বোধোদয় : লাভ জিহাদের শিকার এক হিন্দু মেয়ের নির্মম পরিণতির গল্প
আমি তনুশ্রী মন্ডল আমি যখন এসএসসিতে পড়াশোনা করতাম তখন আমাকে এলাকার বড় ভাই পিন্টু রহমান প্রেম প্রস্তাব দেয়। আমি রাজি হয়নি, সে প্রতিদিন আমাকে দেখার জন্য রাস্তায় দাড়িয়ে থাকতো, ১ মাস পরে একদিন সে ব্লেড নিয়ে এসে আমার সামনে তার হাত কাটলে লাগলো, অন্তত তার যাতে যেন বন্ধুত্ব করি, আমি তার রক্ত দেখে তারসাথে বন্ধুত্ব করলাম। কথা বলতে বলতে আমরা অনেকে ফ্রি হয়ে গেলাম। সে বলতো তার কাছে সব ধর্মই সমান। HSC তে ভর্তির পরে কলেজের নাম করে তার সাথে ঘুরতে যেতাম, একসময় তার প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয়ে গেলো। সে আমাকে মোবাইলে বিভিন্ন খারাপ ছবি দিতো,ভিডিও দিতো। যা দেখে আমি আর ঠিক থাকতে পারি নি। প্রতিরাতে আমাদের ভিতরে সেক্স চ্যাটিং হতো। আমাদের ভিতরে শারীরিক সম্পর্ক হয়ে গেলো।
এ সময় প্রদীপ সরকার নামে এক দাদা আমাদের বিষয়টা নিয়ে আমাকে অনেক বুঝায় ,সচেতন করতে অনেক কিছু দেখায়, আমি বিশ্বাস করিনি দাদার কথাগুলো , আমার বাবাকে বলেছিলো, আমি বাবাকে বলেছিলাম সব মিথ্যা বানোয়াট । আমি তখন প্রদীপ সরকার দাদাকে ব্লক করেছিলাম ,অনেক গালিও দিয়েছিলাম। HSC পাশ করে আমি আর পিন্টু পালিয়ে গেলাম, নোটারির মাধ্যমে ধর্মান্তরিত হয়ে পিন্টুর বাড়িতে উঠলাম।
২ মাস পর থেকে পিন্টুর রুপ পাল্টাতে লাগলো, আমার শুশুড় আনোয়ার রহমান আমাকে বোরখা পড়িয়ে দিলো, হুজুর নিয়ে এসে আমাকে কোরাণ শিক্ষা নিতে বাধ্য করলো, পিন্টুকে বললাম সে বললো আমাদের পরিবারে থাকতে হলে এসব মেনে নিতেই হবে। তারপর আমার শশুড় ৪ কেজি গরুর মাংস এনে আমাকে দিয়ে জোর করে রাঁধিয়ে নিলো এবং জোর করে ২ বাটি মাংস খাওয়ালো। সেদিন আমি সারারাত কেঁদেছি। আমাকে বাসার বাহিরে যেতে দেয় না, আমি প্রতিবাদ করলে পিন্টু আমাকে মারধোর করে, আমার কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছে যাতে কাউকে কিছু না বলতে পারি। বিয়ের ৩ বছরে ১ টা মেয়ে ১ টা ছেলে হয়েছে। আরো একটা পেটে আছে।
আমি এখন আমার নিজের ভুল বুঝতে পেরেছি, কিন্তু এখন কিছু করার নেই আমার ,বাচ্চাগুলোর মুখের দিকে তাকিয়ে এখানেই সারাজীবন পড়ে থাকতে হবে।
আমি অনেক কষ্টে বাংলাদেশ লাভজিহাদ সচেতনকারী কমিটিতে ম্যাসেজ করলাম ,যাতে আমার পূর্বের ধর্মের কোন মেয়ে যেন আমার মতো ভুল আর না করে। আমি প্রদীপ সরকার দাদার কাছে মাপ চাইছি, আমাকে মাপ করে দিয়েন দাদা, আপনার লাভজিহাদ সচেতনকারী কমিটি আমার ভালো করতে চেয়েছিলো ,আমি বুঝতে পারি নি।
এরকম ভুল প্রায় হিন্দু মেয়েই করছে আর বুঝতে পারছে বিয়ের কয়েক মাস পরে ।
No comments:
Post a Comment