশী মুসলমান মনে রাখে।

জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।
-----------------------------------------

নিচে দেখে নিন, সুদীপ্তার পুরো স্ট্যাটাসটি-

প্রিয় বন্ধু
আমাদের সনাতনী/ হিন্দু শাস্ত্র মতে হিন্দুদের শিশু বিবাহের ইতিহাস।
প্রথমে হিন্দু শাস্ত্রগ্রন্থ দেখি মনুসংহিতা কি বলে,
মনুসংহিতা ৯/৯৪
"ত্রিংশদ্বর্ষোদ্বহেত কন্যাং হদ্যাং দ্বাদষবার্ষিকীম
ত্রষ্টোবর্ষোহষ্টবর্ষাং বা ধর্মে সীদতি সত্তরঃ"
অর্থঃ "ত্রিশ বছর বয়স্ক পুরুষ বিবাহ করবে ১২ বছরের কন্যাকে, আর ২৪ বছর বয়স্ক পুরুষ বিবাহ করবে ৮ বছরের কন্যাকে। ইহায়ই বিবাহ বয়স, ইহার অন্যত্র হইলে ধর্ম নষ্ট হয়।"
মনুসংহিতা ৯/৮৮
"উতকৃষ্টায়া ভিরুপায় বরায় সদৃশায় চ,
অপ্রাপ্তামপি তাং তস্মৈ কন্যাং দদ্যাদ যথাবিধি"
অর্থঃ কুলে এবং আচারে উতকৃষ্ট স্বজাতীয় বর পাইলে কন্যা বিবাহযোগ্য না হইলেও উহাকে সম্প্রদান(বিবাহ) করাবে।
অর্থাৎ বিবাহ যোগ্যা না হলেও মানে ৮ বছরের ছোট হলেও উতকৃষ্ট পাত্র পেলে তাহাকে বিবাহ দিবে।
"এবার দেখবো মহাভারত বাল্যবিবাহ সম্পর্কে কি বলে,
মহাভারত, অনুশাসন পর্ব ১৩/৪৪, শ্লোক নং ১৩,"

तरिंशद्वर्षॊ दशवर्षां भार्यां विन्देत नग्निकाम एकविंशतिवर्षॊ वा सप्त वर्षाम अवाप्नुयात
"ত্রিংদাদর্শী দশাবর্ষী ভার্যা বিন্দেত নগ্নিকাম,
একবিংশতিবর্ষী বা সপ্ত বর্ষাম অবাপ্নুয়াত।"
অর্থঃ ত্রিশ বছরের পুরুষের উচিত, দশ বছরের কন্যা বিবাহ করা, যাকে বলে নগ্নিকাম।
এবং একুশ বছরের পুরুষের উচিত, সাত বছরের কন্যা বিবাহ করা।
অনুবাদঃ কিশোরি মোহন গাংগুলি।
অর্থাৎ আমরা দেখতে পাচ্ছি সনাতন শাস্ত্রমতেই কন্যা বিবাহযোগ্য ধরা হয় ৭/৮ বছরেই।
প্রিয় পাঠকগণ!
এবার আসুন দেখাযাক হিন্দু শাস্ত্র রক্ষায় বিখ্যাত হিন্দু ব্যক্তিগণ কে কতো বছরের নাবালিকা বিবাহ করে হিন্দু সমাজকে উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন।
বিখ্যাত সমাজ সংস্কারক ও প্রগতিবাদী নেতা রাজনারায়ণ বসু বিয়ে করেন এগারো বছরের বালিকা।
সমাজ সেবক, সমাজ সংস্কারক, ঐতিহাসিক ও সাহিত্যিক শিবনাথ শাস্ত্রী বিয়ে করেছিলেন দশ বছরের নাবালিকা।
হিন্দু ধর্মীয় নেতা, মহাপণ্ডিত কেশবচন্দ্র সেন বিয়ে করেন নয় বছরের নাবালিকা।
বিলেত ফেরত বিরাট মানুষ, ইতিহাসখ্যাত পুরুষ জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর বিয়ে করেছিলেন আট বছরের নাবালিকা মেয়ে।
বহু পরুস্কার প্রাপ্ত, মহাপণ্ডিত নারী সমাজের ত্রাণকর্তা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরও বিয়ে
করেছেন আট বছ্রের নাবালিকা।
বিলেতে শিক্ষাপ্রাপ্ত, ভারতীয় ম্যাজিস্ট্রেট , ঠাকুর বাড়ীর বিশেষ ব্যক্তি
শ্রী সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর বিয়ে করেছিলেন সাত বছরের নাবালিকা অবুঝ শিশুকে ।
রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতা
শুধু ঋষি নন—মহাঋষি। সেই মহাঋষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর বিয়ে করেছিলেন মাত্র ছয় বছরের অবুঝ শিশু মেয়েকে।
সেই যুগের উজ্জল ব্যক্তিত্ব, শিক্ষিত সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণকারী পণ্ডিত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীও বিয়ে করেন ছয় বৎসরের নাবালিকা শিশুকে।
তৎকালীণ বৃটিশ সরকারের পুরুস্কার, পদক,উপাধি ও সৌজন্যপ্রাপ্ত, হিন্দু সমাজের পুনরুখ্যানের জন্মদাতা ,বঙ্গসাহিত্যিকদের শ্রেষ্ঠতম গুরু , ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রিট , সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্রোপাথ্যায় বিয়ে করেন মাত্র পাচ বছরের নাবালিকা অবুঝ শিশু।
[দ্রষ্টব্য Reluctant Debutante Response of Bangali women to modernization 1849-1905.

No comments:

Post a Comment