Wednesday, 22 July 2020

“গরুর পেট থেকে তো গরুর বাচ্চা হয়। মানুষের বাচ্চা তো হয়না! তাহলে গরু কি করে মানুষের মা হয় ?”


“গরুর পেট থেকে তো গরুর বাচ্চা হয়। মানুষের বাচ্চা তো হয়না! তাহলে গরু কি করে মানুষের মা হয় ?”

যেন এই বিষয়টি মুসলমানদের এক বিশাল চিন্তার বিষয়। গরুকে হিন্দুরা কেনো মায়ের মতো সম্মান করে, এটা নিয়েই মুসলমানদের যত গাত্রজ্বালা। অসুর জাত মুসলমানদের মতো হিন্দুরাও যদি গরুকে কেটে রাক্ষসের মতো খেতো, তাহলে এটা নিয়ে বোধহয় মুসলমানরা কোনো চুলকানি থাকতো না।

যে প্রাণী, যার পেট থেকে জন্ম নেয়, সেটাই তার প্রকৃত মা; আর মায়ের ভূমিকা পালনকারী অন্যরা হয় তার মায়ের মতো। জন্ম দেওয়ার পর মায়ের মৃত্যু হলে, সেই শিশু শুধু মাত্র গরুর দুধ খেয়ে বাঁচতে পারে, এছাড়াও গরুর দুধ একটি আদর্শ খাবার, যে খাবার আমরা খাই সারাজীবন ধরে, এই সূত্রে হিন্দুরা গরুকে মায়ের মতো মনে করে এবং তাকে মায়ের মতো সম্মান করে, হিন্দুরা গরুকে মা মনে করে না, মনে করে মায়ের মতো।

কথা হচ্ছে, মুসলমানদের ক্ষেত্রেও গরু তো মায়ের মতো ভূমিকা ই পালন করে, কিন্তু মুসলমানরা তো অকৃতজ্ঞের জাত, তাই তারা গরুকে হত্যা করে তার মাংস খায়; হিন্দুরা কৃতজ্ঞ বলেই এটা করে না, এই সূত্রে হিন্দুরা কৃতজ্ঞ আর মুসলমানরা অকৃতজ্ঞ জাতি।

মানুষ নিজের দেশকেও মা হিসেবে সম্মান করে, এজন্যই বলে জন্মভূমি হলো মাতৃভূমি। তাহলে কি মুসলমানদের নির্বোধ সূত্র- মায়ের মতো মনে করলেই তাকে তার পেট থেকে জন্ম নিতে হবে- এই সূত্রানুসারে কি দেশের সব মানুষকে দেশের মাটি ফেটে জন্ম নিতে হবে ? মুসলমানরা নিশ্চয় বাংলাদেশকে মায়ের মতোই মনে করে, তাহলে তারা কি দেশের মাটি ফেটে জন্ম নিয়েছে ?

মুসলমানরাও তো সম্মান করে মুহম্মদের মায়ের সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলে, মা আমিনা; আবাব মুহম্মদের বেটিকে বলে মা ফাতেমা; আর মুহম্মদের সব বউ তো কোরানের নির্দেশেই মুসলমানদের মা। তাহলে এরা সবাই কি মুসলমানদের মা, না মায়ের মতো ?

মানুষের মূর্খামির একটা সীমা থাকা দরকার। কিন্তু মুসলমানদের মূর্খামির সীমা, কবে, কোথায় ছিলো ?

জয় হিন্দ।

No comments:

Post a Comment