মুসলমানরা কি হিন্দুদেরকে কাপড় পরা শিখিয়েছে ?
মুহাম্মদ আব্দুস শহীদ,
তুই একদম ঠিক বলেছিস, তোর জন্মের পরই তো তোর বাপ মাকে তুই জামা কাপড় পরা শিখিয়েছিস!
মহাভারত নামে হিন্দুদের একটি ঐতিহাসিক কাব্যগ্রন্থ আছে, সেটা জানিস ? সেটা প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগের ঘটনা, আর তাতে একটি যুদ্ধনীতি আছে, সেই যুদ্ধ নীতি হলো- পেছন থেকে বা আড়াল থেকে কেউ কাউকে আঘাত করতে পারবে না, সমজাতীয় যোদ্ধারাই কেবল একে অপরের সাথে যুদ্ধ করতে পারবে এবং কেউ যদি কারো সাথে যুদ্ধ করতে চায়, সেই ব্যাপারে তাকে আগে ইঙ্গিত দিতে হবে, হঠাৎ করে কেউ কাউকে আক্রমন করতে পারবে না। যুদ্ধে নারী ও শিশু অবধ্য, তাই তারা যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারবে না। উভয় পক্ষ শঙ্খ বাজালে যুদ্ধ শুরু হবে এবং সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধ সমাপ্ত হবে, তখন কেউ কাউকে আঘাত করতে পারবে না। যুদ্ধের এই নীতি কত উন্নত সভ্যতার পরিচায়ক সেটা তুই জানিস ?
মহাভারতের যুদ্ধ হয়েছিলো কৌরব ও পাণ্ডবদের মধ্যে এবং পাণ্ডবদের মা কুন্তী যুদ্ধের মধ্যে ছিলো কৌরব শিবিরে, কিন্তু তাকে কৌরবরা হত্যা করে পাণ্ডবদেরকে দুর্বল করার চেষ্টা করে নি, বিষয়টা একবার ভাবতে পারিস ? শুধু তাই নয়, যুদ্ধের আগের রাতে কৌরব শিবিরে এক মিটিংএ পঞ্চপাণ্ডবের উপস্থিতিতে যুদ্ধের এই সব নিয়ম বন্ধন করা হয়, সেখানে কৌরবরা যদি চাইতো, তাহলে নিরস্ত্র পাণ্ডবদেরকে সেই রাতেই হত্যা করতে পারতো, কিন্তু তারা সেটা করে নি, এই বিষয়টাও কি একবার ভাবতে পারিস ?
এমনই উন্নত মন মানসিকতা সম্পন্ন সমাজ সভ্যতা হিন্দুদের ছিলো, মহাভারতের যুগেই, যেটা তোর ইসলামের জন্মের অন্তত ৪ হাজার বছর পূর্বে, আর তুই এসে বলছিস, মুসলমানরা হিন্দুদেরক কাপড় পরা শিখিয়েছে ? তুই শুধু বাইনচোদ নয়, একই সাথে মাদারচোদও।
প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে, বলতে গেলে প্রাচীন কালের মহাভারত যুগের হিন্দু সভ্যতার আদর্শের বিপরীতে, মাত্র চৌদ্দশ বছর আগের ইসলামের আদর্শগুলোর দিকে এবার একটু নজর দে-
ইসলামে 'গনিমতে মাল' বলে একটা ব্যাপার আছে, যেটা হলো মুসলমানদের সাথে যুদ্ধে পরাজিত অমুসলিমদের ধন সম্পদ এবং নারী ও শিশু। এই ধন সম্পদকে মুসলমানরা হালাল বলে তো তা ভোগ করতোই, নারীদেরকে প্রথমে ধর্ষণ এবং তারপর নারী ও শিশুদেরকে যৌনদাসী ও ক্রীতদাস হিসেবে বাজারে বিক্রি করতো, বর্তমানে জেনেভা কনভেনশনে যেটা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, অথচ মানবতার বিরুদ্ধে এই অপরাধের জনক হলো মুহম্মদ।
বিনা কারণে অমুসলিমদের উপর আক্রমন করাকে মুসলমানরা বলে জিহাদ এবং এই জিহাদের সময় মুহম্মদের অনুমতি পেয়ে মুহম্মদের সাহাবীরা তো পরাজিত অমুসলিম নারীদেরকে ধর্ষণ করতোই, এমনকি মুহম্মদ নিজেও সাফিয়া, রিহানাসহ বহু অমুসলিম নারীকে ধর্ষণ করেছে, এই মুহম্মদ নাকি আবার দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ মানুষ, মুহম্মদকে সৃষ্টি না করলে নাকি আল্লা দুনিয়াই সৃষ্টি করতো না ! মাদকসেবীরা যেমন মাদকের মধ্যে দুনিয়ার অসীম উপকার দেখতে পায়, মুসলমানরাও তেমনি মুহম্মদের মধ্যে জগতের সকল ভালো দেখতে পায়। যা হোক, মুহম্মদের মতো একজন- ধর্ষক, খুনি, লুটেরা ডাকাতকে নিজেদের সর্বোচ্চ আদর্শ হিসেবে মনে করে মুসলমানরা তো এমনিতেই একটি উলঙ্গ জাতি, যে কারণে সুযোগ পেলেই তারা আইএস জঙ্গীদের মতো আত্মপ্রকাশ ক'রে- খুন, ধর্ষণ, লুটপাট, ডাকাতি নারী ধর্ষণ এবং তাদেরকে যৌনদাসী হিসেবে নারী বিক্রির বাজার বসায়, এদেরকেই তো সারা পৃথিবীর অমুসলিমরা একসাথে মিলে এসব মানবতা বিরোধী কাজ থেকে বিরত রাখার জন্য সভ্য বানানোর চেষ্টা করছে, অর্থাৎ উলঙ্গ মুসলিম জাতিকে কাপড় পরানোর চেষ্টা করছে। সেই খুনী-ধর্ষক-লুটেরা ডাকাতের অনুসারী হয়ে এই মুসলমান আবার বলছে মুসলমানরা এসে হিন্দুদেরকে কাপড় পরা শিখিয়েছে; এর উদাহরণ হলো- 'ছাগলে কি না খায়, আর পাগলে কি না বলে' নয়, 'বাইনচোদরা শুধু বোনের সাথে শুলেও মাদারচোদরা সবার সাথেই শোয়'।
ভারতবর্ষ, বর্তমান বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলতে পারছে, শুধু এটা ইসলামের কবল থেকে অনেকটা মুক্ত হতে পেরেছে বলেই। যদি ভারত মুসলমানদের থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হয়, তাহলে ভারতের আর কোনো সমস্যাই থাকবে না, তখন ভারত সারা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারবে। বর্তমানে ভারতের সমস্যা মানেই মুসলমান। মুসলমানরা শুধু ভারতেরই সমস্যা নয়, সারা পৃথিবীর সমস্যা। কারণ, যেখানেই মুসলমান, সেখানেই- খুন-ধর্ষণ-ডাকাতি-লুটতরাজ এবং সন্ত্রাস। এই মুসলিম মানসিকতা, যেটা সভ্যতার ক্যান্সার, সেই মুসলিম মানসিকতা থেকে যেসব মুসলিম দেশ বের হয়ে আসতে পেরেছে, তারাই পৃথিবীতে ভালো আছে, আর যারা ইসলামের প্রভাবে গোঁড়া শরিয়া দেশে পরিণত হয়েছে, তারাই ভুগছে পৃথিবীর যাবতীয় সমস্যায়।
পাকিস্তান, আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইরাকসহ পৃথিবীর বহুদেশ বর্তমানে ইসলামের প্রভাবে প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত, একইভাবে ইসলামের প্রভাবে দারিদ্রতায় ভুগছে ইয়েমেনসহ আফ্রিকার অনেক দেশ; আর বর্তমানে ধ্বংস না হলেও মূর্খদেশে পরিণত হয়েছে মিশর, যেটা ছিলো এক সময়ের উন্নত সভ্যতা, যারা আবিষ্কার করেছিলো পিরামিড এবং মমি বানানোর মতো জ্ঞান। এই মূর্খ অসভ্য মুসলমানের উত্তরসূরী হয়ে এ আবার দাবী করছে মুসলমানরা হিন্দুদেরকে কাপড় পরা শিখিয়েছে, একে ন্যাংটা করে এর পাছার মধ্যে এমনভাবে গুলি করা উচিত, যাতে সেই গুলি মাথার চান্দি দিয়ে বের হয়ে যায়, যাতে একে দেখে অন্য মুসলমানরা শিক্ষা পায় এবং এই ধরণের বাইনচোদ ও মাদারচোদ কথাবার্তা না বলে।
যা হোক- ফুফাতো, মামাতো বোনদের বিয়ে করে এবং ইয়ে করে তোরা তো বাইনচোদই, যদি চাস তো মাকে বিয়ে করে এবং ইয়ে করে মাদারচোদ হ; কারণ, জামাই যেখানে শাশুড়িকে বিয়ে করতে পারে, ৫০ বছরের মুহম্মদ যেখানে ৬ বছরের আয়েশাকে বিয়ে করতে পারে, চাচা আলী যেখানে ভাতিজি ফাতেমাকে বিয়ে করতে পারে, শ্বশুর মুহম্মদ যেখানে পুত্রবধূ জয়নাবকে বিয়ে করতে পারে, সেই ইসলামে ও মুসলিম সমাজে তো অসম্ভব কিছু নেই, তোরা নিজ পরিবারের মধ্যেই একে অপরকে বিয়ে করে একসাথে দোচাদুচি কর, কেউ মানা করবে না বা কথা বলবে না; তোরা পৃথিবীর সভ্যতা, ইতিহাস জ্ঞান বিজ্ঞান নিয়ে কথাবার্তা বলতে আসিস কেনো ?
আশা করছি- উপরের এই আলোচনার মাধ্যমে মুহাম্মদ আব্দুস শহীদ নামের এই বাইনচোদ, মাদারচোদ এবং বাপচোদ, তার মদখোরী মন্তব্যের যোগ্য জবাব পেয়েছে।
জয় হিন্দ।
No comments:
Post a Comment