Friday, 24 July 2020

লীলা কীর্তন বন্ধ করা যাবে যেভাবে :


লীলা কীর্তন বন্ধ করা যাবে যেভাবে :

এর আগে একদিন আমি এই ঘোষণা দিয়েছিলাম যে- কারো এলাকায় যদি হরিবাসের নামে লীলা কীর্তনের মাধ্যমে রাধা ও কৃষ্ণের তথাকথিত পরকীয়া প্রেম কাহিনী ঢাক-ঢোল বাজিয়ে সমাজে প্রচার ক'রে কেউ যদি শ্রীকৃষ্ণের চরিত্রকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করে, সেই হরিবাসর বা হরিসভার প্রচারপত্র আমার কাছে ইনবক্সে পাঠাবেন, সেটা আমি অনলাইনে পাবলিশ করে দেবো, আর তাতে হরিবাসর কমিটির যে ফোন নং দেওয়া থাকবে, সেই নং এ ফোন করে কিভাবে তাদের ঝাড়ি দিয়ে এই ধরণের অধর্ম প্রচার থেকে তাদেরকে বিরত রাখা যায়, সেগুলো আমি বলে দেবো।
এমন একটি প্রচার পত্র আমার হাতে এসেছে, যেটি আপনার ফটো হিসেবে দেখতে পাচ্ছেন, এই প্রচার পত্রে বেশ কিছু মিথ্যা প্রচার করা হয়েছে, যেগুলো সম্পর্কে আমি নিচে আলোচনা করবো; আপনারা যারা চান, রাধার মাধ্যমে শ্রীকৃষ্ণের এই চরিত্রহনন বন্ধ হোক, তারা দেশ বিদেশ থেকে এই প্রচার পত্রে যে দুটি ফোন নং আছে, তাতে ফোন করে এই ধরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করার প্রতিবাদ করবেন, এতে তারা বাধা প্রাপ্ত হয়ে আস্তে আস্তে এই ধরণের অনুষ্ঠান থেকে তারা সরে আসবে বলে আমার মনে হয়। শেষে তাদেরকে আপনারা এই সাজেশন দেবেন যে, আপনারা এই লীলা কীর্তন বাদ দিয়ে নামকীর্তন এবং ধর্মীয় আলোচনাসভা বা ধর্মসভার আয়োজন করুন, এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই, পারলে উল্টো আপনাদেরকে সব রকম সহায়তা করবো, কিন্তু এই লীলাকীর্তন যদি আপনারা প্রচার করতেই থাকেন, এর জন্য একদিন আপনাদেরকে জবাব দিতে হবে, এমনকি শাস্তিও পেতে পারেন- এভাবে হুমকি ধামকি দিবেন।

যা হোক, শুরুতেই দেখুন প্রচার পত্রে হেডিং দিয়েছে-
"শ্রীশ্রী রাধা কৃষ্ণের রাসলীলা উদযাপন উপলক্ষ্যে"
এরা যদি জানতো যে বেণীমাধব এবং সুবোধচন্দ্র মজুমদারের পদ্যভাগবত এবং ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে রাসলীলার বর্ণনা কী রকম, তাহলে জীবনেও এই রাসলীলা নামের অনুষ্ঠানের আয়োজন করতো না বলেই আমার মনে হয়। পদ্যভাগবতগুলো এবং ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণের রাস একটি খোলামেলা সেক্স পার্টি; এর মধ্যে পদ্যভাগবতগুলোর রাসের মধ্যে রাধার কোনো অস্তিত্বই নেই, কিন্তু ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণের রাসে রাধা আছে, যে রাধা একটি নষ্টা নারীর চরিত্র।
দেখুন এরপরে লিখেছে- "১৬ প্রহর ব্যাপী মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান ও অপ্রাকৃত লীলা কীর্তন"
মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠানে কোনো সমস্যা নেই; কারণ, এটা্ দ্বারা নামকীর্তনকেই বোঝায়, কিন্ত যাকে এরা বলছে অপ্রাকৃত লীলা কীর্তন, এরা আসলে তার প্রকৃত রূপ জানেই না, যদি জানতো, তাহলে তথাকথিত রাধা কৃষ্ণের যৌনলীলাকে, কোনোভাবেই অপ্রাকৃত লীলা বলতে পারতো না বা এই নষ্টামীকে অপ্রাকৃত লীলা বলে চালিয়ে দিয়ে হিন্দুসমাজকে বিপথে চালিত করতো না।
রাধা কৃষ্ণের মিথ্যা প্রেম প্রচার করে, রাধার মাধ্যমে শ্রীকৃষ্ণের চরিত্রে কালিমালিপ্ত করার জন্য আপনারা এই হরিবাসর কমিটিকে ধরতে পারেন এবং ইচ্ছা মতো ঝাড়ি দিতে পারেন; কারণ, এরা বাধা না পেলে থামবে না এবং এরা যখন দেশ বিদেশ থেকে অসংখ্য ফোন পেতে থাকবে, তথন এরা নিজের ভুল বুঝতে পারবে বা নিজের ভুল বুঝতে না পারলেও নিজেদের শান্তি রক্ষার জন্যও হয়তো এই ধরণের কাজ থেকে বিরত থাকবে; কারণ, আর যাই হোক, হিন্দুরা হলো শান্তিপ্রিয় জাতি, যখন দেখবে এসব করে ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে, তখন আর এসব করবে না; এভাবে সমাজ থেকে রাধা কৃষ্ণের তথাকথিত পরকীয়া প্রেমের কাহিনীর প্রচার আমরা বন্ধ করতে পারবো।

শেষে আমার পাঠক বন্ধুদেরকে বলছি- ফোনে তো অনেক টাকাই খরচ করেন এবং অনেক সময়ও অপচয় করেন, হিন্দুধর্ম ও সমাজের স্বার্থে কি আপনি একটি ফোন করতে পারবেন না ? আপনার একটি ফোনে বন্ধ হতে পারে শ্রীকৃষ্ণের চরিত্র সম্পর্কে এই ধরণের জঘন্য মিথ্যাচার, হিন্দুধর্ম হতে পারে জঞ্জাল ও আবর্জনামুক্ত এবং পরিচ্ছন্ন, পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণের চরিত্র হতে পারে কা্লিমামুক্ত, যা গত ৫০০ বছর ধরে শ্রীকৃষ্ণের চরিত্রে বৈষ্ণব সমাজ লাগিয়েছে।

আশা করছি আমার এই উদ্যোগে আমার সব বন্ধুকে পাশে পাবো।
এই কামনায় বলছি-
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।                 
--------------
প্রচারপত্রে দেওয়া ফোন নং গুলো হলো-
01723 464 233(বিপুল চন্দ্র বর্মন, সাধারণ সম্পাদক) 
01718 409 785( সুশান্ত চন্দ্র মহন্ত, কোষাধ্যক্ষ)

No comments:

Post a Comment