Friday 28 August 2020

জামায়াত-শিবিরের ধর্মান্তর কৌশল সম্পর্কে আপনি কতটুকু সচেতন ?



জামায়াত-শিবিরের ধর্মান্তর কৌশল সম্পর্কে আপনি কতটুকু সচেতন ?

হিন্দু ছেলে মেয়েরা সাধারণত ধর্মান্তরিত হয় লাভজিহাদ বা প্রেমের ফাঁদে পড়ে। কিন্তু যখন দেখবেন কোনো হিন্দু ছেলে বা মেয়ে, মুসলমান ছেলে মেয়ের সাথে প্রেম-ভালোবাসা ছাড়াই সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়েছে বা হচ্ছে, তখনই বুঝবেন- এর পেছনে কাজ করেছে জামায়ত শিবিরের দীর্ঘ সময়ের অর্থ সহায়তা এবং ব্রেইনওয়াশ প্রসেস, যে সম্পর্কে ৯৯% হিন্দুর কোনো ধারণাই নেই।

ফটোপোস্টে যাদেরকে দেখছেন, তারা সবাই কোনোরকম প্রেমের সম্পর্ক ছাড়াই সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়েছে, যেটা তাদের শুধু পিতা মাতা নয়, সবার কাছেই ছিলো অপ্রত্যাশিত। কিন্তু কী কারণে এমনটা ঘটলো বা ঘটা সম্ভব সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন, আজকের এই আলোচনায়।

এস.এস.সি পাশ করার পর গ্রাম থেকে যেসব গরীব বা মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে মেয়েরা শহরে আসে পড়াশোনার জন্য, তারা প্রথম দিকে টাকা পয়সাসহ নানারকম সমস্যা ফেস করে। যাদের আত্মীয় স্বজন শহরে থাকে না, তারা কোনো একটি মেসে উঠে প্রাথমিক আশ্রয় হিসেবে। জামায়াত শিবিরের লোকজন টার্গেট করে এই সব ছেলে মেয়েদের। তারা তাদেরকে তাদের নির্ধারিত মেসে অল্প টাকায় থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়; বিভিন্ন কোচিং সেন্টার, যেগুলো জামায়াত শিবিরের লোকজন দ্বারাই পরিচালিত, সে সব প্রতিষ্ঠানে অল্প টাকায় ভর্তির ব্যবস্থা করে দেয়, এছাড়াও তাদেরকে টিউশনি পাইয়ে দেওয়া বা কোনো পার্টটাইম কাজও তাদেরকে যোগার করে দেয়, এভাবে ঐ ছেলে বা মেয়েকে তারা অর্থের বাঁধনে শক্ত করে বেঁধে ফেলে এবং তার কাছে নিজেদেরকে মহান উপকারী বন্ধু বা ব্যক্তি হিসেবে নিজের ভাবমূর্তি গড়ে তোলে। 

হিন্দুসমাজ তো ধর্মের ব্যাপারে বরাবরই উদাসীন, তারা ছেলে মেয়েদেরকে শুধু পাঠ্যপুস্তক পড়িয়ে জজ ব্যারিস্টার ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার বানাতেই বেশি আগ্রহী, তারা ছেলে মেয়েদেরকে ধর্ম শিক্ষা দিয়ে সময় নষ্ট(!) করতে মোটেই আগ্রহী নয়, ছেলে মেয়েদের পেছনে ধর্মশিক্ষার নামে অর্থ ব্যয় তো বহুত দূরের কথা। তাই হিন্দু ছেলে মেয়েরা তেমন কোনো ধর্মীয় জ্ঞান না নিয়েই প্রথমে স্কুলে যায়, তারপর কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়। কিন্তু সেখানে তারা তাদের মুসলিম ক্লাসমেট, যারা প্রত্যেকেই একেকজন ইসলাম প্রচারক, তাদের কাছে প্রশ্নজিহাদের মুখোমুখী হয়, মুসলমানদের সংখ্যাধিক্য এবং নিজের সনাতন ধর্মীয় জ্ঞানের অভাবে সেই সব হিন্দু ছেলে মেয়ে কখনোই মুসলমানদের সাথে ধর্ম সংক্রান্ত ব্যাপারে পেরে উঠে না। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর, তারা সনাতন ধর্ম নিয়ে মুসলমানদের প্রশ্নের মুখে পরাজিত হয়, হেয় হয়, এভাবে সে এক সময় ভাবতে বাধ্য হয় যে সনাতন ধর্ম মনে হয় ভুয়া ধর্ম।

যখন কোনো হিন্দু ছেলে মেয়ে মনে করতে থাকে যে সনাতন ধর্ম ভুয়া ধর্ম, তখন সে সনাতন ধর্ম সম্পর্কে হীন্মন্যতায় ভুগে, সনাতন ধর্ম সম্পর্কে সে গর্ব হারায়, তখন সে আস্তে আস্তে ইসলামের দিকে ঝুঁকতে থাকে।

জামায়াত শিবিরের লোকজন যাদেরকে টার্গেট করে, প্রথমেই তারা তো তাদেরকে নিজেদের মেস বা কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে নিজেদের আয়ত্বে নিয়ে নেয়, এরপর সেই ছেলে মেয়ের উপর তারা চালায় নিরন্তর ব্রেইনওয়াশ, এতে তারা তাদেরকে বোঝায়, হিন্দুধর্ম হলো ভুয়া ধর্ম, ইসলাম হলো শ্রেষ্ঠ, ইসলাম গ্রহন না করলে কেউ কোনোদিন বেহেশতে যেতে পারবে না, সে চিরদিন দোযখের আগুনে জ্বলতে থাকবে ইত্যাদি ইত্যাদি। সনাতন ধর্মীয় জ্ঞানের অভাবে এই সব কথাবার্তাকে সেই সব হিন্দু ছেলে মেয়েরা প্রথমত প্রতিরোধ করতে পারে না, আবার দ্বিতীয়ত তারা তাকে নানা ভাবে সাহায্য করে বলে, তাদের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনো স্টেপ বা তাদের বিরুদ্ধে কোনো কথাও বলতে পারে না, এভাবে চলতে থাকে মাসের পর মাস বা বছরের পর বছর।

টার্গেট যদি কোনো প্রাপ্ত বয়স্ক হিন্দু মেয়ে হয়, তাহলে তার সাথে কোনো মুসলমান ছেলেকে লাগিয়ে দেওয়া হয় তাকে প্রেমের বাঁধনে জড়িয়ে ফেলার জন্য, ঐ মেয়ে যদি এসব পরিকল্পনা না বুঝে ঐ মুসলমান ছেলের প্রেমের ফাঁদে পা দেয়, তাহলেই কেল্লাফতে। তারপর ঐ মেয়েকে ঐ মুসলমান ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে তাকে মুসলমান বানিয়ে নেয়। মেয়ের বয়ষ ১৮+ হওয়ায়, মেয়ের বাপ মা তখন কিছুই করতে পারে না। কারণ, প্রেমে অন্ধ মেয়ের কাছে তখন জরুরী তার মুসলমান প্রেমিকের বিছানায় গিয়ে কাপড় খোলা, বাপ মা ভাই বোন তখন তার কাছে জরুরী কোনো বিষয় নয়। কিন্তু একটি ছেলে বা মেয়েকে জন্ম দিতে, তাকে বড় করে তুলতে বাপ মাকে যে কী পরিমাণ কষ্ট করতে হয়, কী পরিমাণ ত্যাগ স্বীকার করতে হয়, সেটা অকল্পনীয়; লাভজিহাদের শিকার হওয়া মেয়েরা এই সব কিছু ভেবে দেখে না, তখন তাদের কাছে ভালোবাসার মানুষের সাথে যৌনসুখ প্রধান হয়ে দাঁড়ায়। এই ধরণের একটি ঘটনা জামায়াত শিবিরের লোকজন ঘটিয়েছিলো গ্রাম থেকে রাজশাহী শহরে কোচিং করতে আসা একটি মেয়ের সাথে। 

যা হোক, ছেলে মেয়েদের মাধ্যমে দুঃখ পেতে না চাইলে, ছোট বেলা থেকেই শুধু তাদেরকে ধর্মশিক্ষা দেওয়া ই যথেষ্ট নয়; আমি মনে করি, একটি ছেলে বা মেয়েকে ছোট থেকে বড় করে তুলতে যে পরিমাণ কষ্ট স্বীকার করতে হয়, যে পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হয়, ছোট থেকেই বাচ্চাকে সেসব জানানোও জরুরী, তাতে সে তার জন্য তার বাপ মায়ের যে অবদান, সেটা বুঝতে পারবে এবং পিতা মাতা কষ্ট পায় এমন কোনো কাজ সে কখনো করবে না।

যা হোক, আবার টার্গেট মেয়ে, প্রাপ্তবয়স্ক না হলে, তাকে প্রেমের ফাঁদে না ফেলে শুধু ব্রেইনওয়াশ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় এবং ক্ষেত্র সম্পূর্ণ প্রস্তুত হলে সেই মেয়েকে কোনো আবাসিক মহিলা মাদ্রাসায় নিয়ে গিয়ে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়, এই ধরণের একটি ঘটনা মুসলমানরা ঘটিয়েছে বাংলাদেশের ময়মনসিংহে, এবং অন্যটি ভারতের মেদিনীপুরে, ক্লাস নাইন পড়া মেয়েদের সাথে। মেদিনীপুরের মেয়েটি ইসলাম গ্রহন করে বাড়ি ছাড়ার পর জঙ্গীদলে নাম লেখায় এবং শেষ পর্যন্ত এই ২০২০ সালেই বাংলাদেশে জঙ্গী কার্যক্রমের জন্য গ্রেফতার হয়। একে কিভাবে ব্রেইনওয়াশ করা হয়েছিলো একবার চিন্তা করুন, নিজের সুন্দর জীবনযাপনের পরিবর্তে সে ইসলামের জন্য কাজ করে মরতে পর্যন্ত উদ্যত হয়েছিলো।

আবার টার্গেট যদি মেয়ে না হয়ে ছেলে হয়, সেই ছেলেকে তো মুসলামানরা নানারকম আর্থিক সুবিধা তো দেয় ই, যেটা আগেই বলেছি, তারপর ব্রেইনওয়াশের মাধ্যমে ক্ষেত্র প্রস্তুত হলে, তাকে এই অফার দেওয়া্ হয় যে, সে যদি ইসলাম গ্রহন করে তাহলে তাকে ভালো চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে, যাতে সে ভালোভাবে জীবন যাপন করতে পারবে। চাকরি এই দূর্মূল্যের বাজারে এটা নিশ্চয় একজন ছেলের কাছে অনেক লোভনীয় অফার, নিজের পেট চালানোর জন্য যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এই ধরণের অফার অনেকেই ফেলতে পারে না, তখন তারা ইসলাম গ্রহন করে ফেলে। ফটোপোস্টে যে দুটি ছেলের ছবি দেখছেন, এরা চট্টগ্রামের এবং এরা জামায়াত শিবিরের এই সব পরিকল্পনায় ফেঁসেই ইসলাম গ্রহন করেছে বলে আমার ধারণা।

বাংলাদেশের স্বনামধন্য ইংরেজি শিক্ষার কোচিং সেন্টার, সাইফুরসও চাকরির লোভ দেখিয়ে হিন্দু ছেলেদেরকে ধর্মান্তর করেছে বা করে বলে খবর জানি। 

সুতরাং পড়াশোনার জন্য ছেলে মেয়েকে যখন বাড়ির বাইরে রাখতে বাধ্য হবেন, তখন খেয়াল রাখবেন, কোনোভাবেই সে জন্য মুসলমানদের খপ্পরে না পড়ে। যদি কোনো মুসলমান, আপনার ছেলে বা মেয়েকে কোনোরকম সাহায্য করে বা করতে উৎসাহিত হয়, তাহলেই বুঝবেন, এর পেছনে তাদের গভীর কোনো ষড়যন্ত্র আছে। একটা কথা মনে রাখবেন, স্বার্থ ছাড়া এই পৃথিবীতে কেউ কারো জন্য কিছু করে না। সুতরাং নিজের আত্মীয় স্বজন ছাড়া কেউ যদি আপনার জন্য কিছু করে, তার পেছনে অবশ্যই কোনো না কোনো উদ্দেশ্য থাকবে। 

প্রতিটি মুসলমান খুব ছোটবেলা থেকেই এই শিক্ষা পায় যে- সে যদি একজন অমুসলিম অর্থাৎ হিন্দুকে মুসলমান বানাতে পারে, শুধু সে ই নয়, তার তিন পুরুষ বা ৭ পুরুষ বিনা বিচারে বেহেশতে যেতে পারবে। এই বেহেশতের লোভেই মুসলমানরা, হিন্দুদেরকে মুসলমান বানাতে একেবারে মরিয়া। এর জন্য মিথ্যা প্রতারণা ধোকাবাজি কোনো কিছু করতেই মুসলমানরা বাদ রাখে না। আর কাউকে মুসলমান বানানোর জন্য এসব মিথ্যা প্রতারণা ধোকাবাজি করলে ইসলাম মতে, মুসলমানদের কোনো পাপও হয় না। তাই প্রতিটি মুসলমানের একটি সুপ্ত স্বপ্ন, সারাজীবনের চেষ্টায় একজন হিন্দুকে হলেও সে মুসলমান বানাবে, আর সেই হিন্দুটি যদি মেয়ে হয়, তাহলে তো সোনায় সোহাগা, হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করে যেমন তাকে ভোগ করা যায়, তেমনি তার পেটে মুসলমানের বাচ্চার জন্ম দিয়ে ইসলামেরও আবাদ করা যায়, এমনটা হলে ৩ বা ৭ পুরুষের জন্য বেহেশতের ৭২টি করে হুর এক্কেবারে পাক্কা।

প্রেম-ভালোবাসায় জড়িয়ে হিন্দু ছেলে মেয়েদের মুসলমান হয়ে যাওয়া, ধর্মান্তরের ক্ষেত্রে একটি সাধারণ প্রসেস, যদিও এর পেছনেও মুসলমানদের ব্যাপক বিস্তৃত পরিকল্পনা থাকে; কিন্তু প্রেম ভালোবাসা ছাড়াই কোনো হিন্দু ছেলে মেয়েকে ইসলামে ধর্মান্তর করা মুসলমানদের একেবারে "গভীর জলের মাছ" বা "সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা"র প্রসেস, যেখানে শিকার হিন্দু পরিবার, সম্পূর্ণ ঘটনা ঘটার আগে কোনো কিছুই জানতে পারে না, আর হিন্দু সমাজের ধরণটাই এরকম যে- কোনো ছেলে মেয়ে যদি একবার মুসলমান হয়ে যায়, সেটা নিয়ে আর কিছু করতে পারে না বা ক'রে মুসলমানদের সাথে পেরে উঠে না। তাই Prevention is better than cure এর মতো ইসলামে আক্রান্ত হওয়ার পূর্বেই যদি তা প্রতিরোধ করা যায়, সেটাই Better নয় Best.

তাই ইসলামকে প্রতিরোধ করার জন্য খুব ছোট বেলা থেকেই ছেলে মেয়েদেরকে ধর্মশিক্ষা দিতে হবে, এজন্য বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ছেলে মেয়েদেরকে নিয়ে যেতে হবে, তবে রামকৃষ্ণ মিশন এবং অনুকূল ঠাকুরের অসৎসঙ্গে কখনো নিয়ে যাওয়া যাবে না; কারণ, ওসব জায়গায় গেলে আপনার ছেলে মেয়ে এটা শিখবে যে সকল ধর্মই সমান। আর কোনো ছেলে মেয়ে যদি এই শিক্ষা পায়, তাহলে সে বড় হয়ে মুসলিম ছেলে মেয়েকে বিয়ে করে মুসলমান হতে দ্বিধাবোধ করবে না, যেহেতু আপনি তাকে নিজেই সকল ধর্ম সমানের শিক্ষা সেই ছোটবেলা থেকেই দিয়েছেন।

ছোটবেলা থেকেই প্রকৃত সনাতনী ধর্মশিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি, ছেলে মেয়েরা্ যখন বড় হবে, তখন তাদের মনোভাব, আচরণ এবং প্রতিটি কথাবার্তাকে খুব গভীর মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করতে হবে। কারণ, তার মধ্যে যদি কোনো আবর্জনা (ব্যক্তিগত মতবাদ) ঢুকে যায়, সেটা বিভিন্ন ইঙ্গিতে প্রকাশ পাবে, যেহেতু কারণ ছাড়া কোনো ব্যক্তি একটি শব্দও উচ্চারণ করে না।

এরপর ছেলে মেয়ে যখন কোনো কারণে বাড়ি থেকে বাইরে যাবে, তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে, তাদের আর্থিক প্রয়োজন অবশ্যই বাড়ি থেকে ভালোভাবে মেটাতে হবে। কারণ, অর্থের প্রয়োজন জীবনে খুব বড় একটা সমস্যা, এই সমস্যায় ছেলে মেয়েরা যাতে না পড়ে, সেটা খুব ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে, যেহেতু অর্থের জন্যই মানুষ বৈধ-অবৈধ, মন্দ-খারাপ সবকিছু করে বা করতে বাধ্য হয়।

জামায়াত শিবিরের ধর্মান্তরকরণ কৌশলের প্রথম স্টেপ যেহেতু আর্থিকভাবে দুর্বল ছেলে মেয়েদেরকে টার্গেট করা, সেহেতু আপনার ছেলে মেয়ের যদি কোনো আর্থিক দুর্বলতা না থাকে, তাহলে জামায়াত শিবিরের পরিকল্পনা প্রথমেই ব্যর্থ হবে। এজন্য ছেলে মেয়ের কোথায় কত টাকা লাগবে, সেটা নিজে গিয়ে খোঁজ নিতে হবে এবং নিজে সেই বিলগুলো পেমেন্ট করতে হবে। ছেলেমেয়েদের হাতে সেই টাকাগুলো না দেওয়াই মঙ্গল, এতে তারা সেই টাকা অন্য খাতে খরচ করে ফেলতে পারে এবং মাসের পর মাস এমনটা করে শিবিরের অর্থের ফাঁদে পড়তে পারে।

পড়াশোনার খাতিরে বাড়ির বাইরে যদি ছেলে মেয়েদেরকে রাখতেই হয়, তাহলে মুসলমানদের সাথে তাকে না রাখাই ভালো; কারণ, কাছাকাছি থাকায় মুসলিম ছেলে মেয়েরাই, হিন্দু ছেলে মেয়েদের ব্রেইনওয়াশ করার বা প্রশ্নজিহাদের সুযোগ পায়। তাই ছেলে মেয়েদেরকে অবশ্যই মুসলিম ছেলে মেয়েদের সাথে না রেখে হিন্দু ছেলে মেয়েদের সাথে রাখতে হবে।

বিয়ের পূর্বেই ছেলে মেয়েকে যদি বাড়ির বাইরে রাখতে বাধ্য হতে হয়, তাহলে প্রতিমাসে সম্ভব না হলেও তিন মাস পর পর তাদেরকে বাড়িতে আনতে হবে, দীর্ঘদিন ছেলে মেয়েরা বাড়ির বাইরে থাকলে তাদের ধর্মান্তরের সম্ভাবনা বেড়ে যায়, আমার গ্রামেই এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে, একটি ছেলে কাজের সূত্রে বাইরে গিয়ে দীর্ঘদিন বাড়ি আসে না, এরপর এক সময় জানা গেলো, যেখানে সে কাজ করতো, সেখানেই সবাই মুসলিম ছিলো, ও একাই হিন্দু ছিলো, সবাই মিলে ওকে প্রশ্নজিহাদের মুখে ফেলে, হিন্দুধর্মকে ভুয়া প্রমাণ করে মুসলমান বানিয়ে ফেলেছে এবং তারপর এক মুসলিম মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে, সেই ছেলে আর কোনো দিন বাড়ি আসে নি। এরপর যখন সে অকালে মারা যায়, শুধু সেই খবরটি জানা গিয়েছিলো। তাই দীর্ঘদিন কোনো ছেলে মেয়েকে বাড়ির বাইরে রাখা যাবে না, মাঝে মাঝেই তাকে বাড়িতে আনতে হবে।

আশা করছি- উপরে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করলাম, সেগুলো ফলো করলে বা মেনে চললে, আপনার ছেলে বা মেয়ে জামায়াত শিবিরের ফাঁদে পড়বে না, আর সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে আপনাকে ইহকালে কষ্ট এবং পরকালে নরকভোগী করবে না।

একটা কথা মনে রাখবেন জামায়াত শিবিরের টাকার কোনো অভাব নেই, এরা দেশেই যেমন প্রতি বছর প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করে, তেমনি মধ্যপ্রাচ্য থেকেও প্রতিবছর প্রচুর টাকা এদের হাতে আসে ইসলামের প্রসারের জন্য। 

তাই জামায়াত শিবিরের পরিকল্পনা সম্পর্কে যদি আপনি না জানেন এবং সতর্ক না থাকেন, তাহলেই আপনি মরেছেন।

হিন্দু সমাজ ধ্বংস করতে জামায়াত শিবিরের এই পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে পেরে বিষয়টি আপনাকে জানালাম, আপনার কর্তব্য হচ্ছে অন্য একজন হিন্দুকে এই বিষয়ে সচেতন করা। সেটা যদি আপনি না করেন, আপনি হিন্দুধর্ম ও সমাজের ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবেন এবং তার জন্য ঈশ্বরের কাছে আপনাকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে; কারণ, যে ব্যক্তি সমাজ নিয়ে ভাবে না, তার আসলে কোনো ধর্মকর্মই হয় না।

জয় হিন্দ।

জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।

No comments:

Post a Comment