Friday, 24 July 2020

হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করতে ও তাদেরকে দেশ থেকে বিতাড়িত করতে মুসলমানদের এত মরিয়া মনোভাবের কারণ কী ?


হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করতে ও তাদেরকে দেশ থেকে বিতাড়িত করতে মুসলমানদের এত মরিয়া মনোভাবের কারণ কী ?

# এর মূল কারণ লুকিয়ে আছে ইসলামের অপ্রকাশিত ইতিহাস এবং নবী মুহম্মদের জীবনের ঘটনা তথা সুন্নতের মধ্যে। মুহম্মদ মক্কা থেকে মদীনায় পালিয়ে গেলে, মক্কা বাসীরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ভেবেছিলো, যাক আপদ দূর হয়েছে। এবার শান্তিতে থাকা যাবে। কিন্তু শান্তিতে তারা থাকতে পারে নি, মুহম্মদ তাদের শান্তিতে থাকতে দেয় নি। ছয় মাস পর থেকেই কুরাইশদের বাণিজ্য কাফেলা আক্রান্ত হতে থাকে মুহম্মদের ডাকাত বাহিনীর হাতে।

মদীনায় এসেই মুহম্মদ 'মদীনা সনদ' নামে একটি চুক্তি করে, যার মূল কথা ছিলো, মদীনায় সকল ধর্মের লোক নিরাপদে ও শান্তিতে তাদের ধর্ম পালন করতে পারবে এবং বসবাস করতে পারবে। কিন্তু মক্কা থেকে বিতাড়িত মুহম্মদের মাথায় প্রতিশোধের আগুন জ্বলছিলো। তাই মক্কার কুরাইশদের উপর আঘাত হানার জন্য মুহম্মদ তার অনুসারীদের নিয়ে একটি ডাকাত বাহিনী গঠন করে এবং কুরাইশদের বাণিজ্য কাফেলার উপর হামলা করে তাদের ধনসম্পদ টাকা পয়সা লুঠপাট করতে থাকে। মদীনার কবি-সাহিত্যিকরা এই বিষয়টিকে ভালো ভাবে নিতে পারলো না। তারা এর প্রতিবাদে গান কবিতা লিখতে লাগলো। এরকম এক কবি "কাব বিন আশরাফ" যিনি আবার ইহুদি। এর আগে মুহম্মদ মদীনায় এসে ইহুদিদের জেরুজালেমের "সলোমন মন্দির"কে কিবলা করে নামাজ পড়ে যাচ্ছিলো- এই আশায় যে, এতে ইহুদিরা ইসলাম ধর্ম গ্রহন করবে। কিন্তু ধর্মের ব্যাপারে ইহুদিরা কোনো ছাড় না দেওয়ায় মুহম্মদ মক্কার কাবার দিকে মুখ করে নামাজ পড়তে শুরু করে এবং ইহুদিদের উপর সে বেজায় নাখোশ হয়।

এই ঘটনার সাথে যুক্ত হয় ইহুদি কবিদের, মুহম্মদকে নিয়ে ব্যঙ্গ করে কবিতা লিখন। এই ঘটনা থেকেই কবিদের উপর মুহম্মদের ভয়াবহ রাগ; আর এই কারণেই মুসলমানদের কবিতা লিখা নিষেধ এবং মুহম্মদ বলে গেছে,' পেট ভরা কবিতার চেয়ে পেট ভরা পুঁজ উত্তম'(Sahih Muslim 28:5611) | এর আরও একটা কারণ হলো মুহম্মদের বলা ছন্দবদ্ধ কোরানের আয়াতের চেয়ে তখনকার কবিরা আরো ভালো কাব্য লিখছিলো।

যা হোক, এই কবি কাবকে খতম করার জন্য একদিন মসজিদে নামাজ পড়া শেষে মুহম্মদ তার অনুচরদের বললো, "এমন কোনো ব্যক্তি আছে, যে আমাকে আল আশরাফের ছেলের যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্ত করতে সক্ষম ?" একজন জবাব দিলো, "আমি আছি, আমিই তাকে খতম করবো।" এরপর পরিকল্পনা সাজিয়ে মুহম্মদ ৪ জনকে পাঠালো কবি কাবকে হত্যা করতে। তারা গিয়ে কাবের কাটা মাথা এনে মুহম্মদের বাড়ির সামনে এসে আল্লাহু আকবার বলে ধ্বনি দিলো, মুহম্মদ বুঝলো কাজ শেষ। মসজিদের দরজা খুলে মুহম্মদ বেড়িয়ে এলে কাবের কাটা মাথা তারা নবীর পায়ের কাছে রাখলো, মুহম্মদ তাদের বললো, "সাফল্যের জন্য ধন্যবাদ।"

মুসলমানরা যে এখনও মসজিদে বসে সকল প্রকার খুন-খারাবির জন্য মিটিং করে, এই সেই কারণ। শুরুটা মুহম্মদই করে গিয়েছে। যারা মন্দির-মসজিদ-গীর্জা-প্যাগোডাকে এক মনে করেন, তারা একটু ভাবুন, মসজিদ, কখনো মন্দিরের সমান হতে পারে কিনা ? পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কোনো রেকর্ড আছে, যেখানে মন্দিরে বসে কোনো খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছে ?

কবি কাবকে হত্যার পর, মুহম্মদ তার অনুচরদের অধিকার দিলো যে, তারা যেকোনো সময়, যে কোনো ইহুদিকে হত্যা করতে পারবে। এতে ইহুদিদের মধ্যে ভয়ানক ত্রাসের সঞ্চার হলো। কবি কাবের পরিণতিতে ইহুদিরা যার পর নাই ভীত হলো। এমন সময় আরেকটা ঘটনা ঘটলো, যার ফলে কানুইকা গোত্রের ইহুদিরা মুহম্মদের রোষানলে পড়ে মদীনা থেকে বিতাড়িত হতে বাধ্য হলো।

কানুইকা গোত্রের ইহুদিরা ছিলো স্বর্ণকার| এক মুসলমান মহিলা বাজারের মধ্যে ইহুদিদের কোনো এক দোকানে অলংকার বানানোর জন্য বসেছিলো। এমন সময় কেউ একজন দুষ্টুমি করে গোপনে তার ঘাগড়ার সাথে একটি পিন আটকে দেয় এবং সে যখন উঠতে যায়, তখন ঘাগড়া খুলে গেলে উপস্থিত লোকজন হাসাহাসি করে, এতে ঐখানে উপস্থিত এক মুসলমান এক ইহুদিকে খুন করে ফেলে, যে ঐ মহিলার অবস্থা দেখে হাসছিলো। এরপর ঐ মুসলমান খুনিকে উপস্থিত ইহুদিরা পিটিয়ে মেরে ফেলে। সম্ভবত মুহম্মদ এরকমই কোনো একটা ইস্যুর জন্য অপেক্ষা করছিলো। তাই এই ঘটনা মুহম্মদের কানে যাবার সাথে সাথে, মুহম্মদ তার দলবল নিয়ে কানুইকা গোত্রের ইহুদিদের দুর্গ অবরোধ করে ফেললো। পনেরো দিন অবরোধ করে থাকার পর ইহুদিরা আত্মসমর্পন করে। মুহম্মদ তাদের খুনই করে ফেলবে। কিন্তু ''আব্দুল্লাহ বিন ওবে" নামের এক ব্যক্তির বিনীত অনুরোধে মুহম্মদ তাদের হত্যা না করে ছেড়ে দেয়। কিন্তু মুহম্মদ আদেশ দেয় যে, এরা কেউ মদীনায় থাকতে পারবে না। শক্তির কাছে পরাজিত হয়ে কানুইকারা মদীনা ছেড়ে সিরিয়ার দিকে চলে যায়। এখানে মদীনা সনদের কথা স্মরণ করুন, আর একটা তুচ্ছ ঘটনাকে কিভাবে মহীরুহের আকার দিয়ে মুসলমানরা, মদীনা থেকে ইহুদিদের বিতাড়িত করলো তা ভাবুন। মুসলমানদের বহু গর্বের মদীনা সনদ, প্রনয়নের মাত্র ২ বছরের মধ্যে মুহম্মদের কাছে একটা জঞ্জালে পরিণত হয়েছিলো। কানুইকারা চলে গেলে, তাদের সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি মুসলমানরা দখল করলো।

এরপর মুহম্মদ মদীনা থেকে বিতাড়িত করে নাজির গোত্রের ইহুদিদের।সেই ঘটনাটি এরকম : একটি খুনের ঘটনায় আপোষ মীমাংসা করার জন্য মুহম্মদ কয়েকজন অনুচর নিয়ে , মদীনা থেকে তিন মাইল দূরে নাজির গোষ্ঠীর ইহুদিদের বসতিতে গিয়ে হাজির হলো। কথা বার্তা চলছে, এমন সময় মুহম্মদ কাউকে কিছু না বলে হঠাৎ ঐ স্থান ত্যাগ করে উঠে চলে যায়। নবীর অনুচরসহ অন্য ইহুদিরা ভাবলো মুহম্মদ কোনো কাজে বাইরে গেছে, এখনি আবার ফিরে আসবে। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ মুহম্মদ ফিরে না আসায় তার অনুচরেরা মদীনায় ফিরে এলো এবং মুহম্মদকে জিজ্ঞেস করলো তার এভাবে চলে আসার কারণ। মুহম্মদ বললো, "আমি যেখানে বসেছিলাম, সেখানে চালের উপর থেকে একটি পাথর গড়িয়ে দিয়ে আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হচ্ছিলো।" মুহম্মদ কী সাংঘাতিক মিথ্যাবাদী চিন্তা করুন। এরকম কোনো ঘটনা ঘটলে তার চার জন অনুচরের কেউ তা টের পাবে না ?

যা হোক,মুহম্মদ বললো, "এদেরকে মদীনা থেকে উৎখাত করতে হবে।" মুহম্মদের আদেশ নিয়ে কবি কাব এর হত্যা কারী, ঐ ইহুদি বসতিতে গিয়ে ঢ্যারা পিটিয়ে জানিয়ে দিলো, "নবীর আদেশ, দশ দিনের মধ্যে তোমাদের মদীনা ছেড়ে চলে যেতে হবে এবং তারপর কেউ থাকলে তাকে হত্যা করা হবে।" ইহুদিরাও জানিয়ে দিলো, "মুহম্মদের যা খুশি করুক, তারা মদীনা ছেড়ে কোথাও যাবে না।" এই কথা শুনে মুহম্মদ সাথে সাথে তার বিশাল বাহিনী নিয়ে নাজির গোত্রের ইহুদিদের দুর্গ অবরোধ করলো। এই ভাবে কয়েকদিন চলার পরও ইহুদিরা আত্মসমর্পন করলো না দেখে, মুহম্মদ তাদের ক্ষেতের ফসল এবং খেজুর গাছ কেটে ফেলার আদেশ দিলো। (সেই সময় মদীনায় খেজুর গাছ কাটা ছিলো ভয়াবহ রকম পাপ ও অন্যায় কাজ।) যাতে ইহুদিরা আরও দুর্বল হয় এবং বাধ্য হয় দুর্গ ছেড়ে বেড়িয়ে এসে আত্মসমর্পন করতে। প্রতিপক্ষকে দুর্বল করতে মুসলমানদের এ এক ভয়াবহ নোংরা কৌশল। ভারতে অভিযানের সময়ও মুসলমানরা দুর্গের ভেতরে ঢুকতে না পারলে দুর্গের বাহিরের নিরীহ প্রজাদের নির্বিচারে হত্যা করতো, যার ফলে মাসসিক চাপে পড়ে হিন্দু রাজারা প্রজাদের বাঁচানোর জন্য আত্মসমর্পন করতো।

যা হোক ৩ সপ্তাহ অবরোধ চলার পর, ইহুদিরা বলে পাঠালো, তারা আত্মসমর্পন করতে এবং মদীনা ছেড়ে চলে যেতে রাজী। এরপর ইহুদিরা মদীনা ছেড়ে চলে গেলে মুহম্মদের অধিকারে এলো ইহুদিদের বিশাল উর্বর ভূখণ্ড। মুহম্মদের সম্পদের লোভ এতই ছিলো যে, লুঠপাট করা মাল অর্থাৎ গনিমতের মালে তার ভাগ ২০% আগে থেকেই নির্ধারিত ছিলো; কিন্তু এই গনিমতের মালে সে কাউকে ভাগ দিলো না। এতে তার যুক্তি হলো, এতে তারা তো কোনো যুদ্ধ করে নি। আর বিনা যুদ্ধে যা লাভ হবে, সেটা পুরোটাই আল্লার নবীর। এর স্বপক্ষে মুহম্মদ সাথে সাথে কোরানের ৫৯ নং সূরার ৬ ও ৭ নং আয়াত ডাউনলোড করে বলে দিলো, "যে ধন-মাল আল্লাহ তাদের দখল হতে বার করে রসূলের নিকট ফিরিয়ে দিলেন, তা এমন নয়, যার জন্য তোমরা ঘোড়া ও উট ছুটিয়েছো (অর্থাৎ যুদ্ধ করেছে) বরং আল্লাহ তার রসুলগণকে যার উপর ইচ্ছা কর্তৃত্ব ও আধিপত্য দান করেন।... যা কিছুই আল্লা এই জনপদের লোকদের হতে তাঁর রসূলের দিকে ফিরিয়ে দিলেন তা আল্লাহ , রসূল এবং আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতিম, মিসকিন ও পথিকদের জন্য, যেন তা তোমাদের মধ্যে আবর্তিত হতে না থাকে।"

এভাবে মুহম্মদ নাজির গোত্রের ইহুদিদের বিতাড়িত করে তাদের সব সম্পত্তি দখল করলো এবং সেখানে একটি বাগান বাড়ি তরি করে মিশর থেকে উপহার পাওয়া যৌন দাসী মারিয়াকে সেখানে রাখলো। মুহম্মদ মাঝে মাঝে সেখানে যেতো ফুর্তি করতে, পরে মারিয়ার গর্ভে এক পুত্রের জন্মও হয়। কিন্তু ১৮ মাস বয়সে সেই পুত্র মারা যায়। এটা যে মুহম্মদের সন্তান না, তারও প্রমান আছে, কিন্তু সেই প্রসঙ্গ এখানে না।  যা  হোক, খেজুর গাছ কাটা নিয়ে পরে সমালোচনা হতে পারে, এজন্য, মুহম্মদ ঐ সূরাতেই ৫নং আয়াত ডাউনলোড করে বললো, "তোমরা খেজুরের যে গাছ কেটেছো বা যেগুলোকে তাদের শেকড়ে উপর দাঁড়িয়ে থাকতে দিলে, এসবই আল্লার অনুমতিক্রমে ছিলো।" এই কোরান নাকি আবার আল্লা, পৃথিবী সৃষ্টিরও বহু আগে লিখে "লাওহে মাহফুজ"-এ সেভ করে রেখেছিলো, পরে মূর্খ মুহম্মদ, যে কিনা আল্লার প্রিয় দোস্ত, তার কাছে একটু একটু করে পাঠিয়েছে! চোরে চোরে যেমন মাসতুতো ভাই, তেমনি মূর্খ ও মূর্খের দোস্তিতে তৈরি হয় ইসলাম ধর্ম ও জানোয়ার স্বভাবের মুসলমান।

যা হোক, এই ভাবে মুহম্মদ নিজেই অমুসলিমদের সম্পত্তি দখল করে তা ভোগ দখল করেছে। তো তার উম্মত অমানুষ মুসলমানরা, হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করবে না তো কে করবে ? একটা বিষয় পরিষ্কার, যেখানে হিন্দুরা দুর্বল, সেখানেই মুসলমানরা ভয়াবহ রকম হিংস্র। এই হিংস্রতার সামনে নিরীহ হিন্দুদের টিকে থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই। কিন্তু এতে করে শেষ পর্যন্ত সম্পত্তির দাবী ত্যাগ করলে বা দেশ ত্যাগ করলে, জয় হবে মুসলমানদেরই। এভাবে তারা একমসয় পুরো পৃথিবীই দখল করবে আর নির্বিচারে মারবে হিন্দু তথা অমুসলিমদের। তাই লড়াই করতে হবে, এরজন্য শক্তি অর্জন করতে হবে। এই শক্তি আসবে দুদিক থেকে। এক. দেহের শক্তি; দুই. অস্ত্রের শক্তি। তাহলেই রক্ষা পাবে হিন্দুদের সম্পত্তি, তাদের সম্মান, জীবন ও ধর্ম ।

বীর যোদ্ধাদের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হোক হিন্দু যুব সমাজ, তারা রক্ষা করুক হিন্দু ধর্ম, সমাজ ও জাতিকে; এই প্রত্যাশায়-

জয় হিন্দ।
জয় শ্রী রাম। জয় শ্রী কৃষ্ণ।

No comments:

Post a Comment