কার দোষে এই হিন্দু মেয়ে আজ মুসলমান ?
শিকার করা, মানে অমুসলিমদেরকে মুসলমান বানানো মুসলমানদের প্রতি ইসলামের নির্দেশ, তাই শিকার করা বা শিকার ধরা মুসলমানদের স্বভাব; এই স্বভাবের জন্য তাদের কোনো লজ্জা নেই, বরং তারা গর্বিত, তাই এই ছেলেকে মুসলমান বানানোর জন্য মুসলমানদের কোনো দোষ নেই।
তাহলে দোষ কার ?
দোষ, প্রথমত এই মেয়ের পরিবারের, দ্বিতীয়ত হিন্দু সমাজের।
এই মেয়ের পরিবার, এই মেয়ের উচ্চ শিক্ষার কথাই শুধু ভেবেছে, তাকে ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়ার কথা কখনো ভাবেই নি। তার ফলাফল এই, পিতা-মাতা এবং পরিবারের কথা না ভেবে এই মেয়ে মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করে মুসলমান হয়ে গেছে।
এর ফলে এই মেয়ের পিতা-মাতার শুধু ইহকালেরই ক্ষতি হলো না,ক্ষতি হলো পরকালেরও; কারণ, সন্তান ধর্ম ত্যাগ করায়, এই পিতা মাতার নরক বাস নিশ্চিত, এদের স্বর্গ প্রাপ্তির কোনো চান্স নেই।
দ্বিতীয়ত দোষ হিন্দু সমাজের; কারণ, হিন্দু সমাজ এমন একটা সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে নি, যেখানে সামাজিকভাবে হিন্দু ছেলে মেয়েদেরকে ধর্ম শিক্ষা প্রদান করা হবে, তাই এই মেয়ের মুসলমান হয়ে যাবার পেছনে গৌণ দোষ হিন্দু সমাজের। তার ফলও পেলো হিন্দু সমাজ; কারণ, এই মেয়ের শক্তি ও জ্ঞান এখন হিন্দু সমাজের পক্ষে ব্যবহার না হয়ে হবে হিন্দু সমাজের বিরুদ্ধে। হিন্দু সমাজের পক্ষে এর চেয়ে বেশি ক্ষতির কারণ আর কী হতে পারে ?
ছেলে মেয়েদেরকে ছোটবেলা থেকেই ধর্ম শিক্ষা প্রদান করে যদি বাইরে ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে কেনো, কোনো মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দিলেও কেউ ধর্মান্তরিত হবে না।
হিন্দুদেরকে বলছি, আপনি যদি প্রকৃতই হিন্দু হতে চান, তাহলে প্রথমত নিজের ছেলে মেয়ের ধর্ম শিক্ষার দিকে নজর দিন, দ্বিতীয়ত হিন্দু সমাজের কথা ভাবুন; কারণ, আপনি যদি সমাজকে বাঁচান, সমাজ যেমন আপনাকে বাঁচাবে, তেমনি আপনি যদি ধর্মকে রক্ষা করেন, ধর্মও আপনাকে রক্ষা করবে, এজন্যই বলে- ধর্ম রক্ষতি রক্ষিতঃ।
আমার দিক থেকে আমি সাধ্যমতো আমার সামাজিক দায়িত্ব পালন করি, শুধু ফেসবুকে লিখে বাঙ্গালি হিন্দুদেরকে আমি ধর্ম সম্পর্কে জানানোরই চেষ্টা করি না, বাস্তবেও আমার গ্রামে আমি একটি গীতা স্কুল নিজ খরচ ও নিজের সময় ব্যয় করে চালাই, যেখানে ২৫/৩০ জন হিন্দু ছেলে মেয়ে সনাতন ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা অর্জন করছে।
এরপর, এ বিষয়ে আপনাকে আমি প্রশ্ন করতেই পারি যে, হিন্দুধর্ম ও সমাজের জন্য আপানার অবদান কী ?
জয় হিন্দ।
No comments:
Post a Comment