Sunday, 31 May 2020

নেহেরু পদবীর উৎপত্তি এবং বিলুপ্তির ইতিহাস


নেহেরু পদবীর উৎপত্তি এবং বিলুপ্তির ইতিহাস :

(আপনি হিন্দু হলে এই প্রবন্ধ পড়ুন এবং ভাবুন, কংগ্রেস কখনো আপনার স্বার্থ দেখবে বা রক্ষা করবে কি না ?)

জওহরলাল নেহেরুর দাদুর নাম ছিলো গিয়াসুদ্দিন গাজী। গিয়াসুদ্দিনের পূর্বপুরুষরা কত প্রজন্ম আগে মুসলমান হয়েছিলো, সেই তথ্য জানি না, তবে তারা যে মুসলমান শাসকদের সাথে মিলে পাইকারীভাবে হিন্দু হত্যা করেছিলো, সেই প্রমান তার নামের সাথে যুক্ত 'গাজী' শব্দের মধ্যেই আছে।

বিষয়টির একটু ব্যাখ্যা দিই। ইসলামে, "মরলে শহীদ, বাঁচলে গাজী” ব’লে একটা ব্যাপার আছে। এর মানে হলো, অমুসলিমদের সাথে যুদ্ধ করতে গিয়ে কোনো মুসলমান মারা গেলে সে শহীদ হিসেবে গন্য হবে এবং পরকালে সে বিনা বিচারে সর্বশ্রেষ্ঠ বেহেশতে প্রবেশ করে ভোগ করবে অঢেল সুখ ও কমপক্ষে ৭২ জন হুরের সাথে পাবে আনলিমিটেড সেক্স করার সুযোগ। অন্য দিকে যারা যুদ্ধে বেঁচে থাকবে, তারা গাজী উপাধিতে ভূষিত হবে এবং পৃথিবীতেই পাবে পরাজিত অমুসলিমদের ধন-সম্পদ-নারী, যা গনিমতে মাল হিসেবে পরিচিত। তো গিয়াসুদ্দিনের সাথে যেহেতু গাজী উপাধি লাগানো আছে, সেহেতু এটা নিশ্চিত যে, সে অথবা তার বাপ দাদাদের মধ্যে কেউ হিন্দু হত্যা করে এবং তাদের ধন-সম্পদ-নারী লুঠ করে এই উপাধি পেয়েছিলো। শুধু এই নেহেরুর দাদুর বেলাতেই নয়, যাদের নামের সাথে গাজী উপাধি যুক্ত আছে, তাদেরও পূর্বপুরুষ সরাসরি হিন্দু হত্যা এবং তাদের ধন-সম্পত্তি লুঠপাটের সাথে জড়িত ছিলো। বর্তমানে বাংলাদেশের গাজী ট্যাংক এবং গাজী টিভির মালিকের পূর্বপুরুষরাও কোনো এক সময়, অতীতে হিন্দু হত্যা করেই এই গাজী উপাধি পেয়েছিলো।

যা হোক, ইংরেজরা ভারতের ক্ষমতা দখল করার পর। ভারতে মুসলিম শাসনকে খতম করার জন্য, মুসলিম শাসকদের পৃষ্ঠপোষক এবং উত্তরাধিকারী অনেককে হত্যা করে, সেই সময় ইংরেজরা ব্যাপকভাবে হত্যা করতে থাকে প্রভাবশালী অনেক মুসলমানকেও। ইংরেজদের এই হত্যাকাণ্ডের কবল থেকে বাঁচার জন্য অনেক মুসলমান তখন দাড়ি কামিয়ে, টুপি ফেলে দিয়ে, মুসলমান নাম বাদ দিয়ে, হিন্দু নাম নিয়ে হিন্দু সেজে জীবন বাঁচাতে বাধ্য হয়। এই সময়, এভাবেই, জীবন বাঁচাতে গিয়ে গিয়াসুদ্দিন হয় গঙ্গাধর, কিন্তু তার নামের সাথে "নেহেরু” পদবী এলো কোথা থেকে ?

আপনারা অনেকেই, ভারতীয় হিন্দুদের নামের সাথে, পদবী হিসেবে- প্যাটেল, শেঠ, দেওল ইত্যাদি অনেক শব্দ শুনে থাকবেন; কিন্তু নেহেরু পরিবারের চার প্রজন্মের নাম ছাড়া, কখনো কি কোনো জাতি গোষ্ঠীর নামের সাথে "নেহেরু" পদবী দেখেছেন বা শুনেছেন ? উত্তর একটাই, আর তা হলো 'না' । তাহলে নেহেরু শব্দের বা পদবীর উৎপত্তি হলো কিভাবে ?

হিন্দি 'নহর’ শব্দের অর্থ হলো খাল বা নালা, যে নালা খাল দিয়ে কম-বেশি নোংরা জল শহর থেকে বেরিয়ে নদী বা কোনো বড় জলাশয়ে গিয়ে পড়ে। ইংরেজরা যখন মুসলমানদের মারছিলো, তখন গিয়াসুদ্দিন প্রাণ বাঁচাতে, এরকম এক ছোট খাল বা নালার ভেতর গিয়ে লুকিয়েছিলো। ইংরেজরা তাকে দেখতে পেয়ে সেখান থেকেই তাকে টেনে বের করে এবং সে হিন্দু না মুসলমান, এটা বোঝার জন্য, তার নাম জিজ্ঞেস করে। তখন প্রাণ বাঁচাতে গিয়াসুদ্দিন বলে, "আমার নাম গঙ্গাধর"। ইংরেজরা জিজ্ঞেস করে, গঙ্গাধর কী ? তখন গিয়াসুদ্দিন, যেহেতু খাল বা নহর এর মধ্যে লুকিয়েছিলো এবং নহর এর ভেতরে বা তার পাশে দাঁড়িয়েই ইংরেজদের সাথে কথাবার্তা বলছিলো, তখন সে হঠাৎ বলে ফেলে, "নহর, গঙ্গাধর নহর"। ইংরেজরা তো আর 'নহর' এর মানে বুঝে না। তাই সেই যাত্রায় গিয়াসুদ্দিন রক্ষা পায়। কিন্তু ভারতীয়রা তো 'নহর' এর মানে বোঝে, তাই যখন কাগজপত্রে ঐ নাম লিখতে গেলো, তখন গিয়াসুদ্দিন গাজী, নিজের নাম পাল্টে লিখলো, "গঙ্গাধর নেহেরু"; আর তখন থেকেই সে এবং তার পরিবার নেহেরু পরিবার নামেই পরিচিত ও পরে বিখ্যাত হলো। এই গঙ্গাধর নেহেরুর ছেলে মতিলাল নেহেরু এবং তার ছেলে জওহর লাল নেহেরু, আর জওহর লালের মেয়ে ইন্দিরা নেহেরু। নেহেরু পরিবারের চতুর্থ প্রজন্ম, ইন্দিরার মাধ্যমেই আবার নেহেরু পদবীর বিলুপ্তি ঘটে।

জওহরলালের কোনো পুত্র ছিলো না, ইন্দিরা ই তার একমাত্র মেয়ে। ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত জওহরলালের পরিবার ছিলো অত্যন্ত আধুনিক, আর আধুনিক পরিবারে সবাই একত্রে বসে মদ না খেলে প্রেস্টিজ থাকে না। নেহেরু পরিবারে এই মদের সাপ্লাই দিতো, ইউনুস খান নামের এক মুসলমান। ইউনুস খান, মদ নিয়ে আসতে না পারলে, মাঝে মাঝে আসতো তার ছেলে ফিরোজ খান। আস্তে আস্তে এই ফিরোজে খানের প্রেমে পড়ে যায় জওহরলালের মেয়ে ইন্দিরা নেহেরু এবং একসময় ইন্দিরা পাকা সিদ্ধান্ত নেয় ফিরোজ খানকে বিয়ে করার। কিন্তু মুসলমান ছেলের সাথে ইন্দিরার বিয়ে দিলে, ভারতে একটা প্রবল আলোড়ন সৃষ্টি হতে পারে, এমনকি নেহেরুর রাজনৈতিক ভিত্তি ধ্বংস না হলেও ধ্বসে পড়তে পারে, এই ভয়ে নেহেরু ছিলো দ্বিধান্বিত| কিন্তু এই সমস্যা সমাধানেও এগিয়ে আসে গান্ধী। গান্ধীর বুদ্ধিমতো, ইন্দিরাকে পড়াশোনার নাম করে লণ্ডন নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানের এক মসজিদে ইন্দিরাকে গোপনে মুসলমান বানিয়ে ফিরোজের সাথে বিয়ে দিয়ে তাদেরকে লণ্ডনে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। এদিকে ভারতে ইন্দিরার বিয়ে কথা তো আর চাপা থাকবে না। কিন্তু মুসলমান ছেলের সাথে ইন্দিরা বিয়ের কথা ফাঁস হলেও ভারতে শুরু হতে পারে কংগ্রেসের রাজনৈতিক প্রব্লেম। এই সমস্যার সমাধানের কৌশলও বের করে গান্ধী। কংগ্রেস নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া ভারতে প্রচার করে, ফিরোজ নামের এক পার্সি যুবককে, গান্ধী, দত্তকপুত্র হিসেবে নিয়েছেন এবং তার সাথে ইন্দিরার বিয়ে দিয়ে নেহেরু ও গান্ধী পরিবারের সম্পর্কে আরো মজবুত করেছেন।

মিডিয়ার এই প্রচারণা এতই শক্তিশালী ছিলো যে, ফিরোজ যে আসলে মুসলমান না পার্সি, সেটা ইন্দিরার বিয়ের ৫০ বছর পরও লোকজন ঠিক মতো বুঝতে পারে নি, লোকজন এটাও ঠিক মতো বুঝতে পারে নি যে, "ইন্দিরা নেহেরু" আসলে কিভাবে "ইন্দিরা গান্ধী" হলো ? আর নেহেরু ও গান্ধী পরিবারের মধ্যে আসলে সম্পর্কটা ই বা কী ?

যা হোক, লন্ডনেই ইন্দিরা গর্ভে জন্ম হয় ফিরোজের দুই পুত্র সঞ্জয় আর রাজীবের। গান্ধীর দেওয়া সূত্রানুসারে তারাও ভারত এবং লন্ডনে পরিচিত হয় "রাজীব গান্ধী" আর "সঞ্জয় গান্ধী" নামে। এভাবে গিয়াসুদ্দিনের বানানো "নেহেরু" পদবীর বিলুপ্তি ঘটে ইন্দিরার মাধ্যমে। এই দুই পুত্রের জন্মের কয়েকবছর পরেই মুসলমানদের চরিত্রানুসারে ফিরোজ আর একটা মেয়ের সাথে প্রেম করে তাকে বিয়ে করে আনে। সতীনের সংসারে ইন্দিরা নিজেকে মানিয়ে নিতে না পেরে দুই ছেলেকে নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে ভারতে বাপের কাছে চলে আসে। এরপর ইন্দিরা, ফিরোজের প্রেমের কথা ভুলে রাজনীতিতে যোগ দেয় বা মনোযোগ দেয়। এই হলো, গিয়াসুদ্দিন গাজীর, গঙ্গাধর নেহেরু এবং ফিরোজ খান ও ইন্দিরা নেহেরুর ছেলেদের গান্ধী হওয়ার কাহিনী।
উপরের এইস সব কারণের জন্যই দেখবেন, ভারতের রাজনীতি এবং ইতিহাসে ইন্দিরা এবং তার দুই ছেলে, সঞ্জয় এবং রাজীবের যে প্রভাব প্রতিপত্তি, তার বিন্দু মাত্র নেই, দুই রাজপুত্রের জন্মদাতা ফিরোজ গান্ধীর। অনেকে শুধু ফিরোজ গান্ধীর নামই শুনেছে, কিন্তু তার ছবিটি পর্যন্ত তারা কেউ কোনোদিন দেখে নি। ভারতের দুই দুইজন প্রধান মন্ত্রী, ইন্দিরার স্বামী এবং রাজীবের বাবা ফিরোজ গান্ধী খানকে মিডিয়ায় ফোকাস না করার প্রধান কারণ হলো এটাই। কেননা, তাহলে থলের বিড়াল বেরিয়ে গিয়ে, কংগ্রেস এতো দিন ভারতের হিন্দুদের যে ধোকা দিয়েছে তার পর্দা ফাঁস হয়ে যেতে পারে। ফিরোজ খান বেঁচে আছে না মরে গেছে, আর কবে মরলো, সেই ইতিহাসটা পর্যন্ত কংগ্রেস চাপা দিয়ে রেখেছে।

কিন্তু সত্যমেব জয়তে, অর্থাৎ সত্যের জয় একদিন হবেই এবং তা একদিন প্রকাশ পাবেই, এভাবেই বেরিয়ে আসছে কংগ্রেসের নোংরামি আর ভারতের হিন্দুদের প্রতি তাদের ধোকা দেওয়ার ইতিহাস।

জয় হিন্দ।

No comments:

Post a Comment