Thursday, 4 June 2020

মেয়েরা পিতার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হওয়ার যোগ্য কি না ?


মেয়েরা পিতার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হওয়ার যোগ্য কি না ?

এই প্রবন্ধ পড়ে কেউ যদি আমাকে নারী বিদ্বেষী বলে ধরে নেন, তাতে আমার কিছু আসে যায় না; কারণ, সত্য যতই কঠিন, নির্মম এবং অজনপ্রিয় হোক না কেনো, সেটা প্রকাশ ও প্রচার করতে কখনোই আমি পিছপা হই নি, আর ভবিষ্যতেও হবোও না; কারণ-প্রকৃত সত্য এবং বাস্তবতাই হলো সনাতন ধর্ম। যে কারণে কোটি কোটি হিন্দুর বিশ্বাস কৃষ্ণের পাশের রাধাকে আমি উপড়ে ফেলেছি, চৈতন্যদেব যে মহাপ্রভু বা অবতার নয়, তা প্রমাণ করে দিয়েছি; লোকনাথ যে অবতার নয়, তার রণে বনে জঙ্গলে যে একটি চিটিং বাণী এবং মন্দির বানিয়ে লোকনাথের পূজা করা যে পাপ, সে কথা বলেছি; রামকৃষ্ণ মিশন যে হিন্দুদের জন্য একটি ক্ষতিকারক সংগঠন সেটা বলেছি, সেই সাথে এটাও বলেছি যে- ইসকনের মাধ্যমে বাঙ্গালি হিন্দুদের কোনো উপকার হচ্ছে না, ইসকন হিন্দুদের পকেট কেটে শুধু ব্যবসা করে যাচ্ছে এবং হিন্দুযুবকদেরকে সংসার থেকে বিচ্যুত করে প্রত্যক্ষভাবে হিন্দুধর্ম ও সমাজের ক্ষতিই করছে। আর ধর্মীয় বিষয়ের বাইরে এটা বলতেও ছাড়ি নি যে- গান্ধী আসলে একটা হাড়ে হারামজাদা, পৃথিবীর ইতিহাসে, হিন্দুদের, গান্ধীর চেয়ে বড় ক্ষতি আর কেউ করতে পারে নি, ভবিষ্যতেও কেউ করতে পারবে না।

আমি এসব বলতে পিছপা হই নি; কারণ, একজন সনাতনী হিসেবে আমি সত্যের পূজারী, যেহেতু সনাতন ধর্ম হলো সত্যের ধারক; এছাড়াও সনাতন ধর্ম হলো বাস্তবতার ধর্ম, তাই বাস্তবতার নিরীখে যা সত্য এবং সমাজের জন্য উপকারী, তা বলতে আমি ভয় পাই না, সেই কারণেই আজকের এই প্রবন্ধটি লিখছি, এতে যদি কিছু হিন্দু নারী আমার উপর নাখোশও হয়, তাতে আমার কিছু যায় আসে না; কারণ, তাদের নাখোশে বাস্তবতা কখনো অবাস্তবতায় পরিণত হবে না বা সত্য কখনো উল্টে যাবে না।

সনাতন ধর্মের সমস্ত বিধি বিধান, সকল দিক বিচার বিবেচনা করে আমাদের পূজনীয় মুনি ঋষিরা দিয়ে গেছেন, যা পালন করা বা মেনে নেওয়া আমাদের জন্য সর্বোত্তম কল্যানকর, যেখানেই আমরা তাদের বেঁধে দেওয়া নিয়মের লঙ্ঘন করবো, সেখানেই আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো, এই প্রবন্ধে বেশ কিছু উদাহরণ দিয়ে আমি আমার কথার প্রমাণ দিচ্ছি-

সনাতন ধর্মে পুরুষদের জন্য দশবিধ সংস্কারের কথা বলা হয়েছে, কিন্তু নারীর জন্য সংস্কার একটিই, সেটা হলো বিবাহ। একটি ভালো বিবাহ, একজন নারীকে সম্মান, সুখ সবকিছু দিতে পারে। সনাতন ধর্মে নারীর এই ভালো বিবাহের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যেকারণে বেদে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উপযুক্ত যোগ্য পাত্রের হাতে কন্যাকে সম্প্রদান করতে এবং কন্যা যাতে শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে মাথা উঁচু করে চলতে পারে, তার জন্য যথেষ্ট পরিমান উপহার সামগ্রীসহ কন্যাকে শ্বশুর বাড়ি পাঠাতে। কারণ, বিবাহের মাধ্যমে শুধু বরই নববধুর ভরণ পোষণসহ সার্বিক দায়িত্ব নেয় না, বরের পরিবারও নববধূর সামগ্রিক দায়িত্ব নেয়। আর দায়িত্বের মূল হলো অর্থ। একজন মেয়ে যদি খালি হাতে তার শ্বশুর বাড়িতে যায়, তাহলে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন এটাই মনে করবে যে- খালি হাতে তাদের বাড়িতে এসে নতুন বউ শুধু তাদের অন্ন ধ্বংস করছে। সমাজে- ধন ছাড়া জ্ঞান মূল্যহীন, একজন পুরুষের ক্ষেত্রে ধন ছাড়া জ্ঞান তো বোঝা। তাই মেয়ে যতই সুন্দরী হোক বা সে যতই শিক্ষিত হোক, ধন ছাড়া কোনো মেয়ে যদি শ্বশুর বাড়িতে যায়, সেখানে সে প্রিয় হতে পারবে না। এটাই মানব চরিত্রের স্বভাব বা বাস্তবতা। এই বাস্তবতাকে উপলব্ধি করেই আমাদের মুনি ঋষিরা বিধান দিয়েছেন বিয়ের সময় পর্যাপ্ত উপহার সামগ্রী দিয়ে কন্যাকে শ্বশুর বাড়ি পাঠাতে, যাতে সেখানে কেউ তাকে বলতে না পারে যে খালি হাতে এসে তাদের অন্ন ধ্বংস করছে। আর একজন অসুন্দরী, অযোগ্য বা গরীব ঘরের মেয়েকে যদি দয়া করেও বিয়ে করা হয়, বিয়ের পরপরই সেই মেয়ে তার পূর্বাবস্থা সম্পূর্ণ ভুলে যায়, তার চাহিদার কোনো কিছুই সে ছাড় দেয় না এবং চাহিদার কিছু পূরণ না হলে সে তার স্বামীকে বা শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে যা তা বলতেও ছাড়ে না, তখন যেকোনো ছেলের এটা মনেই হতে পারে যে, কাউকে দয়া করে বিয়ে করা উচিত নয় বা বিয়ের সময় পিশাচের মতো মেয়ের পিতার নিকট থেকে অর্থ আদায় করা একদম ঠিক। নারী চরিত্রের এই বৈশিষ্ট্যের কারণেও মেয়েরা শ্বশুর বাড়িতে মানসিক বা শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়।

মানব চরিত্রের আরেকটা বৈশিষ্ট্য হলো- মেয়ের বিয়ের সময় তাদের চেষ্টা থাকে যত কম অর্থ ব্যয়ে মেয়েকে ঘাড় থেকে নামানো যায়, এজন্য পাত্রপক্ষ যদি ভদ্রতার খাতিরে বিয়ের আগে কোনো কিছু না চায়, মেয়ের পরিবারও সেই ভদ্রতার সুযোগ নিয়ে মেয়েকে একেবারে খালি হাতে শ্বশুর বাড়িতে পাঠায়। মেয়ের বাপের এই অবিবেচনার ফল ভোগ ক'রে, সেই মেয়ে শ্বশুর বাড়িতে নানারকম কথা শুনে বা নির্যাতিতা হয়। সুযোগ সন্ধানী মেয়ের পিতাদের কারণেই পাত্রপক্ষ বিয়ের আগে তাদের চাহিদার কথা কন্যাপক্ষকে জানায়, যদি তারা সেই চাহিদা পূরণ করতে পারে, তাহলেই বিয়ে হয়, যেই চাহিদা বর্তমানে যৌতুক প্রথা বলে পরিচিতি পেয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বিয়ের সময়ের স্বেচ্ছা প্রদত্ত উপহার সামগ্রীর বিনিময়ে বাধ্যতামূলক যৌতুক প্রথার উদ্ভব হয়েছে মেয়ের পরিবারের অবিবেচক সুযোগসন্ধানী মনোভাবের ফলে।

যা হোক, ফটোপোস্টে দেখুন মুক্তা রাণী ঘোষ নামের এক মেয়ে বলেছে, সে শিক্ষিতা এবং সরকারী চাকুরিজীবি হওয়ার পরেও খালি হাতে শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে নির্যাতিতা। এই ঘটনাটাই তো প্রমাণ করে যে- বাস্তবতাকে না মেনে মুনি ঋষিদের বিধানকে না মানার ফলেই তার আজ এই শাস্তি।

বিয়ের সময় পর্যাপ্ত উপহার সামগ্রী নিয়ে মেয়েকে তার শ্বশুর বাড়িতে যেতে হবে, নিজের জীবনের সুখ শান্তির জন্য এটা যে কতবড় বাস্তব, তার উদাহরণ মুসলিম সমাজ। মুসলিম সমাজে বিয়ের জন্য মেয়ে কেনার রীতি রয়েছে। দেনমোহরের অর্থ মেয়ের পিতার হাতে তুলে দিয়ে, বর তার স্ত্রীকে কিনে থাকে। এক্ষেত্রে মেয়ের পরিবার থেকে ছেলেকে কোনো উপহার সামগ্রী দেবার প্রশ্নই নেই। এজন্য স্বামীর বাড়িতে মুসলিম মেয়ের কোনো অধিকার থাকে না, যেহেতু সে কেনা দাসী। তাই স্বামী তার অর্থের যোগ্যতা অনুসারে একাধিক বিয়ে করলেও মুসলিম মেয়েরা তার কোনো প্রতিবাদ করতে পারে না। কিন্তু বর্তমান বাঙ্গালি মুসলিম সমাজে কী ঘটছে ? যদিও মুসলিম মেয়েরা পিতার সম্পত্তির কিছু ভাগ পায়, তারপরও যৌতুক ছাড়া কোনো মুসলিম মেয়ের বিয়েই হচ্ছে না, যে দু চারটি বিয়ে যৌতুক ছাড়া হচ্ছে, সেই মেয়েরাই হচ্ছে নির্যাতনের শিকার, ক্ষেত্র বিশেষে তাদের মৃত্যুও হচ্ছে। কিন্তু যৌতুকের কারণে হিন্দু সমাজে নারী নির্যাতনের ঘটনা একেবারে বিরল, যেখানে যৌতুকের কারণে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে, অনুসন্ধান করলে দেখতে পাবেন, সেখানেই মুনি ঋষিদের বিধানকে অমান্য করে মেয়ের পরিবার, ছেলে পক্ষের কাছে সুযোগ নিয়েছে, যেমন ঘটেছে মুক্তা রাণী ঘোষের বেলায়।

এই Mukta Rani Ghosh, নারীদের, পিতার সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারের পক্ষে, যেহেতু তার পিতার অবিবেচনায় সে শ্বশুর বাড়িতে নির্যাতিতা, স্বামী সংসারের প্রকৃত সুখ সে পায় নি, তাই এখন তার প্ল্যান, পিতার সম্পত্তির ভাগ নিয়ে নিজেকে কিছুটা শক্তিশালী করে শ্বশুর বাড়িকে এক হাত সে দেখাবে অথবা সম্পত্তি পেয়ে স্বাধীন হয়ে স্বামী ও শ্বশুরবাড়িকে ত্যাগ করে অন্য কোনো ছেলের ঘরে গিয়ে সে উঠবে। কিন্তু সামাজিক শান্তি রক্ষা এবং নারীদের নিরাপত্তার জন্যই যে নারীদের হাতে সম্পত্তি থাকা উচিত নয়, কয়েকটি বাস্তব ঘটনার উল্লেখ করে নিচে তার উদাহরণ দিচ্ছি-

শাস্ত্রের বাণী হলো- অর্থ অনর্থের মূল। অর্থাৎ, অর্থ যদি সঠিক ব্যক্তির হাতে না থাকে সেই অর্থ, সেই ব্যক্তিসহ অন্য ব্যক্তিদের জীবনেও অনর্থ ঘটাবে। পৃথিবীর ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, বেশির ভাগ নারীর চিন্তাভাবনাই বাস্তবতার নিরীখে সম্পূর্ণ ভুল, যে ভুল বহু মানুষের জীবনে নিয়ে এসেছে অবর্ণনীয় দুঃখ, দুর্দশা এবং মৃত্যু।

আপনারা অনেকেই গ্রীস ও ট্রয়ের যুদ্ধের কথা জানেন, যে যুদ্ধের পর ট্রয় নগরী পৃথিবীর মানচিত্র থেকে একেবারে মুছে গিয়েছে। এই যুদ্ধ ঘটেছিলো হেলেন নামের এক নারীর স্থূল চিন্তাভাবনার কারণে। হেলেন ছিলো গ্রীসের এক রাজকুমারের স্ত্রী, তার ছিলো একটি পুত্রও। কিন্তু এক সন্তানের জননী বিবাহিতা হেলেন পালিয়ে যায় ট্রয়ের এক রাজকুমার প্যারিসের সাথে। এটা শুধু গ্রীসের রাজ পরিবারের সম্মানের ব্যাপার ছিলো না, ছিলো সমগ্র গ্রীসের সম্মানের ব্যাপার। তাই হেলেনকে ট্রয় থেকে উদ্ধারের জন্য সমগ্র গ্রীস ঝাঁপিয়ে পড়ে ট্রয়ের উপর এবং ট্রয়ের সমস্ত লোককে হত্যা করে ট্রয়কে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয়। এই যুদ্ধে গ্রীসেরও বহু যোদ্ধা মারা যায় এবং তাদের আর্থিক ক্ষতি সাধন হয়।

নারী চরিত্র বিশ্লেষণ করে আমার উপলব্ধি হলো- নারীরা হচ্ছে গাড়ির মতো, যতক্ষণ আপনি স্টিয়ারিং বা হ্যান্ডেল ধরে থাকবেন, ততক্ষণই গাড়ি যেমন দুর্ঘটনা মুক্ত থাকবে, তেমনি যেই আপনি স্টিয়ারিং বা হ্যান্ডেল অর্থাৎ নিয়ন্ত্রন ছেড়ে দেবেন, তখনই সেই গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে নিজে তো ধ্বংস হবেই, গাড়ির সাথে যুক্ত অন্যদেরকেও মেরে ফেলবে বা তাদের ক্ষতি করবে। কোনো নারী যদি তার পরিবারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়, সেই নারীও দুর্ঘটনা ঘটাবে এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জীবনে দুঃখ বয়ে আনবে।

উপরের এই উদাহরণ মনে রেখে এবার রামায়ণে সীতার কর্মকাণ্ডটা দেখুন- নির্জন বনে কোনো ষড়যন্ত্র হতে পারে ভেবে, লক্ষ্মণ, সীতার চারপাশে একটি বৃত্ত এঁকে দিয়ে বলেছিলো, তার বাইরে না যেতে। কিন্তু সীতা, নিজের চিন্তা ভাবনার স্থূলতার কারণে সেই রেখা অতিক্রম করে, ফলে সীতা রাবণ কর্তৃক অপহৃত হয়, এর ফলে যুদ্ধ হয়, যুদ্ধে বহু আহত নিহত হয় এবং লঙ্কা নগরী ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। সীতা, লক্ষ্মণের কথা না শোনার কারণেই বা লক্ষ্মণের নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়েছিলো বলেই এমন ঘটনা ঘটা সম্ভব হয়েছে।

নারীর হাতে সম্পত্তি গেলে তার কী পরিণতি হয়, এবার সে সম্পর্কে সনি চ্যানেলের ক্রাইম পেট্রোলে প্রচারিত একটি গল্প শুনুন-

সাত-আট বছরের একটি মেয়ে সহ এক দম্পতির সুখী পরিবার। সেই পরিবারের স্বামী, শহরে থাকা তার একমাত্র বাড়িটি স্ত্রীর নামে লিখে দেয়। এভাবেই চলছিলো। হঠাৎ একদিন সেই পরিবারের স্বামী দেখে তার গ্রামের এক যুবক ছেলে ছন্নছাড়া হয়ে শহরের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, গ্রামের ছেলে, তাই সহানুভূতিবশত তাকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারে, কাজের খোঁজে শহরে এসেছে, কিন্তু কাজ পায় নি, এদিকে টাকা পয়সা সব শেষ হয়ে গেছে। এই অবস্থায় সেই স্বামী, সেই যু্বককে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। কিন্তু বাড়িতে গিয়েই ঐ যুবকের নজর পরে ঐ বাড়ির স্ত্রীর প্রতি, সে তাকে নিয়ে কল্পনা করতে শুরু করে।

এর মধ্যে কোনো একটি জরুরী প্রয়োজন হওয়ায় ঐ স্বামীটি কয়েকদিনের জন্য বাড়ির বাইরে যায়, ফলে বাড়ি ফাঁকা পাওয়ায় ঐ যুবকটি ঐ নারীকে পটিয়ে ফেলে এবং জানতে পারে এই বাড়িটি তারই নামে আছে। ফলে কল্পনা পরিকল্পনায় রূপান্তরিত হয়, ঐ যুবকের প্ররোচনায় এই বাড়ি বিক্রি করে দিয়ে তারা অন্য কোথাও চলে গিয়ে নতুন করে সংসার বাঁধার প্ল্যান করে ফেলে। এরপর তারা খুব দ্রুত সেই বাড়ি বিক্রি করে ফেলে এবং টাকা পয়সা গয়না নিয়ে ঐ বাড়ি ছেড়ে দিয়ে তারা ঐ যুবকের এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে উঠে, সেখানে রাতে দুই বন্ধু মিলে মা মেয়েকে খুন করে টাকা ও গয়না নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশের হাতে ধরা পড়লে ঐ যুবকটি বলে ঐ নারীর সম্পত্তির জন্য সে এই পরিকল্পনা করেছে, মূলত তার দৃষ্টি ছিলো ঐ নারীর সম্পত্তির উপর, তার সাথে সে শুধু প্রেমের অভিনয় করেছে। পুলিশের কাছে সব শুনে ঐ স্বামীর তো মাথায় হাত, সে আফশোস করে বলতে থাকে, কেনো সে তার বাড়ি তার স্ত্রীর নামে লিখে দিতে গেলো আর কেনোই বা সহানুভূতি দেখিয়ে ঐ যুবককে বাড়ি নিয়ে গেলো ?

ঐ যুবককে বাড়ি নিয়ে যাওয়া এবং তাকে বাড়িতে রেখে কয়েকদিনের জন্য বাড়ির বাইরে যাওয়া ছিলো তার সাধারণ ভুল, কিন্তু স্ত্রীর নামের নিজের বাড়ি লিখে দেওয়া ছিলো তার মারাত্মক ভুল, যে ভুলের কারণে সে একই ঘটনায় নিজের বাড়ি, নিজের স্ত্রী এবং নিজের আট বছর বয়সী কন্যাকে হারায়।

যদি ঐ বলদ স্বামী, নিজের সম্পত্তি স্ত্রীর নামে লিখে না দিতো, তাহলে এই ঘটনায় খুব বেশি হলে প্রেমের আবেগে পড়ে ঐ স্ত্রী ঐ যুবকের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতো, খুব বেশি হলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতো, কিন্তু সে কিছুতেই নিহত হতো না এবং তার মেয়েও মারা যেতো না। ঐ নারীর নামে থাকা সম্পত্তির কারণেই সে খুন হওয়ার পরিকল্পনায় পতিত হয় এবং মেয়েসহ খুন হয়।

এই গল্প আমাদেরকে কী শিক্ষা দেয়- কোনো নারী কি সম্পত্তির মালিক হওয়ার যোগ্য ?

অনেকে বলতে পারেন, সবার ক্ষেত্রে যে এমন ঘটনা ঘটবে, তা তো নয়। যারা এমন ভাবছে, তাদের উদ্দেশ্যে বলছি- দুর্ঘটনা একজন মানুষের জীবনে প্রতিদিন ঘটে না, সারা জীবনে দু একবারই ঘটে, কিন্তু সেই একটি দুর্ঘটনাতেই মানুষকে সারা জীবন ধরে কাঁদতে হয়। কোনো বুদ্ধিমান মানুষ সেই রিস্ক কেনো নেবে ?

কোনো মেয়ের হাতে বেশি পরিমাণ নগদ টাকা পয়সা থাকলে কী ধরণের ঘটনা ঘটতে পারে, তার আরেকটি গল্প শুনুন, এটিও সনির ক্রাইম পেট্রোলে প্রচারিত-

মামা এবং দিদার সাথে থাকে ১৩/১৪ বছর বয়সী একটি মেয়ে, পড়াশোনার পাশাপাশি সে মামাকে তার বিভিন্ন কাজে হেল্পও করে। এই মেয়ের উপর কুনজর ছিলো পাড়ার এক বখাটে ছেলের। একদিন মামা তার ভাগনিকে একটি দেড় লাখ টাকার চেক দেয়, স্কুলে যাওয়ার পথে ব্যাংক থেকে টাকাটা ক্যাশ করে কাউকে দেওয়ার জন্য। ঘটনাক্রমে সেই দিনই ঐ বখাটে যুবক ঐ মেয়েকে অপহরণ করে এবং তার কথা না শুনলে তার মামা ও দিদাকে খুন করবে বলে ভয় দেখিয়ে এক হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর কাউকে কিছু না বলার শর্তে ঐ যুবকটি ঐ মেয়েটিকে ছেড়েই দিচ্ছিলো, কিন্তু হঠাৎ সে ঐ দেড় লাখ টাকার চেকটি দেখতে পায় এবং ঐ টাকায় ঐ মেয়েটিকে আরো কিছুদিন ভোগ করার প্ল্যান করে ফেলে।

এরপর ঐ যুবক তার বন্ধুকে দিয়ে ঐ চেকটি ভাঙায় এবং ঐ টাকা দিয়ে ঐ মেয়েটিকে নিয়ে বিভিন্ন হোটেলে রাত কাটাতে থাকে, আর তাকে ধর্ষণ করতে থাকে। তার কথা না শুনলে মামা ও দিদাকে মেরে ফেলবে বলে সে চুপ করে এই নির্যাতন সহ্য করতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ফোন লোকেশনের মাধ্যমে ঐ ধর্ষককে পুলিশ ধরে ফেললে, ঐ মেয়েটি এই নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পায়। মেয়েটির কাছে দেড় লাখ টাকার চেক না থাকলে সে একবার ধর্ষিতা হয়েই রেহাই পেতো, কিন্তু তার কাছে থাকা টাকার চেক তাকে বহুবার ধর্ষণ করালো এবং কোনো মেয়ের কাছে টাকার চেক দেওয়ার নির্বুদ্ধিতার ফলে তার মামা নিজের দেড় লক্ষ টাকা হারালো।

এখন বলেন কোনো নারীর কাছে কি সম্পত্তি বা টাকা পয়সা রাখা বা থাকা উচিত ?

একটা কথা আছে- স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। একইভাবে টাকা পয়সা অর্জনের চেয়ে তা রক্ষা করাও কঠিন। যার সম্পত্তি আছে, তাকে তার রক্ষা করার শক্তিও থাকতে হবে। যদি তার সেই শক্তি না থাকে, তাহলে সে শুধু সম্পত্তিই হারাবে না, সম্পত্তির সাথে সাথে নিজের মান সম্মান এবং প্রাণও হারাতে পারে।

সমাজের ৯৯.৫% মেয়ের ক্ষমতা নেই নিজের দেহকে কোনো পুরুষের কাছ থেকে রক্ষা করার; যারা নিজের দেহকেই রক্ষা করতে পারে না, তারা নিজের সম্পত্তিকে রক্ষা করবে কিভাবে ? তারই সম্পত্তি থাকা উচিত, যে তা রক্ষা করতে পারে, কোনো নারীর কি তা রক্ষা করার ক্ষমতা আছে ? ষড়যন্ত্রকারীর অভিসন্ধিকে না বুঝে একটু মিষ্টি কথায় ভুলে যারা নিজের দেহ, মন সব ষড়যন্ত্রকারীর হাতে সঁপে দিয়ে নিজেদের বিনাশকে ডেকে আনে, তাদের হাতে সম্পত্তি বা টাকা পয়সা থাকা কতটুকু নিরাপদ ?

সনাতন ধর্মের বিধান হচ্ছে- নারী, বাল্যে থাকবে পিতার অধীনে; যৌবনে স্বামীর অধীনে এবং বৃদ্ধ বয়সে পুত্রের অধীনে। মুনি ঋষিদের এই বিধান যেখানেই লঙ্ঘিত হয়েছে, সেখানেই পারিবারিক শান্তি বিনষ্ট হয়েছে এবং সামাজিক ক্ষতি হয়েছে। নারী স্বাধীন হলেই ম্যাক্সিমাম ক্ষেত্রে তার পরিবারের জন্য দুঃসংবাদ বয়ে নিয়ে আসে। সস্তা প্রেমের আবেগে পড়ে বেজাতের যেকোনো ছেলের হাত ধরে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে পিতা মাতা ভাই বোন আত্মীয় স্বজন এবং ধর্ম ও সমাজের মান সম্মান ডুবানো তো অনেক মেয়ের কাছেই ছেলেখেলা। এই প্রবন্ধের সাথে যুক্ত একটি ফটোতে দেখুন এক কলেজ পড়ুয়া মেয়ে এক বিবাহিত মুসলমান, যার একটি বাচ্চাও আছে, তাকে বিয়ে করার জন্য বাপ মা আত্মীয় স্বজন ধর্ম সমাজ সবাইকে ত্যাগ করেছে, এদের বিচার বুদ্ধির উপর নির্ভর করে কিভাবে এদের হাতে সম্পত্তি দেওয়া যায় ? এছাড়াও এই প্রেমের খেলায় যে তাদের নিজেদের জীবনও বিপন্ন হতে পারে বা হয়, যেটা চারপাশে তাকালেই উপলব্ধি করা যায়, সেই জ্ঞানও অনেক মেয়ের থাকে না। এই কারণে বয়স আঠারো পার হলেই প্রতিটি হিন্দু পরিবার তাদের বাড়ির মেয়েদের কাছে একেবারে অসহায়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তো আঠারো বছর বয়সের আগেই মেয়েরা তার পরিবারকে অসহায় করে ফেলে। যা হোক, ১৮+ বয়সের কারণেই যেখানে হিন্দু পরিবারগুলো তাদের মেয়েদের কাছে অসহায়, সেখানে তারা যদি নিজের পিতার সম্পত্তির অধিকার পায়, তারা কি প্রলয়কাণ্ড ঘটাতে পারে, সেটা একবার ভেবে দেখুন।

মেয়েরা হচ্ছে জলের জাত, তাদেরকে যে পাত্রে রাখা যায়, তারা সেই পাত্রেরই আকার ধারণ করে। এ কারণে কোনো মেয়ে যে জাতের ছেলেকেই ভালোবেসে বিয়ে করুক না কেনো, তারা নিজেকে সেই জাতের লোক মনে করে। এজন্য কোনো হিন্দু মেয়ে যদি কোনো মুসলমান ছেলেকে বিয়ে করে, ঐ হিন্দু মেয়ে নিজেকে মুসলমান ভাবতে শুরু করে বা ভাবে, এই অবস্থায় সে যদি পিতার সম্পত্তির অধিকার পায় ঐ মেয়ে তার মুসলিম স্বামীকে নিয়ে পিতার বাড়িতে এসে বসবাস শুরু করবে আর প্রতিদিন গরুর মাংস রান্না করে ঐ বাড়িতে তার পিতা মাতার বসবাসকেই অসম্ভব করে তুলবে, শেষ পর্যন্ত ঐ হিন্দু পিতা মাতা সেই বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হবে। কারণ, মুসলিম মানসিকতাসম্পন্ন কারো সাথে পৃথিবীর অন্য কোনো ধর্মের লোক কখনো একত্রে বাস করতে পারে না বা পারবে না।

কেউ কেউ বলে থাকে, পিতার সম্পত্তিতে কন্যার অধিকার থাকলে, সেই মেয়ের মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করার ফলে উদ্ভূত সমস্যার ভয় থাকলে, ধর্ম ত্যাগ করলে মেয়ে ত্যাজ্য হবে এবং সেই মেয়ে পিতার সম্পত্তির অধিকার পাবে না, এমন আইন করলেই তো সমস্যা মিটে যাবে। যারা এমনটা ভাবে, তারা বোঝেই না যে বাংলাদেশটা মুসলমানদের দ্বারা শাসিত দেশ, হিন্দু স্বার্থ রক্ষা হয় এমন কোনো আইন তারা সংসদে পাশ করবেই না। অনেকে হয়তো জানেই না যে কোনো হিন্দু যদি মুসলমান হয়, তাকে আর্থিকভাবে হেল্প করার জন্য সরকারী একটি ফান্ড আছে, যাতে প্রতিবছর সরকার বরাদ্দ দেয় এবং সরকারীভাবে পরিচালিত দাওয়াহ ইনস্টিউট নামে একটি প্রতিষ্ঠান আছে, যেটা ঢাকার বাসাবোতে অবস্থিত, যার কাজই হচ্ছে হিন্দুদেরকে মুসলমান বানানো।

এই যেখানে হিন্দুদের ব্যাপারে সরকারী মনোভাব, সেখানে আপনি কিভাবে ভাবলেন যে, হিন্দুধর্ম ত্যাগ করলে মেয়েদেরকে ত্যাজ্য করার এবং তাকে পিতার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার বিধান রেখে সরকার আইন পাশ করবে ? এখনই বাংলাদেশের মুসলমানরা ছলে বলে কৌশলে হিন্দু মেয়েদেরকে মুসলমান বানায়, শুধু পরকালে গিয়ে বিনা বিচারে বেহেশত পাবে ব'লে, এর উপর যদি হিন্দু মেয়েরা পিতার সম্পত্তি পায়, তাহলে হিন্দু মেয়েদেরকে অপহরণ করে মুসলমান বানিয়ে বিয়ে করার ধূম পড়ে যাবে। বর্তমানে যেসব হিন্দু মেয়ে লাভ জিহাদের কবলে পড়ে মুসলমান হচ্ছে, তারা তো তবু স্বেচ্ছায় মুসলমানদের বিছানায় গিয়ে কাপড় খুলতে পারছে, কিন্তু সম্পত্তির কারণে যদি তারা অপহৃত হয়, তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তারা মুসলমানদের দ্বারা ধর্ষিতা হবে এবং সেটা হবে, শুধু তাদের নামে পিতার সম্পত্তির অধিকারের কারণে। এটা কি তাদের জন্য ভালো হবে ?

কোনো হিন্দু মেয়ে যদি একবার কোনো মুসলমানের সাথে বিছানায় যায় বা তাদের পেটে যদি একবার কোনো মুসলমানের বীজ ঢুকিয়ে দেওয়া যায়, সেই মেয়েকে যে কোনো হিন্দু ছেলে আর বিয়ে করবে না বা হিন্দু সমাজে তার স্থান আর হবে না, মুসলমানরা জানে হিন্দু সমাজের এই দুর্বলতার কথা, তাই তাদের পরিকল্পনা হলো যেকোনো কৌশলে হিন্দু মেয়েদেরকে একবার বিছানায় নিয়ে যাওয়া এবং তাদের পেটে মুসলমানদের বীজ ঢুকিয়ে দেওয়া এবং তারা সংগঠিতভাবে এই কাজ করছে শুধুমাত্র ধর্মীয় কারণে, এ পরিকল্পনা সংক্রান্ত একটি ফটো এই প্রবন্ধের সাথে যুক্ত করে দিয়েছি, সেটা দেখলে বিষয়টি বুঝতে পারবেন; এর উপর যদি হিন্দু মেয়েদের নামে পিতার সম্পত্তি থাকে, অবস্থাটা কোন পর্যায়ে পৌঁছাবে, সেটা একবার চিন্তা করুন। যারা দাবী করে হিন্দু মেয়েদের জন্য পিতার সম্পত্তির অধিকার, তারা কি এই বিষয়গুলো কখনো ভেবে দেখেছে ?

মেয়েদের জন্য পিতার সম্পত্তির উত্তরাধিকার থাকলে, পিতৃতান্ত্রিক মনোভাবের কারণে সেই সম্পত্তির দখল নিয়ে ভাই বোনের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ মামলা মোকদ্দমা হবে, ভাইবোনের মধুর সম্পর্ক তিক্ত হবে, এটা বাস্তব এবং বাস্তবতার ফলে বাংলাদেশের দেওয়ানি মামলার ৮০% মুসলমানদের ভাই বোনেদের মধ্যে, বিশ্বাস না হলে খোঁজ নিয়ে দেখুন, এর ফলে মুসলিম সমাজ কি সুখে আছে ?

কোনো হিন্দু মেয়ে যেমন তার পিতার সম্পত্তির ভাগ পায় না, তেমনি সেই মেয়ের শ্বশুরের সম্পত্তির ভাগও তার ননদ পায় না, ফলে কোনো মেয়ের ভাইয়ের সম্পত্তি যেমন ঠিক থাকে, তেমনি তার স্বামীর সম্পত্তিও ঠিক থাকে। তাহলে সমস্যা কোথায় ? তাছাড়া সব পিতাই চায় বা চেষ্টা করে তার মেয়ের বিয়ে তার চেয়ে অর্থ সম্পদে বড় কোনো ঘরে দিতে, এবং এটা শাস্ত্রেরও নির্দেশ যে মেয়ের বিয়ে দিতে হবে তুলনামূলক ধনী বাড়িতে এবং ছেলের বিয়ে দিতে হবে তুলনামূলক গরীব ঘরে। ফলে বিয়ের মাধ্যমে কোনো হিন্দু মেয়ে বাপের বাড়িতে যা ছেড়ে যায়, তার চেয়ে অনেক বেশি সে শ্বশুর বাড়িতে লাভ করে। এরপরও কোনো কোনো হিন্দু মেয়ের এতে সমস্যা কোথায় বা সমস্যা কেনো ?

যে মেয়ে বাধ্য বা পিতা মাতার কথা অনুযায়ী বা তাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিয়ে করে এবং যে পিতা বিবেচক, যে ভদ্রতার সুযোগ নেয় না, এমন পিতার মেয়ের জীবনে কখনো খারাপ কিছু ঘটতেই পারে না বা ঘটবে না। তারা বাপের বাড়িতে যা ছেড়ে যাবে, শ্বশুর বাড়িতে তার চেয়ে বেশি পাবে। তারা কখনো ভাববেই না পিতার সম্পত্তির কথা; কারণ বিয়ের সময় যৌতুক বা উপহার সামগ্রী দিয়ে পিতা তো তাকে তার অধিকার দিয়েছেই, শ্বশুর বাড়িতে গিয়েও সে তার চেয়ে বেশি অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছে, এমন মেয়ে পিতার সম্পত্তির কথা ভাববে কেনো ? পিতার সম্পত্তির কথা ভাববে, সেই সব মেয়ে, যারা পিতা-মাতার অবাধ্য, বিয়ে করবে নিজের ইচ্ছা মতো বেজাতের চাল চুলোহীন কোনো বখাটে ছেলেকে, বিয়ের পর যে নিজেকে আবিষ্কার করবে ভিখারি রূপে, যার কদর শ্বশুর বাড়িতে নেই, আর স্থান নেই বাপের বাড়িতেও, এমন অসুস্থ চিন্তা-ভাবনাসম্পন্ন মেয়েরা ভাববে পিতার সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে, কোনো সুস্থ মস্তিষ্ক্যের মেয়ে, যে পিতা-মাতার বাধ্য, পিতা-মাতা-আত্মীয়-স্বজন ধর্ম ও সমাজের ভালোর কথা চিন্তা করে, সে কখনো ভাই বোনের সম্পর্কছেদক পিতার সম্পত্তির উত্তরাধিকারের কথা বলবে না বা ভাববে না, যেখানে এই নিয়মের ফলে তার শ্বশুর বাড়ির সম্পত্তির ভাগও তার কোনো ননদকে দিতে হচ্ছে না এবং যে বৈবাহিক সূত্রে পিতার সম্পত্তির ভাগের চেয়ে বেশি সম্পত্তি শ্বশুর বাড়িতে লাভ করেছে।

একটা কথা সব হিন্দু মেয়ের মনে গেঁথে নেওয়া দরকার যে- মুনি ঋষিরা আমাদের জন্য যে বিধান দিয়ে গেছেন, তার কারণ আমরা বুঝি বা না বুঝি, সেটাই আমাদের জন্য সর্বোত্তম মঙ্গলজনক, সেটা যদি আমরা মেনে চলি, আমাদের ভালো হবে, আমরা সুখে থাকবো; আর যদি তা মেনে না চলি আমরা দুঃখভোগ করবো। এই সব বিধি বিধান মেনে চলতে সমাজ সব সময় আপনাকে বাধ্য করবে না; যেমন বিয়ের পর আপনি যদি শাঁখা-সিঁদুর-খারু-পলা পরিধান না করেন, কেউ হয়তো আপনাকে কিছু বলবে না, কিন্তু শারীরিক মানসিক নির্যাতন সয়ে বা সাংসারিক অশান্তি ভোগ করে মুনি ঋষিদের বিধানকে অবজ্ঞা করার শাস্তি আপনি পাবেন; ডিভোর্স খেয়ে পথেও বসতে পারেন বা তালাক-পুনর্বিবাহের চক্করে একাধিক ব্যক্তির বিছানায় যেতে বাধ্য হয়ে আপনি বেশ্যার জীবন যাপনও করতে পারেন বা এসব সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যাও করতে পারেন, সবই আপনার অজ্ঞতা বা ভুলের ফলে দাম্পত্যজীবনে মুনি ঋষিদের গাইডলাইনকে ফলো না করার ফল।

সমস্ত কিছু বিচার বিশ্লেষণ করে শেষে এটা বলা যায় যে, মুনি ঋষিরা হিন্দু নারীদেরকে পিতার সম্পত্তির উত্তরাধিকার করে যায় নি, পারিপার্শ্বিক অবস্থার বিচারে সেটাই সর্বোত্তম ব্যবস্থা- হিন্দু নারীদের নিরাপত্তা, সুখ এবং হিন্দু সমাজের ভালোর জন্য; কারণ, নারীরা তাদের মানসিকতার জন্য সম্পত্তির মালিক হওয়ার যোগ্যই নয়, সম্পত্তির মালিক হলে নারীরা নিজেদের নির্বুদ্ধিতার জন্য নিজেদেরই বিপদ ডেকে আনবে, সাথে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকেও যন্ত্রণায় ফেলবে। তাই এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে যারা কথা বলবে, ধরে নিতে হবে তারা হিন্দু নারীদের সুখে ঈর্ষান্বিত, তারা চায় না হিন্দু নারীরা সুখে থাকুক, হিন্দু সমাজ ভালো থাকুক, তাই এদের কথার প্রতিবাদই শুধু করতে হবে না, প্রয়োজন হলে এদেরকে দমনও করতে হবে।

জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।

No comments:

Post a Comment