Sunday, 31 May 2020

ইসকন থেকে আপনার সন্তানকে দূরে রাখুন; কারণ- ইসকন আপনার ভবিষ্যৎকে ধ্বংস করে দিতে পারে


ইসকন থেকে আপনার সন্তানকে দূরে রাখুন; কারণ- ইসকন আপনার ভবিষ্যৎকে ধ্বংস করে দিতে পারে :

ফটো হিসেবে যা পোস্ট করেছি, সেই দুটো আগে পড়ুন।

এই ধরণের ঘটনা ইসকনের দ্বারা কিন্তু একটা দুইটা ঘটছে না, ঘটছে সারা বাংলায়, অসংখ্য; আর এর মাধ্যমে ইসকন হিন্দু যুবসমাজকে বিভ্রান্ত করে ঐ সব যুবকদের পরিবারের ভবিষ্যৎকে ধ্বংস করে দিয়েছে, দিচ্ছে এবং আপনি যদি সতর্ক না হোন, আপনার পরিবারের ভবিষ্যৎকেও ধ্বংস করে দিতে পারে।

আমি বাংলাদেশের খুলনা জেলার একটা ঘটনা জানি। পরিবারের একমাত্র পুত্র সন্তানকে পিতা মাতা অনেক টাকা পয়সা খরচ করে ইঞ্জিনিয়ার বানিয়েছে, কিন্তু ছেলে চাকরি বাকরি বাদ দিয়ে ইসকনে যোগ দিয়ে দিয়েছে। ইসকনে যোগ দেওয়ার পর সে নিজের বাড়ি যাওয়া কমিয়ে দিয়েছে, বাপ মায়ের কোনো খোঁজ খবর রাখে না, বাড়ি সে যায়ই না, যদিও বা কখনো বাড়ি যায়, সে তার মায়ের হাতের রান্না করা খাবার খায় না; কারণ, তার মা নাকি শুদ্ধ কৃষ্ণভক্ত নয়, এছাড়াও তার মায়ের অপরাধ, সে মাছ মাংস অর্থাৎ আমিষ খাবার খায়। ছেলের এই পরিবর্তনে মা চোখের জল ফেলে আর বাবা ফেলে দীর্ঘশ্বাস।

ইসকনে যারা যোগ দিয়ে বাড়ি ছাড়ে, সবার কাহিনীই প্রায় এরকম। প্রথমে তারা বাড়ির খোঁজ খবর নেওয়া বন্ধ করে দেয়, মাঝে মাঝে বাড়ি যায়, কিন্তু মায়ের হাতের রান্না করা খাবার খায় না এবং এক পর্যায়ে বাড়ি যাওয়াই বন্ধ করে দেয়। এভাবে মৃত্যু হয় একটি পরিবারের স্বপ্নের এবং ধ্বংস হয় একটি পরিবারের ভবিষ্যতের।
মানুষ সন্তানের জন্ম দেয় নিজের বংশ ধারাকে রক্ষা এবং বৃদ্ধ বয়সে নিজেদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য। কিন্তু ইসকন হিন্দু যুবকদের ব্রেইন ওয়াশ করে, তাদেরকে বাড়ি ও বাপ মায়ের কাছ থেকে প্রথমে বিচ্ছিন্ন করছে, তারপর তার কর্মশক্তিকে ভগবানের সেবার নামে নিজেদের কাজে লাগিয়ে নিজেদের উন্নয়ন করছে; কারণ, তাকে তো কোনো বেতন দিতে হচ্ছে না, শুধু খাবার এবং শোবার জায়গা দিলেই হচ্ছে।

সনাতন ধর্ম বলেছে,

“পিতা স্বর্গ, পিতা ধর্ম, পিতাহি পরমং তপঃ
পিতোরি প্রিতিমা পন্নে প্রিয়ন্তে সর্ব দেবতা।”

এর মানে হলো- পিতা খুশী হলে সব দেবতা খুশি হয় এবং এবং পিতাই পরম ধর্ম। একারণেই পরশুরাম তার পিতার আদেশে তার মাকে হত্যা করেছিলো, একারণেই রামচন্দ্র পিতার ধর্ম রক্ষার্থে ১৪ বছরের বনবাসের কঠিন জীবন বেছে নিয়েছিলো এবং একারণেই পিতার খুশীর জন্য মহাভারতের ভীষ্ম, বিয়ে না করে আজীবন ব্রহ্মচর্য্য পালনের প্রতিজ্ঞা করেছিলো, হিন্দুধর্ম ও হিন্দু সমাজে এই হলো পিতার স্থান, যেখানে পিতাই শেষ কথা এবং পিতাই পরম তপস্যার ব্যাপার বা পিতাই পরম ধর্ম।

অন্যদিকে আবার মাতা সম্পর্কে হিন্দুধর্ম বলেছে,

“মাতা জননী ধরিত্রী, দয়াদ্র হৃদয়া সতী।
দেবীভ্যো রমণী শ্রেষ্ঠা নির্দোশা সর্ব দুঃখ হারা।।”

-এর মানে হলো সকল দেবীর মধ্যে মা শ্রেষ্ঠ।

তাই পিতা ও মাতাকে কেউ কখনো কষ্ট দিয়ে জীবনে সুখী হতে পারে না বা জীবনে কোনো কিছু অর্থাৎ উন্নতি করতে পারে না। প্রেমের আবেগে পড়ে যে সব ছেলে মেয়ে বাপ মায়ের অমতে তাদের বিরদ্ধে গিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে, একারণেই তারা কখনো সুখী হয় না বা হতে পারে না; কারণ বিয়ে হলো নতুন জীবনের শুরু, আর তাতে সবার আশীর্বাদ মাস্ট; বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করলে এই আশীর্বাদ থাকে না্ বরং থাকে অভিশাপ, তাই খুর শীঘ্রই তাদের জীবনে ঝড় নেমে আসে এবং দাম্পত্য জীবনের অবসান হয় আত্মহত্যা বা বিচ্ছেদের মাধ্যমে।

সনাতন ধর্মে স্পষ্ট করে- ব্রহ্মচর্য, গার্হস্থ্য, বাণপ্রস্থ ও সন্ন্যাস- এই চারটি আশ্রমের কথা বলা আছে; ব্রহ্মচর্য্যের কাল হলো জন্ম থেকে ২৫ বছর, এই সময়টা শিক্ষা অর্জনের কাল; গার্হস্থ্য মানে পারিবারিক জীবন, এই সময়টা ২৫ থেকে ৫০ বছর; শিক্ষাগ্রহণ শেষে বিয়ে করে সংসারের দায়িত্ব নেওয়া এবং সন্তানের জন্ম দিয়ে তাদেরকে মানুষ করাই হলো এই সময়ের কাজ। বাণপ্রস্থ হলো ৫০ থেকে ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত সময়, এই সময়ের শুরুতে পরিবারের দায়িত্ব ছেলের হাতে তুলে দিয়ে কোনো ধর্মীয় সংগঠনের অধীনে থেকে ধর্ম ও সমাজের জন্য কাজ করতে হয় এবং ৭৫ বছর পরবর্তী জীবন হলো সন্ন্যাসের জীবন, সন্ন্যাস মানে পারিবারিক ও সামাজিক দায়িত্ব থেকে পূর্ণ অবসর, এই সময় মানুষকে শুধু ঈশ্বরের চিন্তায় মগ্ন থাকতে হবে।

সনাতন ধর্মের এই চারটি আশ্রমের মাধ্যমে কোন বয়সে মানুষের কোন কাজ করা কর্তব্য তা স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে এবং একটু চিন্তা করলেই বোঝা যায় যে এই সিস্টেমটা সম্পূর্ণ বাস্তব; কারণ, শিক্ষাগ্রহণ না করলে মানুষ পারিবারিক ও সামাজিক দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয় না, তাই শিক্ষা গ্রহণ অবশ্যই করতে হবে এবং শিক্ষাগ্রহণ শেষেই বিয়ের মাধ্যমে একজন নারীর দায়িত্ব নিতে হবে এবং তারপর সন্তানের জন্ম দিয়ে সমাজ রক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে; কারণ, সমাজ টিকেই থাকে জনসংখ্যার উপর ভিত্তি করে; আপনার বা আমার পিতা মাতা আপনাকে বা আমাকে জন্ম দিয়েছিলো বলেই আপনি বা আমি এই পৃথিবীর আলো বাতাস ভোগ করতে পারছি এবং ধর্ম ও সমাজ নিয়ে ভাবতে পারছি বা কাজ করতে পারছি। যদি চৈতন্যদেবের থিয়োরি অনুসরণ করে আমাদের পিতা আমাদেরকে জন্ম না দিতো তাহলে প্রভুপাদ যেমন ইসকন সংগঠন তৈরি করতে পারতো না, তেমনি ইসকনে যোগ দিয়ে আপনি এটা বলতে পারতেন না যে আমিষভোজী মায়ের হাতের রান্না খাওয়া পাপ।

সমাজে প্রতিটি মানুষের জন্ম গুরুত্বপূর্ণ এবং এই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার জন্য প্রতিটি পিতা মাতা আরও গুরুত্বপূর্ণ, তাই তাদেরকে অবহেলা ও কষ্ট দিয়ে সামাজিক কোনো সংগঠন যেমন সফলতা লাভ করতে পারে না, তেমনি এই ধরণের সংগঠন সমাজে টিকে থাকতে বা টিকে থাকার অধিকারও পেতে পারে না। অসংখ্য পিতা মাতার চোখের জল এবং বুক ভরা দীর্ঘশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে আছে বাংলার ইসকন নামক সংগঠন, তাই এই সংগঠনের ধ্বংস বা বিলুপ্তি অনিবার্য, সেটা ১০ বছর পর হোক বা ১০০ বছর পর হোক।

সনাতন ধর্মের চার আশ্রমের যে বৈশিষ্ট্য তা থেকে স্পষ্ট যে, যুবক বয়সে সংসারের দায়িত্ব না নিয়ে বা পিতা মাতার প্রতি দায়িত্ব পালন না করে ধর্মের উদ্দেশ্যে বা ভগবানের সেবার নামে সংসার ত্যাগ করার কোনো বিধান সনাতন ধর্মে নেই। এটা না বুঝে যারা যুবক বয়সে বিয়ে শাদি না করে, সন্তানের জন্ম না দিয়ে, পিতা মাতার প্রতি দায়িত্ব পালন না করে সংসার ত্যাগ করছে, তারা ধর্ম নয়, অধর্ম করছে, এরা চরম পাপী, এদের আত্মার মুক্তি কোনো দিন কখনোই হবে না, হতে পারে না।

আমি আমার গবেষণায় দেখেছি- সনাতন ধর্মের ক্যান্সার হলো চৈতন্যদেবের বৈষ্ণব মতবাদ। যদিও বৈষ্ণব মতবাদ সনাতন ধর্মে থেকে আলাদা একটি মতবাদ, কিন্তৃ শ্রীকৃষ্ণকে আশ্রয় করে এরা সনাতন ধর্মের মধ্যে ঢুকে আছে এবং আস্তে আস্তে সনাতন ধর্ম ও সমা্জকে উই পোকার মতো কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। বৈষ্ণব মতবাদে বিয়ে ও সংসার করার কোনো বিধান নেই, যদিও এই ব্যাপারটা প্রায় কোনো বৈষ্ণবই জানে না, কিন্তু যে দু চারজনের মাথায় এই বিষয়টি ঢোকে, তারা চৈতন্যদেবে আদর্শ অনুসারে বিয়ের পর সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে ফেলে রাতের বেলা চুপি চুপি সংসার ত্যাগ করতে না পারলেও, যুবক বয়সে বিয়ে শাদি না করেই সংসার ত্যাগ করে, ফলে তার মাধ্যমে একটি নারীর ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়ে, যাকে সে বিয়ে করে একটি সুন্দর জীবন দিতে পারতো; একটি পিতা মাতার স্বপ্ন দুঃস্ব্প্নে পরিণত হয়, একটি সংসার ধ্বংস হয় এবং তার মাধ্যমে সৃষ্টি প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ায় সমাজ বিলুপ্তির দিকে এগিয়ে যায়।

বৈষ্ণব মতবাদের এমন একটি বিষয় নেই যা সমাজের জন্য কল্যাণকর, বৈষ্ণব মতবাদ এমনিতেই গত ৪/৫শ বছর ধরে বাংলার হিন্দু সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে আছে, এর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অনেক হিন্দু ছেলেই মাঝে মাঝে সংসার ত্যাগ করে তার সংসার ও সমাজের সর্বনাশ করতো; বৈষ্ণব মতবাদকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বর্তমানে ইসকন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে হিন্দু যুবকদের এই সংসার ত্যাগ একেবারে মহামারী আকার ধারণ করেছে, যার ফলে হাজার হাজার হিন্দু পরিবার চোখের জল ও বুকভরা কষ্ট নিয়ে দিনাতিপাত করছে, যেমনটা আপনারা বুঝতে পেরেছেন ফটোপোস্টের ঘটনাটির মাধ্যমে।

ইসকনের যে মূল থিয়োরি- নিরামিষ আহার এবং তাদের যে শ্রমশোষণ ধান্ধাবাজ থিয়োরি যুবক বয়সে সংসার ত্যাগ, তার কোনো শাস্ত্রীয় স্বীকৃতি নেই। উপরে চার আশ্রমের আলোচনায় আমি দেখিয়েছি যুবক বয়সে সংসার ত্যাগ আসলে সব দিক থেকে অধর্ম, তাই যুবক বয়সে সংসার ত্যাগ বলতে সনাতন ধর্মে কিছু নেই। ৫০ বছর পর্যন্ত সংসার থেকে আপনি মুক্তিই পেতে পারেন না, ৫০ এর পর সংসারের দায়িত্ব থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন কিন্তু সমাজের দায়িত্ব থেকে মুক্তি পাবেন না; সংসার ও সমাজের প্রতি পূর্ণ দায়িত্ব পালন শেষে যদি বেঁচে থাকেন তো ৭৫ বছর বয়সের পর আপনি সন্ন্যাস নিতে পারবেন, যাকে বলা হয় পূর্ণ অবসর। তাই সনাতন ধর্মে সংসার ত্যাগ বলতে প্রকৃতপক্ষে কিছু নেই; আর সনাতন ধর্মে নিরামিষ আহার বলতেও যে কিছু নেই, সে সম্পর্কে আমি অনেক আগে থেকেই বলে আসছি, এ সম্পর্কে আমার অনেক পোস্টও আছে, যারা পড়েছেন, তারা জানেন, আর যারা এখনও পড়েন নি, তারা অপেক্ষা করুন আর আমার সাথে থাকুন নিশ্চয় জানতে পারবেন।

সুতরাং বাপ মা আমিষভোজী বলে ইসকনিরা যে তাদের পিতা মাতাকে ঘৃণা করে এবং মায়ের হাতের রান্না খায় না, এটা যেমন পাপ; তেমনি পিতা মাতার প্রতি দায়িত্ব পালন না করে, তাদেরকে পরিত্যাগ করে ইসকনে চলে যাওয়াও আরো বড় মহাপাপ। এই দুই মহাপাপের উপর ভিত্তি রচনা করেছে বা করছে ইসকন, সুতরাং ইসকনের ভবিষ্যত যে কী, সেটা একটু চিন্তা করুন।
আমি আমার ফেসবুক বন্ধুদের উদ্দেশ্যে বলছি- ফটোপোস্টের ঘটনার মতো ঘটনায় যেসব পিতা মাতা ভূক্তভোগী, তাদের সাথে আপনারা যোগাযোগ রাখবেন, তাদেরকে আশ্বাস দেবেন যে- তারা যেন তাদের ভবিষ্যতের সুরক্ষা ও দেখাশোনা কে করবে, এটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় না ভোগেন, আমি আছি তাদের জন্য, তাদেরকে আমি দেখাশোনা করবো পিতা মাতার মতো। যারা আমার পুরোনো পাঠক তারা জানেন যে- আমি একটি ধর্মীয় সংগঠনের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি, যেটা অর্থ অভাবে আটকে আছে, আমার সেই সংগঠন হিন্দু সমাজে শুধু বিশুদ্ধ সনাতনী জ্ঞানই প্রচার করবে না, হিন্দুদের সকল রকম বিপদ আপদে তাদের পাশেও দাঁড়াবে। সেই সংগঠনেরই একটি শাখা থাকবে, যেখানে অসহায় হিন্দু পিতা মাতা, যাদেরকে তাদের সন্তানেরা দেখা শোনা করে না, সেখানে তারা আশ্রয় পাবে এবং জীবনের শেষ পর্যন্ত আমার আশ্রমে থেকে ধর্মকর্মের মাধ্যমে পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণের সেবা করে যেতে পারবে।

সংগঠনের প্রধান কার্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এই কার্যক্রম শুরু হবে, কিন্তু তার আগেও যদি বাংলাদেশে এমন কোনো অসহায় পিতা মাতার সন্ধান আপনারা পান, যার ছেলে ইসকনে যোগ দিয়ে পিতা মাতাকে ভুলে গিয়েছে, তাদের ঠিকানা এবং ফোন নং আমাকে জানাবেন, আমি তাদের সাথে যোগাযোগ করে তাদেরকে আমার কাছে এনে তাদের সেবা শুশ্রুষা করবো।

সেই সব অসহায় পিতা মাতার সেবা শুশ্রুষা করার মানসিক শক্তি এবং আর্থিক সামর্থ্য যেন ঈশ্বর আমাকে দেন, সেই প্রত্যাশায় বলছি-

জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।
জয় হিন্দ।

No comments:

Post a Comment