#Lalchan_Shaikh,
কোরানে কি নামায পড়ার নির্দেশ আছে ?
হিন্দুরা মাটি দিয়ে দেবতা বানায়; কারণ, বেদে মাটি দিয়ে দেবতার মূর্তি বানানোর নির্দেশ আছে। শুক্ল যজুর্বেদের অষ্টাদশ অধ্যায়ের ১৩ নং মন্ত্রে বলা আছে,
"পাথর, মাটি, বালু, স্বর্ণ, রৌপ্য, লোহা, তামা সীসা দ্বারা আমার যজ্ঞ সম্পন্ন হোক।"
বেদের যুগে দেবতাদের উদ্দেশ্যে যজ্ঞ করা হতো। পরবর্তীতে বেদের সূত্রগুলোকে ব্যাখ্যা করার জন্য যখন পুরাণের কাহিনীগুলো লেখা হয়, তখন পুরাণে দেব-দেবীদের মূর্তি কল্পিত হয় এবং মূর্তিপূজা শুরু হয়, যে মূর্তি পূজায় যজ্ঞও একটি অংশ। তার মানে প্রথম দিকে দেবতাদের উদ্দেশ্যে শুধু যজ্ঞ করা হতো, কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন উপাদান দিয়ে দেবতাদের মূর্তি বানিয়ে তার পূজা করার সাথে সাথে যজ্ঞও করা হয়। অর্থাৎ যজ্ঞে সাধারণত বালুর প্রয়োজন হলেও- পাথর, মাটি, স্বর্ণ, রৌপ্য, লোহা, তামার প্রয়োজন হয় না, বেদের নির্দেশ মোতাবেক এগুলোকে যজ্ঞে কিভাবে কাজে লাগানো যায়, সেই চিন্তা থেকেই উক্ত উপাদাগুলো দ্বারা দেবতাদের মূর্তি তৈরি করা হয়েছে।
বেদ পুরাণে- যে দেবতার আকার যেভাবে বর্ণিত হয়েছে, তাঁকে সেইভাবেই তৈরি করা হয়েছে। কোনো দেব-দেবীর মূর্তি শাস্ত্রসম্মত হয় নি বলে যদি আপনার সন্দেহ হয়, তাহলে সনাতন ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে তার রেফারেন্স আপনাকেই দিতে হবে, তারপর আপনার কথার জবাব আমরা দেবো।
আগেই বলেছি- যদিও বেদে কিছু কিছু দেব-দেবীর সরাসরি উল্লেখ আছে, কিন্তু বেদের সূত্রগুলোকে ব্যাখ্যা করার জন্য যে পুরাণগুলো রচিত হয়েছে, সেখানে দেব-দেবীদের ব্যাপারে বিস্তারিত বলা হয়েছে। তাই বেদে দুর্গার কথা না থাকলেও যেহেতু পুরাণে বলা হয়েছে, সেটাই আমাদের কাছে যথেষ্ট; কারণ- বেদ, পুরাণ, উপপুরান, রামায়ণ, মহাভারত, গীতা, ভাগবত সকলকেই আমরা আমাদের ধর্মগ্রন্থ মনে করি।
শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলেছেন যে- আমাকে নমস্কার করো, আমাকে পূজা করো (১৮/৬৫); আবার এও বলেছেন যে- সকল দেবতা আমারই অঙ্গস্বরূপ (৭/২২); তাই যেকোনো দেবতার পূজার মাধ্যমে আসলে শ্রীকৃষ্ণেরই পূজা করা হয় (গীতা, ৯/২৩)। একারণে পুরাণে উল্লিখিত দুর্গার পূজা নিরর্থক নয়, দুর্গার পূজা আসলে পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণেরই পূজা, যার নির্দেশ এসেছে শ্রীকৃষ্ণের কাছ থেকেই।
সুতরাং হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থে যে দুর্গাপূজা করতে বলেছে, এটা প্রমাণিত হলো; আর আগেই তো প্রমাণ করে দিয়েছি যে- কোথায় বলা আছে মাটি দিয়ে দেবতার মূ্র্তি নির্মান করতে হবে।
এবার, শুরুতেই বলা প্রশ্নটা ডিটেইলসে করছি- ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের মধ্যে একটি হলো নামায, যেটা মুসলমানদের প্রধান এবাদত, যা দিনে পাঁচবার করার জন্য নির্দেশিত, যাকে বেহেশতের চাবিও বলা হয়েছে, মুসলমানদের সেই প্রধান এবাদতের ব্যাপারে মুসলমানদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ কোরানে কিছু বলা নেই কেনো ?
যদি ক্ষমতা থাকে তো উত্তরটা দিয়ে যাবেন, আর না পারলে অযথা হিন্দুধর্ম নিয়ে চুলকানি বন্ধ রাখবেন; কারণ, আপনারা যদি হিন্দু ধর্ম নিয়ে একটু চুলকান, আমি তার জবাবে ইসলাম নিয়ে চুলকিয়ে এমন ক্ষত সৃষ্টি করবো যে যেটাকে কেয়ামত পর্যন্ত শুকাতে পারবেন না।
জয় হিন্দ।
No comments:
Post a Comment