পুরাণে বর্ণিত ঘটনাগুলো সম্পর্কে মুসলমানদের মিথ্যাচারের জবাব :
ফটোপোস্টে বর্ণিত বিষয়গুলোর উত্তর পরে দিচ্ছি, তার আগে জেনে নিন ইসলাম পৃথিবীতে সর্বপ্রথম কী কী প্রবর্তন করেছে-
১। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম প্রথম ৫০ বছর বয়সে ৬ বছরের মেয়ে আয়েশাকে বিয়ে করেছে কে ?
উত্তর: #মুহম্মদ।
২। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম পুত্রবধূকে বিয়ে করেছে কে ?
উত্তর : #মুহম্মদ
৩। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম গনিমতের মালের নামে অন্যধর্মের লোকেদের ধন সম্পত্তি লুঠ করেছে কে ?
উত্তর : #মুহম্মদ।
৪। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম অমুসলিম নারীদেরকে ধর্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছে কে ?
উত্তর: #মুহম্মদ।
৫। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম চাচার সাথে ভাতিজির (আলী ও ফাতেমা) বিয়ে দিয়েছে কে ?
উত্তর: #মুহম্মদ।
৬। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম ডাকাতির মালে ২০% কমিশন খেয়েছে কে ?
উত্তর: #মুহম্মদ
৭। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম যুদ্ধবন্দিনীদেরকে ধর্ষণ এবং তাদেরকে ক্রীতদাসী হিসেবে বাজারে বিক্রি করেছিলো কে?
উত্তর: #মুহম্মদ।
৮। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম ডজন খানেক বউ নিয়ে নিজের বাড়িকে মিনি পতিতালয় বানিয়েছিলো কে ?
উত্তর: #মুহম্মদ।
৯। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম কন্যা বা নাতনীসমদেরকে বিয়ে করেছিলো কে ?
উত্তর: #মুহম্মদ।
১০। বোরাকে চড়ে মহাকাশ ভ্রমণের মিথ্যা দাবীদার কে ?
উত্তর: #মুহম্মদ।
১১। পিতা ও পুত্র কর্তৃক একদিনে দুই বোনকে বিয়ে করা পৃথিবীর প্রথম ব্যক্তিদ্বয় কে কে ?
উত্তর: #মুহম্মদের কথিত পিতা আব্দুল্লাহ এবং দাদা মোতালিব।
১২। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম ৮০০ লোককে (কুরাইজা গোত্র) একদিনে জবাই করে হত্যা করেছিলো কে ?
উত্তর: #মুহম্মদ।
১৩। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম- জিহাদ বা সন্ত্রাস করাই হলো বেহেশতে যাওয়ার সহজ পথ- বলেছে কে ?
উত্তর: #মুহম্মদ।
১৪। মারিয়া দাসীর গর্ভে ইব্রাহিম নামক পুত্রের জন্ম দিয়েছিলো কে ?
উত্তর: #মুহম্মদ।
১৫। পৃথিবীতে দাস ব্যবসার জনক কে ?
উত্তর: #মুহম্মদ।
১৬। পৃথিবীতে ধর্মীয় সন্ত্রাসের জনক কে ?
উত্তর: #মুহম্মদ।
১৭। পৃথিবীর সর্বপ্রথম মুক্তিপণ আদায়কারী কে ?
উত্তর: #মুহম্মদ।
১৮। পৃথিবীতে- লাইব্রেরি ধ্বংসকারী জ্ঞানবিমুখ জাতি কে ?
উত্তর: #মুসলমান।
১৯। পৃথিবীতে শুয়োরের মতো সন্তান জন্মদানে বিশ্বাসী জাতি কোনটি ?
উত্তর: #মুসলমান।
২০। পৃথিবীতে- খুনী, সন্ত্রাসী, ধর্ষক, মিথ্যুক, প্রতিজ্ঞা ভঙ্গকারী, লুচ্চা, ডাকাত সর্দার- মুহম্মদকে নবী হিসেবে মানে বা বিশ্বাস করে কারা ?
উত্তর: #মূর্খ_মুসলমানরা।
২১। পৃথিবীতে ইসলাম নামক এক অবাস্তব থিয়োরির প্রবক্তা কে ?
উত্তর: #মুহম্মদ।
২২। তালাক দিয়ে স্ত্রীকে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলার বিধান দাতা কে ?
উত্তর: #মুহম্মদ।
২৩। কে মনে করতো যে নারীরা হলো পণ্য, তাদেরকে ভালো রাখতে হলে বস্তায় মুড়ে রাখতে হবে ?
উত্তর: #মুহম্মদ।
২৪। একজন পুরুষ ৪ জন নারীকে বিয়ে করতে পারবে, এমন বিধান দাতা লুচ্চা কে ?
উত্তর: এক ডজনেরও বেশি নারীকে বিয়ে করা লম্পট মুহম্মদ।
২৫। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম কে বলেছে- পশুর সাথে যৌনতায় কোনো সমস্যা নেই ?
উত্তর: #মুহম্মদ।
২৬। পৃথিবীতে কোন মূর্খ সর্বপ্রথম বলেছে- কালোজিরা সকল রোগের মহৌষধ ?
উত্তর: #মুহম্মদ।
২৭। পৃথিবীতে কোন মূর্খ বলেছে- জ্বর আসে দোযখের তাপ থেকে ?
উত্তর: #মুহম্মদ।
২৮। দাসীদেরকে ভোগ করা জায়েজ- বলেছে কে ?
উত্তর: #লুচ্চা_মুহম্মদ
২৯। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম কার ছিলো ৩০ পুরুষের যৌনশক্তি ?
উত্তর : #মাগিবাজ_মুহম্মদের।
৩০। মুসলমানদেরকে- বেহেশতে ৭২ বেশ্যা এবং ২৮ হিজড়ার লোভ দেখিয়েছে কে ?
উত্তর: #লুচ্চা_ও_লম্পট_মুহম্মদ।
---------------------------
এবার দেখা যাক ফটোপোস্টে- ব্রহ্মা, প্রজাপিত দক্ষ, গণেশ, ইন্দ্র, বিষ্ণু, শ্রীকৃষ্ণ, দ্রৌপদী এবং পার্বতী সম্পর্কে যে কটূক্তি করা হয়েছে তা কতটুকু সত্য ?
ব্রহ্মা, প্রজাপিত দক্ষ, গণেশ, ইন্দ্র, বিষ্ণু এবং পার্বতী সম্পর্কে যে কটূক্তি করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সম্পূর্ণ বানোয়াট; কারণ, ইনারা পৃথিবীতে জন্মগ্রহণকারী মানুষই ছিলেন না।
মুসলমানরা সরস্বতীকে, ব্রহ্মার মেয়ে মনে করে, কিন্তু পুরাণে সরস্বতী, ব্রহ্মার নারীশক্তি বা স্থুল অর্থে স্ত্রী। আবার পুরাণে দক্ষের সাথে তার মেয়েদের যৌনতার কোনো কাহিনীই নেই। মুসলমানরা যেহেতু দত্তক নেয়া বা পালক কন্যাকে বিয়ে করতে পারে, তাই তাদের মনে পিতা কন্যার সেক্সের এরূপ কুৎসিত চিন্তার উদয় হয়েছে; কারণ, এক চোরই তো অন্য একজনকে চোর মনে করে।
ফটোপোস্টে গণেশের সাথে পার্বতীর যৌনতার কথা বলা হয়েছে, এমন কোনো কাহিনীই পুরাণে নেই; কিন্তু
মুসলমানরা যেহেতু সৎ মা এবং মাতৃতুল্য খালা ফুপু চাচীকে বিয়ে করে তাদের সাথে সেক্স করতে পারে, তাই তাদের লেভেলে হিন্দুদেরকে নামিয়ে আনার প্রয়াসে এরকম কথা বলেছে।
পুরাণে অহল্যার সাথে দেবরাজ ইন্দ্রের যৌনতার কথা আছে, কিন্তু এর প্রকৃত কারণ হলো-
অহল্যার স্বামী গৌতম মুনি, সাধনার বলে দেবতাদের চেয়ে বেশি শক্তি অর্জন করে ফেলেছিলো, যার ফলে সে দেবতাদের থেকে স্বর্গলোক ছিনিয়ে নিতে পারতো, এই সমস্যা থেকে দেবতাদেরকে নিশ্চিন্ত করার দায়িত্ব ছিলো ইন্দ্রের, যেহেতু ইন্দ্র ছিলো দেবতাদের রাজা; তাই ইন্দ্র এমন কিছু করে, যাতে গৌতম মুনি ক্রুদ্ধ হয় এবং তাকে অভিশাপ দিতে বাধ্য হয়। এজন্যই ইন্দ্র, ছদ্মবেশে গৌতমের স্ত্রী অহল্যার সাথে সেক্স করে, যেটা জানতে পেরে গৌতম, ইন্দ্রকে অভিশাপ দেয়, যার ফলে গৌতমের সাধনার শক্তি নষ্ট হয় এবং দেবতাদের থেকে স্বর্গলোক ছিনিয়ে নেওয়ার শক্তি হারিয়ে ফেলে।
পুরাণের এই কাহিনীর মধ্যে মানুষের জন্য অনেক শিক্ষা রয়েছে, কিন্তু প্রধান শিক্ষা হলো- নিজের বা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য যেকোনো ছলনা বা যেকোনো কিছু করা যাবে। কারণ, অস্তিত্ব রক্ষাই হলো প্রধান ব্যাপার, বাকি সব গৌণ।
পুরাণের এই শিক্ষা বর্তমানে হিন্দুদের চেয়ে মুসলমানরাই ব্যবহার করে বেশি। তাই নিজেদের লাভের জন্য তারা যেকোনো প্রকারের মিথ্যা, অধর্ম বা অনাচার অনায়াসেই করতে পারে এবং এজন্যই তারা বলে নিজে বাঁচলে বাপের নাম, অর্থাৎ নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষাকেই তারা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়, যা দেবরাজ ইন্দ্রের শিক্ষা।
এরপর ফটোপোস্টে বলা হয়েছে- শ্রীকৃষ্ণ তার মামী রাধার সাথে সেক্স করেছিলো; মুসলমানরা এটা আত্মতৃপ্তির জন্য বিশ্বাস করে।
কিন্তু এই ব্যাপারটি পুরোটাই মিথ্যা। রাধা, শ্রীকৃষ্ণের কোনো মামার স্ত্রী ছিলো না। রাধা, শ্রীকৃষ্ণের মামী হয় এই মিথ্যা তথ্যটি প্রথম বলে বড়ু চণ্ডীদাস নামে এক হারামজাদা তার শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে, যেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। রাধা, বৃন্দাবনের একজন মেয়ে, শ্রীকৃষ্ণের ছোটবেলা যখন বৃন্দাবনে কেটেছিলো, তখন রাধার সাথে শ্রীকৃষ্ণের দেখা সাক্ষাত ও কথাবার্তা হয়েছিলো; কিন্তু ১০ বছর ২ মাস বয়সে শ্রীকৃষ্ণ যখন বৃন্দাবন ছেড়ে মথুরায় চলে যায়, তখনই শ্রীকৃষ্ণের সাথে তার দেখা সাক্ষাত শেষ হয়ে যায়, ফলে যুবতী রাধার সাথে যুবক কৃষ্ণের সেক্স একটি পৌরাণিক আষাঢ়ে গল্প মাত্র।
আবার ফটোপোস্টে মুসলমানরা শঙ্খচুড়, তুলসী ও বিষ্ণুর যে ঘটনার কথা বলেছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট; কারণ, এই কাহিনী আছে ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে, যে পুরাণের সমস্ত কাহিনী উদ্ভট ও অশ্লীলতায় পরিপূর্ণ, এই পুরাণেই যুবতী রাধার সাথে যুবক কৃষ্ণের প্রেম, বিয়ে এবং যৌনতা দেখানো হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাই ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণের কোনো রেফারেন্স গ্রহনযোগ্য নয়।
কিন্তু ফটোপোস্টে বলা জলন্ধর, বৃন্দা ও বিষ্ণুর কাহিনী হলো-
মহাদেবের ক্রোধ থেকে জাত জলন্ধর, মহাদেবেরই সাধনা করে এই বর লাভ করে যে- মহাদেব ছাড়া তাকে কেউ হত্যা করতে পারবে না। এই বর পেয়ে জলন্ধর এমনই অত্যাচারী হয়ে উঠে যে, স্বর্গরাজ্য সে অধিকার করতে যায়। আবার দানব কালনেমীর কন্যা বৃন্দার উপর এই আশীর্বাদ ছিলো যে, তার সতীত্ব যতক্ষণ নষ্ট না হবে ততক্ষণ কেউ তার স্বামীকে হত্যা করতে পারবে না। তাই জলন্ধর, বৃন্দাকে বিয়ে করে অমরত্বের পথে আরও একধাপ এগিয়ে যায়। কিন্তু জলন্ধরের অত্যাচার থেকে দেবতাদেরকে নিষ্কৃতি দেওয়ার জন্য মহাদেব, জলন্ধরের সাথে যুদ্ধে প্রবৃত্ত হলে, বিষ্ণু জলন্ধরের রূপর ধরে বৃন্দার কাছে যায় এবং তার সতীত্ব নষ্ট করে, এর ফলেই জলন্ধর মহাদেবের হাতে মারা যায় এবং দেবতারা জলন্ধরের অত্যচার থেকে মুক্তি পায়। এই ঘটনাও দেবরাজ ইন্দ্র এবং অহল্যা-গৌতমের ঘটনার শিক্ষার মতোই, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা এবং কারো অত্যাচারকে দমন করার জন্য যে কোনো কৌশল অবলম্বন করা যেতেই পারে, এতে কোনো অন্যায় নেই।
ফটোপোস্টে সপ্তর্ষির সাত স্ত্রীকে দেখে অগ্নির কমার্ত হয়ে পড়ার যে কথা বলা হয়েছে, এটা সম্পূর্ণ বানোয়াট, পুরানে এরকম কোন ঘটনার ইঙ্গিত পর্যন্ত নেই।
এরপর দ্রৌপদী সম্পর্কে যা বলা হয়েছে, সেটাও সম্পূর্ণ মিথ্যা; কারণ, দ্রৌপদীর পাঁচ স্বামী থাকলেও, তাদের সঙ্গে তার সহবাসের নিয়ম ছিলো, একজনের সাথে সে ১ বছর বাস করবে, তারপর এক বছর সে সম্পূর্ণ একা থেকে তপস্যা করবে, তারপর অন্য একজনের সাথে একবছর থাকবে।
একবার এক ভীষন প্রয়োজনে অর্জুনের গাণ্ডীব ধনুক প্রয়োজন হয়েছিলো, যা ছিলো দ্রৌপদীর ঘরে, কিন্তু সেই সময় তার দ্রৌপদীর ঘরে ঢোকার অনুমতি ছিলো না,. কিন্তু গাণ্ডীবের কারণে অর্জুন দ্রৌপদীর ঘরে ঢুকে পড়ে, একারণে অর্জুনকে সন্ন্যাস নিয়ে কয়েক বছর বনবাসে থাকতে হয়েছিলো, দ্রৌপদীর সাথে তার স্বামীদের গ্রুপ সেক্সের সম্পর্ক থাকলে অর্জুনকে কি বনবাসে যেতে হতো ? হতো না। ফলে এখানে গ্রুপ সেক্সের কোনো ব্যাপারই ছিলো না।
ব্রহ্মা এবং সরস্বতী পিতা কন্যা নয়, তারপরও মুসলমানরা তাদেরকে পিতা কন্যা হিসেবে ধরে নিয়ে মনুসংহিতার একটি রেফারেন্স টেনে বলেছে,
"এমন যেন আর না হয় সেজন্য ঐ ধর্মের ধর্মগ্রন্থে বলা হয়েছে, পুরুষের উচিত নয়, তার মা বোন অথবা কন্যার সাথে একাকী থাকা।"
-পুরুষের মন অতদ্যন্ত চঞ্চল এবং অবাধ্য। কামের তাড়নায় এমন কোনো কাজ নেই যা পুরুষরা ঘটাতে পারে না। এই কামের ফাঁদে ফেলেই অর্থাৎ জিহাদ করতে গিয়ে বেঁচে গেলে পরাজিতদের নারীকে ধর্ষণের সুযোগ এবং মারা গেলে বেহেশতে গিয়ে ৭২ হুরকে দোচার সুযোগ, এই যৌনতার ফাঁদে ফেলেই তো মুহম্মদ তার ডাকাত বাহিনীর জনসংখ্যার বাড়াতে পেরেছিলো এবং তাদের সাহায্যে ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলো। হিন্দুধর্ম হলো বাস্তবতার ধর্ম এবং এমন কোনো কথা হিন্দুধর্মে থাকতে পারে না যা অবাস্তব। পুরুষদের মনের এই গতিপ্রকৃতির জন্যই মনুসংহিতায় বলা হয়েছে, পুরুষরা যেন এমন কোনো নারীর সাথে নির্জনে একাকী বাস না করে যার সাথে তার বৈধ যৌন সম্পর্ক হওয়ার সুযোগ নেই। হিন্দুরা এটা মেনে চলে বলেই কোনো হিন্দু পিতার দ্বারা তার কন্যা ধর্ষণের খবর শোনা যায় না; পক্ষান্তরে মুসলমানরা এটা মানে না বলেই প্রায়ই মিডিয়ায় দেখা যায় মুসলমান পিতার দ্বারা তার কন্যা ধর্ষণ, পিতার ধর্ষণে কন্যা গর্ভবতী, এমনকি পিতার সাথে কন্যার বিয়ের খবর পর্যন্ত পাওয়া যায়। এরকম কিছু খবর নেটে দেখেছি, তার কয়েকটি মুসলমানদের জন্য এখানে নিবেদন করলাম-
সময় এখন ডটকমে প্রকাশিত একটি খবর হলো- কোরান হাতে নিয়েও পিতা কর্তৃক ধর্ষণের শিকার মেয়ে।
যুগান্তর পত্রিকা প্রকাশ করেছিলো- হজে নিয়ে গিয়ে মেয়েকে ধর্ষণ, ৪৮ বছর কারাদণ্ড পিতার।
সংবাদ প্রতিদিন প্রকাশ করেছিলো- কন্যা সন্তানকে বিয়ে করে যৌনতায় লিপ্ত হতে পারেন পিতা, নিদান মৌলবীর।
সিলেট প্রেস ডটকম প্রকাশ করেছিলো- সিলেটে মেয়েকে হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা, বাবা গ্রেফতার।
একটি জাতীয় পত্রিকা প্রকাশ করেছিলো- নরসিংদীতে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার।
সময় এখন ডটকমের আরেকটি খবর হলো- সাত মাস ধরে নিজের মেয়েকে ধর্ষণ, আটক লম্পট পিতা।
ভারতের একটি জাতীয় ইংরেজি দৈনিক প্রকাশ করেছিলো- Muslim man marries own daughter, Impregnates her, Afazuddin claims sanction from Allah, wife turns witness in Nikah.
এর অর্থ হলো- এক মুসলমান বিয়ে করেছে তার কন্যাকে, গর্ভবতীও করেছে। এবং ঘটনার নায়ক দাবী করেছে, এটা তার জন্য আল্লার বরাদ্দ, এই বিয়ের সাক্ষী ছিলো তারই স্ত্রী, যে সেই কন্যার মা।
সুতরাং পৃথিবীতে বাপ মেয়ের যৌনতার ঘটনা ঘটায় একমাত্র মুসলমানরাই, যেহেতু তারা বাস্তবতাকে অস্বীকার করে অথবা বাস্তবতাকে বুঝে না। আর হিন্দুরা বাস্তবতাকে বোঝে বলেই আমাদের শাস্ত্রে এ সম্পর্কে সাবধান করা
হয়েছে, এবং সেই ধরণের ঘটনা যাতে না ঘটতে পারে সেই ব্যবস্থা দিয়েছে।
অন্যদিকে পুরাণের ঘটনাগুলো শুধুই গল্প, সেগুলো কোনো দিন বাস্তবে ঘটে নি, কিন্তু ইসলামের নবী মুহম্মদ এবং তার ডাকাত সাহাবীরা পৃথিবীতে যে খুন-ধর্ষণ-লুঠপাট-ক্রীতদাস ব্যবসা করেছে, সেগুলো পৃথিবীর বাস্তব ঘটনা। তাই কোনটা বেশি ভয়ঙ্কর, লোকশিক্ষার জন্য লেখা গল্পগুলো, না বাস্তবে পৃথিবীতে ঘটানো অমানবিক এবং অনৈতিক ঘটনাগুলো ?
যে মুসলমানরা বাস্তবে নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করে, বাস্তবে মাতৃতুল্যদের এবং বোনদের সাথে শুতে যারা ইতস্তত বোধ করে না, তাদের মুখে শোভা পায় না পুরাণের কোনো কাহিনীকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে বলা যে অমুক দেব, অমুক দেবীর সাথে সেক্স করেছে বা এই জাতীয় কিছু; কারণ, পুরাণের কাহিনী মূর্খদের জন্য নয়, মূর্খদের জন্য হলো কোরান ও হাদিস, যা পড়ে তারা বিনা দ্বিধায় কাউকে খুন করতে পারে, কারো সম্পত্তি লুঠ করতে পারে এবং কারো স্ত্রী কন্যাকে ধর্ষণ করতে পারে। তাই মুসলমানদেরকে বলছি- তোরা সেগুলোই পড়, কিন্তু খবরদার সেগুলো বাস্তবে করতে যাস না; কারণ, সেগুলো করতে গেলেই সরকার প্রশাসন তোদেরকে ডাইরেক্ট কবরের মধ্যে ঢুকিয়ে দেবে।
ফটোপোস্টের শেষে এই মুসলমান বলেছে- কিছু হিন্দু মুসলিম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করে, উপরোক্ত রেফারেন্স দেখলে যেকোনো বিবেকবান মানুষ এটাকে ধর্ম বলতে পারে না। হিন্দুধর্ম কি করে পরকালের মুক্তির পথ হবে।
এর উত্তরে বলছি- উপন্যাসকে ইতিহাস বলে ধরে নিলে যে ভুল হয়, গল্পকে বাস্তব ঘটনা বলে ধরে নিলেও সেই ভুল হয়। হিন্দুরা এতটা মূর্খ নয় যে উপন্যাসকে ইতিহাস এবং গল্পকে বাস্তব ঘটনা বলে ধরে নেবে। হিন্দুরা জানে যে পুরাণের ঘটনাগুলো অনুসরণ করার জন্য নয়, ওগুলো থেকে শুধু শিক্ষা নেওয়ার জন্য। বিবেকবান মানুষেরাই সনাতনকে মানুষের ধর্ম মনে করে, মুসলমানদের বিবেক নেই বলেই তারা তা মনে করতে পারে না। যদি মুসলমানদের বিবেক থাকতো, তাহলে বাস্তবে খুন-ধর্ষণ-লুঠপাট-জোর জবরদস্তি সম্পন্ন ইসলামকে তারা কি কোনো ধর্ম মনে করতে পারতো ? পারতো না। এছাড়াও যে মুসলমানদের চুড়ান্ত লক্ষ্য হলো আল্লার পতিতালয় বেহেশত প্রাপ্তি, আর বেহেশতে গিয়ে কমপক্ষে ৭২ হুর এবং ২৮ গেলমান নিয়ে অনন্তকাল ধরে যৌনফুর্তি করা, তারা পরকালের মুক্তির কী বুঝবে ? ভূতের মুখে রাম নাম যেমন শোভা পায় না, তেমনি মুসলমানদের মুখেও পরকালের মুক্তির কথা শোভা পায় না। পারলৌকিক মুক্তি কী এবং সেটা কিভাবে অর্জন করতে হয়, এটা, খুন-ধর্ষণের নির্দেশদাতা কোরান হাদিস পড়লে জানা যাবে না, ভক্তি নিয়ে পড়তে হবে গীতা, তাহলেই জানা যাবে পারলৌকিক মুক্তি বা মোক্ষ কী। যে মুসলমানরা জন্মান্তরই বিশ্বাস করে না, তারা আবার বলছে পারলৌকিক মুক্তির কথা ! এদের কথা শুনলে তো কুত্তাও হাসবে।
জয় হিন্দ।
No comments:
Post a Comment