দেবী কালীর অর্ধনগ্ন মূর্তি, মহাদেবের বুকে কালীর পা এবং ইসলামি নৃশংসতা:
দেব কালীর মূর্তি অর্ধনগ্ন কেনো, এই বিষয়ে কোনো কোনো মুসলমানের প্রশ্ন, ধিক্কার এবং ছিঃ ছিঃ এর অভাব নেই। যেনো কালীর ঐ অর্ধনগ্ন এবং হিংস্রমূর্তিকে পূজা করে হিন্দুরা মহা অন্যায় করে ফেলেছে ! মুসলমানদের দৃষ্টিতে মূর্তিপূজা অবশ্যই অন্যায়, এজন্য মূর্তি দেখলেই তারা তা বা ভাঙে বা ভাঙতে চায়; কারণ, মূর্তি ভেঙেছে মুসলমানদের আদিপিতা ইব্রাহিম, শেষ নবী মুহম্মদ, মুহম্মদের চার খলিফাসহ অগণিত সাহাবী এবং এখনও সুযোগ পেলেই, মুহম্মদের মূর্তি ভাঙার সুন্নত অনুসারে, ভাঙছে বর্তমানের মুসলমানরা। মুসলমানদের এই মূর্তি ভাঙার নেশা ও ট্রাডিশনকে ব্যঙ্গ করে হুমায়ূন আজাদ তার এক লেখায় যা বলেছিলেন তা অনেকটা এরকম, “সামনে কিছু খাড়াইয়া আছে, এটা মুসলমানরা আর সহ্যই করতে পারে না, সামনে যা কিছু খাড়া দেখে, তাকেই তারা মূর্তি মনে করে ভাঙতে যায় বা চায়।” এজন্যই হয়তো লাদেন বিমান নিয়ে টুইন টাওয়ারে হামলা করেছিলো।
পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, মহাদেবের নারী শক্তিরই রূপের নাম কালী। এই কালী নামের বহু ব্যাখ্যা আছে, আমি সে প্রসঙ্গে যাবো না; কারণ, সেগুলো মুসলমানদের প্রশ্নের জবাব দিতে কোনো কাজে লাগবে না।
তো অসুর নিধনের জন্য এই কালী একাই তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাকে। বর্তমানে কালীর যে রূপ আমরা দেখি, সেই রূপ নিয়ে কিন্তু কালী যুদ্ধ করতে শুরু করে নি। নরম্যাল যুদ্ধের পোষাকেই কালী যুদ্ধ করতে শুরু করেছিলো। কিন্তু যুদ্ধ করতে করতে আর মুসলমানদের মতো অসুর মারতে মারতে কালী এক সময় খেয়াল করলো তার দেহের সমস্ত পোষাক ছিঁড়ে, ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে সে প্রায় নগ্ন হয়ে পড়েছে। তখন সে তার দেহের সমস্ত ছেঁড়া পোষাক খুলে ফেলে নিজের স্তন ঢাকার জন্য নিহত হওয়া অসুরদের মাথা কেটে নিয়ে মালা বানিয়ে গলায় পরে এবং যৌনাঙ্গ তথা নিচের অংশ ঢাকার জন্য সেই অসুরদেরই হাত, বনের রাজা টারজানের, পাতা দিয়ে যৌনাঙ্গ আড়াল করার মতো করে, একের পর এক ঐ হাত, দড়িতে সারি করে বেঁধে তা কোমড়ে পরিধান করে আবার যুদ্ধ করতে থাকে। এভাবে যুদ্ধ করতে করতে এক সময় অসুর নিধন শেষ হয়।
কিন্তু গতি জড়তার সূত্র, যে সূত্র অনুযায়ী কোনো এ্যাকশন হঠাৎই শেষ হয়ে যায় না, শেষ করতে চাইলে তা আরো কিছুক্ষণ চলতে থাকে, সেই সূত্র অনুযায়ী, যুদ্ধের উন্মত্ততা কালীর শেষ হয় না। এই পর্যায়ে সে সামনে যাকে পায় তাকেই হত্যা করতে থাকে এবং যা কিছু পায় তাই ধ্বংস করে দিতে থাকে। কালীর এমত উন্মত্ত অবস্থায়, সৃষ্টি রক্ষার জন্য দেবতারা মহাদেবের শরণাপন্ন হলে, মহাদেব ভাবেন, এই পরিস্থিতিতে দেবীকে এমনি এমনি নিষেধ করে কোনো লাভ হবে না, কিন্তু এমন কিছু করতে হবে, যাতে সে নিজেই ক্ষান্ত হয়। হিন্দু শাস্ত্র ও সমাজে, স্বামী হচ্ছে স্ত্রীর দেবতা এবং স্ত্রীর পরম গতি। তাই হিন্দু মেয়েরা কোনো কিছুতেই স্বামীকে ওভারটেক অর্থাৎ ডিঙ্গাতে পারে না। বাংলায় স্বামী শব্দের অর্থও প্রভু। এজন্যই সন্ন্যাসীদের নামের আগে স্বামী শব্দটি যুক্ত হয়, যেমন- স্বামী বিবেকানন্দ, স্বামী প্রণবানন্দ প্রমুখ।
যা হোক, মহাদেব ভাবলেন, এই স্বামী থিয়োরী দিয়েই দেবীকে আটকাতে হবে। দেবী কালী তখন অসুর নিধনের নেশায় এতটাই উন্মত্ত ছিলেন যে, নিচের দিকে, তার চলার পথে তাকানোর মতো কোনো অবস্থা তার ছিলো না। ঠিক সেই সময় মহাদেব তার গমন পথে এসে শুয়ে পড়ে এবং কালী যখন মহাদেবের বুকে পা দেয় তখন সে এটা বুঝতে পারে যে, এটা মৃত কোনো দেহ নয়, জীবিত দেহ; কিন্তু তার যুদ্ধ ক্ষেত্রে তো জীবিত কোনো বডি পড়ে থাকার কথা নয়। এই সন্দেহ দূর করতেই কালী যখন নিচের দিকে তাকায়, তখনই সে দেখতে পায়, তার পায়ের নিচে তার স্বামী, স্বয়ং মহাদেব। তখনই সে ভুল হয়ে গেছে মনে করে দাঁত দিয়ে জিভ কাটে, যেই মূর্তিটিকে এখন আমরা পূজা করি।
কিন্তু বর্তমানে যারা কালীর মূর্তি বানায়, তারা যুদ্ধ ক্ষেত্রে কালী ঠিক কোন সিচুয়েশনে মহাদেবের বুকে পা রেখেছিলো এবং তার ফেসিয়াল এক্সপ্রেশন কেমন হয়েছিলো, সেটাকে উপলব্ধি না করেই মূর্তি বানায়, এতে দেখা যায় কালী সামনে দিকে তাকিয়ে আছে, তার আধ হাত লম্বা জিহবা, মুখে অনুশোচনার কোনো চিহ্ন নেই, শিবের দেহের উপর তার দুই পা। এই ধরণের মূর্তি পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কারণ, কেউ যখন কারো গায়ে পা তুলে দেয়, সেটা সম্পূর্ণ এ্যাকসিডেন্ট, আর দুই পা তুলে দাঁড়িয়ে থাকা সম্পূর্ণ পরিকল্পনা। শিবের গায়ে কালীর পা তুলে দেওয়া ছিলো পূর্ব পরিকল্পনা নয়, এ্যাকসিডেন্ট। আর কালী পা তুলে দিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে তার স্বামীকে তার পায়ের নিচে দেখেছিলো বলেই জিভে কামড় দিয়েছিলো, সুতরাং সামনের দিকে তাকানো কালী শাস্ত্র সম্মত নয়, আর এক হাত জিভ বের করাও যুক্তিসঙ্গত নয়; কারণ, অতবড় জিভ হওয়া সম্ভব নয়।
আপনারা যারা এই বিষয়টি জানলেন, তারা কালী পূজার আগে, মূর্তি বানানোর সময় ভাস্করদের সাথে কথা বলে তাদের এই ভুল ভাঙ্গিযে দেবেন এবং শাস্ত্রসম্মতভাবে মূর্তি তৈরি করে কালীর পূজা করবেন। এখানে আরেকটা কথা, যুদ্ধকালীন কালী অর্ধনগ্ন হয়ে গিয়েছিলেন বলে আমাদেরকেও সেই অর্ধনগ্ন মূর্তি তৈরি করে পূজা করতে হবে, এমনটা নয়, সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এখন আমাদেরকে শালীন মূর্তি তৈরি করতে হবে, যাতে সেটা অর্ধনগ্ন বা অশ্লীল মনে না হয়, মূর্তি দেখলেই যেন সেই মূর্তির প্রতি একটা শ্রদ্ধাবোধ জেগে উঠে। তাহলেই মুসলমানরা আর সেটা নিয়ে কোনো কটূক্তি করতে পারবে না।
যা হোক, কালীর এই মূর্তি যে নিঃসন্দেহে হিংস্র, তাতে কোনো প্রশ্ন নেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, তাতে মুসলমানদের এত আপত্তি কেনো ? কালীর এই ঘটনা একটি পৌরাণিক ঘটনা, আর পৌরাণিক ঘটনা ঐতিহাসিক ঘটনার মতো সম্পূর্ণ সত্য নয়, সত্যের ছায়া মাত্র এবং পৌরাণিক ঘটনা ঘটার সঠিক কোনো সময় জানা যায় না বলে- কবে, কোথায় ঘটেছিলো, সেটা নিয়েও থাকে প্রশ্ন। কিন্তু ইসলামের অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা, যা মুহম্মদ এবং তার সাহাবীরা নিজে ঘটিয়েছে এবং যার উল্লেখ কোরান হাদিসে আছে, সেগুলো কি কম হিংস্র ? যেমন কুরাইজা ইহুদিদের গণহত্যা, যেখানে এক দিনে ৮০০ লোককে জবাই এর মাধ্যমে হত্যা করে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছিলো, উকল গোত্রের ৮ ইহুদিকে হত্যা, যেখানে মুহম্মদ নিজের হাতে লোহার গরম শলাকা দিয়ে তাদের চোখ উপড়ে ফেলে, হাত পা কেটে তপ্ত মরুভূমির বালির উপর ফেলে রেখে, তাদেরকে পানি খেতে না দিয়ে তিন চার ঘন্টা ধরে তাদেরকে তিলে তিলে হত্যা করেছিলো ? এগুলো ঐতিহাসিক নৃশংসতা। প্রতি বছর মুসলমানরা কোরবানীর নামে এক দিনে যে কোটি কোটি পশু আনন্দের সাথে জবাই করে, সেটিও কি কম নৃশংসতা ?
শরিয়া আইনে, প্রকাশ্যে মানুষের যে হাত কেটে ফেলা হয়, শিরচ্ছেদ করা হয়, কোমড় পর্যন্ত মাটিকে পুঁতে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করা হয়, চাবুক বা বেত দিয়ে পেটানো হয়, সেগুলো কি কম নৃশংসতা ? ইসলামের নামে আই এস যে সমকামী সন্দেহে, মানুষদেরকে উঁচু ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করছে, মানুষ জবাই করার দৃশ্য ভিডিও শুট করে তা ইন্টারনেটে ছেড়ে দিচ্ছে, যেগুলো দেখেও সহ্য করা যায় না, মাথা ঘুরে পড়ে যাবার মতো অবস্থা হয়, সেগুলোও কি কম নৃশংসতা ? তারপরও যেসব মুসলমান বলে বা বলবে, না, আইএস যে নৃশংসতা প্রদর্শন করছে, তা ইসলাম সাপোর্ট করে না। আমার ইচ্ছে করে এই সব মুসলমানদের মুখে শুয়োরের গু ভরে রেখে দিই। কারণ, এরপর আমি যে রেফারেন্স দেবো, তারপর তারা তো আর কথা বলতে পারবে না, তাই তাদের শুয়োরের গু দিয়ে তাদের মুখ বন্ধ রাখাই ভালো। আলোচনার এই পর্যায়ে দেখে নিন সন্ত্রাসী মুহম্মদ কর্তৃক ডাউনলোডকৃত এবং সন্ত্রাসী আল্লার কর্তৃক প্রেরিত কোরানের কয়েকটি নৃশংস বাণী :
“হে নবী, কাফের ও মুনাফেকদের বিরুদ্ধে জেহাদ করো এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর নীতি প্রয়োগ কর।”- (কোরান, ৬৬/৯)
খেয়াল করুন, এখানে বলা হচ্ছে কঠোর নীতি।
“...ওদের যেখানেই পাওয়া যাবে, সেখানেই ধরা এবং নির্দয়ভাবে হত্যা করা হবে।”- (কোরান, ৩৩/৬০-৬১)
এখানেও খেয়াল করুন, বলা হচ্ছে নির্দয়ভাবে।
“আর তাদেরকে শাস্তি দানের সময় ঈমানদার লোকেদের একটি দল যেন উপস্থিত থাকে।”- (কোরান, ২৪/২)
আর এসব কোরানীয় নির্দেশের কারণেই শরিয়া আইন শাসিত সব দেশে সবরকম বর্বর শাস্তি প্রকাশ্যে কার্যকর করা হয়। এই নৃশংসতাগুলো মুসলমানদের চোখে পড়ে না, কারণ তারা তো ইসলাম ও মুহম্মদের ব্যাপারে সিলগালা প্রতিবন্ধী। কিন্তু কালীর নৃশংসরূপ তাদের ঠিকই চোখে পড়ে। সম্প্রতি বাংলাদেশে কুপিয়ে খুনের সংস্কৃতি চালু হয়েছে, খুন তো খুন ই। তাকে গুলি করে মারতে অসুবিধা কোথায় ? কোনো সন্ত্রাসীর জন্য সেটা অসুবিধার কারণ না হলেও, মুসলমানদের জন্য তা অসুবিধার কারণ। কেননা, নবীর আমলে কোনো গুলি পিস্তল ছিলো না, তাই তার নির্দেশে সাহাবীরা তরবারি দিয়ে কুপিয়ে নবীর সমালোচনাকারীদের হত্যা করতো, এজন্যই জঙ্গীরা মনে করে কুপিয়ে খুন করলে ছোয়াব বেশি পাওয়া যাবে এবং তাতে আল্লার পতিতালয় বেহেশতে বোনাস হিসেবে দু চারটি হুর বেশিও পাওয়া যেতে পারে। কেননা, কোরানে যেহেতু বলা আছে, আল্লা দয়ালু, সেহেতু আল্লা দয়া করে আরও বেশি হুর গেলমান দিলে দিতেও পারে। এ কেমন ধর্ম রে ভাই, যেখানে খুন করলেও সোয়াব মেলে ? গুলি করে বা গলা টিপে হত্যা করার চেয়ে এই কুপিয়ে হত্যা করাও কি চরম নৃশংসতা নয় ?
এতসব নৃশংসতা ও হিংস্রতার ধারক ও বাহক মুসলমানরা কালীর মূর্তির মধ্যে দেখতে পায় হিংস্রতা ও নৃশংতা; যে কালী, কখনো তাদেরকে তার খড়গ নিয়ে মারতে আসে নি এবং প্রকৃতপক্ষে তার সেই ক্ষমতাও নেই, অথচ তা নিয়ে মুসলমানরা হিন্দুদেরকে প্রশ্ন করে তাদেরকে ব্রিবত করে। এটাও মুসলমানদের এক প্রকার জিহাদ। কারণ, মুসলমানরা জানে কালীর মূর্তির মধ্যে শক্তি না থাকলেও শক্তি আছে তার আদর্শের মধ্যে। কোনো হিন্দু যদি কালীর সেই শক্তিকে নিজের মধ্যে ধারণ করে খড়গ হাতে নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে, তাহলে মুসলমানরা কচু কাটা হয়ে যাবে। এই ভয় থেকেই মুসলমানরা কালীর মূর্তি নিয়ে হিন্দুদেরকে প্রশ্ন করে তার পূজা থেকে হিন্দুদেরকে বিরত ও নিরুৎসাহিত করতে চায়। এখনও হিন্দু সমাজে যারা কালীর ভক্ত, এবং কালীর পূজা বেশি করে সেই নমঃশুদ্র সম্প্রদায়, যারা চাণ্ডাল, যে চাণ্ডাল শব্দের অর্থ শক্তিশালী, সেই শব্দের বিকৃত রূপ "চাঁড়াল” নামে যারা কিছুটা পরিচিত, তারা যেকোনো হিন্দুর চেয়ে সাহসী ও শক্তিশালী হয় এবং সমসংখ্যক মুসলমান তাদের সাথে লড়াইয়ে পরাজিত হতে বাধ্য। এটাই এই নমঃশুদ্র জাতির প্রতি মা কালীর আশীর্বাদ।
ইতিহাসেও দেখা যায়, নবাব আলীবর্দির দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যেসব হিন্দু লড়াই করতো, যাদের বলা হতো বর্গী, তারা কালীর পূজা করতো এবং সেই সাহস ও হিংস্রতা নিয়ে আলীবর্দির বিরুদ্ধে তারা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলো। তারা সফল হলে সিরাজের মাধ্যমে বাংলার হিন্দু সমাজের এতটা ক্ষতি হতো না। সেই বর্র্গীদের নেতাকে আলীবর্দি সন্ধি প্রস্তাবের নামে ডেকে এনে নিরস্ত্র অবস্থায় প্রতারণার মাধ্যমে হত্যা করে। ফলে আলীবর্দির বিরুদ্ধে সশস্ত্র হিন্দু বিদ্রোহ শেষ হয়ে যায় আর সিরাজ হিন্দু মেয়েদের উপর শুরু করে তার লম্পটগিরি।
সুতরাং কালী মূর্তির হিংস্রতা নিয়ে মুসলমানরা যতই কথা বলুক, সেগুলো মাথায় নেওয়ার কোনো দরকারই নেই। আর মাথায় যদি নিতেই হয় এবং তার জবাব যদি দিতেই হয়, তাহলে কৌশলে ইসলামের নৃশংসতাগুলো তুলে ধরবেন; তবে সাবধান, সরাসরি নবীর নামে কিছু না বলাই ভালো। কারণ, তাতে নবীর নামে কটূক্তির অপরাধে ফেঁসে যেতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয়, হিন্দু ধর্ম নিয়ে কোনো মুসলমান কোনো প্রশ্ন করলেই বলবেন, আপনাকে আমার ধর্ম নিয়ে কথা বলতে কে বলেছে ? আপনি আমার ধর্ম নিয়ে যা ই বলেন, তাতে আপনার কোনো দোষ নেই আর দোষ হবেও না, আর তার জবাবে যেই আমি ইসলাম নিয়ে কিছু বলবো, অমনি তা হয়ে যাবে ইসলাম ও নবীর নামে কটূক্তি, তাই না ? এই কথা বললে, যে কোনো মুসলমান চুপসে যেতে বাধ্য। এরপর আপনি নিরাপদে সেই স্থান থেকে সরে যান।
জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ। জয় মা কালী।
No comments:
Post a Comment