Thursday 21 May 2020

হিন্দুদের বিয়েতে কি কোরানের সূরা লাগে ?


হিন্দুদের বিয়েতে কি কোরানের সূরা লাগে ?

পৃথিবীর সকল ধর্মের বিবাহ শুধু মাত্র একটি যৌন চুক্তি হলেও হিন্দুদের বিবাহ একটা ব্রত বা ধর্মানুষ্ঠান, এজন্যই বিয়ের দিন বর ও কনেকে উপবাস রেখে বিয়ে করতে হয়। কিন্তু এই বিয়ে নিয়ে মুসলমানদের লেটেস্ট ষড়যন্ত্র হলো, হিন্দু বিয়েতে নাকি পুরোহিত, বর ও কনের কানে কানে কোরানের সূরা বলে, আর সেই কারণেই নাকি ঢাক ঢোল বাজানো হয়, যাতে সেই সূরা অন্য কেউ শুনতে না পায়!

এই সব সিলগালা মানসিক প্রতিবন্ধী মুসলমানদেরকে কোন ভাষায় গালি দেবো, সেটাই তো বুঝতে পারছি না। অবশ্য গালি মানুষকেই দেওয়া যায়, জানোয়ারদেরকে গালি দিয়ে লাভ কী ? মুসলমানরা এই সব কথা বলে আবার অবিবাহিত হিন্দুদের, যেহেতু তারা বিয়ে করে নি, তাই তাদের সঠিক তথ্য জানা থাকে না, তাই তারা এর সঠিক জবাবটা দিতে পারে না এবং এভাবে মুসলমানদের ষড়যন্ত্রের কাছে হিন্দু ছেলে মেয়েরা হেয় হয় বা হচ্ছে।

যদি কোনো মুসলমান আপনাদেরকে এই কথা বলে, তাকে জিজ্ঞেস করবেন, তোর কোরান কত দিন হলো পৃথিবীতে আছে ? ১৪০০ বছর ? আর হিন্দু বিবিাহের রীতি পৃথিবীতে কত দিন হলো আছে জানিস, প্রায় ৮/১০ হাজার বছর। হিন্দুদের বিয়েতে যদি বর ও কনের কানে কানে কোরানের সূরা বলার নিয়ম থেকে থাকে, তাহলে কোরান নাজিল হওয়ার আগে হিন্দু বিয়েগুলো কিভাবে অনুষ্ঠিত হতো ?

আরো বলবেন, যখন বিয়ের মন্ত্রগুলো উচ্চারণ করে বিয়ে পড়ানো হয়, তখন ঢাকঢোল বাজানো হয় না; আর ঢাক-ঢোল, বিয়েতে বাজাতেই হবে এমন কোনো নিয়ম নাই, ঢাক ঢোল বাজানো হয় বিয়েটাকে একটা উৎসবের রূপ দেওয়ার জন্য এবং পাড়া প্রতিবেশি বা বিয়ে যে পথ দিয়ে যাবে বা আসবে তার আশেপাশের লোকজনদেরকে জানানোর জন্য যে একটি বিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেন তারা সেই বিয়েতে উপস্থিত হয়ে বা না হয়ে, নবদম্পতিকে আশীর্বাদ করে। ঢাক-ঢোলের এই ভাবনা তুলনামূলক আধুনিক কালের, যখন ভারত বর্ষ থেকে মুসলিম দুঃশাসন দূর হয়েছে এবং এটা শুরু হয় ইংরেজ শাসনামলে জমিদারদের ছেলে মেয়েদের বিয়ে থেকে।

রাত্রিকালীন বিবাহে যে ঢাক-ঢোল বাজানোর যে কোনো নিয়ম ছিলো না, তার প্রমান হচ্ছে, হিন্দুদের বিবাহ দিনের বেলা থেকে রাতের বেলা স্থানান্তরিতই হয় মুসলমানদের হাত থেকে মেয়েদেরকে বাঁচানোর জন্য চুপি চুপি বিয়ে দেওয়ার জন্য, তাহলে সেখানে ঢাক ঢোল বাজিয়ে সবাইকে সেই বিয়ের কথা সেই সময়ের হিন্দুরা জানাতে যাবে কেনো ? হিন্দু বিয়েতে কোরানের সূরার কথা উঠলেই আর একটা জোর গলায় বলবেন যে, যখন বিয়ের মন্ত্রগুলো উচ্চারণ করা হয়, তখন তা জোরে জোরে করা হয়, যাতে সবাই তা শুনতে পায় এবং এখানে কানে কানে পুরোহিত কাউকে কিছু বলে না এবং সেই সময় ঢাক ঢোল বাজানোও বন্ধ থাকে, সুতরাং তোরা সংখ্যায় বেশি বলে গায়ের জোরে যা খুশি বলার প্রবণতা বাদ দে, তা না হলে মুখের উপর কিছু‌ বলতে না পারলেও ফেক আইডি দিয়ে ফেসবুকে এমন গালি দেবো যে তা সহ্য করতে না পেরে দাঁত কিড়মিড় করে মরবি।আশা করছি, হিন্দুদের বিয়েতে যে কোরানের সূরা লাগে না, সেটা এবং এ সম্পর্কে মুসলমানদের কটুক্তির জবাব আমার বন্ধুদেরকে মুখে তুলে দিতে পেরেছি।

জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।
'ওঁ সহানা ভবতুঃ' [ঈশ্বর আমাদেরকে রক্ষা করুন (মুসলমানদের হাত থেকে)]

No comments:

Post a Comment