Monday 25 May 2020

হিন্দুধর্মই কি সমাজে পতিতাবৃত্তির জনক ?


#চন্দ্রিমা_দেবী,

শুরুতেই আপনাকে বলছি- ডিলডো অর্থাৎ নকল পুরুষাঙ্গ লাগিয়ে যেমন কোনো হিজড়া বা মেয়ে, পুরুষ হতে পারে না, তেমনি নামের সাথে দেবী লাগালেও হিন্দু হওয়া যায় না। হিন্দু হওয়ার জন্য একটি সভ্য সংস্কৃতির সমাজের ধারক বাহক হতে হয়, যে সমাজের পুরুষ ধর্মের নামে চার বা তারও বেশি বিয়ে করে সংসারকে নরক বানায় না; যে সমাজের পুরুষ নিজের বোন সমতুল্য কাজিনদেরকে দোচার লোভে বিয়ে করে বিছানায় নিয়ে যায় না, আর তাদের গর্ভ থেকে শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধী সন্তানের জন্ম দেয় না; যে সমাজের পুরুষ, স্ত্রীকে তালাক দিয়ে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দেয় না; যে সমাজের পুরুষ দাসীদেরকে বিছানায় নিয়ে যায় না; যে সমাজের পুরুষ, স্ত্রীকে তালাক দিয়ে আবার নেওয়ার জন্য একরাতের জন্য অন্য পুরুষের বিছানায় তুলে দিয়ে তাকে শারীরিক মানসিকভাবে নির্যাতন করে না; যে সমাজের পুরুষ নিজের কন্যার মতো দত্তক নেওয়া বা পালিত কন্যাকে বিয়ে করে না বা বিয়ে করার স্বপ্নে তাকে বিছানায় নেওয়ার জন্য জিহবা থেকে লোল পড়ে না; যে সমাজের মানুষ বেহেশতের ৭২ হুরকে দোচার লোভে আত্মঘাতী জঙ্গী হয়ে অন্যধর্মের লোককে হত্যা করে না; যে সমাজের পুরুষ, অন্য ধর্মের লোকদের সম্পত্তি এবং নারী-শিশুদেরকে গনিমতের মাল মনে করে সেগুলো দখল এবং নারীদেরকে ধর্ষণ করে না; যে সমাজের পুরুষ, যুদ্ধবন্দী কাউকে দাস-দাসী বানায় না বা তাদের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করে না; যে সমাজের পুরুষ, তার পুত্রবধূকে বিয়ে করে না বা বিয়ে করার স্বপ্ন দেখে না; যে সমাজের পুরুষরা কাউকে নিজের ধর্মে জোর করে ধর্মান্তর করে না; যে সমাজের মানুষকে সারাবিশ্বের কেউ জঙ্গী সন্ত্রাসী মনে করে ঘৃণা করে না বা ভয়ে দূরে সরে যায় না। যে সমাজের নারী দেনমোহরের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য একের পর এক পুরুষকে বিয়ে ও ডিভোর্স দিয়ে তাদেরকে প্রতারিত করে না; যে সমাজে মুতা বিয়ের মতো তিন দিন মেয়াদি বিয়ের নামে বেশ্যাবৃত্তির কোনো ব্যবস্থা নেই; যে সমাজ নারীদেরকে বোরকা পরিয়ে পতিতাবৃত্তি করার এবং কোনো রকম ক্রাইম করার সুযোগ দেয় না; যে সমাজের মানুষরা অন্যের সম্পদকে মাটির ঢেলা মনে করে, যে সমাজের পুরুষরা অন্যের স্ত্রী-কন্যাকে নিজের মা মনে করে- এমন সমাজের গর্বিত সদস্য হওয়ার জন্য মানুষ হতে হয়, মুসলমান হলে হওয়া যায় না।

আপনি নিজেই প্রশ্ন তুলেছেন, হিন্দুধর্মই কি সমাজে পতিতাবৃত্তির জনক ? তারপর নানারকম বালগল্প বলেও যাকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন নি, শুধু কিছু অল্পজ্ঞানী মানুষকে খুব অল্প সময়ের জন্য বিভ্রান্ত করতে পেরেছেন মাত্র। কিন্তু আমি আপনাকে আপনার কোরান, যে কোরান আপনাকে বেহেশতে আপনার স্বামীর ৭২ হুরের দাসী বানাবে, যে কোরান আপনাকে আপনার উপর হওয়া ধর্ষণের বিচার দেবে না, যে কোরান আপনাকে চার সতীনের সাথে সংসার করতে বাধ্য করবে, যে কোরান আপনাকে বোরকা হিজাব পরতে বাধ্য করবে, যে কোরান আপনাকে জঙ্গী সন্ত্রাসিনী হয়ে অন্য ধর্মের লোককে হত্যা করতে বাধ্য করবে, সেই কোরানের রেফারেন্সসহ প্রমাণ দিচ্ছি যে- ইসলামই প্রতিতাবৃত্তির জনক:

কোরানের ২৪/৩৩ নং আয়াতে বলা আছে,

"আর তোমাদের দাসীদের নিজেদের বৈষয়িক জন্য স্বার্থের জন্য বেশ্যাবৃত্তি করতে বাধ্য করো না, যখন তারা নিজেরা চরিত্রবতী থাকতে চায়। যে তাদেরকে সেজন্য জবরদস্তি করবে, আল্লা এ জবরদস্তির পর তাদের জন্য ক্ষমাশীল, দয়াময়।"

এর মানেটা কী ? প্রথমে আল্লা বললো- দাসীদেরকে বেশ্যাবৃত্তি করতে বাধ্য করো না। ভালো কথা, তারপর আল্লা কেনো বললো যে, যে তাদেরকে সেজন্য জবরদস্তি করবে, আল্লা এ জবরদস্তির পর তাদের জন্য ক্ষমাশীল, দয়াময়? তার মানে আল্লা কি বললো না যে জোর জবরদস্তি করেই দাসীদেরকে দিয়ে বেশ্যাবৃত্তি করাও ? এই আল্লা মাদারচোদ, না বাইনচোদ ? এজন্যই কি সৌদি আরবে যেসব মেয়ে কাজ করতে যায়, তাদের অধিকাংশই বাচ্চা পেটে নিয়ে ফেরে ?

আর মুতা বিয়ে, যেখানে স্পষ্ট করে বলা হচ্ছে-

"এতদ্ব্যতীত আর যত মহিলা আছে তাদেরকে নিজেদের মাল সম্পদের বিনিময়ে হাসিল করা তোমাদের জন্য হালাল করে দেওয়া হয়েছে। যদি বিয়ের দুর্গে তাদেরকে সুরক্ষিত করো এবং স্বাধীন যৌনস্পৃহা পূরণে উদ্যত না হও।"- (কোরান, ৪/২৪)

এর মানে হলো, পৃথিবীর যত মুসলিম মেয়ে আছে একের পর এক সবাইকে কিছু অর্থ সম্পদের বিনিময়ে রাজী করিয়ে বিয়ে করার পর তাদের দেহ ভোগ করা যাবে এবং তাদেরকে শুধু যখন তখন তালাকই দেওয়া যাবে না, মুতা বিয়ের ফরম্যাটে বিয়ে করলে তিন দিন পর সেই বিয়ে অটোমেটিক্যালি তালাক হয়ে যাবে। একটা মুসলিম মেয়ে এভাবে অসংখ্য পুরুষকে অর্থের বিনিময়ে বিয়ে করতে পারবে এবং তাদের সাথে শুতে পারবে, এটা কি বেশ্যাবৃত্তির নামান্তর নয় ?

তারপর দেনমোহরের ব্যাপারে বলা হয়েছে-

"অতঃপর দাম্পত্য জবনের যে মধু তাদের দ্বারা লাভ করো, তার বিনিময়ে তাদের মোহরানা ফরয হিসেবে আদায় কর।"- (কোরান, ৪/২৪)

এই সুযোগ নিয়ে যেকোনো মেয়ে অসংখ্য পুরুষকে বিয়ে করতে পারে, তাদের থেকে দেনমোহরের অর্থ আদায় করতে পারে এবং তারপর তাদেরকে ডিভোর্স দিতে পারে, এটা কি বেশ্যাবৃত্তি নয় ?

এই রকম একটি বেশ্যাবৃত্তির ধর্মের ধারক বাহক হয়ে মুসলমানরা আবার হিন্দুধর্মের কাল্পনিক পতিতাবৃত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলে ? এরা হয় মাদারচোদ, না হয় উন্মাদ; কারণ, মাদারচোদদেরই কোনো লাজলজ্জা থাকে না, আর উন্মাদদের কোনো বোধবুদ্ধি থাকে না, তাই তাদের পক্ষে সবই করা এবং সবই বলা সম্ভব হয়।

জয় হিন্দ।

No comments:

Post a Comment