Thursday, 9 July 2020

দ্রৌপদীর আদর্শ অনুসরণ করে আপনার মা কি পাঁচজনকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিলো ?


#সুদীপা_ঘোষ,
এই যে ম্যাডাম, মহাভারতের দ্রৌপদীর আদর্শ অনুসরণ করে আপনার মা কি পাঁচজনকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিলো ? আপনার মা কি পাঁচজনের সাথে শুতে বাধ্য হতো ? আপনার মায়ের কথা বাদ দিলাম, আপনার কোনো কাকী, মামী বা আপনার কোনো বোন বা আপনার কোনো পরিচিতি হিন্দু মেয়ে বা আপনি কি নিজে দ্রৌপদীর আদর্শ অনুসরণ করে পাঁচজনকে না হোক, দুজনকে কি বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছেন বা দুজনের সঙ্গে শুতে বাধ্য হচ্ছেন ?

এই প্রশ্নের জবাব আপনি এভাবে দিতে বাধ্য হবেন যে- না, এমনটা শুধু আমার সাথে নয়, কারো সাথেই ঘটে নি।

তার মানে দ্রৌপদীর ঘটনাটা কোনো হিন্দু নারী বা হিন্দু সমাজের জন্য আদর্শ নয়, যে কারণে দ্রৌপদীর পরে কোনো হিন্দু নারীর জীবনে এই ধরণের ঘটনা ঘটে নি। তাহলে যে ঘটনাটা সমাজের জন্য কোনো আদর্শ নয়, যা মানতে কেউ বাধ্য নয়, যে ঘটনাটা কারো জীবনে ঘটেও না, সেই ঘটনাকে আপনি উদাহরণ হিসেবে টানবেন কেনো বা সেটা নিয়ে আপনার এত চুলকানী কেনো ?

মহাভারতে দ্রৌপদীর পাঁচজনকে বিয়ে করার ঘটনাটা একটা এ্যাকসিডেন্ট, ধর্মসংকট থেকে বের হয়ে আসার জন্য একটা আপাত ব্যবস্থা মাত্র, এটা কাউকে ফলো করতে বলা হয় নি, এই ঘটনা থেকে শুধু এই শিক্ষা নিতে বলা হয়েছে যে- ধনুক থেকে বের হয়ে যাওয়া তীর যেমন আর ফিরে আসে না, তেমনি মুখ থেকে বের হয়ে যাওয়া কথাও আর ফিরিয়ে নেওয়া যায় না, আর কথা বা শব্দের রয়েছে ভীষণ শক্তি, মানুষ যা মুখ দিয়ে উচ্চারণ করবে, প্রকৃতি সেই ঘটনাটিকে সেভাবেই ঘটিয়ে ফেলবে, তাই কথা বলতে হবে খুব ভেবে চিন্তে এবং সম্পূর্ণ পরিস্থিতি না জেনে কোনো বিষয়ে কোনো রকম মন্তব্য করা যাবে না, করেছেন তো শুধু নিজের জন্যই নয়, আপনি সমাজের জন্যও সমস্যার সৃষ্টি করলেন।

মহাভারতের সম্পূর্ণ কাহিনীটাই শুধুমাত্র কথা বা প্রতিজ্ঞার উপর প্রতিষ্ঠিত। কারণ, সনাতন ধর্মে কথা বা প্রতিজ্ঞার মূল্য ভীষণ । এই কথা বা প্রতিজ্ঞার জন্যই রামায়ণের রাম ১৪ বছরের জন্য বনবাসের জীবন বেছে নেয়, যাতে তার পিতার প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ হয়ে পিতার অধর্ম না হয়; আবার এই কথার জন্যই মহাভারতের ভীষ্ম বিয়ে ও সংসার না করে সারাজীবন ধরে ব্রহ্মচারী থেকে যায়।

যা হোক, পাশা খেলা ছিলো যুধিষ্ঠিরের দুর্বলতা, কেউ পাশা খেলার আহ্বান জানালে যুধিষ্ঠির তা না করতে পারতো না, যুধিষ্ঠিরের এই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে পাশা খেলায় শর্ত রাখা হয় যে- নিজের যা কিছু আছে এবং যার উপর গর্ব আছে, তাকেই বাজি হিসেবে ধরা যাবে এবং উভয় পক্ষ না চাওয়া পর্যন্ত খেলা ছেড়ে উঠে যাওয়া যাবে না। এই শর্তের মধ্যে পড়ে যুধিষ্ঠির এক পর্যায়ে তার পাঁচ ভাই এবং তারপর দ্রৌপদীকেও বাজী রাখতে বাধ্য হয় এবং তাকেও হেরে যায়। এটা নারী জাতির প্রতি অবমাননা নয়, কথা বা প্রতিজ্ঞা রক্ষার জন্য একজন মানুষকে কোন স্তর পর্যন্ত যেতে হতে পারে, তার একটি উদাহরণ। শুধু তাই নয়, পাশা খেলায় সবকিছু হেরে যাবার পর, যদি যুধিষ্ঠির চাইতো তার প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করবে অর্থাৎ অধর্ম করবে, তাহলে সেটা সে করতে পারতো এবং সে হারানো সবকিছু ফিরে পেতে পারতো; কারণ, যুধিষ্ঠির ছিলো চক্রবর্তী সম্রাট, সে যদি আদেশ দিতো, তাহলে ভারতবর্ষের সেই সময়ের ১৬টি রাজ্যের সব রাজা মিলে দুর্যোধনের সঙ্গে যুদ্ধ করে যুধিষ্ঠিরের রাজ্য ফিরিয়ে দিতো। কিন্তু প্রতিজ্ঞার মূল্য হেতু যুধিষ্ঠির সেটা চায় নি, সে কথার মূল্য দেওয়ার জন্য বনবাসকেই বেছে নেয়। এটাই হলো সনাতন ধর্মের আদর্শ এবং যুধিষ্ঠিরের পাশা খেলার মধ্যে যে শিক্ষা রয়েছে, সেটা হলো- কোনো বিষয়ের প্রতি বেশি দুর্বলতা যেমন ভালো নয়, তেমনি জুয়া খেলা বা কোনো বিষয়ে বাজী ধরা একেবারেই বর্জনীয়। যুধিষ্ঠিরের পাশা খেলার এই শিক্ষা নেয় না বলেই এখনও প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ লোক সারা পৃথিবী জুড়ে জুয়া খেলে নিঃস্ব হচ্ছে।

যা হোক, সনাতন ধর্ম বা হিন্দু সমাজে কথা বা প্রতিজ্ঞার মূল্য ঠিক এই রকমই, যেখানে সবার উপরে প্রতিজ্ঞা সত্য। যে প্রকৃত সনাতনী, সে কথার জন্য যেকোনো মূল্য দিতে পারে, কিন্তু কোনো কিছুর বিনিময়ে কথাকে বদলাতে পারে না। এর বিপরীতে ইসলামের নবী মুহম্মদের কাছে তো কথার কোনো দামই ছিলো না, একথা আমি বলছি না, বলছে হাদিস, দেখুন নিচে-

“আল্লাহর ইচ্ছায়, যদি আমি কোন ব্যপারে শপথ করি আর পরে দেখি এর চেয়ে ভাল কিছু আছে তখন আমি যেটা ভাল মনে করি সেটাই করি, আর তখন পূর্বেকার শপথ রক্ষার কোন দরকার মনে করি না।" -( সহি বুখারী, বই – ৬৭, হাদিস-৪২৭)।
যুধিষ্ঠির যদি মুহম্মদের এই আদর্শ অনুযায়ী কাজ করতো, তাহলে আপনি যে প্রশ্নগুলো তুলেছেন বা দ্রৌপদীকে নিয়ে যে কটূক্তি করেছেন, সেটার কোনো চান্সই পেতেন না। কিন্তু প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করতে হলে মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়, আর মহাভারতের একটি বাণী হলো- যাতে মিথ্যা, তাতে সত্য নেই, আর যাতে সত্য নেই তা ধর্ম নয়। এই সূত্রে প্রতিজ্ঞাভঙ্গকারী মিথ্যুক মুহম্মদের আদর্শ, ইসলাম কোনো ধর্ম হতে পারে কি না, সেটা একবার স্বয়ং বিচার করুন।

মহাভারতে দ্রৌপদীর সাথে যা ঘটেছে, তা এই কথার জন্য, যে কথার কোনো মূল্যই ইসলামে নেই। সেই ইসলামের সাথে আপনি তুলনা করছেন সনাতন ধর্মের ?
আবার আপনি আপনার পোস্টের এক জায়গায় বলেছেন- দ্রৌপদী সবকিছু ত্যাগ করে ঐ পাঁচ স্বামীর কাছে সবকিছু শপে দেওয়ার পরও তাদের মন ভরে নি, তাই ঐ পাঁচ স্বামী আবার দুটো তিনটে করে বিয়ে করে।
-পঞ্চপাণ্ডব ছিলো রাজপুরুষ, আর রাজপুরুষদেরকে বাস্তবিক নানা কারণে একাধিক বিবাহ করতে হয়, তাই তাদেরকে দ্রৌপদী ছাড়াও অন্য স্ত্রী গ্রহন করতে হয়েছে, কিন্তু এই আদর্শকে ফলো করে বর্তমানে কোন হিন্দু এবং শতকরা কয়জন হিন্দু একাধিক বিয়ে করে ? যে দুচারজন একাধিক বিয়ে করে, তারা নামে মাত্র হিন্দু, খোঁজ নিয়ে দেখবেন, তারা প্রকৃত হিন্দু নয়; কারণ, তারা আপনার মতো ইসলাম দ্বারা প্রভাবিত, প্রকৃত সনাতনী কখনো এক স্ত্রী থাকতে অন্য স্ত্রী ঘরে আনতে পারে না।
এরপর আপনি বলেছেন- দেবদেবীরা পাঁচ ছয়টা বিয়ে করে, কে কার স্বামী বউ স্ত্রী সন্তান এটা বুঝতে মাথার উপর দিয়ে চলে যায়।
- এই মাথার উপর দিয়ে চলে যায় বলেই সনাতন ধর্ম আপনার মাথায় ঢুকে না। আপনার কাছে শ্রাদ্ধকে ঝামেলা পূর্ণ মনে হয়। সনাতনী পদ্ধতির বিবাহও আপনার কাছে ঝামেলা পূর্ণই মনে হবে; কারণ, কমপক্ষে একমাস ধরে প্রস্তুতি এবং তিন দিন ধরে বিয়ে করার পর বাসররাত উদযাপনের মতো ধৈর্য আপনার নেই, আপনি তিনবার কবুল বলেই বাসর রাতে গিয়ে কাপড় খুলতে আগ্রহী বা উৎসাহী। তাই সনাতনী এসব বিষয় আপনার মাথায় ঢুকে না বা ঢুকবে না। কিন্তু একটা বিষয় আপনাকে বুঝতেই হবে বা ক্লিয়ার করতেই হবে যে- কোন দেবতার কয়জন করে স্ত্রী এবং তাদের নাম কী ? এই তালিকা যদি দিতে না পারেন, তাহলে এই প্রবন্ধ লিখার জন্য, এই প্রবন্ধকে লোহার শলাকা বানিয়ে, যে মুখ দিয়ে আপনি এইসব কথা বলেছেন, সেই মুখ দিয়ে ঢুকিয়ে দিয়ে আপনার পাছা দিয়ে নয়, আপনার যোনী দিয়ে বের করবো, কথাটা স্মরণে রাইখেন।

পুরাণগুলোতে দেব-দেবীর কাহিনী বর্ণিত হয়েছে, আর পুরাণের কাহিনীগুলো লিখা হয়েছে গল্পের ছলে লোকশিক্ষা দেওয়ার জন্য, সেগুলোকে আদর্শ হিসেবে ধরে জীবন যাপন করার জন্য নয়। পুরাণে সূর্যদেবের দুই জন স্ত্রীর কথা বলা হয়েছে এবং তাদেরকে নিয়ে নানা কাহিনীর অবতারণা করা হয়েছে। এই কাহিনীগুলো জানলে যে কেউ বুঝতে পারবে যে কারো যদি দুই স্ত্রী থাকে বা কেউ যদি দুটি মেয়েকে বিয়ে করে, তার কত জ্বালা ? এছাড়াও শুধু মেয়েদের জন্যও এই শিক্ষা রয়েছে যে- স্বামী যেমনই হোক, যদি তার সেবা যত্নের প্রতি খেয়াল বা গুরুত্ব না থাকে, তাহলে তার সংসারে তার সতীন চলে আসতে পারে। এই সব শিক্ষা প্রদান করার জন্যই পুরাণের কাহিনীগুলো লিখা হয়েছে, যা বাস্তব নয়, কখনো যা বাস্তবে ঘটে নি। আমার এই কথা শুনে যেসব ধর্মান্ধের মাথার চান্দি গরম হয়ে গেছে, তাদের উদ্দেশ্যে বলছি- পুরাণে সূর্যকে মানুষের রূপে তুলে ধরা হয়েছে, এখন বলুন সূর্য কি মানুষ হতে পারে ? সূর্য যদি মানুষ না হয়, তাহলে সূর্যকে নিয়ে যেসব পৌরাণিক কাহিনী লিখা হয়েছে, সেগুলো কি বাস্তব হতে পারে ?

পুরাণের কাল্পনিক কাহিনী, যেগুলো শুধু লোকশিক্ষার জন্য রচিত, যে ঘটনাগুলো কখনো বাস্তব পৃথিবীতে ঘটে নি, সেই ঘটনাগুলোর বিপরীতে ইসলামের ঘটনাগুলো সম্পূর্ণরূপে পৃথিবীর বাস্তব ঘটনা। পুরাণ কাহিনীর প্রকৃত ব্যাপার না বুঝলে সেগুলো আপনার চিন্তায় প্রভাব ফেলতে পারে, কিন্তু ইসলামের সবকিছু আপনার জীবন যাপনে প্রভাব ফেলতে বাধ্য, যেহেতু ইসলামের কোনো কিছু না মানার ক্ষমতা কোনো মুসলমানের নেই, এমনকি নেই কোনো প্রশ্ন তোলার। সেই ইসলাম, যে ইসলামে নবী মুহম্মদকে আদর্শ হিসেবে ধরা হয়, সেই ইসলামের প্রাণপুরুষ মুহম্মদ বুড়ো বয়সে শুধু যৌনতার কারণে বিয়ে করছে প্রায় দু ডজন, আরো কয়েকজনকে বিয়ে করতে চেয়েছিলো, কিন্তু হয় নি; বনিবনা না হওয়ায় বেশ কয়েকজনকে সে তালাক দিয়ে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলো, আর যার ছিলো বেশ কয়েকজন- রক্ষিতা, উপপত্নী বা যৌনদাসী; এই মুহম্মদের আদর্শকে ফলো না করার কোনো উপায় কোনো মুসলমানের নেই, সেই আদর্শকে ফলো করে যেকোনো মুসলমান যখন তখন বিয়ে করে বউ দিয়ে বাড়ি ভরিয়ে ফেলতে পারে, দাসীকে নিয়ে বিছানায় শুতে পারে, তাতে কেউ কিছু বলতে পারবে না; আর এসব ঘটনা একই সাথে বহু মানুষের জীবনে নানারকম বিরুপ প্রভাব ফেলতে বাধ্য, সে সব চিন্তা বাদ দিয়ে আপনি প্রশ্ন তুলেছেন দ্রৌপদীর পাঁচ স্বামী আর দেবতাদের স্ত্রী নিয়ে, যাদের কোনো প্রভাবই সমাজে নেই ?

কোরানে বলা হয়েছে মুহম্মদই মুসলমানদের জন্য সর্বোচ্চ আদর্শ, যে মুহম্মদ মধু পান করেছে প্রায় দুডজন নারীর, আবার কোরানে বলা হয়েছে- একজন মুসলমান সর্বোচ্চ চারটি স্ত্রী রাখতে পারবে। তাহলে কোরানের বক্তব্য অনুযায়ী মুহম্মদের আদর্শ গেলো কোথায় ? যা ই হোক, মুহম্মদের আদর্শ অনুযায়ী আপনার মুসলিম স্বামী যদি ১২/১৪ টা বা তার বেশি বিয়ে করতে না পারলেও সে যদি কোরানের নির্দেশ মতো অন্তত চারটি বিয়ে করে, তখন আপনার সংসার জীবনের অবস্থা কী হবে ? এসব বিষয় কখনো মাথায় ঢুকিয়েছেন ? পৌরাণিক দেবতাদের কয়জন স্ত্রী, এগুলো নিয়ে চিন্তা না করে, ইসলামের আদর্শ এবং তার বাস্তব ক্ষতিকর দিক নিয়ে চিন্তা করুন, তাহলে ইসলাম প্রেম যেমন ছুটে যাবে, তেমনি একটি সুখী ও সমৃদ্ধ জীবন যাপন করতে পারবেন। কারণ, প্রকৃত ইসলামিক জীবনে কোনো সুখ নেই, সেটা দুঃখ দারিদ্রতায় ভরা। যদি আপনি আপনার স্বামীর একমাত্র স্ত্রী হয়ে সুখী সমৃদ্ধ জীবন যাপন করে থাকেন, সেটা আপনি পাচ্ছেন সনাতনী আদর্শ মতে; কারণ, কোনোভাবেই কেউ কখনো ইসলামি আদর্শ অনুযায়ী সুখী সমৃদ্ধ জীবন পেতে পারে না। ইসলামে পুরুষের জন্য একাধিক বিয়ে না করা এবং নারীর জন্য বছর বছর বাচ্চা না বিয়ানোই পাপ। আর হাদিসে বলা হয়েছে- গরীবরা ধনীদের চেয়ে ৫০০ বছর আগে বেহেশতে যাবে, এটা থেকে কি আপনার মাথায় ঢুকে না যে ইসলামে দারিদ্রতাকে উৎসাহিত করা হয়েছে ? নিজে প্রতিনিয়ত- সনাতনী বৈশিষ্ট্য ধনী হওয়ার চেষ্টা করছেন, আবার সনাতন ধর্মেই সমালোচনা করছেন; আপনার আসলে মুখ দিয়ে নয়, পাছা দিয়ে খাবার খাওয়া উচিত; যেহেতু মুহম্মদ বলে গেছে, কাফেররা যা করবে, তোমরা করবে তার বিপরীত, কাফেররা তো আগে থেকেই মুখ দিয়ে খায়, তাহলে মুহম্মদের উম্মতরা মুখ দিয়ে খাবে কেনো ?

শোনেন, পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষ সনাতনী মতে জীবন যাপন করে, যতই সনাতন ধর্মের সমালোচনা করেন, আপনিও এর বাইরে নয়। পৃথিবীতে বাস করা আর সনাতন ধর্মের সমালোচনা করা মানে হলো- অক্সিজেন নিয়ে বেঁচে থেকে অক্সিজেন ভালো নয় বলে প্রচার করা। তাই সনাতন ধর্ম সম্পর্কে সমালোচনা করার আগে পৃথিবীর বাস্তব ব্যাপারগুলো সনাতন ধর্মের বিধি বিধানে কিভাবে প্রতিফলিত হয়েছে বা সনাতন ধর্ম কিভাবে বাস্তবতার প্রতিনিধিত্ব করে, সেগুলো নিয়ে একটু ভাববেন, তাহলে আর কোনো কিছু মাথার উপর দিয়ে যাবে না। অবশ্য ইসলাম যদি আপনার মাথায় ভর করে, তাহলে কোনো যুক্তিই মাথার ভেতর ঢুকবে না; কারণ, ইসলাম হলো- যুক্তিহীন অন্ধবিশ্বাসী মূর্খদের মতবাদ, আপনার মাথায় যদি ইসলাম থাকে, তাহলে যুক্তি ও বাস্তবতার প্রতীকী ব্যাপারগুলো আপনার মাথায় ঢুকবে কিভাবে ?

জয় হিন্দ।

No comments:

Post a Comment