Sunday, 31 May 2020

হিন্দু মেয়েদের এক পা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে তো অন্য পা মুসলমানদের ঘরে


হিন্দু মেয়েদের এক পা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে তো অন্য পা মুসলমানদের ঘরে :

প্রায় শতভাগ ক্ষেত্রে মুসলমানদেরকে বিয়ের পরিণতি একটি হিন্দু মেয়ের জন্য হয় ভয়াবহ, তারপরও সেটা আমাদের হিন্দু মেয়েরা যেমন বোঝে না; তেমনি, মেয়েকে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো অভিভাভাবকরাও বোঝেনা যে, মেয়েকে প্রকৃত হিন্দু না বানিয়ে বা হিন্দু ধর্মের শিক্ষা না দিয়ে তাকে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠালে এ ধরণের ঘটনা ঘটবেই। হিন্দুদের উদাসীনতার কারণেই হিন্দুসমাজ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।

একসমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ৯০% হিন্দু মেয়ের মুসলিম বয় ফ্রেন্ড আছে, এরা সবাই যে লাভ জিহাদের ফাঁদে প’রে হিন্দুসমাজ ও বাড়ি ছাড়ে তা কিন্তু নয়, কিন্তু এর মধ্যে প্রতি ১০ জনে একজন মেয়ে তো এ ঘটনা ঘটাচ্ছে, এটা কি সমাজের জন্য একটি বিশাল ক্ষতি নয় ? আর এই ১০ জনের একজন যে আপনার মেয়ে বা আপনার পরিবারের আত্মীয় স্বজনের মেয়ে হবে না, তার গ্যারান্টি কী ? একটা কথা মনে রাখবেন, মুসলমানদের উদ্দেশ্য হলো যেকোনো প্রকারে হিন্দু সমাজকে ধ্বংস করা, এই লাভ জিহাদ তার একটা লেটেস্ট সিস্টেম। তাই অপনার পরিবারের মেয়েরা যদি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে, আপনি কিছুতেই এর ছোবল থেকে নিরাপদ নয়।

মুসলমানদেরকে বিয়ের পরিণতি যে কী, সেটা বোঝার জন্য শুধু মাত্র গাইবান্ধা জেলার ১০ জন মেয়ের পরিণতির কাহিনী পড়ুন, বুঝতে পারবেন লাভ জিহাদের শিকার আপনার মেয়ে বা বোনের পরিণতি কী হতে যাচ্ছে-

এরা অধিকাংশই উচ্চশিক্ষিত ও বিত্ত্ববানলাভ জিহাদ সম্পর্কে উদাসীন বাবা মায়ের আদরের কন্যা সন্তান। এবার দেখুন ধর্মান্তরিত হওয়ার তাদের জীবন কিভাবে কাটছে বা কেটেছে-

১। চন্দনা রায়।
বর্তমানে সামান্য ৩ তালাকে বিবাহ বিচ্ছেদ প্রাপ্ত।

২। মমি সেনগুপ্ত।
বর্তমানে তালাক প্রাপ্ত হওয়ার আগেই গর্ভে ৩ মাসের অন্তঃস্বত্বা অবস্থায় আত্মহত্যা।

৩। ববি রানী সরকার
বর্তমানে তালাক প্রাপ্ত।

৪। মলি রানী স্মৃতি
বর্তমানে তালাক প্রাপ্ত, এজন্যই তালাক প্রাপ্ত ১ কন্যা সন্তানের জম্ম দিয়েছিল।

৫। শিল্পী রানী সরকার
সাত পাকে ঘুরে বিয়ে করা স্বামীকে ছেড়ে সামান্য ৩ কবুলে বিয়ে করা মুসলিম স্বামীর ঘরেও সুখ জোটেনি এই মহিলার।

৬। অর্পিতা সূত্রধর
বর্তমানে তালাক প্রাপ্ত কিন্তু কোথাও যাওয়ার যায়গা না থাকায় শত পাশবিক নির্যাতন সহ্য করেও নির্যাতিত স্বামীর ঘরে অবস্থান করছে।

৭। সুমি চক্রবর্তী
দীর্ঘ ৪ বছর সংসার করার পর বিচ্ছেদ।

৮। মনিকা অধিকারী
প্রথমে বড় ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ে তারপর ছোট ভাইয়ের সাথে পালিয়ে নিকাহ, বর্তমানে নিখোঁজ।

৯। বন্দনা রানী সরকার
বর্তমানে বিবাহ বিচ্ছেদ। কিন্তু দমে থাকার মেয়ে নন, তাই ১ সন্তানকে ফেলে রেখে অন্য একজনের সাথে সংসার পেতেছে।

১০। মৌসুমি বিশ্বাস।
আপাতদৃষ্টিতে ভালো এজন্য আছে যে, চাকুরি করে স্বামীকে খাওয়ায়, সংসার চালায়। কিন্তু ১০ এর মধ্যে ৯ জনের যা পরিণতি, তার এর হতে কতক্ষণ ?

মেয়ে, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে কিভাবে মুসলমানদের ফাঁদে পড়ছে, সেটা বোঝার
জন্য পড়ুন নিচের এই পোস্টটি :

মেয়ের উচ্চ শিক্ষা এবং হিন্দু পরিবার :

উচ্চ শিক্ষা দেওয়ার জন্য মেয়েকে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে নিশ্চিন্তে বসে আছেন ? তাহলে কাঁদার উপযুক্ত আপনিই, বুঝতে পারছেন না তো কী বলছি, পড়ুন নিচের রিপোর্টটি-

রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীতে বান্ধবীকে বিভিন্ন কায়দায় প্ররোচিত করে ধর্মান্তরিত করে জঙ্গীবাদে সম্পৃক্ত করার অভিযোগ গত ১৪ নভেম্বর পবা থানায় একটি মামলা হয়েছে মামলা নম্বর ১৬।

মামলায় বাদী ও আলোচিত কলেজ ছাত্রীর পিতা ধরনী কুমার ঘোষ এখন তার কন্যা তনুকে ফিরে পেতে বিভিন্ন জায়গায় ধর্না দিচ্ছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, তার মেয়ে তনুকে যারা মুসলিম ধর্মে দিক্ষীত করে জঙ্গীবাদে
উদ্বুদ্ধ করেছে তারা অত্যন্ত শক্তিশালী সিন্ডিকেট।

পুলিশ জানায়, রাজশাহী নওহাটা এলাকার জনৈক কলেজ পড়ুয়া মেয়ে তনুকে তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী মিতু প্রথমে দোয়া দরুদ মুখস্ত করায় পরবর্তীতে নামাজ পড়ানো শিখায়।

গত বছর মিতু ও তার আলোচিত বান্ধবী তনু এক বছর সময় ধরে নগরীর একটি মেসে থাকাকালে মিতু তনুকে ইসলামী চিন্তা চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে।

ঠিক ঐ সময় তনুকে রেটিনা কোচিং সেন্টারে বিনা খরচে ভর্তি করায় মিতুসহ তার সহযোগীরা এতে কোচিং সেন্টারে সম্পৃক্ত আশিক ও জহুরুলের নাম পাওয়া যায়।

তনুকে মেডিক্যালে ভর্তি করিয়ে দেয়ার নামে চলে তনুর ওপর জঙ্গীবাদ খড়গ। তনুকে হিন্দু থেকে পুরোদস্তুর মুসলমানে রুপান্তরের চেষ্টা চালাতে থাকে মিতু এবং তার সহযোগীরা।

পরবর্তীতে গত ৬ নভেম্বর, 2016 তে তনুকে এভিডেভিট করিয়ে আয়েশা সিদ্দিকা নাম দিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করানো হয়। এরপর গত ১০ নভেম্বর তনু ওরফে আয়েশা সিদ্দিকা নিখোঁজ হয়।

নিখোঁজের পর তনুর বাবা পবা থানায় মামলা দিতে চাইলে পুলিশ মামলা না নিয়ে একটি ডায়েরী করেন। তনুর খোঁজে পবা থানা পুলিশ একদিন মিতুর বাড়ী তল্লাসী চালায় কিন্তু তনুর সন্ধান পাওয়া যায়না।

পরবর্তীতে তনুর পিতা ধরনী কুমার ঘোষ বাদী হয়ে পবা থানায় গত ১৪ নভেম্বর একটি মামলা দায়ের করলে ঐ দিনই পুলিশ মিতু ও তার ভাই মোমিনকে গ্রেপ্তার করে।

পরদিন থেকেই খোদ পুলিশকে জানানো হয় তনু রাজশাহীতে আসছে এবং পুলিশ বলতে থাকে তনু উদ্ধার হবে যে কোন সময়। পরবর্তীতে তনুকে গত ১৭ নভেম্বরে পবা থানা যুবলীগ সভাপতি এমদাদুল হকের হেফাজত থেকে উদ্ধার করে।

এমদাদ পুলিশকে জানায়,  তনু একাই তার কাছে এসেছে। মিতু ও তার ভাই মোমিন গ্রেপ্তারের পর থেকেই যুবলীগ নেতা এমদাদ তদবির চালাচ্ছিলেন।

তনুকে উদ্ধারের পর তাকে নিয়ে আসা হয় রাজশাহীর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। তনু পুলিশকে কোন সদুত্তর না দিয়ে তার নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে নানা ধরনের অবান্তর কথাবার্তা বলে।

সে তার পরিবারের সদস্যদের ওপর নানা অভিযোগ দিয়ে সে নিজেই ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছে বলে জানায়। অথচ তার বক্তব্য সম্পূর্ন মিথ্যা সে ব্যাপারে বহু তথ্য পুলিশের কাছে রয়েছে।

শুধু তাই নয় তনুকে ধর্মান্তরিত করে জঙ্গী দলে ভেড়ানো হয় বলেও ধারনা পুলিশের। তনুকে উদ্ধারের পর ১৭ নভেম্বর বিকেলে তনুকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

বিচারক তার জবানবন্দী গ্রহন করেন। তনু নিজ জিম্মায় চলে যেতে চাইলে আদালত তাতে সম্মতি দেন। যুবলীগ নেতা এমদাদুল হক তনুকে তার জিম্মায় নেয়ার জন্য অনুরোধ করলে তনু তার সাথে যেতে রাজী হয় এবং সন্ধ্যায় ৭টার দিকে তনু যুবলীগ নেতা এমদাদের মোটর সাইকেলে উঠে আদালত চত্ত্বর ত্যাগ করে। এসময় যুবলীগ নেতা এমদাদের সাথে আরো কয়েক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

তারা সকলেই গ্রেপ্তারকৃত মিতু ও মোমিনের পক্ষের লোকজন। বিজ্ঞ আদালতে আসামী পক্ষ এবং বাদী পক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন তনুর বাবা মা সহ পরিবারের সদস্যরা।

এসময় আদালতে তনুর পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়তে দেখা যায়। সবকিছু উপেক্ষা করে এমদাদ তনুকে নিজ জিম্মায় কেন নিলেন এতে তার স্বার্থ কি এটা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

পুলিশ মিতু ও মোমিন গ্রেপ্তারের পর যুবলীগ নেতা এমদাদের থানায় তদবির পরবর্তীতে নাটকীয় ভাবে নিখোঁজ তনুকে হাজির করানো এবং তনুকে আদালত নিজ হেফাজতে নেয়ার প্রকৃত কারনও রহস্য উম্মোচনের চেষ্টা চালাচ্ছে।

তনুকে ধর্মান্তরিত করা, রেটিনা কোচিং এ বিনা পয়সায় ভর্তি করা এবং রহস্যজনক নিখোঁজ হওয়া অত:পর নাটকীয় ভাবে প্রত্যাবর্তন এসব প্রশ্নের উত্তর না মিলতেই যুবলীগ নেতা এমদাদের তনুকে নিজ জিম্মায় গ্রহনের কারন উদঘাটন হওয়া জরুরী।

একই সাথে তনু জঙ্গীবাদে সম্পৃক্ত কিনা তাও যাচাই বাছাই করা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ঘটনাটি রাজশাহী পুলিশ সুপার মোয়াজ্জেম হোসেন ভূইয়া ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমিত চৌধুরী বিশেষ ভাবে নজরদারীতে রাখায় অচিরেই রহস্য উদঘাটিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তনুর পরিবার।
এইবেলাডটকম/অরুন/গোপাল
-----------------------------------------

এই রিপোর্টে পরিষ্কার যে, হিন্দু ছেলে-মেয়েরা যখন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে মুসলিম ছেলে-মেয়েদের সাথে হোস্টেল বা মেসে থাকতে বাধ্য হয়, তখন তারা প্রথমে ঐ হিন্দু ছেলে-মেয়েটিকে হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে নানা প্রশ্ন করে বিব্রত ও হেয় করে; কারণ, পারিবারিক ও সামাজিকভাবে হিন্দু ধর্ম শিক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় হিন্দু ছেলে মেয়েদের ধর্ম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকে না, এতে ঐ হিন্দু ছেলে-মেয়ের কাছে এক সময় তার ধর্ম ভুয়া মনে হয় এবং এভাবে আস্তে আস্তে সে ইসলামের দিকে ঝুঁকতে থাকে।

যখন কোনো হিন্দু ছেলে মেয়ে ইসলামের ব্যাপারে পজিটিভ মনোভাব দেখায়, তখন তাকে মুসলিম ছেলে মেয়েরা দেয় নানা সুযোগ সুবিধা, যেমন এই মেয়েটিকে ফ্রিতে তারা মেডিক্যাল কোচিং করাসহ অন্যান্য আর্থিক সুযোগ সুবিধা দিয়েছে।

হিন্দু ছেলে মেয়েদেরে মুসলমান বানাতে মুসলমানদের এত উৎসাহ বা আগ্রহ কেনো ?

ছোট বেলা থেকেই প্রত্যেকটা মুসলিম ছেলে মেয়েকে পরিবার থেকে এই শিক্ষা দেওয়া হয় যে, কোনো একজন হিন্দুকে মুসলমান বানাতে পারলে তার বিনা বিচারে বেহেশত নিশ্চিত; কারণ, একজন হিন্দুকে মুসলমান বানানো হলো হজের সমান ছোয়াব। এ কারণে প্রত্যেকটি মুসলমানের টার্গেট থাকে হিন্দু ছেলে মেয়ে, অনবরত তারা তাদেরকে ইসলামের দাওয়াত দেয় এবং ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে নানা নসিহত করতে থাকে। একারণেই কোনো হিন্দু ছেলে যদি কোনো মুসলিম মেয়ের প্রতি আগ্রহ দেখায়, তাহলে সহজেই সেই মেয়েটি তার প্রেমে সাড়া দেয়, আর কোনো হিন্দু মেয়ে যদি কোনো মুসলিম ছেলের প্রতি আগ্রহ দেখায়, তাহলে তো কোনো কথা ই নেই, ছেলের পুরো পরিবার লেগে থাকে ঐ হিন্দু মেয়েটির পেছনে, তাকে ইসলামে কনভার্ট করার জন্য; কারণ, এটা তাদের কাছে বেহেশত নিশ্চিত করার জন্য মহা পুন্যের কাজ, এমন হলে মুসলিম পরিবারে হিন্দু মেয়েদের আদর যত্নের কোনো শেষ থাকে না। এই ছলনায় ভুলে যখনই কোনো হিন্দু মেয়ে ইসলামের ফাঁদে পা দিয়ে নিজের ঘর-বাড়ি বাপ মাকে ছাড়ে, তার কিছু দিন পরেই সে বুঝতে পারে ইসলাম ও মুসলমানদের আসল রূপ, কিন্তু পরিবার ও আত্মীয়স্বজন ত্যাগ করা মেয়ের তখন সেগুলো মেনে নেওয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না।

লাভজিহাদের ফাঁদে পড়ে হিন্দু ছেলেরা কনভার্ট হয় বাধ্য হয়ে, কারণ তার প্রেমিকাকে জীবনসঙ্গিনী হিসেবে পাবার আর অন্য কোনো পথ থাকে না তার কাছে, এর মূল কারণ মুসলিম সমাজের ছাড় না দেওয়ার মনোভাব এবং সামাজিক শক্তি। এক কথায় মুসলিম সমাজের শক্তির কাছে ঐ হিন্দু ছেলেটি আত্মসমর্পন করে। এই আত্মসমর্পন না করেও তার কোনো পথ থাকে না; কারণ মুসলিম সমাজের হিংস্রতা ও অসহযোগিতার কারণে কোনো হিন্দু ছেলের পক্ষে কোনো মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করে হজম করা সম্ভব হয়ে উঠে না। কোনো হিন্দু ছেলে যদি কোনো মুসলিম মেয়েকে ভাগিয়ে এনে বিয়ে করে, তাহলে সে সর্বত্র শিকার হবে অসহযোগিতার, তার চাকরি চলে যাবে, মুসলিম বন্ধু বান্ধব শত্রুতে পরিণত হবে, তার পরিবারের সামাজিক স্বাধীনতা নষ্ট হবে, এমনকি সে খুনও হয়ে যেতে পারে। এতসব প্রতিকূল অবস্থাকে মোকাবেলা করা কার পক্ষে সম্ভব ? তাই হিন্দু ছেলের সাথে কোনো মুসলিম মেয়ের সম্পর্ক থাকলেও, হয় সেই ঘটনায় তাকে ধর্মত্যাগ ক'রে মুসলিম হয়ে মেয়েটিকে হাসিল করতে হয়, না হলে তাকে সেই মেয়েটিকেই ত্যাগ করতে হয়।

কিন্তু কোনো হিন্দু মেয়ে যদি কোনো মুসলিম ছেলের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে, তাহলে এখানে মেয়েটিকে ইসলাম গ্রহন করা ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পথ থাকে না; এই ক্ষেত্রে মেয়েরা কনভার্ট হয়- সস্তা প্রেমের আবেগে, লাভ জিহাদের ফাঁদে প'ড়ে, ইসলাম ও মুসলমানদের নোংরামিকে না জানার ফলে।

কোনো হিন্দু ছেলে মুসলিম মেয়ের ফাঁদে পড়লেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ছেলেরা নানা বিষয় চিন্তা করে সেই ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসে; কিন্তু কোনো হিন্দু মেয়ে মুসলিম ছেলেদের ফাঁদে পড়লে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েরা কনভার্ট হতে বাধ্য হয়।

লাভ জিহাদ হিন্দু সমাজের একটি মারাত্মক ক্ষত, এই ক্ষত থেকে রক্ষার একমাত্র উপায় হলো পরিবার থেকেই হিন্দু ছেলে মেয়েদেরকে ধর্ম শিক্ষা প্রদান করা এবং একই সাথে ইসলাম ও মুসলমানদের জঘন্য মন-মানসিতা সম্পর্কে জানিয়ে তাদেরকে সতর্ক করা। এককথায়, ছেলে-মেয়েদেরকে মানবধর্ম না শিখিয়ে হিন্দু ধর্ম শেখানো, তাহলে আদালতে গিয়ে আপনার মেয়ে বলবে না যে, আমি আমার মা বাবাকে চিনি না বা আমি স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহন করেছি; আর আপনাদেরকে আদালত চত্বরে কান্নায় ভেঙ্গেও পড়তে হবে না। কারণ, মনে রাখবেন ১৮+ বয়সী একটি মেয়ের কাছে বাংলাদেশের হিন্দু পিতা-মাতারা সবচেয়ে অসহায়; মেয়ে যদি একবার হাতের বাইরে চলে যায়, না পাবেন কোনো আইনী সাহায্য, না পাবেন কোনো সামাজিক সহায়তা; কারণ, আপনার হিন্দুসমাজ দুর্বল, তাই সেই সমাজের শক্তি দিয়ে আপনি মেয়েকে উদ্ধার করতে পারবেন না, আর তাকে উদ্ধার করত পারলেও সমাজে পুনরায় তাকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন না; কারণ, হিন্দু ছেলেরা ভাঙ্গা গ্লাসে জল খেতে পছন্দ করে না, এর মূল কারণ, হিন্দু সমাজ মনে করে মেয়েরা কাচের পাত্র, একবার কারো সাথে রাত কাটালেই তা ভেঙ্গে যায়, আর একবার ভেঙ্গে গেলে তা আর জোড়া লাগে না। অন্যদিকে, মুসলিম সমাজের সবাই আপনার মেয়েকে গেলার জন্যই বসে আছে, আপনি কাঁদবেন না তো কে কাঁদবে ? তাই সাবধান হোন, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া মেয়েদের ব্যাপারে এক দিনের জন্য দুশ্চিন্তা মুক্ত হয়েছেন, তো মরেছেন; কারণ, আপনার মেয়েকে হাত করে হিন্দু সমাজকে ধ্বংস করার জন্য প্রতিটি মুসলমান হাত ধুয়ে রেডি হয়ে বসে আছে।

কিভাবে বুঝবেন- আপনি, আপনার মেয়ে এবং আপনার পরিবার লাভ জিহাদের ছোবল থেকে নিরাপদ ?

যখন আপনার মেয়ের চোখে মুখে দেখবেন মুসলমানদের প্রতি একরাশ ঘৃণা, তখনই বুঝবেন, আপনি সেফ জোনে, তখন নিশ্চিন্ত হয়ে ঘুমান, কোনো আপত্তি নাই।

এখন কেউ প্রশ্ন করতে পারেন, তাহলে কি ছেলে মেয়েদেরকে আমরা, মানুষকে ঘৃণা করতে শেখাবো ?

আমি মানুষকে তো ঘৃণা করতে শেখাতে বলি নি, বলেছি মুসলমানদের ঘৃণা করা শেখাতে; কারণ, মুসলমানরা মানুষ নয়, প্রত্যেকে এক একটা জানোয়ার। না হলে তারা কিভাবে, তুচ্ছ কারণে হাজার হাজার লোক একত্রিত হয়ে, নাসিরনগরের মতো ঘটনায়, একযোগে অসহায় নিরস্ত্র হিন্দুদের উপর হামলা করে তাদের বাড়ি-ঘর লুঠ করতে পারে ? পৃথিবীতে আর একটাও এমন জাতি দেখাতে পারবেন, যারা এই ভাবে কারো উপর হামলা করে ? দেখাতে পারবেন, যদি আপনারা কোনো বনজঙ্গলের হিংস্র প্রাণীর উদাহরণ দেন, যেখানে একদল জানোয়ার হয়তো কোনো তৃণভোজীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে।

এখানে মানবতাবাদী হিন্দু এবং মুসলমানদেরকে চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি যে, কোরান হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে কেউ যদি প্রমান করতে পারে যে, মুসলমানরা মানুষ, তাহলে আমি শুধু ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে লেখা ই ছেড়ে দেবো না, ইসলাম গ্রহন করে মুসলমান হয়ে যাবো। যদি কেউ এই চ্যালেঞ্জটি গ্রহন করতে চান, তাহলে হাত তুলে, Sorry, মেসেজ বা কমেন্ট করে সাড়া দেবেন।

শেষে একটা কথা মনে রাখবেন, আপনার মেয়ে হিন্দু সমাজকে ত্যাগ করে শুধু যে আপনাকেই দুঃখ কষ্ট দেবে বা আপনার পরিবারেরই চোখের জল ঝরাবে, তা কিন্তু নয়, পুরো হিন্দু সমাজকেই সে যন্ত্রনা দেবে; তাই আপনার একটু সতর্কতা এবং সচেতনতা, শুধু আপনাকে এবং আপনার পরিবারকেই নয়, বাঁচাতে পারে সমগ্র হিন্দু সমাজের মান সম্মানকে।

যখন একটি হিন্দু মেয়ে ফাঁদে পড়ে ভুল করে ধর্ম ত্যাগ করছে, তখন সেটা শুধু মেয়েটির পরিবারেরই ব্যাপার নয়, ব্যাপার সমগ্র হিন্দু সমাজের। তাই লাভ জিহাদ বন্ধ করার জন্য আমাদের সকলকেই সচেতন হতে হবে ও সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে; এমন তো নয় যে, মেয়েটি মুসলমান এলাকায় গিয়ে মুসলমানদের সাথে প্রেম করে, আর কোনো হিন্দুর তা চোখে পড়ে না ? প্রেম করলে তা সমাজের মধ্যেই করে, আর সেই দৃশ্য কোনো না কোনো হিন্দুর চোখে ঠিকই পড়ে। যখন আপনার চোখে এই ধরণের ঘটনা ধরা পড়বে, তখন যদি সেই ঘটনাকে এড়িয়ে না গিয়ে প্রকৃত হিন্দুর মন নিয়ে সেই ঘটনাটিকে দেখুন এবং সেই মতো ব্যবস্থা নিন, তাহলে কিন্তু হিন্দু সমাজ একটি বিপর্যয় থেকে বাঁচতে পারে।

অনেকে চোখের সামনে এসব ঘটনা দেখেও কোনো স্টেপ নেয় না বলেই এই ধরণের ঘটনাগুলো ঘটে আর তার ফল ভোগ করতে হিন্দু পুরো হিন্দু সমাজকে।

কোনো কোনো হিন্দুর এই ধারণা আছে যে, কারো মেয়ে সম্পর্কে এই ধরণের কথা তাকে জানালে, সে মাইন্ড করবে এবং মেয়ের নামে অপবাদ বা বদনাম দিচ্ছে বলে দোষারোপ করবে। প্রথমেই বলছি, আপনার এই ধারণাটাই তো ভুল, আপনি যদি কারো শুভাকাঙ্ক্ষী হোন, তাহলে সে আপনার সম্পর্কে এমন ভাববে কেনো ? যদি এই ধরণের ইনফরমেশন কাউকে দিতে হয়, সেটা দেবেন মেয়ের বাপ বা বড় ভাইকে, ভুলেও মেয়ের মা বা বাড়ির অন্য কোনো মেয়েকে দিতে যাবেন না; কারণ তাহলে তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে; কারণ, মেয়ে সম্পর্কে কোনো মা ই খারাপ কথা শুনতে রাজী নয়, মেয়ে যদি পতিতাও হয়, মায়ের কাছে সেই মেয়ে ধোয়া তুলসী পাতা; তাই মেয়ে সম্পর্কে মাকে কোনো কথা বলতে গেলেই, সাথে সাথে সে আপনার মুখের উপর বলে দেবে, আপনি আমার মেয়ের সম্পর্কে বদনাম করতে এসেছেন ? এর পর আপনার মুখে আর কোনো জবাব থাকবে না, যে মন-মানসিকতা ও উদ্যম নিয়ে হিন্দু সমাজের মঙ্গলের জন্য কাজটা করতে গিয়েছিলেন, আপনার সেই মন ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে।

এমন ঘটনার ইঙ্গিত পেলেই, বলবেন, মেয়ের বাবা বা বড় ভাইকে এবং সবার সামনে নয়, একা একা কোথাও নিরিবিলি স্থানে ডেকে নিয়ে গিয়ে, যেন আপনাদের কথা কেউ শুনতে না পায়। যদি প্রয়োজন হয়, একটু ভূমিকা করে বলবেন, আপনার মেয়ে বা বোন তো শুধু আপনারই নয়, আমারও, তাই ওর কিছু খারাপ হলে সেটা শুধু আপনারই খারাপ লাগবে না, লাগবে আমারও, তাছাড়া হিন্দু সমাজের মুখ পুড়লে সেই কলঙ্ক আমারও, তাই আপনাকে বিষয়টা জানাতে এসেছি, এতে আমি যে আপনার ক্ষতি চাই না, ভালো চাই, এটা নিশ্চয় আপনি বুঝতে পেরেছেন? এর পর সে আপনার কথার আর কোনো বিরোধিতা করতে পারবে না, তারপর তাকে সবকথা বুঝিয়ে বলুন। আর যদি মেয়ের বাবা বা বড় ভাইকে নিজে সরাসরি না বলতে পারেন, তাহলে এমন কাউকে সেই কথাটা বলুন, যে ঐ মেয়ের বাবা বা বড় ভাইয়ের কাছে কথাটা পৌঁছে দিতে পারে, এককথায় যে কোনো প্রকারেই হোক, মেয়ের বাপ বা বড় ভাইয়ের কাছে খবরটা পৌঁছান, তাহলেই শুধু সেই পিতা বা বড় ভাই ই নয়, পুরো হিন্দু সমাজ আপনার কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকবে। আর চোখের সামনে লাভজিহাদকে ঘটতে দেখে যদি চুপ করে থাকেন, তাহলে তা বাস্তবায়ন হবে, সেই কষ্ট শুধু সেই পরিবারই পাবে না, হিন্দু সমাজের সদস্য হিসেবে কষ্ট পাবেন আপনিও, আর কুলাঙ্গার হিন্দু হিসেবে আপনি যদি কষ্ট নাও পান, তবু হিন্দু সমাজের সদস্য হওয়ায় বাজারের মধ্যে মুখ পুড়বে আপনারও, সেই মুখ পোড়া থেকে বাঁচতে অন্তত কিছু কাজ করেন।

জয় হিন্দ।

No comments:

Post a Comment