#Utpal_Barman,
জীব জগতের সৃষ্টি ও পরিচালনা সম্পর্কে কোনো মানুষের জ্ঞান যখন ২৫% পর্যন্ত হয়, তখন সে সাধারণ ধার্মিক হয়, (এই জ্ঞান ৫% বা তারও কম হলে ব্যক্তি মুসলমান ধার্মিক হয়); বিপথে পরিচালিত হয়ে এই জ্ঞান যখন ২৫% এর অধিক বা ৫০% পর্যন্ত হয়, তখন সে নাস্তিক হয়; কিন্তু এই জ্ঞান যখন ৫০%কে ছাড়িয়ে যায়, তখন সে প্রকৃত জ্ঞানী ধার্মিকে পরিণত হয়। নাস্তিকতার স্তর না পেরিয়েও কোনো ব্যক্তি প্রকৃত জ্ঞানী ধার্মিকে পরিণত হতে পারে, যদি বাল্যকাল থেকেই সে ধর্মের সঠিক শিক্ষা পায়। এক সময় আপনার লেভেলে আমিও ছিলাম; কারণ, আমার জ্ঞান বিপথে পরিচালিত হয়েছিলো, তাই তখন আমি ছিলাম পাঁড় নাস্তিক, কিন্তু প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে সেই নাস্তিকতার স্তরকে পেরিয়ে এখন আমি গোঁড়া ধার্মিক। আপনি নাস্তিক, এতে কোনো সমস্যা নেই; কারণ, নাস্তিকতাও সনাতন ধর্মের অংশ, যেজন্য শাস্ত্রে বলা হয়েছে- "নাস্তিকো পরমঃ ভক্ত"। এই নাস্তিকতার স্তর পেরিয়ে আপনি প্রকৃত জ্ঞানী ধার্মিকে পরিণত হবেন, যদি নিচের কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেন বা সৌভাগ্যক্রমে সেগুলোর উত্তর আপনি পেয়ে যান, প্রশ্নগুলি হলো-
১. আপনি নিশ্চয় কোনো নির্দিষ্ট একটি রং পছন্দ করেন, কেনো আপনি সেই রংটিই পছন্দ করেন, অন্য কোনো রং নয় ?
২. আপনি বর্তমানে- যে দেশে, যে জাতিতে, যে সমাজে, যে বংশে বা যে পরিবারে, যে লিঙ্গে জন্মগ্রহন করেছেন, ঠিক এখানেই আপনার কেনো জন্ম, কেনো অন্যরকম নয় ?
৩. আমাদের চারপাশে অসংখ্য জীবজন্তু আছে, যারা কষ্টকর জীবন যাপন করছে এবং সেভাবে মারাও যাচ্ছে, কেনো তারা মানুষ হিসেবে জন্ম নিয়ে সুখ ভোগ করতে পারছে না ?
৪. কেনো মানুষ তার কৃতকর্মের ভুল বা অন্যায়ের শাস্তি বেঁচে থাকতেই পায় ?
৫. কেনো বেশিরভাগ মানুষ যা করতে চায় বা হতে চায়, তা করতে বা হতে পারে না ?
এরকম আরো অনেক প্রশ্ন আছে, তবে আপাতত আপনি এই ৫টি প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করুন, আশা করছি- আপনি নাস্তিকতার স্তর পেরিয়ে প্রকৃত জ্ঞানী ধার্মিকে পরিণত হবেন।
আর একটা কথা- ঈশ্বর যে আছে, এটা কেউ প্রমাণ করতে পারে না; ঈশ্বর যে আছে, এটা জ্ঞান দ্বারা উপলব্ধি করতে হয়; যেমন আমাদের চারপাশে বাতাস আছে, কিন্তু তা দেখা যায় না, বাতাসকে অনুভর করতে হয়।
আশা করছি, আমার কথা আপনি বুঝতে পেরেছেন।
জয় হিন্দ।
No comments:
Post a Comment