Friday 14 August 2020

লাভ জিহাদ প্রসঙ্গে শিক্ষিত হিন্দু মেয়েদের কাছে একটি নিবেদন :


লাভ জিহাদ প্রসঙ্গে শিক্ষিত হিন্দু মেয়েদের কাছে একটি নিবেদন :

লাভ জিহাদ নিয়ে আমার এত মাথা ব্যথার কারণ হলো, এটা মুসলমানদের কোনো ভালোবাসার যুদ্ধ নয়, এটা তাদের হিন্দুসমাজকে ধ্বংস ও বিলুপ্তকরার একটা সুদূরপ্রসারী প্ল্যান। আপনারা শিক্ষিত মেয়ে হয়েও কেনো জেনে বুঝে তাদের এই পরিকল্পনার ফাঁদে পা দেন, এটাই আমার কাছে বড় দুঃখ ও বেদনার কারণ।

লাভ জিহাদের মাধ্যমে মুসলমানরা কিভাবে হিন্দুসমাজকে বিলুপ্ত করার প্ল্যান করেছে এবং তা বাস্তবায়িত করে চলেছে, সেই ব্যাপারটা এবার বলি- আপনারা হয়তো জানেন না, প্রকৃত ইসলামিক অর্থাৎ শরীয়া আইন শাসিত দেশে নাগরিক হিসেবে হিন্দুদের বাস করার বা বাঁচারই কোনো অধিকার ইসলাম দেয়নি। ইসলামিক দেশে জিজিয়া কর দিয়ে শর্তসাপেক্ষে বেঁচে থাকার অধিকার আছে শুধু ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের। মূর্তিপূজক বা হিন্দুদের সামনে শুধু দুটোই পথ খোলা রেখেছে ইসলাম- হয় ইসলাম গ্রহণ, নয় তো মৃত্যু

এই কারণে ভারতবর্ষে প্রায় ১ হাজার বছরের ইসলামিক দুঃশাসনে স্বামী বিবেকানন্দের হিসেব মতে প্রায় ৫০ কোটি হিন্দুকে জীবন দিতে হয়েছে বা তারা ইসলামকে গ্রহন না করে জীবন দিয়েছে। সারা পৃথিবীতে ইসলামিক সাম্রাজ্য বিস্তারে মুসলমানদের মূল থিয়োরিই ছিলো- হয় কোরান, নয় মৃত্যু। ইউরোপ, আফ্রিকা এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশে মুসলমানরা তাদের এই থিয়োরির মাধ্যমে সন্ত্রাসী তাণ্ডব চালায় মুহম্মদের মৃত্যুর পর থেকে প্রায় ১৫০০ সাল পর্যন্ত। তখন মুসলমানদের মূল উদ্দেশ্যই ছিলো এবং এখনও আছে জনসংখ্যা বাড়িয়ে শক্তির মাধ্যমে দেশ দখল করে অমুসলিমদের সম্পত্তি লুঠ করা এবং জিম্মীদের থেকে জিজিয়া কর নিয়ে আরাম আয়েশে বসে বসে খাওয়া এবং অকারণে অমুসলিমদের উপর অত্যাচার নির্যাতন করা, যেমন- এখন করছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে।

মুসলমানদের এই হীন উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে খ্রিষ্টানদের পোপ মুসলমানদের বিরুদ্ধে ধর্মযুদ্ধ তথা ক্রুসেড পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় এবং তার ফলেই মুসলমানরা ১৫০০ সালের শেষ নাগাদ কচুকাটা হওয়ার মাধ্যমে সমগ্র ইউরোপ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়।

হিন্দুজাতির বড় দুর্ভাগ্য, হিন্দুদের কোনো সেন্ট্রাল নিয়ন্ত্রণ নেই বা পোপের মতো কোনো ব্যক্তি নেই, যার কথায় হিন্দুরা কোনো ধর্মীয় বা সামাজিক সিদ্ধান্ত নেবে। খ্রিষ্টানদের এই ক্রুসেড পরিচালনার আগে ইউরোপের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ এলাকা মুসলমানরা দখল করে ফেলেছিলো, কিন্তু ক্রুসেডের পর তারা তাদের দখলকৃত ইউরোপ থেকে তাদের কর্তৃত্ব হারায়। এটা ছিলো পোপের নেতৃত্ব এবং সমগ্র খ্রিষ্টান সমাজের একতাবদ্ধ চেষ্টার ফল।

কিন্তু একই সময়ে এবং একই ভাবে ভারতবর্ষে হিন্দুরা মুসলমানদের দ্বারা নির্যাতিত হলেও কোনো সেন্ট্রাল নেতৃত্ব না থাকায় এবং সমগ্র হিন্দুসমাজ এক না হওয়ায় ভারতবর্ষে মুসলমানরা তাদের দুঃশাসন চালিয়ে যেতে থাকে- যতক্ষণ সেই ইউরোপীয়রা ভারতবর্ষে হস্তক্ষেপ না করে। ১৭৫৭ সালে সিরাজদ্দৌলাকে দিয়ে শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত ১৭৯৯ সালে টিপুসুলতানকে হত্যার মাধ্যমে ইউরোপীয় খ্রিষ্টানরা ভারতে মুসলমানদের দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে সক্ষম হয়। এরপর সন্ত্রাস করে আর এগোনো যাবে না মনে করে সমগ্র মুসলিম জাতি সন্ত্রাসের পথ বাধ্য হয়ে পরিত্যাগ করে এবং আগের সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে চাপা দেওয়ার জন্য, আস্তে আস্তে ইসলামকে- শান্তি, সহাবস্থান এবং সাম্যবাদের ধর্ম হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করতে থাকে, যার কারণেই তাদের মূখ্য প্রচারণা হয়ে উঠে- ইসলাম শান্তির ধর্ম

এরই এক পর্যায়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়, যেখানে রাষ্ট্রের ক্ষমতা দখলের মূল অস্ত্র হয়ে উঠে ভোট। তখন থেকেই মুসলমানরা সন্ত্রাসের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পথ ছেড়ে দিয়ে মনোযোগ দেয় জনসংখ্যা বাড়িয়ে ভোটের বাক্সে প্রভাব ফেলে দেশ দখলের দিকে, যার প্রথম ফল তারা পায় পাকিস্তান দখলের মাধ্যমে; কারণ, ১৯৪৬ সালে অখণ্ড ভারতের ৯৭% মুসলমান পাকিস্তান সৃষ্টির পক্ষে ভোট দেয়; অখণ্ড ভারতকে ভেঙ্গে পাকিস্তান-বাংলাদেশ দখলের পর তাদের পরবর্তী লক্ষ্য সমগ্র ভারত দখল করা, পদ্ধতি একটাই- জনসংখ্যা বাড়িয়ে ভোটের বাক্সে প্রভাব ফেলে ক্ষমতা দখল, যার ফল ইতোমধ্যে তারা পেয়েছে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ এবং কেরলে; হিন্দুরা মুসলমানদের এই সূদুর প্রসারী লক্ষ্য সম্পর্কে না জানলে যে মুসলমানরা ১ হাজার বছর পর হলেও ভারত দখল করবে, তাতে বিন্দু মাত্র সন্দেহ নেই।

১৯৪৭ সালে নেহেরু এবং তার দল কংগ্রেস, অখণ্ড ভারতের ২৩% মুসলমানের জন্য ৩০% ভূমি দিয়ে পাকিস্তান বানিয়ে দেওয়ার পরও, দেশ ভাগের চুক্তি অনুসারে ভারতের মুসলমানদেরকে পাকিস্তানে পাঠায় নি; উল্টো ভারতে থেকে যাওয়া মুসলমানরা যাতে ১ হাজার বছর পর হলেও সমগ্র ভারত দখল করতে পারে সেজন্য একই দেশের এ্কই সংবিধানে দুইরকম আইন পাশ করে- হিন্দুদের জন্য এক স্ত্রী এবং বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষমতা নেই কিন্তু মুসলমানদের জন্য চার স্ত্রী এবং যখন তখন তালাক দিয়ে আবার সেই চার সংখ্যাকে পূর্ণ করার পূর্ণ রাষ্ট্রীয় অধিকার। হিসেব সিম্পল, একই সময়ে একজন হিন্দু যে কয়টা বাচ্চার জন্ম দেবে, সেই সময়ে একজন মুসলমান জন্ম দেবে তার ৪/৫ বা ৬ গুন। মুসলমানদের জন্য এই সুবিধা বহাল থাকলে, নেহেরু কংগ্রেসের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করে ভারতের ইসলামিক রাষ্ট্র হওয়া এখন কয়েকশ বছর সময়ের ব্যাপার মাত্র।

মুসলমানদের এই জনসংখ্যা বাড়ানোর থিয়োরির ই একটি পার্ট হলো লাভ জিহাদ এবং এই বিষয়টি প্রথম প্রকাশ পায় ভারতের কেরালায়, যখন এক বছরের মধ্যে ৬ হাজার হিন্দু ও খ্রিষ্টান মেয়ের ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম গ্রহণের খবর সামনে আসে। কেরালায় মুসলমানদের একটি গুপ্ত সংগঠন, সব অবিবাহিত ইয়াং মুসলিম ছেলেদের এই শর্তে একটি করে মোটর সাইকেল দিয়েছিলো যে, যে করেই হোক তাদেরকে একটি করে হিন্দু বা খ্রিষ্টান মেয়েকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করতে হবে। তাদের প্রতি এই নির্দেশ ছিলো যে, একটি মেয়ের পেছনে সর্বোচ্চ ৩ মাস সময় দেওয়ার পর যদি দেখা যায় যে, সে আর লাইনে আসছে না, তখন তাকে ছেড়ে অন্য একটি মেয়ের পেছনে সময় দিতে এবং সফল হয়ে সেই মেয়েটিকে বিয়ে করতে পারলে তার গর্ভে অন্তত ৪টি সন্তানের জন্ম দিতে। কারো সাথে কোনো সম্পর্ক নেই এমন একটি ফ্রেশ মেয়ের পেছনে মোটর বাইক নিয়ে ৩ মাস সময় দিলে মনোবিজ্ঞানের হিসেবে সেই মেয়েটি লাইনে আসতে বাধ্য।

যেকোনো ভাবনা চিন্তা এবং তার চেষ্টার ফল কিছুটা হলেও বাস্তবায়িত হয়ই হয়, কেরালাতে মুসলমানদের এই চেষ্টাও বৃথা যায় নি, কয়েক বছরে কয়েক হাজার অমুসলিম মেয়েকে তারা এমন ভাবে ব্রেইন ওয়াশ করে যে, তারা শুধু ধর্ম-সমাজ-পরিবার ছেড়ে ইসলামিক কালচার বা ধর্মই গ্রহণ করেনি, যৌন দাসী হওয়ার জন্য তাদের কয়েক জন সিরিয়ায় গিয়ে আইএসএসেও যোগ দিয়েছিলো, সংবাদ পত্রে প্রকাশিত সংবাদেই পাওয়া গিয়েছিলো এই খবর।

কেরালায় মুসলমানরা হয়তো একটি সংঘ বদ্ধ প্রয়াস চালিয়ে তার কিছু ফায়দা তুলেছে, কিন্তু সারা পৃথিবীতে মুসলমানদের এরকম সংঘবদ্ধ প্রয়াস না থাকলেও যেকোনো অমুসলিমকে ইসলামে আনার একটি ব্যক্তিগত প্রয়াস সব মুসলিমের মধ্যে আছে এবং এই প্রয়াসকে তারা তাদের পুন্যের কাজ বলে মনে করে এবং তারা এটা বিশ্বাস করে যেকোনো একজন অমুসলিমকে মুসলমান বানাতে পারলে তাদের বেহেশতে যাওয়া নিশ্চিত। বাংলার যেসব হিন্দু ছেলে-মেয়ে মুসলমানদের এই ফাঁদে পা দেয়, তারা তাদের এই সুদূর প্রসারী পরিকল্পনার কথা জানে না, আর সবার পক্ষে এত দূর জানা বা এত দূর চিন্তা করাও সম্ভব নয়।

লাভ জিহাদের ফলে হিন্দুসমাজ কিভাবে ধ্বংস হচ্ছে বা বিলুপ্ত হতে পারে এবার সে ব্যাপারে বলি। যখন কোনো হিন্দু, হিন্দুধর্ম ও সমাজ ত্যাগ করে, তখন স্বামী বিবেকানন্দের মতে শুধু একজন সদস্য যে কমে তাই নয়, হিন্দুসমাজের একজন শত্রুও বাড়ে। হিন্দুসমাজের একজন সদস্য কমে মানে মুসলিম সমাজের একজন সদস্য বাড়ে। এর অর্থ, একজন হিন্দু মারা গেলে, মুসলিম সমাজের তুলনায় শুধু একজন হিন্দু কমে, কিন্তু একজন হিন্দু ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলমান হলে মুসলমান সমাজের তুলনায় প্রথম স্টেপেই দুই জন হিন্দু কমে। তারপর সেই হিন্দু যে সন্তানের জন্ম দেয়, তা মুসলিম সমাজের জনসংখ্যা আরও বাড়ায় এভাবে হিন্দু সমাজের জনসংখ্যা, মুসলমান সমাজের তুলনায় আরও কমে। একজন হিন্দুকে মুসলমানরা যদি মুসলমান বানাতে পারে, সে ছেলে হোক বা মেয়ে হোক, সে হিন্দু সমাজকে দমন করতে মুসলিম সমাজকে সাহায্য করে নানা ভাবে এবং হিন্দু সমাজের জন্য এর কুফল সুদূর প্রসারী।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, মুসলমানদের তুলনায় হিন্দু সমাজের জনসংখ্যা কমলে ক্ষতি কী ? ঠিক এরকমই এক প্রশ্ন তুলে পত্রিকায় এক কলাম লিখেছিলো কোলকাতার মিডিয়া এবিপি এর সম্পাদক সুমন দে, যার চিন্তা ও কর্মেরগুনে এখন সে শেখ সুমন নামেই বেশি পরিচিত।

মুসলিমরা যদি সহাবস্থানে বিশ্বাস করতো, তারা যদি সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতো, তারা যদি একটি সুখী ও সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখতে পারতো, জ্ঞান বিজ্ঞান ও সভ্যতা নির্মানে তাদের যদি কোনো ভূমিকা থাকতো, বেহেশতের ৭২ হুরের আশায় তারা যদি অমুসলিমদের উপর চাপাতি, গুলি, বোমা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদেরকে হত্যা না করতো, তাদের অত্যাচারে হিন্দুদের যদি দেশ ত্যাগ করতে না হতো এবং তারা নিজেরাই যদি একে অপরের মসজিদে ঢুকে বোমা-গুলি মেরে একে অপরকে হত্যা না করতো, তাহলে মুসলমানদের এই জনসংখ্যা বাড়ানো নিয়ে আমার কোনো মাথা ব্যথা থাকতো না, এমনকি তাদের সাথে মিশে তাদের কালচার পালন করতেও আমার কোনো আপত্তি থাকতো না, যেমন- বাল্য ও কৈশোর কালে যখন মুসলমানদের এই সব গভীর ষড়যন্ত্রকে বুঝতামনা, তখন মুসলমানদের সাথে মিশে তাদের ইসলামিক কালচার পালন করেছিও; করেছি কারণ, এখন যেমন বাংলায় আমার মতো বড় হিন্দু খুব কমই আছে, তেমনি আমার বাল্য ও কৈশোর কালে আমার মতো বড় মানবতাবাদীও খুব কমই ছিলো।

কিন্তু আমি বড় হওয়ার সাথে সাথে এবং জ্ঞান বুদ্ধি বাড়ার সাথে উপলব্ধি করলাম আসলে মানবতাবাদের কথা বলে আমি শুধু হিন্দু সমাজের ক্ষতিই করছি, যে হিন্দু সমাজের কৃষ্টি-কালচার মুসলিম সমাজের চেয়ে শত গুন ভালো এবং এমন একটি সমাজের উপকার করছি, যেখানে মানবতাবাদ বলে কোনো কথা নেই এবং তাদের উদ্দেশ্যই হলো পৃথিবীর সকলধর্মকে বিলুপ্ত করে ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করা; যে ইসলাম বর্তমান সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় এক থিয়োরি। ইসলাম বর্তমান সমাজের জন্য শুধু অপ্রয়োজনীয় থিয়োরিই নয়, সম্পূর্ণ ক্ষতিকারক এক বিশ্বাস; কারণ, এই বিশ্বাস, মানুষকে ভালোভাবে বাঁচতে নয়, বিনা কারণে অন্যকে মারতে ও নিজে মরতে শেখায়। জঙ্গী হিসেবে যারা মরছে বা ধরা পড়ছে তাদের কাজ এবং কথাবার্তার মানে বুঝলে আপনারা আমার কথার মর্মকে উপলব্ধি করতে পারবেন। মডারেট মুসলমানরা যতই ইসলামের পক্ষে সাফাই গাক, আমার গবেষণায় আমি দেখেছি, জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদ ই ইসলামের প্রকৃত পথ এবং বেহেশতে যেতে চাইলে জিহাদের নামে সন্ত্রাস না করে কোনো মুসলমানের অন্য কোনো উপায় নেই।

যা হোক, মুসলমানরা সংখ্যায় বাড়লে কী ক্ষতি, এটা বোঝার জন্য অতীত ইতিহাস না ঘাটলেও সাম্প্রতিক বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের হিন্দুদের দিকে এবং লেটেস্ট পশ্চিমবঙ্গের দিকে তাকান, তাহলেই বুঝতে পারবেন। হিন্দুরা এমনিতেই ভদ্র ও সুসভ্য জাতি। একটি হিন্দু শত চেষ্টা করে কোনোরকম ঝামেলায় না জড়াতে, এই ভাবে তারা একটি শান্তিপূর্ণ জীবন যাপনের চেষ্টা বা কামনা করে। তাহলে এই রকম শান্তি প্রিয় এবং ভদ্র জাতির সাথে মুসলমানদের বাস করতে আপত্তি কোথায় ?

অমুসলিমদের সাথে মুসলমানদের বাস করতে কোনো আপত্তি নাই, যদি তারা ভারত বা অন্য কোনো দেশে সংখ্যালঘু হয়, কিন্তু মুসলমানরা নিজেরাই যখন সংখ্যায় বেশি, সেখানে বা সেই দেশে তখন তাদের অন্যের সাথে শান্তিতে বাস করতে আপত্তি আছে। কারণ আর কিছুই নয়, পাছায় মুহম্মদের কামড়। কেননা, মুহম্মদ বলে গেছে, যেখানে তোমরা বিপদের আশংকা করবে, সেখানে সাবধানে থাকবে মানে ভদ্রভাবে থাকবে, কিন্তু যেখানে মুসলমানরা সংখ্যায় বেশি হয়ে নিজেরাই ক্ষমতার মালিক হবে সেখানকার জন্য মুহম্মদের বিধান হলো, যেখানে পাও তাদের হত্যা করো (কোরান, ৯/৫) বা ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম চাইলে তা কখনো গ্রহন করা হবেনা (কোরান,৩/৮৫) বা সমগ্র আরবে (দেশে) যেন ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম না থাকে (মুসলিম হাদিস, ৪৩৬৬) বা পৌত্তলিকদের আরব থেকে তাড়াও (মুসলিম হাদিস, ৮০১৮)।

ইসলামের এই সব বিধানের জন্যই বাংলাদেশ, পাকিস্তান থেকে হিন্দুরা দিনের পর দিন জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত হচ্ছে, নির্যাতিত হচ্ছে, বিতাড়িত হচ্ছে। মুসলমানরা যখন যে দেশে শুধু নয়, যেখানে সংখ্যায় বাড়ে সেখানেই অমুসলিমদের জন্য শুরু হয় এই সব প্রব্লেম। সম্প্রতি সিরিয়ার ঘটনায় ইউরোপের যেসব দেশ মানবতাবাদের ফাঁদে পড়ে মুসলমানদেরকে আশ্রয় দিয়েছে, তারা এর মজা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে, কারণ ঐ সব দেশে ধর্ষণসহ অন্যান্য অপরাধের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে, এমনকি তারা যৌন নির্যাতনের মতো ঘটনা বর্ষবরণের মতো অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে দিবালোকে ঘটাচ্ছে; জার্মানিতে যত মুসলমান আশ্রয় নিয়েছে, তার ৭৮% নাকি কোনো না কোনো অপরাধে গ্রেফতার হয়েছে, এই সব বিবেচনা করে ধর্মকারী সাইটতো একটা নতুন শ্লোগানই চালু করেছে,
“যেখানে মুসলমান যায়, ধর্ষণও বাড়িয়া যায়।”
এবিপির সুমন শেখ এর মতো আপনারা যদি স্বেচ্ছায় মুসলমানদের হাতে নিজের মা, বউ, বোনকে তুলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন, তাহলে দেশে মুসলমান বাড়লে কোনো ক্ষতি নেই, কিন্তু আপনি যদি সেই মনোবৃত্তির লোক না হোন, তাহলে মুসলমানদের সংখ্যা বাড়াতে নিশ্চয় আপনার ভয়ের কারণ আছে, এবং আপনার মাথায় যদি কিছু পরিমান ঘিলু থাকে, আপনি আমার কথার মর্ম বুঝতে পারবেন।

বর্তমানে মানবতাবাদ হিন্দুসমাজের এক মহাব্যাধি। এই ব্যাধি হিন্দুসমাজকে ভেতর থেকে তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছে। কারণ, মানবতাবাদ নামক এই ব্যাধির দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে মুসলমানরা হিন্দুদের মধ্যে ঢুকে হিন্দু সমাজের ভিত্তি মূলে আঘাত করার সুযোগ পাচ্ছে এবং আঘাত করছে। যারা মানবতাবাদে বিশ্বাসী, তাদেরকে বলছি, আপনারা খেয়াল করবেন, যখন মানবতাবাদের কথা বলেন তখন আপনি হিন্দুসমাজের ক্ষতি করেন এবং মুসলিম সমাজের লাভ ঘটান; মুসলিম সমাজের তুলনায় হিন্দুসমাজের কৃষ্টি-কালচার শতগুনে যে শ্রেষ্ঠ সেটাতো একটু আগেই উল্লেখ করেছি, তাহলে আপনারাই বলুন, কেনো একটি শ্রেষ্ঠ কালচারকে ধ্বংস করে একটি নিকৃষ্ট কালচারকে এগিয়ে যাওয়ার পথ আপনি করে দেবেন ?

এ প্রসঙ্গে মুসলমানদেরকে বলছি, আপনারা যদি আমাকে ১০ টি সামাজিক পয়েন্ট উল্লেখ করে হিন্দু ও মুসলিম সমাজ ব্যবস্থার তুলনা করে প্রমান করতে পারেন যে, হিন্দুসমাজের চেয়ে মুসলিম সমাজ শ্রেষ্ঠ, তাহলে আমি ইসলামের সমালোচনা ছেড়ে দিয়ে ইসলাম গ্রহণ করে মুসলমান হয়ে যাবো। কমেন্টে গালা-গাল ছাড়া আপনারা তো কিছুই করতে পারেন না, একটা ছোয়াবের কাজ দিলাম, চেষ্টা করে দেখেন। আরও একটা বিষয় বলে রাখি, যুক্তি-তর্ক-প্রমান দিয়ে আমার মুখ যদি আপনারা বন্ধ করতে না পারেন, তাহলে জাকির নায়েক আপনাদের আত্মবিশ্বাস যতটা বাড়িয়েছে এবং মুসলিম সমাজের যতটা উপকার করেছে, আমি তার দ্বিগুন পরিমানে ইসলামকে নিচে নামিয়ে দিয়ে যাবো, যে কাজ অলরেডি শুরু করেছি। মনে রাখবেন, জাকির নায়েক যদি বুনো ওল হয়, আমি বাঘা তেঁতুল; এখনই তা অনেকে বুঝতে পারছে, যত সময় যাবে তত আরও বেশি করে বুঝতে পারবে। জাকিরের প্রত্যেকটা কুযুক্তিকে খণ্ডন করে লিখা পোস্ট আমি একের পর লিখে নেট-ফেসবুকে পোস্ট করবো।

বলছিলাম মানবতাবাদের কথা, এই মানবতাবাদ ই হলো হিন্দুধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞ ও উদাসীন তথাকথিত শিক্ষিত মেয়েদের লাভ জিহাদের ফাঁদে পড়ার প্রথম স্টেপ। কারণ, বন্ধুত্বের শুরুতেই ধান্ধাবাজ মুসলমানরা হিন্দু মেয়েদেরকে শোনায় মানবতাবাদের উদারবুলি। কিন্তু ইসলামে মানবতাবাদ বলে কোনো কথা নেই, সেখানে একটাই বাদ বা পথ, আর তা হলো ইসলাম।এমনকি ইসলামে দুই ধর্মের মানুষের বিয়ে করারও বিধান নেই (কোরান, ২/২২১)মুসলিম কাউকে বিয়ে করতে হলে অবশ্যই সেই অমুসলিম ছেলে বা মেয়েকে ইসলামকে স্বীকার করে তাকে বিয়ে করতে হবে। এসব না জেনে মুসলমানদের মিথ্যা কথায় বিশ্বাস করে হিন্দু মেয়েরা তাদের প্রেমের ফাঁদে পড়ে, ভাবে, ওর ধর্ম, ও পালন করবে, আমার ধর্ম আমি, প্রব্লেম কী ? এভাবে একটি হিন্দু মেয়ে একটি মুসলিম ছেলের ফাঁদে পড়ে আস্তে আস্তে ইসলামের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। আর এই সময় অনেক হিন্দু পরিবার তাদের ছেলে মেয়েদের সাথে মুসলিম ছেলে মেয়েদের গভীর সম্পর্ক দেখেও মনে করে, এই বয়সে এগুলো হয়েই থাকে, সময় হলে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু সব যে ঠিক হয় না, তা নেট- ফেসবুক বা পত্রিকার পাতার এফিডেফিটের নাম পরিবর্তন বা ধর্মান্তরের খবর দেখলেই বোঝা যায়।

একটি ছেলে বা মেয়েকে এসব ভুল ভাল বুঝিয়ে তার ব্রেইন ওয়াশ করিয়ে যখন তাকে তার পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে, তখন ই মুসলিম পরিবারে শুরু হয় আসল খেলা। ছেলের ক্ষেত্রে ধর্মান্তরের বিষয়টি আগে থেকে নিশ্চিত থাকলেও হিন্দু মেয়ের ক্ষেত্রে বিষয়টি ততক্ষণ গোপন রাখা হয়, যতক্ষণ মেয়েটিকে মুসলমানরা হিন্দু পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে নিজেদের কব্জায় নিতে না পারছে। যখন মুসলমানরা বুঝতে পারে, হিন্দু মেয়েটির আর ফেরার পথ নেই, তখনই শুরু হয় প্রকৃত খেলা- প্রথমে নাম পরিবর্তন করে কনভার্ট, তারপর বিয়ে, তারপর বোরকা, নামায, রোযা সহ নানা ইসলামিক অনুশাসন একের পর এক চাপতে থাকে মেয়েটির উপর; অসহায় ঐ হিন্দুমেয়েটি বেঁচে থাকার তাগিদে এসব না মেনেও পারে না। কারণ, এই ফাঁদ থেকে সে বের হয়ে যাবে কোথায় ? হিন্দু সমাজ তো আগেই তার ফেরার সব পথ বন্ধ করে রেখেছে! এই সেই হিন্দুসমাজ, যে সমাজ নিজেদের ভুলের তৈরি মাথা ব্যথাকে নিজেরা ভালো করতে না পেরে সেই মাথাটাকেই কেটে ফেলে, কিন্তু এভাবে যে সমাজ আস্তে আস্তে ক্ষয়ে যাচ্ছে, ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, সেটা নিয়ে অধিকাংশ হিন্দুরই কোনো মাথা ব্যথা নেই।

লাভ জিহাদের ব্যাপারে মানুষ আগের চেয়ে বেশ সচেতন হয়েছে। গ্রামে এই ধরণের ঘটনা অনেক কমে এসেছে, গ্রামের যে মেয়েরা এই ফাঁদে পড়ে ধর্মান্তরিত হচ্ছে, তা ঘটছে শহরের কলেজ, ইউনিভার্সিটিতে পড়তে এসে বা পড়াশুনা শেষে অফিসে চাকরি করতে গিয়ে, ফলে লাভ জিহাদের ঘটনা ঘটছে প্রায় ৯৫% ক্ষেত্রে শিক্ষিত মেয়েদের মাধ্যমে। ২০১৫ সালে খুলনা ইউনিভার্সিটিতে ৫৭ জন হিন্দু মেয়ে লাভজিহাদের মাধ্যমে ধর্মান্তরিত হয়; দেশের ৩৭ টি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়, ৬০ টির মতো বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়, প্রায় ৫০০ এর মতো উচ্চমাধ্যমিক কলেজ, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতি বছর গড়ে যদি ১০ টি করে ঘটনা ঘটে, তাহলে বছরে হিন্দুসমাজ কী পরিমাণ ক্ষয় হচ্ছে একবার চিন্তা করুন।

আমাদের হিন্দু যুবকদের উদ্দেশ্যে বলছি, এখনও এ বিষয়ে যদি সচেতন না হোন এবং ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মতো যদি নিঃস্বার্থভাবে এখনও এ ব্যাপারে কাজ না করেন, তা হলে আর কিছুদিন পর হয়তো বিয়ে করার জন্য হিন্দু মেয়ে খুঁজে পাবেন না। আর যদি মুসলিম মেয়েদেরকে বিয়ে করতে যান তো প্যাঁচে পড়ে আপনাকেও মুসলমান হয়ে বাঁচতে হবে, উল্টো লাভ হবে মুসলিম সমাজেরই। এটাও মুসলমানদের একটা ষড়যন্ত্র যে হিন্দু সমাজের মেয়ে কমিয়ে বা হিন্দু ছেলেদের সাথে মুসলিম মেয়েদের প্রেম করার সুযোগ তৈরি করে দিয়ে তাদেরকে ফাঁদে ফেলে মুসলমান বানানো। বাংলাদেশে এই ধরণের ঘটনা বহু আছে, চোখ কানের সাথে সাথে আপনার কমন সেন্সটাকে কাজে লাগাবেন তাহলেই বুঝতে পারবেন, কোনো মুসলমান মেয়ের সাথে প্রেম করতে চাইলে বা করলে কেনো আপনার মুসলিম বন্ধুরা খুব বেশি বাধা দেয় না বা মাইন্ড করে না বা ক্ষেত্র বিশেষে সুযোগও তৈরি করে দেয় ? কারণ, আপনি না জানলেও ওরা জানে যে, এটা একটা ফাঁদ, আর ওরা এই অপেক্ষাতেই থাকে যে কখন আপনি সেই ফাঁদে পা দেবেন। আমার জীবনে এই সব ঘটনা বহু ঘটেছে, তখন বুঝতে না পারলেও এখন তাদের প্রতিটি আচরণের কারণ বুঝতে পারি।

একটি শিক্ষিত মাথা- একটি পরিবার, সমাজ বা সেই জাতির সম্পদ। হিন্দু সমাজের টাকা পয়সা ব্যয় করে যখন সেই সম্পদটাকে তৈরি করা সম্পন্ন হচ্ছে, তখন ই সেই তৈরি সম্পদটাকে মুসলমানরা একটা মেয়ে বা ছেলের মাধ্যমে তাকে মুসলমান সমাজের সম্পদ বানিয়ে নিচ্ছে। এটা হিন্দু সমাজের জন্য কত বড় ক্ষতির কারণ, তা একবার চিন্তা করেছেন ? একটা সমাজ তার অস্তিত্ব টিকিয়েই রাখে তার মেধাবী সন্তানদের বুদ্ধি ও কর্মের জোরে; ৩০ তম বিসিএসএর এই চারটি মেয়ে বা যারাই এখন হিন্দু সমাজ ত্যাগ করছে সবাই কলেজ ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া শিক্ষিত ছেলে মেয়ে, এখন হিন্দু সমাজের এই মেধাগুলোই যদি হিন্দু সমাজে না থাকে বা তাদেরকে যদি হিন্দু সমাজ ধরে রাখতে না পারে তাহলে এই সমাজটিকবে কিভাবে ?

লাভ জিহাদের ফাঁদে পড়ে ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য আমি সরাসরি সেই ছেলে বা মেয়েগুলোকে দোষ দিই না, দোষ দিই সমাজকে, যে সমাজ তাদের ছেলে মেয়েদেরকে রক্ষা করতে পারে না বা আটকে রাখতে পারে না।

মুসলিম সমাজ একটি শক্তিশালী সমাজ, সেই সমাজকে আঘাত করে তার কিছু মাত্র ক্ষতি করার ক্ষমতা পৃথিবীর খুব কম সমাজেরই আছে, তাহলে হিন্দু সমাজের সেই শক্তি নেই কেনো ? শক্তি নেই, কারণ, সমাজ নিয়ে ভাবার লোক হিন্দু সমাজে নেই বললেই চলে; কারণ, প্রত্যেককেই তাদের নিজের জীবন-ক্যারিয়ার-পরিবার নিয়ে ভাবতে হয়, তাই তাদের পক্ষে সমাজ নিয়ে খুব বেশি ভাবা তার জন্য কোনো অবদান রাখা সম্ভব হয় না। আর যাদের সমাজ নিয়ে ভাববার কথা বা যাদের এই দায়িত্ব সেই সাধু-সন্ন্যাসী-মহারাজরা ভাবেন তো শুধু নিজেদের মোক্ষ বা মুক্তি নিয়ে; তাই হিন্দুদের টাকা দিয়েই মাদার তেরেসা ভারতের লক্ষ লক্ষ হিন্দুকে খ্রিষ্টান বানিয়ে গেলেও কোনো হিন্দুধর্মীয় সংগঠন বা আশ্রমের তাতে ঘুম ভাঙে না, এই নপুংসকদের আস্তানাগুলোর আর টিকে থাকার প্রয়োজন বা অধিকার আছে কিনা, তা আমি সবাইকে ভেবে দেখার জন্য অনুরোধ করছি।

এ পর্যন্ত দুই বাংলায় যত মেয়ে লাভজিহাদের ফাঁদে পড়ে ধর্মান্তরিত হয়েছে, তাদের সবাই এক সময় তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে, কিন্তু তাদের কোনো উপায় নেই বলে বা ফেরার পথ নেই বলে তারা আর ফিরতে পারেনি; কারণ, ভুল শোধরানোর কোনো উপায় হিন্দু সমাজ রাখে নি, ফলে সেই মেয়ে গুলোকে যাপন করতে হয়েছে বা হচ্ছে এক যন্ত্রণাময় জীবন, বেঁচে থাকার জন্য অনেককে বেছে নিতে হয়েছে পতিতা বৃত্তির পেশা, এই মেয়েগুলোকে কি আমরা আবার হিন্দু সমাজে ফিরিয়ে আনতে পারি না ?

কলেজ ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া হিন্দু মেয়ে, যারা অলরেডি লাভ জিহাদের ফাঁদে পড়েছেন বা পড়তে যাচ্ছেন বিশেষ করে তাদের উদ্দেশ্যে বলছি- অনেক সাধ স্বপ্ন নিয়ে বাবা মা তাদের মেয়েদের কলেজ ইউনিভার্সিটিতে পাঠায়, একটি মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করে কিভাবে তাদের সেই স্বপ্নকে আপনারা ধুলিস্যাত করতে পারেন ? হয়তো অনেকক্ষেত্রে বন্ধুত্ব থেকে প্রেম বা শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন, ভাবেন আর তো ফেরার পথ নেই। কিন্তু এই কথা ভাবেন কেনো ? একবারও কি মনে পড়ে না নতুন জীবনে সুখী হওয়ার জন্য মা বাবার আশীর্বাদ দরকার ? একটা মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করে আপনারা যে জীবন শুরু করেন বা করবেন, আপনারা কি জানেন সেই জীবন কত অভিশাপে ভরা ? এত অভিশাপ নিয়ে কেউ কি কখনো সুখী হতে পারে ? যারা লাভ জিহাদের ফাঁদে পড়ে ধর্মান্তরিত হয়েছে, খোঁজ নিয়ে দেখুন তারা কেউ জীবনে সুখী হয় নি, কেউ সুখে নেই।

যারা শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে বেশি ভাবেন, তাদের জন্য বলছি, আপনি যদি কলেজ ইউনিভার্সিটিতে পড়ে থাকেন, তাহলে নিশ্চয় আপনার কলেজ ইউনিভার্সিটিতে পড়া কোনো ছেলের সাথেই বিয়ে হবে, আর এটা জেনে রাখুন, ইউনিভার্সিটিতে পড়া কোনো ছেলে আর এটা বিশ্বাস করে না যে কলেজ ইউনিভার্সিটিতে পড়ার পরও কোনো মেয়ে আর ভার্জিন থাকে; শুধু তাই ই নয়, এখনকার প্রায় সব ছেলে এটা বিশ্বাস করে যে কলেজ ইউনিভার্সিটিতে পড়লে ওরকম প্রেম বন্ধুত্ব হয়েই থাকে, বিয়ের পর দাম্পত্য জীবনে তার কোনো প্রভাব না পড়লেই হলো।

একটা গবেষণায় এটাও দেখা গেছে যে, বাংলাদেশের ৮৪% মেয়ে ১৮ বছর বয়সের মধ্যে কোনো না কোনো ভাবে বিয়ের পূর্বেই তাদের ভার্জিনিটি হারায়, কিন্তু কখনো কি এমন শুনেছেন যে, বাসর রাতে কুমারী না পাওয়ায় কোনো স্বামী তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছে ? সুতরাং কলেজ ইউনিভার্সিটিতে পড়তে গিয়ে মুসলিম ছেলেদের সাথে বন্ধুত্ব, প্রেম, ফিজিক্যাল যা হোক না কেনো এটা নিয়ে এত সিরিয়াসলি ভাবার কিছু নেই; সিরিয়াসলি ভাববেন আপনার পড়াশুনা, ক্যারিয়ার এবং মা বাবা ও পরিবারের সম্মান নিয়ে, যে সমাজে আপনি জন্ম নিয়েছেন, যে সমাজ আপনাকে বড় করেছে, ভাববেন তার সমৃদ্ধি নিয়ে।

আপনি হয়তো ভাববেন, ওকে ভালোবাসি, ওকে কথা দিয়েছি, এই প্রতিজ্ঞা থেকে আমি সরতে পারবোনা। এটাও হিন্দুসমাজের ছেলে মেয়েদের একটা বড় দুর্বলতা। আপনি যাকে ভালোবাসেন বলে ভাবছেন, তার ফাঁদে পা দিলে কিছুদিন পর আপনি বুঝতে পারবেন যে, সে আপনাকে ভালোই বাসে না বা সে আগে থেকেই বিবাহিত। কাবুলিওয়ালার বাঙালি বউ খ্যাত সুস্মিতার জীবনেই শুধু এমন ঘটনা ঘটেনি, এই বাংলাদেশের ও বহু হিন্দুমেয়ের জীবনে এমন ঘটনা ঘটেছে, নেট ফেস বুক চালান, একটু চোখ কান খোলা রাখলেই এসব ঘটনা জানতে পারবেন।

তাছাড়াও বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর মুসলমানরা কীরকম অত্যাচার করেছে এবং করছে, সেগুলো কি আপনাদের চোখে পড়ছে না বা পড়ে না ? ১৯৪৬ সালের কোলকাতার ডাইরেক্ট এ্যাকশন ডে বা নোয়াখালির হিন্দু হত্যার ইতিহাসের কথা জানেন ? জানেন ১৯৫০ সালে এই পূর্ববঙ্গ থেকে কিভাবে এক মাসে প্রায় ৫০ লক্ষ হিন্দুকে মুসলমানরা বিতাড়িত করেছিলো ? এই প্রশ্ন কি কখনো মাথায় আসে না যে, ১৯৪৭ এর ২৯% হিন্দু কেনো বর্তমানে ৯% এর নিচে ? এই রকম একটি শত্রু জাতির ছেলের সাথে কেনো আপনাকে বন্ধুত্ব বা প্রেম করতে হবে আর কেনোই বা তার বিছানায় গিয়ে নিজের কাপড় খুলে দিতে হবে ?

সবচেয়ে বড় কথা যে ইসলামে আপনি কনভার্ট হতে চান বা চাচ্ছেন, জানেন কি সেই ইসলামে নারীর মর্যাদা আসলে কতটুকু ? জানেন, আপনার পেয়ারের মুসলিম স্বামী যখন তখন উইদাউট নোটিশে আরো এক বা একাধিক মেয়েকে বিয়ে করে আপনাকে সতীনের সংসারে নরক যন্ত্রণায় ফেলতে পারে ? যখন তখন আপনাকে তালাক দিয়ে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দিতে পারে ? আপনি হয়তো ভাবছেন, না ও ওসব করবে না। ওসব যদিও না করে, সেটা হবে হিন্দু সমাজের প্রভাবে; কারণ, ইসলামের মূল থিয়োরিতে এসব নেই। তো হাতের নাগালে হিন্দু সমাজ থাকতে আপনি তার প্রভাবে বাঁচতে যাবেন কেনো ? আর আপনি যদি মুসলমানদের কথায় এতই বিশ্বাস করেন, তাহলে আমি নিশ্চিত, আপনি মুসলমানদের চরিত্র সম্পর্কে কিছুই জানেন না; কারণ, প্রত্যেকটা মুসলমান এক একজন জাত ক্রিমিনাল, এরা জন্মসূত্রেই মিথ্যা বলা এবং খুন, ধর্ষণের প্রবণতা নিয়ে জন্মে; না হলে মুসলমানদের মধ্যে এত অপরাধ প্রবণতা কেনো ? মুসলমানদের কথার কোনো দাম নেই, কারণ তাদের নবী কথা দিয়ে কথার কোনো মূল্য রাখতো না। কি বিশ্বাস হচ্ছে না ? দেখুন নিচের এই হাদিস-
“আল্লাহর ইচ্ছায়, যদি আমি কোন ব্যপারে শপথ করি আর পরে দেখি এর চেয়ে ভাল কিছু আছে তখন আমি যেটা ভাল মনে করি সেটাই করি আর তখন পূর্বেকার শপথ রক্ষার কোন দরকার মনে করিনা।”( সহি বুখারী, বই – ৬৭, হাদিস-৪২৭)
সেই মুহম্মদের উম্মত আপনাকে দেওয়া কথার মূল্য রাখবে, সেটা আপনি ভাবলেন কিভাবে ? হ্যাঁ রাখতে পারে, যতক্ষণ সে আপনাকে ভোগ করতে না পারছে বা ইসলামে কনভার্ট করতে না পারছে। সুতরাং ইসলামে যাওয়ার আগে ইসলাম সম্পর্কে আগে ভালো করে পড়াশুনা করে ভেবে সিদ্ধান্ত নিন, কিন্তু খবরদার ইসলাম সম্পর্কে জানতে গিয়ে কোনো মুসলমানের কথা কখনো বিশ্বাস করবেন না; কারণ, তারা ইসলাম সম্পর্কে যা বলে বা বলবে তার ৯০% মিথ্যা।

অনেক হিন্দু মেয়ের মধ্যে এই ধারণা থাকতে পারে যে, মুসলিম পুরুষদের যৌনশক্তি বেশি তাই তাদের কাছে গেলে বেশি সুখ পাওয়া যাবে। যারা এটা ভাবে, তাদের জন্য বলছি, খতনার যদি কোনো উপকারিতা থাকতো এবং এটা স্বাভাবিক হতো তাহলে পৃথিবীর সব পুরুষ প্রাণীরই প্রাকৃতিক ভাবে খতনা করানো থাকতো। আপনারা কি জানেন, খতনা করানোর ফলে লিঙ্গের সেন্সিভিটি নষ্ট হয়, ফলে খতনা করানো পুরুষ এবং ঐ পুরুষ যার সাথে সেক্স করছে কেউই কখনো প্রকৃত সুখ পায় না ? মুসলিম পুরুষরা এই খতনার কারণেই বহুগামী; কারণ তারা কোনো যোনীতেই পূর্ণ সুখ পায় না, তাই তারা একের পর এক যোনীতে লিঙ্গ প্রবেশ করিয়ে পরীক্ষা করতে থাকে, প্রকৃত সুখ আসলে কোথায়, কিন্তু নিজের লিঙ্গেই যেকোনো সুখ নেই, সেটা তারা বোঝে না। খতনা করানো লিঙ্গ আসলে একটা অনুভূতিহীন দণ্ড বা আঙ্গুলের মতো। এই ধরণের লিঙ্গের চেয়ে যোনীতে আঙ্গুলের ব্যবহার বা বাজারের কৃত্রিম লিঙ্গ ডিলডোর ব্যবহার অনেক বেশি সেফ এবং সুখদায়ক।

সনি টিভির ক্রাইম পেট্রোল সতর্কতে দেখলাম, ভারতের উত্তরপ্রদেশের একটি মেয়ে একটি ছেলের প্রেমে পড়ে তার পরিবারের সম্মান ধুলায় মিশিয়ে দিচ্ছিলো বলে, মেয়েটির বাবা, সেই ছেলেটি কে নয়, আগে মেয়েটিকে গুলি করে মেরে ফেললো, যদিও সেই ছেলেটি ঘটনাচক্রে আকস্মিক ভাবে বেঁচে যায়, কিন্তু মেয়েটির বাবা ইচ্ছা করলে ছেলেটিকেই আগে গুলি করতে পারতো, কিন্তু মেয়েটির বাবা বুঝতে পারছিলো যে মূল দোষ তার মেয়ের; কারণ, মেয়েটিই বার বার বলছিলো, ওর সাথে আমাকে যেতে দাও, ওকে ছাড়া আমি বাঁচবো না ইত্যাদি ইত্যাদি। প্রেমে পড়লে এমন হয়। তাই বলে প্রেম করতে নিষেধ করছি না, প্রেম করেন, সেফ সেক্স করেন, কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু নিজের পরিবার এবং হিন্দু সমাজের সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়ার আগে একটু ভাববেন, আপনাকেই যেন আপনার বাবা বা ভাইয়ের হাতে জীবন দিতে না হয়। জীবন একটাই, সেই জীবন হারানোর চেয়ে যেকোনো ভাবেই হোক বেঁচে থাকা ভালো।

মনের মানুষকে না পেলেও দুই এক বছরের মধ্যে সেই শোক কাটিয়ে উঠা যায়, কিন্তু হিন্দুসমাজ থেকে আপনাকে হারানোর শোক আপনার পিতা মাতা ভাই বোন আত্মীয়স্বজন মৃত্যু পর্যন্ত ভুলতে পারবে না। সুতরাং এই বিষয়টি মাথায় রেখে আপনার জীবনের প্ল্যান করবেন, যাতে আপনার দ্বারা আপনার পরিবার এবং হিন্দুধর্ম ও সমাজ উপকৃত হয়, তাতেই আমাদের সবার মঙ্গল।

জয়হিন্দ।
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।

উপরে উল্লেখ করা রেফারেন্স গুলো : ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম চাইলে কখনো তা গ্রহণ করা হবেনা- কোরান, ৩/৮৫ অতএব হারাম মাস যখন অতিবাহিত হয়ে যাবে, তখন মুশরিকদের হত্যা কর যেখানেই তাদের পাও এবং তাদের ধরো, ঘেরাও করো এবং তাদের প্রতিটি ঘাঁটিতে তাদের খবরা খবর নেওয়ার জন্য শক্ত হয়ে বসো। অতঃপর তারা যদি তওবা করে, নামায কায়েম করে ও যাকাত দেয়, তাহলে তাদেরকে তাদের পথ ছেড়ে দাও। আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল ও করুনাময়।– কোরান, ৯/৫ তোমরা মুশরিক নারীদেরকে কখনো বিবাহ করবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা ঈমান না আনবে। বস্তুত একজন ঈমানদার ক্রীতদাসী সম্ভ্রান্ত মুশরিক অপেক্ষা অনেক ভালো। যদিও এই শেষোক্ত নারীকেই তোমরা পছন্দ করে থাকো। অনুরূপভাবে নিজেদের কন্যাকেও মুশরিক পুরুষদের সাথে বিবাহ দেবে না, যতক্ষণ না তারা ঈমান না আনে।কেননা, একজন ঈমানদার ক্রীতদাস, উচ্চ বংশীয় মুশরিক অপেক্ষা অনেক ভালো। - কোরান, ২/২২১

No comments:

Post a Comment