কংগ্রসের শিক্ষামন্ত্রীগণ এবং ভারতের ইতিহাস :
কংগ্রেসের এই শিক্ষামন্ত্রীরা (১৯৪৭-১৯৭৭) ভারতের হিন্দুদেরকে শিখিয়েছে গজনীর সুলতান মাহমুদ ভারত আক্রমন করে সোমনাখ মন্দির লুঠ করে নি, তিনি ভারতে অভিযান চালিয়েছিলেন ! ভারতের কোনো মুসলিম শাসক হিন্দুদের উপর কোনো অত্যাচার নির্যাতন করে নি, কোনো মুসলিম শাসক মন্দির ভেঙ্গে মসজিদ করে নি, লক্ষ লক্ষ হিন্দু হত্যা করলেও এনারাই ভারতবাসীর মনে এই বিশ্বাস ঢুকিয়ে দিয়েছেন যে - আকবর হলেন, আকবর দ্যা গ্রেট!
১৯৪৭ এর পর ভারতের যে ইতিহাস লিখা হয়, সেই ইতিহাস লিখা হয়েছিলো মন মানসিকতায় মুসলিম, ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বা বলা ভালো ভারতের প্রথম দুর্ভাগ্য- জওহরলাল নেহেরুর তত্ত্বাবধানে। ইতিহাস রচয়িতাদের উপর এই নেহেরুর নির্দেশ ছিলো- ইতিহাসে মুসলিম শাসকদের সম্পর্কে খারাপ কিছু লিখা যাবে না, তাদেরকে পজিটিভ আকারে তুলে ধরতে হবে, এজন্য এই ইতিহাসকে বলে নেহেরু মার্কা ইতিহাস।
পাঠ্য পুস্তকের ইতিহাসের বইয়ে মুসলিম শাসকদেরকে পজিটিভ আকারে তুলে ধরা হচ্ছে কি না, সেটা দেখভাল করার জন্যই কংগ্রেস সরকার একের পর মুসলমানকে ভারতের শিক্ষামন্ত্রী নিয়োগ করতে থাকে, যাদের ফটো আপনারা ফটোপোস্টে দেখতে পাচ্ছেন, আর তাদের তত্ত্বাবধানেই ভারতের হিন্দুরা পাঠ্যপুস্তক পড়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বাস করে আসছে যে- মুসলিম শাসকরা হিন্দুদের সাথে কোনো অন্যায় আচরণ করে নি, তারা কোনো মন্দির ভেঙ্গে মসজিদ করে নি এবং সম্রাট আকবর হলেন- আকবর দ্যা গ্রেট।
শুধু তাই নয়, ভারতে মুসলিম শাসন পূর্ববর্তী যে গৌরবময় হিন্দুশাসন, যা অন্য একটি ফটোপোস্টে দেখতে পাচ্ছেন, সেই বিষয়গুলো পর্যন্ত তারা ইতিহাসের বইয়ে যুক্ত করে নি, যদি সেই সব ইতিহাস পড়ে হিন্দুরা আবার শৌর্যবীর্যে জেগে উঠে মুসলিমদেরকে পদানত করে, সেই ভয়ে।
জওহরলাল নেহেরু তথা কংগ্রেস, হিন্দুদেরকে মুসলিম শাসনামলের ভুল ইতিহাস শিক্ষা দিয়ে এবং হিন্দুশাসকদের প্রকৃত ইতিহাস ভুলিয়ে দিয়ে কিভাবে হিন্দুদের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিয়েছে বা দেবার চেষ্টা করেছে, সেটা একবার ভাবুন; আর সেই কংগ্রেস দলকে রাষ্ট্রের ক্ষমতায় বসালে তারা হিন্দুদের কোনো স্বার্থ রক্ষা করবে কি না, সেটাও বিবেচনা করুন।
জয় হিন্দ।
No comments:
Post a Comment