Monday, 25 May 2020

মিথ্যাচারের জবাব- মুসলিম বিজ্ঞানীদের রচিত সৌধের উপর গড়ে উঠেছে আধুনিক বিজ্ঞানীদের সৌধ !


মুসলিম বিজ্ঞানীদের রচিত সৌধের উপর গড়ে উঠেছে আধুনিক বিজ্ঞানীদের সৌধ !

এটা মুসলমানদের যে একটা ডাহা মিথ্যা প্রচার, তার প্রমান পাবেন এই পোস্টে-

মুসলমানরা একটা কথা জোর দিয়ে বলে যে কোরান রিসার্চ করেই নাকি বিজ্ঞানীরা সব কিছু আবিষ্কার করে, আমার কাছে এটা হলো একটা মূর্খ জাতির আত্মতৃপ্তির একটা চরমতম নির্বোধ এবং অত্যন্ত ধান্ধাবাজি থিয়োরি; কারণ, এই কথার মাধ্যমে তারা জ্ঞানের এতটুকু চর্চা না করে, পৃথিবীর সমস্ত জ্ঞানকে নিজেদের বলে বিশ্বাস করে এবং এটা নিয়ে শুধু আত্মতৃপ্তিতে ভোগে না, অন্যের পরিশ্রমকে অবজ্ঞা এবং তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে।কিন্তু বাস্তবে মুসলমানরা যে কিছুই আবিষ্কার করে নি, সব কিছু দখল করার মতো এই জ্ঞানগুলোকেও যে তারা দখল করেছে, সেই ইতিহাসই আজ আপনাদেরকে শোনাবো :

প্রথমেই বলি বীজগণিতের কথা। বীজগণিতকে ইংরজিতে বলা হয় অ্যালজেব্রা। অ্যালজেব্রার এই অ্যাল শব্দটি এসেছে একজন এ্যারাবিয়ান ব্যক্তি 'আল-খোয়ারিজমি' এর লিখা একটি বই ‘হিসাব-আল-জবর-ওয়াল-মোকাবেলা’ এর নাম থেকে। কিন্তু এই আল-খোয়ারিজমি ই কি প্রকৃতপক্ষে অ্যালজেব্রার জনক, দেখা যাক তথ্য প্রমান কী বলে ?

উইকিপিডিয়া বলছে,
“গাণিতিক শাস্ত্রগুলির গোড়াপত্তন করেন প্রাচীন গ্রিকেরা, মুসলিম পণ্ডিতেরা এগুলি সংরক্ষণ করেন, এবং খ্রিস্টান পুরোহিতেরা মধ্যযুগে এগুলি ধরে রাখেন। ১৭শ শতকে এসে আইজাক নিউটন ও গটফ্রিড লাইবনিৎসের ক্যালকুলাস উদ্ভাবন এবং ১৮শ শতকে অগুস্তঁ লুই কোশি ও তাঁর সমসাময়িক গণিতবিদদের উদ্ভাবিত কঠোর গাণিতিক বিশ্লেষণ পদ্ধতিগুলির উদ্ভাবন গণিতকে একটি একক, স্বকীয় শাস্ত্রে পরিণত করে ”।

খেয়াল করবেন এখানে বলা হচ্ছে, “গাণিতিক শাস্ত্রগুলির গোড়াপত্তন করেন প্রাচীন গ্রিকেরা, মুসলিম পণ্ডিতেরা এগুলি সংরক্ষণ করেন, এবং খ্রিস্টান পুরোহিতেরা মধ্যযুগে এগুলি ধরে রাখেন।”

গানিতিক শাস্ত্র বলতে এখানে বীজগণিতকেই বোঝানো হচ্ছে; কারণ পাটিগণিত হিসেবে যা জানি তা শুধু আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশেই প্রচলিত ছিলো এবং এখনো বীজগণিত ও জ্যামিতির পাশাপাশি নিচের ক্লাসগুলোতে স্বল্প পরিসরে টিকে আছে। উইকিপিডিয়া বলছে, এই গাণিতিক শাস্ত্রগুলির গোড়াপত্তন করে গ্রীকেরা, মুসলিম পণ্ডিতেরা এগুলো সংরক্ষণ করে”- আবারও খেয়াল করুন, আবিষ্কার নয়, বলা হয়েছে সংরক্ষণ। আর এই সংরক্ষণের মধ্যেই লুকিয়ে আছে তামাম মুসলিম বিজ্ঞানীর বিজ্ঞানী হওয়ার গোপন রহস্য। এটা বোঝার জন্য উইকিপিডিয়া থেকে আর একটু পড়ে নিন, তারপর শুরু করছি আমার বিশ্লেষণ-

“জ্ঞানবিজ্ঞানের প্রতি একটা বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ পায় বাগদাদের খলিফা হারুন-অর-রশিদের ছেলে আল-মামুনের (৭৮৬-৮৩৩) শাসনকালে। আল-মামুন অসম্ভব জ্ঞানপিপাসু মানুষ ছিলেন। … সারা মুসলিম জাহানে তিনি নিয়ে এসেছিলেন মুক্তবুদ্ধি ও মুক্তচিন্তার এক দুর্বার কল্লোল। ধর্মীয় গোঁড়ামি পিছুটান নিতে বাধ্য হয়, মোল্লা সম্প্রদায় পশ্চাতপদ।… আল-মামুনের সময়ই মোতাজিলা মতবাদ মাথা চাড়া দেয়। এই মতবাদ অনুসারে সংসারের কোনকিছুই প্রশ্নের অতীত নয়, এমনকি ধর্মও। মোতাজিলারা বিশ্বাস করতেন যে কোরান পবিত্র গ্রন্থ ঠিকই, কিন্তু দৈবগ্রন্থ নয়, মনুষ্যপ্রনীত। সুতরাং যুগবিশেষে এর রদবদল সম্ভব ও সঙ্গত। মোতাজিলারা অমুসলমান ছিলেন তা নয়, নামাজ রোজা তাঁরা করতেন ঠিকই, কিন্তু সাথে সাথে এ’ও বিশ্বাস করতেন যে ধর্মকে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে, উল্টোটা নয়। বলা বাহুল্য যে এই মতবাদের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড বিরোধিতা সৃষ্টি হয়েছিল সেসময়।… খলিফা মামুন সেই বিরোধিতাকে প্রশ্রয় দেননি। বরং পূর্ণ উদ্যমে এগিয়ে গেছেন তাঁর আধুনিকতার সংগ্রামে। রাজ্যের জ্ঞানীগুণি পণ্ডিতদের একসাথে জড় করে নির্দেশ দিলেন নিশ্চিন্তমনে জ্ঞানচর্চার সাধনায় আত্মনিমগ্ন হতে। আল-মামুন প্রচণ্ডভাবে আকৃষ্ট ছিলেন গ্রীক দর্শন, জ্যোতির্বিজ্ঞান আর গণিতের প্রতি। … তাঁর পণ্ডিতকূলের প্রতি তাঁর প্রথম নির্দেশ ছিল তাঁরা যেন উঠে পড়ে লেগে যান গ্রীক, ইহুদী আর খৃস্টানপ্রনীত বইপত্র যা যেখানে পাওয়া যায় তা যেন সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন বাগদাদে। তারপর সেগুলো ভাল করে পাঠ করে অনুবাদ করেন আরবি ভাষায়। … আল-মামুনের উৎসাহ, প্রেরণা ও পৃষ্ঠপোষকতায় ইসলামী মেধা শতবর্ণে পল্লবিত হয়ে ওঠে। এই প্রস্ফূটিত জ্ঞানবৃক্ষের অন্যতম প্রধান শাখা ছিলেন আবু মুসা আল-খোয়ারিজমি নামক এক গণিতপ্রেমিক জ্ঞানসাধক। … তাঁর প্রণীত গ্রন্থ ‘হিসাব-আল-জবর-ওয়াল-মোকাবেলা’। সেই আলজবর থেকেই ইংরেজি নাম ‘এলজেব্রা’।”

উপরের এই প্যারার মধ্যে নিচের এই অংশটির প্রতি আপনাদের দৃষ্টি আর একবার আকর্ষণ করছি,

“আল-মামুন প্রচণ্ডভাবে আকৃষ্ট ছিলেন গ্রীক দর্শন, জ্যোতির্বিজ্ঞান আর গণিতের প্রতি। … তাঁর পণ্ডিতকূলের প্রতি তাঁর প্রথম নির্দেশ ছিল তাঁরা যেন উঠে পড়ে লেগে যান গ্রীক, ইহুদী আর খৃস্টান প্রনীত বইপত্র যা যেখানে পাওয়া যায় তা যেন সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন বাগদাদে। তারপর সেগুলো ভাল করে পাঠ করে অনুবাদ করেন আরবি ভাষায়।”

উইকিপিডিয়াকে তো ইতিহাস লিখতে হয় সবার কথা চিন্তা করে, তাদেরকে খেয়াল রাখতে হয় যাতে তাদের দেওয়া তথ্যে সরাসরি কোনো ব্যক্তি বা জাতিগোষ্ঠী মর্মাহত না হয়, কিন্তু তাদেরও লেখার মধ্যে কিছু ইঙ্গিত থাকে, প্রকৃত সত্যকে খুঁজে বের করার বা উপলব্ধি করার জন্য সেই ইঙ্গিতগুলোর প্রতি খেয়াল রাখতে হয়। এখানে উইকি বলছে, খলিফা মামুনের নির্দেশ ছিলো, “গ্রীক, ইহুদী আর খৃস্টানদের প্রনীত বইপত্র যা যেখানে পাওয়া যায় তা সংগ্রহ করে বাগদাদে নিয়ে আসার এবং সেগুলোকে আরবিতে অনুবাদ করার। কিন্তু এর আগে উইকির যে রেফারেন্স দিয়েছি, তাতে বলা হয়েছে,

“গাণিতিক শাস্ত্রগুলির গোড়াপত্তন করেন প্রাচীন গ্রিকেরা, মুসলিম পণ্ডিতেরা এগুলি সংরক্ষণ করেন,”

মুসলিম পণ্ডিতেরা যদি গ্রীক ইহুদি আর খ্রিষ্টানদের প্রণীত বইগুলো সংগ্রহ করে আরবিতে অনুবাদ করে নেয়, তাহলে কি গ্রীক, ইহুদি আর খ্রিষ্টানদের জ্ঞান ধ্বংস হয়ে যাবে যে, মুসলিম পণ্ডিতদেরকে সেগুলো সংরক্ষণ করতে হবে ? আমার মোমবাতির আগুন থেকে যদি আপনি আপনার মোমবাতি ধরান, তাহলে কি আমার মোমবাতির কোনো ক্ষতি হবে, না আমার মোমের আগুন নিভে যাবে ? খলিফা আল মামুন কি এমন করেছিলো যে, ঐ সব জ্ঞান সংরক্ষণ করার দায়িত্ব মুসলমানদের উপর এসে পড়েছিলো ? আর মুসলমানরা সেই বইগুলো সংগ্রহ করে এনে আরবিতে অনুবাদ করার পর গ্রীক, ইহুদি ও খ্রিষ্টানরা কিভাবে জ্ঞান শুন্য হয়ে গেলো, যে কারণে সেই জ্ঞান সংরক্ষনের দায়িত্ব এসে বর্তালো মুসলমানদের উপর ? ইতিহাসকে যতই চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হোক না কেনো, সত্য কখনো গোপন থাকে না।

আপনারা নিশ্চয় এই কথা শুনেছেন যে, “কোনো জাতিকে যদি ধ্বংস করতে চাও, তাহলে তাদের সমস্ত বই ধ্বংস করে দাও।” ইসলামের উদ্দেশ্যই আগেও ছিলো এবং এখনও আছে এটাই, পৃথিবীর সমস্ত জাতিকে ধ্বংস করে দিয়ে শুধু ইসলাম কায়েম করার। এজন্যই মুসলমানরা যখন কোনো সমৃদ্ধ জাতিকে পরাজিত করেছে, প্রথমেই তাদের লাইব্রেরিগুলো পুড়িয়ে দিয়েছে, ৬৪১ খ্রিষ্টাব্দে খলিফা ওমরের নেতৃত্বে মিশর জয় ক'রে মুসলমানরা আলেকজান্দ্রিয়ার পৃথিবী বিখ্যাত লাইব্রেরি পুড়িয়ে দেয়, সেই থেকে মিশর আজ পর্যন্ত জ্ঞানে দরিদ্র। একবারও কি ভেবে দেখেছেন, যে মিশর ৫ হাজার বছর পূর্বেই মমি করার মতো বিজ্ঞান জানতো এবং পিরামিডের মতো বিস্ময়কর স্থাপনার নির্মান পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলো, সেই মিশর ইসলামের পতাকাতলে আসার পর থেকে আজ পর্যন্ত ১৪০০ বছর পরেও কেনো জ্ঞান বিজ্ঞানের ইতিহাসে একটা কোনো সাফল্য কেনো দেখাতে পারছে না বা পারে নি ?

বই ধ্বংস করে জাতি ধ্বংস করার এই থিয়োরি মতেই বখতিয়ার খিলজি বিহারের নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি পুড়িয়ে দিয়েছিলো এবং একারণেই ভারত বর্ষ থেকে বৌদ্ধধর্ম একেবারে মুছে গিয়েছে। মুসলিম শাসনামলে মুসলমানরা হিন্দুধর্মের গ্রন্থগুলোকে যদি ধ্বংস করতে পারতো, তাহলে ভারত থেকে হিন্দুদের অস্তিত্বও আজ মুছে যেতো। শক্তি ও ক্ষমতার কাছে পরাজিত হলেও, যতটুকু জানা যায়, কোনো এক বুদ্ধিমান হিন্দুর বুদ্ধিতে সংস্কৃত ভাষায় লিখিত হিন্দুধর্মের মুল গ্রন্থগুলিসহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বই, নেপাল বা তি্ব্বতের দুর্গম এলাকায় লুকিয়ে রাখা হয়েছিলো, যেখানে মুসলিমরা আর পৌঁছতে পারে নি।

এখানে আর একটা তথ্য দিয়ে রাখি, বাংলা থেকে এই নেপাল তিব্বত অভিযানে গিয়েই কিন্তু বখতিয়ার খিলজি মরেছিলো। বাংলা দখল করার দুই বছর পরেই বখতিয়ার খিলজি নেপাল তিব্বত দখল করার জন্য প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার সৈন্য নিয়ে অভিযানে বের হয়। মুসলমানদের আক্রমনকে টের পেয়েই নেপালী তিব্বতীরা তাদের আক্রমনকে প্রতিরোধ করতে পারবে না বুঝতে পেরে পোড়ামাটির নীতি অনুসরণ করে তাদের আগমনের পথের আশে পাশের সমস্ত কিছু ধ্বংস করে দিয়ে পাহাড়ী এলাকায় পালিয়ে যায়। মুসলিম সৈন্যরা সেখানে গিয়ে তো তাদের কাউকে পায় ই নি, উল্টো খাদ্য সংকটে পড়ে বহু ঘোড়া ও সৈন্য মারা যায়। শেষে খিলজি যখন ফিরে আসতে শুরু করে তখন পাহাড়ীরা আক্রমন করে বহু মুসলিম সৈন্যকে মেরে ফেলে, শেষ পর্যন্ত ২০ হাজার জীবিত সৈন্য নিয়ে বাংলায় ফিরে আসতে পারে এবং এর কিছুদিন পরেই খিলজি মারা যায়। বাংলার পাঠ্য পুস্তকের ইতিহাসে আপনি বখতিয়ার খিলজির বাংলা দখলের ইতিহাস খুব ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে পাবেন, কিন্তু তার নেপাল তিব্বত অভিযানের কোনো ইতিহাস পাবেন না, এমনই নিরপেক্ষ বাংলার মুসলমান প্রভাবিত ইতিহাস রচয়িতারা!

অনেকে জানেন যে, বাংলা সাহিত্যের প্রথম কাব্যগ্রন্থ চর্যাপদ নেপাল থেকে আবিষ্কার হয়েছিলো, এর কারণও এটা, মুসলমানদের ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বৌদ্ধ ভিক্ষুরা ওটাকে নিয়ে নেপালে পালিয়ে গিয়েছিলো, কেননা, চর্যাপদগুলো ছিলো বৌদ্ধ ভিক্ষুদের সাধন সঙ্গীত।

যা হোক খলিফা আল মামুন যখন গ্রীক, ইহুদি এ খ্রিষ্টানদের লেখা বই পুস্তকের সান্নিধ্যে আসে, তখন মুসলমানদের তুলনায় তাদের জ্ঞান দেখে সে অবাক হয়ে যায়। যতই জ্ঞান পিপাসু হোক, সে ও তো ছিলো মুসলমান আর ইসলামি সাম্রাজ্যের নেতা, সেও চেয়েছিলো, জ্ঞান বিজ্ঞানের সমস্ত কিছু থাকবে মুসলমানদের হাতে, তাই গুরুত্বপূর্ণ বইগুলোকে আরবিতে অনুবাদ করে নিজেদের কব্জায় নেওয়ার পর গ্রীক সহ অন্যা্ন্য ভাষায় লিখিত বইগুলো সে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়; এই ভাবে গ্রীক, ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের জ্ঞানের সাম্রাজ্য মুসলমানদের শক্তির কাছে ধ্বংস হয় এবং সেই জ্ঞান সংরক্ষণের দায়িত্ব এসে পড়ে মুসলমানদের উপর এবং পরে ইউরোপ থেকে মুসলমানদের প্রভাব কমলে এবং ইউরোপীয় রেঁনেসা শুরু হলে ইউরোপীয়ানরা মুসলমানদের কাছে থাকা বইগুলোকে আবার বিভিন্ন ইউরোপীয় ভাষায় অনুবাদ করে নেয়ে, যে কথা উইকি বলেছে এভাবে,

“গাণিতিক শাস্ত্রগুলির গোড়াপত্তন করেন প্রাচীন গ্রিকেরা, মুসলিম পণ্ডিতেরা এগুলি সংরক্ষণ করেন, এবং খ্রিস্টান পুরোহিতেরা মধ্যযুগে এগুলি ধরে রাখেন।”

এই খলিফা আল মামুনের যুগের শেষ সময়ের লোক ছিলো আল-খোয়ারিজমি, গণিত নিয়ে যার পাগলামি ছিলো বেশ সম্মান যোগ্য, সেই আল-খোয়ারিজমি- খলিফা আল মামুনের নির্দেশে আরবিতে অনুবাদ করা- বিভিন্ন গণিতের বই পড়ে একটি বই লিখে যার নাম “হিসাব-আল-জবর-ওয়াল-মোকাবেলা’, যার থেকে অ্যালজেব্রা শব্দটির উৎপত্তি।যার উপর ভিত্তি করে মুসলমানরা বলে থাকে বীজগণিতের আবিস্কারক মুসলিম বিজ্ঞানী “আল খোয়ারিজিমি”। এই লোক যা করেছে, তা আমি আর আপনিও করতে পারি, আর তা হলো গণিতের উপর যত বই বাজারে আছে সব কালেক্ট করে সব কিছু মিলিয়ে একটা বই লিখে তা নিজেদের নাম দিয়ে বাজারে ছাড়তে পারি, যেমন বাংলা বা ইংরেজি ব্যাকরণ লিখে যারা নিজেদের নাম দিয়ে বাজারে ছাড়ে, এই ব্যাকরণিক সূত্রগুলো তাদের নিজেদের আবিষ্কার করা, না সেগুলো আগে থেকেই প্রচলিত ছিলো ? আল খোয়ারিজিমি শুধু এই কাজটি ই করেছিলো।

আর একটা ক্লু দিই, পড়াশোনা করার সময় তো বীজগণিতের বিভিন্ন সূত্র পড়েছেন, অনেক সময় এটাও জানা যায় যে কোন সূত্রের কে আবিষ্কারক; আচ্ছা, কখনো কি এটা শুনেছনে যে আল খোয়ারিজিমি এই সূত্রটির আবিষ্কারক ? বীজগনিতের আবিষ্কারক, কিন্তু তার নামে কোনো সূত্র নাই, ব্যাপারটা কি ঠিক মিলে ? আল খোয়ারিজিমির লেখা বইয়ের নামের অনুসারে গনিতের এই শাখার নাম “অ্যালজেব্রা”, ইউরোপিয়ানরা এই নামটা দিলেও পরে যখন তারা এই ফাঁকিটা বুঝতে পারে, তথন অনেক দেরি হয়ে গেছে, কারণ সারাবিশ্বে সেই নামটা পরিচিত পেয়ে গেছে, এখন সেটাকে পাল্টাতে গেলে নানা ঝক্কি ঝামেলা পোহাতে হবে, সেই জন্য পরে সবাই সেটা মেনে নিয়েছে, আর সেই সুযোগে মুসলমানরা এটা প্রচার করছে যে আল খোয়ারিজিমি নামের এক মুসলিম বিজ্ঞানী হলো বীজগণিতের আবিষ্কারক। আবিষ্কারক তো বটেই, কিন্তু কপি-পেস্ট-পোড়ানো আবিষ্কারক। কারণ, এরা প্রথমে বইগুলোকে বিভিন্ন ভাষা থেকে আরবিতে কপির মতো করে অনুবাদ করেছে, তার পর মূল বইগুলোকেই পুড়িয়ে ধ্বংস করে দিয়ে নিজেরাই সেই কপি পেস্ট বইগুলোর লেখক সেজেছে। সেই বইগুলোর সূত্র কালেক্ট করে নিজের নামে আরেকটি বই লিখে খোয়ারিজিমি হয়েছে বীজগনিতের জনক, ব্যাপারটা বুঝতে পেরছেন, তিনি কত বড় মহান আবিষ্কারক ?

যেহেতু আরবিতে অনুবাদ করে নেওয়ার পর মূল বইগুলো মুসলমানরা পুড়িয়ে ফেলেছে, তাই গ্রীক ও রোমান সভ্যতায় বীজগণিতের জ্ঞান কত আগে থেকে ছিলো সেটা আর জানা সম্ভব নয়। কিন্তু আমাদের এই ভারতীয় উপমহাদেশে বীজগণিতের জ্ঞান কত আগে থেকে ছিলো বা আছে এবং কে তার আবিষ্কারক, সে সম্পর্কে উইকিপিডিয়া কী বলছে দেখুন-

“আর্যভট্ট (৪৭৬ – ৫৫০) প্রাচীন ভারতের সবচেয়ে বিখ্যাত গণিতবিদদের মধ্যে একজন। মাত্র ২৩ বছর বয়সে আর্যভট্ট, ‘আর্যভট্টীয়’ নামের এই গ্রন্থটি সংকলন করেন। এ চারটি অধ্যায় দশগীতিকা, গণিতপাদ, কালক্রিয়াপদ ও গোলপাদ। দশগীতিকা, কালক্রিয়া ও গোলপাদ অধ্যায়ে গোলীয় ত্রিকোণমিতি ও জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত বিষয়াবলী রয়েছে। অন্যদিকে গণিত পাদে আছে পাটীগণিত, বীজগণিত, সমতল ত্রিকোণমিতি, দ্বিঘাত সমীকরণ, প্রথম n সংখ্যক স্বাভাবিক সংখ্যার ঘাতবিশিষ্ট পদ সমূহের বর্গ ও ঘনের সমষ্টি এবং একটি সাইন অনুপাতের সারণি রয়েছ। তাছাড়া এই অধ্যায়ে সে সময়কার জনপ্রিয় জ্যোতিষচর্চার প্রয়োজনীয় ৩৩টি গাণিতিক প্রক্রিয়ার বর্ণনা রয়েছে। গণিতপাদে আর্যভট্ট পাই-এর মান তথা বৃত্তের পরিধির সঙ্গে এর ব্যাসের মান ৩.১৪১৬ হিসাবে চিহ্নিত করেন।”

খেয়াল করুন এখানে বলা হচ্ছে, মাত্র ২৩ বছর বয়সে তিনি এই গ্রন্থটি সংকলন করেন। তার মানে তারও বহু আগে থেকে ভারতে গণিতের এই জ্ঞানগুলো ছিলো, আর্যভট্টের সময় সেগুলো পরিপূর্ণতা পায় এবং তিনি সেগুলোকে পুস্তকে লিপিবদ্ধ করেন। বাস্তবে তো ঘটেও তাই, বহু মানুষের জ্ঞান আস্তে আস্তে সঞ্চিত হয়ে একটা বিশেষ রূপ পায়, তাই সব সময় সকল কিছুর আবিষ্কারক পাওয়া যায় না, কোনো কিছুর পিছে কেউ হয় তো ক্ষুদ্র কোনো অবদান রাখে, কেউ বড় অবদান রাখে, যে বড় অবদান রাখে তার নামই সামনে আসে, এভাবেই গড়ে উঠে বিশেষ কোনো তত্ত্ব; তাই কোনো তত্ত্বের পেছনে কোনো একক ব্যক্তির অবদান খুবই কম, এভাবেই বহু তত্ত্বের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে বীজগণিত, আর তার আবিষ্কারক নাকি আল খোয়ারিজিমি, বীজগণিতে যার নামে কোনো সূত্র বা তত্ত্বই নেই!

ফেসবুকের এক পোস্টে একদিন দেখলাম, প্রফেসর ড. নাজিমুদ্দীন এরবাকান নামের এক মুসলিম লিখেছে,

“আমরা যে শূণ্য (০) ব্যবহার করে থাকি এ ধারণাও মুসলিমরা উদ্ভাবন করেছেন। আজকের যে বীজগণিতের উচ্চ পর্যায়ে লিমিট পড়ানো হয় এটাও মুসলিমদের উদ্ভাবন। আমরা লাগারিদম বলে যেটা জানি এটাও মুসলিমদের আবিষ্কার। লাগারিদম এর সকল সূত্রাবলী সর্ব প্রথম আল-হারজেম নামক মুসলিম বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেছেন।“

মুসলমানদের মিথ্যাচারের জবাব যদি আপনি ঠিক মতো এবং সময় মতো আপনি না দেন, আর কিছু দিন পর আপনার বাপকেও ওরা নিজের বাপ বলে দাবী করবে, আর তারপর আপনার বাপের সমস্ত সম্পত্তি পুত্রের অধিকারে কেড়ে নিয়ে আপনাকে পথের ভিখারী বানিয়ে ছেড়ে দেবে।

যা হোক, শুন্য নাকি মুসলিমদের উদ্ভাবন ! কিন্তু কোন মুসলিমের উদ্ভাবন, সেটা্ এই প্রফেসর ডক্টর বলতে পারেন নি। এরা ইহুদি নাসারাদের স্টাইলে কেনো যে পড়াশুনা করে এবং এত খেটে খুটে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করে, তাই তো বুঝি না। তোরা মাদ্রাসায় পড় আর মাদ্রাসাতেই পড়া। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তো এই ধরণের জ্ঞান বিপদজনক।

গণিতের ইতিহাস সম্পর্কে যারা ধারণা রাখে তারা সবাই জানে যে শুন্যের আবিষ্কারক আর্যভট্ট। তিনি এই শুন্য আবিষ্কার করতে বাধ্য হয়েছিলেন বর্গমূল ও ঘনমূল নির্ণয় এবং দশমিকের হিসেব করতে গিয়ে।এ সম্পর্কে উইকি কী বলছে দেখুন-

“দশমিক পদ্ধতিকে ব্যবহার করে তিনিই প্রথম পূর্ণাঙ্গ গাণিতিক প্রক্রিয়া বর্ণনা করেন, এর মাঝে ছিল সংখ্যার বর্গমূল ও ঘনমূল নির্ণয়। এটিই ছিল দশমিক সংখ্যা ব্যবস্থাকে পূর্ণাঙ্গরূপে স্থাপিত করার জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি;কারণ, স্থানাঙ্ক ব্যবস্থায় এ সংখ্যার উপস্থাপন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সভ্যতায় ব্যবহার করা হলেও স্থানাঙ্ক ব্যবস্থায় গাণিতিক প্রক্রিয়াগুলোর ব্যবহারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়নি, সুতরাং এটির পদ্ধতিগত উপযোগিতা সম্পূর্ণরূপে অনুধাবিত হয়নি। সে সময় সবচেয়ে জরুরি ছিল দশমিক পদ্ধতি ব্যবহার করে পদ্ধতিগত সাধারণীকরণ নিশ্চিত করা, যেটি সর্বপ্রথম করেন আর্যভট্ট। তাই তিনিই পূর্ণাঙ্গ দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি প্রবর্তনের কৃতিত্বের দাবিদার।”

এ থেকে এটা স্পষ্ট যে, আমরা সাধারণভাবে আর্যভট্টকে শুন্যের আবিষ্কারক মনে করলেও, তার উদ্দেশ্য ছিলো বর্গমূল, ঘনমূল এবং দশমিক সমস্যার সমাধান, যা আরও বড় এবং জটিল বিষয়। এই শুন্যের উপর ভিত্তি করেই নিউটন, ক্যালকুলাস আবিষ্কার করেন। এ ব্যাপারে উইকি কী বলছে দেখুন-

“স্যার আইজ্যাক নিওটন - ফাংশন এর শূন্যের দিকে গমন এবং তারা কিভাবে তাদের প্যাটার্ন দেখায় তার উপর চিন্তা থেকে ইনি ক্যালকুলাস আবিষ্কার করেন”।

মুসলমানদেরকে জিজ্ঞেস করছি, খোয়ারিজিমি এর বীজগণিতে শুন্যের ব্যবহার ছিলো, না ছিলো না ? যদি থেকে থাকে, তাহলে সেই শুন্য সে কোথায় পেয়েছিলো ?

এবার আসি চিকিৎসা বিদ্যার কথায়।  চিকিৎসা বিদ্যার পেছনে কোরানের অবদান না থাকলেও হাদিসের অবদান আছে; কেননা, মুহম্মদ তো বলেই গেছে যে, কালো জিরা মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের মহৌষধ। কালোজিরা কিছু কিছু রোগর ঔষধ হতে পারে কিন্তু সকল রোগের যে মহৌষধ নয়, তা জ্বর হওয়ার পর কালো জিরা খেলে হাতে নাতে বুঝতে পারবেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানে ইসলামের অবদান এতটুকুই।

মূর্খ মুসলমানরা খুব গর্বের সাথে বিশ্বাস করে যে চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক ইবনে সিনা! তাই এবার বলছি ইবনে সিনার কথা। ইবনে সিনার জীবনকাল ৯৮০ খিষ্টাব্দ থেকে ১০৩৭ সাল পর্যন্ত। খেয়াল করবেন, সময়টা কিন্তু খলিফা আল মামুনের রাজত্ব কালের পর। মানে হলো ইবনে সিনা যেসব বই পুস্তক পড়ে গবেষণা করেছে, সেই বইগুলো আরবিতে অনুবাদ করে নিয়ে মূল বইগুলোকে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিলো। সেই বইগুলোর উপর পড়াশুনা করে তিনি নিজের নামে একটি বই লিখেন, এখন তিনি তার বইয়ে যে সূত্রগুলো লিখে রেখে গেছেন, যার ভিত্তিতে তাকে মুসলমানরা বলছে চিকিৎসা বিদ্যার জনক, সেই সূত্রগুলো যে পৃথিবীতে আগেই ছিলো না, তার প্রমান কী ?

এর বিপরীতে চিকিৎসা শাস্ত্রে হিন্দুদের অবদানটা একটু দেখুন:

সুশ্রুত বা সুশ্রুতর :

বিশ্বামিত্র মুনির পুত্র সুশ্রত খ্রিষ্টপূর্বে ৬০০ অব্দে, অর্থাত ইবনে সিনার প্রায় দেড় হাজার বছর আগে, ভারতের কাশীতে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি “সুশ্রুতসংহিতা” নামে চিকিৎসা বিদ্যার একটি গ্রন্থ রচনা করেন। এই বইতে তিনি ১১২০টি রোগের, ৭০০ ভেষজ উদ্ভিদের, ৬৪টি খনিজ রাসায়নিক মিশ্রণের, ৫৭টি প্রাণিজ উপাদানের মিশ্রনের বর্ণনা দিয়েছেন এবং এতে তিনি অস্ত্রপচারের জন্য ১২০ টি অস্ত্র এবং ৩০০ টি পদ্ধতির কথা বলেছেন। ৭৫০ খ্রিষ্টাব্দের পর আব্বাসীয় খলিফাদের মাধ্যমে এই গ্রন্থটি আরবীতে ‘কিতাব-ই-সুসরুদ’ নামে অনূদিত হয় এবং সম্ভবত মূল গ্রন্থটি পুড়িয়ে ফেলা হয়। ১৮০০ সালের পর এই বইটি আরবি থেকে লাতিন, জার্মান, ইংরেজিসহ আরও নানা ইউরোপিয় ভাষায় অনূদিত হয়, ফলে বিশ্ব জানতে পারে এই মহান ভারতীয় চিকিৎসা বিজ্ঞানীর কথা। প্রথমে তাকে তাকে ভারতীয় শল্যবিদ্যার জনক বলা হলেও তাকে এখন সমগ্র পৃথিবীর শল্যবিদ্যার জনক বলা হচ্ছে।

আচার্য চরক :

চরক খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০ অব্দে, মানে ইবনে সিনার প্রায় ১৩০০ বছর আগে জন্মগ্রহন করেন। তিনিই প্রথম বলেছিলেন, রোগের চিকিৎসার চেয়ে রোগ প্রতিরোধ করা বেশি জরুরী। যার আধুনিক ইউরোপিয়ান ভার্সন হলো, “প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিউর”। তিনি, গর্ভে শিশুর লিঙ্গ কিভাবে নির্ধারিত হয় তা জানতেন। তিনি এ্যারিস্টোটলের মতো হৃদপিণ্ডকে মন বলেন নি, বলেছেন দেহের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র। সমস্ত চিকিৎসা জ্ঞানকে একত্রিত করে তিনি রচনা করে ‘চরকসংহিতা’। এই পুস্তকে তিনি ১ লক্ষ ঔষধি গাছের বর্ণনা দিয়েছেন। এই বইটিও ৭৫০ সালের পর আব্বাসীয় খলিফাদের মাধ্যমে আরবীতে অনূদিত হয় এবং সম্ভবত মূল গ্রন্থ পুড়িয়ে ফেলা হয়, পরে আরবী থেকে ইউরোপের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হলে ইউরোপিয়ানরা এই জ্ঞান লাভ করে।

সত্য শেষ পর্যন্ত প্রকাশ হয়েই যায়, মুসলমানরা গায়ের জোরে ইবনে সিনাকে চিকিৎসা বিদ্যার জনক বলে গলা ফাটালেও উইকি এ ব্যাপারে কী বলছে দেখুন,

“বিখ্যাত শল্য চিকিৎসক ইবনে সিনা আরবিতে অনূদিত “চড়ক সংহিতা” এবং তৎকালীন আরেকটি চিকিৎসা আকরগ্রন্থ “সুশ্রুত সংহিতা” থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।"

ফলে এ থেকে পরিষ্কার যে সুশ্রুত ও চরক ই বাস্তবে সমগ্র পৃথিবীর চিকিৎসা শাস্ত্রের জনক।

এই সব তথ্য জানার পর ইবনে সিনাকে এখন চিকিৎসা বিদ্যা নামক নিজের পুত্রের জনক নয়, দত্তক নেওয়া পুত্রের জনক হিসেবে অভিহিত করা যায়।

এই প্রসঙ্গে মুসলমানদের উদ্দেশ্য শেষ কথা বলছি, আয়ুর্বেদ হলো পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি, এ্রটা বেদ থেকে উদ্ভূত বলেই এর নাম আয়ুর্বেদ, এটা কম করে হলেও ৮ হাজার বছরের পুরোনো, ইবনে সিনার মতো ১ বছরের পুরোনো নয়, তাই ইবনে সিনা চিকিৎসা বিদ্যার জনক এসব কথা বলার আগে বা এমন দাবী করার আগে একটু হিসেব নিকেশ করে কথা বলিস। মুসলিমরা যদি চিকিৎসা বিদ্যার জনক হতো বা সেই জ্ঞানের মালিক যদি তারা হতো তাহলে এখন সারা পৃথিবীর লোক ভারতে চিকিৎসা করাতে যেতো না বা আসতো না, মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোতেই যেতো; আর সবকিছুর উত্তরাধিকার থাকে, মুসলিমরা যদি এতই জ্ঞানের চর্চা করে থাকে সেই জ্ঞানের উত্তরাধিকার কোথায় ? কেনো সারা পৃথিবী জুড়ে এখন একজনও মুসলিম চিকিৎসা বিজ্ঞানী নাই, কেনো এ পর্যন্ত একজন মুসলিমও চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পায় নি ?

জয় হিন্দ

No comments:

Post a Comment