Friday, 22 May 2020

অসুর আসলে কে বা কারা ?


#Moni_Barman_Moni_Barman,
কেউ একজন অপর একজনকে যা বলে সম্বোধন করে বা গালি দেয়, সেটাই যদি বাস্তব হতো, তাহলে পৃথিবীটা অন্যরকম হতো। একজনের মুখের কথায় অন্য একজনের চরিত্র নির্মান হয় না, কোনো ব্যক্তির চরিত্র নির্মান হয় সেই ব্যক্তির কর্মে। আপনি আমাকে অসুর বলেছেন, এখন বাস্তবে দেখা যাক অসুর আসলে কে বা কারা ?

গীতার ৭/১৫ নং শ্লোকে শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন,

"পাপিষ্ঠ ও বিবেকহীন নরাধমেরা মায়া দ্বারা মোহিত হইয়া আসুর স্বভাব প্রাপ্ত হওয়ায় আমাকে ভজনা করে না।"
আর এটা তো প্রসিদ্ধ যে- আর্য সমাজীরা শ্রীকৃষ্ণের ভজনা করে না, তাহলে অসুর কে বা কারা ?

আপনি যে অসুর, সেটা আমি গীতা দ্বারা প্রমাণ করে দিলাম। এখন আমাকে যে আপনি অসুর বলেছেন, সেটা শাস্ত্র দ্বারা প্রমাণ করে দেখান দেখি।

আর্য সমাজীরা শুধু অসুর নয়, তারা যে মূর্খ এবং জ্ঞানভ্রষ্ট, তার প্রমাণও গীতায় আছে, দেখুন নিচে-

"আর যে সকল ব্যক্তি আমার মতের দোষ ধরে এবং আমার মতানুসারে কাজ না করে, সে সকল ব্যক্তি মূঢ় ও জ্ঞানভ্রষ্ট বলিয়া জানিবে।" - (গীতা, ৩/৩২)

সুতরাং আর্য সমাজীরা শুধু অসুর নয়, তারা একই সাথে মূর্খ এবং জ্ঞানভ্রষ্ট।

আর আর্য ঋষি এবং মহর্ষিগণ যে বেদমন্ত্র "দর্ষন" নয়, দর্শন করেছেন; সেটা আমি, আর্য সমাজীদের সাথে পরিচিত হওয়ার অনেক আাগে থেকেই জানি। সুতরাং আমার এই জ্ঞান অর্জনের ক্রেডিট আমি আপনাদেরকে দিতে পারছি না ব'লে আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

এছাড়াও আমি আমার প্রয়োজনে এবং কারো অনুরোধে কাজ করি, কারো আদেশ নির্দেশে নয়। আমার প্রয়োজন নেই, তাই আমি যজুর্বেদের ১১/২ মন্ত্র নিয়ে কিছু বলছি না। যদি আপনার প্রয়োজন থাকে আপনি বলেন, যদি উল্টা পাল্টা কিছু বলেছেন তো কোথায় ঝাড়তে আর কিভাবে ঝাড়তে হয় সেটা আমি জানি।

শ্রীকৃষ্ণকে না মানার জন্য কে বা কারা মূর্খ সে বিষয়ে আমি আগেই আলোচনা করেছি, তাই এটা নিয়ে কথা বাড়িয়ে পোস্টের শব্দসংখ্যা আর বাড়াতে চাই না, এমনিতেই বড় পোস্ট লিখি বলে অনেকেই বিরক্ত হয়।
শেষে বলছি- যজুর্বেদের ৩২/৩ এবং ৪০/৮ মন্ত্র মানি কি না, সেটা আমি জানি, এ বিষয়ে কোনো অসুর এবং জ্ঞানভ্রষ্টের উপদেশ শুনতে চাই না।

এতক্ষণ কী বললাম, আশা করি সেটা আপনার মাথায় ঢুকেছে।

জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।

No comments:

Post a Comment