Md Rasidul এর শ্রীকৃষ্ণকে নিয়ে চুলকানির জবাব :
Md Rasidul নামের এই মুহম্মদী উন্মাদের হিন্দুধর্ম নিয়ে চুলকানির কোনো শেষ নেই, মুহম্মদ যেমন একটা মহাউন্মাদ, যেটা তার নামের ইংরেজি বানানেও প্রমাণিত, দেখুন Muhammad= Muham+Mad, তেমনি এই রাশিদুলও একটা মহাউন্মাদ, এ না বুঝে যুক্তি, না বুঝে তথ্য; এর আগে কয়েকটি পোস্ট লিখে, এই পাগলের প্রলাপের জবাব দিয়ে একে আচাঁছা বাঁশ দিয়েছি,, যার জবাব সে দিতে পারে নি, কিন্তু তারপরও এর না আছে লজ্জা, না শরম; পাগল হলে যা হয়, পাগলের কি কোনো বুধ বুদ্ধি থাকে ? পাগলের ক্ষমতা শুধু উল্টা পাল্টাতেই বলা।
যা হোক, এই উন্মাদ আবার একটি পোস্টে বলেছে, শ্রীকৃষ্ণ যে ঈশ্বর, এ নিয়ে হিন্দুধর্মীয় শাস্ত্রেই নাকি পরস্পর বিরোধী কথা আছে এবং সে এই পোস্টের শুরুতেই লিখেছে, এই প্রশ্নের সমাধান নাকি হিন্দুদের কাছে নেই! তোকে আর কত থাপড়াবো ? এ পর্যন্ত হিন্দুধর্মের বিরুদ্ধে উঠা প্রায় সকল প্রশ্নের যুক্তিসঙ্গ জবাব আমি দিয়েছি, এমনকি জাকির নায়েক যে বিষয়ে কথা বলেছে, সেসব বিষয়েও, কিন্ত কেউ সেগুলোর কোনো কাউন্টার পোস্ট লিখতে পারে নি, এমনকি এই উন্মাদের নাম উল্লেখ করে আমি যে কয়টি পোস্ট লিখে ফেসবুকে পাবলিশ করেছি, সেগুলোর জবাবও এই উন্মাদ কখনো দেয় নি বা দিতে পারে নি, আর এখন বলছে, তার উত্থাপিত প্রশ্নের জবাব নাকি হিন্দুদের কাছে নেই। আমি তো ভেবে অবাক হই, যার এক পাতা বাংলা শুদ্ধভাবে লিখার ক্ষমতা নেই, সে কিভাবে জ্ঞানের ভাণ্ডার হিন্দুদেরকে নিয়ে চুলকাতে যায় ? এই রাশিদুলের মতো উন্মাদদের ভাগ্য ভালো যে, হিন্দুরা কথার জবাব কথা দিয়েই দেয়, তাদের মতো চাপাতি দিয়ে নয়। যা হোক, এবার দেখে নিন রাশিদুলের যে স্ট্যাটাসের জবাব দেওয়ার জন্য এই প্রবন্ধটি লিখছি, সেই বালছালগুলো, তারপর দেখেন কিভাবে তাকে আচাঁছা বাঁশ দিই-
---------------------------------------------
যে প্রশ্নের সমাধান হিন্দুদের নেই।
শ্রীকৃষ্ণ কি সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর? হিন্দু ধর্মগ্রন্থ পরস্পর বিরোধী সাক্ষী দেয়! পরস্পর বিরোধ ধর্মগ্রন্থ হতে পারে না।
****Post Md Rasidul, 11/ 10/18 **********
সৃষ্টিকর্তা পৃথিবিতে শুধু পুরুষের রুপে শুধু ভারতেই এসে মারামারি, যুদ্ধ, বিবাহ, সেক্স যা জৈবিক চাহিদা মিটাবে, প্রেম করবে, লুকিয়ে স্নানরত মেয়েদের কাপড় লুকাবে, পৃথিবির ঘৃণ্যতম,নোংরা প্রানি শুকর হয়ে জন্মাবে তা পুরুষ বা মহিলা শুকর আমার জানা নাই। ঈশ্বর হয়েও অন্যের অভিশাপে ভুক্ত ভোগি হবে-
★ পাঠক জ্ঞানি হলে স্বিকার করবেন এগুলো ঈশ্বরের কাজ নয়, নয়,নয়ই।
★ তাই, ইদানিং অনেক হিন্দুরা এখন ভোল পাল্টায়ে বলা শুরু করছে কৃষ্ণ ঈশ্বর নন,মানুষ।
★ আসুন হিন্দু ধর্মগ্রন্থ দেখি কৃষ্ণ ঈশ্বর, আবার বলে ঈশ্বর নন।
★ সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর কারন-
প্রধান যুক্তি -" যেহেতু গিতা হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ, ধর্মগ্রন্থ হল সৃষ্টিকর্তার বানি। আর গিতা হল কৃষ্ণের বানি। অতএব অলঙ্ঘনীয় যুক্তি কৃষ্ণ সৃষ্টিকর্তা।
★ কে পড়ে? যদা যদাহি---- ভারত-----
অর্থাৎ, অধর্ম নাশে আমি পৃথিবিতে বারবার জন্ম নিই। - কে আসে? কৃষ্ণ। অতএব, এখানে ও গিতা হতে প্রমানিত ঈশ্বর কৃষ্ণ।
★ গীতা ৭/২৪-২৫ এখানে ও স্বয়ং কৃষ্ণ ও সাক্ষী দেয়- তিনি সৃষ্টিকর্তা। লোকে ভুল করে মানুষ ভাবে। https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1940216266284827&id=1892615057711615
এবার কৃষ্ণ নন
★ কৃষ্ণ শিশু ধর্ষন করে ও ফলে জ্ঞান হারাল - স্কিনশট সহ দেখুন।( পাঠক এবার ভাবুন এ কি সৃষ্টিকর্তার কাজ? সাধারন মানুষ ও তো এমন অপকর্ম করে না।https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1940217632951357&id=1892615057711615
আবার কৃষ্ণ ঈশ্বর নন
★ বেদ, উপনিষদ হতে স্কিনশট সহ প্রমান দিলাম, সৃষ্টিকর্তা পৃথিবিতে -"মানুষের আকারে নন, জন্ম নেন না, কেউ তাকে চোখে দেখেনি, চোখে দেখা যায় না,তার শরীর নাই, তার কোন প্রতিরুপ নেই,প্রতিমা নেই, কোন বিন্দু মাত্র চিহ্ন ও নাই।- গীতা, ১০/৩
শুধুমাত্র যারা রিদয় ও আত্মা দ্বারা উপলদ্ধি করে তারাই অমরত্ব লাভ করে।
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1940195596286894&id=1892615057711615
----------------------------------------------------
প্রথমেই এই পাগল লিখেছে, "যে প্রশ্নের সমাধান হিন্দুদের নেই।"
কিন্তু বাক্যটি হবে, "যে প্রশ্নের সমাধান হিন্দুদের কাছে নেই।"
কিন্তু হিন্দুধর্ম সম্পর্কে এমন কোনো প্রশ্ন এখনও আমার কাছে উত্থাপিত হয় নি, যেগুলোর সমাধান আমি দিতে পারি নি। আমি বলছি না আমি সবজান্তা; কারণ, আমি ভগবান নই, কিন্তু আমি এটা বলতে পারি যে, কোনো প্রশ্ন করে যদি আমাকে যুক্তিসঙ্গত সময় দেওয়া হয়, আমি সে সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম।
তারপর সে লিখেছে, "শ্রীকৃষ্ণ কি সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর? হিন্দু ধর্মগ্রন্থ পরস্পর বিরোধী সাক্ষী দেয়! পরস্পর বিরোধ ধর্মগ্রন্থ হতে পারে না।"
শ্রীকৃষ্ণ যে সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর, এ ব্যাপারে হিন্দুধর্মের প্রকৃত গ্রন্থগুলোতে কোনো বিরোধ নেই। বিরোধ সৃষ্টি করেছে সেসব গ্রন্থই, যেগুলো মুসলমানদের প্রভাবে রচিত, অনুবাদিত এবং খ্রিষ্টানদের দ্বারা মুদ্রিত। এই উন্মাদ একটা কথা ঠিক লিখেছে যে, "পরস্পর বিরোধ ধর্মগ্রন্থ হতে পারে না।" পরস্পর বিরোধ শুধু ধর্মগ্রন্থই নয়, কিছুই হতে পারে না, যেমন যে একমুখে দুই ধরণের কথা বলে সে মানুষ হিসেবেই গণ্য নয়। এই সূত্রে দেখা যাক মুহম্মদের মুখ থেকে উচ্চারিত এই দুটি বাণীর মাধ্যমে মুহম্মদ মানুষ হিসেবে গণ্য হতে পারে কি না বা কোরান ধর্মগ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত হয় কি না ? প্রথমে নিচে দেখে নিন কোরানের দুটি নিরীহ ভালোমানুষী বাণী-
"ধর্মের ব্যাপারে কোনো জোর জবরদস্তি নেই।"- (কোরান,২/২৫৬)
“তোমার ধর্ম তোমার, আমার ধর্ম আমার”-(কোরান, ১০৯/৬)
এরপর দেখুন নিচের এইটি-
"ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম চাইলে কখনো তা গ্রহণ করা হবে না।"- (কোরান, ৩/৮৫)
মুহম্মদের হুর লোভী বান্দাদেরকে জিজ্ঞেস করছি, কোরানের এই বাণীগুলো পরস্পর বিরোধী কি না ?
এক জায়গায় বলা হচ্ছে, তোমার ধর্ম তোমার, আমার ধর্ম আমার; অন্য জায়গায় বলা হচ্ছে, ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম চাইলে তা কখনো গ্রহন করা হবে না; আবার এমনও বলা হয়েছে, আল্লার কাছে একমাত্র মনোনীত ধর্ম ইসলাম; এসব কথা স্পষ্টত পরস্পর বিরোধী, সুতরাং রাশিদুলের কথা মতোই কোরান কোনো ধর্মগ্রন্থ নয় এবং কোরান যার মুখ দিয়ে উচ্চারিত হয়েছে সেই মুহম্মদও মানুষ নয়। এখন কোনো মুসলমানের ক্ষমতা থাকলে আমার এই মতকে খণ্ডন করুক।
এরপর এই উন্মাদ লিখেছে,
"সৃষ্টিকর্তা পৃথিবিতে শুধু পুরুষের রুপে শুধু ভারতেই এসে মারামারি, যুদ্ধ, বিবাহ, সেক্স যা জৈবিক চাহিদা মিটাবে, প্রেম করবে, লুকিয়ে স্নানরত মেয়েদের কাপড় লুকাবে, পৃথিবির ঘৃণ্যতম,নোংরা প্রানি শুকর হয়ে জন্মাবে তা পুরুষ বা মহিলা শুকর আমার জানা নাই। ঈশ্বর হয়েও অন্যের অভিশাপে ভুক্ত ভোগি হবে- "
-বিমান অবতরণের জন্য যেমন উপযুক্ত স্থান বিমানবন্দর লাগে, তেমনি ঈশ্বরের অবতরণের জন্যও উপযুক্ত দেশ বা সভ্যতা লাগে। প্রাচীন পৃথিবীতে ভারতই ছিলো উপযুক্ত দেশ এবং আর্য সভ্যতাই ছিলো উপযুক্ত সভ্যতা, সেজন্য ঈশ্বরের সকল অবতার ভারতেই জন্মই নিয়েছে এবং অসুরদেরকে দমন করেছে। তবে বর্তমানে পৃথিবীর অন্যান্য উন্নত অর্থাৎ উপযুক্ত দেশ যেমন- রাশিয়া, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, চীন, ব্রিটেনেও পুতিন, ট্রাম্পের মতো ব্যক্তিরা জন্ম নিচ্ছে, যারা মুসলমান নামক অসুরদেরকে দমন করে ঈশ্বরের অবতারের ভূমিকাকে পালন করছে; আর ঈশ্বরের পছন্দের পুরোনো স্থান হিসেবে ভারতে মোদী এবং তার অনুসারীরা তো রয়েছেই। সুতরাং প্রাচীন পৃথিবীতে ঈশ্বরের অবতারগণ শুধু ভারতে জন্ম নিলেও, বর্তমান পৃথিবীতে ঈশ্বরের অবতারের ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা অন্যান্য স্থানেও জন্ম নিচ্ছে এবং মুসলমান দমনে ব্যাপক ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।
প্রকৃতির নিয়ম হচ্ছে- পৃথিবীতে যে জন্ম নেবে তাকে ক্ষুধা, যৌনতা এবং মৃত্যুকে স্বীকার করতেই হবে; তাই ঈশ্বরের অবতারগণকে সেগুলো স্বীকার করতে হয়েছে, এগুলো কোনো পাপ বা অপরাধ নয়, একইভাবে পাপ নয় প্রেম করা বা বিয়ে করা, যদিও ইসলামে প্রেম করা হারাম; কিন্তু ধর্ষণ কোনো কালেই পৃথিবীতে মানুষের জন্য বৈধ বা হালাল ছিলো না, কিন্তু তারপরও মুহম্মদ, ধর্ষণকে মুসলমানদের জন্য বৈধ করে গেছে নিচের এই আয়াত দ্বারা,
"যুদ্ধে তোমরা যা কিছু অর্জন করেছো, তা হালাল ও বৈধ।"
একজন সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, একটি ধর্মের প্রবর্তক কিভাবে ধর্ষণকে বৈধ করতে পারে ? শুধু তার অনুসারীদরে জন্যই মুহম্মদ ধর্ষণকে হালাল করে নি, নিজেও রিহানা, সাফিয়াসহ অসংখ্য যুদ্ধবন্দিনীদেরকে ধর্ষণ করেছে, এ থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে মুহম্মদ একজন ধর্ষক, সেই ধর্ষকের অনুসারী হয়ে মুসলমানরা আবার বড় বড় কথা বলে এবং ইসলাম নিয়ে গর্ববোধ করে, এটা শুধু মূর্খ, নির্বোধ ও পাগলদের পক্ষেই সম্ভব।
রাশিদুলের মতো উন্মাদদের আরেকটি অভিযোগ হলো- কৃষ্ণ নাকি লুকিয়ে স্নানরত মেয়েদের নগ্ন দেহ দেখেছে এবং তাদের পোষাক লুকিয়ে রেখেছে।
কারো নগ্ন দেহ দেখে মজা নেওয়ার জন্য অর্থাৎ যৌনতা উপভোগের জন্য একটি উপযুক্ত শরীর দরকার, যেটা ৭ বছর বয়সী শিশুর মধ্যে থাকে না; মেয়েরা যাতে নগ্ন হয়ে জলে নেমে স্নান না করে, সেই শিক্ষা দেওয়ার জন্য কৃষ্ণের জীবনে এমন একটি ঘটনা রয়েছে, কিন্তু তখন কৃষ্ণের বয়স ছিলো মাত্র ৭ বছর; ৭ বছর বয়সী একটি ছেলের সামনে একটি নগ্ন নারী শরীর যে কোনো ঘটনা নয়, সেটা বোঝার জন্য নিজের বাল্যকালকে স্মরণ করুন, বেহেশতি হুরকে দোচার লোভ না থাকলে এই ঘটনার মধ্যে খারাপ কিছু খুঁজে পাবেন না।
রাশিদুলের মতো উন্মাদদের আরেকটি অভিযোগ হলো- শূকর হলো পৃথিবীর ঘৃণ্যতম নোংরা প্রাণী, তাই আল্লা মুসলমানদের জন্য শুকরের মাংস খাওয়াকে নিষিদ্ধ করেছে। কোরানে তো আল্লা অমুসলিমদেরকেও পৃথিবীর নিকৃষ্ণ জীবজন্তুর চেয়েও অধম হিসেবে ঘোষণা করেছে, তাতেই কি অমুসলিমরা ঘৃণ্য হয়ে গেছে ? বরং অমুসলিমরা যে জীবন যাপন করে, সেটা মুসলমানদের চেয়ে বহুগুনে উন্নত, ইসলামে হারাম হলেও মুসলমানরা, অমুসলিমদের সেই জীবন যাপনকেই ফলো করে, আর অমুসলিমদের দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে যাওয়ার জন্য এ্যামবেসিগুলো সামনে দিনের পর দিন ঘোরাঘুরি করে কুত্তার মতো লাইন দেয়, কেউ বা চুরি করেও সেসব দেশে ঢুকে।
যা হোক, আল্লা যদি পৃথিবীর সকল কিছুকে সৃষ্টি করে থাকে, তাহলে শুকরকেও আল্লাই সৃষ্টি করেছে, তাহলে সেই শুকরকে আল্লা ঘৃণ্য জীব হিসেবে বিবেচনা করে তাকে হারাম ঘোষণা করবে কেনো ? নিজের সৃষ্টিকে কেউ কি কখনো খারাপ বলে ? ইসলামে বেশ কিছু প্রাণীকে হারাম হিসেবে ঘোষণা দেওয়ায় মুসলমানরা সেগুলোকে ঘৃণা করে, তাই তাদের মাংস খায় না। এখানে প্রশ্ন হচ্ছে আল্লা কী পরিমান হারামি হলে এই ধরণের হারাম প্রাণীগুলোকে সৃষ্টি করতে পারে ? যা কেউ পছন্দ করে না, তা কেউ সৃষ্টি করতে যাবে কেনো ? ইসলামে নির্দেশিত হারাম প্রাণীগুলো এখনও পৃথিবীতে জন্ম নিচ্ছে, তার মানে ইসলাম ভূয়া এবং আল্লা বলে কেউ নেই; কেননা, যে যা পছন্দ করবে না, সে তা সৃষ্টি করতে পারে না। শুকর প্রসঙ্গে রাশিদুলকে কানে কানে বলছি, বরাহ অবতার রূপে জন্ম নেওয়া ভগবান, মুসলমানদের পূর্বসূরী অসুরদেরকে দোচার জন্য নারী নয়, পুরুষই ছিলো।
এরপর "ঈশ্বর হয়েও অন্যের অভিশাপে ভুক্ত ভোগি হবে- "
এই বাক্যের দ্বারা রাশিদুল সম্ভবত গান্ধারী কর্তৃক শ্রীকৃষ্ণকে অভিশাপ প্রদানের কথা বলেছে।
এই মূর্খকে বলছি, শোন, শ্রীকৃষ্ণ হলেন ঈশ্বর, তার উপরে মানুষের অভিশাপ লাগতে যাবে কেনো ? ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য শ্রীকৃষ্ণ কুরুক্ষেত্রের যে যুদ্ধ ঘটায়, যাতে গান্ধারীর শত পুত্রের মৃত্যু হয়। গান্ধারী বিশ্বাস করতো, শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন ভগবান এবং তিনি ইচ্ছা করলেই এই যুদ্ধ আটকাতে পারতেন, কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ তা করেন নি, এজন্যই গান্ধারীর মুখ থেকে ঐ অভিশাপ বাণী উচ্চারিত হয়, যেটা কৃষ্ণ স্বীকার করে নেন; এর মধ্যে দুটি শিক্ষা আছে, প্রথমটা হলো- নিপীড়িত মানুষের মুখের বাণী মিথ্যা হয় না; দ্বিতীয়টা হলো- মানুষ পৃথিবীতে যে কর্ম করবে, তার ফল তাকে ভোগ করতেই হবে। শ্রীকৃষ্ণ যেহেতু মানবরূপে জন্ম নিয়ে পৃথিবীতে ঐ সব ঘটনা ঘটিয়েছিলো, তাই তাকে ঐ অভিশাপ স্বীকার করতে হয়েছিলো। এখানে রাশিদুলের মতো নির্বোধদের ভালো করে মনে করিয়ে দিচ্ছি যে, শ্রীকৃষ্ণ, গান্ধারীর সেই অভিশাপকে স্বীকার করে নিয়েছিলেন বলেই সেটা ফলেছিলো, শ্রীকৃষ্ণ যদি স্বীকার না করতো, তাহলে তা কখনো ঘটতো না। তাই ঈশ্বর হয়েও অন্যের অভিশাপে ভূক্তভোগী হওয়ার যে ব্যাপারটি রাশিদুলের মতো মুসলমানদের মাথায় ঢুকে আছে, সেটি একটি অজ্ঞ ধারণা।
এরপর রাশিদুল নিচের এই রেফারেন্সের মাধ্যমে বুঝেছে বা জেনেছে যে শ্রীকৃষ্ণই ঈশ্বর, যা প্রকৃতই সত্য, দেখে নিন সেগুলো-
-------------------------------------------
★ সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর কারন-
প্রধান যুক্তি -" যেহেতু গিতা হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ, ধর্মগ্রন্থ হল সৃষ্টিকর্তার বানি। আর গিতা হল কৃষ্ণের বানি। অতএব অলঙ্ঘনীয় যুক্তি কৃষ্ণ সৃষ্টিকর্তা।
★ কে পড়ে? যদা যদাহি---- ভারত-----
অর্থাৎ, অধর্ম নাশে আমি পৃথিবিতে বারবার জন্ম নিই। - কে আসে? কৃষ্ণ। অতএব, এখানে ও গিতা হতে প্রমানিত ঈশ্বর কৃষ্ণ।
★ গীতা ৭/২৪-২৫ এখানে ও স্বয়ং কৃষ্ণ ও সাক্ষী দেয়- তিনি সৃষ্টিকর্তা। লোকে ভুল করে মানুষ ভাবে।
-------------------------------------------------
কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ ঈশ্বর নয় বলে রাশিদুল যে রেফারেন্সগুলো দিয়েছে, যেমন-
★ কৃষ্ণ শিশু ধর্ষন করে ও ফলে জ্ঞান হারাল - স্কিনশট সহ দেখুন।( পাঠক এবার ভাবুন এ কি সৃষ্টিকর্তার কাজ? সাধারন মানুষ ও তো এমন অপকর্ম করেনা।
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1940217632951357&id=1892615057711615
-এর কোনো ভিত্তিই নেই; কারণ, যে গ্রন্থ থেকে এটা দেওয়া হয়েছে, তার নাম ব্রহ্মবৈবর্ত পুরান এবং এই পুরাণ হিন্দু শাস্ত্রের প্রামাণ্য কোনো গ্রন্থই নয়, এটি ভারতে মুসলিম দুঃশাসন শুরু হওয়ার পর মুসলমান শাসকদের প্রভাবে রচিত, যার উদ্দেশ্য হলো রাধার মাধ্যমে কৃষ্ণ চরিত্রকে ধ্বংস করে হিন্দুধর্মকে বিলুপ্ত করা।
এরপর এই মুহম্মদী উম্মাদ গীতা থেকে একটি রেফারেন্স দিয়ে লিখেছে
"আবার কৃষ্ণ ঈশ্বর নন ★ বেদ, উপনিষদ হতে স্কিনশট সহ প্রমান দিলাম, সৃষ্টিকর্তা পৃথিবিতে -"মানুষের আকারে নন, জন্ম নেন না, কেউ তাকে চোখে দেখেনি, চোখে দেখা যায় না,তার শরীর নাই, তার কোন প্রতিরুপ নেই,প্রতিমা নেই, কোন বিন্দু মাত্র চিহ্ন ও নাই।- গীতা, ১০/৩"
কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, গীতার ১০ম অধ্যায়ের ৩ নং শ্লোকে এরকম কিছু লিখা নেই, সেখানে যা লিখা আছে তার বাংলা অনুবাদ হলো- "যিনি আমাকে জন্মরহিত, অনাদি ও সমস্ত গ্রহলোকের মহেশ্বর বলে জানেন, তিনিই কেবল মানুষদের মধ্যে মোহশূন্য হয়ে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হন।"
এই কথা শ্রীকৃষ্ণ মানবরূপে জন্ম নিয়েই বলেছেন, কিন্তু তিনি গীতার ১০ম অধ্যায়ের ৩ নং শ্লোকে যা বলতে চেয়েছেন, তা হলো- তার এই মানব জন্মই শেষ কথা নয়, এই মানব জন্মের বাইরেও তিনি জন্মরহিত, অনাদি ও অনন্ত, যারা এটা জানে বা জানতে পেরেছে, তারাই তাকে ঈশ্বর বলে বুঝতে পেরেছে।
সুতরাং হিন্দুধর্মের সকল প্রামাণ্য গ্রন্থ দ্বারা প্রমাণিত যে শ্রীকৃষ্ণই ঈশ্বর; শ্রীকৃষ্ণকে ঈশ্বর হিসেবে মনে হয় না যেসব ঘটনার কারণে সেগুলো পাওয়া যাবে বা আছে মুসলিম শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতায় রচিত ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ এবং পদ্যছন্দে রচিত বাংলা ভাগবতগুলোতে, যেগুলো বেদব্যাসের নামে চালানো হলেও প্রকৃতপক্ষে বেদব্যাসের দ্বারা রচিত নয়।
আশা করছি রাশিদুল নামের এই হুরলোভীর শ্রীকৃষ্ণকে নিয়ে করা অভিযোগের জবাব আমার পাঠক বন্ধুদের মুখে তুলে দিতে পেরেছি।
জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।
No comments:
Post a Comment