বেদ সম্পর্কে মুসলমানদের তাকিয়া :
MiZan Rahman নামের এই মাদারড্যাস যে দুটি রেফারেন্স উল্লেখ করে বেদের সমালোচনা করেছে, তার মধ্যে প্রথম রেফারেন্স [যজুর্বেদ ৬:১-৬] এ সে যা বলেছে, মোটেও সেখানে সেরকম কিছু নেই। এটা শুক্ল, না কৃষ্ণ যজুর্বেদ থেকে নেওয়া, সে বিষয়েই এই মাদারড্যাস কিছু উল্লেখ করে নি। তারপরও এই রেফারেন্স খুঁজতে গিয়ে দেখি কৃষ্ণ যজুর্বেদে এরকম কোনো রেফারেন্সই হয় না, শুক্ল যজুর্বেদের রেফারেন্সের সাথে এটা মেলে, কিন্ত তাতে ৬ষ্ঠ অধ্যায়ের প্রথম ছয়টি মন্ত্রের অনুবাদ মোটেই এই কয় লাইনে লিখা সম্ভব নয়, এই ছয়টি মন্ত্রের অনুবাদ লিখতে গেলে, এই মাদারড্যাস যা লিখেছে, হবে অন্তত তার ৭ গুন, কিন্তু সেখানেও এরকম কিছু বলা নেই। সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় এবং অপ্রাসঙ্গিক বিধায়, সেগুলো আমি আর এখানে তুলে দিতে গিয়ে সময় নষ্ট করলাম না। যাদের কাছে হরফ প্রকাশনীর বেদ আছে, তারা যজুর্বেদ খণ্ডের ৩৭/৩৮ পৃষ্ঠা খুলে দেখলে আমার কথার সত্যতার প্রমাণ পাবেন।
এছাড়াও অথর্ববেদ থেকে সে যে রেফারেন্স দিয়েছে, এরকম কোনো রেফারেন্সই হয় না, সুতরাং কোথায় গিয়ে আপনি কী খুঁজবেন ? এজন্যই একে শুরুতেই বলেছি মাদারড্যাস, মানে মাদারচোদ। কারণ, এটা ছাড়া অন্য কোনো গালি এর জন্য প্রযোজ্য নয়।
এই মুসলমান যা করেছে, তাকে ইসলামের পরিভাষায় বলে তাকিয়া, আর তাকিয়ার অর্থ হলো- মিথ্যা প্রচারের মাধ্যমে যেকোনোভাবে অমুসলিমদেরকে বিভ্রান্ত করে তাদেরকে ইসলামে দীক্ষিত করা বা দীক্ষিত করার চেষ্টা করা; এটা সম্পূর্ণ ইসলামসম্মত, তাই এই হারামজাদা ইসলাম মতে কোনো অন্যায় করে নি, সে বেদ সম্পর্কে কিছু মিখ্যা প্রচার করে হিন্দুদেরকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে, এতে যদি কোনো হিন্দুর ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে একটুও সন্দেহ জাগে, তাতেও কিন্তু এই মুসলমানের সফলতা; তাই মুসলমানরা যা বলবে, তাতে বিশ্বাস করার বিন্দুমাত্র কারণ নেই; কারণ, মুসলমানরা নিজেদের ধর্ম সম্পর্কেই যা প্রচার করে সেটাই ৯০% মিথ্যা, এরা অপরের ধর্ম সম্পর্কে সত্য প্রচার করে নিজের পাছায় বাঁশ নেবে কেনো ?
তাই মুসলমানদের কোনো কথাকে বিশ্বাস করবেন না, এদের থেকে সাবধান হোন, আপনার নিজের বর্তমান ও ভবিষ্যত বাঁচবে।
জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।
No comments:
Post a Comment