Sunday 23 August 2020

জঙ্গীদের বোধোদয় :


জঙ্গীদের বোধোদয় :

ফটোপোস্টে দেখুন সেলিম মালিক সেখ, প্রশ্ন করেছে- আসল জঙ্গী কারা ?

-তার মানের সারা পৃথিবীর মানুষ যে মুসলমানদেরকে জঙ্গী সন্ত্রাসী মনে করে, সেটা মুসলমানরা বুঝতে পেরেছে, এখন নিজেদের জঙ্গী বদনামকে ঘুচানোর জন্য অন্যদেরকে জঙ্গী প্রমাণ করার চেষ্টা করছে এবং এই খেলায়, যেহেতু হিন্দুদেরকে মুসলমানরা ঘোর শত্রু মনে করে, সেহেতু তাদের প্রধান টার্গেট হিন্দুরা, তাই হিন্দু ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে হিন্দুদেরকে জঙ্গী প্রমাণ করার এই অপচেষ্টা। কিন্তু যে বা যারা মুসলমানদের মতো হারামাজাদা নয়, তাদেরকে হারামজাদা বললেই যেমন, তারা হারামজাদা হয়ে যাবে না, তেমনি হিন্দুদেরকে জঙ্গী বললেই তারা জঙ্গী প্রমাণ হয়ে যাবে না।

যা হোক, এই জঙ্গী সেলিম মালিক সেখ, হিন্দুদেরকে জঙ্গী প্রমাণ করতে অথর্ববেদের একটি রেফারেন্স দিয়েছে এইভাবে- অথর্ববেদ ১২ নং কাণ্ড ৫ নং শ্লোক ৬২ নং মন্ত্র! কিন্তু মূর্খ হলে যা হয়, একটি রেফারেন্সও ঠিক মতো দিতে পারে না; হরফ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত অথর্ববেদ, কাণ্ড>অনুবাক>সূক্ত>মন্ত্র, এই ভাবে সাজানো এবং অগ্নিবীর কর্তৃক প্রকাশিত অনলাইন বেদে অথর্ববেদ, কাণ্ড>সূক্ত>মন্ত্র, এই ভাবে সাজানো। রেফারেন্স দেওয়ার সময় এই কোনোটিকেই এই জঙ্গী ফলো করে নি, তাই তার এই রেফারেন্স খুঁজতে গিয়ে হয়রান। শেষ পর্যন্ত ১২/৫/৬২ কে ভিত্তি ধরে অগ্নিবীরের অনলাইন বেদ, যেটার অনুবাদ ড. তুলসীরাম শর্মা, সেখানে গিয়ে যে মন্ত্রটি পেলাম, সেটা হলো-

"বৃশ্চ প্র বৃশ্চ সং বৃশ্চ দহ প্র দহ সং দহ"

এর অনুবাদ হিসেবে তুলসীরাম শর্মা লিখেছেন- "গো দেবতাদের ব্যাপারে যারা সীমালঙ্ঘন করে এবং যারা তাদের সমর্থক, তাদেরকে উপড়ে ফেলো, কেটে ফেলো, পুড়িয়ে ধ্বংস করে ছাই বানিয়ে দাও।"

তার মানে এই মন্ত্রটি পুরোটাই গরুর উপর ভিত্তি করে রচিত। জঙ্গী সেলিম মালিক সেখ যেমন বলেছে যে- বেদনিন্দুকদেরকে কাটো, মারো, জ্বালিয়ে ফুক দিয়ে ভস্ম করে দাও, ব্যাপারটি সেকরম কিছু নয়।

এরপর জঙ্গী সেলিম মালিক সেখ নাক সিটকিয়ে বলেছে- আবার তারাই বলে হিন্দুত্ব মানবতা শেখায়।

-হিন্দুদের ধর্ম সনাতন ধর্ম প্রকৃতপক্ষেই মানবতা শেখায়; কারণ, সনাতন ধর্মের বাণীই হলো- 

“পরদ্রব্যেষু লোষ্ট্রবৎ” অর্থাৎ, পরের দ্রব্যকে মাটির ঢেলার মতো জানবে।

এবং 

“মাতৃবৎ পরদারেষু, কন্যাবৎ পরকন্যাষু” অর্থাৎ, পরের স্ত্রী কন্যাদের মায়ের মতো দেখবে।

এছাড়াও মহামুনি বেদব্যাস বলেছেন-

"পরোপকারঃ পুন্যায়, পাপায় পরপীড়নম্।"

এর অর্থ : অন্যের উপকার করা ধর্ম, অন্যকে পীড়া দেওয়া অধর্ম।

পৃথিবীর সকল অপরাধের মূল এই অন্যের ধন সম্পদ এবং অন্যের নারী, এই দুটো ব্যাপারে আগ্রহ সনাতন ধর্মে একেবারে জিরো করে দেওয়া হয়েছে এবং অন্যকে যেকোনোভাবে পীড়া দেওয়া যে অধর্ম, সেটাও বলে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়গুলো যে ব্যক্তি মেনে চলবে, একমাত্র সে ই পৃথিবীতে মানুষ বলে গণ্য হবে। এসবের প্রেক্ষিতে এখন জঙ্গী সেলিম মালিক সেখকে জিজ্ঞেস করছি, এসব বাণী কি মানবতা শেখায় না ? এসবের বিপরীতে ইসলাম থেকে এমন একটা বাণী দেখা, যেটা মুসলমানদেরকে মানবতা শেখায়, যদি দেখাতে পারিস, ইসলামের সমালোচনা ছেড়ে দিয়ে আমি মুসলমান হয়ে যাবো, এটা আমার প্রতিজ্ঞা, তোর নবী মুহম্মদের প্রতিজ্ঞা নয়, যে নবী বলেছে-

“আল্লাহর ইচ্ছায়, যদি আমি কোন ব্যপারে শপথ করি আর পরে দেখি এর চেয়ে ভাল কিছু আছে তখন আমি যেটা ভাল মনে করি সেটাই করি আর তখন পূর্বেকার শপথ রক্ষার কোন দরকার মনে করি না।(সহি বুখারী, বই – ৬৭, হাদিস-৪২৭”)

আমি তোর নবীর মতো এত নীতিহীন নয় যে, বেটার অপশন পেলে প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করবো।

যা হোক, এরপর জঙ্গী সেলিম মালিক সেখ মন্তব্য করেছে-

"যেই ধর্মের ভগবান উগ্রবাদী, ওই ধর্ম আবার মানবতা শেখায় না, ওই ধর্মে শেখায় মানুষ হত্যা করা। ভগবান উগ্রবাদী তাদের ভক্তরাও উগ্রবাদী সন্ত্রাসী জঙ্গী হবে, এটাই স্বাভাবিক।"

-সনাতন ধর্ম যে মানবতা শেখায়, সেটা আগেই প্রমাণ করে দিয়েছি। আর সনাতন ধর্মের ভগবান উগ্রবাদী তাদের ক্ষেত্রে, যারা মানুষ নয়, মুসলমানদের মতো অমানুষ, জানোয়ার। মানুষরূপী অমানুষ জানোয়ারদেরকে দমন না করলে যেহেতু তারা মানুষদের উপর অত্যাচার করে, নির্যাতন ক'রে তাদের শান্তিকে বিঘ্নিত করে, তাই সনাতন ধর্মের ভগবান, সেই সকল অমানুষ, জানোয়ারদের ব্যাপারেই উগ্রবাদী, ভালো মানুষদের ক্ষেত্রে নয়; সাধারণ ভালো মানুষকে সে যে রক্ষা করে, সে কথা তিনি নিজেই গীতায় বলেছেন, এভাবে-

"পরিত্রানায় সাধুনাং বিনাশায় চ দুষ্কৃতাং।

অর্থাৎ সাধুদের আমি রক্ষা করি, আর দুষ্কৃতকারীদেরকে বিনাশ করি।

তো এ ব্যাপারে জঙ্গী সেলিম মালিক সেখ এর এতো গা জ্বালা করছে কেনো ? মরুভূমির বর্বরের অনুসারী অধর্মী হওয়ায় সনাতন ধর্মের ভগবানের হাতে সে কি নিজের বিনাশ দেখতে পাচ্ছে ? 

এরপর এই জঙ্গী প্রশ্ন করেছে- হিন্দুধর্ম মতে দুষ্কিতি (কাফের) কারা ?

এই প্রশ্নের জবাবে সে নিজেই গীতার ৭/১৫ নং রেফারেন্স দিয়ে বলেছে, যারা শ্রীকৃষ্ণের পূজা করে না, তারা সবাই দুষ্কৃতি অর্থাৎ কাফের।

এখানে দুষ্কৃতি ও কাফের শব্দকে যদিও এই জঙ্গী প্রায় সমার্থক করে ফেলেছে, কিন্তু এই দুটি শব্দের মধ্যে সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। যারা ইসলামকে বিশ্বাস করে না, তারা কাফের। আর কাফেররা ইসলাম অনুযায়ী হত্যা যোগ্য। কিন্তু গীতায় যাদেরকে দুষ্কৃতি বলা হয়েছে, তারা প্রথমতই হত্যাযোগ্য নয়, শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন এই দুষ্কৃতিরা যদি তার শরণ নেয়, তিনি তাদেরকেও ক্ষমা করে দিয়ে উদ্ধার করবেন।

এই দুষ্কৃতি প্রসঙ্গে এই জঙ্গী নাক সিটকিয়ে বলেছে- এই সব ভগবানের ভক্ত, তারাই আবার বলে মুসলিমরা জিহাদী জঙ্গী তাদের কুরানে লিখা আছে কাফেরদের মেরে ফেলতে হবে।

এরপর সে বলেছে- একজন হিন্দু ভাই কুরানের একটা আয়াত দেখান তো যেইখানে আপনার ভগবানের মতো এমন কথা বলা হয়েছে ?

-এই যে তুই হিন্দুদেরকে 'ভাই' ব'লে সম্বোধন করলি না, এতেই প্রমাণিত হয়, ইসলাম সম্পর্কে তুই কিছুই জানিস না। কোরানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, কোনো অমুসলিমকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না, দেখ নিচের আয়াতগুলি-

"হে ঈমানদার লোকেরা, ইহুদি ও ঈসায়ীদের নিজেদের বন্ধু রূপে গ্রহণ করো না। তারা নিজেরা পরস্পরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে কেউ যদি তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহন করে, তাহলে সে তাদের মধ্যেই গন্য হবে।"- (কোরান, ৫/৫১)

অর্থাৎ, কোনো মুসলমান যদি কোনো অমুসলিমকে বন্ধু হিসেবে মনে করে, তাহলে সেই মুসলিমের আর ঈমা্ন থাকবে না, সে অমুসলিমদের দলে পড়ে যাবে। এছাড়াও যেসব মুসলিম কাফেরদেরকে বন্ধু হিসেবে নিতে চায়, তাদের প্রতি আল্লা হুমকি দিয়ে বলেছে-

"হে ঈমানদারগণ, ঈমানদার লোকদের ত্যাগ করে কাফেরদেরকে নিজেদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তোমরা কি আল্লাহর হাতে নিজেদের বিরুদ্ধে দলিল তুলে দিতে চাও।"- ( কোরান, ৪/১৪৪)

শুধু তাই নয়, অমুসলিমরা যে মুসলমানদের সাথে একত্রে বাস করতে পারবে না, সেকথা বলা হয়েছে কোরানের এই আয়াতে, দেখ সেটা-

"পরে এই শহরে তোমাদের সাথে তাদের বসবাসই কঠিন হবে।- (কোরান, ৩৩/৬০)

কোরানে অমুসলিমদের সম্পর্কে যেখানে এই রকম কথা বলা হয়েছে, সেখানে তুই হিন্দুদেরকে ভাই সম্বোধন করে ভালো মানুষ সাজার চেষ্টা করছিস, তুই ইসলামের বাল জানিস, তার মানে তুই ইসলামের কিছুই জানিস না।

কথা প্রসঙ্গে তুই বলেছিস, কোরানে কাফের অর্থাৎ হিন্দুদেরকে হত্যা করার কোনো বিধান নেই, তাহলে দেখ এই সম্পর্কিত কিছু আয়াত, আর ভাব কোরানের এসব আয়াতকে বিশ্বাস করে বা মেনে কারা জঙ্গী, সন্ত্রাসী।

"এই কুরআন পরিপূর্ণ হেদায়েতের কিতাব। আর সেই লোকদের জন্য কঠিন যন্ত্রনাদায়ক আযাব রয়েছে, যারা আল্লাহর আয়াতগুলোকে মেনে নিতে অস্বীকার করেছে।"- (কোরান, ৪৫/১১) 

-তার মানে যারা কোরানের আয়াতকে মেনে না নেবে তাদের জন্য আল্লা শাস্তির ব্যবস্থা রেখেছে এবং এরপর আল্লার রেফারেন্স দিয়ে মুহম্মদ বলেছে-

"আমরা তোমাদের অস্বীকার করেছি এবং আমাদের ও তোমাদের মাঝে চিরকালের শত্রুতা স্থাপিত হয়েছে ও বিরোধ ব্যবধান শুরু হয়ে গেছে, যতক্ষণ তোমরা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান না আনবে।"- (কোরান, ৬০/৪)

এই এক আল্লার প্রতি যারা ঈমান না আনবে, তাদের ব্যাপারে কোরানে বলা হয়েছে-

"তাদের উপর চারেদিক হতে অভিশাপ বর্ষিত হবে, যেখানেই তাদেরকে পাওয়া যাবে, তাদেরকে পাকড়াও করা হবে ও নির্মমভাবে মারা হবে।"- (কোরান, ৩৩/৬১)

এটা কি মুসলমানদের প্রতি হিন্দুদেরকে হত্যা করার নির্দেশ নয় ?

কাউকে হত্যা করতে হলে তো তার বা বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে, এ সম্পর্কে মুসলমানদের প্রতি আল্লার নির্দেশ হলো-

"হে নবী, কাফের ও মোনাফেকদের বিরুদ্ধে পূর্ণ শক্তিতে জেহাদ করো এবং তাদের সম্পর্কে কঠোর নীতি অবলম্বন করো। শেষ পর্যন্ত তাদের পরিণতি হচ্ছে জাহান্নাম।"- (কোরান, ৯/৭৩)

মুহম্মদের অনুসারী মুসলমানদেরকে যে সব সময় কাফেরদের ব্যাপারে কঠোর হতে হবে, সেই কথা বলা হয়েছ নিচের এই আয়াত দুটিতে-

"মুহম্মদ আল্লার রসূল। আর যেসব লোক তার সঙ্গে রয়েছে, তারা কফেরদের প্রতি শক্ত এবং কঠোর।"- (কোরান, ৪৮/ ২৯)

"হে ঈমানদার লোকেরা, যুদ্ধ করো সেই সত্য অমান্যকারী লোকেদের বিরুদ্ধে যারা তোমাদের নিকটবর্তী হয়েছে। তারা যেন তোমাদের মধ্যে দৃঢ়তা ও কঠোরতা দেখতে পায়। আর জেনে নাও আল্লাহ মোত্তাকী লোকদের সঙ্গেই রয়েছে।"- (কোরান, ৯/১২৩)

ইসলাম গ্রহন করে মুসলমান না হলে যে কারো নিস্তার নেই, সেই কথা বলা হয়েছে নিচের এই দুটি আয়াতে-

"কিন্তু বাঁচতে পারবে শুধু তারা, যারা তওবা করবে (অর্থাত ইসলাম গ্রহন করবে), তাদের উপর তোমাদের আধিপত্য স্থাপিত হওয়ার পূর্বে।"- (কোরান, ৫/৩৪)

"তাদের মধ্যে থেকে কাউকে নিজের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যতক্ষণ না সে আল্লাহর পথে (ইসলামে) হিজরত করে আসবে । আর সে যদি হিজরত না করে(অর্থাত ইসলাম গ্রহন না করে), তবে যেখানেই পাবে তাকে ধরবে, তাকে হত্যা করবে এবং তাদের মধ্যে কাউকে নিজের বন্ধু ও সাহায্যকারী রূপে গ্রহন করো না।"- (কোরান, ৪/৮৯) 

এবং কাফের অর্থাৎ অমুসলিমদের ব্যাপারে ইসলামের ফাইনাল নির্দেশ হলো-

"অতএব কাফেরদের সাথে যখন তোমাদের সম্মুখ যুদ্ধ সংঘটিত হবে, তখন প্রথম কাজ হলো গলাসমূহ কেটে ফেলা। এমন কি তোমরা যখন তাদেরকে খুব ভালোভাবে চূর্ণ বিচূর্ণ করে দেবে, তখন বন্দী লোকদেরকে শক্ত করে বেঁধে ফেলবে। অতঃপর অনুগ্রহ প্রদর্শন করবে বা রক্ত বিনিময় গ্রহনের চুক্তি করে নেবে, যতক্ষণ না যুদ্ধে অস্ত্র সংবরণ করে ।"- (কোরান, ৪৭/৪)

এই আয়াতগুলো কি কাফের অর্থাৎ হিন্দুদের সাথে শত্রুতা এবং তাদেরকে হত্যা করার নির্দেশ নয় ?

গীতায় অর্জুনকে যুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছ অধর্মীদের বিরুদ্ধে, আর অধর্মীরা ইসলাম মতে কাফেরদের মতো ইসলামকে অস্বীকারকারী নয়, অধর্মী হলো তারা যারা পরের সম্পদকে নিজের সম্পদ মনে করে এবং পরের স্ত্রী ও কন্যার দিকে কুনজর দেয়, এছাড়াও নানাভাবে যারা অপরকে পীড়া দেয়, তারাই অধর্মী, এই অধর্মীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার নির্দেশই গীতায় দেওয়া হয়েছে।তাই ইসলামের কাফের নিধন আর গীতার দৃষ্কুতি নিধন এক ব্যাপার নয়।

শকুনের মন্তব্যে যেমন গরুর কিছু হয় না, তেমনি তোর মতো মুসলমানদের বাঁকা মন্তব্যেও সনাতন ধর্ম অমানবিক হয়ে যাবে না। সনাতন ধর্ম মানবতার ধর্ম ছিলো, আছে এবং থাকবে। এটা সত্য যে পৃথিবীর যা কিছু খারাপ, যেমন- খুন, ধর্ষণ, লুটপাট, মিথ্যা, চুরি, ডাকাতি সবকিছুই ইসলামের মূল নীতি এবং এই সবকিছুই মুসলমানদের জন্য মুহম্মদের আদর্শ, আমরা শুধু আমাদের ধর্মগ্রন্থই যে পড়ি, তা ই নয়, তোদের কোরান হাদিসও পড়ি, সেকারণে ইসলামের প্রকৃত রূপ আমরা জানি। আর তোরা ইসলামের যে বালও জানিস না, সেটা তো তুই নিজেই প্রমাণ করে দিয়েছিস হিন্দুদেরকে ভাই সম্বোধন ক'রে এবং কোরানে কাফেরদেরকেই হত্যা করার কোনো বিধান নাই ব'লে। আমাদের ধর্মগ্রন্থ আমরা পড়ি কি না, সেটা তুই তখনই জানতে পারবি, যখন তুই সনাতন ধর্ম নিয়ে কোনো কটূক্তি করবি।

শেষে তুই যে বি.দ্রতে বলেছিস- আমার কাজ কোনো ধর্মকে ছোট করা নয়, সত্যিটাকে মানুষের সামনে তুলে ধরা, এই প্রসঙ্গে তোকে বলছি- আমার কাজও সত্যকে মানুষের সামনে তুলে ধরা, আমিও কোনো ধর্মকে ছোট করতে চাই না, যেহেতু পৃথিবীতে সনাতন ধর্ম ছাড়া অন্য কোনো ধর্মই নেই, ধর্মের নামে যেগুলো রয়েছে বা চলছে সেগুলো ব্যক্তিগত মতবাদ মাত্র।

এই বাঁশ খেয়ে তোর যদি লজ্জা না হয়, তাহলে আবার হিন্দুধর্ম নিয়ে কটূক্তি করিস, আর রেডি থাকিস বাঁশ খাওয়ার জন্য।

জয় হিন্দ।

জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।

No comments:

Post a Comment